Blog

  • Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের রেয়াসি জেলায় চেনাব নদীর ওপর নির্মিত নয়া সেতুর (Chenab Rail Bridge) উদ্বোধন করলেন তিনি। নয়া এই সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় আরও কাছাকাছি চলে এল দিল্লি এবং কাশ্মীর। চেনাব সেতু বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু। এর পাশাপাশি এদিন তিনি উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম কেবল রেলসেতু অঞ্জী ব্রিজেরও। তাঁর হাতেই ভূস্বর্গে যাত্রার সূচনা হতে চলেছে নয়া দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এরই সঙ্গে কাশ্মীরে মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    চেনাব সেতুর বিশেষত্ব (Chenab Rail Bridge)

    চেনাব নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করে, যা কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বিশ্বমানের চেনাব সেতুর ওপর দিয়ে চলবে, যা শুরুতে কাটরাকে যুক্ত করবে শ্রীনগরের সঙ্গে। চেনাব সেতুর সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য সেতুর, যে কারণে এটি বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি (Chenab Rail Bridge) এই আর্চ রেলসেতু প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু। দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। জম্মু ও শ্রীনগরের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করবে এটি। যাত্রাপথে পড়বে ৩৬টি টানেল এবং ৯৪৩টি ব্রিজ।

    ভূমিকম্পেও অটল

    সেতুটির নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্প টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। মাত্র তিন ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যাবে কাটরা থেকে শ্রীনগর। চেনাব সেতু কুতুব মিনারের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি লম্বা। এই সেতুর উচ্চতা চিনের বেপান নদীর ওপর নির্মিত ডুগ সেতুর উচ্চতার চেয়েও বেশি। চেনাব সেতু মেঘের ওপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ খিলান। সেতুর এক পাশের পিলারের উচ্চতা প্রায় ১৩১ মিটার। ছবিতে এই সেতুর উচ্চতা এমন যে এর নীচে মেঘও দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসেই সেতুটির চূড়ান্ত খিলান বন্ধ করার কাজ শেষ করেছিল (Kashmir)। নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৮ হলেও, টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। তীব্র বিস্ফোরণেও টুকরো হবে না সেতু। ১০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তারতম্যও সহ্য করতে পারবে এমনভাবেই ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল স্টিলের ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে (Chenab Rail Bridge)।

    নির্মাতাদের দাবি

    ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই অংশে সারাবছর তাপমাত্রা মারাত্মক ওঠানামা করে। যাতে ব্রিজের স্থায়িত্ব ও কাঠামো ঠিক থাকে সেই কারণে উন্নত টেকলা প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে ট্রেনগুলি ঘণ্টা প্রতি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। তবে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলতে পারবে। বিশ্বমানের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই প্রকল্পটি শেষ করতে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। হিমালয়ের প্রকৃতি, মাটির ধারণ ক্ষমতা, প্রতিকূল আবহাওয়া এসবই এই সেতু নির্মাণের সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করেই তৈরি করা হয়েছে নয়া সেতু। জানা গিয়েছে, চেনাব সেতুতে ব্যবহৃত হয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত। ঘণ্টা প্রতি ২৬৬ কিমি বেগে বাতাস বইলেও সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।

    ট্রায়াল রান শেষে উদ্বোধন

    জম্মুর কাটরা থেকে শ্রীনগরের কাউরি পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্রিজ। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজ সম্পূর্ণ হয় ২০২২ সালের মধ্যেই। তার পর থেকে এতদিন ধরে চলেছে ট্রায়াল রান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সফলভাবে এই সেতুর ওপর ট্রায়াল রান শেষ করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নয়া লাইনে এক জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাবে রেল (Chenab Rail Bridge)। এর ফলে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের নিকটবর্তী কাটরা স্টেশনে পৌঁছানো যাবে মাত্র তিন ঘণ্টায় (Kashmir)।

    জাতীয় পতাকা হাতে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেতুটির উদ্বোধন করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সেটির ওপর হাঁটতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের গতি বাড়াবে। চেনাব ও আঞ্জি সেতু দেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রতীক।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একে প্রযুক্তির বিস্ময় বলে অভিহিত করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। অবশেষে উপত্যকা (Kashmir) রেল সংযোগের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে (Chenab Rail Bridge)।”

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) বাংলার পড়ুয়াদের সংখ্যা বিপুল হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের এক রিপোর্টে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই গত শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল নেয়নি। কেন মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত বিপুল হ্রাস পেল তা নিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ‍্যে রাজ‍্যের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে একযোগে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    মিড ডে মিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর (Mid Day Meal)

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৫০ শতাংশ বাচ্চা মিড ডে মিল খাচ্ছে না। মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার ৪ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। রাজ্য খরচই করেনি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও কাগজর কাটিং-সহ আমার বক্তব্য পাঠিয়েছি। তৃণমূলের লোকেরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল চুরি করছে। ১০০ শতাংশ দেখিয়ে চাল নিচ্ছে। আর ৫০ শতাংশ চাল রান্না হচ্ছে।”

    ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে

    কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে। তথ্য বলছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ যোজনার অন্তর্গত এই প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলায় ২০২৪-২৫ সালে নথিভুক্ত আছে এমন চল্লিশ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে কোচবিহার সবচেয়ে নিচে রয়েছে। যেখানে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের সুবিধা নেয়নি ৫৪ শতাংশ পড়ুয়া।

    গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার

    এই প্রবণতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটিকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের স্কুল এবং স্বাক্ষরতা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যের মিড ডে মিলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি সংখ্যা ৪.০১ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫-২৬ সালের ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে

    ২০২৫-২৬ সালের এই ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। যা যথেষ্ঠ উদ্বেগপূর্ণ। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত প্রচেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরে পিএম পোষণের আওতায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে তা কমে ৫৮ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে।

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোন কোন জেলায় (West Bengal)

    কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ সালে পিএম পোষণ শক্তি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন পড়ুয়া। তবে এর মধ্যে মাত্র ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) সুবিধা গ্রহণ করেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে অর্ধেকের চেয়েও কম নাম নথিভুক্তকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেছে।

    তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ, কেন কমছে পড়ুয়া?

    একই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড তহবিল তছরূপের অভিযোগও নিয়ে এসেছে। একাধিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করে যে সংস্থাগুলি এবং পৌর কর্পোরেশন, একক নোডাল এজেন্সি অ্যাকাউন্টের বাইরে তহবিল জমা রাখছে। রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য যাঁরা দায়ী, সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পিএবি। নিজেদের কার্যবিবরণীতে তারা এটা উল্লেখ করেছে (West Bengal)। তবে মিড ডে মিলে এত বিপুল পরিমাণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার কমে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগের বিদ্যালয়গুলিতে ড্রপ আউটের হার ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পড়ুয়া কমার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে।

  • India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভারত ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ (India England Cricket) খেলতে গেলে সেই ট্রফি ছিল পটৌডীর নামে। প্রসঙ্গত, ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক ইফতিখর আলি খান পটৌডী এবং মনসুর আলি খান পটৌডীর নামেই ছিল এই ট্রফির নাম। তবে এবারে তা বদলে যাচ্ছে। ট্রফির নাম হচ্ছে সচিন-অ্যান্ডারসন। চলতি মাসের ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। সেই ট্রফির নাম হতে চলেছে জেমস অ্যান্ডারসন এবং সচিন তেন্ডুলকরের নামে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে।

    ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় পটৌডী ট্রফি (India England Cricket)

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের নাম হয়েছিল পটৌডী ট্রফি। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের সেটা ছিল ৭৫তম বছর। সেই উপলক্ষ্যেই পটৌডী পরিবারের দুই ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এ বার তবে সেই নাম বদলে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে (India England Cricket) এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তখনই নতুন ট্রফি দু’দেশের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের নামে করার প্রস্তাব দেয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (India England Cricket Series)।

    দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন-অ্যান্ডারসন (India England Cricket Series)

    ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। টেস্ট ক্রিকেটের (India England Cricket) ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যাঁর রান ১৫,৯২১। ১৯৮৯ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে অ্যান্ডারসন হলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। যার মধ্যে ৭০৪ উইকেট রয়েছে। তথ্য বলছে, এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৪টি টেস্ট ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। দুই দেশের সেরা ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এই ট্রফিটি তাঁদের উভয়ের নামেই নামকরণ করা হচ্ছে।

  • RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সুদ কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। শুক্রবার, ৬ জুন নয়া রেপো রেট (Repo Rate) ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ দিন তাতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ কমানোর কথা বলেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র। তার জেরে ৬ শতাংশ থেকে ওই সূচক নেমে এসেছে ৫.৫০ শতাংশে। এই নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয়বারের জন্য কমে গেল রেপো রেট। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে ২৫ করে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক (RBI)

    ৪ জুন তিন দিনের বৈঠকে বসে আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি। সেখানেই রেপো রেট কমানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা ঘোষণা করেন গভর্নর। আরবিআই যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ঋণ দিয়ে থাকে, তাকেই বলে রেপো রেট। এই রেট কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি চাঙা করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ (Repo Rate) কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয় (RBI)।

    কতটা সুরাহা মিলবে মধ্যবিত্তের?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোয় রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহণকারীদের স্বস্তি মিলবে। যেহেতু তাঁদের মাসিক কিস্তির টাকা কমবে, তাই স্বস্তি পাবেন তাঁরা। তাই যেসব গ্রাহক গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের সুদ বাবদ গুণতে হবে কম টাকা। এক কথায় গাড়ি, বাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণে কমে যাবে সুদের হার। ফলে, কমবে মাসিক কিস্তির অঙ্কের বোঝা। উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক (Repo Rate)। কোনও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে কেউ তিরিশ বছরের মেয়াদে ৫০ লাখ গৃহঋণ নিল ৮.৭০ শতাংশ সুদে। বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হয় ৩৯,১৩৬ টাকা। সুদের হার কমে যাওয়ায় এখন তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ৩৭,৩৪৬ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১,৭৯০ টাকা। কেউ যদি ১২ শতাংশ সুদে ৫ বছরের মেয়াদের ৫ লাখ টাকা পার্সোনাল লোন নেয়, বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ১১,১২২ টাকা (RBI)। রেপো রেট কমে যাওয়ায় তাঁকে এখন ইএমআই দিতে হবে ১০,৯৬৩ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১৫৯ টাকা (Repo Rate)।

    চলতি বছরেই রেপো রেট কমল ১ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসের পর আর সুদ কমায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২০২৫ সালে গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর সেই পদে আসীন হন  সঞ্জয় মালহোত্র। এসেই তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান। পাঁচ বছরে সেই প্রথম রেপো রেট কমায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ওই সময় ৬.৫০ শতাংশ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার নামিয়ে এনেছিল ৬.২৫ শতাংশে। এপ্রিলে সেটা আরও কমে ছ’শতাংশে চলে আসে। এবার কমল আরও ০.৫ শতাংশ। এর জেরে চলতি বছর রেপো রেট কমল ১০০ বেসিস পয়েন্ট বা ১ শতাংশ। সুদের হারে বড়সড় ছাড় মেলায় ঋণ গ্রহীতাদের মুখে যে হাসি ফুটল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, “ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি এই সমৃদ্ধিকে আরও বাড়ানোর জন্য।”

    কী বললেন আরবিআইয়ের গভর্নর

    সঞ্জয় বলেন, “খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং এপ্রিল মাসে তা প্রায় ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.১৬ শতাংশে নেমেছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের মাঝারি মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ ছিল। এর থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নীচে। ভারতের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপক হয়েছে।” জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “২০২৫-’২৬ সালের জন্য প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে জিডিপি।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট জালিয়াতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে সমস্ত তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ই-আধার যাচাইকরণ। নয়া এই নিয়ম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে চালু হতে পারে এই প্রক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের ট্রেন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই (Tatkal Tickets) এমন উদ্যোগ রেল। বিগত ২৭ মে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট রেলমন্ত্রীর (Indian Railways)

    ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণাও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য শীঘ্রই ই-আধার যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট বুক করার জন্য ই-আধার ব্যবহার শুরু করবে। এটি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সময় নিশ্চিত টিকিট পেতে সহায়তা করবে।’’ রেলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে ১৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় রেল গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ আধার-যাচাইকৃত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকিট কিনেছেন এমন যাত্রীরা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১৩৯-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে পারবেন। তবে টাকা রিফান্ডের জন্য তাঁদের রিজার্ভেশন সেন্টারেই যেতে হবে।

    তৎকাল টিকিটে দালালদের রমরমা

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে টিকিট বুক করতে সাহায্য করতেই রয়েছে তৎকাল স্কিম। কিন্তু এখানে দালালদের রমরমা বাড়তেই থাকে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বাড়তে থাকে এর অপব্যবহার। এই কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছে তৎকাল স্কিম (Tatkal Tickets)। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৎকালে টিকিটই মিলছে না। যখনই বুকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার ঠিক হতেই এক নিমেষে সব টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এজেন্টরা ঠিক তৎকালের টিকিট জোগাড় করে ফেলছেন। এতেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দালালদের তৎকাল টিকিট কালোবাজারির দুর্নীতি টেনে ধরা সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা এনিয়ে জানিয়েছেন, দালালরা জাল পরিচয়পত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বট ব্যবহার করে বুকিং প্রোটোকল এড়িয়ে সিস্টেমটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে প্রকৃত ভ্রমণকারীদের তৎকাল টিকিট পেতে খুবই সমস্যা হয়।

    ৫ মাসে আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক

    এর পাশাপাশি, টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে আরও পদক্ষেপ করেছে রেল। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রেল।  দেখা যায় যে, একটি সাইবার প্রতারণা চক্র ভুয়ো আইডি এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সাধারণ বুকিং প্রোটোকলগুলিকে বাইপাস করছিল। এই চক্রটি ভুয়ো ইউজার আইডি এবং বটের মাধ্যমে দ্রুত টিকিট বুক করত, যা আসল যাত্রীদের বঞ্চিত করছিল। গত পাঁচ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ এখন একটি “অ্যান্টি-বট” অ্যাপ্লিকেশন মোতায়েন করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বুকিং শনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করছে। এর ফলে সিস্টেমটি আসল ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যায্য এবং সহজলভ্য থাকবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে (Indian Railways)

    রেলমন্ত্রী এনিয়ে আরও জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে জালিয়াতি কমাবে (Indian Railways)। প্রকৃত ভ্রমণকারীরা আরও সহজেই টিকিট পাবে। রেলকর্তাদের মতে, আধার যাচাইকরণ কেবল তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নিয়মিত বুকিংয়ে নয় ক্ষেত্রে যা নিয়ম আছে তাই থাকছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করা।

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) উপস্থিত ছিলেন নাগপুরে। সেখানে চলছে আরএসএস-এর কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ। এখানেই নিজের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘যতক্ষণ না পর্যন্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের চিন্তা ভাবনা আমাদের দেশ থেকে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশ অনেক হুমকির মুখে থাকবে।’’

    বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে সরব ভাগবত

    এদিনের বক্তব্যে তিনি আধুনিক যুদ্ধ পদ্ধতি, সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে দেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের কথাও। বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, “আমাদের প্রশ্ন—ধর্মান্তকরণ হচ্ছে কেন? যদি এর মধ্যে স্বার্থপরতা এবং লোভ না থাকে, তাহলে সবকিছুই একই পথে পরিচালিত হয়। যে কোনওভাবে উপাসনা করা বৈধ। কিন্তু কাউকে জোর করা এবং বলা যে তোমার পথ ভুল এবং ধর্মান্তরিত করা হিংস্রতা। অতএব, যারা লোভ করে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন বা যাদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে এবং এখন ফিরে আসতে চান, তাদের গ্রহণ করা উচিত।

    আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না

    নিজের বক্তব্যে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘আদর্শগত বিভাজনের কারণেই ভারতের সামাজিক কাঠামো প্রতিমুহূর্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। এর সঙ্গে সত্যও সামনে এসেছে দেশের পক্ষে কারা দাঁড়িয়েছে।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত সাইবার যুদ্ধ এবং প্রক্সি যুদ্ধেরও উল্লেখ করেন। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এ নিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।’’ নিজের বক্তব্যে আরএসএস (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না। কিন্তু আমাদের সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে। আত্মনির্ভরতাই তাই হল একমাত্র এগিয়ে যাওয়ার উপায়।’’ নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘দেশের আসল শক্তি কেবলমাত্র সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের আসল শক্তি হল জনগণের মনোবল। এখানেই রয়েছে শক্তি।’’

    সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়

    পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক যে সন্ত্রাসী হামলা হয় এই হামলায় সারা দেশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়,শোকের পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটাও তিনি উল্লেখ করেন নিজের বক্তব্যে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়।’’ যেভাবে পাল্টা প্রত্যাঘাত করা গিয়েছে পাকিস্তানকে, সেটারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রশংসা করেন ভারত সরকারের। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন যে দেশের আভ্যন্তরীণ যে ইস্যুগুলি রয়েছে সেখানে যেন নাগরিকরা কখনও উস্কানি না দেন অথবা হিংসার শিকার না হন। নিজের বক্তব্য তিনি বলেন, ‘‘সহিংসতা কোনও পথ নয়, সমাজের কোনও অংশই কখনও অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।’’

  • BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সাহায্য চাইল বিএসএফ (BSF)। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ (DRDO)। ভারতের সুন্দরবনের সঙ্গে যুক্ত ১১৩ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থাপনার সাহায্য চেয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে রয়েছে, ড্রোন, রেডার এবং স্যালেটাইটও। অপারেশন সিঁদুরের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকে উচ্চ পর্যায়ের উপকূল নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।

    পহেলগাঁও হামলা (BSF)

    প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও হামলার পর অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে তাতে আরও গতি এসেছে। সরকারিভাবে না হলেও, বেসরকারিভাবে এই অভিযানের নাম অপারেশন পুশ-ব্যাক। এই অভিযানের অংশ হিসেবে বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে এবং এখন সংবেদনশীল এলাকা, বিশেষ করে সুন্দরবন, যা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য পরিচিত রুট, সেখানে ফাঁক পূরণের জন্য উচ্চমানের নজরদারি প্রযুক্তির ওপর আরও বেশি করে নির্ভর করার চেষ্টা করছে (BSF)।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “বিএসএফ প্রায় ১১৩ কিলোমিটার এলাকা প্রযুক্তিগত নজরদারির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই ইসরো এবং ডিআরডিওর সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সম্ভাব্য সমীক্ষা পরিচালনা করেছে এবং সব চেয়ে কার্যকর সমাধানগুলি শনাক্ত করার জন্য ডিআরডিওকে মাঠ পরিদর্শন করতে বলেছে। তবে গুজরাটের খাঁড়ি এলাকায় একই ধরনের প্রকল্পের বর্তমান কাজ শেষ করার পরেই ডিআরডিও (DRDO) সুন্দরবনের জায়গাটা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিএসএফ

    বর্তমানে বিএসএফ সুন্দরবন সেক্টরের প্রায় ১২৩ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালায়। এর সিংহভাগই খাল এবং ঘন ম্যানগ্রোভ বনে ভরা কঠিন ভূখণ্ড। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পর প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতির চাহিদা বেড়েছে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভারতের নদী এবং সমুদ্র সীমানা, বিশেষ করে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ার পথ খুঁজছে। প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জজুড়ে বিস্তৃত এবং জোয়ারের জলপথ দ্বারা আড়াআড়ি এই অঞ্চলটি প্রচলিত টহলদারির জন্য অনন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

    বিএসএফের শক্তি

    বর্তমানে বিএসএফ আটটি ভাসমান সীমান্ত ফাঁড়ি এবং ৯৬চি অন্যান্য টহলদারি জাহাজের সাহায্যে নজরদারি চালায়। সাতটি নজর মিনার নির্মাণের জন্য জমি এবং আরও বন-পোস্টের সহ-অবস্থানের অনুমতি দেওয়ার জন্য এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। এটি এমন একটি মডেল যেখানে বিএসএফ কর্মীরা বনকর্তাদের সঙ্গে পরিকাঠামো ভাগ করে নেয় (BSF)। ইতিমধ্যেই এই ধরনের তিনটি পোস্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “অগ্রগতি কিছুই হচ্ছে না। বারবার সমীক্ষা করা সত্ত্বেও, বন ও রাজ্য রাজস্ব বিভাগের কর্তারা অংশগ্রহণ করেননি, যার ফলে প্রক্রিয়াটি স্থবির হয়ে পড়েছে।” মে মাসে বৈঠক হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তা (DRDO) দলজিৎ সিং চৌধুরীও। ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন যে তাঁরা সাতটি জায়গা সমীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে দুটি জায়গায় জমি দিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আরও তিনটি বিএসএফ পোস্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন বন বিভাগের ছাড়পত্রের। উভয় পক্ষকেই প্রয়োজনে বিকল্প জায়গা অনুসন্ধান ও প্রতিটি জায়গায় যৌথভাবে সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনে নজরদারির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ব সীমান্ত বন্ধ করা না হলে অবৈধ অভিবাসন এবং জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোধের চেষ্টা ব্যাহত হতে পারে (BSF)। বৃহত্তর সীমান্ত কৌশলের অংশ হিসেবে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে, নির্বাসন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং বিভিন্ন সংস্থায় গোয়েন্দা সমন্বয় বৃদ্ধি করেছে। বছরভর টুকটাক অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও, গত অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। এই ডামাডোলের বাজারে প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। একই সঙ্গে চলছে অপারেশন পুশ-ব্যাকও। এমন আবহেই ডিআরডিওর (DRDO) কাছে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য চেয়ে বিএসএফ যে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও পোক্ত করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য (BSF)।

  • Daily Horoscope 06 June 2025: মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 June 2025: মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র পূর্বের তুলনায় আশাপ্রদ।

    ২) সমস্ত কাজেই একটা অযথা উৎকণ্ঠা বিব্রত করে রাখবে।

    ৩) নতুন কোনও পরিকল্পনা মাথায় আসতে পারে।

    বৃষ

    ১) দিনের অধিকাংশ সময় শারীরিক অস্বস্তিবোধ করবেন।

    ২) দিনভর থাকবে মানসিক উদ্বেগ ও অশান্তি।

    ৩) দুশ্চিন্তার মধ্যে সামান্য আর্থিক উন্নতি ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলেও কর্মক্ষেত্র থাকবে হতাশাপূর্ণ।

    মিথুন

    ১) নিঃসন্দেহে কমবেশি আয় বৃদ্ধি পাবে, তবে মানসিক দুশ্চিন্তা কমবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বাধামুক্ত।

    ৩) অপ্রত্যাশিত কোনও সহযোগিতা কিংবা অর্থলাভ।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উৎসাহবর্দ্ধক কোনও যোগাযোগ আসবে।

    ২) আয় বৃদ্ধি এবং সামান্য আর্থিক উন্নতি হবে।

    ৩) কোনও কাজের ব্যাপারে প্রশংসিত হবেন।

    সিংহ

    ১) দিনটা আনন্দদায়ক হলেও মধ্যভাগে মানসিক শান্তি ব্যাহত হবে।

    ২) কেউ অকারণে দোষারোপ করবে ও ভুল বুঝবে।

    ৩) মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে দুশ্চিন্তা দেখা দিলেও আয়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

    ২) শরীর ও মনের উপর একটানা চাপ থেকে যাবে।

    ৩) চিত্ত চঞ্চলতা বাড়বে প্রবল।

    তুলা

    ১) মানসিক চাপ ও চঞ্চলতা বাড়লেও কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র কিছুটা আশার আলো দেখাবে।

    ২) নতুন যোগাযোগ ও পূর্বের তুলনায় সামান্য আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সামান্য কথা নিয়ে বচসা ও ঝগড়া সৃষ্টি হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) দেহ ও মন উভয়ই অস্বস্তিসূচক।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র দুশ্চিন্তায় ফেলবে।

    ৩) সামান্য অর্থ হাতে এলেও কোনও দ্রব্য বা অর্থক্ষতির যোগ বর্তমান।

    ধনু

    ১) দেহ ও মন উভয়ই অস্বস্তিসূচক।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র দুশ্চিন্তায় ফেলবে।

    ৩) সামান্য অর্থ হাতে এলেও কোনও দ্রব্য বা অর্থক্ষতির যোগ বর্তমান।

    মকর

    ১)  মনকে কর্ম ও আর্থিক বিষয়ে একটা উদ্বেগ অধিকাংশ সময় বিষাদাচ্ছন্ন করে তুলবে।

    ২) কারও অপ্রীতিভাজন ও অন্যের ভুল বুঝে দোষারোপ করতে পারে।

    ৩) গৃহে অতিথির আগমন হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটা আপনার ধৈর্য ও অধ্যবসায় প্রত্যাশা করে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে নতুন সামান্য ঝঞ্ঝাট দেখা দিতে পারে।

    ৩) নতুন যোগাযোগের পক্ষে অনুকূল দিনটা।

    মীন

    ১) দিনটা আনন্দের মধ্যে কাটবে।

    ২) দিনের মধ্যভাগে মানসিক প্রফুল্লতা নষ্ট হবে।

    ৩) কেউ অকারণ দোষারোপ করবে ও ভুল বুঝবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 372: শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও

    Ramakrishna 372: শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও

    গিরিশের শান্ত ভাব কলিতে শূদ্রের ভক্তি ও মুক্তি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আর আছে স্বপ্নসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ।

    এই বলিয়া ঠাকুর ভাবে বিভোর হইয়া গান গাহিতেছেন-

    শ্যামা ধন কি সবাই পায়,
    অবোধ মন বোঝেনা একি দায়। (Kathamrita)
    শিবেরই অসাধ্য সাধন মন মজানো রাঙা পায়।।
    ইন্দ্রাদি সম্পদ সুখ তুচ্ছ হয় যে ভাবে মায়।
    সদানন্দ সুখে ভাসে শ্যামা যদি ফিরে চায়।।
    যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ইন্দ্র যে চরণ ধ্যানে না পায় ।
    নির্গুণে কমলাকান্ত তবু সে চরণ চায়।।

    ঠাকুর কিয়ৎতক্ষণ ভাবাবিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন।

    কিছুদিন পূর্বে ষ্টার থিয়েটারে গিরিশ অনেক কথা বলিয়াছিলেন এখন শান্ত ভাব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- তোমার এই ভাব বেশ ভালো, শান্ত ভাব। মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও। যা তা আমায় না বলে।

    গিরিশ (মাস্টারের প্রতি) আমার জিব কে যেন চেপে ধরেছে। আমায় কথা কইতে দিচ্ছে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- এখনও ভাবস্থ। বাহিরের ব্যক্তি বস্তু ক্রমে ক্রমে সব ভুলে যাচ্ছেন। একটু প্রকৃতিস্থ হইয়া মনকে নাবাচ্ছেন। ভক্তদের আবার দেখিতেছেন। (মাস্টার দৃষ্টে) এরা সব সেখানে যায়। তা যায় তো যায়, মা সব জানে।

    (প্রতিবেশী ছোকরার প্রতি) কি গো তোমার কি বোধ হয়? মানুষের কি কর্তব্য?

    সকলে চুপ করিয়া আছেন (Ramakrishna)। ঠাকুরকে বলিতেছেন, ঈশ্বর লাভই জীবনের উদ্দেশ্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নারায়ণের প্রতি) তুই পাস করবি নি, ওরে পাশমুক্ত শিব পাশবদ্ধ জীব (Kathamrita)।

    ঠাকুর এখন ভাবাবস্থায় আছেন। কাছে গ্লাস করা জল ছিল, পান করিলেন। তিনি আপনা আপনি বলিতেছেন, ওইভাবে তো জল খেয়ে নিলুম।

LinkedIn
Share