Blog

  • Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    Wazahat Khan: অসম-হরিয়ানা পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতেই গ্রেফতার ওয়াজাহাতকে? মমতাকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্বেষ ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ওয়াজাহাত খানকে (Wazahat Khan) গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওয়াজাহাত খান নামক ব্যক্তিই পুণের আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গল্ফ গ্রিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৯ জুন, ২০২৫) আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। তাকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    পুলিশের জালে ওয়াজাহাত

    কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বিএনএসের ১৯৬(১)(এ)/২৯৯/৩৫২/৩৫৩(১)(সি) ধারায় ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুণেতে আইন পাঠরত ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে (Sharmistha Panoli) ওয়াজাহাতের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশ গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনেছিলেন ওয়াজাহাত। এবার সেই একই অভিযোগে ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হল। ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতায়। মামলাকারীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবী, ঐতিহ্য এবং সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অবমাননাকর, উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন ওয়াজাহাত।

    অমিত মালব্যর টুইট

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ওয়াজাহাতের (Wazahat Khan) গ্রেফতারি নিয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই নিশানা করেছেন। সোমবার, তিনি এক্স- হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ ওয়াজাহাতকে তার অপরাধের জন্য গ্রেফতার করেনি… তাকে নীরবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, কারণ অসম ও হরিয়ানা পুলিশ, হিন্দুদের নিশানা করে ওয়াজাহাতের আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর করেছে।’’ মালব্য আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে পারেননি, তেমনি তিনি ওয়াজাহাত খানকেও বাঁচাতে পারবেন না। ন্যায়বিচার হবে এবং আইনের জয় হবে। যারা ঘৃণা ছড়ায় তাদের কোনও রাজনৈতিক সুরক্ষা রক্ষা করতে পারবে না।’’

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে বটবৃক্ষের (Banyan Tree) অপার মহিমা বলা হয়েছে। এই গাছ ত্রিমূর্তি, বাকলের মধ্যে বিষ্ণু, মূলে ব্রহ্মা এবং শাখায় শিবের প্রতীক। এই গাছটি দীর্ঘকাল নবায়নযোগ্য থাকে, তাই একে ‘অক্ষয়বত’ও বলা হয়। সৌভাগ্যবতীর বর পাওয়ার পাশাপাশি এই বটগাছটি স্বাস্থ্যের জন্যও পুজো করা হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রত ২০২৫ (Vat Purnima Vrat 2025) তিথি ও পুজোর সময়

    আজ, মঙ্গলবার ১০ জুন, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে বট পূর্ণিমা ব্রত। এদিন পূর্ণিমা (Vat Purnima) তিথি সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১১ জুন (বুধবার) দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১০ জুন উপবাস পালন করা হবে এবং ১১ জুন স্নান এবং দান করা হবে। উপবাসের দিনে পুজোর শুভ সময়: বট পুজো মুহূর্ত: সকাল ৮টা ৫২ মিনিট থেকে দুপুর ২টো ০৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নান ও দানের সময়: ভোর ৪টে ০২ মিনিট থেকে ৪টে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। চন্দ্রোদয়: সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) তাৎপর্য

    এই উৎসবটি বিশেষ করে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাটে ভক্তির সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা ষোলটি সাজের পর বটবৃক্ষের পুজো করেন। হিন্দু মতে, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিবাহিত মহিলারা বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat) পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে বহু ব্রত পালেনর উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে এই ব্রত অন্যতম। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এই ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পালন করা হয়। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস রাখার নিয়ম রয়েছে এবং পূর্ণিমা তিথিতেই চাঁদের পুজো করা হয়। যে মহিলা ৭ বার বটবৃক্ষ প্রদক্ষিণ করে মৌলি বাঁধেন, তিনি ৭ জন্মের পবিত্র বৈবাহিক বন্ধনের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। এই দিনে বিবাহিত মহিলাদের শৃঙ্গারের জিনিসপত্র দান করলেও পুণ্য ফল লাভ হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু পুরাণ যেমন ভবিষ্যপুরাণ, স্কন্দপুরাণ এবং মহাভারতে বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, নরকের অধিপতি যম যখন সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানকে নিতে এসেছিলেন, সেই সময় স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিতে যমকে কাতর অনুরোধ করেছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু অপারগ যম সাবিত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, কঠিন ব্রত ও উপবাসের মধ্যে দিয়ে স্বামীর প্রতি নিষ্ঠা পরিবেশন করলে তিনি সত্যবানের জীবন ফিরিয়ে দেবেন। সাবিত্রীর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে সত্যবানকে সঙ্গে না নিয়ে ফিরে যান মৃত্যুর দেবতা যম। এই দিন, মহিলারা বটবৃক্ষ গাছকে (Banyan Tree) উপাসনা করেন। তার কারণ হিন্দু মতে, বটবৃক্ষ আদতে ত্রিমূর্তি-ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের প্রতীক। তাই সারাদিন উপবাস রেখে বটবৃক্ষকে পুজো করে স্বামীর জীবনরক্ষার জন্য ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা।

    বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পুজো বিধি

    – সূর্যোদয়ের আগে মহিলারা জলের মধ্যে তিল ও আমলা দিয়ে স্নান সেরে নতুন পোশাক, চুরি, টিপ, সিঁদুর পরেন।

    – এইদিন মহিলারা উপবাস রাখেন। খাবার হিসেবে ফলের শিকড়, সবজির মূল খেয়ে থাকেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) দিন বটগাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। তবে বট গাছ না পাওয়া যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে বটগাছের একটি ডালকেও পুজো করা হয়ে থাকে। যদি তাও না পাওয়া যায় তাহলে একটি কাঠের প্রতিকৃতিতে হলুদ ও চন্দন দিয়ে সাজিয়ে পুজো করার নিয়ম রয়েছে।

    -পুজোর সময় জল, ফুল, চাল, ছোলা বীজ, সুতো এবং বাড়িতে তৈরি বিশেষ খাবার বটগাছের তলায় রেখে দেবতাদের অর্পণ করা হয়।

    – মহিলারা এদিন বটগাছে চারপাশে ৭ বার হলুদ ও লাল সুতো দিয়ে জড়িয়ে পরিক্রমা করেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima Vrat 2025) দিন সাবিত্রী সত্যবানের ব্রতকথা পাঠ করেন বিবাহিত মহিলারা।

    – এই দিন স্বামীর মঙ্গল কামনায় কিছু খাবার, টাকা-পয়সা, বস্ত্র দুঃস্থদের দান করা হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

  • Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

    Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- তুই একটু গান গা

    নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন

    চিদানন্দ সিন্ধুনীর প্রেমানন্দের লহরী
    মহাভাবিক রাসলীলা কী মাধুরী মরি মরি,
    বিবিধ বিলাস রঙ্গপ্রসঙ্গ কত অভিনব ভাব তরঙ্গ,
    ডুবিছে উঠেছে করিছে রঙ্গ নবীন রুপ ধরি।

    (হরি হরি বলে)
    মহাযোগে সমুদায় একাকার হইল।
    বেশ কাল ব্যবধান ভেদাভেদ ঘুছিল
    (আশা পুরিল রে আমার সকল সাধ মিটে গেল)
    এখন আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি।

    নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, মহাযোগে সব একাকার হইল। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলিতেছেন- এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয় তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা।

    নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিতেছেন- ওইটি দুবার করে বল।
    গান হইয়া গেলে আবার ভক্তর সঙ্গে কথা হইতেছে।

    গিরিশ- দেবেন্দ্রবাবু আসেন নাই। তিনি অভিমান করে বললেন, আমাদের ভেতরে এত ক্ষীরের পোর নাই কলাইয়ের পোর আমরা এসে কি করব।

    শ্রী রামকৃষ্ণ বিস্মিত হইয়া- কই আগে তো উনি ওরকম করতেন না।

    ঠাকুর জলসেবা করিতেছেন, নরেন্দ্রকেও খাইতে দিলেন

    যতীনদেব- (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- নরেন্দ্র খাও, নরেন্দ্র খাও বলছেন। আমরা শালারা ভেসে এসেছি।

    যতীনকে ঠাকুর খুব ভালোবাসেন (Kathamrita)
    । তিনি দক্ষিণেশ্বরে গিয়া মাঝে মাঝে দর্শন করেন। কখনও কখনও রাত্রে সেখানে গিয়ে থাকেন। তিনি শোভাবাজারের রাজাদের বাড়ির (রাধাকান্ত দেব বাড়ির) ছেলে।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি সহাস্য)- ওরে যতীন তোর কথাই বলছে।

    ঠাকুর হাসিতে হাসিতে যতীনের থুতি ধরে আদর করিতে করিতে বলিলেন, সেখানে যা, গিয়ে খাস অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে যাস। ঠাকুর আবার বিবাহ বিভ্রাট অভিনয় শুনবেন। বক্সে গিয়ে বসলেন। ঝির কথাবার্তা শুনে হাসিতে লাগিলেন।

  • Daily Horoscope 10 June 2025: মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 10 June 2025: মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

  • PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সুদৃঢ়, এমনটাই বিশ্বাস করে দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ বিষয়ে জনগণের আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৫ সালের ৬ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষায় ১৪,৬৭১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৮.০৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।

    মোদির প্রতি আস্থা

    এই সমীক্ষার পটভূমি ছিল ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আস্তানায় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে দেবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে যুদ্ধপদ্ধতি নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই সমীক্ষা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতকে সপাটে বাউন্ডারির বাইরে পঠিয়ে দিয়েছে।

    রাহুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ‘নরেন্দ্র সারেন্ডার’ মন্তব্য করেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে, সমীক্ষায় ৮৭.৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই মন্তব্যকে অশোভনীয় বলে অভিহিত করেন, যা রাহুলের বক্তব্যের প্রতি জনমতের অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুরুর দিকে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও একপ্রকার আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনমত মোদির সঙ্গে

    রাহুলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বললেন, “মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশের বিরোধী দলনেতা নন। উনি আইএসআইয়ের সদস্য। পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।” বিজেপির অভিযোগ, রাহুল যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সেই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে ভারত বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের আস্থার প্রতিফলন। এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

  • Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    Israel: প্যালেস্টাইনমুখী নৌকাকে আটক করল ইজরায়েল,কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইজরায়েলি (Israel) বাহিনী সোমবার ভোররাতে প্যালেস্টাইনমুখী একটি নৌকাকে আটক করে। নৌকাটিতে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং ফরাসি ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসানসহ আরও ১২ জন। ‘ম্যাডলিন’ নামের ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকাটি ৬ জুন সিসিলি থেকে রওনা হয় এবং প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল।

    কেন আটক

    ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নৌকাটিতে থাকা সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের পানীয় জল ও খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ইজরায়েলি নৌবাহিনী প্রথমে ম্যাডলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জাহাজটিকে গতিপথ পরিবর্তন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজা ভূখণ্ডে হামাস যাতে অস্ত্র আমদানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ অবরোধ চলছে। সেই অবরোধ ভাঙতে কাউকে অনুমতি দেবে না ইজরায়েল। এদিকে সেই অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার মিশন নিয়ে ইতালির সিসিলি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ। গাজা ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন করাও এই যাত্রার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ইজরায়েল পুরো উদ্যোগটিকে “মিডিয়া প্ররোচনা” হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইজরায়েলি বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যে পরিমাণ ত্রাণ ওই নৌকায় ছিল, তা দিয়ে একটা ট্রাকও ভরত না। তাদের স্পষ্ট কথা, ত্রাণ পৌঁছতে হলে ইজরায়েলের নির্ধারিত রুট দিয়েই পাঠাতে হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল

    মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় চলমান মানবিক সংকটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এর আগেও প্যালেস্তাইনমুখী একটি নৌকা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই ইজরায়েল ও মিশর অঞ্চলটিতে কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘ধীরে ধীরে ওই নৌকা ইজরায়েলের দিকে এগোচ্ছিল। নৌকায় থাকা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের শীঘ্রই নিজেদের দেশে ফেরানো হবে। আপাতত ওঁদের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ!’’ ওই নৌকায় থাকা সকলকে শুকনো খাবার এবং জলও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক।

  • BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে বিএসএফের (BSF) উর্দি রং। দ্রুতই বিএসএফ জওয়ানদের গায়ে উঠবে নয়া ডিজিটাল ক্যামাফ্লেজ প্যাটার্নের ইউনিফর্ম। নতুন পোশাক (Uniforms) এতটাই ইউনিক হবে যে এর নকল করা প্রায় অসম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গল এলাকায় গাছের রংয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রায় অদৃশ্য হয়ে থাকার পাশাপাশি জঙ্গি কিংবা দুষ্কৃতীরা যাতে বিএসএফের পোশাককে নকল করতে না পারে, তাই এই নয়া ইউনিফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

    বিএসএফের নকল পোশাক পরে সন্ত্রাস (BSF)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং তারও আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, জঙ্গিরা বিএসএফের নকল পোশাক পরে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাজ হাসিল করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে। অনেক ট্যুরিস্ট স্পটেও দেখা যায়, প্রকাশ্যেই বিকোচ্ছে বিএসএফের ইউনিফর্মের মতো নকল পোশাক। সেই প্রবণতা রুখতেই এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এমন এক পোশাক নিয়ে এল, যাতে ডিজিটাল প্রিন্টের জটিল পিক্সেল ও বহু রং ব্যবহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, নয়া এই পোশাক নকল করা দুঃসাধ্য। কারণ এতে ফ্যাব্রিক, রং, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং গোপন কারিকুরি ব্যবহার করা হয়েছে, যা জঙ্গিদের পক্ষে জানা অসম্ভব। পোশাকটি বানিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। নয়া এই উর্দি আগের চেয়ে হালকা, সবুজ ও অলিভ রংয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এই পোশাক পরে জওয়ানরা যাতে সব আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।

    উর্দির কপিরাইট সেনার

    এই পোশাকের কপিরাইট নিয়ে রেখেছে সেনা। সেনার ক্যান্টিন ছাড়া অন্য কোথাও এই পোশাক মিলবে না। কোনও সংস্থা যদি বিএসএফের এই পোশাকের মতো দেখতে পোশাক বিক্রির চেষ্টা করে, তাহলে সেনা তার বিরুদ্ধে মামলা করবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিএসএফের প্রায় ১২ লাখ জওয়ানকে এই নয়া ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পুরো বাহিনীর গায়ে উঠবে নয়া উর্দি (BSF)। এই উর্দিতে যে কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে, তা কেবল আরামদায়কই হবে না, হবে খুব মজবুতও। আগের উর্দিতে ৫০ শতাংশ সুতি এবং বাকি ৫০ শতাংশ পলিয়েস্টার থাকত। নয়া উর্দিতে এই অনুপাতটা হয়েছে ৮০ শতাংশ সুতি, ১৯ শতাংশ পলিয়েস্টার (Uniforms) এবং ১ শতাংশ স্প্যানডেক্স। তাই কাপড় আরও স্ট্রেচেবল হবে (BSF)। নতুন উর্দির রঙেও বৈচিত্র্য। এতে ৫০ শতাংশ খাকি, ৪৫ শতাংশ সবুজ ও ৫ শতাংশ বাদামি রং রয়েছে।

  • Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে তৃতীয় দিনে পড়ল মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে (Donald Trump)। রবিবার একটি ফেডারেল ভবনের বাইরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বিক্ষোভকারী দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ওই এলাকায় জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার পরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয় (Violent Mobs Riot)। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে। ব্যবহার করে অন্যান্য কম প্রাণঘাতী অস্ত্র। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার (Donald Trump)

    অশান্তির সূত্রপাত হয় শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন জোর কদমে শুরু হয় মার্কিন অভিবাসন অভিযান। অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ভবন ও আটক কেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়। কম্পটন এবং প্যারামাউন্ট এলাকায়ও বিশাল উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি হোম ডিপোর আশপাশেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার সময় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে নাগরিক অভিবাসন আইন প্রয়োগে কোনওরকম সহযোগিতা করে না। কেবল কারও অভিবাসন স্টেটাস যাচাইয়ের জন্য কাউকে আটক করার নীতিতেও বিশ্বাসী নয় তারা।

    ক্রমেই বাড়ছে হিংসা

    এদিকে, ক্রমেই হিংসা বৃদ্ধি এবং ফেডারেল কর্মী ও সম্পদের ওপর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস নর্দার্ন কমান্ডকে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২,০০০ সেনাকে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ৬০ দিনের জন্য অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের (Violent Mobs Riot) ৭৯তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ৩০০ সেনা সদস্যকে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দিচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্তারা জানান, জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে।

    ট্রাম্পের বার্তা

    অন্যদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, অবৈধ অভিবাসীদের আগ্রাসন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি যেসব গোষ্ঠীকে সহিংস ও বিদ্রোহী ভিড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) বলেন, যারা আইনসম্মত বহিষ্কার অভিযান ব্যাহত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “এক সময়ের মহান আমেরিকান শহর লস অ্যাঞ্জেলেস আজ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত ও দখলকৃত। এখন এই সহিংস, বিদ্রোহী ভিড় আমাদের ফেডারেল এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের বহিষ্কারের কর্মসূচি থামাতে চাইছে। কিন্তু এই আইনবিরোধী দাঙ্গা আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।” তিনি জানান, তিনি স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোএম, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন (Violent Mobs Riot) তাঁরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অশান্তি বন্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “অবৈধদের বিতাড়িত করা হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস মুক্ত হবে (Donald Trump)।”

    প্রসঙ্গত, রবিবারই নিউ জার্সিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার একটি ছোট্ট বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের (Violent Mobs Riot) নতুন কায়দা।” হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক ও সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে (Donald Trump)।”

LinkedIn
Share