Blog

  • Punjab: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা, বরখাস্ত মন্ত্রিসভা থেকেও

    Punjab: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা, বরখাস্ত মন্ত্রিসভা থেকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের (Punjab) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা (Vijay Singla)। মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মাত্রই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Punjab CM Bhagwant Mann)।

    কংগ্রেসকে (congress) হঠিয়ে মাস দুয়েক আগে পাঞ্জাবের ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি (AAP)। ভোটের আগে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) পার্টি। কংগ্রেস শাসনকালে পাঞ্জাবে নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসছিল। স্বভাবতই দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মনে ধরে ভোটারদের। তার জেরেই বিপুল জনাদেশ নিয়ে পাঞ্জাবের তখ্তে বসে কেজরিওয়ালের দল। মুখমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান।

    মান মন্ত্রিসভার বয়স ১০ সপ্তাহের কাছাকাছি। এখনই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। কাঠগড়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা (vijay singla)। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মাত্রই তাঁকে বরখাস্ত করেন মান। সিংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এক শতাংশ কমিশন নিচ্ছিলেন তিনি। তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন শাখা। তার পরেই প্রথমে বরখাস্ত এবং তারই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় সিংলাকে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সিংলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রমাণ মেলার পরেই বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী[tw]



    [/tw]

    পঞ্জাবের কোনও নেতা, মন্ত্রী, আমলা বা যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে দেখলেই, তা ভিডিও করে বা প্রমাণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে দিলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি রুখতে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর রাজ্যের মানুষের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন মান।

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই মান জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুর্নীতি রুখতে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যেই কয়েকজন সরকারি কর্মচারীকে শাস্তিও দিয়েছেন। এবার শাস্তির খাঁড়া পড়ল তাঁরই মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর ঘাড়ে। মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মন্ত্রিসভার পাশাপাশি সরকারি কর্মীদেরও মান বার্তা দিলেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    মান সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে ট্যুইট করেছেন আপ নেতামন্ত্রীরা। দলের তরফে পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা ট্যুইট করে বলেন, আম আদমি পার্টিই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা অখণ্ডতা, সাহস এবং সৎ পথে চলার কথা শুধু মুখেই নয়, কাজেও করে দেখানোর ক্ষমতা ধরে। তাঁর সংযোজন, আমরা এটা দিল্লিতেও দেখেছি। এবার পাঞ্জাবেও একই ঘটনার সাক্ষী হলাম।

    প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁরই মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকে বরখাস্ত করলেন। ২০১৫ সালে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর এক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন কেজরিওয়াল স্বয়ং। এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইট কেজরিওয়াল লিখেছেন, ভগবন্ত তোমায় নিয়ে গর্বিত। তোমার কাজ আমার চোখে জল এনে দিয়েছে। আজ গোটা জাতি আপকে নিয়ে গর্ব অনুভব করবে।

     

  • Sara Ali Khan: লন্ডন যাপন সারার, সঙ্গে পরিবার

    Sara Ali Khan: লন্ডন যাপন সারার, সঙ্গে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরো বলিউড (Bollywood) পৌঁছে গিয়েছে লন্ডনে (London)। এর মধ্যে ব্যতিক্রম নন সারা-সইফ-করিনাও। তাঁরাও পৌঁছে গিয়েছেন ছুটি কাটাতে। সইফ কন্যা সারা আলি খান (Sara Ali Khan) গতকালই তাঁর বাবা ও ভাইদের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। দারুণ ফুরফুরে মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন তাঁরা। সারা, তাঁর বাবা ও ভাইদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

    তৈমুরের সঙ্গে সারার সম্পর্ক বেশ ভালোই। মাঝে মধ্যেই তাঁদের নানা পোস্ট দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। কিন্তু এবার তৈমুরকে নিয়ে নয়, তাঁদের সবচেয়ে ছোট ভাই জেহ খানের (Jeh Ali Khan) সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন সারা। এবার শুধু সারাই নেই তাঁর ভাই ইব্রাহিম আলিও (Ibrahim Ali) রয়েছেন সঙ্গে। সারা ছবির ক্যাপশনে ‘পাটৌদি’ (Pataudis) বংশের কথাও উল্লেখ করেছেন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CftkR2vo5YG/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    প্রথমে একটি ছবিতে দেখা যায়, করিনা ও সইফের পুত্র জেহ আলি খানের দিকে সারা ও তাঁর ভাই ইব্রাহিম। কোলে একরত্তিকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে জেহও তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করছেন। এই ছবিটি তোলা হয়েছে লন্ডনের গ্রোসভেনর স্কোয়ার (Grosvenor Square) পার্কে। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সারা ও ইব্রাহিম তাঁদের বাবা সইফের সঙ্গেও ছবি তুলেছেন। এর থেকেই বোঝা যায়, লন্ডনের ওই পার্কে বাবা ও তাঁর তিন ছেলে মেয়ে খোশমেজাজে সময় কাটাচ্ছিলেন। সইফের বোন সাবা পাটৌদিও (Saba Pataudi) তাঁর ইনস্টাগ্রামে তাঁদের ছবি শেয়ার করেছেন।

    সারা, ইব্রাহিম ও অন্যদিকে সইফ, করিনা বিগত কয়েকদিন ধরেই লন্ডনে রয়েছেন ও তাঁদের ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। সারা একদিকে ইব্রাহিমের সঙ্গে লন্ডনের রাস্তায় ছবি তুলে সেটি শেয়ার করেছেন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CfoE6q-orgw/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    অন্যদিকে লন্ডনে খোলা আকাশের নীচে এক ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটাচ্ছিলেন করিনা-জেহ। আকাশে রামধনু উঠেছে। ছেলে জেহকে কোলে নিয়ে রামধনুর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তিনি।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CfgXx-lIYr_/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta] 

     

  • Whatsapp Emoji Reaction: মেসেজ রিঅ্যাকশন ফিচার নিয়ে হাজির হোয়াটসঅ্যাপ, ভারতীয়দের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন

    Whatsapp Emoji Reaction: মেসেজ রিঅ্যাকশন ফিচার নিয়ে হাজির হোয়াটসঅ্যাপ, ভারতীয়দের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেসেজের জন্যে ইমোজি রিঅ্যাকশন (Emoji Reaction) ফিচার আনার কথা গত মাসেই ঘোষণা করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে হাজির এই মেসেজিং অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এবার সেই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ  মাধ্যমের খবর অনুসারে, ফেসবুকের রিঅ্যাকশন ফিচারের মতোই হবে হোয়াটসঅ্যাপের ফিচারটি। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষন চেপে ধরে থাকলেই চলে আসবে ইমোজির অপশন। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া যাবে পছন্দের ইমোজি।   

    এই মুহূর্তে, ব্যবহারকারীদের জন্যে ছটি ইমোজি আনছে মেটা কর্তৃপক্ষ। তবে ভবিষ্যতে আরও ইমোজি যোগ করার পরিকল্পনা আছে তাদের।  

    আরও পড়ুনঃ এবার হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসেও ইমোজি দিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা

    মেসেজ রিঅ্যাকশন ফিচারটি ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণে কিছু জায়গায় উপলব্ধ হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে এই ফিচার পৌঁছতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

    এখন বড় ফাইলও পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে। আগে ১০০ এমবি পর্যন্ত ফাইল শেয়ার করা যেত। এখন তা করা যাবে ২ জিবি পর্যন্ত। 

    হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে একটি গ্রুপে ২৫৬ জনকে যোগ করা যেত। এখন ৫১২ জন থাকতে পারবেন একটি গ্রুপে। কিন্তু তার জন্যে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে ব্যবহারকারীদের।  

     

  • Santhal Rebellion: আজ হুল দিবস! সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা আজকের দিনেই, জানুন এর তাৎপর্য

    Santhal Rebellion: আজ হুল দিবস! সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা আজকের দিনেই, জানুন এর তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন হল সাঁওতাল বিদ্রোহ। সিপাহী বিদ্রোহের ঠিক দুবছর আগে এই আন্দোলন দানা বাঁধে। ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী, অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর মহাজনদের শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য গড়ে তোলাই ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য । নিজেদের স্বাধিকার ছিনিয়ে নিতে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন সিধু ও কানুর নেতৃত্বে ভাগনাদিহির মাঠে সমবেত হন হাজার হাজার সাঁওতাল ভাই-বোনেরা। এরপর কলকাতা অভিমুখে গণযাত্রা শুরু করেন তাঁরা। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য সেই প্রথম মিছিল বা গণযাত্রার সূচনা হয়। তাই এই দিনটিকে স্মরণ করে  প্রতিবছর ৩০ জুন পালিত হয় হুল দিবস। 

    হুল দিবস (Hool Divas) ওরফে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন।  ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল-এর সূচনা হয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সিধু (সিধো) ও কানু (কানহু)। ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে একই পরিবারের ৬ ভাইবোন সিধু-কানু-বিরসা-চাঁদ-ভৈরব এবং দুই বোন ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মুর সংগঠিত আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসেই বিরল।

    আরও পড়ুন: বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকও, জন্মবার্ষিকীতে আশুতোষ-স্মরণ

    ইংরেজ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ ও নিপীড়ন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আন্দোলনের সূচনা। স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে সাঁওতালরা। কিন্তু বিশ্বাস ভঙ্গ করেন কয়েকজন। ব্যক্তিস্বার্থে ভেসে গিয়ে ইংরেজদের ফাঁদে পা দেন কয়েকজন সাঁওতাল। ব্যার্থ হয় বিপ্লব। ব্রিটিশের হাতে গ্রেফতার হন সিধু। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়া বটবৃক্ষে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয় কানুকে। ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।”

    ব্যর্থ হলেও পরোক্ষে সাঁওতাল বিদ্রোহই সিপাহী বিদ্রোহের ভিত গড়ে দেয়। নীপিড়িত মানুষ বুঝতে পারে লড়াই করে বড় শক্তিকেও নাড়িয়ে দেওয়া যায়। অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না, ছিনিয়ে নিতে হয়। 

  • Droupadi Murmu: এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    Droupadi Murmu: এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আলোর মুখ দেখবে ওড়িশার (Odisha) ময়ূরভঞ্জ জেলার উপরবেদা গ্রাম! আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Elections) এনডিএ (National Democratic Alliance) প্রার্থী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। এবার বিদ্যুৎ সংযোগ আসতে চলেছে তাঁর আদি বাড়ির গ্রাম উপারবেদায় (Uparbeda)। 

    ওড়িশা সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানাচ্ছিলেন। সেই কারণেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মু অবশ্য এখন ওই গ্রামে থাকেন না। কয়েক দশক আগেই কুসুম ব্লকের অন্তর্গত উপরবেদা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে পৌর শহর রায়রংপুরে চলে এসেছেন দ্রৌপদী।

    আরও পড়ুন: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    জানা গিয়েছে, উপারবেদা গ্রামের দু’টি ভাগ রয়েছে, বাদশাহি ও ডুঙুরশাহি। এখানে তিন হাজার ৫০০ জন মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে বাদশাহিতে বিদ্যুৎ থাকলেও, অন্ধকারে ডুবে থাকে ডুঙুরশাহি । প্রায় ১৪টি বাড়িতে আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। গ্রামের এই এলাকাতেই থাকেন দ্রৌপদী মুর্মুর ভাইপো বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। বিরাঞ্চি বলেছেন, “বহুদিন ধরেই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউই আমাদের কথা শোনেনি।” তবে তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রৌপদীর নাম ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেননি তাঁরা। তিনি আরও জানান, দ্রৌপদী উৎসবের সময় গ্রামে বেড়াতে গেলেও তাঁরা বিষয়টি তাঁর নজরে আনেননি।

    ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি বলে জানান গ্রামবাসীরা। কেরোসিন দিয়েই বাড়িতে আলো জ্বালানো হয় বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে সম্প্রতি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবারই রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকার সব বাড়িতেই সংযোগ দিয়ে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক থেকে প্রশাসনিক— একনজরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন

    টাটা পাওয়ার নর্থ ওড়িশা ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (TPNODL) তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ময়ূরভঞ্জ এলাকা থেকে অনুমতি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী একদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। সকলের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।” উপারবেদা গ্রামটি জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত, তাই বিদ্যুৎ পৌঁছতে সমস্যা হয়েছে, বলে জানান ওই আধিকারিক।

  • Tapan Kumar Deka: দুঁদে আইপিএসদের টপকে তপন ডেকা কী করে পৌঁছলেন আইবি প্রধানের সিংহাসনে?

    Tapan Kumar Deka: দুঁদে আইপিএসদের টপকে তপন ডেকা কী করে পৌঁছলেন আইবি প্রধানের সিংহাসনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau) প্রধানের  পদে শুক্রবার আইপিএস অফিসার তপন কুমার ডেকাকে (Tapan Kumar Deka) নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র। এর আগে এই পদের দায়িত্বে ছিলেন, অরবিন্দ কুমার। জুনের ৩০ তারিখ তাঁর পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তপন ডেকা এর আগে আইবি-র (IB) অপারেশন ডেস্কের প্রধানের পদ সামলেছেন। এবার তিনি প্রধানের ভূমিকায়। কিন্তু কেন তপন কুমার ডেকাকেই পছন্দ হল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের? 

    এই পদের দৌড়ে ছিলেন আরও তিনজন সিনিয়র আইপিএস। কিন্তু এই বর্ষীয়ান আইপিএসদের টপকে প্রধানের মুকুট পরেছেন তপন কুমার ডেকা। কারণ অমিত শাহের মন্ত্রক অভিজ্ঞতার থেকে মেধাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাই শেষ হাসি হেসেছেন তপন কুমার ডেকা। আগামী ৩০ জুন থেকে দুবছরের জন্য তিনি ওই পদে থাকবেন।

    আরও পড়ুন: আইবি প্রধানের পদে আইপিএস তপন কুমার ডেকাকে নিয়োগ কেন্দ্রের

    ডেকা হিমাচল প্রদেশ ক্যাডারের ১৯৮৮ সালের ব্যাচ। এর আগে তিনি আইবির স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি আইবির অপারেশন উইংকে পরিচালনা করেছেন।   

    ১৯৬৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামে জন্ম হয় তপন কুমার ডেকার। পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি আইপিএস হন। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান এই আইপিএস। পুলিশ সার্ভিসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি গোয়েন্দা বিভাগের পদস্থ কর্তার দায়িত্ব সামলেছেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি আইবিতে রয়েছেন।  

    ২৬/১১ হামলার তদন্তেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১৩ সালে মুজাহিদিনের বাড়বাড়ন্ত হয়। তারপর ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন এই দুঁদে গোয়েন্দা কর্তা। জঙ্গি মোকাবিলায় তিনি বার বার সাফল্য পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    ইসলাম বিচ্ছিন্নতাবাদের যখন বাড়বাড়ন্ত দেশে, তখন এই আইপিএসের ওপরেই ভরসা রাখছে প্রতিরক্ষা দফতর। কারন ২০ বছর খুব কাছ থেকে এই বিষয়টিকে দেখেছেন তিনি। বহু আতঙ্কবাদী নিকেশ হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে।  

    কথা কম, কাজ বেশি। এই আদর্শে বিশ্বাসী তপন কুমার ডেকা। শুধু পর্যালোচনাতেই সীমাবদ্ধ নন, প্রতিক্রিয়ামূলক তদন্তই তাঁর কাজের ধরন। তাই তাঁর নেতৃত্বে ভরসা রাখছে পুরো ডিপার্ট্মেন্ট। 

     

  • Twitter: ক্ষমতা হস্তান্তর হলেই পরাগকে ট্যুইটার সিইও-র পদ থেকে সরাবেন ইলন মাস্ক, দাবি

    Twitter: ক্ষমতা হস্তান্তর হলেই পরাগকে ট্যুইটার সিইও-র পদ থেকে সরাবেন ইলন মাস্ক, দাবি

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ৪৪০ কোটি মার্কিন ডলারে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কিনেছেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই ট্যুইটারের বর্তমান মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (CEO) পরাগ আগরওয়ালকে (Parag Agarwal) সরিয়ে দেওয়া হবে তাঁর পদ থেকে। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম। সেই পদে আনা হবে নতুন কাউকে।  যদিও কাকে সেই পদে আনা হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।  তবে, সূত্রের খবর, পদে কাকে বসানো হবে, তা ইতিমধ্য়েই বাছাই করে ফেলেছেন টেসলা-কর্তা।

    ট্যুইটারের কর্ণধার ব্রেট ট্রেলরকে (Bret Taylor) গতমাসে মাস্ক বলেছিলেন যে, সংস্থার বর্তমান ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থা নেই তাঁর। ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোরসে পদত্যাগ করায় গত নভেম্বরেই সিইও-র পদে বসেন পরাগ আগরওয়াল। ট্যুইটারের বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। এক আন্তর্জাতিক রিসার্চ ফার্মের মতে, ক্ষমতা হস্তান্তরের ১২ মাসের মধ্যে পরাগকে পদচ্যুত করা হলে তিনি কোম্পানির তরফ থেকে ৪.২ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন।   
     
    যদিও কোম্পানিতে নিজের অবস্থানের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী পরাগ আগরওয়াল। 

    [tw]


    [/tw]

     

    [tw]


    [/tw]

    কীভাবে এই বিশাল কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তর হবে, শুক্রবার একটি বৈঠকে এই বিষয়ে চিন্তিত কর্মচারীরা ক্ষোভপ্রকাশ করলে তা প্রশমিত করার চেষ্টা করেন বর্তমান সিইও। মাস্ক বারবার ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের নীতি নির্ধারণের শিথিলতার দিকে আঙুল তোলায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ভবিষ্যতেও একইভাবে কর্মচারীদের সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল রাখবে কোম্পানি। কিন্তু  একইসঙ্গে এত কর্মচারীর হস্তান্তর কীভাবে হবে সে বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, সম্পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে কর্মী ছাটাইয়ের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না ইলন মাস্ক। 

    পরাগকে এক কর্মচারী জিজ্ঞেস করেন, “ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বহু মানুষ কাজ হারাবেন। এ বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন?” পরাগের উত্তর, এর আগেও টুইটার তার কর্মচারীদের খেয়াল রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে। তিনি আরও বলেন, “আমার কথা ভাবার প্রয়োজন নেই। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও ট্যুইটার সংস্থা বিশ্ব এবং গ্রাহকদের প্রতি আগের মতোই যত্নশীল থাকবে।”

    মিটিং চলাকালীন পরাগ কর্মীদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের নিয়মে আনা বদলগুলি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিগত বছরগুলিতে ট্যুইটার চাইলে আরও ভাল কাজ করতে পারত সে কথাও মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় ভাবি। চাইলেই আমরা আরও অন্যরকম এবং উন্নত মানের কাজ করতে পারতাম।”

     

  • Hanskhali: ছেলের কুকীর্তির কথা জানতেন সমরেন্দ্র! হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা

    Hanskhali: ছেলের কুকীর্তির কথা জানতেন সমরেন্দ্র! হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে (Hanskhali Rape) সিবিআই হেফাজতে (CBI custody) মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালি। একইসঙ্গে সিবিআই হেফাজতে করা হয় তৃণমূল নেতার বন্ধু তাঁর পীযূষ ভক্ত। 

    মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সমরেন্দ্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। সকাল ১১টা থেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সঙ্গে গ্রেফাতর করা হয় সমরেন্দ্রর বন্ধু পীযূষ ভক্তকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, যড়যন্ত্র ও নাবালিকার পরিবারকে হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগে আনা হয়।  

    গণধর্ষণের রাত থেকেই বেপাত্তা ছিলেন তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গয়ালি ৷  অবশেষে তাঁর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। নদীয়ার বগুলায় গা ঢাকা দিয়ে বসেছিলেন তিনি। সিবিআই আধিকারিকরা তলব করে সমরেন্দ্রকে। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্রর ছেলে ব্রজগোপাল ও তার বন্ধু প্রভাকর পোদ্দার। ব্রজগোপাল ও প্রভাকর আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে।

    তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্য়েই জানতে পেরেছে, ধর্ষণ করার আগে হাঁসখালির নাবালিকাকে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। এমনকি গাঁজাও খাওয়ানো হয়েছিল মেয়েটিকে। মাদকাসক্ত অবস্থাতেই তাকে নির্যাতন চালায় ব্রজ এবং তার বন্ধুরা। শনিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। তাঁদের সেই আবেদন মেনে সমরেন্দ্র গয়ালিকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত দেন বিচারক। 

    এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, ছেলের কীর্তির কথা সব জানতেন সমরবাবু। নির্যাতিতার পরিবারকে ধমকানোর জন্য লোক জোগাড় করেছিলেন তিনিই। শুনানিতে সিবিআই আইনজীবী বলেন, ৪ মার্চ রাতে বাড়িতে কী হয়েছে তা সব জানতেন মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালি। ফোনে তিনি ছেলেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকী নির্যাতিতার পরিবারকে ধমকানোর জন্য লোক জোগাড় করেছিলেন তিনিই। মৃত্যুর পর নির্যাতিতার দেহ দ্রুত সৎকারের ব্যবস্থাও হয়েছিল তাঁরই উদ্যোগে। এমনকী সেজন্য নিজের রাজনৈতিক প্রভাবও ব্যবহার করেছিলেন সমরেন্দ্র গয়ালি।

    সিবিআইয়ের দাবি, সমরেন্দ্র গয়ালি এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর ভয়েই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি তার পরিবার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সেগুলিও ধামাচাপা দিয়েছেন তিনি।

     

  • Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে সপ্তাহান্তে স্বস্তির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আগামী ১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

    গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে। উত্তরবঙ্গ ভিজলেও গোটা এপ্রিল মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়নি। উল্টে তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বেড়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। 

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ফলে সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। এই জলীয়বাষ্প ঝাড়খণ্ড, বিহারের ছোটনাগপুর এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করছে। আর তার প্রভাবেই বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার রাজ্যে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। কিন্তু, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।  সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তাতে অস্বস্তি কমবে।
     
    রবিবার থেকে রাজ্যে হতে পারে কালবৈশাখী। আর তা চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। রবি থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও। হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওই ক’দিন তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।  

    পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।  দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরেও।

  • R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনো  ইসরোর(ISRO) বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়নের (Nambi Narayan) নাম শুনেছেন, যাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল?‌ আপনি না জেনে থাকলেও এবার জানতে পারবেন কারণ বলিউড অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan) তাঁরই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কারণ আর মাধবন ‘‌রকেট্রি:‌ দ্য নাম্বি এফেক্ট’ (Rocketry: The Nambi Effect) ‌-এর  মাধ্যমে নাম্বি নারায়নের জীবনকাহিনী তুলে ধরবেন। মাধবন এই ছবির মাধ্যমেই তাঁর পরিচালনার প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছেন ও এই সিনেমায় প্রধান অভিনেতাও তিনি। পরিচালনা ও অভিনয় ছাড়াও তিনি সিনেমার গল্প ও গান লিখেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সিনেমার জন্য মাধবন কী কী করেছেন। মাধবন এক সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নাম্বি নারায়ণ  গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি এই সিনেমায় নাম্বি নারায়ণের মত লুকস আনার জন্যে নিজের চোয়াল পর্যন্ত ভাঙতে রাজি হয়েছেন। মাধবনের দাঁতও যাতে  নাম্বি নারায়ণের মত দেখতে হয় তার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন। তাঁর এটি করতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর লেগেছে। তবে আর মাধবনের এটিই প্রথম ও শেষ পরিচালনা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসাবেই দেখতে চান। 

    আরও পড়ুন: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    তিনি আরও জানিয়েছেন যে  এই সিনেমা পরিচালনার জন্য অন্য পরিচালক ছিল। কিন্তু সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার এক মাস আগে পরিচালক এই সিনেমা পরিচালনা করতে না পারায়, শেষপর্যন্ত তাঁকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। এবং এই সিনেমাটি করে তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে তিনি ছবিতে নাম্বির জীবনকাহিনী কে ঠিক পথেই তুলে ধরতে পেরেছেন। তিনি কখনোই নিজেকে পরিচালক পদের জন্য যোগ্য, এই বিষয়টি প্রমাণ করতে চাননি। প্রথম থেকেই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নাম্বি নারায়ণের জীবনের গল্পকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরা।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমাটি। হিন্দির পাশাপাশি তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষাতেও দেখা যাবে ছবিটি। 

LinkedIn
Share