Ramakrishna 432: শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে কাছে বসাইয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 430th copy

ঠাকুর নরেন্দ্রকে কাছে ডাকিয়া বসাইলেন ও কুশল প্রশ্ন ও কত আদর করিতেছেন। নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি) কই, কালী-র ধ্যান তিন-চারদিন করলুম, কিছুই তো হল না।”

শ্রীরামকৃষ্ণ — “ক্রমে হবে। কালী আর কেউ নয়। যিনি ব্রহ্ম, তিনি কালী। কালী আদ্যাশক্তি। যখন নিষ্ক্রিয়, তখন ব্রহ্ম বলি, যখন সৃষ্টি-প্রলয় করেন, তখন শক্তি বলি। যাকে তুমি ব্রহ্ম বলছ, তাকেই কালী বলছি। ব্রহ্ম আর কালী অভেদ। যেমন অগ্নি আর দাহিকাশক্তি—অগ্নি ভাবলেই দাহিকাশক্তি ভাবতে হয়। কালী মানলেই ব্রহ্ম মানতে হবে, আবার ব্রহ্ম মানলে কালী মানতে হবে। ব্রহ্ম ও শক্তি অভেদ—ওকেই শক্তি, ওকেই কালী আমি বলি।”

এদিকে রাত হয়ে গেছে। গিরিশ হরিপদকে বলিতেছেন— “ভাই, একখানা গাড়ি যদি ডেকে দিস, থিয়েটারে যেতে হবে।”

শ্রীরামকৃষ্ণ — “দেখিস যেন আনিস।”

হরিপদ সহাস্যে — “আমি আনতে যাচ্ছি, আর আনবো না।”

ঈশ্বর লাভ ও কর্ম – রাম ও কাম

গিরিশ: “শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি, আপনাকে ছেড়ে আবার থিয়েটারে যেতে হবে?”

শ্রীরামকৃষ্ণ: “না, এদিক-ওদিক—দুই দিক রাখতে হবে। জনক রাজা এদিক-ওদিক দু’দিন দেখে খেয়েছিল দুধের বাটি। সকলের হাস্য।”

গিরিশ: “থিয়েটারগুলো ছেলেদেরই ছেড়ে দিই, মনে করছি।”

শ্রীরামকৃষ্ণ: “নানা, ও বেশ আছে। অনেকের উপকার হচ্ছে।”

নরেন্দ্র (মৃদুস্বরে): “এই তো ঈশ্বর বলছে, অবতার বলছে, আবার থিয়েটার টানে!”

সমাধি মন্দিরে – গড়গড় মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণ।

শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে কাছে বসাইয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন। হঠাৎ তাহার সন্নিকটে আরো শরিয়া গিয়া বসিলেন।
নরেন্দ্র অবতার মানেন না, তা কী এসে যায়? ঠাকুরের ভালবাসা যেন আরও উথলিয়া পড়িল।
“আছে আছে”— গায়ে হাত দিয়া, নরেন্দ্রের প্রতি কহিতেছেন—
“আমরাও তোর মানে আছি।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share