মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমাতে বসেছিল জি৭ সম্মেলন। চলতি মাসের ১৯ তারিখ সেখানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। জানা গেছে, ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে সেপ্টেম্বরে ঋষিকে এদেশে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রবিবারই শেষ হয়েছে সম্মেলন, এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন পাপুয়া-নিউগিনির উদ্দেশে। সোমবার তাঁর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।
কী কী আলোচনা হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে?
ঋষি সুনকের সঙ্গে এদিনের বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা আলোচনা করেছি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, উদ্ভাবনী এবং বিজ্ঞান সমেত অন্যান্য ক্ষেত্রে আদানপ্রদান কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে। বৈঠক সফল।’’
The meeting with PM @RishiSunak was a very fruitful one. We discussed boosting cooperation in trade, innovation, science and other such sectors. pic.twitter.com/FI9nI1gc9V
— Narendra Modi (@narendramodi) May 21, 2023
প্রসঙ্গত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও যে ট্যুইট করা হয়েছে তাতে বলা হয়, ‘‘ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা সমেত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করে তুলতে ভারত এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য নিয়েও।
ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য হলে কী সুবিধা?
অর্থনীতিবিদরা বলছেন ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালু হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন দুই দেশেরই জিডিপি বাড়বে, তেমনি ব্যাপক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হবে। বাণিজ্য শুল্কমুক্ত হলে এক দেশের উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশে কম দামেই মিলবে। অর্থনীতিবিদরা আরও মনে করছেন যে দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য শুরু হলে ভারতের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির একটি মার্কেট পাওয়া যাবে ব্রিটেনে। এতে দেশের ছোট বড় উদ্যোগপতিরা খুবই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন, অর্থনীতিবিদদের একাংশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours