মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের কড়া প্রতিবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে যে সভার আয়োজন করা হয়, সেখান থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ইউনূস হুঁশিয়ার, শুধু কলকাতায় একদিনে যে আবর্জনা বের হয়, ওটা ফেলে দিয়ে এলেই ঢাকা পড়ে যাবেন আপনি। পাঙ্গা নিতে আসবেন না।’’ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কিছুটা দাঁড়িয়ে ইউনূস সরকারকে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে ১৭,০০০ ভারতীয় জওয়ান আত্মবলিদান দিয়ে এই বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়েছেন। এটা ভুললে চলবে না। কেউ যদি অতীত ভুলে যান, তাঁর ভবিষ্যৎ ভালো হয় না।
বাংলাদেশ সরকারকে সতর্কবার্তা
সনাতনী হিন্দু সংগঠনের ডাকে এদিন দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে হিন্দুদের জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। এর পর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান। তার পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস ধরে অভিবাসন কেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। সকাল থেকেই এই চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। হাতও মেলান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছে। এরা কোনও বিজেপি নয়। হিন্দুরা জোট বাঁধছে। সকাল ছটা থেকে সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ।” শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “একদিনেই টাইট হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী নৌসেনা! ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে, চুক্তি শীঘ্রই
এটা ট্রেলার
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন এই সভার আয়োজন করা হয়। এখানে সমবেত সাধুরা বলেন, ‘‘সনাতনীদের এক হতে হবে। বাংলাদেশে অবিলম্বে হিন্দুনিধন যজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। পরের শুনানিতেই চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে।’’ এই সভায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “এটা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে পরের সপ্তাহে আমরা পাঁচদিন ধর্না দেব। তারপর ২০২৫ সালে আমরা লাগাতার বন্ধ করব। ওরা আলু, পেঁয়াজ কীভাবে খায়, সেটা দেখিয়ে দেব। আমাদের নাম ভারতবর্ষ।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply