Ramakrishna 447: শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-443th-copy

মাস্টার: – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হয়েছিল। সে ৪–৫ দিন ধরে বলছে, ‘ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়’ — এইসব লক্ষণ দেখা যায়।”

শ্রীরামকৃষ্ণ: – “তবে আর কী?”

ঠাকুর চুপ করে থাকেন। মাস্টার কিছুক্ষণ পরে আবার বলতে শুরু করেন —

মাস্টার: – “সে দাঁড়িয়ে আছে।”

শ্রীরামকৃষ্ণ: – “কে?”

মাস্টার: – “পূর্ণ — তার বাড়ির দরজার কাছেই বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার করবে — তারপর চলে যাবে।”

শ্রী রামকৃষ্ণ- আহা আহা

ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন। মাস্টারের সঙ্গে একটি দ্বাদশ বর্ষীয় বালক আশি আছে মাস্টারের স্কুলে পড়ে নাম ক্ষীরোদ।

মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ
শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো

ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন

শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম

পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন

শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

(মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

(পল্টুর প্রতি)
— তুই কী বললি, পল্টু?

পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

(ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share