Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় মঞ্চ খোলা ইস্যুতে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য নাকি তাঁকে দেখে ছুটে পালিয়েছিলেন। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিতর্ক। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে স্তম্ভিত কমবেশি সব মহলই। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বিবৃতি। অনেকেই বলছেন, দেশের সেনাবাহিনী আমাদের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তা গোটা দেশের গর্ব। সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কি মানায়?

    মঞ্চ খোলা ইস্যুতে সেনার বিবৃতি (Indian Army)

    ভারতীয় সেনা (Indian Army) মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই তাঁদের মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেনি উদ্যোক্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো অপসারণের জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে কিন্তু এটি অপসারণ করা হয়নি। এরপর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে ফেলেছে।’’

    পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    অন্যদিকে, সেনাবাহিনীকে (Indian Army) এভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।” সুকান্ত এই ইস্য়ুতে বলেন, ‘‘দিদি ভারতে কী করছেন? ওঁর পাকিস্তানে গিয়ে আসিফ মুনিরকে সাহায্য করা উচিত। ভারতীয় সেনা যদি দিদিকে দেখে দৌড়ায়, তাহলে ওঁর প্রয়োজন এখানে নেই, ওঁকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। দিদির অপব্যবহার হচ্ছে।’’

    দেশের সেনাবাহিনীকে চরম অপমান করেছেন, বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। আমরা সবাই জানতাম, আপনি একজন জাতীয়তাবাদ-বিরোধী। তবে যেভাবে আপনি বলেছেন, ‘ময়দানে পৌঁছানোর পর ২০০ জন সাহসী সেনা সদস্য পালিয়ে গেছেন আপনাকে দেখে’, এটা শুধু একটি বড় মিথ্যেই নয়—বরং দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অপমান। যে সেনাবাহিনীর সাহস ও আত্মত্যাগের কোনও তুলনা হয় না, যাঁরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং সংকটের সময় আমাদের সুরক্ষা দেন, তাঁদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করা লজ্জাজনক।”

    ক্ষমতার লোভে অন্ধ মমতা

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ময়দানে তৃণমূলের অস্থায়ী কাঠামো এক মাস ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) বারবার তা সরানোর কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ‘উদ্যোক্তা’র পরিচয় দিয়ে কখনোই সেই কাঠামো সরায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের মুখ রক্ষার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছেন। এটা নিছক নির্লজ্জতা। ক্ষমতার লোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে তিনি দেশের জওয়ানদের অসম্মান করছেন। এটা শুধু সেনাবাহিনীর নয়, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অপমানজনক মন্তব্য দেশের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করছে।”

    ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির কাছে তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঞ্চের ত্রিপল, বাঁশ ইত্যাদি খুলে সরিয়ে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কথায় চলছে সেনাবাহিনী। সেনাকে দিয়ে কাজ করালে দেশটা কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। যখন বিজেপি থাকবে না তখন পালাবে কোথায়? আমরা শনি-রবিবার কর্মসূচি করি। আমরা টাকাও দিয়েছি। আপত্তি থাকলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত। রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।’’

  • US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী। একবিংশ শতাব্দীতে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।” সোমবার নয়াদিল্লিকে এই মর্মে বার্তা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন (US)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (PM Modi) এই বার্তা পাঠানোর সময়টা খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠক করেন মোদি।

    আমেরিকার বিদেশসচিবের বার্তা (US)

    এর কিছুক্ষণ আগেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসে পোস্ট করা হয় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বার্তা। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি এবং এটি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করি।” মার্কিন দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, “এই মাসে আমরা আলোকপাত করছি সেই মানুষদের ওপর, অগ্রগতির ওপর এবং সম্ভাবনার ওপর, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যন্ত – এই যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্ব।”

    মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US)। শাস্তিস্বরূপ, তিনি দুদফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। সঙ্গে করেছেন জরিমানাও। তবে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। ইতিমধ্যেই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি পার্শ্ব বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পার্শ্ববৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। একটি গাড়িতে করে মোদি-পুতিন পৌঁছন সম্মেলনস্থলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চিন-রাশিয়া এই তিন (PM Modi) শক্তিধর দেশ এক মেরুতে চলে আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই চলে আসে মার্কিন ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা (US)।

  • India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে, এসসিওতে (SCO) আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা (India Blocks Azerbaijans Bid) রুখে দিল ভারত। রবিবার কূটনৈতিক সূত্রেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে বাকু(আজারবাইজানের রাজধানী)-র ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কই এই বিরোধিতার প্রধান কারণ। এই দুই দেশই কাশ্মীর-সহ নানা বিষয়ে বারবার অবস্থান নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।

    ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা (India Blocks Azerbaijans Bid)

    বর্তমানে আজারবাইজান এসসিও জোটে ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা ভোগ করছে। তবে পূর্ণ সদস্যপদে উন্নীত হওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি সময়ে এসসিওর এক বৈঠকে আজারবাইজান ফের এই চেষ্টা করলে আপত্তি জানায় ভারত। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যেখানে ইতিমধ্যেই সদস্য, সেখানে আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত রাজি নয়। কারণ এতে সংগঠনটির ভারসাম্য ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানকে আজারবাইজানের সমর্থন এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)- প্রকল্পে তার সম্পৃক্ততাও ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে। যেহেতু ঐকমত্য প্রয়োজন, তাই ভারতের ভেটোয় আপাতত বাকুর এই আশা পূরণ হল না (India Blocks Azerbaijans Bid)।

    হিন্দু পর্যটকদের হত্যা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ঠিক পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ভারত। এই সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সরবরাহ করেছিল সামরিক সরঞ্জামও। ওই সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আজারবাইজান। আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী জেইহুন বায়রামভের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দারের ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। ওই সময়ই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আন্তরিক (SCO) সমবেদনা জানান পাকিস্তানের জনগণের প্রতি। উল্লেখ্য, ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে খতম করা হয়েছে কেবলই জঙ্গিদের (India Blocks Azerbaijans Bid)।

  • PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তারপর মস্কোভা নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে গ্যালন গ্যালন জল। বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যদিও জারি রয়েছে শান্তি প্রচেষ্টা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার পুতিনকে মোদি বলেন, “ভারত আশা করে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে আসবে।”

    ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট (PM Modi)

    দিন দুয়েক আগেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। চিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, ডিসেম্বরেই ভারত সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি সম্প্রতি পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত মোদির। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যাবে। দ্রুত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটাই সমগ্র মানবজাতির আহ্বান।”

    একই গাড়িতে মোদি-পুতিন

    এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একই গাড়িতে করে শীর্ষ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান। পরে উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে তাঁর নিজের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “এসসিও সম্মেলনের কার্যক্রম শেষে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভেন্যুতে যাই। তাঁর সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই গভীর চিন্তাশীল হয়।” সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেয়েছিলেন যে এসসিও সম্মেলনের ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থান রিটজ-কার্লটন হোটেলে যেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক সঙ্গে সফর করবেন। এজন্য তিনি প্রায় ১০ মিনিট মোদির জন্য অপেক্ষাও করেন (Ukraine)। সূত্রের খবর, “এরপর দুই নেতা এক সঙ্গে তাঁর গাড়িতে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের ভেন্যুতে পৌঁছানোর পরেও তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়িতেই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এর পর দুই নেতা পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে (PM Modi)।”

    ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

    উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আমেরিকা। তারপর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদি-পুতিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্যের নিন্দে করেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়ন করার জন্য নয়াদিল্লিকে কাঠগড়ায় তোলেন। গত মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ওই জ্বালানি কেনার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া। আমেরিকার চাপ সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Ukraine), তাদের জ্বালানি আমদানি নীতিকে জাতীয় স্বার্থই পরিচালনা করবে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্ককে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমূলক বলেও আখ্যা দিয়েছে (PM Modi)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ আখ্যা

    এদিকে, গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে দেগে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শান্তির রাস্তা আংশিকভাবে হলেও নয়াদিল্লির মধ্যে দিয়েই যায়। ভারত যা করছে তার কারণে আমেরিকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” অন্যদিকে, ভারত তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রেখেছে। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেন, “ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেখানে সর্বোত্তম চুক্তি পাবে, সেখান থেকেই (তেল) কিনতে থাকবে।” ভারতের দাবি, চিন এবং ইউরোপও সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। কিন্তু ওয়াশিংটন বিশেষভাবে নয়াদিল্লিকেই নিশানা করছে। রাশিয়াও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছে। জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের নিজস্ব বাণিজ্যিক অংশীদার বেছে (Ukraine) নেওয়ার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছন, তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই (ইউক্রেন) যুদ্ধের অবসান অবশ্যই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হতে হবে।” জেলেনস্কি এও (Ukraine) বলেন, “ভারত প্রয়োজনীয় চেষ্টা করতে এবং রাশিয়া ও অন্যান্য নেতার কাছে যথাযথ বার্তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

  • Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত এমনই প্রশ্ন উঠছে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শেষে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দৌড়ে গিয়েছেন। এই ছবির জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ট্রোলের শিকার হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন,  “অন্য নেতারা যেখানে সংযম দেখিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দৌড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যেনতেনভাবে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। শি জিনপিং বুঝতে পেরেছিলেন শাহবাজ কী করতে যাচ্ছেন, তাই তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে তাঁকে উপেক্ষা করেন।”

    এসসিও সম্মেলন (Shehbaz Sharif)

    প্রসঙ্গত, চিনের উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) ১০টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ অন্যরা। অন্য একজন লিখেছেন, “এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন আয়োজক দেশের প্রধান স্বয়ং শি।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুতিন যখন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাঁটছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎই পিছন থেকে এগিয়ে এসে পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেন। ভিডিওটি ‘ইনকগনিটো’ নামের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাই নজর কেড়ে নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণের জন্য নিন্দে করেছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। কমেন্ট বক্সে প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য জমা হয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে জোকারও বলেছেন। ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। তাতে জমা পড়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি লাইক (Shehbaz Sharif)।

    শাহবাজ শরিফের হোঁচট খাওয়ার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিতির ক্ষেত্রে শাহবাজ শরিফের বেশ কয়েকবার হোঁচট খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় শাহবাজ শরিফ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত হেডফোন তিনি বারবার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারছিলেন না, সেটি বারবার খুলে যাচ্ছিল। এই সময় পুতিনকে হাসতে দেখা গিয়েছিল (SCO Summit)। সহকারীদের সাহায্য সত্ত্বেও এই সমস্যার কারণে বৈঠক শুরু হয় দেরিতে। ঘটনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রিয়া নভোস্তির ভিডিওতে ধরা পড়ে, যেখানে শরিফকে বলতে শোনা যায়, “কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?” এই ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আর একটি মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, শরিফকে প্যারিসে গ্লোবাল ফিন্যান্সিং প্যাক্ট সম্মেলনের সময় এক মহিলা কর্মীর কাছ থেকে ছাতা নিচ্ছেন। নিজের ছাতা দিয়ে দেওয়ায় সেই কর্মী বৃষ্টিতে ভেজেন। এই ঘটনায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয় (Shehbaz Sharif)। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন শরিফ। সেবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেল নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যার জেরে বিব্রত হন শরিফ (SCO Summit)।

    শরিফকে উপেক্ষা মোদির

    উল্লেখ্য, চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও বৈঠকে অংশ নিতে দীর্ঘ সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে মোদি উপেক্ষা করেছেন সম্পূর্ণভাবে। কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী এহেন আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন পাকিস্তানকে। বার্তাটি হল, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থান বজায় রাখবে। আর সন্ত্রাস ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না (Shehbaz Sharif)।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সম্মেলন কক্ষের ভেতরে প্রবেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমেই পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ অভিবাদন বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা দুজনে মিলে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর তাঁরা কথাবার্তা বলতে বলতে এগিয়ে যান। এই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বারংবার মোদি ও পুতিনের দিকে তাকালেও, তাঁকে উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যান তাঁরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (SCO Summit)। শরিফকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই (Shehbaz Sharif)।

  • Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার গভীর রাতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে (Afghanistan Earthquake) মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই বিপর্যয়ে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াল ভারত। চিন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ‘সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত।’ একই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও।

    সাহায্যের আশ্বাস ভারতের

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Afghanistan Earthquake) প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির পাশে রয়েছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পাশাপাশি, আফগানিস্তানের এই বিপর্যয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এস জয়শঙ্কর এই বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই কঠিন সময়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প

    মার্কিন ইউএসজিএস-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে প্রথম ভূকম্পনের (Afghanistan Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৩। মূল কম্পনের পর আরও অন্তত চারটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ তীব্রতার মধ্যে। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২০। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্ধারকারী দলগুলো দুর্গম এলাকাগুলিতে পৌঁছাতে লড়াই করছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল, ফলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে শুধুমাত্র প্রত্যন্ত কুনার প্রদেশেই প্রায় ৮০০ জন নিহত এবং ২ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তিনি আরও জানান, পার্শ্ববর্তী নাঙ্গারহার প্রদেশে আরও ১২ জন নিহত এবং ২৫৫ জন আহত হয়েছেন। তালিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি জানান, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

    কেন ভূমিকম্পপ্রবণ আফগানিস্তান

    আফগানিস্তান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ (Afghanistan Earthquake) অঞ্চল, কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি ভূপ্রকৃতির কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে ব্যাপক, ফলে উদ্ধারকার্যও চরমভাবে ব্যাহত হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে তালিবান সরকারের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে তাখার ও বাদাখশন প্রদেশে প্রায় ৪,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭,০০০ জনের, অর্থাৎ প্রতিবছর গড়ে ৫৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

  • Siksha Bondhu: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, শিক্ষাবন্ধুদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ

    Siksha Bondhu: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, শিক্ষাবন্ধুদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাবন্ধুরা এখন থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে এবং জানিয়ে দেয়, শিক্ষাবন্ধুদের (Siksha Bondhu) চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হল। সর্বোচ্চ আদালত এদিন আরও পর্যবেক্ষণ করে জানায়, দেশে শিক্ষকরা যথোপযুক্ত সম্মান পান না বরং অবহেলা ও শোষণের শিকার হন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এদিন বলেন, যদি কেউ একটানা ২১ বছর ধরে কাজ করে থাকেন, তবে তাঁকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না কেন? দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, শিক্ষাবন্ধুদের বকেয়া অর্থও মেটাতে হবে।

    সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনেই নিয়োগ পান শিক্ষাবন্ধুরা (Siksha Bondhu)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষাবন্ধুদের (Siksha Bondhu) নিয়োগ করে। এরপর ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার তাঁদের ‘স্বেচ্ছাসেবক’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৪ সালে, তাঁদের ভাতা বন্ধ করে এবং ৬০ বছরের আগেই অবসর নেওয়ার নির্দেশ জারি করে রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষাবন্ধুরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালে, বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন। তবে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে।

    রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে একই রায় দেয়

    এই নিয়ে মামলা উঠেছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষকদের মতো শিক্ষামিত্রদেরও কাজ করার অধিকার রয়েছে ৬০ বছর পর্যন্ত। ২০২৫ সালে দেওয়া এই মামলার রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের আগের রায়কেই বহাল রাখে, যা শিক্ষাবন্ধুদের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রাখল। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩,৩৩৭ জন শিক্ষাবন্ধু রয়েছেন। পিছিয়ে পড়া ও স্কুলছুট পড়ুয়াদের আবার শিক্ষার স্রোতে ফিরিয়ে আনাই তাঁদের মূল দায়িত্ব।

  • SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে (SCO Summit) কোনঠাসা পাকিস্তান। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলি গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিও উঠল। তবে সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ নেই বিবৃতিতে। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে থেকে নাম না-করে পাকিস্তানকে ফের এ বিষয়ে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এসসিও-র বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

    তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এসসিও সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ধরনের ‘দ্বিমুখী নীতি’ বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তারা।” ঘটনাচক্রে, ভারত, চিনের পাশাপাশি এই বহুদেশীয় জোটে পাকিস্তানও রয়েছে। তিয়ানজিনে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নাম না-করে ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন মোদি।

    ভারতের কথা মানল এসসিও

    সাম্প্রতিক অতীতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও বৈঠক হয়েছে তিয়ানজিনে। সেখানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতি ঘিরে জটিলতার জেরে গত জুন মাসে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, ভারত চায় বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’

    সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই

    বৈঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করার দিকেও জোর দিচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলি।” সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এসসিও সেই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের উদ্যোগকে স্বীকৃতি

    সোমবার, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে যাত্রা করেন, যার ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে মোদির এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এই ধারণাকে সমর্থন জানানো হয়।

  • Kiren Rijiju: “আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাইরে রাখা হবে”, বললেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: “আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাইরে রাখা হবে”, বললেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বাইরে রাখা হবে। তাদের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং জীবনধারা যাতে অক্ষত থাকে, তাই এই ব্যবস্থা।” ফের একবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)।

    ভুল প্রচার করা হচ্ছে (Kiren Rijiju)

    নয়াদিল্লিতে বনবাসী কল্যাণ আশ্রম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল প্রচার করা হচ্ছে। সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রিজুজু বলেন, “আমাদের সরকার ও দল (বিজেপি) সংবিধান অনুযায়ী দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার কথা ভাবছে। যখন ফৌজদারি আইন সবার জন্য সমান, তখন দেওয়ানি আইনও কেন সমান হবে না? কিন্তু আমরা স্পষ্ট বলেছি যে, আদিবাসীদের এর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আদিবাসীদের নিজেদের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা দেওয়া হোক।” তিনি জানিয়ে দেন, ইউসিসি সংবিধানের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত অঞ্চলে কিংবা উত্তর-পূর্বের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কার্যকর হবে না।

    ইউসিসির পরিধি সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে

    রিজিজু বলেন, “কিছু গোষ্ঠী এবং ব্যক্তি ইউসিসির পরিধি সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তবে সরকার আদিবাসী পরিচয় ও প্রথা রক্ষার ব্যাপারে অটল।” বর্তমানে ভারতের আইন কমিশন একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রস্তাব পরীক্ষা করছে। এই বিধির লক্ষ্য হল ভারতের বহুবিধ ধর্মভিত্তিক ব্যক্তিগত আইন, যেমন বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ এবং ভরণপোষণের বদলে সব নাগরিকের জন্য একটি একক আইন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা (Kiren Rijiju)। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে উত্তরাখণ্ড প্রথম রাজ্য হিসেবে ইউসিসি প্রয়োগ করে। পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি যার নেতৃত্বে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই একটি বিস্তৃত খসড়া আইন প্রস্তুত করে। ৩৯২টি ধারা এবং সাতটি সূচি নিয়ে গঠিত এই খসড়াটি ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে জমা দেওয়া হয় এবং দ্রুতই রাজ্য মন্ত্রিসভা ও গভর্নরের অনুমোদন পায় (UCC)।

    উত্তরাখণ্ডের ইউসিসিতে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের অধীনে হালাল, ইদ্দত এবং তাৎক্ষণিক তালাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি সাম্প্রতিক দশকগুলিতে অন্যতম সবচেয়ে ব্যাপক সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (Kiren Rijiju)।

  • SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার (Trinamool Congress)। তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তা একপ্রকার দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কে নেই সেই তালিকায়! বিধায়কের পুত্রবধূ থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদের আত্মীয়। যেমন ধরুন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ রয়েছেন তালিকার ১২৬৯ নম্বরে। একইভাবে ‘অযোগ্য’ তালিকায় (SSC) নাম আছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের। তাঁর নাম রয়েছে ৬৪৭ নম্বরে। তালিকার পাতা উল্টাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলার চিত্র একই রকম। সব জায়গাতেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি।

    বিজেপির আক্রমণ (SSC)

    এই ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘একটা চাকরিও কোনও নির্বাচিত সরকার অবৈধভাবে দিতে পারে না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা ভারতবর্ষের সামনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। আজ যাঁরা দাগি বলে চিহ্নিত হলেন, তাঁদের থেকেও মহাদাগি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘এই দাগিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন। কারও গয়নাগাটি, কারও জমি বিক্রি হয়েছে, আবার কারও গরু-বাছুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চাকরি পাওয়ার জন্য (SSC)।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা খোঁচা, ‘‘অযোগ্যরা এবার তালিকা প্রকাশ করুন, কোন কোন তৃণমূল নেতাকে কত টাকা দিয়েছেন।’’

    তালিকায় তৃণমূলের রমরমা (SSC)

    এসএসসি-র ‘অযোগ্য’ তালিকায় একের পর এক তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। তালিকার ১৩৬০ নম্বরে আছেন শতাব্দী বিশ্বাস, যিনি নিউ বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না বিশ্বাসের কন্যা। অযোগ্য তালিকায় নাম উঠেছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বিভাস মালিক এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষী মালিকের। তাঁদের নাম যথাক্রমে ৩১৬ ও ১৩৩২ নম্বরে। হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা, এবং খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি নইমুল হক ওরফে রাঙার স্ত্রী নমিতা আদককেও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসএসসি। বারাসাত ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইশা হক সর্দারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লা রয়েছেন তালিকার ৭৯১ নম্বরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ১০ নম্বর জলচক অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অজয় মাঝি আছেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকার ৩৯ নম্বরে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী রয়েছেন তালিকার ১০৪ নম্বরে। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কন্যা রোশনারা বেগমকেও চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অযোগ্য’ হিসেবে। তালিকায় নাম রয়েছে কবিতা বর্মণের, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। মালদার মোথাবাড়ির তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন আহমেদের নামও রয়েছে এই তালিকায়। নাম রয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ এলাকার তৃণমূল নেত্রী সন্ধ্যা মণ্ডলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।

LinkedIn
Share