Ramakrishna 402: ঠাকুর উত্তর-পূর্ব কোণের লম্বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে একান্তে ছোট নরেনকে নানা উপদেশ দিচ্ছেন

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-400th-copy-2

শ্রীরামকৃষ্ণ: “কেন, মহিম তো ভক্তির কথাও কয়। সে তো ওইটা খুব বলে।”

মাস্টার: “সব শেষে আপনি বলেন, তাই বলি।”

শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষ আজকাল ঠাকুরের কাছে নতুন করে যাতায়াত শুরু করেছেন। তিনি সর্বদা ঠাকুরের কথায় নিমগ্ন থাকেন।

হরি- গিরিশ ঘোষ আজকাল নানা কিছু দেখেন। এখানে এসে সর্বদা ঈশ্বরের ভাবেই থাকেন। কত কিছুই না দেখেন!

শ্রীরামকৃষ্ণ- “তা হতেই পারে। গঙ্গার ধারে গেলে অনেক কিছুই তো দেখা যায়—নৌকা, জাহাজ, কত কিছু!”

হরি গিরিশ ঘোষ বলেন “এবার শুধু কর্ম নিয়েই থাকবো। সকালে ঘড়ি দেখে দোয়াত-কলম নিয়ে বসে যাবো, আর সারা দিন বই লেখা করবো—এই ভাবনা করেছি। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে না। আমরা গেলেই কেবল এখানকার (দক্ষিণেশ্বরের) কথা শুনতে হয়।”

আপনি নরেন্দ্রকে পাঠাতে বলেছিলেন।

গিরিশবাবু বললেন, “নরেন্দ্রকে আমি গাড়ি করে পৌঁছে দেব।”

ঘড়িতে তখন পাঁচটা বাজে।

ছোট নরেন বাড়ি যাচ্ছেন।

ঠাকুর উত্তর-পূর্ব কোণের লম্বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে একান্তে তাঁকে নানা উপদেশ দিচ্ছেন। পরে নরেন প্রণাম করে বিদায় নিলেন। অন্যান্য ভক্তরাও বিদায় নিচ্ছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ ছোট খাটে বসে মোহিনীর সঙ্গে কথা বলছেন। মোহিনীর পরিবারটি পুত্রশোকে প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছে—কখনও হাসেন, কখনও কাঁদেন। দক্ষিণেশ্বরে এসে ঠাকুরের কাছে কিছুটা শান্ত ভাব হয়।

শ্রীরামকৃষ্ণ জিজ্ঞেস করলেন:

“তোমার পরিবার এখন কেমন আছে?”

মোহিনী বললেন:
“এখানে এলেই একটু শান্ত হন। ওখানে মাঝে মাঝে খুব হাঙ্গামা করেন। সেদিন তো মরতে গিয়েছিলেন!”

ঠাকুর কিছুক্ষণ নীরবে চিন্তায় ডুবে রইলেন।

মোহিনী বিনীতভাবে বললেন:

“আপনার দু-একটা কথা বলে দিতে হবে।”

শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন:

“রাঁধতে দিও না। ওতে মাথা আরও গরম হয়ে যায়। আর লোকজনের সঙ্গে রাখো—তাতে উপকার হবে।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share