Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগের অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য অর্ডিন্যান্স তৈরি করেছে রাজ্য। সেই অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। ১২ জুন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

সার্চ কমিটি গঠনে বদল

হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠনে বদল এনেছে রাজ্য সরকার। কমিটিতে ৩ জনের পরিবর্তে সদস্য সংখ্যা করা হয়েছে ৫। ৩ সদস্যের কমিটিতে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। নয়া যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা দফতরের একজন প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন প্রতিনিধি। সুস্মিতার দাবি, নয়া কমিটিতে রাজ্য সরকারের ৩ প্রতিনিধি থাকবে বলে বলা হয়েছে। যার অর্থ, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তা পাশ হয়ে যাবে অনায়াসেই। রাজ্যপালের মতামত উপেক্ষা করার উপায়ও রয়েছে।

প্রশ্ন একাধিক

সুস্মিতার প্রশ্ন, কমিটিতে (Calcutta High Court) নিজেদের ওজন বাড়ানোর জন্যই কি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? কমিটিতে উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিকে রাখার প্রয়োজনই বা কী? প্রশ্ন উঠছে কমিটিতে রাজ্যের ৩ প্রতিনিধি থাকা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সার্চ কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে ইউজিসির চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধিকে। এর জেরে কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়াচ্ছিল ৪ এ। কোনও নির্বাচন কমিটিতেই জোড় সংখ্যক সদস্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেই কারণেই যুক্ত করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধিকে।

আরও পড়ুুন: “কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?”

সম্প্রতি রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের চিঠি পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Calcutta High Court) নিক্ষেপ করেন ট্যুইট-বাণ। তাঁর দাবি, এই পদ্ধতি আইনসম্মত নয়। উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনাই করেননি রাজ্যপাল। নবান্ন-রাজ্যপাল ভবনের এহেন সংঘাতের আবহেই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share