Ramakrishna 384: শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিলেন, বাবা কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ না হলে হবে না

https://www.madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-347th-copy

(পূর্বকথা- হৃদয় মুখুজ্জের হাঁকডাক- ঠাকুরের সত্ত্বগুণের অবস্থা)

নরেন্দ্র- গিরিশ ঘোষ এখন কেবল এইসব চিন্তাই করে।

শ্রীরামকৃষ্ণ- সে খুব ভালো। তবে এত গালাগাল, মুখ খারাপ করে কেন? সে অবস্থা আমার নয়। বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না কিন্তু সারসি ঘটঘট করে। আমার সেই অবস্থা নয়, সত্ত্ব গুণের অবস্থায় হৈচৈ হয় না। হৃদয় তাই চলে গেল। মা রাখলেন না শেষা শেষি। আমায় গালাগালি দিত। হাঁকডাক করত।

নরেন্দ্র- আমি কিছু বলি নাই, তিনিই বলেন, তাঁর অবতার বলে বিশ্বাস। আমি আর কিছু বললাম না।

শ্রী রামকৃষ্ণ- কিন্তু খুব বিশ্বাস দেখেছিস।

ভক্তেরা এক দৃষ্টি দেখিতেছেন। ঠাকুর নিচেই মাদুরের উপর বসিয়া আছেন। কাছে মাস্টার, সম্মুখে নরেন্দ্র, চতুর্দিকে ভক্তগণ। ঠাকুর একটু চুপ করিয়া নরেন্দ্রকে সস্নেহে দেখিতেছেন। পরে নরেন্দ্র কে বলিলেন, বাবা কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ না হলে হবে না। বলিতে বলিতে ভাব পূর্ণ হইয়া উঠিলেন। সেই করুনামাখা সস্নেহ দৃষ্টি তাহার সঙ্গে ভাবন্মোত্ত হইয়া গান ধরিলেন-

কথা বলতে ডরাই না বললেও ডরাই
মনের সন্দেহ হয় পাছে তোমাধনে হারাই হারাই।।
আমরা জানি যে মন-তোর দিলাম তোকে
সেই মন্তর এখন মন্তর
আমরা যে মন্ত্রে বিপদে তরি ডরাই।।

শ্রীরামকৃষ্ণের ভয়, বুঝি নরেন্দ্র আর কাহারও হইল। আমার বুঝি হল না। নরেন্দ্র অশ্রুপূর্ণ লোচনে চাহিয়া আছেন। বাইরের একটি ভক্ত ঠাকুরকে দর্শন করিয়া আসিয়াছিলেন। তিনিও কাছে বসে সমস্ত দেখিতেছিলেন।

ভক্ত- মহাশয় কামিনী কাঞ্চন যদি ত্যাগ করতে হবে। তবে গৃহস্থ কি করবে?

শ্রীরামকৃষ্ণ- তা তুমি করো না, আমাদের অমনি একটা কথা হয়ে গেল।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share