Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

https://www.madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-347th-copy

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- তুই একটু গান গা

নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন

চিদানন্দ সিন্ধুনীর প্রেমানন্দের লহরী
মহাভাবিক রাসলীলা কী মাধুরী মরি মরি,
বিবিধ বিলাস রঙ্গপ্রসঙ্গ কত অভিনব ভাব তরঙ্গ,
ডুবিছে উঠেছে করিছে রঙ্গ নবীন রুপ ধরি।

(হরি হরি বলে)
মহাযোগে সমুদায় একাকার হইল।
বেশ কাল ব্যবধান ভেদাভেদ ঘুছিল
(আশা পুরিল রে আমার সকল সাধ মিটে গেল)
এখন আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি।

নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, মহাযোগে সব একাকার হইল। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলিতেছেন- এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয় তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা।

নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিতেছেন- ওইটি দুবার করে বল।
গান হইয়া গেলে আবার ভক্তর সঙ্গে কথা হইতেছে।

গিরিশ- দেবেন্দ্রবাবু আসেন নাই। তিনি অভিমান করে বললেন, আমাদের ভেতরে এত ক্ষীরের পোর নাই কলাইয়ের পোর আমরা এসে কি করব।

শ্রী রামকৃষ্ণ বিস্মিত হইয়া- কই আগে তো উনি ওরকম করতেন না।

ঠাকুর জলসেবা করিতেছেন, নরেন্দ্রকেও খাইতে দিলেন

যতীনদেব- (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- নরেন্দ্র খাও, নরেন্দ্র খাও বলছেন। আমরা শালারা ভেসে এসেছি।

যতীনকে ঠাকুর খুব ভালোবাসেন (Kathamrita)
। তিনি দক্ষিণেশ্বরে গিয়া মাঝে মাঝে দর্শন করেন। কখনও কখনও রাত্রে সেখানে গিয়ে থাকেন। তিনি শোভাবাজারের রাজাদের বাড়ির (রাধাকান্ত দেব বাড়ির) ছেলে।

শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি সহাস্য)- ওরে যতীন তোর কথাই বলছে।

ঠাকুর হাসিতে হাসিতে যতীনের থুতি ধরে আদর করিতে করিতে বলিলেন, সেখানে যা, গিয়ে খাস অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে যাস। ঠাকুর আবার বিবাহ বিভ্রাট অভিনয় শুনবেন। বক্সে গিয়ে বসলেন। ঝির কথাবার্তা শুনে হাসিতে লাগিলেন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share