Blog

  • Foreign Universities: বিশ্বমানের শিক্ষা পাবেন পড়ুয়ারা! মুম্বইয়ে ক্যাম্পাস খুলছে ৫ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়

    Foreign Universities: বিশ্বমানের শিক্ষা পাবেন পড়ুয়ারা! মুম্বইয়ে ক্যাম্পাস খুলছে ৫ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা ভারতীয় পড়ুয়ারা পাবে দেশেই—এমনই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করল উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় (Foreign Universities) এবার ক্যাম্পাস তৈরি করতে চলেছে মুম্বইয়ে। এমনই ঘোষণা হল একটি সেমিনারে, যার পোশাকি নাম ছিল Mumbai Rising: Creating an International Educational City। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তে ভারতকে একটি বিশ্বমানের শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে, যার সূচনা হতে চলেছে মুম্বই দিয়ে।

    কোন পাঁচ বিশবিদ্যালয় (Foreign Universities)?

    জানা গিয়েছে, এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় হল—

    ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক

    ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবেরডিন

    ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া

    ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

    ইনস্টিটিউট অফ ইউরোপীয় ডিজাইন (ইতালি)

    জানা গিয়েছে, এই প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (Foreign Universities) শাখা খুলবে নভি মুম্বই এবং মুম্বইয়ে। অন্যদিকে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটির শাখা মুম্বইয়ের পাশাপাশি খোলা হবে চেন্নাইতেও।

    কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান?

    ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী (NEP 2020) ধর্মেন্দ্র প্রধান এ নিয়ে বলেন, এটি একটি মাইলস্টোন। তাঁর মতে, এটি সম্ভব হচ্ছে আমাদের সংকল্পের জন্যই। কারণ, এই সরকার সর্বদাই যুবসমাজ এবং যুবদের শাসন ও উন্নয়নের দিকেই লক্ষ রেখেছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী ভারত এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে। তিনি বলেন, এই কারণেই বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে তাদের ক্যাম্পাস স্থাপন করতে চাইছে এবং এখানেই বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে আগ্রহী।

    কী বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী?

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তাঁর মতে, এই শিক্ষানীতির (Foreign Universities) ফলেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে আসতে উৎসাহিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতীয় পড়ুয়ারা যথেষ্ট উপকৃত হবে এবং তাঁরা বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হবেন।

  • Israel: চলবে অভিযান, তেহরানের আকাশে থাকবে শুধু ইজরায়েলের বিমান, ইরানকে হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    Israel: চলবে অভিযান, তেহরানের আকাশে থাকবে শুধু ইজরায়েলের বিমান, ইরানকে হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক অভিযান চলবেই—শনিবার এক ভিডিও বার্তায় এমন হুঁশিয়ারি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইজরায়েল (Israel), ইরানের প্রতিটি স্থান ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে তেহরানের আকাশে শুধুমাত্র ইজরায়েলের যুদ্ধবিমানই দেখা যাবে।

    কল্পনার বাইরে আঘাত হানবে ইজরায়েল, ইরানকে চরম হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর (Israel)

    তিনি (Benjamin Netanyahu) বলেন, “আমরা আয়াতুল্লাহদের শাসনের প্রতিটি ঘাঁটি ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানব।” ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা কেন প্রয়োজন—তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আজ ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরেও স্বাধীনতা রক্ষা করছে। আমরা এমন এক অত্যাচারী ইরানি শাসনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়, পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নিজেদের রক্ষা করে আমরা অন্যদেরও রক্ষা করছি—আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোকে, ইউরোপকে এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও, যারা সবসময় আমাদের প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে। এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন।”

    অসামরিক এলাকাতে হামলা চালাচ্ছে ইরান, অভিযোগ ইজরায়েলের

    নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে ইরানের সরকার আমাদের অসামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে (Israel)। কিন্তু আমরা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করছি। তারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, আমেরিকার দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছে, বেইরুটে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনকে সালে বহ হত্যা করেছে, এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার আমেরিকানকে হত্যা করেছে।”

    দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন ইরানের নেতারা!

    ভিডিও বার্তার ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তেহরানের আকাশে আমাদের বিমানবাহিনীর পাইলটরা এমন আঘাত হানবে, যা কল্পনারও বাইরে।” তিনি (Benjamin Netanyahu) আরও দাবি করেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট তথ্য আছে—ইরানের নেতারা দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছেন, কারণ তারা বুঝতে পারছেন কী ঘটতে চলেছে।”

  • PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত তিনি সাইপ্রাস, কানাডা এবং ক্রোয়েশিয়া সফর করবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য—কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সাইপ্রাস ও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা।

    প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন

    বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়া পৌঁছাবেন। এই দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডিসের আমন্ত্রণে এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতেও যোগদান করবেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে (Operation Sindoor), ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়াও এই সফর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন কানাডা

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন কানাডা। ১৬ ও ১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস শহরে আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে তিনি অংশ নেবেন। খালিস্তান-সংক্রান্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণেই তিনি সেদেশে যাচ্ছেন। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকেই ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

    প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন

    ১৭ জুন কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) রওনা হবেন ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। তিনিই হতে চলেছেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের সময় মোদি ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

  • Formal Job Market: মে মাসে ভারতে চাকরির বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ, বলছে রিপোর্ট

    Formal Job Market: মে মাসে ভারতে চাকরির বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে এ দেশে চাকরি (Formal Job Market) ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৮ মাসের চাকরির বাজারে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, সেদিক থেকে দেখতে গেলে মে মাসে এই বৃদ্ধি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারির আগের তুলনায় চাকরির যে বাজার ছিল, তার থেকেও আশি শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান বাজার, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। এনিয়ে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে একটি চাকরি সংক্রান্ত পোর্টাল ‘ইনডিড’।

    অন্যান্য দেশের থেকে এগিয়ে ভারত (Formal Job Market)

    জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ে এদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগও বেড়েছে চাকরির ক্ষেত্রে এবং তা প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে বাড়ছে (Formal Job Market)। এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যাচ্ছে কর্নাটক এবং তেলঙ্গানায়। প্রাক-করোনা পর্বের তুলনায় চাকরির বাজার ৮০ শতাংশ এই বৃদ্ধি কেবল ভারতের ক্ষেত্রেই হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে এক্ষেত্রে। ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ডের মতো বেশ কয়েকটি দেশে চাকরির বাজার বর্তমানে কমই দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, করোনা অতিমারির আগে এই দেশগুলোতে যে চাকরির বাজার ছিল, বর্তমানে সেই তুলনায় কোনও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু তুলনা করলে ভারতের চাকরির বাজার খুবই ভালো (India)।

    বিগত তিন মাসে যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে চাকরি বেড়েছে, সেগুলি হল-

    চাইল্ড কেয়ার সেক্টরে ২৭ শতাংশ,
    পার্সোনাল কেয়ার অ্যান্ড হোম হেলথ, এই সেক্টরে ২৫ শতাংশ
    এডুকেশন বা শিক্ষাক্ষেত্রে, ২৪ শতাংশ
    উৎপাদন ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ

    অন্যদিকে সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও বেশ ভালোই চাকরির সুযোগ দেখা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় (India) চাকরি করেন সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার (Formal Job Market)

    অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Formal Job Market) ব্যবহার চাকরি ক্ষেত্রে যে রাজ্যগুলিতে বেড়েছে, সেগুলি হল তেলঙ্গানা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র। তেলেঙ্গনায় ২.৩ শতাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে ১ শতাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উল্লেখ করা হয়েছে ও কর্নাটকে ২.৪% চাকরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উল্লেখ করা হচ্ছে।

  • Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

    Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের মরশুম! তীব্র গরম রাজ্য জুড়ে। তাপমাত্রার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে বাঙালির রসনাতৃপ্তির উপকরণ রয়েছে! পাকা আমের (Mango) মিষ্টি সুবাসে মন ভালো হয় না, এমন বাঙালি প্রায় নেই। গরমকালের যাবতীয় কষ্ট অনেকটাই বাঙালি সহ্য করে নেন বছরের ‘সেরা’ ফলের স্বাদে! কিন্তু নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কতখানি উপকারি? বিশেষত ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কতটা বাড়তি বিপদ বাড়ায় আম (Mango Eating Risks)? আবার তরুণ প্রজন্মের একাংশ এখন স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের জন্য নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কি বাড়তি বিপদ তৈরি করছে না, এমন অনেক প্রশ্নের জেরেই আম খাওয়া নিয়ে ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মরশুমের এই ফল নিয়মিত খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের খেয়াল না রাখলে বিপদ বাড়বে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম কতখানি বিপদ বাড়াতে পারে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে (Mango Eating Risks)। কিন্তু কিছুটা সতর্কতা নিয়ে চললে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাকা আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাকা আমে যে শর্করা থাকে, তা প্রক্রিয়াজাত নয়। অর্থাৎ, চিনি, কেক, ময়দা শরীরে যে ধরনের ক্ষতি করে, পাকা আম (Mango) তেমন ক্ষতিকারক নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে পাকা আম খেলে অসুবিধা হবে না। তবে মনে রাখা জরুরি, পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই সপ্তাহে সাতদিন একটা করে পাকা আম খেতে পারেন না। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিন এক-দু টুকরো পাকা আম খাওয়া যেতে পারে।

    পাকা আম (Mango) কি ওজন বাড়িয়ে দেয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাক আমে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই নিয়মিত অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পাকা আম খেলে ওজন বেড়ে যায়। বিশেষত যারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না, দিনের দীর্ঘ সময় বসে থাকেন, তাঁরা প্রত্যেক দিন পাকা আম খেলে খুব তাড়াতাড়ি স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আম খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলেও, নিয়মিত একাধিক পাকা‌ আম খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে ওজন বাড়ার পাশপাশি হজমের সমস্যাও হতে পারে।

    কীভাবে পাকা আম খেলে বিপদের ঝুঁকি কমবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় নজরে রাখা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিংবা ওবেসিটি আক্রান্তের ঝুঁকিও তৈরি হবে না। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে খুব হালকা খাবার খাওয়ার পরে কখনই পাকা আম খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks)। তাঁদের পরামর্শ, ভারি খাবার খাওয়ার পরে আম খেলে‌ বিপদের ঝুঁকি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব অল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার ব্যালেন্স করে খাওয়ার পরে এক থেকে দুই টুকরো পাকা আম খাওয়া যায়। এতে শরীরে বাড়তি বিপদ তৈরির ঝুঁকিও কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই খালি পেটে আম খেলে শরীরে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা থাকে। ব্যালেন্স ডায়েটের পরে আম খেলে, সেই ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থাকলে আম নিয়মিত খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিনের বেশি আম খাওয়া উচিত নয়। আর আম খেলে ভাত ও রুটির পরিমাণের ক্ষেত্রে বাড়তি সজাগ থাকা দরকার। কারণ একসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট কতখানি শরীরে পৌঁছচ্ছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গরমে অনেকেই শারীরিক কসরত নিয়মিত করেন না। স্থূলতার সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই আমের স্বাদ পেতে চাইলে শারীরিক কসরত নিয়মিত করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যালোরি বার্নের দিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, শারীরিক কসরত করলে আম (Mango) খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম হবে। ডায়বেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 380: ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    Ramakrishna 380: ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    তুমি ঠাকুর আমি ভক্ত। এটি ভক্তের ভাব- এ আমি ভক্তির আমি। কেন ভক্তির আমি রাখে? তার মানে আছে। আমি তো যাবার নয়, তবে থাক শালা, দাস আমি, ভক্তির আমি হয়ে।

    হাজার বিচার কর, আমি যায় না। আমি রূপ কুম্ভ, ব্রহ্ম যেন সমুদ্র। জলে জল। কুম্ভের ভিতরে বাহিরে জল। জলে জল। তবু কুম্ভ তো আছে। ওইটি ভক্তের আমির স্বরূপ। যতক্ষণ কুম্ভ আছে, আমি তুমি আছে। তুমি ঠাকুর, আমি ভক্ত। তুমি প্রভু, আমি দাস, এও আছে। হাজার বিচার কর, এ ছাড়বার জো নাই। কুম্ভ না থাকলে তখন সে এক কথা।

    (ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ)

    নরেন্দ্র আসিয়া প্রণাম করিয়া বসিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্রের সঙ্গে কথা কহিতেছেন। কথা কহিতে কহিতে মেঝেতে আসিয়া বসিলেন। মেঝেতে মাদুর পাতা। এতক্ষণে ঘর লোকে পরিপূর্ণ হইয়াছে। ভক্তেরাও আছেন। বাহিরের লোকও আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর প্রতি) ভালো আছিস? তুই নাকি গিরিশ ঘোষের ওখানে প্রায়ই যাস।

    নরেন্দ্র- আজ্ঞে হ্যাঁ মাঝে মাঝে যাই।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) নিকট গিরিশ কয়েক মাস হল নতুন আসা-যাওয়া করিতেছেন। ঠাকুর বলেন, গিরিশের বিশ্বাস আঁকড়ে পাওয়া। যেমন বিশ্বাস তেমনি অনুরাগ। বাড়িতে ঠাকুরের (Kathamrita) চিন্তায় সর্বদা মাতোয়ারা হয়ে থাকেন।

    নরেন্দ্র প্রায় যান। হরিপদ, দেবেন্দ্র ও অনেক ভক্ত তাঁর বাড়িতে প্রায় যান। গিরিশ তাঁদের সঙ্গে কেবল ঠাকুরের কথাই কন। গিরিশ সংসারে থাকেন কিন্তু ঠাকুর দেখিতেছেন নরেন্দ্র সংসারে থাকিবেন না। কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ করিবেন। ঠাকুর নরেন্দ্র সহিত কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- তুই গিরিশ ঘোষের ওখানে বেশি যাস?

    কিন্তু রসুনের বাটি যত ধোয় না কেন? গন্ধ একটু থাকবেই। ছোকরারা শুদ্ধ আধার কামিনী কাঞ্চন স্পর্শ করে নাই। অনেকদিন ধরে কামিনী কাঞ্চন ঘাঁটলে রসুনের গন্ধ হয়। যেমন কাকে ঠোকরানো আম। ঠাকুরদের দেওয়া যায় না। নিজেরও সন্দেহ। নতুন হাড়ি আর দই পাতা হাঁড়ি। দই পাতা হাঁড়িতে দুধ রাখতে ভয় হয়। প্রায় দুধ নষ্ট হয়ে যায়। ওরা থাক আলাদা যোগ আছে। ভোগও আছে। যেমন রাবণের ভাব। নাগকন্যা, দেবকন্যা নেবে। রামকেও লাভ করবে। অসুররা নানা ভোগও করছে। আবার নারায়ণকেও লাভ করছে।

  • Daily Horoscope 15 June 2025: বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 15 June 2025: বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে লক্ষণীয় কোনও পরিবর্তন না ঘটলেও সামান্য আয় বৃদ্ধি।

    ২) নতুন কোনও যোগাযোগ উৎসাহিত করবে।

    ৩) বন্ধুসঙ্গ প্রীতি বৃদ্ধি।

    বৃষ

    ১) দৈহিক অস্বস্তি ও মানসিক চাপ দিনের অধিকাংশ সময়কে বিব্রত করে তুলবে।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র কিছুটা উদ্দীপনা বৃদ্ধি করবে।

    ৩) পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা সাময়িক মানসিক শান্তি নষ্ট করবে।

    মিথুন

    ১) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র উৎসাহ বৃদ্ধি করবে।

    ২) উদ্বেগের মধ্যে কোনও সুযোগ লাভ।

    ৩) অপ্রত্যাশিত সামান্য কিছু অর্থ লাভ।

    কর্কট

    ১) ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়বে নিঃসন্দেহে।

    ২) কিছু উটকো পয়সা হাতে আসবে।

    ৩) শারীরিক দিক থেকে অস্বস্তি বোধ করবেন।

    সিংহ

    ১) গৃহে শান্তির অভাব ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে।

    ২) পুরনো বন্ধুস্থানীয়ের সাথে যোগাযোগ ও কোনও গুণের জন্য সম্মানিত হবেন।

    ৩) কোনও শুভাশুভ কর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে যাবেন।

    কন্যা

    ১) টুকটাক অর্থ হাতে আসবে।

    ২) উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে সামান্য আর্থিক উন্নতি ও অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসবে।

    ৩) শরীর কিছুটা গোলমাল করবে। কোনও ব্যাপারে ক্ষণস্থায়ী মতবিরোধ জনিত অশান্তি ভোগ করবেন।

    তুলা

    ১) আর্থিকটান থাকলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র চলনসই।

    ৩) দূর আত্মীয়ের সম্পর্কে উৎকণ্ঠা কিংবা তাদের কোনও অশুভ সংবাদ পেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রবল ভাবে মানসিক চঞ্চলতা দেখা দেবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র পূর্বের তুলনায় চিন্তামুক্ত ও নতুন যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে।

    ধনু

    ১) কোনও ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি ও মানসিক শান্তি নষ্ট করব।

    ২) বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন।

    ৩) গৃহে আত্মীয়ের আগমন ও পরিচিতের গৃহে নিমন্ত্রিত হতে পারেন।

    মকর

    ১) অবাঞ্ছিত কোনও ঘটনা মানসিক আনন্দ নষ্ট করবে।

    ২) কোনও গুণের জন্য সম্মানলাভ করবেন।

    ৩) দেবালয় ভ্রমণ হবে। কোনও দ্রব্য অথবা অযাচিত কিছু অর্থ লাভ হবে।

    কুম্ভ

    ১) গৃহে আত্মীয়ের আগমন অযথা ব্যয় বৃদ্ধি করবে।

    ২) কোনও তীর্থ বা নিকট ভ্রমণ হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় মনোভাব ও আধ্যাত্মিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) গৃহে শান্তির অভাব ও কারও সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে।

    ২) পুরনো কোনও বন্ধু স্থানীয় ব্যক্তির সাথে হঠাৎ যোগাযোগ হবে।

    ৩) কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজেপি সরকার। এতদিন পুলিশ যেসব উর্দু ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করত, সেগুলির পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হবে হিন্দি শব্দ। সাধারণ মানুষ যাতে অনায়াসে শব্দের অর্থ বুঝতে পারেন, তাই এই পরিবর্তন।

    শব্দ বদল (Chhattisgarh)

    সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নির্দেশে পুলিশের ডিজি (DGP) রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে পুলিশ সুপারদের বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়ের বা অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা আরও সহজ-সরল এবং বোধগম্য করতে। এই চিঠির সঙ্গে ১০৯টি শব্দের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরানো ও কঠিন শব্দগুলির বদলে প্রস্তাবিত হিন্দি বিকল্প শব্দ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘হলফনামা’র পরিবর্তে এবার থেকে লিখতে হবে ‘শপথপত্র’, ‘দফা’র বদলে ধারা। ‘ফরিয়াদি’র পরিবর্তে ‘অভিযোগকারী’ লিখতে হবে, আবার ‘চশ্মদীদ’ শব্দের বদলে লিখতে হবে ‘প্রত্যক্ষদর্শী’।

    কী বলছেন উপমুখ্যমন্ত্রী

    ছত্রিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “যখন কোনও সাধারণ মানুষ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে যান কিংবা অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য বা অন্য কোনও কাজে যান, তখন তিনি প্রায়ই এফআইআর বা পুলিশের অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। পুলিশের নথিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভাষার শব্দ আমজনতার কাছে অপরিচিত হওয়ায়, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য ঠিকঠাক বোঝাতে পারেন না এবং পুরো প্রক্রিয়াটাও ভালোভাবে বুঝতে পারেন না।” তিনি বলেন, “পুলিশের উদ্দেশ্য যদি সাধারণ মানুষের সাহায্য ও সুরক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যবহৃত ভাষাও এমন হওয়া উচিত যাতে আমজনতা তা অনায়াসে বুঝতে পারেন এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে (Chhattisgarh)।”

    ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে এই পরিবর্তন সম্পর্কে সব অধস্তন কর্তাদের সচেতন করতে হবে এবং এও নিশ্চিত করতে হবে যে এই নির্দেশ যেন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা হয়ে না থাকে, বরং তার বাস্তব প্রয়োগ প্রতিটি পুলিশ চৌকি, থানা এবং রাজ্যের অফিসে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ছত্তিশগড় পুলিশ (DGP) এখন থেকে শুধুই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করবে (Chhattisgarh)।

  • WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৯৯৯! বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে জুটেছিল চোকার্স তকমা। সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই তা মুছল দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, জ্যাক কালিস, এবি ডিভিলিয়ার্সেরা যা পারেননি, তা করলেন টেম্বা বাভুমা, এডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাডারা। ২৭ বছর পর আরও এক বার আইসিসি ট্রফি জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সাড়ে তিন দশক পর টেস্ট ক্রিকেটের সিংহাসনে বসল তারা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর কোনও আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলল প্রোটিয়ারা।

    মার্করাম-বাভুমার লড়াকু ইনিংস

    এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য দেয়। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ২১২ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রান করে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৩৮ রানেই সব উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড পেলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এখান থেকে ক্রিজ ধরে রাখেন এইডেন মার্করাম এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় উইকেটে দুজনের মধ্যে ১৪৭ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। মার্করাম ১০১ বলে ১১টি চারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বাভুমা ৬৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। তারপর এই জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। লর্ডসে ইতিহাস গড়ে এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারালো প্রোটিয়ারা। ব্যর্থ হল না বাভুমা এবং মার্করামের লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নজির গড়লেন টেম্বা বাভুমা। জয়ের নিরিখে অপরাজিত থেকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি। বাভুমার নেতৃত্বে ফাইনাল সহ ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ৯টি জয় ও ১টি ড্র করেছে প্রোটিয়ারা।

    বহু অপেক্ষার ফল

    দ্বিতীয় ইনিংসে কামিন্স, স্টার্ক, হেজলউডদের তেমন সুযোগ দিলেন না বাভুমা ও মার্করাম। উল্টে যত সময় গড়াল তত কাঁধ ঝুঁলে গেল কামিন্সদের। নইলে কেন এত রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লেন অসি অধিনায়ক। যেখানে উইকেট তোলা ছাড়া গতি নেই সেখানে বাউন্ডারিতে ফিল্ডার রাখলেন। বোঝা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথে বিলম্ব করা ছাড়া আর কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। হার মেনে নিয়েই বোধহয় চতুর্থ দিন খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের শরীরী ভাষা সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তাই কামিন্স, স্টার্কেরা একক দক্ষতায় উইকেট তুললেও তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকাতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স, মুখে তৃপ্তির হাসি প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেমি স্মিথের। বোঝা যাচ্ছিল এই জয় যে তাদের কাছে বহু অপেক্ষার ফল। অধরা মাধুরী স্পর্শ করার আনন্দ।

  • Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অদূর ভবিষ্যতে পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে রেল!  রেল মন্ত্রকের (Indian Railways) অধীনস্থ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), বিশেষ কয়েকটি রেল প্রকল্পে এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। এই উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে আরভিএনএল। জানা যাচ্ছে, রেল প্রকল্পের জন্য রুশ পারমাণবিক শক্তি (Nuclear Reactor) সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ভারতীয় রেলের। এই রেল প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রসাটোম সংস্থা ছোট পরমাণু চুল্লি বা স্মল মডিউলার রিঅ্যাকটর (SMR) নির্মাণ করবে। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্পের জন্য এই রিঅ্যাক্টর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন?

    কিন্তু এই ধরনের এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন? আসলে এসএমআর হল একটি উন্নত প্রযুক্তির পরমাণু চুল্লি, যা প্রতিটি ইউনিটে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এর অন্যতম বড় সুবিধা হল, এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অনেক উন্নত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেলের মতো বৃহৎ পরিবহণ ব্যবস্থাকে কার্বনমুক্ত করার পথে বড় পদক্ষেপ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণভাবে কার্বন-মুক্ত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে এসএমআর-এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে (Indian Railways)।

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্মকর্তা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বা মেগা প্রকল্পগুলিতে জ্বালানির যে বিপুল চাহিদা থাকে, তা পূরণ করতে স্বল্প জায়গার মধ্যে এসএমআর গড়ে তোলা হয়। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের (Indian Railways) মূল লক্ষ্য হল, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরমাণু শক্তির মতো বিকল্প শক্তির উৎসকে কাজে লাগানো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এসএমআর-এর মতো প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা ঘোষণা করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমাণবিক শক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়ানো।

    লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) কার্বনমুক্ত করা

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রসাটোমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে (Nuclear Reactor) পরমাণু শক্তির ব্যবহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে কার্বনমুক্ত করা যায়। এসএমআর একটি অত্যাধুনিক পরমাণু রিঅ্যাকটর, যা প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে কম জায়গার প্রয়োজন হয় বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।

    পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে

    যদিও পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ান দূতাবাসের শীর্ষ আধিকারিকরাও ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি, এই চারটি প্রকল্পের জন্য নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রসাটোম সংস্থা মোট ৮টি রিঅ্যাকটর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।

    রেল বিকাশ নিগমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার সংস্থা ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা রেলওয়ে ট্রাকশনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি রেললাইনের জন্য এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হবে।” তিনি এও জানান, ট্রেন পরিচালনার জন্য বহু সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে এবং সেইসঙ্গে ট্রান্সমিশন লাইন বসানোর প্রয়োজন হবে। প্রতিটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন

    প্রসঙ্গত, এই চারটি প্রকল্পকে নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর রেল প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন। উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা বলা হয়। এই মিশনের আওতায় ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টর (SMR) এবং গবেষণা ও উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই মিশনের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে ৫টি এসএমআর নির্মাণ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণ হলে ভারত পারমাণবিক শক্তি মিশনে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share