Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

CBI files charge sheet against Sujay Krishna Bhadra in Primary recruitment case

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) বাড়িতে গেল ইডির একটি বড় দল। শনিবার সকালে একাধিক দলে ভাগ হয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই সিবিআইয়ের তলব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সকাল সকাল ‘কাকু-র’ বাড়ি

এদিন সকাল ৬টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, এই সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানন, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এখনও চলছে তল্লাশি

আজকে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পাশে ফকির পাড়াতেই একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, যে অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে সেটি একটি কনসাল্টেন্সি সংস্থার। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই সংস্থার যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সুজয়কৃষ্ণের প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকালে কয়েকজন এসে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। কিছু সময় পর বেরিয়ে আসনে কালীঘাটের কাকু। এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে শোনা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর নাম। এর আগে তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পর্ণশ্রীর একটি ফ্ল্যাট ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। 

আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ

সম্প্রতি সিবিআই এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের ফ্ল্যাটে। সে সময় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। পাওয়া যায় একটি অ্যাডমিট কার্ড। ‘কাকু’ দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।  শনিবার আরও এক দফা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share