Blog

  • VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    VHP at Karnataka mosque: ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru) বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (vhp) ও বজরং দল (Bajrang dal)। এদিন সকালে রীতি মেনে মালালির ওই মসজিদে ‘তম্বুলা প্রশ্নম’ (Thamboola prasnam) পরিবেশিত হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মসজিদ (mosque) সংস্কারের কাজ চলাকালীন সেখানে একটি মন্দিরের মতো কাঠামোর হদিশ মিলেছে। তার পরেই এদিন আচার পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো পরিবেশিত হয় তম্বুলা প্রশ্নম।

    গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ম্যাঙ্গালুরু শহরের বাইরে মালালি এলাকায় জুমা মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর হদিশ মেলে বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জুমা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    মসজিদ চত্বরে পুজোপাঠের পরিকল্পনা করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। পুজোপাঠ সংক্রান্ত একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শরণ পাম্পওয়েল প্রমুখ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সেদিনই ভরত জানিয়েছিলেন, ২৫ মে মসজিদ চত্বরে বিশেষ তম্বুলা প্রশ্নম পালন করা হবে। তার পরেই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অশান্তি এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তার মধ্যেই তম্বুলা প্রশ্নম পালন করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। মসজিদটি এক সময় মন্দির ছিল কিনা, তা জানতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে হিন্দত্ববাদী একটি সংগঠন। তম্বুলা প্রশ্নম আচার পালনের পর হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে তারা অষ্টমঙ্গলা প্রশ্নম করবে। কারণ তাদের বিশ্বাস, মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান

    স্থানীয় বিধায়ক ভরত শেট্টি মন্দিরের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের নেতারা এবং আরও কিছু হিন্দু সংগঠন আদালতে গিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল যাতে মন্দিরের মতো কাঠামোগুলি যথাযথ তদন্ত না করে ভেঙে ফেলা না হয়। সত্য প্রকাশ্যে আনার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সমীক্ষা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে ভিএইচপি নেতারা প্রাপ্ত নথিগুলি যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাঠোমোর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কন্নড় কমিশনারেট। প্রশাসন জমির নথি খতিয়ে দেখছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীকে।

     

  • Shinzo Abe: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

    Shinzo Abe: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বন্ধুর’ মৃত্যুতে ‘শোকাহত’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার আবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মোদির ট্যুইট, “আমি গভীরভাবে ব্যথিত। চলে গেলেন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবে। দুঃখপ্রকাশের কোনও ভাষা নেই। জাপানকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সারা জীবন দিয়ে দিলেন শিনজো। পৃথিবীতে জাপানকে একটি বিশেষ স্থানে উন্নীত করেছেন আবে।”  মোদি আরও জানান, “প্রাক্তন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আগামিকাল ভারত একদিনের জাতীয় শোক পালন করবে।” শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আগেই ট্যুইট করেন মোদি। ট্যুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, “আবের পরিবারের পাশে আছি। জাপানের মানুষের সঙ্গে আছি।’’  

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, বলে ট্যুইট করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দুঃখপ্রকাশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    এই ঘটনাকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, “এই ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। এ ধরনের হামলা সহ্য করা হবে না।” আবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। 

    আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, আততায়ীর পরিচয় প্রকাশ

    শিনজো আবের আমলে ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়া উচ্চতা পায়। এরই স্বীকৃতিস্বরুপ তাঁকে গতবছর পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি জয় পাওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রনেতা হিসেবে শিনজো আবেই  মোদিকে অভিনন্দন জানান। চলতি বছরের মে মাসে মোদি জাপান সফরে গেলে আবের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়  প্রধানমন্ত্রীর। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর বরাবরই জোর দিয়েছিলেন আবে।

  • Russia India Relation: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    Russia India Relation: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বেশি করে ভারতের (India) ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালানোর কারণে ইতিমধ্যেই প্রচুর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে রাশিয়ার উপর। যার মধ্যে অন্যতম ইউরোপের দেশগুলিতে অপরিশোধিত তেলের রফতানি (Crude oil exports)। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা (partial embargo) জারি করেছে ইউরোপ (Europe)। 

    তাই এবার চিন (China) এবং ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) দেশকে। কারণ এই দুই দেশ ছাড়া আর এশিয়ার অন্য কোনও দেশের তেল পরিশোধন করার আধুনিক প্রযুক্তি নেই। তাই অপরিশোধিত তেল (Crude Oil) এই দুই দেশেই রফতানি করতে হবে রাশিয়াকে। 

    পণ্য বিনিময় পদ্ধতিতে এবার রাশিয়া থেকে সার আমদানি ভারতের

    রাশিয়া থেকে জলপথে তেল রফতানি করা হয় পৃথিবীর নানা দেশে। রাশিয়া থেকে জলপথে দুই তৃতীয়াংশ তেল ইউরোপে আসে। জাহাজে আসা তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রায় সাতাত্তর হাজার কোটি টাকার লোকসান হবে রুশ প্রশাসনের।  

    ব্রাসেলসে এক সম্মেলন শেষে ষষ্ঠবারের জন্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হয়েছেন। এর ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে।  

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদার ২৭ শতাংশ তেল এবং ৪০ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ইউরো। এদিকে পোল্যান্ড ও জার্মানি এ বছরের শেষে পাইপলাইনে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে। এতে ইউরোপে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ কমে যাবে।

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে জবাব পীযূষ গোয়েলের 

    ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সবগুলি অংশ নিয়েছে। এতে রাশিয়ার তেল আমদানি কমিয়ে আনার নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল বলেন, এর ফলে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিচালনা করার অর্থের উৎস বন্ধ হবে। এছাড়া রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছে। 

    ইউরোপের এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুন বাজার ধরতে হবে রুশ প্রশাসনকে। সেই ক্ষেত্রে রাশিয়ার সামনে একমাত্র বাজার এশিয়া। যেখানে বেশিরভাগ দেশেরই তেল পরিশোধ করার প্রযুক্তি নেই। তাই অপরিশোধিত তেল রপ্তানির বিষয়ে ভারত এবং চিনের মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে রাশিয়াকে। 

     

  • Horoscope Today, 21 May 2022: আজ ভ্রমণের যোগ কোন রাশির? দেখুন দৈনিক রাশিফল

    Horoscope Today, 21 May 2022: আজ ভ্রমণের যোগ কোন রাশির? দেখুন দৈনিক রাশিফল

    মেষ রাশি: আজ লটারি প্রাপ্তির যোগ দেখা যাচ্ছে বা পাওনা আদায় হতে পারে। কোনও মিথ্যে অপবাদ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির আশঙ্কা। মা-বাবার দায়িত্ব নিতে সক্ষম হতে পারবেন। চলাফেরায় বাড়তি সতর্ক থাকুন। দুপুরের পরে শুভ কিছু ঘটতে পারে।

    বৃষ রাশি: আজ যানবাহনে ওঠা-নামায় বিপদের আশঙ্কা। কোমরের যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে পারেন। দাম্পত্য জীবনে কলহ মিটে গিয়ে মিলন হতে পারে। আজ সারাদিন সুখ দুঃখ নিয়ে মিশ্র ভাবেই কাটার সম্ভাবনা। চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    মিথুন রাশি: আজ কর্মস্থানে সমস্যা বাড়তে পারে। অকারণে তর্কে জড়াতে পারেন। স্ত্রীর জন্য বাড়িতে বিবাদ বাড়তে পারে। সামাজিক সুনাম পেতে পারেন। ব্যবসার ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ। বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা। মাথার যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    কর্কট রাশি: আজ প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ। মনের কথা বলার জন্য সঠিক মানুষ পেতে পারেন। গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন। বাড়িতে চুরি হওয়ার সঙ্কেত। সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    সিংহ রাশি: আজ সন্তানদের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় বা কর্মক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখুন এবং খুব বুঝে কথা বলুন। আজ সারা দিন হিসেবি ভাবে থাকলেও অর্থ খরচ হতে পারে। শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করুন, অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    কন্যা রাশি: আজ বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে না পারায় দুঃখবোধ হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে। বাড়ির কোনও ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল। সতর্ক না থাকলে কর্মক্ষেত্রে সম্মানহানির যোগ।

    তুলা রাশি: আজ কারও কাছে অপদস্থ হতে পারেন। কর্মস্থলে সমস্যা কেটে যেতে পারে। আজ বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। অকারণে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমায় জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা।

    বৃশ্চিক রাশি: আজ মাত্রাছাড়া আবেগ আজ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। খাদ্যের প্রতি লোভ সামলাতে না পারলে শারীরিক অসুস্থতার যোগ। 

    ধনু রাশি: আজ বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। ব্যবসায় একটু শান্তি পেতে পারেন। বিবাহ সংক্রান্ত যোগাযোগ আসতে পারে। আজ একটু সাবধানে থাকুন, কোনও বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখের খবর আসতে পারে। আর্থিক ব্যাপারে সুবিধা পেতে পারেন।

    মকর রাশি: আজ লেনদেনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন। বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। সন্তানের কাজে সুনাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা। পেটের সমস্যায় ভোগান্তির আশঙ্কা। হাঁটাচলা খুব সাবধানে করবেন।

    কুম্ভ রাশি: আজ শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে দামি কোনও উপহার পেতে পারেন। অন্যের ভুল ভাঙাতে গিয়ে নিজের সংসারে অশান্তি। দূর সম্পর্কের কেউ বাড়িতে আসতে পারেন। চাকরির পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। প্রতিবেশী সংক্রান্ত বিবাদ থেকে দূরে থাকুন।

    মীন রাশি: আজ সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ। ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে। বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে। বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাড়তি কোনও ব্যবসায় লাভ হতে পারে।

  • Giant Panda Fossil: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

    Giant Panda Fossil: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাইনোসরের জীবাশ্মের খোঁজ, এসব এখন অতীত। সম্প্রতি ৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬০ লক্ষ বছর পুরনো জায়েন্ট পান্ডার (Giant Panda) জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে চিন (China) থেকে। আর এই নিয়েই আবারও চর্চা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই পান্ডার উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে এই নিয়ে অনেক আলোচনা চলছিল। জানা গিয়েছিল, জায়েন্ট পান্ডার হদিশ নাকি চিন থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু এবারে এত বছরের পুরনো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পান্ডার জীবাশ্ম উদ্ধার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের।

    ওই দুই মহিলার মধ্যে একজন অস্ট্রিয়ান ও অন্যজন রোমানিয়ান ছিলেন।

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে প্রজাতির পান্ডার হাড়ের জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে তার নাম Ailurarctos। জীবাশ্মটি চিনের ইউনানের (Yunnan) জাওটং (Zhaotong) শহরের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটি ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জীবাশ্ম ও এই প্রজন্মের পান্ডাদের থেকেই বর্তমান প্রজন্মের পান্ডারা এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই হাড়গুলো থেকে বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের হাড়ের পরিবর্তনের কথা জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। ‘ফলস থাম্প’ নামক হাড়ের গঠনে কী কী পরিবর্তন এসেছে এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই জীবাশ্ম অনেক সাহায্য করে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ফলস থাম্পের সাহায্যেই পান্ডারা হাতে কোনও খাবার বা বাঁশ নিয়ে খেতে পারে। বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের ফলস থাম্পের সঙ্গে এর মিলও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র এটি আকারে বড় ধরণের ছিল ও এতে হুক নেই যা বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের আছে।

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    এর আগে ২০১০ সালে প্রথম Ailurarctos প্রজাতির পান্ডার হাতের হাড় পাওয়া গিয়েছিল ও ২০১৫ সালে দাঁত ও ফলস থাম্প উদ্ধার করেছিল বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই জীবাশ্মের সাহায্যেই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে,  Ailurarctos প্রজাতির পান্ডার ফলস থাম্পের থেকে বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের ফলস থাম্পের গঠন বেশি ভালো। এদের থাম্পে হুক থাকায় কোনও জিনিসকে বা কোনও খাবারকে এরা ভালোভাবে ধরতে পারে। ফলে এই জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়ার পরে বিজ্ঞানীরা জায়েন্ট পান্ডাদের সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পারেন ও এখনকার পান্ডাদের সঙ্গে আগের প্রজন্মের পান্ডাদের কী কী মিল ও অমিল রয়েছে তাও জানতে পারেন। বিজ্ঞানীরা এই জীবাশ্ম নিয়ে এখনও গবেষণা করে চলেছে, তাই ভবিষ্যতে আর কী কী নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে এটিই এখন দেখার।

  • Google: ব্যবহারকারীদের জীবনে নজর চালানো হচ্ছে, গুরুতর অভিযোগ গুগলের বিরুদ্ধে

    Google: ব্যবহারকারীদের জীবনে নজর চালানো হচ্ছে, গুরুতর অভিযোগ গুগলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং (Google Private Browsing) আদতেও ব্যক্তিগত নয়। ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে গুগল। এমনই অভিযোগ আনলেন টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন (Ken Paxton)। এই অভিযোগের গুগলের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।

    জানুয়ারিতে টেক্সাস (Texas), ইন্ডিয়ানা, ওয়াশিংটন, কলম্বিয়ায় গুগলের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। দাবি করা হয়েছিল, গুগল ব্যবহারকারীদের লোকেশন ট্র্যাক (Location Track) করছে। এতে তাদের ব্যক্তিগতে পরিসরে ঢুকে পড়তে চাইছে গুগল।

    ইনকগনিটো মোড (Incognito Mode) বা ব্যক্তিগত ব্রাউজিং- এর ক্ষেত্রে গুগল দাবি করে যে তারা ব্যবহাকারীর কোনও তথ্য চাইবে না বা কোনও রকম নজরদারি চালাবে না। কেনের বক্তব্য কথার খেলাপ করছে গুগল। ‘সার্চ হিস্ট্রি’ এবং ‘লোকেশন’ দুই- এর তথ্যই নিজের কাছে রাখছে এই সংস্থা।

    মামলাটিতে দাবি করা হয়, ব্যক্তিগত ব্রাউজিং সুবিধায় কেউ হয়তো কোনও গোপন ওয়েবসাইট খুঁজছেন বা তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, রাজনীতি সংক্রান্ত কোন তথ্য খুঁজছেন বা কেউ কারও জন্যে উপহার কেনার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইছেন। গুগল গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা তারা করছে না। গোপনে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিজের কাছে রাখছে গুগল।

    গুগল যদিও নিজের সাফাইয়ে বলেছে, “পুরোনো ঘটনা তুলে এই দাবি করা হচ্ছে। আমরা সেটিং- এ বদল এনেছি। ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে শেষ অবধি লড়াই করব।”

    এর আগেও এই অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের অনুমতি না নিয়েই লোকেশন ট্র্যাক করার অভিযোগ এনেছিলেন।

    গুগল দাবি করে, লোকেশন সেটিং অফ রাখলে ব্যবহারকারীর লোকেশন সম্পর্কে কিছু জানতে পারে না গুগল।

    জানুয়ারিতে আরিজোনার বিচারক দাবি করেন, গুগলের একটি গোপন লোকেশন ট্র্যাকার আছে। ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই তাদের গতিবিধির ওপর নজর চালায় গুগল।

     

  • Viral News: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল…

    Viral News: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল মিশরের উপকূলে। এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল একগুচ্ছ মানুষ। তবে কারোর থেকেই সাহায্য পাওয়া গেল না। একটি হাঙরের আক্রমণে প্রাণ হারালেন এক ৬৮ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান মহিলা ও এক রোমানিয়ান মহিলা। ইজিপ্টের (Egypt) লোহিত সাগরের (Red Sea) সল হাশিশ (Sahl Hasheesh) উপসাগরে এই ভয়ানক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনাটি হওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত বহু মানুষ এটির ভিডিয়োও করেছেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই দুই মহিলা লোহিত সাগরে সাঁতার কাটছিলেন। আর তখনই মহিলাটির ওপর হাঙর আক্রমণ করে। আর তখন সেখানে উপস্থিত লোকেরা ভিডিও করে হাঙরটির দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর চেষ্টা করলেও কেউ জলে নেমে তাঁদের সাহায্য করতে যায়নি। শুধুমাত্র আক্রমণ চালিয়েই থেমে থাকেনি হাঙরটি, অস্ট্রিয়ান মহিলাটির একটি হাত ও পা কেটে নিয়েও চলে যায়। যদিও তিনি অনেক চেষ্টা করে উপকূলে এসে পৌঁছতে পারেন। কিন্তু শেষ রক্ষাটুকু করা গেল না। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। আর এক মহিলাকে আক্রমণ চালানোর প্রায় এক ঘণ্টা পরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    সেখানকার সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার হুরঘাদা (Hurghada) রিসর্টের দক্ষিণে সল হাশিশ উপসাগরে সাঁতার কাটছিলেন তাঁরা। তারপরেই হাঙর আক্রমণ করলে একজনের পা ও হাত কেটে নিয়ে চলে যায়। এরপরেও নিজেই উপকূলে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ধারে পৌঁছে গেলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান। এই ঘটনার পরেই লোহিত সাগরের (Red Sea) সমস্ত সৈকত দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৩ দিনের জন্য বন্ধ সৈকতগুলি।

    প্রসঙ্গত, এর কিছুদিন আগেই ফ্লোরিডাতে (Florida) এমনই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে একটি কম বয়সী মেয়েকেও আক্রমণ করেছিল এক হাঙর এবং তার পায়ের কিছুটা অংশ কেটে নিয়ে চলে যায়। যদিও পরে সে বেঁচে যায় তার দাদার জন্য। এই ঘটনাটির কথা তাঁর বাবা ফেসবুকে পোস্ট করে জানান। 

     

  • Twitter Circle: ট্যুইটারে আসতে চলেছে এই নতুন ফিচার! জানেন কি?

    Twitter Circle: ট্যুইটারে আসতে চলেছে এই নতুন ফিচার! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নামেই বেশি পরিচিত ট্যুইটার (Twitter)। তবে এর মধ্যেই ট্যুইটারে নতুন বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার নাম ট্যুইটার সার্কেল (Twitter Circle)।

    তবে এই বৈশিষ্ট্যটি নিয়ে এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই বৈশিষ্ট্যটি অনেকটা ইনস্টাগ্রামের ক্লোজ ফ্রেন্ড (Instagram’s Close Friends) -এর বৈশিষ্ট্যের মত করা হয়েছে, যেখানে আপনার পছন্দের মত আপনার কাছের বন্ধুদের নিয়ে একটি সার্কেল তৈরি করতে পারবেন এবং শুধুমাত্র তাঁরাই আপনার সেই পোস্টটি দেখতে পারবেন। সুতরাং কারা আপনার সেই ব্যক্তিগত পোস্টটি দেখতে পারবেন তা আপনি বাছাই করে একটি সার্কেল তৈরি করে নিতে পারবেন। যদিও এই বৈশিষ্ট্যটি সমস্ত ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছতে পারেনি।

    ট্যুইটার কোম্পানির স্পিকার জোসেফ নুনেজ (Joseph Nunez) জানিয়েছেন, এই ফিচারটিকে নিয়ে এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে, সকল ব্যবহারকারীদের কাছে এখনও এই ফিচারটি ট্যুইটার আনেনি। অ্যানড্রয়েড (Android), আইওএস (IOS), ওয়েব সাইটে এই ফিচারটিকে নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে ও ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের থেকে ফিডব্যাক নেওয়া হচ্ছে।

    এই ফিচারটিকে আপনার ট্যুইটারে পেতে গেলে প্রথমে আপনার ট্যুইটার আপডেট করুন, তারপর একটি নতুন ট্যুইট লিখুন এবং এটি পোস্ট করার সময় ‘Everyone’ বলে অপশন আসলে ‘Circle Option’ –এ ক্লিক করুন। এখানে আপনার Circle Option –এ এডিটের অপশনও রয়েছে, ফলে আপনি আপনার পোস্ট অনুযায়ী  Contacts পরিবর্তন করতে পারবেন।

    এর আরেকটি সুবিধা হল ট্যুইটার সার্কেলে কাউকে Add করার পর কারোর কাছে কোনও নোটিফিকেশন যায় না। আরেকটি বিষয় হল আপনার সেই পোস্টে ‘Circle Only’ এই ট্যাগটি থাকবে। এখনও পর্যন্ত কোনও একটি ট্যুইটার সার্কেলে আপনি আপনার বন্ধুদের মধ্যে মাত্র ১৫০ জনকে রাখতে পারবেন।

    বর্তমানে ট্যুইটারে অনেক রকমের বৈশিষ্ট্যই অন্তর্ভুক্ত করতে দেখা যাচ্ছে। এলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অনেক রকমের উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ট্যুইটারে আর কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে সেটিই এখন দেখার।

  • ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    ASTRA Missile: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবটা মালুম হয়েছিল বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের (Balakote airstrike) সময়। ভালমানের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের (Air-to-Air Missile) অভাবে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছিল ভারতকে (India)। সেই ঘাটতি ঢাকতে বদ্ধপরিকর ছিল মোদি (Modi) সরকার। লক্ষ্য ছিল, দেশীয় উন্নতমানের দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সম্প্রতি কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিলেছে। অবশেষে, এবার ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) ও নৌসেনায় (Indian Navy) ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের মারণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে “অস্ত্র”।

    মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে (Modi@8) ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ভারতীয় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (Bharat Dynamics Ltd) এর সঙ্গে ২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার জন্য ‘অস্ত্র মার্ক ১’ (ASTRA Mk I) বিয়ন্ড ভিজ়্যুয়াল রেঞ্জ (BVR) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে (BVRAAM) উৎপাদন করবে ভারত ডায়নামিক্স (BDL)।

    আরও পড়ুন: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য দৃষ্টিসীমার বাইরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম  “অস্ত্র” আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রর পাল্লা ১১০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটির গবেষণা থেকে শুরু করে নির্মাণ ও পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিলক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। এখন ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সিস্টেমগুলির উৎপাদনের জন্য সমস্ত প্রযুক্তি বিডিএল-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ডিআরডিও। 

    বর্তমানে ব্রহ্মোস (BrahMos) ছাড়া, ভারতের সবকটি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করা। ফলে, সেগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন ও দেশীয় অস্ত্র নির্মাণ ও উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই নিরিখে, এর নতুন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের  ফলে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগলো ভারত।

    “অস্ত্র” হল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান ভরসা রুশ-নির্মিত সুখোই সু-৩০ এমকেআই (Sukhoi Su-30 MKI) যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, বায়ুসেনার দেশীয় ‘তেজস’ (Tejas) এবং নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান ‘মিগ-২৯কে’ (MiG 29K) সজ্জিত হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে।

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময় পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত মার্কিন নির্মিত ‘এফ-১৬’ (F-16) যুদ্ধবিমানে সঙ্গে আসা ‘এআইএম-১২০’ (AIM-120) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের জন্য সরাসরি আক্রমণে যেতে পারেনি ভারত। কারণ, পাক বায়ুসেনার বিভিআর মিসাইলের নিশানায় চলে আসত ভারতীয় সুখোই বিমানগুলি। ভারত সেই সময় সিদ্ধান্ত নেয়, দ্রুত এই মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। 

    বর্তমানে ভারতের অস্ত্রাগারে রয়েছে ‘মিটিয়র’ (Meteor)-এর মতো যা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা BVRAAM। ফরাসি যুদ্ধবিমান ‘রাফাল’- এর সঙ্গে এসেছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। কিন্তু, এগুলির প্রতিটির দাম অনেক বেশি। তুলনায় ভারতে তৈরি ‘অস্ত্র’ মিসাইল অনেকটাই সস্তা। ডিআরডিও-র দাবি, পাক বায়ুসেনা ব্যবহৃত ‘এআইএম-১২০’ মিসাইলের সমতুল্য হচ্ছে ‘ASTRA Mk I’। 

    অন্যদিকে, গবেষণা চলা ‘ASTRA Mk II’ ও ‘অস্ত্র মার্ক III’ ভেরিয়েন্টগুলির পাকিস্তানের ব্যবহৃত মিসাইলের থেকে ঢের ভালো হবে এবং চিনা মিসাইলকে সমানে সমানে টক্কর দেবে। জানা গিয়েছে, এই দুই মিসাইলের পাল্লা হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩৫০ কিলোমিটার।

    আরও পড়ুন: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

  • IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    IAF Overtakes PLAAF: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনা বায়ুসেনাকে পিছনে ফেলল ভারত, পড়ুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে চিনের থেকে এগিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এখন চিনকে (China) বিমানযুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারবে ভারত (India)। WDMMA-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর স্থানে উঠে এল ভারত। এতদিন পর্যন্ত চিন ছিল এই স্থানে। ভারতের থেকে পিছিয়ে চার নম্বরে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে চিন। এখন ভারতের আগে শুধু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও রাশিয়া (Russia)।

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) সম্প্রতি ২০২২-এর গ্লোবাল এয়ার পাওয়ার র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ্যে এনেছে। World Air Power Index-এর সেই তালিকায়  তৃতীয় স্থান অধিকার করল ভারতীয় বায়ুসেনা আর চতুর্থ স্থানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স (PLAAF)। শুধু চিন নয়, প্রতিযোগিতার বিচারে একযোগে জাপান এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স, ইজরায়েলি এয়ার ফোর্স, ফ্রেঞ্চ এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। 

    ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA) ৯৮টি দেশের ১২৪টি এয়ার ফোর্সের দক্ষতা সম্পর্কে বিশেষ পর্যবেক্ষণ করে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার মধ্যে নৌসেনা, সেনা ও বায়ুসেনার মোট ৪৭,৮৪০টি যুদ্ধ বিমানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা খতিয়ে দেখা হয়েছে।  যুদ্ধবিমানগুলির দুর্বলতা কোথায় তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    প্রতিটি বিমানবাহিনীর True Value Rating-এর মধ্য দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রতিটি দেশের কতগুলি যুদ্ধবিমান আছে শুধু তা দেখা হয় না, বিমানগুলির আধুনিকীকরণ, লজিস্টিক সহায়তা, আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপরও জোর দেওয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে বিমানবাহিনীর সামরিক ক্ষমতা নিয়ে প্রকাশিত এই তালিকায় সেরকম কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    প্রথমে আমেরিকা, তার পর রাশিয়া ও তার পরেই চিন থাকে। ভারত ছিল চতুর্থ স্থানে। এবার চিনকে পিছনে ফেলে এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। চিনের প্রাপ্ত রেটিং ৬৩.৮, ভারতের রেটিং ৬৯.৪। আমেরিকা ও রাশিয়ার রেটিং যথাক্রমে ২৪২.৯ আর ১১৪.২। দেশের বায়ুসেনার এই সাফল্যে খুশি সেনা আধিকারিকেরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিমানবাহিনীর এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে। 

LinkedIn
Share