Ramakrishna 455: কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে,

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-393th-copy

শ্রীরামকৃষ্ণ — এর কী সূক্ষ্মবুদ্ধি! ন্যাংটা এইরকম ফস করে বুঝে নিত — গীতা, ভাগবত, যেখানে যা, সে বুঝে নিত।

[কৌমার্যব্রত্য আশ্চর্য — বেশ্যার উদ্ধার কিরূপে হয়]

শ্রীরামকৃষ্ণ — ছেলেবেলা থেকে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ, এটি খুব আশ্চর্য। খুব কম লোকের হয়! তা না হলে যেমন শিল-থেকে আম — ঠাকুরের সেবায় লাগে না — নিজে খেতে ভয় হয়।

“আগে অনেক পাপ করেছে, তারপরে বুড়ো বয়সে হরিনাম করছে এ মন্দের ভাল।

“অমুক মল্লিকের মা, খুব বড় মানুষের ঘরের মেয়ে! কেশবদের কথায় জিজ্ঞাসা করলো, ওদের কি কোন মতেও উদ্ধাৰ হবে না? নিজে আগে আগে অনেকরকম করছে কি না! তাই জিজ্ঞাসা করলো। আমি বললুম, হ্যাঁ, হবে — যদি আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, আর বলে আর করব না। শুধু হরিনাম করলে কি হবে, আন্তরিক কাঁদতে হবে।”

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ
১৮৮৫, ৬ই এপ্রিল 1885/04/06/iii

43.13 দেবেন্দ্র-ভবনে ঠাকুরের কীর্ত্তনানন্দ ও সমাধিধন্দিতে

এইবার খোল-করতাল লইয়া সংগীতন উঠিতেছে। কীর্ত্তনিয়া গাহিতেছেন:

কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে,
অপরূপ জ্যোতিষি; শ্রীগৌরাঙ্গ মূর্তি,
দুনু চক্ষে প্রেম বয়ে শতধারে।

গৌর মন্মথতন্ত্র প্রায়, প্রেমাবেশে নাচে গায়,
কড়ু ধরাতে লুয়া, নয়নজলে ভাসে রে,
কাঁদে আর বলে হরি, স্বর্ণ-মর্ত্ত্য ভেদ করি, সিংহদ্বারে রে,
আবাব ফুল লয়ে কুন্তাঞ্জলি হয়,
দাস মুক্তি যাত্রে দ্বারে দ্বারে।।

কিবা মূরছায়ে চটক বেস, ধরেছেন যোগীর বেস,
দেখে ভক্তি প্রেমাবেশ, প্রাণ কেঁদে উঠে রে।
জীবের দুঃখে কাতর হয়ে, এলেন সর্ব্ব ত্যাগিয়ে,
প্রেম বিলাতে রে,

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share