Blog

  • SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই দেশ জুড়ে শুরু হতে পারে এসআইআর। আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। এর পরে রয়েছে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশ জুড়ে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর (SIR) শুরু করতে পারে তারা। সূত্রের খবর, বিহার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর শুরু হয়ে যেতে পারে। বুধবার, কনফারেন্স কাম ওয়ার্কশপে মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসআইআর নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কতটা। তাতে অধিকাংশ আধিকারিকই জানান যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাউন্ডওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরেই এসআইআর শুরু হতে পারে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনে বৈঠক

    বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। ওই বৈঠকে এসআইআর নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখা হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন যা এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ে গণ্য করা হবে। যেমন উত্তর-পূর্বের রাজ্য বা উপকূল অঞ্চলে যেখানে আদিবাসী জনসংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাসস্থানের সার্টিফিকেট বা জনজাতি পরিচয়ের সার্টিফিকেট গণ্য করা হবে।

    বাংলায় দু-দশক পরে এসআইআর

    আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর হয়েছিল। ২০০২ সালের এসআইআর অনুসারে ভোটার তালিকা আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এলাকাভিত্তিক সেই তালিকা ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এ বার দু’দশকেরও বেশি সময় পরে পশ্চিমবঙ্গে ফের এসআইআর শুরু করতে উদ্যোগী কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জনের উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া। এছাড়া যারা ঠিকানা বদল করেছেন বা একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কিংবা ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ নেই, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    কীভাবে হবে এসআইআর

    বিহারের পর এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। তবে দেশজুড়ে একযোগে এই প্রক্রিয়া চালু হবে নাকি যেসব রাজ্যে আগামিবছর বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেখানে আগে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ

    পাঁচ রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল ও পন্ডিচেরি—আগামী বছরে ভোট, ফলে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর আগে চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্য প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও কর্মীবাহিনীও প্রস্তুত রেখেছে তারা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “২০০২ সালে বাংলায় ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। এবার অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আরও বেশি স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।”

    অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা

    এই ভোটার তালিকার নিবিড় ও বিশেষ সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানো। বাংলাদেশ ও মায়ানমার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এই পদক্ষেপটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। অবশেষে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে দেশজুড়ে এসআইআর চালু করতে চলেছে। সারা দেশে এসআইআর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন, বলে জানিয়েছেন। কোনও সঠিক ভোটদাতার নাম বাদ পড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেছে কমিশন।

  • Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    Nepal Unrest: নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ভারতে ‘বেড়ে ওঠা’ সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেন জি-র আন্দোলনের জেরে দিন দুয়েক ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ নেপাল (Nepal Unrest)। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশে শান্তি ফেরাতে ক্ষমতার রাশ নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী। এর পরেই পরিস্থিতি থিতু হয়। এহেন নেপালেরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন জেন জেড আন্দোলনের নেতৃত্ব। সুশীলা জানান, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক আরও ভালো করা হবে।

    ভারত-নেপাল সম্পর্কে চিড় (Nepal Unrest)

    নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল মধুর। এই সম্পর্কে চিড় ধরে কমিউনিস্ট শাসক অলির শাসন কালে। ভারতের পরিবর্তে তিনি মাখোমাখো সম্পর্ক তৈরি করেন আর এক কমিউনিস্ট শাসিত দেশ চিনের সঙ্গে। যে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা-মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশ, সেই বেজিংয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অলি। তার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-নেপাল সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন শুনে, সেই সম্পর্কই মেরামত করতে চান সুশীলা। বছর বাহাত্তরের সুশীলা নেপালের প্রথম মহিলা যিনি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি।

    সুশীলা কার্কি

    আইনি যাত্রা শুরুর আগে সুশীলা ছিলেন শিক্ষিকা। সেই সময় থেকেই তাঁর একটা সাহসী, দক্ষ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। এ যাবৎকাল পর্যন্ত দুর্নীতির কোনও কালি লাগেনি তাঁর গায়ে। প্রত্যাশিতভাবেই জনমানসে জায়গা করে নেন এই প্রতিভাময়ী। ২০০৬ সালের সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে তাঁকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরের বছরই স্থায়ী বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয় সুশীলাকে। ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান সুশীলা। পরে হন স্থায়ী প্রধান বিচারপতি। এই পদে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় কঠোর রায় দিয়েছিলেন সুশীলা। পুলিশে নিয়োগে অনিয়ম, দ্রুত বিচার আদালত প্রতিষ্ঠা (Nepal Unrest) এবং বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল দুর্নীতির মামলায় কড়া রায় দিয়েছিলেন তিনি। এহেন সুশীলার ঘাড়েই বর্তেছে নয়া নেপাল গঠনের কাজের ভার (Sushila Karki)।

    প্রতিনিধি নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল সভা করেন জেন-জি আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়, জেন জি আন্দোলনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক রাখতে হবে। তাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হবে না। বর্তমানে সুশীলা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং একজন নাগরিক কর্মী হিসেবে তাঁকেই এই ভূমিকার জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেছে জেন জেড। তার পরেই ঘোষণা করা হয় (Nepal Unrest) তাঁর নাম।

    সুশীলার ভারত-যোগ

    সুশীলার সঙ্গে ভারতের যোগ বেশ পুরানো। তাঁর (Sushila Karki) পড়াশোনা ভারতেই, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এই সময় শিখেছিলেন ভারতীয় নৃত্যও। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছিলেন সুশীলা। সেই সময়ের কথা, ভারতীয় বন্ধুদের কথা এবং তাঁর শিক্ষকদের কথা আজও সংরক্ষিত রয়েছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। সংবাদ মাধ্যমকে সুশীলা জানান, এ সবের পাশাপাশি বেনারসের গঙ্গা নদীর কথাও তাঁর বেশ মনে পড়ে।

    কী বললেন সুশীলা?

    দীর্ঘদিন ভারতে কাটানোর পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ ক্ষেত্রে বিচরণ করায় ভারতের প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে সুশীলার। জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কেও ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর (Nepal Unrest)। সুশীলা বলেন, “অনেক দিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। তবে আমরা এ নিয়ে কথা বলব। যখন কোনও একটা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়, তখন দুই দেশের মধ্যে কিছু লোক এক সঙ্গে বসে একটা নীতি তৈরি করে। আমরাও তা-ই করব।” তিনি (Sushila Karki) জানান, ভারত সব সময়ই নেপালকে সাহায্য করেছে। কিছু ক্ষেত্রে বিরোধ থাকলেও, আগামী দিনে নেপাল আবারও ভারতের সাহায্য পাবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে সরকারি ক্ষেত্রে সম্পর্কের বিষয়টি আলাদা বলেও মন্তব্য করেন সুশীলা। বলেন, “অবশ্য আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বরাবরই একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে খবর। যদিও সেখানে বসবাসরত ভারতীয়দের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুশীলা। তিনি জানান, এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সেনা (Sushila Karki)। বিক্ষোভের সময় যে সব পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান (Nepal Unrest) সুশীলা।

  • Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ১৩২তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১১ সেপ্টেম্বর, স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) শিকাগো ভাষণের ১৩২তম বর্ষপূর্তি। ১৮৯৩ সালের এই দিনেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শিকাগো ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’ এখানেই প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে করতালি চলতে থাকে। কারণ প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসীকে কেউ ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করেন শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে। তাঁর আগের বক্তারা প্রত্যকেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সেখানে তুলে ধরেন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা (Vivekananda Chicago Speech)। ভারতের সীমাহীন সভ্যতার কথা। ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরার কথা। সেখানেই শোনান এদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা। ভারতবর্ষ কোনও ধর্মের ওপর কখনও আঘাত হানেনি, সে কথাও সেখানে তুলে ধরেন স্বামীজি। বিশ্ব মঞ্চে স্বামীজির ভাষণ সেদিন আলোড়ন তৈরি করে। ভারতীয় সভ্যতার মর্যাদা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন স্বামীজি তাঁর নিজের ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর সেদিনের ভাষণের নির্বাচিত কিছু অংশের বিশ্লেষণ নীচে করা হল।

    পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি

    ‘‘হে আমার আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি (Swami Vivekananda) আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’’

    আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি

    ‘‘এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভাষায় ইংরেজি ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি (Swami Vivekananda) সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’’

    আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি

    ‘‘আমি আপনাদের এ কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদিদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিলেন। জরাথুষ্ট্রের অনুগামী মহান পারসিক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বীগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’’

    যত মত তত পথের কথা (Vivekananda Chicago Speech)

    ‘‘বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনই হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসম্মেলনে গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।’ (যে কোনও ব্যক্তি যে ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে)।’’

    সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে

    ‘‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।’’

    খেতড়ির রাজা অজিত সিংহের সাহায্যে স্বামীজি পৌঁছান আমেরিকা

    খুব সহজে অবশ্য স্বামীজির (Swami Vivekananda) আমেরিকা সফর সম্পন্ন হয়নি। উত্তর-পূর্ব রাজস্থানে খেতড়ির রাজা অজিত সিং স্বামী বিবেকানন্দকে শিকাগো যাওয়ার জন্য ‘ওরিয়েন্ট’ জাহাজে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনে দেন বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল দারুণ দুঃখ-কষ্ট। তিনি শিকার হন বর্ণ-বিদ্বেষের। কারণ তৎকালীন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের লোকেদের কাছে এই ভারত ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। শিকাগো পৌঁছে শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন (Vivekananda Chicago Speech)।

  • Ramakrishna 464: গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়

    Ramakrishna 464: গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়

    “আমি সর্বপ্রকার সাধন করেছিলাম। সাধনা তিন প্রকার—সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক। সাত্ত্বিক সাধনায় তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকে বা তাঁর নামটি শুনে নিয়ে থাকে। আর কোনো ফললাভ নেই। রাজসিক সাধনে নানারকম প্রক্রিয়া—এতবার পুষ্পচর্চন করতে হবে, এত তীর্থ করতে হবে, পঞ্চগব্য করতে হবে; যজ্ঞোপবীতধার পুজা করতে হবে ইত্যাদি। তামসিক সাধন—তোমাকে আঘাত করে সাধনা। জয় কালী! কি, তুই খাস নির্নিমেষ। এই গলায় ছুরি দে। যদি দিয়া না দিস্ এ সাধনায় ফললাভ নাই। —যেমন তন্ত্রের সাধনা।

    “সে অবস্থায় (সাধনার অবস্থায়) অদ্ভুত সব দর্শন হত, আমার রমন প্রত্যক্ষ দেখলাম। আমার মতো রূপ একরকম আমার শরীরের ভিতর প্রবেশ করল। আর মড়কসম প্রতাপে পদ্মের মতো রমন করতে লাগল। ঘটল হৃদয়ে হয়েছিল—ঠাকুর বলতেন রমন কথার আর একটি পদ প্রবর্তিত হয়—আর উদ্বোধিত হয় রমন। এইরূপ মূর্তিমান, স্থাণু, অচঞ্চল, অনাহত, বিভক্ত, অখণ্ড, সহজাত সকল প্রত্যক্ষ ফুটে উঠত। আর নিচে মূর্ছা ছিল উদ্বোধক হল, প্রত্যক্ষ দেখলাম।”

    [ধ্যানযোগ সাধনা — ‘নিবৃত নিস্পন্দমিরপ্রদীপস্ফূর’]

    “সাধনার সময় আমি ধ্যান করতে করতে আবেশ করতাম প্রভূপদের শিখা—
    যখন হওয়া নাই, একটুও নড়ে না — তার আবেশ করতাম।

    “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সমস্ত ব্যবসায়ীরা, কত কোলাহল, বাজার, গাড়ি, ঘোষা — কতক্ষণ ধরে কাছ নিয়ে চলে গেল। ব্যাধের কিন্তু লেশ নাই। সে জানিতে পারলো না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল।

    “একজন একলা একটি পুকুরের ধারে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ পরে ফাঁসাটা নড়তে লাগল, মাঝে মাঝে কাট হতে লাগল। সে তখন ছিপ হাতে করে টান মারবার উদ্যোগ করিতেছে। এমন সময় একজন পথিক কাছে এসে জিজ্ঞাসা করিতেছে, মহাশয়, অমুক বাঁড়ুজ্জেদের বাড়ি কোথায় বলতে পারেন? সে ব্যক্তি শ্ল্ধ নাই। তার হাত কাঁপিতেছে, কেবল ফাঁসার দিকে দৃষ্টি। তখন পথিক বিরক্ত হয়ে চলেগেল। সে অনেক দূরে চলে গিয়েছে, এমন সময় ফাঁসাটা ডুবে গেল, আর…

  • Daily Horoscope 11 September 2025: বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 September 2025: বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে লক্ষণীয় কোনও পরিবর্তন না ঘটলেও সামান্য আয় বৃদ্ধি।

    ২) নতুন কোনও যোগাযোগ উৎসাহিত করবে।

    ৩) বন্ধুসঙ্গ প্রীতি বৃদ্ধি।

    বৃষ

    ১) দৈহিক অস্বস্তি ও মানসিক চাপ দিনের অধিকাংশ সময়কে বিব্রত করে তুলবে।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র কিছুটা উদ্দীপনা বৃদ্ধি করবে।

    ৩) পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা সাময়িক মানসিক শান্তি নষ্ট করবে।

    মিথুন

    ১) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র উৎসাহ বৃদ্ধি করবে।

    ২) উদ্বেগের মধ্যে কোনও সুযোগ লাভ।

    ৩) অপ্রত্যাশিত সামান্য কিছু অর্থ লাভ।

    কর্কট

    ১) ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়বে নিঃসন্দেহে।

    ২) কিছু উটকো পয়সা হাতে আসবে।

    ৩) শারীরিক দিক থেকে অস্বস্তি বোধ করবেন।

    সিংহ

    ১) গৃহে শান্তির অভাব ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে।

    ২) পুরনো বন্ধুস্থানীয়ের সাথে যোগাযোগ ও কোনও গুণের জন্য সম্মানিত হবেন।

    ৩) কোনও শুভাশুভ কর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে যাবেন।

    কন্যা

    ১) টুকটাক অর্থ হাতে আসবে।

    ২) উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে সামান্য আর্থিক উন্নতি ও অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসবে।

    ৩) শরীর কিছুটা গোলমাল করবে। কোনও ব্যাপারে ক্ষণস্থায়ী মতবিরোধ জনিত অশান্তি ভোগ করবেন।

    তুলা

    ১) আর্থিকটান থাকলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র চলনসই।

    ৩) দূর আত্মীয়ের সম্পর্কে উৎকণ্ঠা কিংবা তাদের কোনও অশুভ সংবাদ পেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রবল ভাবে মানসিক চঞ্চলতা দেখা দেবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র পূর্বের তুলনায় চিন্তামুক্ত ও নতুন যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে।

    ধনু

    ১) কোনও ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি ও মানসিক শান্তি নষ্ট করব।

    ২) বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন।

    ৩) গৃহে আত্মীয়ের আগমন ও পরিচিতের গৃহে নিমন্ত্রিত হতে পারেন।

    মকর

    ১) অবাঞ্ছিত কোনও ঘটনা মানসিক আনন্দ নষ্ট করবে।

    ২) কোনও গুণের জন্য সম্মানলাভ করবেন।

    ৩) দেবালয় ভ্রমণ হবে। কোনও দ্রব্য অথবা অযাচিত কিছু অর্থ লাভ হবে।

    কুম্ভ

    ১) গৃহে আত্মীয়ের আগমন অযথা ব্যয় বৃদ্ধি করবে।

    ২) কোনও তীর্থ বা নিকট ভ্রমণ হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় মনোভাব ও আধ্যাত্মিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) গৃহে শান্তির অভাব ও কারও সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে।

    ২) পুরনো কোনও বন্ধু স্থানীয় ব্যক্তির সাথে হঠাৎ যোগাযোগ হবে।

    ৩) কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    Punjab: পাঞ্জাবে তরুণীকে উত্যক্ত করায় দোষী সাব্যস্ত আপ বিধায়ক-সহ ১২জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে উত্যক্ত ও আক্রমণ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল পাঞ্জাবের (Punjab) আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক (AAP MLA) মনজিন্দর সিং লালপুর এবং আরও ১১জনকে। বুধবার তরণ তারণ অ্যাডিশনাল সেশনস জজ প্রেম কুমার খাদুর সাহিব তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলাটি ১২ বছর আগের। ১২ সেপ্টেম্বর দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর  পুলিশ মনজিন্দর সিং লালপুরা সহ সকলকে হেফাজতে নিয়েছে। তবে লালপুরার আইনজীবীরা বলেন, “আমাদের আইনি লড়াই চলবে”।

    ভিডিও প্রমাণ-সহ থানায় তরুণী (Punjab)

    মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩ মার্চ। লালপুরা-সহ দোষীরা তরণ তারণের উস্মা এলাকার গোবিন্দওয়াল রোডের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। ওই তরুণীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই তরুণীও। সেখানে কয়েকজন ট্যাক্সি চালক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় তাঁর পরিবারকে আক্রমণ ও মারধর করা হয়। পুরো ঘটনাটি একজন ফটোগ্রাফার ভিডিও করেছিলেন। পরের দিন ওই তরুণীর পরিবার ভিডিও প্রমাণ-সহ সিটি পুলিশ স্টেশন, তরণ তারণে পৌঁছয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত নোটিশ গ্রহণ করে এবং ওই তরুণীর বাড়ির সামনে প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে সিটি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়। ট্যাক্সি চালক হরবিন্দর সিং শোশি এবং সাহবা বর্তমানে খাদুর সাহিব বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরার নামে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আটজন পুলিশকর্মীও। তাঁদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল পরমজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয় বিচার চলাকালীনই (Punjab)।

    কাঠগড়ায় আপের ৫ বিধায়ক

    প্রসঙ্গত, খাদুর সাহিবের বিধায়ক হলেন পাঞ্জাবে আটক হওয়া আপের পঞ্চম বিধায়ক, যাঁকে রাজ্য পুলিশ ও ভিজিল্যান্স ব্যুরো গ্রেফতার করেছে। এর আগে ভিজিল্যান্স ব্যুরো মানসা এমএলএ এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিজয় সিঙ্গলাকে ২০২২ সালের মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। বাথিন্দা রুরালের আপ বিধায়ক অমিত রতন কোটফাট্টাকে ২০২৩ সালের (AAP MLA) ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরো। গত ২৪ মে ভিজিল্যান্স ব্যুরো জলন্ধর সেন্ট্রালের বিধায়ক রামন অরোরাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি মামলায়। সনাউরের আপ বিধায়ক হারমীত সিং পথানমজরাও গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন ধর্ষণের অভিযোগে। যদিও পরে তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান (Punjab)।

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

  • ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    ISIS Terrorists Arrested: দেশে আইএস-এর বড় চক্র ফাঁস, দিল্লি ও রাঁচি থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নাশকতার জাল বিছাচ্ছে ইসলামিক স্টেট! ভারতে বসেই সন্ত্রাসের ছক কষছে ইসলামিক স্টেট! দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দুই আইএস জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

    বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস

    ভারতে বড়সড় নাশকতামূলক হামলা হওয়ার আগেই বড় জঙ্গি-চক্র ফাঁস করল দেশের গোয়েন্দাবাহিনী। খবরে প্রকাশে, বিশেষ সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে দেশের দুটি শহরের দুটি ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। একদিকে, ঝাড়খণ্ড সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড (এটিএস) এবং রাঁচি পুলিশের যৌথ সহায়তায় রাঁচির ইসলামনগর এলাকা থেকে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজহার দানিশ। আদতে সে বোকারো জেলার পেটওয়ারের বাসিন্দা। অন্যদিকে, রাজধানী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় আফতাব নামে আর এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, এই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

    আইএস-এর এজেন্ট আজহার-আফতাব

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধৃত আফতাব ও দানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে পুরনো এক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে দানিশকে খুঁজছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই মতো, তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায় দানিশের। সঙ্গে আফতাবরও। দিল্লি পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইএসআইএস-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করত অভিযুক্তরা। ফলে, এই দুজনের গ্রেফতারি সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য। সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে জেরা করে ভারতে আইসিস নেটওয়ার্কের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস

    ইরাক ও সিরিয়া থেকে কার্যত মুছে যাওয়ার পর ইসলামিক স্টেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এশিয়ার নানা প্রান্তে। তবে হারলেও এখনও যথেষ্ট শক্তি ধরে সংগঠনটি। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বহু সন্ত্রাসী ভারতে প্রবেশ করছে। পূর্বে ভারতের কেরল-সহ আরও একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের তৎপরতা নজরে এসেছে।
    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Infiltrators) ফের একবার কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। এর ঠিক আগের দিনই অসম স্টেট ক্যাবিনেট “ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০”-এর আওতায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (SOP) প্রণয়নের অনুমোদন দেয়। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর জেলা কমিশনার এবং সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে অসম থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলা করার নির্দেশ দেবে।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা (Himanta Biswa Sarma)

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সতর্ক থাকুন! ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০ সম্পূর্ণ কার্যকর রয়েছে এবং আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে।” শর্মা জানান, আরও কড়াকড়ি পদক্ষেপ করা হবে, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী জিরো লাইনের কাছে বা অবৈধ প্রবেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে, তবে তাকে তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠানো হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সমস্ত শনাক্ত হওয়া অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স বা ডেমোগ্রাফিক ডিটেলস পুশব্যাক করার আগে নিয়ে নিতে হবে।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গুয়াহাটির লোকসেবা ভবনে আয়োজিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা স্বয়ং (Himanta Biswa Sarma)। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে অসম সরকার ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ প্রয়োগ করে বিদেশিদের শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই আইন অনুসারে, ডেপুটি কমিশনারকে কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি ডেপুটি কমিশনারের মতে বিদেশি বলে বিবেচিত হবে, তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।”

    আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ঘোষণা করেছে। নতুন এসওপির আওতায়, ডেপুটি কমিশনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য ১০ দিন সময় দেবেন। এই পর্বে শুনানির পরে যদি তিনি নির্ধারণ করেন যে ওই ব্যক্তি একজন বিদেশি, তাহলে তিনি অবিলম্বে তাকে (Illegal Infiltrators) স্বদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেবেন (Himanta Biswa Sarma)।

  • International Literacy Day: ভারতে বিপুল বেড়েছে সাক্ষরতার হার, বলছে সমীক্ষা, লক্ষ্যপূরণ হল কি?

    International Literacy Day: ভারতে বিপুল বেড়েছে সাক্ষরতার হার, বলছে সমীক্ষা, লক্ষ্যপূরণ হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে ভারত (India) স্বাধীন হওয়ার সময় দেশে সাক্ষরতার (International Literacy Day) হার ছিল মাত্রই ১৮.৩ শতাংশ। এঁরা লিখতে এবং পড়তে পারতেন। দেশবাসীকে শিক্ষিত করতে করা হয় একাধিক পদক্ষেপ। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন, সর্বশিক্ষা অভিযান এবং শিক্ষার অধিকার আইনের মতো কর্মসূচি। এই কর্মসূচিগুলি দেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে স্কুল ও প্রাথমিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৬১ সালের মধ্যে ভারতে সাক্ষরতার হার ছুঁয়েছিল ২৮.৩ শতাংশের গণ্ডি। ১৯৮১ সালের জনগণনায় দেখা যায় দেশে স্বাক্ষরতার হার ৪৩.৬ শতাংশ। ২০০০ সালের আশপাশে এই হার হয় ৬৪.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের জনগণনায় এই হার আরও বেড়ে হয় ৭৪.০৪ শতাংশ। শ্রম শক্তি সমীক্ষা ২০২৩-২৪ অনুযায়ী, ভারতে সাক্ষরতার হার পৌঁছেছে ৮০.৯ শতাংশে।

    লক্ষ্যপূরণ হয়নি (International Literacy Day)

    যদিও এই সব তথ্য উৎসাহব্যাঞ্জক, তবে এখনও যাত্রা সম্পূর্ণ হয়নি। ভারতে শহরাঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৮৮.৯ শতাংশ, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলে এর হার ৭৭.৫ শতাংশ। একইভাবে, পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮৭.২ শতাংশ হলেও, মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৪.৬ শতাংশ। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য এখনও বর্তমান (International Literacy Day)। তবে কয়েকটি রাজ্যের ছবিটা একেবারেই অন্যরকম। মিজোরামে সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ, লাক্ষাদ্বীপ ৯৭.৩ শতাংশ, কেরলে ৯৫.৩ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৯৩.৭ শতাংশ এবং গোয়ায় ৯৩.৬ শতাংশ। আবার বিহার-সহ কিছু রাজ্য এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

    ভারতের লক্ষ্য

    ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার সময় ভারতে সাক্ষরতার মাত্রা ছিল মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশেরও কম। ২০২৫ সালে এটি চার পঞ্চমাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবুও প্রয়োজন যাত্রা অব্যাহত রাখার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার। গ্রাম ও শহরের মধ্যে ফারাক কমানো, শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, এবং যোগ্য শিক্ষকের অভাব মোকাবিলা করাই অতি প্রয়োজনীয়। দেশ যখন আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, ২০২৫ উদযাপন করছে, তখন এই বার্তাটি স্পষ্ট যে, ভারত (India) অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মিশন শেষ হবে না যতক্ষণ না সাক্ষরতা প্রতিটি ঘর, প্রতিটি শিশু এবং দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যাচ্ছে, ততক্ষণ (International Literacy Day)।

LinkedIn
Share