Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

Success_Story

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা মানুষকে যে জিরো থেকে হিরো বানাতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দিলখুশ কুমার (Success Story)। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম, রোজ দারিদ্রতার সাথে লড়াই, অভাব-অনটন এতটাই ছিল যে এক সময় রিকশও চালিয়েছেন। কিন্তু এত কষ্টের মাঝেও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বিসর্জন দেননি তিনি।  আর এই সবকিছুকে কাটিয়ে তিনি আজ এক কোম্পানির সিইও। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানব সেই দিলখুশ কুমারের সম্বন্ধে, যাঁর গল্প বড় সিনেমাকেও হার মানাবে।

দিলখুশের সংগ্রামের দিনগুলি (Success Story)

বিহারের সহরসা জেলার বনগাঁও নামের একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম দিলখুশ কুমারের। এই গ্রাম থেকেই তিনি হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি দিলখুশ। তাঁর বাবা ছিলেন ট্রাক ড্রাইভার। পরিবারে উপার্জনের একমাত্র মানুষ ছিলেন তিনিই। তাই দিলখুশ নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজের খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু অনেক ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও ভালো ফলাফল পাননি তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নেন রিকশ চালানোর। তাই লোকালয়ে প্রথমে রিকশ চালানো শুরু করেন। কিন্তু এতে শারীরিক অনেক পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন দিলখুশ (Success Story)। এর পরেই তিনি আবার কর্মজীবনে ফিরে আসেন। এবার তিনি বাজারে সব্জি বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেই তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে খামতি থেকে যাচ্ছিল। যদিও তাঁর প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল ব্যবসা করার। তাই তিনি যেমন করেই হোক ব্যবসার প্রতি মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলেন সারাটা জীবন।

তৈরি করলেন নিজের ক্যাব সংস্থা (Success Story)

তিনি কয়েক বছর ওলা, উবর-এর মতো কিছু ক্যাব সংস্থাতেও গাড়ি চালানোর কাজ করেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজস্ব একটি অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থা গড়ে তোলার। যেমন ভাবা তেমনই কাজ, তৈরি করে ফেললেন তাঁর প্রথম স্টার্ট আপ, নিজের প্রতিষ্ঠিত অ্যাপনির্ভর ক্যাব সংস্থা “রোডবেজ”। তবে ওলা কিংবা উবরের মতো যাত্রীদের গাড়ি সরবরাহ করে না তাঁর সংস্থা। দিলখুশের গ্রাহক পেশাদার গাড়ি চালকেরা। তাঁদেরকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে গাড়ি ভাড়া দেয় রোডবেজ। দিলখুশের (Success Story) প্রতিষ্ঠিত সংস্থা রোডবেজের বার্ষিক লেনদেন বেশ কয়েক কোটির কাছাকাছি। তিনি নিজেই ওই সংস্থার সিইও হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সারা বিহার জুড়ে দিলখুশের পরিবহণ সংস্থা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে, যেখানে তিনি বহু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, এমনকী আইআইটি ও এনআইটির ইঞ্জিনিয়ারদের নিজের কোম্পানিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share