Ramakrishna 458: শ্রীরামকৃষ্ণ বলিলেন, আমার চেলা-টেলা নাই, আমি রামের দাসানুদাস

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-455th-copy-2

যেন একটি ছোট ছেলে দূর হইতে মার ডাক শুনিয়া উত্তর দিতেছে! ঠাকুর আবার নিঃস্পন্দ দেখ, সমাধিস্থ বসিয়া আছেন। ভক্তেরা অনিমেষনয়নে নিঃশব্দে দেখিতেছেন।

ঠাকুর ভাবে আবার বলছেন, “আমি লুচি আর খাব না।”

পাড়া হইতে দুই-একটি গোস্বামী আসিয়াছিলেন — তাহারা উঠিয়া গেলেন।

পরবর্তী পরিচ্ছেদ

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ১৮৮৫, ৬ এপ্রিল ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবেন্দ্রের বাটীতে ভক্তসম্ভাষণে

ঠাকুর ভক্তসম্ভাষে আনন্দে কথাবার্তা কহিতেছেন। চৈত্র মাস, বড় গরম! দেবেন্দ্র কুলপি বরফ তৈয়ার করিয়াছেন। ঠাকুরকে ও ভক্তদের খাওয়াইতেছেন। ভক্তগণও কুলপি খাইয়া আনন্দ করিতেছেন। মণি বলিতেছেন, “এনেকোর! এনেকোর!” (অর্থাৎ আরও কুলফি দাও) ও সকলে হাসিতেছেন। কুলফি খাইয়া ঠাকুরের ঠিক বালকের ন্যায় আনন্দ হইতেছে।

শ্রীরামকৃষ্ণ — “বেশ কীর্ত্তন হল! গোপীদের অবস্থা বেশ বললে — ‘হে মাধব, আমার মাধব দাও।’ গোপীদের প্রেমান্দদের অবস্থা। কী আশ্চর্য! কৃষ্ণের জন্য পাগল!”

একজন ভক্ত আর একজনকে দেখাইয়া বলিতেছেন — **“এরই সঙ্গীতভাব — গোপীবাবা।”

রাম বলিতেছেন — “এর ভিতর দুইই আছে। মধুরভাব আর জ্ঞানের কঠোর ভাবও আছে।”

শ্রীরামকৃষ্ণ — “কি গা?”

ঠাকুর এবার সুরেন্দ্রর কথা বলিতেছেন।

রাম — আমি খবর দিছিলাম, কই এলেন না।
শ্রীরামকৃষ্ণ — কর্ম থেকে এসে আর পারা যায় না।

একজন ভক্ত — রামবাবু আপনার কথা লিখেছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য) — কি লিখেছে?
ভক্ত — পরমহংসের ভুক্তি — এই বলে একটি বিষয় লিখেছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ — তবে আর কি, রামের খুব নাম হবে।
গিরিশ (সহাস্য) — সে আপনার চেলা বলে।
শ্রীরামকৃষ্ণ — আমার চেলা-টেলা নাই। আমি রামের দাসানুদাস।

পাড়ার লোকেরা কেহ কেহ আসিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাদের দেখিয়া ঠাকুরের আনন্দ হয় নাই। ঠাকুর একবার বলিলেন, “এ কি পাড়া! এখানে দেখছি কেউ নাই।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share