শ্রীরামকৃষ্ণের ভয়, বুঝি নরেন্দ্র আর কাহারও হইল। আমার বুঝি হল না। নরেন্দ্র অশ্রুপূর্ণ লোচনে চাহিয়া আছেন। বাইরের একটি ভক্ত ঠাকুরকে দর্শন করিয়া আসিয়াছিলেন। তিনিও কাছে বসে সমস্ত দেখিতেছিলেন।
ভক্ত- মহাশয় কামিনী কাঞ্চন যদি ত্যাগ করতে হবে। তবে গৃহস্থ কি করবে?
শ্রীরামকৃষ্ণ- তা তুমি করো না, আমাদের অমনি একটা কথা হয়ে গেল।
(গৃহস্থ ভক্তের প্রতি অভয়দান ও উত্তেজনা)
মহিমাচরন চুপ করিয়া বসিয়া আছেন মুখে কথাটি নাই
শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি)- এগিয়ে পড়। আর আরও আগে যাও চন্দন কাঠ পাবে, আরও আগে যাও রুপার খনি পাবে, আরও এগিয়ে যাও সোনার খনি পাবে, আরও এগিয়ে যাও হিরে মাণিক পাবে। এগিয়ে পড়ো।
মহিমা- আজ্ঞে টেনে রাখে যে এগুতে দেয় না
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- কেন লাগাম কাটো তার নাম গুণে কাটো, কালী নামেতে কালপাশ কাটে।
নরেন্দ্র পিতৃ বিয়োগের পর সংসারে বড় কষ্ট পাইতেছেন। তাহার উপর অনেক তাল যাইতেছে। ঠাকুর মাঝে মাঝে নরেন্দ্রকে দেখিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিতেছেন, তুই কি চিকিৎসক হয়েছিস?
ঠাকুর (Ramakrishna) কি বলিতেছেন নরেন্দ্রের এই বয়সে অনেক দেখাশোনা হইল। সুখ দুঃখের সঙ্গে অনেক (Kathamrita) পরিচয় হইল। নরেন্দ্র ঈষৎ হাসিয়া চুপ করিয়া রইলেন।
শ্রী শ্রী দোলযাত্রা ও শ্রীরামকৃষ্ণের রাধাকান্ত- মা কালীকে ও ভক্ত দিকের গায়ে আবির প্রদান
নবাই চৈতন্য গান গাহিতেছেন। ভক্তরা সকলেই বসিয়া আছেন। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়াছিলেন। হঠাৎ উঠিলেন। ঘরের বাহিরে গেলেন (Kathamrita)। ভক্তরা সকলে বসিয়া রহিলেন গান চলিতে লাগিল।
মাস্টার ঠাকুরের (Ramakrishna) সঙ্গে সঙ্গে গেলেন। ঠাকুর পাকা উঠান দিয়া কালীঘাটের দিকে যাইতেছেন। রাধাকান্তের মন্দির আগে প্রবেশ করিলেন। ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহার প্রণাম দেখিয়ে মাস্টারও প্রণাম করলে। ঠাকুরের সম্মুখে থালায় আবির ছিল।
Leave a Reply