Sikkim: উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলছে উদ্ধার কাজ

North Sikkim: ভেঙে যাওয়া সেতু পুনর্নির্মাণ, উত্তর সিকিমেও শুরু উদ্ধার কাজ, পায়ে হেঁটেই নামতে হচ্ছে পর্যটকদের
parliament_-_2024-06-18T203640704
parliament_-_2024-06-18T203640704

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির জেরে বেহাল সিকিম (Sikkim)। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমে আরও বেশ কয়েকদিন যে দুর্যোগ চলবে সেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

চলছে উদ্ধার কাজ

বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। একাধিক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসের কারণে। তাই সিকিমে আটকে থাকা অন্তত ১২০০ পর্যটককে উদ্ধার করতে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে। তবে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ দিনে ৬০ জনের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। মঙ্গলবার সিকিমের লাচুং এবং মঙ্গন  (North Sikkim) জেলা থেকে ১৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করে গ্যাংটক নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার ৫০ জনকে গ্যাংটক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন

প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেই বিআরও-র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ফের একবার ধসে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (North Sikkim) সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে। মংগন জেলার গুয়াহাটি বেসের ডিফেন্স পাবলিক রিলেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, ‘রাস্তা থেকে বড় বড় পাথরের টুকরো সরাতে একাধিক মেশিন এবং শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। অধিকাংশ রাস্তায় বর্তমানে সাফ করা গিয়েছে।' বিআরও প্রায় দু’দিনের মধ্যে ভেঙে যাওয়া সেতু পুনর্নির্মাণ করে ফেলেছে ৷ ফলে আবার উত্তর সিকিমের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনও সম্ভব হয়েছে ৷ তবে এখনও গাড়ি চলাচল স্থগিত রয়েছে। উত্তর সিকিমের বিপদসংকুল পাহাড়ি পথ টুং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত পায়ে হেঁটেই আসতে হচ্ছে পর্যটকদের। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছেই

মঙ্গলবারও নতুন করে সিকিমের (Sikkim) বহু এলাকায় ধস নামার কারণে পরিবহণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় আটকে পড়া অনেক পর্যটককে এয়ারলিফ্ট করে উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না।সিকিমে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দুর্যোগ। এতদিনেও পরিস্থিতির সেরকম উন্নতি হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর,  গ্যাংটকে রাখা হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। প্রয়োজনে বাগডোগরা থেকেও সেনাবাহিনীর কপ্টার আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং মেঘ থাকার কারণে হেলিকপ্টার চালানো যাচ্ছে না। তাই উদ্ধারকাজে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে। এই প্রেক্ষিতে সড়কপথই পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles