Blog

  • Visas for Afghan students: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    Visas for Afghan students: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পড়াশোনা করতে আফগানিস্তানের ছাত্রদের ভিসা পুনরায় দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাবে তালিবান। আফগান ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের এই আশ্বাস দিয়েছেন আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ছাত্রদের তিনি আশ্বাস দেন তাঁরা শীঘ্রই ভারতে এসে নিজেদের পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। এ বিষয়ে দ্রুত ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলবে তালিবান,  জানিয়েছেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। 
     
    বর্তমানে ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৩ হাজার আফগান ছাত্র পড়াশোনা করে। করোনার কারণে ভারত থেকে তাদের মধ্যে ২ হাজার জন আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যায়। তালিবানরা দেশ দখল করে। ফলে ভারত সরকার আফগান ছাত্রদের ভিসা দিতে অস্বীকার করে। করোনার সময় ক্লাস চলছিল অনলাইনে। তাই অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন আর পরিস্থিতি আগের মতো নেই। তাই,অফলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন ক্লাস হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছে আফগান ছাত্ররা।

    আরও পড়ুন: দলাই লামাকে মোদির ফোন! জন্মদিনে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর দীর্ঘায়ু কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোভিডের পর ভারত সরকারের তরফ থেকে ই-ভিসার কথা ঘোষণা করা হলে বহু আফগান পডুয়া আবেদন জানায়। আজ প্রায় সাত মাস হল, ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দিচ্ছে না বলে দাবি আফগান ছাত্রদের। ই-ভিসা দিতে দেরি করায় কয়েকদিন আগে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখায় শতাধিক পড়ুয়া। তাদের সকলের হাতেই ছিল পোস্টার। ছাত্রদের দাবি,পড়াশোনার সঙ্গে রাজনীতি করা উচিত নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। সংখ্যাগরিষ্ঠ পড়ুয়ার মতে, আফগানিস্তানে যেহেতু শাসন ক্ষমতায় বদল ঘটেছে, সে কারণে ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দিতে দেরি করছে। 

    আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    গত আট মাস ধরে কয়েক হাজার আফগান পড়ুয়া ভারতে আসতে পারছেন না। তাই এই বিষয়ে তালিবান সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন ছাত্ররা।  বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানান, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। তাঁদের শিক্ষার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে শীঘ্র কথা বলা হবে। 

  • Shaadi.com: বিয়ের বাজারে সবথেকে বেশি চাহিদা কোন পাত্রের জানেন? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Shaadi.com: বিয়ের বাজারে সবথেকে বেশি চাহিদা কোন পাত্রের জানেন? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএএস, আইপিএস নয়, শাদি ডট কমে (Shaadi.com) সবথেকে বেশি ব্যবহৃত ‘কি ওয়ার্ড’ কী জানেন? স্টার্টআপ ফাউন্ডার। নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন এমন মানুষদেরই নাকি এখন বিয়ের বাজারে দর সবথেকে বেশি। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। 

    ডিজিটাল ইডিয়া সপ্তাহের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে তিনি জানতে পেরেছেন শাদি ডট কমে সবথেকে বেশি স্টার্টআপ ব্যবসায়ী পাত্রদের খোঁজ চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “খুব বিশ্বস্ত এক জায়গা থেকে জানতে পেরেছি শাদি ডট কমে আইপিএস, আইএএস, টাটা-বিড়লায় চাকুরে নয়, খোঁজা হচ্ছে স্টার্টআপ কোম্পানির মালিকদের (Startup Founder)।”

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    যদিও মন্ত্রী মজা করেছেন না, সত্যিই এই কথা বলেছেন তা জানা যায়নি।

    [tw]


     [/tw]

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi ) গুজরাটের গান্ধীনগরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহ ২০২২ (Digital India Week 2022)- এর সূচনা করেছেন। এর মূল ভাবনা ভারতের কারিগরি কৌশলকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। এই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগের সূচনা করেন। প্রযুক্তির সহজ লভ্যতা ও সহজে পরিষেবা প্রদান করে জীবনযাত্রার মান সহজ করতে এবং স্টার্টআপগুলিকে উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগগুলি চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীরা, স্টার্টআপ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং মন্ত্রী পল স্কালির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজীব চন্দ্রশেখর। এই সাক্ষাৎ পর্বে মূলত নতুন ভারতের স্টার্টআপস এবং ব্যবাসায়িক উদ্যোগে নতুন নতুন যে ভাবনা-চিন্তার আমদানি হয়েছে এবং তার জেরে যে সাফল্য এসেছে সে বিষয়ে কথা হয়। এছাড়াও স্টার্টআপ-এর এই যুগে কীভাবে প্রযুক্তি একটা নির্ভরযোগ্য ও দিশা বদলে দেওয়ার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে তাও তুলে ধরা হয় এই আলোচনায়।     

     

  • China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা ছিল প্রজেক্ট হবে ১৫টি। খরচ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (China Pakistan Economic corridor) মোট ১৫টি প্রজেক্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩টি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার।

    ২০১৩ সালে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ৪৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরির চুক্তি চূড়ান্ত করে। পরে বিনিয়োগ আরও বাড়ে। শেষ হয় চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর (Gwadar) পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। করিডর বরাবর পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে। শেষ হয়েছে আরও দুটি প্রকল্প। তবে বাকি ১২টি প্রকল্পের কাজ বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টও। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার। তবে কাজ ঠিকঠাক গতিতেই এগোচ্ছে বলে দাবি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।

    কথা ছিল, প্রজেক্টের ৯০ শতাংশ টাকাই খরচ করবে ড্রাগনের দেশ। বাকি টাকা দেবে পাক সরকার। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিনের আগ্রহের তালিকায় থাকা ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলির কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। এই অর্থনৈতিক করিডরের একাংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের ওই প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাক সরকার।

    প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাক ব্যবসায়ীদের তরফেও। জানা গিয়েছে, করিডর বেয়ে হু হু করে পাকিস্তানে ঢুকছে সস্তার চিনা পণ্য। আর পাকিস্তানের পণ্য চিনে ঢুকছে অত্যন্ত কম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক ব্যবসায়ীরা। করিডর অথরিটিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় সংস্থা। যে কেবল দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

     

  • Professor: করোনাকালে ক্লাস হয়নি, বিবেকের তাড়নায় মাইনে ফেরালেন অধ্যাপক

    Professor: করোনাকালে ক্লাস হয়নি, বিবেকের তাড়নায় মাইনে ফেরালেন অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেত্রিশ মাস না পড়ানোর যন্ত্রণা! বেতনের (Salary) ২৪ লাখ ফেরালেন অধ্যাপক (Professor)। বললেন, যে পরিশ্রম করিনি, তার পারিশ্রমিক নেব কেন?

    করোনা (Corona) অতিমারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে বন্ধ ছিল শিক্ষাদান পর্ব। কোথাও কোথাও হাতে গোণা কিছু দিনের জন্য অনলাইনে ক্লাস হয়েছে ঠিকই, তবে তা নাম-কা-ওয়াস্তে। কোথাও স্মার্ট ফোনের অভাবে ক্লাস করতে পারেনি পড়ুয়া, কোথাও আবার অনলাইনে ক্লাস করাতে অনীহা খোদ শিক্ষকেরই! ক্লাস না হওয়ায় পড়ুয়াদের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। অথচ নিয়মিত মাইনে পেয়েছেন শিক্ষকরা। হ্যাঁ, অবসর যাপন করেই!

    আরও পড়ুন : পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

     ডক্টর লালন কুমার। বিহারের মুজফফরপুরের নীতিশ্বর কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। বিবেকের তাড়নায় কলেজের রেজিস্ট্রারের হাতে তুলে দিয়েছেন নিজের ২ বছর ৯ মাসের বেতন বাবদ পাওয়া প্রায় ২৪ লাখ টাকা। ওই অধ্যাপক বলেন, দু বছর ন মাস ধরে আমি ক্লাস করিনি। পড়ুয়াদের ক্লাস নিইনি। তাই বেতন নিতে পারব না। সেইজন্যই কলেজকে ফিরিয়ে দিয়েছি বেতন বাবদ পাওয়া ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের গল্প এখন ফিরছে লোকের মুখে মুখে।

    আরও পড়ুন : ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    কাজ না করেই যেখানে মাইনে তোলা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে একশ্রেণির শিক্ষকের, সেখানে এই শিক্ষকের বিবেকের তাড়না দেখে অভিভূত নেটিজেনরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান সমাজে এমন ঘটনা বিরলতম। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক যখন কলেজের রেজিস্ট্রারকে টাকা ফেরত দিতে গিয়েছেন, তখন তিনি প্রথমে রাজি হননি চেক নিতে। শেষমেশ অধ্যাপকের জোরাজুরিতে চেক নেন তিনি। 

    কলেজের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই অধ্যাপক। বলেন, কলেজে নিয়োগের পর থেকে এখানে পড়াশোনার পরিবেশ আমি দেখিনি। হিন্দি বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা ১১০০। অথচ তাদের উপস্থিতি শূন্য। করোনা অতিমারির সময় অনলাইন ক্লাস চালু হলেও, পড়ুয়ারা তাতে অংশ নেয়নি। বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসনকেও জানিয়েছিলেন।

    শাস্ত্রে বলে, বিদ্যা বিনয়ং দদাতি। সেই বিনয়ের বেনজির দৃষ্টান্ত গড়লেন বিহারের লালন কুমার! মাস্টারমশাই হয়ে বেতের আঘাত করলেন সমাজের বিবেকে! 

  • Amit Shah: উপত্যকা সন্ত্রাসমুক্ত করুন, পুলিশ-সেনা কাজ করুক একসঙ্গে, নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Amit Shah: উপত্যকা সন্ত্রাসমুক্ত করুন, পুলিশ-সেনা কাজ করুক একসঙ্গে, নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সন্ত্রাস দমনে সেনাকে আরও কঠোর মনোভাব নেওয়ার কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। উপত্যকার শান্ত পরিবেশকে যারা নষ্ট করছে তাদের যে কোনও মূল্যে শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অমিত। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবার তিনটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  সন্ত্রাসবাদী এবং যারা তাদের আশ্রয় দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক বা অন্য কোনও ধরনের সহায়তা দেয় তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।” এর জন্য সেনাকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) লক্ষ্য পূরণ করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিরাপত্তা গ্রিড শক্তিশালী করতে হবে, যাতে সীমান্তের ওপার থেকে একজন সন্ত্রাসবাদীও অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং যারা রাজ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের দমন করা যায়।”

    আসন্ন অমরনাথ যাত্রা নিয়েও এদিন আলোচনা  করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একাধিক ঝুঁকি সত্ত্বেও অমরনাথ যাত্রা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে তৎপর মোদি সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথম অমরনাথ যাত্রায় যাবেন তীর্থযাত্রীরা (Amarnath pilgrimage)। তাই তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন কেন্দ্র। অমরনাথ যাত্রায় যাওয়া তীর্থযাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বীমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে তীর্থযাত্রীদের দেওয়া হবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) ট্যাগ। এর আগে শুধুমাত্র যানবাহনেই এই ধরনের ট্যাগ লাগানো হতো।

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া অমরনাথ যাত্রা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব অরবিন্দ মেহতার সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন  অমিত। এদিন তিনটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের মধ্যে দু’টি ছিল অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তৃতীয় বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত কয়েক মাসে জম্মু কাশ্মীরের অমুসলিম নাগরিকদের পাশাপাশি ভিনরাজ্যের অনেককেও নিশানা করেছে জঙ্গিরা। সেই বিষয়টি নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা করেছেন শাহ।

    [tw]


    [/tw]

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রথম প্রত্যেক অমরনাথ যাত্রীকে একটি RIFD কার্ড দেওয়া হবে। প্রত্যেকের ৫ লক্ষ টাকার বীমা করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বলেছেন, অমরনাথ যাত্রা পথে তাঁবু, ওয়াইফাই হটস্পট এবং যথাযথ আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এরই পাশাপাশি অনলাইনে বাবা বরফানির দর্শন,পবিত্র অমরনাথ গুহায় আরতির সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বেস ক্যাম্পে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, যেভাবে অমিত শাহ অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার বন্দোবস্ত করাটা মোদি সরকার অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন শাহ। তিনি নিজেও নিয়মিতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। 

    করোনার জেরে দু’বছর অমরনাথ যাত্রা বন্ধ ছিল। সেই কারণেই এবার অমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তীর্থযাত্রীদের একদল পহেলগাঁও ও আর এক দল বালতাল হয়ে অমরনাথ যাবে। অমরনাথ যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১২ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি কয়েকহাজার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।জম্মু কাশ্মীরের পৃথক রাজ্যের মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর এবারই প্রথম অমরনাথ যাত্রা শুরু হতে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে উপত্যকার বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এর মধ্যে এক কাশ্মীরী পণ্ডিতকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও রয়েছে। এবার তাই সব দিক থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে কেন্দ্র।

     

  • PPE kit row: সিসোদিয়া-বিশ্বশর্মা সংঘাত, মণীশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হিমন্তের

    PPE kit row: সিসোদিয়া-বিশ্বশর্মা সংঘাত, মণীশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাবধান করেছিলেন আগেই। এবার পিপিই কিট (PPE kit row ) ইস্যুতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধ্ব মানহানির মামলা করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা (Defamation Case) করলেন আসামের  মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ২০২০ সালে করোনাকালে আসামের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আছে, এমন সংস্থাকে পিপিই কিটের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন, এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছিলেন মণীশ সিসোদিয়া। 

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    এই অভিযোগকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এর আগেই মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া শর্মা। 

    আরও পড়ুন: মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    এক সংবাদমাধ্যমের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী  হিমন্ত বিশ্বশর্মা ওই সংস্থাকে বাজারের চলতি দামের অনেক বেশি টাকায় পিপিই কিট এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। সঠিক টেন্ডার প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা হয়নি। 

    আপ নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন, আসাম সরকার  একটি সংস্থা থেকে ৬০০ টাকায় পিপিই কিট কিনছিল। কিন্তু হিন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী এবং ছেলের ব্যবসায়িক অংশীদারদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলিকে প্রতিটি পিপিই  কিটের জন্য ৯৯০ টাকা দেওয়া হয়। সিসোদিয়া অভিযোগ করেন, “বিজেপির রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা বলেন, কিন্তু আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তারা এই পিপিই কিট মামলায় তাঁরা হিমন্ত বিশ্বশর্মার দুর্নীতি খতিয়ে দেখবেন কি?”   

    এই অভিযোগের পরপরই সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন হিমন্ত। হিমন্তের দাবি, ওই সংস্থা পিপিই কিটগুলি দান করেছিল, একটি টাকাও নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “গোটা দেশ যখন মহামারীর কবলে, পিপিই কিটের ব্যাপক অভাব দেখা দেয়, আমার স্ত্রী সেই সময় সাহস করে এগিয়ে এসেছিলেন এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর তাগিদে আসাম সরকারকে প্রায় ১৫০০ কিট বিনামূল্যে দান করেছিলেন।”

    সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় জৈনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

     

     

     

  • Rahul Gandhi: “আপনার নীতি ভুলে ভরা, ধ্বংসাত্মক…”, কেমব্রিজে রাহুলকে তোপ ভারতীয় অফিসারের

    Rahul Gandhi: “আপনার নীতি ভুলে ভরা, ধ্বংসাত্মক…”, কেমব্রিজে রাহুলকে তোপ ভারতীয় অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ‘ইউনিয়ন অফ স্টেট’ তত্ত্বকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করালেন ভারতের এক সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাকে দেশাত্মবোধের পাঠ পড়ালেন তিনি। ওই ভারতীয় সিভিল সার্ভেন্ট আধিকারিকের নাম সিদ্ধার্থ বর্মা।  তিনি IRTS অ্যাসোসিয়েশনের একজন সিভিল সার্ভেন্ট এবং কেমব্রিজে পাবলিক পলিসির একজন স্কলার।

    সাম্প্রতিককালে নানা অনুষ্ঠানে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেট’ তত্ত্ব খাড়া করছেন রাহুল। যা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও বিতর্ক অব্যাহত। রাহুলের বক্তব্য, ভারত কোনও দেশ নয়, বরং এটি রাজ্যের সমষ্টি। সংসদে দাঁড়িয়েও এই কথা বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি লন্ডনে একটি কনক্লেভে একই মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই এক কেমব্রিজ স্কলার পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাহুলের দিকে। সেই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে চাণক্যের উদাহরণ তুলে ধরেন রাহুল। 

    রাহুলকে সিদ্ধার্থের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মনে হয় না, ভারত সম্পর্কে আপনি যে ধারণা পোষণ করেন তা ভুল?’ রাহুলকে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘আপনি সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন যে ভারত রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন। আপনি যদি পৃষ্ঠাটি উলটে নিয়ে প্রস্তাবনাটি পড়েন তবে তাতে দেখবেন ভারতকে একটি জাতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত নিজেই বিশ্বের প্রাচীনতম টিকে থাকা সভ্যতাগুলির মধ্যে একটি। এবং এই শব্দটি বেদেও রয়েছে… এমনকি চাণক্য তক্ষশিলায় শিক্ষাদানের সময় তাঁর ছাত্রদের কাছে ভারতকে একটি জাতি হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।’

    [tw]


    [/tw]

    এই যুক্তির জবাবে রাহুল বলেন, ‘চাণক্য ভারতকে জাতি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, তবে দেশ হিসেবে কি উল্লেখ করেছিলেন?’ এর জবাবে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘চাণক্য রাষ্ট্র শব্দটির প্রয়োগ করেছিলেন। যার অর্থ দেশ।’ যদিও রাহুল নিজের বক্তব্যকে সঠিক প্রমাণ করার মরিয়া প্রচেষ্টায় দাবি করেন, ‘রাষ্ট্র মানে রাজ্য (kingdom), দেশ নয়।’ 

    এর উত্তরে সিদ্ধার্থ রাহুলকে বলেন, ‘আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে, আপনি কি মনে করেন না যে ভারত সম্পর্কে আপনার ধারণাটি কেবল ত্রুটিপূর্ণ এবং ভুলই নয় বরং ধ্বংসাত্মকও বটে। কারণ এটি হাজার বছরের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার করার চেষ্টা করছে?’এ বিষয়ে আর কোনও উত্তর দেননি রাহুল।

  • Indian Air Force: ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মাঝ আকাশে জ্বালানি দিল আমিরশাহীর রিফুয়েলার

    Indian Air Force: ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মাঝ আকাশে জ্বালানি দিল আমিরশাহীর রিফুয়েলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত(India) ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (United Arab Emirates) মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান। এর মাধ্যমে দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে। সম্প্রতি, আরব আমিরশাহীর সঙ্গে একটি নতুন চার-দেশীয় জোট গঠন করেছে ভারত। ওই জোটে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলও। জোটের নাম আই২ইউ২ (I2U2)।

    এবার ফের আরব ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। শুক্রবার আমিরশাহীর বিমান বাহিনী ভারতীয় বায়ুসেনার Su-30 MkI  যুদ্ধবিমানগুলিতে  মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরতে সাহায্য করে। শুক্রবার ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) নিজেদের ট্যুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি শেয়ার করেছে। এর জন্য আরব আমিরশাহী বায়ুসেনার (UAE Air Force) প্রশংসাও করেছে ভারত (India)।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর বায়ুর রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে করবেন আবেদন?

    ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি যাতে কোনও বাধা ছাড়াই মিশর (Egypt) যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য আরব বায়ুসেনার রিফুয়েল ট্যাঙ্কারের (এমআরটিটি) সাহায্যে আকাশপথেই জ্বালানি (Fuel) সরবরাহের ব্যবস্থা হয়। মিশরের ‘ট্যাক্টিকাল লিডারশিপ প্রোগামে’ (Tactical Leadership Program) যাওয়ার জন্য প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে টানা আকাশে ছিল ভারতের যুদ্ধবিমানগুলি। এর ফলেই মাঝপথে জ্বালানির কমতি হলে যাতে কোনও সমস্যা দেখা না দেয়, তার জন্য আরব বিমান বাহিনী সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। 

    আরও পড়ুন:চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    শুধু এবারই নয়, এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে, ফ্রান্স থেকে ভারতে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি রাফাল বিমানকে মাঝআকাশেই জ্বালানি সরবরাহ করেছিল আমিরশাহীর রিফুয়েল ট্যাঙ্কার। উল্লেখ্য, ভারত ফ্রান্স (France) থেকে ৩৬টি রাফাল (Rafale) জেট কিনেছে, যার সবকটিই ভারতে চলে এসেছে।

     

  • Sugar Exports: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    Sugar Exports: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা (Wheat export ban) জারির পর এবার চিনি রফতানিতে রাশ টানার পরিকল্পনা করল কেন্দ্র। বিগত ছয় বছরে এই প্রথমবার চলতি মরশুমে চিনি রফতানির (Sugar Exports) সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, চলতি মরশুমে এক কোটি টন চিনি রফতানি করা যাবে। দেশে চিনি মিলের মালিকরা বিপুল পরিমাণ চিনি বিদেশে রফতানি করে বলেই দেশীয় বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বলে মনে করে সরকার। তাই দেশে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মতো, ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিদেশে চিনি রফতানির আগে কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে রফতানিকারকদের।

    আরও পড়ুন: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মতে, এমনিতে অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনি রফতানির মরশুম চলে। ২০১৬ সালে চিনি রফতানিতে রাশ টানা হয়েছিল। চিনির উপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক চাপিয়েছিল কেন্দ্র। ব্রাজিলের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক দেশ হল ভারত। সেই পরিস্থিতিতে ভারত রফতানিতে রাশ টানলে বিশ্ব বাজারে চড়চড়িয়ে বাড়বে চিনির দাম। ভারত থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিনি আমদানি করে। ভারতে চিনির রফতানিতে রাশ টানার সঙ্গে সঙ্গেই লন্ডনে সাদা চিনির দাম এক শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র

    সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক বলেছেন, ‘ভারতে রেকর্ড চিনি উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণ রফতানিও হচ্ছে। তার ফলে আগামিদিনে দাম বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত শরৎকালে চিনির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ২০২০-২১ মরশুমে সাত মিলিয়ন টন চিনি রফতানি করেছিল ভারত। তবে তা লক্ষ্যমাত্রার (ছয় মিলিয়ন টন) থেকে বেশি ছিল। সার্বিকভাবে ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় রফতানি ছ’গুণ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে রফতানি শুল্ক বসানোর পাশাপাশি রফতানির সীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। ভারতে যা চিনি উৎপাদিত হয়, তার বেশিরভাগটাই মিষ্টির দোকান বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। মাত্র দু’শতাংশ গৃহস্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

  • IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার (Wheat export ban) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আরজি জানাল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (International Monetary Fund), সংক্ষেপে আইএমএফ (IMF)।

    সম্প্রতি, দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) একটি বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা (Kristalina Georgieva) বলেন, আমি জানি ভারতের প্রায় ১৩৫ কোটি লোককে খাওয়ানো প্রয়োজন। তাপপ্রবাহের জেরে সে দেশে যে কৃষি উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে, তাও জানি। তা সত্ত্বেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি ভারতকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাব। কারণ যত বেশি দেশ রফতানি বিধিনিষেধের দিকে পদক্ষেপ করবে, তা দেখাদেখি অন্যরাও তা করবে। এতে আমরা সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হব।

    আরও পড়ুন : গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত ১৩ মে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিলেন জি-৭ (G-7) দেশগুলির কৃষিমন্ত্রীরা। ভারত বিশ্বে অন্যতম বড় গম রফতানিকারী দেশ। তাই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই বিপাকে পড়ে পশ্চিমের দেশগুলি। জার্মানির কৃষিমন্ত্রী সেম ওজদেমির বলেন, যদি সবাই রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বা বাজার বন্ধ করতে শুরু করে, তাহলে সঙ্কট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে জি-২০ (G-20) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। জানা গিয়েছে, জুনে জার্মানিতে হবে জি-৭ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেখানে ভারতকে জি-২০-র দায়িত্ব নেওয়ার সুপারিশ করতে পারে পশ্চিমের দেশগুলি।

    যদিও, ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য বিপণন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইটারে বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের এক শতাংশেরও কম গম রফতানি করে ভারত। আমাদের রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করবে না। আমরা দুর্বল দেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে রফতানির অনুমতি দিয়ে যাচ্ছি। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাহত জোগান, ভারত থেকে গম কিনবে মিশর

    অবশ্য গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে চিন (China)। ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে প্রতিবেশী দেশটি বলেছে, ভারত নিজেরাই খাদ্য সঙ্কটে থাকে। আজ পশ্চিমের কোনও দেশ যদি ভারতের মতো বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের (World Food Crisis) মুখে পড়ে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করত, তখন প্রশ্ন উঠত কি? চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জি-৭ দেশগুলিকে ভারতের সমালোচনা না করে নিজেদেরই খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে না। প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন গম রফতানি বাড়াচ্ছে না? 

     

LinkedIn
Share