ঠাকুর এখন ভাবাবস্থায় আছেন। কাছে গ্লাস করা জল ছিল, পান করিলেন। তিনি আপনা আপনি বলিতেছেন, ওইভাবে তো জল খেয়ে নিলুম।
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- শ্রীযুক্ত অতুল- ব্যাকুলতা
এখনও সন্ধ্যা হয় নাই। ঠাকুর গিরিশের (Kathamrita) ভ্রাতা শ্রীযুক্ত অতুলের সহিত কথা কহিতেছেন। অতুল ভক্ত সঙ্গের সম্মুখেই বসিয়া আছেন। একজন ব্রাহ্মণ প্রতিবেশীও বসিয়া আছেন। অতুল হাইকোর্টের উকিল।
শ্রীরামকৃষ্ণ (অতুলের প্রতি)- আপনাদের এই বলা, আপনারা দুই করবে সংসারও করবে, ভক্তি যাতে হয় তাও করবে।
(ব্রাহ্মণ প্রতিবেশী)- ব্রাহ্মণ না হলে কি সিদ্ধ হয়?
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- কেন কলিতে শূদ্রের ভক্তির কথা আছে। শবরী, রুইদাস, গুহক চন্ডাল এসব আছে।
নারায়ণ (সহাস্যে)- ব্রাহ্মণ শূদ্র সব এক।
ব্রাহ্মণ- এক জন্মে কি হয়?
শ্রীরামকৃষ্ণ- তাঁর দয়া হলে কিনা হয়। হাজার বছরের অন্ধকার ঘরে আলো আনলে কি, একটু একটু করে অন্ধকার চলে যায়, একেবারে আলো হয়।
(অতুলের প্রতি)- তীব্র বৈরাগ্য চাই। (Ramakrishna) যেন খাপ খোলা তরোয়াল। সে বৈরাগ্য হলে আত্মীয় কালসাপ মনে হয়, গৃহ পাতুকুয়া মনে হয়।
আর আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়। আন্তরিক ডাক তিনি শুনবেনই শুনবেন।
সকলে চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর যাহা বলিলেন এক মনে শুনিয়া সেই সকল চিন্তা করিতেছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ (অতুলের প্রতি)- কেন এমন আঁট বুঝি হয় না, ব্যাকুলতা।
অতুল- মন কই থাকে?
শ্রীরামকৃষ্ণ- অভ্যাসযোগ! রোজ তাঁকে ডাকা অভ্যাস করতে হয়। একদিনে হয় না (Kathamrita), রোজ ডাকতে ডাকতে ব্যাকুলতা আসে।
Leave a Reply