Ramakrishna 458: ঠাকুর ভাবে আবার বলছেন, “আমি লুচি আর খাব না”

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 460th copy

শ্রী রামকৃষ্ণ (ভাবস্থ) — মা! তাকে টেনে নিও, আমি আর ভাবতে পারি না!! (মাস্টারের দিকে) তোমার সম্পত্তি — তার দিকে একটু মন আছে।

(গিরিশের প্রতি) — “তুমি মালামাল, খাবার কথা, অনেক বল; তা হউক, ওসব বেরিয়ে যাওয়া‌ই ভালো। বদরোগ কাকের কাকর আছে। যত বেরিয়ে যায় ততই ভালো। “উচ্চারিত নামের সময়ই শব্দ হয়। কাঁঠ পোড়াবার সময় চড়চড় শব্দ করে। সব পুড়ে গেলে আর শব্দ থাকে না। “তুমি দিন দিন শুভ হবে। তোমার দিন দিন খুব উন্নতি হবে। লোকে দেখে অবাক হবে। আমি বেশি আসতে পারব না, — তা হউক, তোমার এমনি হবে।” ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের ভাব আবার ঘনীভূত হইতেছে। আবার মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন, “মা! যে ভাল আছে তাকে ভাল করতে যাওয়া কি বাহাদুরি? মা! মরারকে বাঁচাইতে হইবে? যে খাদ্য হয়ে রয়েছে তাকে খাওলে তবে তো তোমার মহিমা!” ঠাকুর কিন্তু স্থির হইয়া ঠাঁই একটুখানি উচ্চঃস্বরে বলিতেছেন — “আমি দক্ষিণেশ্বর থেকে এসেছি। যাচ্ছি গো মা!!”

যেন একটি ছোট ছেলে দূর হইতে মার ডাক শুনিয়া উত্তর দিতেছে! ঠাকুর আবার নিঃস্পন্দ দেখ, সমাধিস্থ বসিয়া আছেন। ভক্তেরা অনিমেষনয়নে নিঃশব্দে দেখিতেছেন।

ঠাকুর ভাবে আবার বলছেন, “আমি লুচি আর খাব না।”

পাড়া হইতে দুই-একটি গোস্বামী আসিয়াছিলেন — তাহারা উঠিয়া গেলেন।

পরবর্তী পরিচ্ছেদ

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ
১৮৮৫, ৬ এপ্রিল
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবেন্দ্রের বাটীতে ভক্তসম্ভাষণে

ঠাকুর ভক্তসম্ভাষে আনন্দে কথাবার্তা কহিতেছেন। চৈত্র মাস, বড় গরম! দেবেন্দ্র কুলপি বরফ তৈয়ার করিয়াছেন। ঠাকুরকে ও ভক্তদের খাওয়াইতেছেন।
ভক্তগণও কুলপি খাইয়া আনন্দ করিতেছেন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share