মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই বাড়ছে নানা সমস্যা। অধিকাংশ মানুষ এখন চেয়ারে বসে ল্যাপটপে কাজ করেন। দিনের বেশির ভাগ সময় বসে কাটান। তাই আরও সমস্যা বাড়ছে। তার মধ্যে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে পেশির সমস্যা (Body Pain)। হাত-পায়ে যন্ত্রণা, কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই পায়ে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া কিংবা ভারী কিছু তুলতে হলে কোমর বা হাতের পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হওয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই জীবন যাপনে বদল এনে পেশির সমস্যার সমাধান জরুরি, জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।
কোন কোন খাবারে পেশি মজবুত হবে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর এবং পরিমিত খাবার জীবন শক্তি বাড়াতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই পেশির দুর্বলতা কাটাতে নজরে থাকুক খাদ্যাভ্যাসে।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার তালিকায় থাকলে তবেই পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমবে। পেশি মজবুত হবে। তাই তাঁরা আটার রুটি, বাজরা, যবের মতো দানাশস্যের যে কোনও রকম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট থাকে। আবার এগুলোতে স্থূলতার সমস্যাও হয় না। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আবার স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। তাই সমতা আনতে যব, ভূট্টা, বাজরার মতো দানাশস্যের তৈরি রুটি, পাউরুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তাছাড়া নিয়মিত তরমুজ, আপেলের মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পেশি মজবুত করতে এই দুই ফল বিশেষ সাহায্য করে।
নিয়মিত ডিমের কুসুম খাওয়া জরুরি। ডিমের কুসুমে থাকে একাধিক প্রোটিন ও ভিটামিনের উপাদান। এগুলো পেশিকে মজবুত করে। তাছাড়া মাংস বিশেষত চিকেন স্ট্র্যুর মতো খাবার পেশির জন্য বিশেষ উপকারী। তবে, চর্বিজাতীয় মাংস বা মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে পেশি মজবুত হলেও কোলেস্টেরল, রক্তচাপ সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে, নিয়মিত সোয়াবিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, সোয়াবিনে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। কিন্তু তাতে কোলেস্টেরল বা স্থূলতার সমস্যা হয় না। তাই সবদিক থেকেই উপকার পাওয়া যায়।
পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমানোর উপায় কী?
পেশি দুর্বল হলেই হাতে-পায়ের যন্ত্রণা হয়। এমনকি পেশির সমস্যার জন্য কোমরেও নানান সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলেও ব্যথা হয়। তাই পেশির যন্ত্রণা কমানো জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পেশির যন্ত্রণা (Body Pain) কমাতে মূল হাতিয়ার নিয়মিত ব্যায়াম। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, নিয়মিত হাত ও পায়ের কসরত জরুরি। অন্তত দিনে আধঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশি যত সচল থাকবে, তত খিঁচুনি বা অন্যান্য সমস্যা কম হবে। তাছাড়া নিয়মিত হাঁটতে হবে। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটলে পেশির যন্ত্রণার উপশম হবে। পাশপাশি, যাদের একটানা চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা অন্তত ঘণ্টাখানেক কাজ করার পরে, মিনিট দশেক হাঁটা চলা করেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। এক রকম ভাবে টানা বসে থাকলে, পেশির সমস্যা তৈরি হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours