Blog

  • Kangana Ranaut: জাভেদ আখতার মানহানি মামলায় মুম্বাই আদালতে হাজিরা কঙ্গনার

    Kangana Ranaut: জাভেদ আখতার মানহানি মামলায় মুম্বাই আদালতে হাজিরা কঙ্গনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) করা মানহানির মামলায় (Defamation Case) আদালতে গিয়ে বয়ান রেকর্ড করলেন বলিউডের ‘কুইন’ কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। ২০২০ সালের নভেম্বরে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বলিউডের গীতিকার জাভেদ আখতার। সেই মামলার বিষয়েই সোমবার, ৪ জুলাই আদালতে হাজিরা দেন কঙ্গনা। বয়ান রেকর্ডের সময়ে তাঁর সঙ্গে তাঁর দিদি রঙ্গোলি ও তাঁর আইনজীবী থাকবেন, এমন অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সেইমতো তাঁরাও সেদিন উপস্থিত ছিলেন মুম্বাই আদালতে।

    আরও পড়ুন: অ্যাকশনে ভরপুর ‘ধাকড়’ ছবির ট্রেলার, রণংদেহী মেজাজে কঙ্গনা, সঙ্গী শাশ্বত  

    কঙ্গনা তাঁর বয়ানে এদিন বলেন যে, হৃতিক রোশনের (Hrithik Roshan) কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে অপমান করেছিলেন জাভেদ আখতার। এমনকি, জাভেদ আখতার নাকি তাঁকে এমনও হুমকিও দিয়েছেন যে ক্ষমা না চাইলে পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন বলিপাড়ার ‘রেবেল’ নায়িকা। 
     
    শুধু তাই নয়, কঙ্গনার আরও দাবি, জাভেদ আখতার তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা পর্যন্ত দিয়েছেন যার জন্য তাঁর মানসিক স্থিতি ব্যাহত হয়েছে। 

    এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনেও এমন দাবি করেছিলেন কঙ্গনা। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার। জাভেদের অভিযোগ ছিল, এক সাক্ষাৎকারে বলিউডকে আক্রমণ করার সময়ে তাঁর নামও নিয়েছিলেন  কঙ্গনা।

    সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেন যে, জাভেদ আখতার তাঁকে ও তাঁর দিদিকে জুহুর বাড়িতে ডেকে হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা চাইতে জোর করেছিলেন। ক্ষমা না চাইলে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনা।  

    বলিউডে ‘লাগামহীন জিভ’- এর জন্যে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াত। কখন কাকে তিনি আক্রমণ শানিয়ে বসেন তা নিয়ে ভয়ে থাকেন বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতা- নির্দেশকরা। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনার ছবি ধাকড়। ছবিটির ট্রেলার সাড়া ফেললেও শেষ পর্যন্ত বক্স অফিসে খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারেনি সিনেমাটি। মাত্র ১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে সিনেমাটি থেকে। এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলডও হয়েছেন অভিনেত্রী। ছবিতে তাঁকে একজন স্পাইয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। কঙ্গনা ছাড়াও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন রামপাল, দিব্যা দত্ত। প্রযোজনা করেছেন দীপক ও সোহেল মাকলাই।  

     

  • Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Election) বিজেপির (BJP) মোকাবিলা করার আগে হারানো জমি কীভাবে ফিরে পাওয়া সম্ভব, সেই রোডম্যাপ তৈরি করতে উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের (Chintan Shivir) আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে তোলা। এই মর্মে, তিনদিনের সম্মেলন শেষে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল শতাব্দী-প্রাচীন দলটি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা বেরিয়ে গিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল পার্টির পুরনো ও নব্য নেতাদের মধ্যে মত-পার্থক্য প্রকট হয়ে পড়া। ফলে তরুণ নেতাদের আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে দল৷ সেই কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে সংগঠনের সব স্তরে ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কমবয়সিদের প্রার্থী করা হবে। পাশাপাশি ২০২৪-এর নির্বাচন থেকে শুরু করে তার পরে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও ৫০ শতাংশ আসনে ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রার্থী করা হবে। সংগঠন ও প্রার্থী তালিকায় দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং মহিলাদের যুক্তিসঙ্গত প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    চিন্তন শিবির, যাকে কংগ্রেস উল্লেখ করেছে ‘নব সংকল্প শিবির’ (Nav Sankalp Shivir) হিসেবে, তার শেষ দিন দলীয় সংগঠনে একাধিক সংস্কার আনতে তিনদিনের সম্মেলন শেষে “উদয়পুর নব-সংকল্প ঘোষণাপত্র” (Udaipur Nav Sankalp Declaration) গৃহীত হল কংগ্রেসে। সেখানে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) স্বীকার করে নেন, কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁর দাবি,  এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দল। তিনি জানান, জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এর কোন সহজ রাস্তা নেই।

    বস্তুত, চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ (Janajagaran Abhiyan) চালাবে কংগ্রেস। এরপর আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Yatra)।  কংগ্রেস বলেছে, ঠিক ৮০ বছর আগে,  সালে, মহাত্মা গান্ধী “ভারত ছাড়ো” স্লোগান দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে, “জোড়ো ভারত” (এক ভারত) স্লোগানটি গ্রহণ করা উচিত।

    বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসে “এক পরিবার এক টিকিট” চালু করার দাবি উঠেছে। সেই কারণে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ‘এক ব্যক্তি এক পদ ও এক পরিবার ও একটি টিকিট’ এই নীতি চালু করতে চলেছে। উদয়পুরের সাংবাদিক সম্মেলনে তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ও ‘এক পরিবার এক টিকিট’ তখনই বাদ দেওয়া হবে যখন কোনও একটি পরিবারের একাধিক সদস্য টানা পাঁচ বছরেও বেশি সময় কংগ্রেসের জন্য কাজ করেছেন। সেই অর্থে এক পরিবার একাধিক টিকিট পেতে পারে। যার অর্থ গান্ধী পরিবারের তিন জনই কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারবেন। 

    চিন্তন শিবিরে কংগ্রেসের নেওয়া অন্য বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জনমত গ্রহণের জন্য পৃথক বিভাগ গঠন। কর্পোরেট ধাঁচে জনতার মন বুঝতে জনসমীক্ষার জন্য ‘পাবলিক ইনসাইট’ শাখা, পদাধিকারীদের কাজের মূল্যায়নে ‘অ্যাসেসমেন্ট’ বিভাগ তৈরি হবে। তার ভিত্তিতেই নেতাদের পদোন্নতি, পদচ্যুত করা হবে। এআইসিসি ও প্রদেশ স্তরে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি গঠন হবে।

    এছাড়া, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্লক কংগ্রেস কমিটির নীচে মণ্ডল কমিটি গঠন করা হবে। দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। কেরালার ‘রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ থেকে তার সূত্রপাত হবে। আরেকটি গৃহীত সিদ্ধান্ত হল, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা গোষ্ঠী তৈরি হবে। কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে সেই কমিটি নিয়মিত রাজনৈতিক বিষয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবে।

     

     

  • Pallavi Dey Death: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? 

    Pallavi Dey Death: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মহত্যা নাকি খুন? উঠতি অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যুতে বিভক্ত টলি পাড়া। রবিবারে যখন ছুটির মেজাজে কলকাতা তখনই আকাশ ভেঙে পড়ল টলি পাড়ায়। খবর এল তাদেরই এক সহকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। এই তো কালই কথা হল মেয়েটার সাথে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তো কাল রাতেও অ্যাক্টিভ ছিল, হেসে হেসে পোজ দিচ্ছিল ক্যামেরায়। এক রাতে এমন কী হল প্রাণবন্ত মেয়েটার? সবার মনে তখন একটাই প্রশ্ন।      

    রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়েই কাল চলল দিনভরের টানাপোড়েন। পল্লবীর পরিবার তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে গড়ফা থানায়। তাদের বক্তব্য, ‘খুনই করা হয়েছে ওকে। কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবে, তার আগে কি নতুন কোনও রান্না শিখতে চায়?’ পল্লবীর প্রেমিক তথা লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর যদিও দাবি,  যদিও পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গীর দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টেও দাবি, আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী।  

    গড়ফার আবাসন থেকে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’-র নায়িকার ঝুলন্ত দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর গলায় বিছানার চাদর জড়ানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢুকে  ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি করেন পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।  

    রবিবার সন্ধ্যায় পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে মুখ খোলা হয়নি। আপাতত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে সূত্রের খবর।

    পল্লবীর পরিবার বার বার অভিনেত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে। হাওড়ার রামরাজাতলার মেয়ে পল্লবীর বাবার দাবি, শনিবারই নাকি ফোন করে মায়ের কাছে ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী। তারপরই তাদের প্রশ্ন, কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবেন, তার আগে কি নতুন কোনও রান্না শিখতে চান? অভিনেত্রীর বাবা আরও বলেন, পল্লবী খুব বুঝদার মেয়ে ছিলেন। আত্মহত্যা করার মতো মানুষ নন তিনি।  

    সাগ্নিক যদিও নিজের দাবিতে অনড়। তাঁর বক্তব্য আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী। তাঁর সহকর্মী এবং বন্ধুদেরও দাবি পল্লবী আত্মহত্যা করার মতো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন না। পল্লবীর পরিচিত অনেকেই দাবি করেছেন, পল্লবীর সাথে প্রেমিকের বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সেটাই মৃত্যুর কারণ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।    

     

     

  • Tomato Flu: এবার টমেটো ফ্লু, নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা

    Tomato Flu: এবার টমেটো ফ্লু, নয়া ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) এখনও বর্তমান। তার মধ্যেই আর এক অজানা ভাইরাসের হানা। এবার আক্রান্ত পাঁচ বছর বয়সের কম শিশুরা। ইতিমধ্যেই দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কেরলে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার পরে নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত কেরল। এখনও পর্যন্ত ৮২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। তীব্র জ্বর এবং সারা গায়ে ছোট ছোট লাল ফোস্কার মতো ক্ষত এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।  ক্ষুদ্রাকৃতি টমেটোর মতো এই ফোস্কার কারণেই রোগটির নাম ‘টমেটো ফ্লু’ (Tomato Flu)। এটি একটি বিরল ভাইরাল রোগ। কেরলের কোল্লাম জেলায় ইতিমধ্যেই ৮০টি শিশু এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। আক্রান্ত শিশুদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫ বছরের কম বলে জানিয়েছে কেরলের (Keral) স্বাস্থ্য দফতর। কোল্লাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলাতেও কিছু রোগীর সন্ধান মিলেছে। আরিয়ানকাভু, আঁচল এবং নেদুভাথুর থেকেও সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।

    এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তাই কেরল-তামিলনাড়ু (Tamilnadu) সীমানায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  জ্বর বা অন্য অসুস্থতা নিয়ে যাতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কেউ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। জ্বরের উপসর্গের হদিশ মিললেই করা হচ্ছে পরীক্ষা।

     চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে এই জ্বরের। তীব্র জ্বর,গা ব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বমি ও পেটের গোলযোগও। তবে এই সব লক্ষণ ছাড়াও রোগীর দেহে দেখা যাচ্ছে টমেটোর মতো ছোট ছোট ফোস্কা। হাতের বা পায়ের তালুতে এই লাল রঙের ফুসকুড়ি বেশি দেখা যাচ্ছে।
     
    রোগটির কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তাই নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা পদ্ধতির কথা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক ভাবে সংক্রমণ আটকাতে পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে নিতে হবে যথেষ্ট বিশ্রাম। ফোস্কাগুলি চুলকালে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। যাঁরা সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অন্যদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ফোসকাগুলি যাতে গলে না যায়,সেদিকে খেয়াল রাখার কথাও বলছেন চিকিসকেরা।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ৫ বছরের বয়সের নীচের শিশুদের এই সংক্রমণটি হচ্ছে। তাই তাদের বেশি সাবধানে রাখার কথা বলা হচ্ছে। যদিও এটি একেবারে নতুন কোনও ভাইরাস নাকি চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গির প্রভাবে এটি হচ্ছে— তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। এখনও পর্যন্ত কেরলের বিভিন্ন অংশে এই ভাইরাস সংক্রমণের কথা জানা গেলেও অন্যত্র এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।  

  • Doval on Afghanistan: সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    Doval on Afghanistan: সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানভূমে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে তাজিকিস্তানে আয়োজিত সাত দেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৈঠকে সুর চড়াল ভারত (India)। ওই বৈঠকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। তিনি বলেন, ভারত বরাবরই আফগানিস্তানের (Afghanistan) জনতার পাশে রয়েছে। সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে তাঁদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। ডোভাল বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের সঙ্গে আমাদের যে শতাব্দীপ্রাচীন বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, তা কেউ কোনও দিন বদলাতে পারবে না।

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে চতুর্থতম এই আঞ্চলিক সম্মেলনটি সম্প্রতি হয় তাজিকিস্তানে। ভারত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া, চিন, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং কিরঘিজস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্তারা। তবে সম্মেলনে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধি। ডোভাল বলেন, যাঁরা এই আলোচনায় উপস্থিত রইলেন, তাঁদের প্রত্যেকের উচিত সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন দমনে আফগানিস্তানের হাত শক্ত করা। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভাল বলেন, আফগানিস্তানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। ৫০ হাজার কোভ্যাক্সিনও পাঠানো হয়েছে। ১৩ টন জীবনদায়ী ওষুধ, পোলিও ভ্যাকসিনের ৬০ মিলিয়ন ডোজ এবং শীতপোশাকও পাঠিয়েছে।  

    আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    ডোভাল বলেন, সুরক্ষা ও সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে আফগানিস্তানবাসীকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়ে তুলতে হবে। এই সময় আফগানিস্তান থেকে শয়ে শয়ে শরণার্থী এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দেন রাশিয়ার প্রতিনিধি নিকোলাই পেত্রুশেভ। তার প্রেক্ষিতে ডোভাল বলেন, জীবনের অধিকারই আমাদের সর্বপ্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের পাশাপাশি সকলের মানবাধিকার সুরক্ষাও প্রয়োজন। তালিবান জমানায় নারীদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গের অবতারণা করে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, নারী ও যুব সমাজ যে কোনও সমাজের ভবিষ্যতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। বক্তৃতায় নারী শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপরও জোর দেন ডোভাল। আফগান জাতি গঠনে আফগান সমাজের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের ওপরও জোর দেন তিনি।

    আরও পড়ুন :মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহেও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুতিনের (Putin) প্রতিনিধি। যার অর্থ, আফগানিস্তানে মার্কিন আধিপত্য বৃদ্ধি পাক, তা কোনওভাবেই চায় না মস্কো (Moscow)। চিনও (China) আফগামভূমে আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট। অথচ আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধিই উপস্থিত ছিলেন না এই সম্মলেন। তাহলে কী সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া চালিয়েই যাবে পাকিস্তান (Pakistan)?  

     

  • Cannes Film Festival: রাজস্থানি মাটির গন্ধ পৌঁছল কান- এ, প্রথম কোনও ভারতীয় লোকশিল্পী হাঁটলেন লাল গালিচায়  

    Cannes Film Festival: রাজস্থানি মাটির গন্ধ পৌঁছল কান- এ, প্রথম কোনও ভারতীয় লোকশিল্পী হাঁটলেন লাল গালিচায়  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের ‘কান’ শহরে বছরের এই সময় চাঁদের হাট বসে। এই শহরটি তখন সিনেমা প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। গোটা বিশ্বের তারকারা লাল গালিচায় হাঁটতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন। চলে কান চলচ্চিত্র উৎসব। ‘কান’ মানেই গ্ল্যামার, চাকচিক্য আর ‘রেড কার্পেট লুক’। মুম্বাই এই সময় তারকাশূন্য, তারকাশূন্য লস এঞ্জেলেসও। কারণ সব হলি-বলি তারকারা উড়ে গেছেন ফ্রেন্স রিভারার ওপারে। এই ঘটনা ফি বছরই দেখা যায়। কিন্তু যা দেখতে পাওয়া যায় না, তাই ঘটল এবার। গ্ল্যামার, চাকচিক্যের ভিড়ে পাওয়া গেল মাটির গন্ধ। রাজস্থানি মাটির গন্ধ। 

    ভারতের প্রথম লোকশিল্পী হিসেবে কানের লাল গালিচায় হাঁটলেন রাজস্থানি লোক গায়ক মামে খান (Mame Khan)। গাইলেন ‘ঘুমর’ গান। গানের জাদুতে নাচালেন দীপিকা পাদুকোন, ঊর্বশী রাউতেলা, তামান্না ভাটিয়াদেরও। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত জয়সালমিরের এই গায়ক। ‘লাক বাই চান্স’, ‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’, ‘সোনচিড়িয়া’- র মতো জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছে মামে। এছাড়া কোক স্টুডিওতে গান গেয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।     
     
    মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র (75th Cannes Film Festival) উৎসব। এই বছর এই ঐতিহ্যশালী চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ সম্মান পেয়েছে ভারত। চলতি বছর ‘কান্ট্রি অফ অনার’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে ভারতকে। এই চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতই প্রথম দেশ যারা এই সম্মান পেল।‘দ্য ইন্ডিয়ান প্যাভিলিয়ন’-এর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, সংগীত পরিচালক এআর রহমান, পরিচালক শেখর কাপুর, সিবিএফসি প্রধান প্রসূন যোশি। হাজির ছিলেন অভিনেতা আর মাধবন এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিও। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন লোকশিল্পী মামে খান।      
     

     

     

  • Cyclone Asani Update: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    Cyclone Asani Update: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতি বাড়িয়ে ক্রমশ স্থলভাগের কাছে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclonic storm) ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার দিকে ঘুরবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘অশনি’র গতিপথ । সন্ধ্যা নাগাদ তা পৌঁছে যাবে উপকূলের খুব কাছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan) বা ফণির (Fani) মতো অতটা শক্তিশালী হবে না, বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। 

    সোমবার সকালের একটি বুলেটিনে ‘অশনি’র গতিপথ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিন সকালে পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল অশনি। অন্ধ্র উপকূল অর্থাৎ বিশাখাপত্তনম থেকে তার দূরত্ব ৫৫০ কিলোমিটার। গত পাঁচ ঘণ্টায় নিজের গতিবেগ ঘণ্টায় আরও ৪ কিলোমিটার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘অশনি’। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর এখন ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ঝড়টি। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী হলেও মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ওড়িশা উপকূলের দিকে মুখ ফেরাবে ‘অশনি’। উপকূলের কাছে পৌঁছনের আগে শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র। সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলেমিটার পর্যন্ত। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন দুপুর থেকে ঝড়ের গতি কমছে।

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রের গতি ঘণ্টায় ৯৫-১১৫ কিলেমিটারে নেমেছ। এ ভাবে প্রতি ছ’ঘণ্টায় ঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ কমতে থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সেটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের পর্যায়েই থাকবে। তার পর সেটি পরিণত হবে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে। ঝড়ের গতি থাকবে ৭৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। মঙ্গলবার সারাদিন সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই থাকবে ‘অশনি’। নিজের গতি না বাড়ালে শেষপর্যন্ত ‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই পুরীর উপকূলে আছড়ে পড়বে।  তা না হলে সেটি পরের দিন গভীর নিম্নচাপ হয়ে আরও উত্তরদিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূ্র্বাভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিঘা, বকখালির মতো সৈকত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং চলছে। ।MD-র ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ”ওডিশা বা অন্ধ্রপ্রদেশ, কোথাও ল্যান্ডফল নাও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। পশ্চিম মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ধরে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশা উপকূলের কাছে ১০ মে সন্ধ্যায় পৌঁছবে ঝড়টি। কিন্তু, এরপরই গতিপথ বদল করবে ঝড়। গতিপথ বদল করে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে ওডিশা উপকূলের কাছে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অগ্রসর হবে।”

    দিঘার পাশাপাশি সমুদ্র তীরবর্তী শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি-সহ জেলার উপকূল অঞ্চলগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশায় বিশেষ উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুরীর উপকূলের পাশ দিয়ে সবচেয়ে কাছে আসবে এই সাইক্লোন৷ পুরীর ১০০ কিলোমিটার কাছ দিয়ে বয়ে যাবে অতি শক্তিশালী এই সাইক্লোন এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

  • Rima Chatterjee: রূপকথাকেও হার মানাবে বার্নার্ড ক্যাসেলের বাঙালি মেয়রের জীবনের গল্প 

    Rima Chatterjee: রূপকথাকেও হার মানাবে বার্নার্ড ক্যাসেলের বাঙালি মেয়রের জীবনের গল্প 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন এক রূপকথার গল্প। বিশ্বজয় করলেন বঙ্গকন্যা। ইংল্যান্ডের (England) ডারহাম কাউন্টির বার্নার্ড ক্যাসেলের প্রথম বাঙালি মেয়র (Mayor) রিমা চট্টোপাধ্যায় (Rima Chatterjee)। উত্তর ইংল্যান্ডের ডারহাম কাউন্টির ছোট্ট শহর বানার্ড ক্যাসেল (Barnard Castles)। শহরের আনাচে-কানাচে লেগে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া। আর কিছুটা আছে বাঙালিয়ানার ছাপ। বার্নার্ড ক্যাসেলের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কষা মাংস, রসগোল্লা এবং ফুচকা পর্যন্ত পাওয়া যায়৷ এই শহরে খুঁজে পাওয়া যায় এক টুকরো কলকাতা। এসবই সম্ভব হয়েছে এক বাঙ্গালির জন্য। বাংলার মেয়ে রিমা চট্টোপাধ্যায় এই  ছোট্ট শহরটির বর্তমান মেয়র। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি হিসেবে বার্নার্ড ক্যাসেলের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।   

    রিমার জন্ম কলকাতায়। কলকাতার লরেটো হাউজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাস করার পর হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে গোয়া যান৷ বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে যান। সেই  থেকেই যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা তিনি। সম্প্রতি তিনি বার্নার্ড ক্যাসেলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। 
      
    জীবনের শুরুতে রিমা চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্বামী রয়ের সঙ্গে লাগোস, ইথিওপিয়া ও ব্রিটেনের একাধিক জায়গায় রেস্তোরাঁর ব্যবসা করেছেন। সেই সূত্রে বছর দশেক আগে উত্তর ইংল্যান্ডের ডারহাম কাউন্টির বার্নার্ড ক্যাসেলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। একটি পরিত্যক্ত সরাইখানা কিনে সেটিকে রেস্তোরাঁয় রূপান্তরিত করেন। এই রেস্তোরাঁটির মাধ্যমেই তিনি বেশ কিছু বাঙালি পদ যেমন মাছ ভাজা, কষা মাংসকে ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। 

    এভাবেই বেশ চলছিল। হঠাৎ করেই একদিন নাম লেখান ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে। সাফল্যের সঙ্গে প্রবাসে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন। দু’দুবার বার্নার্ড ক্যাসেলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। কাউন্সিলর পদে বসার পর এমন কিছু কাজ করে দেখান যা এই শহরের আমূল পরিবর্তন আনে। পান বিপুল জনসমর্থন। এখন তিনি শহরটির মেয়র।  

    এত বছর ইংল্যান্ডে থাকলেও তিনি ভুলতে পারেননি তিলোত্তমা কলকাতাকে। শহরটির কথা মাঝেমাঝেই উঠে আসে স্মৃতিচারণায়৷ কষা মাংস, ঘি দিয়ে মাখা গরম ভাত খুব মিস করেন।  

     

  • Ranbir Kapoor: রণবীর কাপুরের সিক্স প্যাকে কুপোকাত অনুরাগীরা

    Ranbir Kapoor: রণবীর কাপুরের সিক্স প্যাকে কুপোকাত অনুরাগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) ছবি। রণবীরের সিক্স প্যাক অ্যাবে (six-pack abs) ফের কুপোকাত রমণীরা। নতুন ছবির প্রোমোশনাল শ্যুটে যেন একদম আনকোরা নতুন ছন্দে হবু বাবা রণবীর। পরিচালক করণ মালহোত্রার ‘শামশেরা’ (Shamshera)ছবির মুক্তির দিন ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। প্রযোজনা সংস্থা যশ রাজ ফিল্মসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, আগামী ২২ জুলাই বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘শামশেরা’। ছবিটি হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় দেখা যাবে।

    আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন আলিয়া! নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন সুখবর..

    প্রযোজনা সংস্থার তরফেই রণবীর কাপুর এবং বাণী কাপুরের (Vaani Kapoor) প্রোমোশনাল শ্যুটের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই ঝলসে উঠেছে রণবীরের সিক্স প্যাক। আর তারপর থেকেই রণবীরের ছবি যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় হট কেক। 

    [tw]


    [/tw]

    ছবির নায়ক রণবীরের সঙ্গে প্রথমবার নায়িকা বাণী কাপুর ফটোশ্যুট করেছেন। নতুন ছবিতে দু’জনের রসায়ন কেমন হবে তার ঝলক রয়েছে এই ফটোশ্যুটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল রণবীর এবং বাণী কাপুরের ঘনিষ্ঠ সব ছবি। ছবির পারদ চড়িয়েছে নেটপাড়ায়। 

    ইনস্টাগ্রামে বাণী শেয়ার করেছেন সেই ছবিগুলি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাল্লি ও সোনা’। অর্থাৎ তাঁদের দু’জনের চরিত্রের নাম জানিয়েছেন নায়িকা।  

    [insta]


    [/insta]

    ভক্তরা দুই অভিনেতার ছবি অত্যন্ত পছন্দ করলেও, মশকরা করতেও ছাড়েননি। রণবীরকে নিয়ে মজায় মেতেছেন অনুরাগীরা। অনেকেই লিখেছেন, ‘দূরে সরে দাঁড়াও’, ‘আলিয়া আসছে কিন্তু’– এমন নানা মন্তব্য। 

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    নিজের জাতিকে রক্ষা করার জন্য যোদ্ধা হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এক সাহসী রক্ষাকর্তা, শামশেরা। বহুদিন পর ফের বড় স্ক্রিনে বলিউডের চকোলেট বয় রণবীর কাপুরকে দেখা যাবে। আদিত্য চোপড়া ছবির প্রযোজক। এই ছবিতে দেখা যাবে সঞ্জয় দত্ত, বাণী কাপুর ও আশুতোষ রাণাকে। ২০১৮-র পর ফের ২০২২ সালে পর্দায় ফিরছেন রণবীর কাপুর।  

     

  • Health Tips: ব্যায়াম শুরুর আগে ব্যাস এক চিমটে নুন, তাতেই কেল্লা ফতে!

    Health Tips: ব্যায়াম শুরুর আগে ব্যাস এক চিমটে নুন, তাতেই কেল্লা ফতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানেন কি ওজন (weight) কমানোর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লবণ বা নুন (salt)। দেহের অতিরিক্ত ওজনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। ফলে ওজন কমাতে লবণ বিশেষ উপকারী। অতিরিক্ত ওজন কমাতে পরিমাণমতো লবণ খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ শুধুমাত্র ওজন কমানোর ক্ষেত্রেই নয় এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরে জল ধরে রাখার পক্ষেও সহায়ক। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকলে অনেকক্ষণ এনার্জিও ধরে রাখা যায়। ক্লান্তি আসে না সহজে। ফলে অনেক সময় ধরে ব্যায়াম করা যেতে পারে ।

    তবে এখন প্রশ্ন হলো– কতটুকু লবণ খাবেন বা কখন খাবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে,  ব্যায়াম করার আগে একচিমটে লবণ বা লবণ মিশ্রিত জল খেলে তা বেশী কার্যকর। ব্যায়াম করার আগে লবণ খাওয়ার কয়েকটি প্রধান কারণ হল-

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    ১) যেহেতু লবণ শরীরে লবণ ধরে রাখতে পারে তার জন্য ব্যায়াম করার সময়ে ঘাম ঝড়লেও শরীরে জলের শূন্যতা হয় না।

    ২) লবণ শরীরে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। ফলে ব্যায়াম করার সময়ে হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    ৩) ব্যায়াম করার সময়ে পেশীতে ব্যথা হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়।

    ৪) লবণ শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে এনার্জি থাকার ফলে অনেক সময় ধরে ব্যায়াম করা যায়। 

    ৫) লবণ যেহেতু রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরে জল ধরে রাখার পক্ষেও সহায়ক, সেই কারণে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

    ৬) ব্যায়াম করার সময়ে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে লবণ ফলে ব্যায়াম করার সময়ে এনার্জির কমতি হয় না।

    ৭) রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকায় হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকে। ব্যায়াম করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

    ৮) লবণ খাওয়ার ফলে ব্যায়াম করার সময় ক্লান্তি কম হয়, তাই দেহের ধৈর্যশক্তিও বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম করা যায় ও ওজনও কমানো যায়।

    আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের এই ৫ ফল যা খেলে কমতে পারে ওজন, দেখুন

     

LinkedIn
Share