মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে, বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই সঙ্গেই তদন্তে কেন গতি আসছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। একই সঙ্গে সিবিআই-কে তদন্তে গতি আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁরা সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানেও আমরা আশাবাদী।’’
আদালতের নির্দেশ
২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্ত করে আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে ৯৪ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। গত অক্টোবরে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহা। প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। প্যানেল প্রকাশের উপর উচ্চ আদালত পরে স্থগিতাদেশ দেয়। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, আদালত ঠিক করেছে বেআইনি যে সমস্ত চাকরি রয়েছে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
আইনজীবীদের দাবি
প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। দিনের পর দিন ধরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বসে রয়েছেন রাস্তা। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ৯৪জনের জায়গায় যারা যোগ্য তাদের চাকরি দেওয়া হোক। কিন্তু বেআইনি বলে উল্লেখ করা চাকুরিরতদের আইনজীবীদের দাবি, প্যানেল যদি বেআইনি হয় তবে সেই প্যানেল থেকে নতুন করে নিয়োগ করা যায় না। সেক্ষেত্রে নতুন করে প্যানেল করা হোক। অর্থাৎ শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর তা করা হলে তাতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন সকলেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours