Ramakrishna 461: ঠাকুর আনন্দে গাড়িতে যাচ্ছেন

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 460th copy

মেয়েভক্তগণ অনেকেই আসিয়াছেন। তাহারা চিত্রের আড়ালে বসিয়া ঠাকুরের দর্শন করিতেছেন।
মোহিনীর পরিবারও আসিয়াছেন — পূর্বশ্রেষ্ঠ উৎপাদনে ব্যয় — তিনি ও তাহার নাম্য সঙ্গিনী অনেকেই আসিয়াছেন, এই বিশ্বাস যে ঠাকুরের কাছে নিঃসন্দেহে শান্তিলাভ হইবে।

আজ ১লা বৈশাখ, চৈত্র কৃষ্ণ একাদশী, ১২ই এপ্রিল, ১৮৮৫, শুক্রবার, বেলা ৩টা হইবে।

মাস্টার আসিয়া দেখিলেন, ঠাকুর ভক্তের মজলিস করিয়া বসিয়া আছেন ও নিজের সাম্প্রতিক বিবরণ ও নানাবিধ আধ্যাত্মিক অবস্থার বর্ণনা করিতেছেন।
মাস্টার আসিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাহার কাছে আসিয়া বসিলেন।

ঠাকুর আনন্দে গাড়িতে যাচ্ছেন।

১। শ্রীউপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ঠাকুরের ভক্ত ও “বসুমতী’র” সম্পাদক।

২। শ্রীঅমরকুমার সেন, ঠাকুরের ভক্ত ও কবি। ইনি “শ্রীরামকৃষ্ণ পদ্য” লিখিয়া চিরস্মরণীয় হইয়াছেন। বাঁকুড়া জেলার অন্তঃপাড়া ময়নাপুর গ্রাম ইহার জন্মভূমি।

শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি) সে সময়ে ধ্যানে দেখতে পেতাম সত্যি সত্যি—একজনের কাছে ফুল হাতে বসে আছি, ভয় দেখাচ্ছে, যদি ঈশ্বরের পাদপথে মন না রাখি, চুল পর্যন্ত আমার বাড়ি মারবে। ঠিক মন না হলে বুকেও আঘাত হবে।

নিত্য, লীলা, যোগ, পুরুষ, প্রকৃতি, বিবেক—এই সব ভাবনা চলত।

কখনো মা এমন অবস্থা দেখাতেন যে নিত্য থেকে মন নেমে নেমে নীলায় চলে যেত, আবার কখনো লীলার মাধ্যমে নিত্যর মন উঠত। যখন লীলায় মন নেমে আসত, তখন কখনো সীতারামকে রাতদিন চিন্তা করতাম, আর সীতারামের রূপ দর্শন হতো। রামলালকে নিয়ে সর্বদা বেড়াতাম, কখনো খাওয়াইতাম, আবার কখনো রাধা-কৃষ্ণের ভাবনায় থাকতাম। ঐরূপে সর্বদা দর্শন হতো। আবার কখনো গৌরাঙ্গের ভাবনায় থাকতাম। দুই ভাবের মিলন এবং প্রকৃতিভাবের মিলন—ঐরূপে সর্বদা দর্শন হতো।

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share