Ramakrishna 372: শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 430th copy

গিরিশের শান্ত ভাব কলিতে শূদ্রের ভক্তি ও মুক্তি

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আর আছে স্বপ্নসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ।

এই বলিয়া ঠাকুর ভাবে বিভোর হইয়া গান গাহিতেছেন-

শ্যামা ধন কি সবাই পায়,
অবোধ মন বোঝেনা একি দায়। (Kathamrita)
শিবেরই অসাধ্য সাধন মন মজানো রাঙা পায়।।
ইন্দ্রাদি সম্পদ সুখ তুচ্ছ হয় যে ভাবে মায়।
সদানন্দ সুখে ভাসে শ্যামা যদি ফিরে চায়।।
যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ইন্দ্র যে চরণ ধ্যানে না পায় ।
নির্গুণে কমলাকান্ত তবু সে চরণ চায়।।

ঠাকুর কিয়ৎতক্ষণ ভাবাবিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন।

কিছুদিন পূর্বে ষ্টার থিয়েটারে গিরিশ অনেক কথা বলিয়াছিলেন এখন শান্ত ভাব।

শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- তোমার এই ভাব বেশ ভালো, শান্ত ভাব। মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও। যা তা আমায় না বলে।

গিরিশ (মাস্টারের প্রতি) আমার জিব কে যেন চেপে ধরেছে। আমায় কথা কইতে দিচ্ছে না।

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- এখনও ভাবস্থ। বাহিরের ব্যক্তি বস্তু ক্রমে ক্রমে সব ভুলে যাচ্ছেন। একটু প্রকৃতিস্থ হইয়া মনকে নাবাচ্ছেন। ভক্তদের আবার দেখিতেছেন। (মাস্টার দৃষ্টে) এরা সব সেখানে যায়। তা যায় তো যায়, মা সব জানে।

(প্রতিবেশী ছোকরার প্রতি) কি গো তোমার কি বোধ হয়? মানুষের কি কর্তব্য?

সকলে চুপ করিয়া আছেন (Ramakrishna)। ঠাকুরকে বলিতেছেন, ঈশ্বর লাভই জীবনের উদ্দেশ্য।

শ্রীরামকৃষ্ণ (নারায়ণের প্রতি) তুই পাস করবি নি, ওরে পাশমুক্ত শিব পাশবদ্ধ জীব (Kathamrita)।

ঠাকুর এখন ভাবাবস্থায় আছেন। কাছে গ্লাস করা জল ছিল, পান করিলেন। তিনি আপনা আপনি বলিতেছেন, ওইভাবে তো জল খেয়ে নিলুম।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share