Ramakrishna 515: “সুলক্ষণ শালগ্রাম,—বেশ চক্র থাকবে,—গোমুখী…আর সব লক্ষণ থাকবে—তাহলে ভগবানের পূজা হয়”

ramakrishna kathamrita by mahendranath gupta 528th  copy

৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

১৮৮৫, ১৪ই জুলাই
পূর্বকথা—৺কাশীধামে শিব ও সোনার অন্নপূর্ণাদর্শন—
অদ্য ব্রহ্মাণ্ডকে শালগ্রাম রূপে দর্শন

বেলা দশটা বাজিয়াছে। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে কথা কহিতেছেন। মাস্টার গঙ্গাস্নান করিয়া আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন ও কাছে বসিলেন।

ঠাকুর ভাবে পূর্ণ হইয়া কত কথাই বলিতেছেন। মাঝে মাঝে অতি গুহ্য দর্শনকথা একটু একটু বলিতেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ—সেজোবাবুর সঙ্গে যখন কাশী গিয়েছিলাম, মণিকর্ণিকার ঘাটের কাছ দিয়ে আমাদের নৌকা যাচ্ছিল। হঠাৎ শিবদর্শন। আমি নৌকার ধারে এসে দাঁড়িয়ে সমাধিস্থ। মাঝিরা হৃদেকে বলতে লাগল — ‘ধর! ধর!’ পাছে পড়ে যাই। যেন জগতের যত গম্ভীর নিয়ে সেই ঘাটে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রথমে দেখলাম দূরে দাঁড়িয়ে তারপর কাছে আসতে দেখলাম (Kathamrita), তারপর আমার ভিতরে মিলিয়ে গেলেন!

“ভাবে দেখলাম, সন্ন্যাসী হাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। একটি ঠাকুরবাড়িতে ঢুকলাম — সোনার অন্নপূর্ণাদর্শন হল!

“তিনিই এই সব হয়েছেন, — কোন কোন জিনিসে বেশি প্রকাশ।

(মাস্টারাদির প্রতি)—“শালগ্রাম তোমরা বুঝি মান না—ইংলিশম্যানরা মানে না। তা তোমরা মানো আর নাই মানো। সুলক্ষণ শালগ্রাম,—বেশ চক্র থাকবে,—গোমুখী। আর সব লক্ষণ থাকবে—তাহলে ভগবানের পূজা হয়।”

মাস্টার—আজ্ঞা, সুলক্ষণযুক্ত মানুষের ভিতর যেমন ঈশ্বরের বেশি প্রকাশ।

শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna) —নরেন্দ্র আগে মনের ভুল বলত, এখন সব মানছে।

ঈশ্বরদর্শনের কথা বলিতে বলিতে ঠাকুরের ভাবাবস্থা হইয়াছে। ভাব-সমাধিস্থ। ভক্তেরা একদৃষ্টে চুপ করিয়া দেখিতেছেন। অনেকক্ষণ পরে ভাব সম্বরণ করিলেন ও কথা কহিতে লাগিলেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) — কি দেখছিলাম। ব্রহ্মাণ্ড একটি শালগ্রাম। — তার ভিতর তোমার দুটো চক্ষু দেখছিলাম(Kathamrita)!

মাস্টার ও ভক্তেরা এই অদ্ভুত, অশ্রুতপূর্ব দর্শনকথা অবাক্‌ হইয়া শুনিতেছেন। এই সময় আর-একটি ছোকরা ভক্ত, সারদা, প্রবেশ করিলেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া উপবেশন করিলেন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share