Blog

  • Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid 19) দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশবাসীকে। টানা দুদিন দেশে কোভিডে (Covid in India) আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের গণ্ডির মধ্যে থাকলেও শনিবার এই সংখ্যা ১৩ হাজার পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,২১৬। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ১২,৮৪৭। দেশে এখনও দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৬৫। সংক্রমণের নিরিখে এর পরেই রয়েছে কেরল। কেরলে একদিনে আক্রান্ত ৩,১৬২। কেরলের পরেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি (১,৭৯৭), হরিয়ানা (৬৮৯) ও কর্নাটক (৬৩৪)।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার       

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক কোভিড বুলেটিন (Covid Bulletin) অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,১৪৮ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৬৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে কেরলেই মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। একদিনে কেরলে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে তিন জন, কর্নাটকে দুজন এবং উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪। 

    [tw]


     [/tw]

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৭৩ শতাংশ। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯৬ কোটি ৪২ হাজার ৭৬৮ টিকাকরণ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ   

    পুরো বিষয়টির মধ্যে একটিই আশার আলো। আর তা হল সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৬ কোটির বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল টিকা পেয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।    

     

  • Mobile Users: দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন, কোন সংস্থা কত লোকসানে?

    Mobile Users: দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন, কোন সংস্থা কত লোকসানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসে ৭৫ লক্ষ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর (Active Mobile Users) সংখ্যা কমল দেশে। এমনটাই জানাল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (Telecom Regulatory Authority of India)। চারমাসে এই প্রথম কমল এই সংখ্যা। এমনই তথ্য উঠে আসছে একটি গবেষণার রিপোর্ট থেকে।

    জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে এয়ারটেল (Airtel) এবং ভোডাফোন (Vodafone) ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৩১ লক্ষ এবং ৩৮ লক্ষ কমেছে। জিও (Jio) ব্যবহারকারীর সংখ্যায় কোনও তারতম্য দেখা যায়নি এপ্রিল মাসে। গোটা দেশে ওই মাসে মোবাইল ফোনের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০১ কোটিরও বেশি ছিল।

    আরও পড়ুন: এবার গুগল ম্যাপ দেখেই জানতে পারবেন টোল ট্যাক্সের তথ্য!আরও পড়ুন: এবার গুগল ম্যাপ দেখেই জানতে পারবেন টোল ট্যাক্সের তথ্য!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়ে ১০ বছরে দ্বিতীয়বার মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমল টেলিকম সংস্থাগুলির। প্রথমবার ২০২০-র এপ্রিল মাসে কোভিডের লকডাউন ঘোষণার পরে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছিল।

    আরও পড়ুন: আলবিদা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার! নস্টালজিক নেটদুনিয়া

    বেশ কিছুদিন ধরেই মন্দার মুখ দেখছে এয়ারটেল। দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগেই কমেছে এই সংস্থার। ভিজিটর লোকেটর রেজিস্টার থেকে ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু কেউ যদি নেটওয়ার্ক কভারেজ স্থানের বাইরে থাকেন বা ফোনটি বন্ধ রাখেন তাহলে তাঁর বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যাবে না।  

    যেহেতু এপ্রিল ভ্রমণের মরসুম, তাই যেসব উপভোক্তারা ঘুরতে গিয়ে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবেন তাঁদের সক্রিয় ব্যবহারকারী হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ তাঁদের কোনও তথ্য পাবে না টেলিকম সংস্থাগুলি। সেই কারণেও সংখ্যায় পতন হতে পারে। 

    গত কয়েক বছরেই মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ লক্ষ থেকে ১০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব জিওর। জিও এবং এয়ারটেলের একবছরে যথাক্রমে ১১ লক্ষ এবং প্রায় ১৭ লক্ষ গ্রাহক বেড়েছে। ভোডাফোন উল্টে একবছরে ১৭ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে। 

      

  • Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ’ (Agnipath) নিয়ে কালক্ষেপ করতে চাইছে না সরকার (government)। আগামী ২৪ জুন থেকেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী। শুক্রবার, তিনি জানান, এই প্রকল্প দেশের যুবসমাজকে আরও বেশি করে দেশসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। নূন্যতম দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।

    আরও পড়ুন: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    সেনা প্রধান জেনারেল (Army Chief) মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এদিন ঘোষণা করেছেন, দিন-দুয়েকের মধ্যে সেনার ওয়েবসাইটে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই প্রক্রিয়ার বিশদ তথ্য দেওয়া থাকবে সেখানে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রথম দফার নিয়োগ সেরে ফেলতে চান। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ অগ্নিবীরেরা সেনাবাহিনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, অগ্নিপথে চার বছরের চুক্তির চাকরিতে প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি

    গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনা প্রধানের মতে, ভারতীয় সেনায় এত বড় সংস্কার এর আগে কখনও হয়নি। চার বছরের চুক্তির চাকরি শেষে ৭৫ শতাংশকে সেনা থেকে অবসর দেওয়া হবে। পাকা চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন বাকি ২৫ শতাংশ। প্রথম বছর ৪৬ হাজার পদে লোক নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

  • Agnipath Scheme: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি 

    Agnipath Scheme: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পের মাধ্যমেই এবার থেকে জওয়ান নিয়োগ করা হবে সেনাবাহিনীতে (Indian Army)। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আধুনিক এই পন্থা অবলম্বন করতে চায় কেন্দ্র। 

    কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারবেন, সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সি ছেলেরা। এই প্রকল্পে যাদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে, তাঁরা ‘অগ্নিবীর‘ (Agniveer) নামে পরিচিত হবেন। প্রতিবছর সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টে যত শূণ্যপদ হবে, তার ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর নিয়োগ করা হবে।  প্রথম বছর নেওয়া হবে ৪০ হাজার যুবককে। প্রথম বছর তাঁরা পাবেন ৩০ হাজার টাকা। চতুর্থ বছরে গিয়ে পাবেন ৪০ হাজার টাকা। আয়ের ৩০ শতাংশ তাঁরা জমাতে পারবেন। সম পরিমাণ টাকা দেবে সরকারও। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নয়! রয়েছে নানা সুযোগ
     
    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, চার বছরের মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২৫ শতাংশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে দেওয়া হবে ১০-১১ লক্ষ টাকা করমুক্ত ভাতা।

    এক নজরে এই প্রকল্প সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক: 

    আরও পড়ুন: “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    অগ্নিপথ প্রকল্পটি কী? 

    সশস্ত্র বাহিনীতে প্যান ইন্ডিয়ার চ্যুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। যারা এই প্রকল্পে চাকরি পাবেন তাঁদের ‘অগ্নিবীর’ বলা হবে। পাহাড়, মরুভূমি, স্থল, বায়ু, সমুদ্র যেকোনও বিভাগের দায়িত্ব পেতে পারেন অগ্নিবীররা।

    মহিলারা এই পদে আবেদন করতে পারবেন? 

    এই মুহূর্তে না। কিন্তু পরবর্তীতে মহিলাদেরও সুযোগ দেওয়া হবে। 

    এই চাকরির সময়সীমা কী?

    চারবছরের জন্যে নিয়োগ করা হবে এই অগ্নিবীরদের।

    কত বেতন পাবেন এই অগ্নিবীরেরা?

    শুরুতে বেতন হবে ৪.৭৬ লক্ষ। সময়ের সঙ্গে বেতন বাড়বে। শেষের বছরে ৬.৯২ লক্ষ অবধি বেতন পাওয়া যাবে।

    এই অগ্নিবীররা কী সশস্ত্রবাহিনীতে স্থায়ী চাকরি পেতে পারেন?

    চার বছর শেষে এই অগ্নিবীরদের মধ্যে ২৫%-কে স্থায়ীভাবে সশস্ত্রবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে এবং বাকিদের করমুক্ত ভাতা দিয়ে অবসর দেওয়া হবে।

    কীভাবে আবেদন করা যাবে এই চাকরিতে?

    এই ওয়েবসাইটগুলিতে কিছুদিন পর থেকে আবেদন করা যাবে।

    joinindianarmy.nic.in
    joinindiannavy.gov.in
    careerindianairforce.cdac.in

    ট্রেনিং-এ কী কী বিষয় রয়েছে?

    সাধারণ সশস্ত্র বাহিনীর ট্রেনিং-এর সাথে অগ্নিবীরদের আংশিক মিলিটারি ট্রেনিং-ও দেওয়া হবে। 

    কখন আবেদন করা যাবে?

    মঙ্গলবারই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে আবেদনের প্রক্রিয়া। 

     

  • Prithvi-2: ‘পৃথ্বী-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল নৈশকালীন উৎক্ষেপণ ভারতের

    Prithvi-2: ‘পৃথ্বী-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল নৈশকালীন উৎক্ষেপণ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পৃথ্বী-২ (Prithvi-2) ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নৈশকালীন উৎক্ষেপণ করল ভারত (India)। বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ওড়িশার চাঁদিপুরের (Chandipur) এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপে (APJ Abdul Kalam Island) স্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (ITR) তিন নম্বর লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। 

    উৎক্ষেপণের পুরোটাই দায়িত্ব নিয়ে করেছে বিশেষভাবে তৈরি ‘স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কম্যান্ড’ (Strategic Forces Command)। এই উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (Defence Research and Development Organisation) বা ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্বল্প পাল্লার (Short range) এই ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Ballistic Missile) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম এটি। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেড (Warhead) বহন করতে সক্ষম। নিপুণ দক্ষতায় লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে এর জুড়ি নেই। এই পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে তরল জ্বালানি চালিত ২টি ইঞ্জিন।

    উৎক্ষেপণের গোটা প্রক্রিয়াটি রাডার, ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম ও টেলিমেট্রি স্টেশনের মারফৎ পর্যবেক্ষণ করেছে ডিআরডিও (DRDO)। এবারের পরীক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের রাত্রিকালীন উৎক্ষেপণের বিভিন্ন খুঁটিনাটি যাচাই করা। পৃথ্বী-২ রাতেরবেলাও লক্ষ্যবস্তুর (target) উপর আঘাত হানতে পারে।

    ১০ দিন আগেই, ৬ জুন, ৪ হাজার কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল নৈশকালীন উৎক্ষেপণ করে ভারত। সেবারও উৎক্ষেপণ করা হয় এই চাঁদিপুরের এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকেই। এবার সফল নৈশকালীন উৎক্ষেপণ হল পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্রের। এর আগে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একইভাবে পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্রের নৈশকালীন উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। তার আগে ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর দুটি পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্র ওড়িশার চাঁদিপুর থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    ২০০৪ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে আসে। ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা এটি তৈরি করেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে এর উপর কাজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। পৃথ্বী-১ ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম ছিল।  ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম পৃথ্বী-২। আর সবচেয়ে আধুনিক পৃথ্বী-৩ আনুমানিক ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত করতে পারে।

    ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে (Missile Technology) দিন দিন উন্নতি করছে ভারত। স্বল্প থেকে মাঝারি এবং দূরপাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হয়েছে ভারতের হাতে। যখনই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, প্রায় সবসময়ই প্রায় ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা। এদিনের সাফল্য ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Assam Flood: বন্যার কবলে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, মৃত ৯

    Assam Flood: বন্যার কবলে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার বন্যার কবলে আসাম (Assam Flood)। প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে এক মাস আগেই বন্যার কবলে পড়েছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। ফের জলের তলায় আসামের ১৫০০ গ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। 

    প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে ২৫ জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ১১ লক্ষ মানুষ। সদ্য গঠিত বাজলি জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ২৪, ক্ষতিগ্রস্ত সাত লক্ষের বেশি মানুষ

    কামরূপে বরোলিয়া নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। ফলে একটানা বৃষ্টির জেরে বরোলিয়া নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। বরোলিয়ার জল বাড়তে শুরু করায় হাজো, চৌমুখাসহ একাধিক এলাকার গ্রাম জলের নীচে। রঙ্গিয়া এলাকার ৭৭টি গ্রাম জলের নীচে বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে ৪৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ বলে জানা যাচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য রঙ্গিয়া এলাকায় আশ্রয় শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে একাধিক এলাকার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।  

    বন্যার জেরে কামরূপ জেলা প্রশাসন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ডিমা হাসাও, বাজালি, নলবাড়ি, বোঙ্গাইগাঁও ও তামুলপুর জেলা প্রশাসনও স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্কুল বন্ধ রাখা হলেও পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।  

    আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টি, বানভাসি আসামে মৃত ৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৬ লক্ষ মানুষ

    ধসের কারণে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর জেরে দক্ষিণ আসামের সঙ্গে মেঘালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টানা দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে গুয়াহাটির বিভিন্ন জায়গা থেকে ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ভূমিধসের কারণে গীতানগর, সোনাপুর, কালাপাহাড়, নিজারাপার এলাকার একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার রাজ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে আসামের ১৮টি জেলার ৩৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চলতি বছর বন্যায় এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    এছাড়াও বন্যার জেরে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্য। মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও আশঙ্কাজনক হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আসামের গোপালপাড়ায় ধসে বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ডিমা হাসাও এবং উদলগিরির দুজনের। এছাড়াও বাকি রাজ্যগুলি মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। উত্তর-পুর্বের রাজ্যগুলিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। 

     

  • Primary TET: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (TET) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে এবার সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। টেটে বেআইনি নিয়োগের পর্দা ফাঁস করতে হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে পুরো ঘটনার তদন্ত চালাবে সিবিআই (CBI)। এর জন্য দক্ষ অফিসারদের নিয়ে একটা বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করতে হবে। কলকাতার একজন যুগ্ম অধিকর্তাকেও এই টিমে রাখতে হবে। কাদের নিয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হল, তার পুরো তালিকা আদালতে শুক্রবার জমা দিতে হবে। 

    আদালত জানিয়েছে, যতদিন না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততদিন এই সিটের কোনও সদস্যকে অন্য কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। করা যাবে না বদলিও। মোট ১২ থেকে ১৩ জনকে এই সিটে রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। গোয়েন্দা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangyopadhyay) বলেন, সিবিআইয়ের গতি শ্লথ। তারা দ্রুত কাজ করুক। সাধারণ মানুষ তদন্তের অপেক্ষায় আছে।

    আরও পড়ুন: চাকরি গেল ২৬৯ জনের! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাও গেল সিবিআই-এর কাছে

    প্রাথমিক টেট মামলায় এদিনই রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা। গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই। তখন বিচারপতি জানান, গত নভেম্বর থেকে আপনাদের কাজে কোনও গতি নেই কেন? আমি এই দুর্নীতির শেষ দেখতে চাই। সংবাদমাধ্যম দারুণ কাজ করছে। আমি সারদা , নারদ চাই না। তখন সিবিআই আইজীবী বলেন, ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আমরা আমাদের কাজে প্রচণ্ড সিরিয়াস। মিডিয়া আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুর্নীতির শিকড়ে যাব।

    এরপরই এজলাসে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসকে (Upendra Biswas) ডাকেন বিচারপতি। উপেন বিশ্বাসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই চন্দন ওরফে রঞ্জনের নামে এফআইআর করে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, উপেন বিশ্বাস আপনি সামনে আসুন। আপনি তো এক সময় জয়েন্ট ডিরেক্টর (CBI Joint Director) ছিলেন। আপনার পরামর্শ কী? সিবিআই কি তাদের কাজে ওয়াকিবহাল? আপনি মোবাইলে লাইভ করলেন। পুলিশে অভিযোগ করলেন না কেন?

    উপেন বিশ্বাস তখন বলেন, আমি সিবিআই-এর সঙ্গে সহযোগিতা করব। ওদের লোকসংখ্যা কম। সিবিআই অধিকর্তাকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। এই দুর্নীতির কিংপিন একজন নয়। এই কেসে সিট গঠন করা হোক। সিট রিপোর্ট দিক। তারপর পরবর্তী নির্দেশ হবে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    বিচারপতি তখন বলেন, আপনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন। তারপর আপনি সৎ রঞ্জন-এর পরিচয় দিচ্ছেন! উপেন বিশ্বাস তখন বলেন, আমি আমার বাবার নামে শপথ নিয়ে বলছি, রঞ্জন-ই চন্দন। যিনি সৎ পথে টাকা নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেন। উপেন আরও বলেন, আপনি আমায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।

    এই প্রেক্ষিতেই উপেন বিশ্বাস বলেন, রঞ্জন হচ্ছে মাঝের মাকড়শা। তাকে ধরেই ওপরে উঠতে হবে। তাহলে বৃহত্তর এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা বড় মাথা আছে তাদের কাছে পৌঁছানো যাবে। এখানে দুর্নীতি হয়েছে সাজিয়ে গুছিয়ে। আমি যে ভিডিওটা আপলোড করেছি ওটা প্রথম পর্ব। পরে আরও তথ্য আছে। আমি দুর্নীতির শেষ দেখতে চাই।

    সব শুনে বিচারপতি সিবিআইকে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেন। 

  • Ambubachi Mela: দু’বছর পর আবার কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা

    Ambubachi Mela: দু’বছর পর আবার কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেজে উঠছে নীলাচল পাহাড়। দীর্ঘ দুই বছর পর কোভিড (covid) পরবর্তী সময়ে আবার কামাখ্যা মন্দির চত্বরে বসতে চলেছে অম্বুবাচী মেলা (Ambubachi Mela)। জুন মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী। চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত। চারদিন ব্যাপী আসামর গুয়াহাটির কাছে নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দির চত্বরে এই মেলার আয়োজন করা হবে। এর জন্য চলছে শেষ পর্বের প্রস্তুতি। 

    হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ উৎসব হল এই অম্বুবাচী। লোককথা অনুসারে আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় চরণ শেষ হলে সেই সময় মা বসুন্ধরা ঋতুমতী হয় আর এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এইসময় মাটিকাটা লাঙ্গল চালানো নিষেধ থাকে। এই সময় সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। 

    কামাখ্যায় এই সময় বিশেষভাবে অম্বুবাচীর উৎসব পালিত হয়। অম্বুবচীর প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। গত দুই বছর করোনার জন্য এই মেলা ও উৎসব বন্ধ ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে চলতি বছরে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে আসাম সরকার। তাই এবছর মেলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এবছর অম্বুবাচী শুরু কবে? জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের মাহাত্ম্য

    মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, দীর্ঘ দু’বছর পর এই মেলা বসছে। এবছর প্রচুর ভক্তসমাগম হবে। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ভিড় সামলানো দায় হয়ে যাবে বলে ভয় মন্দির কর্তৃপক্ষের। যে কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে তাই সদা সতর্ক কর্তৃপক্ষ। 

    শেষবার ২০১৯ সালে কামরূপ-কামখ্যায় এই মেলায় ২৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। দূর-দূরান্ত থেকে সাধু-সন্নাসীরা যোগ দেন এখানে। এবছরও ভিড় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনা এখনও সম্পূর্ণরূপে চলে যায়নি। এর মধ্যে এই বিশাল জনসমাগম নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনও। চলতি সপ্তাহে দফায় দফায় মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছে তারা। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন মন্দির চত্বরে পাহাড়ের পাদদেশে দরিদ্রসেবায় খাবার-বস্ত্র দান করেন। এ নিয়েও সতর্ক প্রশাসন।

  • Maharastra crisis: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    Maharastra crisis: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujarat) ছেড়ে এবার আর এক পদ্ম-শাসিত রাজ্য আসামে (Assam) পৌঁছলেন শিবসেনার (Shivsena) বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মঙ্গলবার মধ্যরাতের বিমানে সঙ্গী বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটি উড়ে যান তিনি। একনাথের দাবি, তাঁর সঙ্গে শিবসেনার আরও চল্লিশ জন বিধায়কের পাশাপাশি ছ’জন নির্দলেরও সমর্থন রয়েছে। ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠলেও, তিনি যে আপাতত শিবসেনা ছাড়ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই নেতা।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে সংকটে উদ্ধব-সরকার! নিখোঁজ মন্ত্রী সহ ২৭ বিধায়ক

    একনাথের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দ্বন্দ্বের মূল কারণ কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে জোট বাঁধার জেরে নরম হিন্দুত্বের পথ নেয় শিবসেনা। যা না-পসন্দ একনাথের।  উদ্ধবের বাড়ির সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করার পরিকল্পনা করায় গ্রেফতার করা হয় বিজেপি সাংসদ নবনীত রাণা ও তাঁর বিধায়ক স্বামী রবি রাণাকে। তার পরেই উদ্ধব ও একনাথের পথ আলাদা হয়ে যায় বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর দু’দশকের বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে শিবসেনা জোট বাঁধে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে। মহা বিকাশ অঘোরি (Maha Vikas Aghari) জোট নামের এই জোটই আপাতত সরকার চালাচ্ছে। শিবসেনারই দুই নেতার বিদ্রোহের নেপথ্যে রয়েছে এই কারণটিও। 

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একনাথের দাবি, এনসিপি ও কংগ্রেস সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালাতে হবে। এদিন গুয়াহাটিতে একনাথ ও সঙ্গী বিধায়কদের স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সুশান্ত বরগোহাঁই ও পল্লব লোচন দাস। গুয়াহাটি পৌঁছে একনাথ বলেন, আমরা বালা সাহেব ঠাকরের (Balasaheb Thackeray) আদর্শ থেকে সরে আসছি না, শিবসেনাও ছাড়ছি না। আমরা বালাসাহেবের আদর্শকেই এগিয়ে নিয়ে যাব।

    আসামে যাওয়ার আগে সুরাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘আত্মগোপন’ করেছিলেন একনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা। সেখানেই ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় বিদ্রোহী এই শিবসেনা নেতার। তার পরেই শিন্ডে ও তাঁর সঙ্গী বিধায়কদের আসামে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন : কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    একনাথ যখন আসামে, তখন ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে তৎপর শিবসেনার অন্য একটি অংশও। তাঁরাও বাকি বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রেখেছেন মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে। ইতিমধ্যেই একনাথকে দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা নেতৃত্ব।

    মহারাষ্ট্রের এই জোট সরকারে শিবসেনার হাতে রয়েছে ৫৫ জন বিধায়ক। পাওয়ারের (Sharad Pawar) দলের হাতে রয়েছেন ৫৩ জন। আর কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা ৪৪। অন্যদিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভায় আপাতত বিধায়কের সংখ্যা ২৮৫। এনসিপি এবং কংগ্রেস বিষয়টি শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করলেও, তারা যে জোট সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দুই দলই। তবে এনসিপি যে কোনওভাবেই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাওয়ার। তাই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি যে ক্রমেই জটিল হচ্ছে, তা জলের মতো পরিষ্কার।

     

  • Drug Controller: ঘুষ নিয়ে ট্রায়াল মকুব! সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ড্রাগ কন্ট্রোলার সহ ৫ 

    Drug Controller: ঘুষ নিয়ে ট্রায়াল মকুব! সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ড্রাগ কন্ট্রোলার সহ ৫ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে ইঞ্জেকশনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মকুব করার গুরুতর অভিযোগে যুগ্ম ড্রাগ কন্ট্রোলার (Joint Drugs Controller) এস ইশ্বর রেড্ডিকে (S Eswara Reddy) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। দিল্লির (Delhi) এক বেসরকারি সংস্থাকে বেআইনিভাবে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বায়োকন বায়োলজিকস (Biocon Biologics) নামে একটি সংস্থার থেকে এই কাজের জন্যে চার লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সংস্থার অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট এল প্রবীণ কুমার সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও সেই ওষুধ কোম্পানি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে। 

    আরও পড়ুন: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলারের হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত ছিলেন রেড্ডি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট ড্রাগ ইন্সপেক্টর অনিমেশ কুমারকে। আর গ্রেফতার করা হয়েছে দীনেশ দুয়া এবং গুলজিৎ চৌধুরীকে। অভিযোগ, ওষুধের অনুমোদন দেওয়ার জন্য একাধিক সংস্থার থেকে মোট ৯ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন রেড্ডি।

    আরও পড়ুন: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা   
     
    বহুদিন ধরেই রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তক্কে-তক্কে ছিল সিবিআই। অভিযুক্তকে হাতে নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিলেন সিবিআই অফিসাররা। অবশেষে এই ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাথে ধরা পড়েন তিনি। দিল্লির ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। 

    সিবিআই আধিকারিকরা জানান, বায়োকন (Biocon) বায়োলজিকসের তিনটি ফাইল রেড্ডির টেবিলে বহুদিন ধরে আটকে পড়েছিল। ঘুষের টাকা পাওয়ার পরেই ফাইলগুলিকে ছাড়পত্র দেন রেড্ডি। শিল্পপতি কিরণ মজুমদার শ (Kiran Mazumdar Shaw)-এর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বায়োকন বায়োলজিকস। এই সংস্থার ওষুধকেই তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (Clinical trial) ছাড়াই বেআইনিভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন রেড্ডি।

LinkedIn
Share