শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)- রোসো, চুপচাপ করে থাকো, এর নামে একে বদনাম উঠছে।
অন্য চিন্তা চমৎকার—ব্রাহ্মণের প্রতিগ্রহ করার ফল।
আবার নরেন্দ্রর কথা পরিল।
একজন ভক্ত- এখন তত আছেন না কেন?
শ্রীরামকৃষ্ণ- অন্য চিন্তা চমৎকার! কালিদাস হয় বুদ্ধিহীনা।
বলরাম- শিব গুহর বাড়ির ছেলে অন্নদা গুহর কাছে খুব আনাগোনা আছে।
শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যাঁ, একজন অফিসওয়ালার বাড়িতে এরা সব যায়। সেখানে তারা ব্রাহ্মসমাজ করে।
একজন ভক্ত: তার নাম তারাপদ।
বলরাম (হাসিতে): ব্রাহ্মণরা বলে অন্নদা গুহ লোকটার বড় অহংকার।
শ্রীরামকৃষ্ণ: ব্রাহ্মণদের ওসব কথা শুনো না। তাদের তো জানো—না দিলেই খারাপ লোক, দিলেই ভালো। সকলের হাস্য! অন্নদাকে আমি জানি, ভালো লোক।
১৮৮৫, ১১ই মার্চ — ভক্ত সংঘে ভজনানন্দে
ঠাকুর গান শুনিবেন, এই ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। বলরামের বৈঠকখানার এক ঘর লোক; সকলেই তাঁহার পানে চাহিয়া আছেন—কি বলেন, শুনিবেন? কি করেন, দেখিবেন।
শ্রীযুক্ত তারাপদ গাইতেছেন:
“কেশব গুরু করুণাধীনে কুঞ্জকাননচারি
মাধব, মনমোহন, মুরলীধারী।
হরিবল, হরিবল, হরিবল মন আমার।
ব্রজকিশোর, কালীয়-হর, কাতর-ভয়-ভঞ্জন,
নয়ন বাঁকা বাঁকা, শিখী পাখা, রাধিকা হৃদয়রঞ্জন।
গোবর্ধন-ধারণ, বন-কুসুম-ভূষণ,
দামোদর, কংস-দর্প-হারী—
শ্যামরসো রসবিহারী।
হরিবোল, হরিবোল…”
শ্রীরামকৃষ্ণ গিরিশের প্রতি:
এই গানটি খুব উতরেছে।
গায়কের প্রতি— “নিতাই-এর গান গাইতে পারো।”
আবার গান হইল, নিতাই গাইতেছেন:
“কিশোরীর প্রেম নিবি আয়, প্রেমের জোয়ার বয়ে যায়।
বই ছেড়ে প্রেম শতধারে,
যে যত চায়, তত পায়।
প্রেমের কিশোরী প্রেম বিলায়,
সাধ করি রাধার প্রেমে বল রে হরি।
প্রেমে প্রাণ মত্ত করে, প্রেম তরঙ্গে প্রাণ না চায়—
রাধার প্রেমে হরি বলি,
আয়, আয়, আয়।”
Leave a Reply