Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Pakistan Taliban War: পাক-আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণ কী? কোন অবস্থান নেবে ভারত?

    Pakistan Taliban War: পাক-আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণ কী? কোন অবস্থান নেবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের জন্য ভারত সফরে এসেছেন আফগানিস্তানের (Pakistan Taliban War) বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Amir Muttaqi)। ৯ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছন তিনি। তাঁর ভারত সফর চলাকালীনই পাক যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং আশপাশ এলাকায় হামলা চালায়। পাল্টা জবাব দেয় আফগানিস্তানের তালিবান সরকারও। তালিবানরা ২৫টি পাক সামরিক চৌকি দখল করে, হত্যা করে ৫৮ জন সৈন্যকে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বন্দ্বের এই আবহে দুই দেশই পরস্পরকে পাল্টা আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে। দুই মুসলিম রাষ্ট্রের এহেন রণহুঙ্কারে উদ্বিগ্ন আরও দুই ইসলামিক রাষ্ট্র – সৌদি আরব এবং কাতার। দ্বন্দ্বের অবসানে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছে এই দুই দেশই।

    বিরোধের মূল কারণ (Pakistan Taliban War)

    প্রশ্ন হল, দুই মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের (Pakistan Taliban War) বিরোধের মূল কারণ কী? ভারতে কি এর কোনও প্রভাব পড়তে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমাদের দেখে নিতে হবে পাক-আফগান সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি কী? যুদ্ধের সম্ভাবনাই বা কতটা? এর উত্তর পেতে হলে আমাদের দেখে নিতে হবে আফগান বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের দিনগুলিতে ঠিক কী ঘটেছিল ‘আফিমের দেশে’। ৯ অক্টোবর রাতে পাকিস্তান শুধু কাবুলেই নয়, খোস্ত, জলালাবাদ ও পাকতিকা প্রদেশেও বিমান হামলা চালায়। টার্গেট ছিল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর প্রধান নূর ওয়ালি মেহসুদ। ১০ অক্টোবর টিটিপি পাকিস্তানে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায়। এতে এক মেজর, এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ২০ জন সৈন্য এবং ৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

    দাবি, পাল্টা দাবি

    পরের রাতে তালিবান বাহিনী সীমান্ত বরাবর পাল্টা আক্রমণ চালায়। কাবুলে সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, এই সংঘর্ষে ৫৮ জনেরও বেশি পাক সেনা নিহত এবং ৩০ জন জখম হয়েছে। তালিবান বাহিনী অস্থায়ীভাবে ২৫টি পাকিস্তানি চৌকি দখল করেছিল। সংঘর্ষ শেষের পরে সেগুলি পাকিস্তানকে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয় (Amir Muttaqi)। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি জানান, পাকিস্তান কঠোর জবাব দিয়েছে। এতে ৯ জন তালিবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাকিস্তান চুপ করে থাকবে না, ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়া হবে।” আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের অভিযান মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের কোনও সীমান্ত লঙ্ঘন হলে পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে (Pakistan Taliban War)। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের রাশ হাতে নেয়। তার পর এই প্রথম পাকিস্তান সরাসরি কাবুলে ড্রোন ও জেট হামলা চালিয়েছে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিবেক মিশ্র বলেন, “সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে পারে। তবে হামলা চলতে থাকলে সম্পূর্ণ যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

    মুত্তাকির ভারত সফরের জেরেই কি পাকিস্তান ক্ষুব্ধ?

    মুত্তাকি ভারতে পৌঁছন ৯ অক্টোবর। সেই দিনই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আফগানিস্তানকে সবচেয়ে বড় শত্রু আখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, “সেনাবাহিনী ও সরকারের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। আফগান মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ আর সহ্য করা হবে না।” বস্তুত, এরই কয়েক ঘণ্টা পরে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়। পরের দিন এক (Amir Muttaqi) সাক্ষাৎকারে আসিফ অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের দিকে। তাঁর অভিযোগ, “আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে প্রতিশোধ নিচ্ছে ভারত।” তিনি দাবি করেন, “একই ধর্মের পড়শি হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান কখনও ভাইয়ের মতো আচরণ করেনি (Pakistan Taliban War)।”

    আরও খেপে যায় পাকিস্তান

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মুত্তাকির বৈঠকের পর আরও খেপে যায় পাকিস্তান। কারণ যৌথ বিবৃতিতে তালিবান জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দে করে। এর পরেই পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে আফগান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রবল আপত্তি জানায়। এও জানিয়ে দেয়, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্য রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব ও ওই অঞ্চলের আইনানুগ মর্যাদা লঙ্ঘনের শামিল।ভারতের প্রাক্তন কূটনীতিক বীণা সিক্রি বলেন, “মুত্তাকির ভারত সফর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে পাকিস্তান।” জেএনইউয়ের অধ্যাপক রাজন কুমার বলেন, “পাকিস্তানের হামলার সময়সূচি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে মুত্তাকির ভারত সফরের সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর ইঙ্গিতও স্পষ্ট। আফগানিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, তবে তার মাশুল গুণতে হবে তাদের (Pakistan Taliban War)।”

    সংঘাতের ৩ কারণ

    প্রশ্ন হল, পাকিস্তান ও তালিবানের সংঘাতের প্রকৃত কারণ কী? নয়ের দশকে পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় জন্ম হয় তালিবানের। তালিবান যোদ্ধাদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা দেয় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ১৯৯৬ সালে কাবুল পতনের পর তালিবান সরকারকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল যারা, তাদের মধ্যে ছিল পাকিস্তানও। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে ঢুকলে আমেরিকার পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এর জেরে তালিবান নেতা মোল্লা ওমর পাকিস্তানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন। এর পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের। ২০২১ সালে তালিবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এলে পাকিস্তান সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করে। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং, তিনটি বড় ইস্যুতে সংঘাত তীব্র হয়।

    সংঘাতের ইস্যু

    এই ইস্যুগুলি হল, টিটিপিকে (TTP) আশ্রয় দেওয়া। টিটিপি পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হুমকি, যারা ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানিকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগান তালিবান সীমান্তের ওপারে টিটিপি জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর ওপর রয়েছে সীমান্ত বিরোধ। ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুরান্ড লাইনকে  (Durand Line) (১৮৯৩ সালে এই রেখা টেনেছিলেন ব্রিটিশ অফিসার মোর্টিমার ডুরান্ড) আফগানিস্তান কৃত্রিম ঔপনিবেশিক সীমারেখা হিসেবে অস্বীকার করে। এই রেখাই পশতুন ও বেলুচ সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে রেখেছে (Amir Muttaqi)। ২০২১ সালের পর জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান সীমান্তে বেড়া দিতে শুরু করে। তালিবান প্রশাসন একে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করে। আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কারও, দুই দেশের দ্বন্দ্বের একটি বড় কারণ। সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় থেকে পাকিস্তান লক্ষাধিক আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, এখনও প্রায় ১৫ লাখ আফগান পাকিস্তানে রয়েছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান নিরাপত্তা উদ্বেগ ও অর্থনৈতিক বোঝার কথা বলে অ-নথিভুক্ত আফগানদের বহিষ্কার করতে শুরু করে। তালিবান একে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি বলে অভিহিত করে। তারা কবুল করে, আফগানিস্তানের পক্ষে এই শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই (Pakistan Taliban War)।

    তালিবানি কৌশল

    প্রশ্ন হল, যদি সত্যিই যুদ্ধ বাঁধে, তাহলে কী হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে তালিবানরা পাকিস্তানের তুলনায় অনেক দুর্বল। তবে পাকিস্তানকে সামরিকভাবে চাপে ফেলতে তারা গেরিলা কৌশল অবলম্বন করতে পারে। রাজন কুমার বলেন, “অস্বীকার করলেও, তালিবান টিটিপিকে মদত দিয়ে চলেছে। তার কারণ উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে যাতে পাকিস্তানকে দু’টি ফ্রন্টে লড়াই করতে বাধ্য করা যায়।এদিকে, সম্প্রতি, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যাতে বলা হয়েছে একটির ওপর আক্রমণ উভয়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সৌদি আরব। তাই দ্বন্দ্ব মেটাতে এগিয়ে এসেছে তারা। এগিয়ে এসেছে মুসলিম রাষ্ট্র কাতারও (Pakistan Taliban War)।

    ভারতের ওপর প্রভাব

    প্রশ্ন হল, পাক-তালিবান সংঘাত ভারতের ওপর কী প্রভাব ফেলবে? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ও তালিবানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করছে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যখন কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতকে (Amir Muttaqi)। রাজন কুমারের পর্যবেক্ষণ, তালিবান ভারতের মতাদর্শগত মিত্র না হলেও, তারা নয়াদিল্লির কাছে অর্থনৈতিক, চিকিৎসা ও প্রযুক্তিগত সাহায্য চায়। তবে ভারত সম্ভবত মানবিক ও উন্নয়নমূলক সাহায্যের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে, এড়িয়ে চলবে সামরিক জটিলতা (Pakistan Taliban War)।

  • Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। তার আগে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেল রাজ্যের আরজেডি (RJD) নেতৃত্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ‘ল্যান্ড ফর জবস’ ও ‘আইআরসিটিসি দুর্নীতি’ মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিহার নির্বাচনের আগে লালু পরিবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও দুর্বল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ‘ল্যান্ড ফর জবস’ মামলায় চার্জ গঠন

    সিবিআই-এর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালু প্রসাদ যাদব গ্রুপ-ডি পদের চাকরির বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁদের জমি বা সম্পত্তি খুব কম দামে নিজের পরিবারের নামে নেন। এই মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে সিবিআই চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে লালু যাদব, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদব, মিসা ভারতীসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্তে দাবি করা হয়েছে, পাটনা ও তার আশপাশের বেশ কিছু জমি লালু পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৩(২) ও ১৩(১)(ডি) ধারায় চার্জ গঠন করেছে। শেষ দু’টি ধারা শুধুমাত্র লালু যাদবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এদিন আদালতে লালু, রাবড়ি ও তেজস্বী- তিনজনেই জানিয়েছেন তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। রাবড়ি দেবী বলেন, “এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা।”

    আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলা

    এই মামলাটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি হোটেল রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দু’টি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বিজয় ও বিনয় কোচারের মালিকানাধীন সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড-কে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছিল। মামলায় মোট ১৪ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। আদালত ২৯ মে মামলার শুনানি শেষ করেছিল, সেই থেকে রায় সংরক্ষণ করে, এবং পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারক অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিবিআই ২০১৭ সালে লালু যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই দিল্লির আদালতকে বলেছিল যে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দিল্লিতে পৌঁছে সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে যান লালু প্রসাদ যাদব। অসুস্থতার কারণে তিনি হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রেমচাঁদ গুপ্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই মামলায় একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় লালু পরিবারের প্রত্যক্ষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে, যদিও ঘুষের সরাসরি প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লালু পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আরজেডি-র ভাবমূর্তিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

  • Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। দুর্গাপুরে (Durgapur medical student rape) ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ‘মেয়েদের রাতে বাইরে যাওয়া উচিত নয়’। তাঁর এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা ও জোর বিতর্ক শুরু হতেই মমতা দাবি করেন, তাঁর কথার বিকৃতি করা হয়েছে। কিন্তু, মমতার সেই দাবি খারিজ করে শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই মন্তব্য আসলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ আর নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের চরম ব্যর্থতা আড়াল করার কৌশল।

    প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা

    শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের পিছনের নির্জন এলাকায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চান, কারণ দুর্গাপুরে আর নিরাপত্তা নেই বলে মনে করছেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ওই ছাত্রী রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোলেন? তাঁর এই প্রশ্ন নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডিও-প্রমাণ সহ জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আসলে তাঁর প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা।

    মধ্যযুগীয় মানসিকতার ছাপ

    বিজেপি নেতা রবিরার রাতে টুইটে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচায়ক। তাঁর মন্তব্যের প্রমাণ সহ ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ঢাকতে এখন ভিকটিম শেমিং-ই রাজ্য সরকারের নীতি হয়ে উঠেছে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রায় নেই। মহিলাদের ওপর নারকীয় অত্যাচারের জন্য তাঁদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে একের পর এক যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রমাণ করছে প্রশাসনের ব্যর্থতা।’ উদাহরণ দিয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে কসবা ল কলেজ, পাঁশকুড়া হাসপাতাল এবং সাম্প্রতিক দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের কথা মনে করিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, মেয়েদের দিনের বেলাতেও বাইরে বেরনো উচিত নয়, তারা পড়াশোনা বা চাকরিও করবে না।’

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা পুলিশের

    দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ রিয়াজউদ্দিন, শেখ ফিরদৌস এবং আপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করতেই গেট বন্ধ করে দেন পুলিশকর্মীরা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেত্রী-সহ দলের অন্যান্য নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন হাসপাতালে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, কেন পুলিশ ভিতরে, অথচ সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকেরা বাইরে?

  • COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে আলোর উৎসব! শহর থেকে গ্রাম, বাঙালি মেতে উঠবে দীপাবলির (Diwali 2025) আনন্দে! মাটির প্রদীপ হোক কিংবা অ্যারোমা ক্যান্ডেল, নানান রকমের আলোয় সাজবে বাড়ি। তবে তার সঙ্গে বাড়বে বাজির দাপট (Diwali Fireworks)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের উদযাপনে যেন স্বাস্থ্যেও নজর থাকে। তাই উদযাপনের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে এই শহরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বাজির উৎসবের দাপটে রাশ জরুরি!

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    বিশ্ব জুড়ে ফুসফুসের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত সিওপিডি-র মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে গত কয়েক বছরে বেড়েছে। সিওপিডি (COPD) আক্রান্তেরা শ্বাসকষ্ট, ঘনঘন কাশি-সর্দিতে ভোগান্তি, বুকের ভিতরে একটা চাপ অনুভব করার মতো নানান উপসর্গে ভোগেন। এর জেরে তাঁরা ক্লান্তি অনুভব করেন। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপটও বাড়ছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সিওপিডি-তে (COPD) আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। প্রতি দশ সেকেন্ডে একজন সিওপিডি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতের অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। কারণ, কলকাতা, হাওড়ার মতো শহরে বায়ুদূষণ (Air Pollution) মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তাই এ রাজ্যেও সিওপিডি বাড়তি আতঙ্ক তৈরি করছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে কলকাতায় শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে সিওপিডি-র (COPD) সমস্যা বেড়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে সারাজীবন তাদের নানান শারীরিক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাজি নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা চিকিৎসকদের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কলকাতা ও তার আশপাশের একাধিক শহর, এছাড়াও দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো রাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে মানুষের সহনশীলতার তুলনায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি দূষিত পদার্থ রয়েছে। এর জেরেই রাজ্যে ফুসফুসের অসুখ (COPD) বাড়ছে। বাজি এই পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শব্দ বাজির পাশপাশি নানান ধরনের আলোর বাজি পোড়ালে বাতাসে একধরনের সাদা ধোঁয়া (Diwali Fireworks Air Pollution) মিশে যায়। এই ধোঁয়া আসলে বিষাক্ত রাসায়নিক। কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফারের মতো একাধিক শরীরের পক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ও উপাদান বাতাসে মিশতে থাকে। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের দাপট বাড়ে। তাছাড়া সিওপিডি আক্রান্তদের জন্য ও পরিস্থিতি সঙ্কটজনক‌ হয়ে ওঠে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    সকলে একসঙ্গে উৎসব পালন করতে পারলে তবেই উদযাপনে আনন্দ। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন উৎসব উদযাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব গ্রিন বাজি পোড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব না হলে সেই বাজি পোড়ানো উচিত নয়। তাতে নতুনভাবে সিওপিডি (COPD) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। রোগীদের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক হতে পারে। তাই বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি প্রশাসনের তৎপরতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বেআইনি বাজি নির্মাণ বন্ধ করা, বাজারে পরিবেশবান্ধব নয়, এমন বাজি যাতে রমরমিয়ে বিক্রি হতে না পারে সে দিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। সাধারণ মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা না বাড়লে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন।

    সুস্থ থাকতে এই সময়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু ও বয়স্কদের ঠিকমতো নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক পরে তবেই বাইরে যাওয়া উচিত। কারণ এই সময়ে বাতাসে দূষিত (Air Pollution) উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মাস্ক পরলে কিছুটা (COPD) রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত আদা এবং এলাচের মতো মশলা রান্নার উপকরণ হিসাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মশলা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। তাই এই সময়ে এই ধরনের মশলাযুক্ত খাবার খেলে বাড়তি উপকার হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bihar Polls: বিহারে আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ, হতাশ কংগ্রেস

    Bihar Polls: বিহারে আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ, হতাশ কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Polls) আসন বিলি নিয়ে রফায় সিলমোহর দিল এনডিএ (NDA)। আসন বিলির বিস্তারিত তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আসন রফা চূড়ান্ত (Bihar Polls)

    এই চুক্তি অনুযায়ী, বিজেপি এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। উপেন্দ্র কুশওহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) এই দু’টি দলকে দেওয়া হয়েছে ছ’টি করে আসন। আর চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) পাবে ২৯টি আসন। উল্লেখ্য, ধর্মেন্দ্র প্রধান বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।

    বৈঠকে বিজেপি

    এদিকে, রবিবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি৷ সূত্রের খবর, নির্বাচনী রণকৌশল এবং প্রার্থী তালিকা তৈরির বিষয়ে আলোচনা করতে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। প্রতিটি আসনেই শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করাই ছিল এদিনের বৈঠকের মূল লক্ষ্য৷ প্রসঙ্গত, শনিবারই বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএর শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ, এইচএএম(এম) প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি, বিহার বিজেপির ইন-চার্জ বিনোদ তাওরে, বিহার বিজেপির প্রধান দিলীপ জয়সওয়াল এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী (Bihar Polls)।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও, আসন বণ্টন নিয়ে এনডিএ শরিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। অবশ্য শনিবারই সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন এনডিএর শরিক রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা সুপ্রিমো উপেন্দ্র কুশওয়াহা। অন্যদিকে, এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছে, তখন ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে আসন বিলি নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় যারপরনাই হতাশ কংগ্রেস। বিহার নির্বাচনে এককভাবে (NDA) লড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর, পরের দফার ভোট ১১ নভেম্বর। গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Polls)।

  • Mamata Banerjee: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল ওই তরুণী?”, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

    Mamata Banerjee: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল ওই তরুণী?”, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ‘দুধেল গাই’দের চটিয়ে ভোটব্যাংকে ধস নামাতে রাজি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! আর তাই, দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর গণধর্ষণের (Durgapur Gang Rape) ঘটনায় তিনি নিরাপত্তার দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বেসরকারি কলেজগুলির ঘাড়ে। গভীর রাতে ছাত্রীটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Mamata Banerjee)

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  “সে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ত। দায়িত্ব কার? সে রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল?”  তিনি বলেন, “বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলিকেই তাদের ছাত্রছাত্রীদের এবং রাতের সংস্কৃতির দায়িত্ব নিতে হবে। ওদের বাইরে আসতে দেওয়া উচিত নয়। ওদের নিজেদের সুরক্ষা করতে হবে। এটা জঙ্গলের এলাকা।” ভোটের আগে গা থেকে কলঙ্কের কালি মুছে ফেলতে ওড়িশার বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ওড়িশায় সমুদ্রসৈকতে মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?” তিনি বলেন, “মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশায় এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, সেখানকার সরকারগুলিরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যৌন হিংসার ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পরিবর্তে ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া লেখেন, “নির্লজ্জ @মমতাঅফিসিয়াল নারীসমাজের কলঙ্ক, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আরও বেশি করে। আরজিকর ও সন্দেশখালির পর, এখন এই নৃশংস ঘটনায়ও ন্যায়বিচারের বদলে তিনি ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন!” তিনি বলেন, “একজন মুখ্যমন্ত্রী যিনি মেয়েদের নিরাপত্তা (Durgapur Gang Rape) নিশ্চিত করার বদলে বলেন রাতে বাইরে না যেতে, তাঁর অফিসে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন যে তাঁরা এক অরাজকতাবাদী, নির্মম মমতার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত এবং আইনের আওতায় তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।” বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বেটিকে দোষারোপ করেন এবং ধর্ষকের পক্ষ নেন।” তিনি বলেন, “বারবার আরজি কর, সন্দেশখালি, পার্ক স্ট্রিট — তিনি এভাবেই মন্তব্য করেছেন।” অতীতে মমতার বিতর্কিত মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে পুনাওয়ালা প্রশ্ন তোলেন, “যাঁরা গতকাল চিৎকার করছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনেতে, প্রিয়াঙ্কা বঢরা, রাহুল গান্ধী ইত্যাদি — তাঁরা কি এবার মুখ খুলবেন?”

    মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাবা

    প্রসঙ্গত, ওড়িশার জলেশ্বরের ওই তরুণী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজে এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার রাতে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখনই কয়েকজন ওই তরুণীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনায় শোকাহত তরুণীর বাবা জানান, তিনি মেয়েকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “এখানে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। যে কোনও মুহূর্তে ওকে এখানে মেরে ফেলতে পারে। তাই আমরা ওকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে। আমরা চাই না ও বাংলায় থাকুক। ও ওড়িশায় গিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রশাসন আমাদের সাহায্য করছে (Mamata Banerjee)।”

    এদিকে, দুর্গাপুরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে একজনকে। ওই তরুণীর পুরুষ বন্ধুটিকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Durgapur Gang Rape)। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানাচ্ছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন। আমি ওড়িশার প্রবীণ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি যেন তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। ওড়িশা সরকার ভুক্তভোগীর পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে (Mamata Banerjee)।” উল্লেখ্য যে, বছরখানেক আগে কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কলকাতার একটি আইন কলেজের এক ছাত্রীও (Durgapur Gang Rape)।

  • Hindus Under Attack: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু বিদ্বেষ, লাভ জিহাদ, ‘ল্যান্ড জিহাদ’, আর কী?

    Hindus Under Attack: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু বিদ্বেষ, লাভ জিহাদ, ‘ল্যান্ড জিহাদ’, আর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৫ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১১ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে।

    ভারতেও নিরাপদ নন হিন্দুরা (Hindus Under Attack)

    ধর্মনিরপেক্ষ ভারতেও নিরাপদ নন হিন্দুরা। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুজাতা ভাট, যিনি বিতর্কিত ধর্মস্থল মামলার কেন্দ্রীয় চরিত্র, দাবি করেছেন যে তিনি এক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ‘গুটি’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘বুরুদে’ গ্যাংয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং তাঁকে মিথ্যা অভিযোগ করতে প্রলুব্ধ করে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। মুরথল রোডে অবস্থিত শ্রী রাম পার্কে ইসলামপন্থী দুষ্কৃতীরা দোলনা ও বেঞ্চে ‘আই লাভ মহম্মদ’ ও ‘লাভ জিহাদ’–এর মতো আপত্তিকর স্লোগান লিখে দেয়। আলিগড়ের এক হিন্দু নার্সিং শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ফের সামনে এসেছে ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যু। ১৮ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী খায়ের রোডের একটি হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। অভিযোগ, তাঁর সহকর্মী মহম্মদ আবদুল প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করেছে। পাঞ্জাবের জলন্ধরে “আই লাভ মহম্মদ” পোস্টার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা হিংসার আকার ধারণ করে। সেখানে মুসলিম বিক্ষোভকারী ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

    হিন্দু দেব-দেবীদের অবমাননা

    গুজরাটের ভাদোদরার পুলিশ খোদিয়ারনগরের বাসিন্দা নীলেশ নাঞ্জি জিতিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যেখানে হিন্দু দেব-দেবীদের অবমাননা করা হয়েছে (Hindus Under Attack)। ওড়িশার কটকে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা-সহ বহু মানুষ জখম হন। অভিযোগ, স্থানীয় ইসলামপন্থীরা ঝাঞ্জিরমঙ্গলা ভাগবত সাহি পূজা কমিটির বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বাজানো গান ও ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিবাদ করে। এনিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ, বোতল ছোড়ার খবর মিলেছে। কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুলিশ সুপারের একটি রিপোর্টে মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো আধিকারিকদের একটি চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যারা ধর্মস্থল মন্দির মামলায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছিল। তদন্তে (Roundup Week) বেঙ্গালুরুর জন সাইমন এবং হুব্বলির মাদন বুগুড়ি-সহ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তারা মানবাধিকার কমিশনের নাম ভাঙিয়ে আধিকারিকদের ভয় দেখাত এবং মন্দিরকে ঘিরে মিথ্যা গল্প ছড়াত। উত্তরপ্রদেশের দেরাদুনের বিকাশনগরে আকিব নামে এক ব্যক্তি এক নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পকসো আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে আকিবকে (Hindus Under Attack)।

    ‘ল্যান্ড জিহাদ’

    মাইসুরু জেলার সালিগ্রামা শহর থেকে এক চাঞ্চল্যকর ‘ল্যান্ড জিহাদে’র ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ইসলামপন্থীরা একটি সরকারি স্কুলের ভবনের একাংশ ভেঙে দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে। অভিযোগ, সেখানে অনুমোদন ছাড়াই শেড ও পার্কিং লট তৈরি করা হচ্ছে। চিত্রপতি সংভাজিনগরের চিকলঠানা এলাকায় গরু পাচার ও অবৈধ জবাই বিরোধী হিন্দু কর্মী গণেশ শেলকের ওপর হামলা চালায় উগ্র ইসলামপন্থীরা।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে হিন্দু মেয়েদের নিরাপত্তা ও আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলি নিয়ে সারা অঞ্চলে তীব্র বিতর্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সাহজনওয়া এলাকার নওশাদ চৌরাহায় স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে মারধর করে (Roundup Week)। সে বিহারের বাসিন্দা, নাম মনসুর আলি। অভিযোগ, সে এক হিন্দু মহিলাকে বোরখা পরতে বাধ্য করেছিল, তাকে নিয়েও পালানোর চেষ্টা করছিল (Hindus Under Attack)। কর্নাটকে হুব্বাল্লিতে রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে কোরানের আয়াত পাঠ করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের তোষণ নীতির জন্যই এভাবে সরকারি প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশের ছবি

    বাংলাদেশের ছবিটাও ভয়াবহ। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, ভুয়ো ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাবাচক বক্তব্য—এসবই হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পুরসভা এলাকায় স্থানীয় থানার অদূরে নৃশংসভাবে খুন করা হয় জনৈক নারায়ণ পালকে (Roundup Week)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের একটি গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না (Hindus Under Attack)।

  • Kerala CPM: আরএসএসের জোড়া কর্মী খুনে অভিযুক্ত ১৪ জনকেই বেকসুর খালাস দিল কেরলের আদালত

    Kerala CPM: আরএসএসের জোড়া কর্মী খুনে অভিযুক্ত ১৪ জনকেই বেকসুর খালাস দিল কেরলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) জোড়া কর্মী খুনে অভিযুক্ত ১৪ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিল কেরলের (Kerala CPM) থালাসেরি অতিরিক্ত সেশনস কোর্ট। ২০১০ সালের মায়ি এলাকায় ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১০ সালের ২৮ মে মায়িতে আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে নৃশংসভাবে খুন করা হয় আরএসএস কর্মী বিজিত ও শিনোজকে।

    নৃশংসভাবে খুন (Kerala CPM)

    হামলাকারীরা নিউ মায়ির কাছে পেরিংগাড রোডে তাঁদের মোটরসাইকেল থামিয়ে প্রথমে বোমা ছোড়ে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আরএসএসের এই দুই কর্মীর। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ জন সিপিএম কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোডি সুনি, মহম্মদ শফি এবং কে শিনোজ ২০১২ সালের ৪ মে বাদাকারা (কোজিকোড জেলা)-তে বিদ্রোহী সিপিএম নেতা টিপি চন্দ্রশেখরনকে হত্যার দায়ে জেল খেটেছেন। সিপিএমের অন্য অভিযুক্তরা হলেন টি শ্রীজিত, এনকে সুনীলকুমার, টিকে সুনীশ, কেকে মহম্মদ সফি, টিপি সামিল, একে শামাস, কেকে আব্বাস, রাহুল, বিনীশ, পিভি বিজিত, কে শিনোজ, ফয়সল, শেরিশ এবং টিপি সাজির। বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে সিকে রাজনীকান্ত ও মহম্মদ রাজিসের।

    আরএসএস কর্মীরা হতাশ

    আদালতের এই রায়ে হতাশ আরএসএস কর্মীরা। তাঁদের দাবি, যেহেতু এই মামলায় স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছিল আদালতে, তাই এই রায় তাঁদের হতবাক করেছে। এই রায়ের প্রেক্ষিতে (Kerala CPM) তাঁরা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন। পুলিশ রেকর্ডের সত্যতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বয়ংসেবকরা। তাঁদের অভিযোগ, বিচার প্রক্রিয়ায় এই রেকর্ডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে সিপিএমের গুন্ডাদের হাতে নিহত হন আরএসএসের প্রথম শহিদ। তার পর থেকে এ পর্যন্ত কেরালায় খুন হয়েছেন ৩০০-রও বেশি সংঘ বা ভারতীয় জনসংঘ বা বিজেপি কর্মী। এঁদের অধিকাংশই সিপিএমের ঘাঁটি কন্নুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন (RSS)।

    কমিউনিস্টরা (Kerala CPM) মূলত ফ্যাসিস্ট। তারা নিজেদের মতাদর্শ ছাড়া অন্য কোনও মতবাদ সহ্য করে না। সম্প্রতি কন্নুর জেলায় সিপিএমের একটি ফ্লেক্স বোর্ডে লেখা ছিল, “আরএসএস নিষিদ্ধ অঞ্চল”। এটি তাদের মতাদর্শগত প্রতিপক্ষের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতারই প্রতিফলন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

  • Uttarakhand: মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, আইনে পরিণত হল উত্তরাখণ্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল

    Uttarakhand: মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, আইনে পরিণত হল উত্তরাখণ্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলল রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) গুরমিত সিংয়ের সম্মতি। আইনে পরিণত হয়ে গেল উত্তরাখণ্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল, ২০২৫। রাজ্যপালের অনুমোদন মেলায় রাজ্যের (Uttarakhand) সংখ্যালঘু শিক্ষা কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পথ খুলে গেল। এর ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বীকৃতি বিধিগুলির বদলে একটি একক ও ঐক্যবদ্ধ আইন কার্যকর হবে (Madrasa Board)।

    লোপ পাবে মাদ্রাসা ব্যবস্থা! (Uttarakhand)

    বর্তমান মাদ্রাসা-নির্দিষ্ট ব্যবস্থা লোপ পাবে ২০২৬ সালের ১ জুলাইয়ের মধ্যে। এরপর একটি আরও সরল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও একীভূত শাসনব্যবস্থার পথ প্রশস্ত হবে, যা উত্তরাখণ্ডের সব সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। জানা গিয়েছে, নয়া আইনে রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি তদারকির জন্য একটি একক কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। এই সংস্থা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দেওয়া, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, এবং উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশিকা মেনে চলা নিশ্চিত করবে। এই কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হবে, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা বজায় রাখা, এবং সংখ্যালঘু স্কুলগুলির পরিচালনায় দায়বদ্ধতা জোরদার করা।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী  

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী রাজ্যপালের অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই নয়া কাঠামো রাজ্যের সংখ্যালঘু শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানোন্নয়নকেন্দ্রিক করে তুলবে। আইনটি সরকারকে কার্যকরভাবে পরিচালনা পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা দিয়েছে, যাতে শিক্ষার উৎকর্ষতা ও সামাজিক সম্প্রীতি নিশ্চিত করা যায়।” এই বিলটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল স্বীকৃতির পরিসর মুসলিম প্রতিষ্ঠানের বাইরেও সম্প্রসারণ করা। ঐতিহাসিকভাবে, উত্তরাখণ্ডে কেবল মুসলিম-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিই সরকারিভাবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কিন্তু সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল, ২০২৫ এখন শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং পারসি সম্প্রদায় পরিচালিত স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেও একই নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় এনেছে (Madrasa Board)।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমান অধিকার

    এই পরিবর্তনের মাধ্যমে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমান অধিকার, স্বীকৃতি ও মান নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড নিশ্চিত (Uttarakhand) হচ্ছে, যা শাসন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি ও ঐক্যকে উৎসাহিত করবে। বিলটি পূর্ববর্তী আইনে থাকা বৈষম্য ও সীমিত স্বীকৃতির সমস্যাগুলির সমাধান করে একটি আরও সুষম ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কাঠামো গড়ে তোলে, যা উত্তরাখণ্ডের বহুসাংস্কৃতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। পূর্ববর্তী মাদ্রাসা-কেন্দ্রিক কাঠামোটি বেশ কিছু কার্যকরী ও প্রশাসনিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ধামি জানান, কেন্দ্রীয় বৃত্তি বিলিতে অনিয়ম, মিড-ডে মিল প্রকল্পে অসঙ্গতি, এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বচ্ছতার অভাবের মতো বিষয়গুলি বারবার সামনে এসেছে। এই সব সমস্যা মাদ্রাসাগুলির পরিচালনাকে ব্যাহত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে (Madrasa Board)।নয়া আইনটি এই ঘাটতিগুলি পূরণ করতে তৈরি করা হয়েছে, যাতে সরকার সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও ভালোভাবে তদারকি করতে পারে। ক্ষমতা কেন্দ্রীয়করণ ও নিয়মকানুনের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের মাধ্যমে এই বিলটি অনিয়ম রোধ, সম্পদের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে (Uttarakhand)।

    বিল পাশ হয়েছিল বাদল অধিবেশনে

    প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল, ২০২৫ উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বাদল অধিবেশনে পাশ হয়। তার আগে সেটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। এখন এটি সারা রাজ্যে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একটি অভিন্ন আইন হিসেবে বাস্তবায়িত হবে। জানা গিয়েছে, এই রূপান্তর পর্বে ধীরে ধীরে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বীকৃতি বিধি ১ জুলাই, ২০২৬-এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে। এই সময়ে (Madrasa Board) নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে যাতে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়, অ্যাকাডেমিক সময়সূচির ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলির স্বীকৃতি সুরক্ষিত থাকে (Uttarakhand)।

  • Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা মাপলেন গণিতবিদ রাধানাথ, নেপোয় মারল দই!

    Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা মাপলেন গণিতবিদ রাধানাথ, নেপোয় মারল দই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) উচ্চতা নিরূপণ করেছিলেন ভারতীয় গণিতবিদ রাধানাথ শিকদার (Radhanath Sikdar), ১৮৫২ সালে। অথচ, হিমালয়ের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামকরণ হল একজন ইংরেজের নামে। নাম কিনলেন তৎকালীন সার্ভেয়র জেনারেল জর্জ এভারেস্ট, ১৮৫৬ সালে। বিট্রিশ-শাসিত অঞ্চলের ভৌগোলিক সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন তিনি। তাই তাঁর নামেই হল বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম।

    বিস্মৃতির আড়ালে খ্যাতনামা গণিতবিদ রাধানাথ (Mount Everest)

    বিশ্ববাসীর বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেলেন খ্যাতনামা গণিতবিদ রাধানাথ, যাঁকে সেই সময়কার লোকজন ‘কম্পিউটার’ বলেই ডাকতেন। হাতেগোণা কয়েকটি যন্ত্রপাতি আর অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে শিকদার এমন কিছু করে দেখিয়েছিলেন, যা আর কেউ করতে পারেনি। অথচ এজন্য প্রাপ্য সম্মানটুকুও জোটেনি তাঁর কপালে। ইতিহাস হয়তো তাঁর নামটিকে ম্লান হতে দিয়েছে, তবে কিছু নাম এতই উজ্জ্বল যে সেগুলি সহজে মুছে ফেলা যায় না। রাধানাথ শিকদার এমনই এক নাম।

    কলকাতায় জন্ম রাধানাথের

    ১৮১৩ সালের ৫ অক্টোবর কলকাতায় এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাধানাথ শিকদার। এই পরিবারে শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত যুগ যুগ ধরে। গণিতে রাধানাথের অসাধারণ মেধা হিন্দু কলেজের অধ্যাপক জন টাইটলারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। টাইটলার বুঝতে পেরেছিলেন, এই তরুণের মস্তিষ্ক সংখ্যার হিসাব ও জটিল সমস্যার জন্যই তৈরি। তিনি শিকদারকে নিজের তত্ত্বাবধানে নেন। ১৮৩১ সালে যখন জর্জ এভারেস্ট ভারতের “গ্রেট ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভে”-এর জন্য মেধাবী গণিতবিদ খুঁজছিলেন, তখন রাধানাথ ইউক্লিডের ‘এলিমেন্টস’, নিউটনের ‘প্রিন্সিপিয়া’ এবং বিশ্লেষণাত্মক জ্যামিতির নীতিতে যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন।

    রাধানাথকে নিয়োগপত্র

    মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনে রাধানাথকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল একজন কম্পিউটার হিসেবে, যিনি মাপবেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান। পরে তাঁকে ভারতীয় কম্পিউটারদের একটি দলের অংশ হিসেবে দেরাদুনের কাছে সিরোঁজে পাঠানো হয়। রাধানাথের তীক্ষ্ণ ধী-শক্তি সবার নজর কাড়ত। এভারেস্ট নিজেও বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন। তাই তিনি অন্য বিভাগে শিকদারের বদলি রদ করে দিয়েছিলেন। তিনি ভূ-জ্যামিতিক সমীক্ষায় বিশেষ দক্ষ ছিলেন। পরিমাপের নির্ভুলতা বাড়ানোর জন্য নিজস্ব পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছিলেন রাধানাথ। ১৮৪৩ সালে এভারেস্ট (Mount Everest) অবসর নেওয়ার পরে দায়িত্ব নেন কর্নেল অ্যান্ড্রু স্কট ওয়া।

    সেকেন্ড করে দিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে

    এভারেস্টের অবসরের মাত্র ৯ বছর পর, ১৮৫২ সালে প্রধান গণনাকারী হিসেবে শিকদার হিমালয়ের শৃঙ্গগুলির তথ্য বিশ্লেষণ করেছিলেন। তখন পর্যন্ত স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু শিকদারের গণনা জানিয়ে দিল, শুধু “পিক XV” নামে পরিচিত একটি শৃঙ্গ এর চেয়েও ঢের বেশি উঁচু, ২৯,০০০ ফুট। গণনায় সন্দেহ করে স্কট ওয়া এর সঙ্গে যোগ করে দেন আরও ২ ফুট। ১৮৫৬ সালে তিনি ঘোষণা করেন, নয়া এই শৃঙ্গের উচ্চতা ২৯,০০২ ফুট। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের এই মাপ থেকে গিয়েছিল প্রায় একশো বছর ধরে। তবে যখন শৃঙ্গটির নামকরণ করা হয়, তখন শিকদার নন, নামকরণ হয় এভারেস্টের নামেই। যদিও এটি পছন্দ করেননি জর্জ এভারেস্ট স্বয়ং। কারণ তিনি কখনও পর্বতটিকে দেখেননি। তিনি এও বলেছিলেন, ভারতীয়দের নামগুলি সংরক্ষিত থাকা উচিত। তার পরেও ইতিহাসের পাতায় ম্লান হয়ে যান রাধানাথ (Radhanath Sikdar), জ্বলজ্বল করতে থাকে এভারেস্টের নাম।

    ‘দ্য গ্রেট আর্ক’

    ‘দ্য গ্রেট আর্ক’ গ্রন্থের লেখক জন কে লিখেছেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গকে মানচিত্রে প্রথম স্থান দিয়েছিলেন শিকদার, এভারেস্ট নন। তাঁর হাতে যন্ত্রপাতি ছিল খুবই সীমিত, কিন্তু তাঁর হিসাব ছিল নিখুঁত (Mount Everest)।” শিকদারের বুদ্ধিবৃত্তির বিস্তার পাহাড়ের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ১৮৫১ সালে সমীক্ষা দফতর যে ম্যানুয়াল অফ সর্ভেইং প্রকাশ করে, তার টেকনিক্যাল চ্যাপ্টারগুলি তিনি নিজেই লিখেছিলেন। কিন্তু ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত এর তৃতীয় সংস্করণে তাঁর নাম ভূমিকা থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। সেই সময় ‘ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়া’ নামের একটি পত্রিকা এই ঘটনাকে বলেছিল, “এক মৃত ব্যক্তির অবদানের চুরি” (Radhanath Sikdar)।

    শৃঙ্গের গায়ে ঔপনিবেশিকতার কালো দাগ

    রাধানাথ শিকদার কখনও তুষারে ঢাকা কোনও পাহাড় চূড়ার ঢালে দাঁড়াননি, কোনও শৃঙ্গের চূড়ায় পতাকাও ওড়াননি। কিন্তু কলকাতার নিঃশব্দ কক্ষে বসেই তিনি তাঁর সময়ের যে কারও চেয়ে উঁচুতে পৌঁছে গিয়েছিলেন একমাত্র ত্রিকোণমিতিকে দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি এভারেস্ট আরোহন করেননি। তিনি তার উচ্চতা পরিমাপ করেছিলেন মাত্র। তা সত্ত্বেও আজও এভারেস্টের গায়ে কোনও এক অদ্ভুত কারণে লেগে রয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার কালো দাগ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামকরণ (Radhanath Sikdar) করা হয়েছে একজন ব্রিটিশের নামে, অথচ তা হওয়ার কথা ছিল এক খাঁটি ভারতীয় তথা বাঙালি গাণিতিকের নামে (Mount Everest)।

LinkedIn
Share