রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
প্রথম পরিচ্ছেদ
১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর
মহাষ্টমীদিবসে রামের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ
বিজয়, কেদার, রাম, সুরেন্দ্র, চুনি, নরেন্দ্র, নিরঞ্জন, বাবুরাম, মাস্টার
এই হৃদিপদ্মে বসাইয়ে, মনোমানসে পূজিব ॥
যদি বল কালী খেলে, কালের হাতে ঠেকা যাব।
আমার ভয় কি তাতে, কালী ব’লে কালেরে কলা দেখাব ॥
ডাকিনী যোগিনী দিয়ে, তরকারী বানায়ে খাব।
মুণ্ডমালা কেড়ে নিয়ে অম্বল সম্বরা চড়াব ॥
কালীর বেটা শ্রীরামপ্রসাদ, ভালমতে তাই জানাব।
তাতে মন্ত্রের সাধন, শরীর পতন, যা হবার তাই ঘটাইব ॥
“উন্মাদের মতন অবস্থা হয়েছিল। এই ব্যাকুলতা (Ramakrishna)!”
নরেন্দ্র গান গাইতে লাগিলেন:
আমায় দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞানবিচারে।
গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর আবার সমাধিস্থ।
সমাধিভঙ্গের পর ঠাকুর গিরিরানীর ভাব আরোপ করিয়া আগমনী গাইতেছেন। গিরিরানী বলছেন, পুরবাসীরে! আমার কি উমা এসেছে? ঠাকুর প্রেমোন্মত্ত হইয়া গান গাইতেছেন।
গানের পর ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন (Kathamrita), “আজ মহাষ্টমী কিনা; মা এসেছেন! তাই এত উদ্দীপন হচ্ছে!”
কেদার—প্রভু! আপনিই এসেছেন। মা কি আপনি ছাড়া?
ঠাকুর (Ramakrishna) অন্যদিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া আনমনে গান ধরিলেন:
তারে কই পেলুম সই, হলাম যার জন্য পাগল।
ব্রহ্মা পাগল, বিষ্ণু পাগল, আর পাগল শিব।
তিন পাগলে যুক্তি করে ভাঙল নবদ্বীপ ॥
আর এক পাগল দেখে এলাম বৃন্দাবন মাঝে।
রাইকে রাজা সাজায়ে আপনি কোটাল সাজে ॥
আর এক পাগল দেখে এলাম নবদ্বীপের পথে।
রাধাপ্রেম সুধা বলে, করোয়া কীস্তি হাতে।
আবার ভাবে মত্ত হইয়া ঠাকুর গাহিতেছেন:
কখন কি রঙ্গে থাক মা শ্যামা সুধাতরঙ্গিণী!
ঠাকুর গান করিতেছেন। হঠাৎ “হরিবোল হরিবোল” (বলিতে Kathamrita) বলিতে বিজয় দণ্ডায়মান। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভাবোন্মত্ত হইয়া বিজয়াদি ভক্তসঙ্গে নৃত্য করিতে লাগিলেন।
আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”
আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির
আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”
আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”
Leave a Reply