Ramakrishna 303: “আমার ভয় কি তাতে, কালী ব’লে কালেরে কলা দেখাব, ডাকিনী যোগিনী দিয়ে, তরকারী বানায়ে খাব”

ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta

রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

প্রথম পরিচ্ছেদ

১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর

মহাষ্টমীদিবসে রামের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

বিজয়, কেদার, রাম, সুরেন্দ্র, চুনি, নরেন্দ্র, নিরঞ্জন, বাবুরাম, মাস্টার 

পূর্বকথা—প্রথম উন্মাদে ব্রহ্মজ্ঞান ও জাতিভেদবুদ্ধি ত্যাগ—কামারপুকুর গমন; ধনী কামারিনী; রামলালের বাপ—গোবিন্দ রায়ের নিকট আল্লামন্ত্র 

“আমার কামারবাড়ির দাল খেতে ইচ্ছা ছিল; ছেলেবেলা থেকে কামাররা বলত বামুনরা কি রাঁধতে যানে? তাই খেলুম, কিন্তু, কামারে কামারে গন্ধ । (সকলের হাস্য)

“গোবিন্দ (Kathamrita) রায়ের কাছে আল্লামন্ত্র নিলাম। কুঠিতে প্যাঁজ দিয়ে রান্না ভাত হল। খানিক খেলুম। মণি মল্লিকের (বরাহনগরের) বাগানে ব্যান্নুন রান্না খেলুম, কিন্তু কেমন একটা ঘেন্না হল।

“দেশে গেলুম; রামলালের বাপ ভয় পেলে (Ramakrishna)। ভাবলে, যার তার বাড়িতে খাবে। ভয় পেলে, পাছে তাদের জাতে বার করে দেয়। আমি তাই বেশি দিন থাকতে পারলুম না; চলে এলুম।”

বেদ, পুরাণ, তন্ত্রমতে শুদ্ধাচার কিরূপ 

“বেদ পুরাণে বলেছে শুদ্ধাচার। বেদ পুরাণে যা বলে গেছে — ‘করো না, অনাচার হবে’ — তন্ত্রে আবার তাই ভাল বলেছে।

“কি অবস্থাই গেছে! মুখ করতুম আকাশ-পাতাল জোড়া, আর ‘মা’ বলতুম (Ramakrishna)। যেন, মাকে পাকড়ে আনছি। যেন জাল ফেলে মাছ হড়হড় করে টেনে আনা (Kathamrita)। গানে আছে:

এবার কালী তোমায় খাব। (খাব খাব গো দীন দয়াময়ী)।
(তারা গণ্ডযোগে জন্ম আমার)
গণ্ডযোগে জনমিলে সে হয় মা-খোকা ছেলে।
এবার তুমি খাও কি আমি খাই মা, দুটার একটা করে যাব ॥
হাতে কালী মুখে কালী, সর্বাঙ্গে কালী মাখিব।
যখন আসবে শমন বাঁধবে কসে, সেই কালী তার মুখে দিব ॥
খাব খাব বলি মা গো উদরস্থ করিব।
এই হৃদিপদ্মে বসাইয়ে, মনোমানসে পূজিব ॥
যদি বল কালী খেলে, কালের হাতে ঠেকা যাব।
আমার ভয় কি তাতে, কালী ব’লে কালেরে কলা দেখাব ॥
ডাকিনী যোগিনী দিয়ে, তরকারী বানায়ে খাব।
মুণ্ডমালা কেড়ে নিয়ে অম্বল সম্বরা চড়াব ॥
কালীর বেটা শ্রীরামপ্রসাদ, ভালমতে তাই জানাব।
তাতে মন্ত্রের সাধন, শরীর পতন, যা হবার তাই ঘটাইব ॥

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share