Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) উপস্থিতিতেই সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা থাকতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। এই হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন কোনও দেশ বা সমাজ নিরাপদ নয়। তাই সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবে সহ্য করা যায় না, অভিমত প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    খোলাখুলি সন্ত্রাস-কে সমর্থন

    সোমবার চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তান-সহ মোট ২০টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সম্মেলনের আগে মোদি একান্তে কথা বলেন। তার পরেই মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন। বলেন, ‘‘কোনও কোনও দেশ যে ভাবে খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, তা কি আমরা মেনে নিতে পারি? প্রশ্ন ওঠে।’’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন মোদি। আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের নামও করলেন। জানালেন, সন্ত্রাসের জন্য শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের ক্ষতি হচ্ছে।

    পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা

    পহেলাগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে আমরা সন্ত্রাসবাদের একটা খুব খারাপ, উগ্র রূপ দেখেছি। আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি। অনেকে অনাথ হয়ে গিয়েছে। গত চার দশক ধরে ভারত এই সন্ত্রাসবাদের শিকার। যে সমস্ত দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ধন্যবাদ।’’ মোদির এই ভাষণের সময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফও।

    সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ

    সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে মোদি (PM Modi At SCO Summit) বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বের জায়গা নিয়েছে ভারত। আল কায়েদা এবং তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমরা লড়়াই করেছি। অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার বিরোধিতা করি আমরা।’’ মোদি সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি “গভীর উদ্বেগের” বলে উল্লেখ করেন এবং এসসিও সদস্য দেশগুলোকে চরমপন্থা ও মৌলবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

    এসসিও গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপস না-করার অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা মানবতার জন্য যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ থাকলে কোনও দেশ, কোনও সমাজ সুরক্ষিত বোধ করতে পারে না। নিরাপত্তা সকল দেশের অধিকার।’’

    ভারতের পাশে চিন, চাপে পাকিস্তান!

    এসসিও সম্মেলনের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে সোমবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে রবিবার চিনের প্রেসিডেন্টের (Xi Jinping) সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সীমান্তপারের সংঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বোঝান যে, এই সন্ত্রাসবাদ ভারত এবং চিন, দুই দেশকেই প্রভাবিত করছে। তাই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ রুখতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ভারত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নয়াদিল্লির নিশানায় থেকেছে ইসলামাবাদ। তবে জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উত্থাপন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বরাবরই বেশ মসৃণ। এমনকি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ও পাকিস্তানকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। এই আবহে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের কথা বলে ভারত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিল, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবারই ভারতে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • SCO Summit: পুতিন, জিনপিং-এর সঙ্গে খোশগল্পে মগ্ন মোদি, দূরে একা দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরিফ

    SCO Summit: পুতিন, জিনপিং-এর সঙ্গে খোশগল্পে মগ্ন মোদি, দূরে একা দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের (SCO Summit) মূল অধিবেশনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আলোচনার ফাঁকে তিন নেতাকে হাস্যরসে মেতে উঠতে দেখা যায়। সম্মেলনের একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমে বিপুল ভাইরাল হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারত-চিন-রাশিয়া— তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নিজেদের মধ্যে খোশগল্পে মগ্ন। এর পরেই, পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে বলতে হাঁটতে শুরু করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পিছনে একা দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার একমঞ্চে দেখা গেল যুযুধান দুই পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। রবিবার এসসিও বৈঠকের শুরুতেই দেখা গেল, একসারিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে একে অপরের থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিলেন তাঁরা।

    বন্ধু পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত আনন্দের

    চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে আগত নেতাদের স্বাগত জানান। সেখানে পুতিন ও মোদিকে একসঙ্গে হাঁটতে ও প্রাণবন্ত আলোচনায় মেতে থাকতে দেখা গিয়েছে। এসসিও সম্মেলনের মধ্যেই দেখা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পুতিনকে জড়িয়ে ধরেন মোদি। অতীতেও পুতিনের সঙ্গে আলিঙ্গন কূটনীতি সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। রুশ তেল কেনার শাস্তি হিসেবেই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বারবার মার্কিন চোখরাঙানি সত্ত্বেও ভারত অবশ্য রুশ তেল কেনা বন্ধ করেনি। রাশিয়ার তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় পণ্যের জন্য সেদেশের বাজার খুলে দেওয়া হবে। আমেরিকা ভারতীয় পণ্য না কিনলে রাশিয়া কিনবে, এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মোদি লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সবসময়ই খুব আনন্দের।’ কেবল পুতিন নন, এসসিও সামিটে যেসব দেশ অংশগ্রহণ করেছে, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই আলাদা করে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলাদা করে সকলের ছবি পোস্টও করেছেন নিজের সোশাল মিডিয়ায়।

    মোদি-শরিফ দূরত্ব

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তবে মোদি ও শাহবাজ শরিফের মধ্যে দৃশ্যত কোনও আলাপচারিতা হয়নি। বরং দুজনকে আলাদা আলাদা দেখা যায়, এমনকি একটি ছবিতে দুজনকে একে অপরের পিঠের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করা ছবিতেও দেখা যায়, শাহবাজ শরিফ পিছনের সারিতে থাকলেও মোদি কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত টোকায়েভের সঙ্গে “গঠনমূলক মতবিনিময়”-এর কথা উল্লেখ করেন। সম্মেলনের ঐতিহ্যবাহী ফটোতেও মোদি ও শরিফকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

    এসসিও সম্মেলনের হাইলাইটস

    এসসিও-র ১০ সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে এবারের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে সোমবার। দিনভর নানা আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণে উদ্যোগ নিচ্ছে এসসিও। রবিবার রাতে এক বর্ণাঢ্য ভোজসভার মাধ্যমে ২৫তম সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই অনুষ্ঠানে মোদির পাশাপাশি পুতিনসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। চিন এবছর এসসিও-র সভাপতিত্ব করছে। এবারের সম্মেলনই এখনও পর্যন্ত সংগঠনের ইতিহাসে বৃহত্তম। এসসিও প্লাস ফর্ম্যাটে মোট ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান,সম্মেলনে আমন্ত্রিত। যার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও রয়েছেন। এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেস্কিয়ান ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন। নিয়মিত সদস্য ছাড়াও অতিথি এবং পর্যবেক্ষক হিসাবে বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানকে এবারের এসসিও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই অতিথিদের জন্য একটি ব্যাঙ্কোয়েটের আয়োজন করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাঁর স্ত্রী পেং লিউয়ান।

  • Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানে (Afghanistan) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake) অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র সারাফাত জামান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। সেই কারণে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যেমন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় নাগরিকরাও এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৩। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের দাবি, কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬ মাত্রার। দিল্লিতেও অনুভূত হয় আঁচ। অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।

    আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) পর আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। যার মধ্যে অন্তত দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ রিখটার স্কেলের কাছাকাছি। মূল কম্পনের মাত্র ২০ মিনিট পরেই প্রথম আফটারশকটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং উৎসস্থল ছিল ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর রাত ১টা ৫৯ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার, ভোর ৩টা ৩ মিনিটে এবং ৫টা ১৬ মিনিটে দুটি ৫ মাত্রার কম্পন হয়, যেগুলোর গভীরতা ছিল ১০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

    কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে, ভূমি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কম্পন শুরু হয়। ভারতের সময় অনুযায়ী রাত পৌনে ১টা। নানগরহর প্রদেশের জনস্বাস্থ্য দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    আঁচ অনুভূত দিল্লিতেও (Earthquake)

    এই ভূকম্পনের প্রভাব শুধু আফগানিস্তানেই নয়, ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর ও রাজধানী দিল্লিতেও। ভূমিকম্পের সময় দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সমাজমাধ্যমে অনেকে রাতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহর প্রদেশটি পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল এবং রাজধানী কাবুল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০২ কিলোমিটার।

    ভূকম্পন প্রবণ দেশ আফগানিস্তান

    রেড ক্রসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বত অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। এই অঞ্চলে প্রতি বছর একাধিক ভূমিকম্প ঘটে। এর প্রধান কারণ হল, অঞ্চলটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এছাড়াও, আফগানিস্তানের হেরাত শহরের নিচ দিয়ে একটি বড় ফল্ট লাইন অতিক্রম করেছে, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। মাত্র এক মাস আগেই, অর্থাৎ অগাস্ট মাসে, আফগানিস্তানে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছিল। ২ অগাস্ট রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়, এরপর ৬ অগাস্ট আরও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.২।

    ২০২২ সালের ভূমিকম্প

    শুধু ২০২৫ সালেই নয়, মাত্র তিন বছর আগে, ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। এতে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন।

    ২০২৩ সালের ভূমিকম্প

    এরপর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প (মাপ ৬.৩) আফগানিস্তানকে কাঁপিয়ে দেয়। ওই ভূমিকম্পে দেশের একটি বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বহু বাড়িঘর ধসে পড়ে। তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল যে মৃতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়েছে। যদিও পরে রাষ্ট্রসংঘ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি ছিল।

    ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প

    ঠিক পাঁচ মাস আগে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে — আফগানিস্তানে তীব্র ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতেও অনুভূত হয়, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়। রয়টার্সের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৬। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাগলান থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে। ঠিক পাঁচ মাসের মাথায়, ফের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি ভূমিকম্প ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি গভীরতায় ঘটে, তবে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, কম্পনের অভিঘাত খুব দ্রুত ভূপৃষ্ঠে পৌঁছে যায়, যার ফলে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ও নির্মাণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রাণহানির ঝুঁকিও অনেক গুণ বেড়ে যায়।

  • Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি রয়েছে রান্নাঘরে! কী খাবার তৈরি হচ্ছে, কীভাবে সেটা রান্না হচ্ছে আর কখন খাওয়া হচ্ছে, এই সবকিছুই জরুরি। এগুলোর উপরে শরীর সুস্থ থাকার শর্ত অনেকটাই নির্ভর করে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু শিশু নিয়মিত পেটের অসুখে ভোগে। অনেকেই বমি কিংবা হজমের গোলমালের জেরে হয়রানি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই ধরনের নানান সমস্যা হয় খাবার থেকেই। তাই রান্নাঘরের অভ্যাস নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জানেন না, খুব সাধারণ রান্নাঘরের পাঁচটি অভ্যাস আসলে বিপজ্জনক। শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

    নিয়মিত বাসি ভাত এবং ডিম খাওয়ার অভ্যাস!

    জীবনের ব্যস্ততা বাড়ছে। অনেকেই এখন কাজ কমাতে একসঙ্গে অনেকটা রান্না করে রাখেন‌। তারপরে সময় মতো গরম করে খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস খুবই বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার পুনরায় গরম করে খেলে, তার পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং আরও বেশি শারীরিক ক্ষতি করে। তেমনি দুটো খাবার হলো ভাত এবং ডিম। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাসি ভাতে নানান ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। বাসি ভাত খেলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেখা যায়, নিয়মিত বাসি ভাত খেলে অনেকেই পেটের অসুখে ভুগছেন। ভাতের পাশাপাশি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাসি ডিম শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ ডিম পুনরায় গরম করে খেলে ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে কোনও উপকার হয় না। বরং নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার অভ্যাস!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকারক, তেমনি শরীরের জন্যও ক্ষতিকারক। অধিকাংশ বাড়িতেই প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার রেওয়াজ। যা একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্লাস্টিক বোতল একবার ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু বহু বাড়িতেই ওই বোতল দিনের পর দিন ব্যবহার হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের বোতল তৈরির সময় বিসফেনল জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট করে। হরমোনের সমস্যা তৈরি করে। এমনকি ইনসুলিন ক্ষরণের ক্ষেত্রেও নানান জটিলতা তৈরি করে। দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের বোতলে জল রেখে জল খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত অসুখ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    রান্নাঘরে অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার!

    রান্নাঘরে মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ দূর করতে অনেকেই বাজারে সহজলভ্য সুগন্ধি ব্যবহার করেন। অনেকেই এখন রান্নার পরে ঘরে এয়ার ফ্রেশনার কিংবা সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে গন্ধ দূর করেন। এতে সাময়িক স্বস্তি হলেও শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ এই সুগন্ধিতেই থ্যালেট সহ একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। হৃদপিণ্ড, ফুসফুসের উপরে এগুলোর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই রান্নাঘরে নিয়মিত এই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বরং তাদের পরামর্শ রান্নার পরে রান্নাঘর নিমপাতা এবং লেবুর রস মেশানো ঘরোয়া মিশ্রণে পরিষ্কার করলে জীবাণু দূর হবে আবার বাজে গন্ধ ও থাকবে না।

    পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, এর পাশপাশি কীভাবে রান্না করা হচ্ছে এটাও সমান জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে তাই কোথায় কীভাবে রান্না হচ্ছে সেটার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। তাই তাঁদের পরামর্শ পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না করা একেবারেই উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ননস্টিক বাসনে টেফলন নামে একটি রাসায়নিকের আস্তরন থাকে। পুরোনো বাসন বারবার ঘষা মাজার ফলে সেই আস্তরন ছিঁড়ে যায়। এতে বাসনের মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়। ওই বাসনে রান্না করলে, ওই রাসায়নিক খাবারে মিশে যেতে পারে। বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব শরীরেও পড়ে।

    অতিরিক্ত তেল ও কৃত্রিম চিনির ব্যবহার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সবচেয়ে বড় কারণ জীবন‌ যাপন সংক্রান্ত নানান অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া এবং কৃত্রিম চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত তেলে ভাজা জাতীয় খাবার খান‌। অনেকেই একবার রান্না করা তেল, পুনরায় ব্যবহার করেন। যা খুবই বিপজ্জনক। একবার রান্না করার পরে আবার সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করলে শরীরে নানান জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে তরুণ প্রজন্মের একাংশ কৃত্রিম চিনি নিয়মিত ব্যবহার করছে। যা খুবই বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনিতে নানান ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। যার ফলে ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁদের পরামর্শ, কম তেলে রান্না করতে হবে। চিনি কিংবা কৃত্রিম চিনি কোনোটাই শরীরের জন্য উপকারী নয়। তাই এগুলো‌ বাদ দেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কমনওয়েলথ (Commonwealth Meet) ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে ভারতের মেহক শর্মা ও লাভপ্রীত সিং যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। বীর সাভারকর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মেহক শর্মা মহিলাদের +৮৬ কেজি বিভাগে মোট ২৫৩ কেজি (স্ন্যাচে ১১০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৩ কেজি) উত্তোলন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই বিভাগে সামোয়ার ইউনিয়ারা সিপাইয়া মোট ২৬১ কেজি (১১১ কেজি + ১৫০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জয় করেন। আর নাইজেরিয়ার মেরি তাইওয়ো ওসিজো ২৩১ কেজি উত্তোলন করে ব্রোঞ্জ জেতেন।

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet) ছিল প্রশংসনীয়। স্ন্যাচে তিনি প্রথমে ১০৩ কেজি, তারপর ১০৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় ১১০ কেজি উত্তোলন করেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে শুরু করেছিলেন ১৩০ কেজি দিয়ে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ১৩৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফলভাবে ১৪৩ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য নিশ্চিত করেন (Commonwealth)।

    লাভপ্রীত সিংয়ের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগে, ভারতের লাভপ্রীত সিং মোট ৩৮০ কেজি (স্ন্যাচে ১৭৫ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২০৫ কেজি) উত্তোলন করে তৃতীয় স্থান দখল করেন। এই বিভাগে সামোয়ার সানেলে মাও ৪০১ কেজি (১৮১ কেজি + ২২০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জিতেছেন, আর নিউজিল্যান্ডের ডেভিড লিটি ৩৯৭ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য পান।

    ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে

    যুব পুরুষদের +৯৪ কেজি বিভাগে, ভারতের তুষার চৌধুরী দারুণ পারফরম্যান্স করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি মোট ২৮৫ কেজি (১২৫ কেজি + ১৬০ কেজি) উত্তোলন করেন, যা শ্রীলঙ্কার নেজিথা নেথসাহান-এর তুলনায় অনেক বেশি; নেথসাহান তুলেছিলেন মাত্র ১৯৭ কেজি (৯৭ কেজি + ১০০ কেজি)। ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে- ৩টি স্বর্ণ, ৭টি রৌপ্য, ৩টি ব্রোঞ্জ। প্রথম দিনেই ভারতের হয়ে টোকিও অলিম্পিক রৌপ্যজয়ী মীরাবাই চানু মহিলা ৪৮ কেজি বিভাগে স্বর্ণ জিতেছেন এবং ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া, ঋষিকান্ত সিং (৬০ কেজি), এন. অজিথ (৭১ কেজি) এবং ভি. অজয় বাবু (৭৯ কেজি)-ও গ্লাসগো ২০২৬ সিডব্লিউজি-এর জন্য স্থান নিশ্চিত করেছেন।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফলাফল (Commonwealth Meet)

    সিনিয়র পুরুষদের ১১০ কেজি বিভাগ:

    ফিজির তানিলা তুইসুভা রেইনোগি – ৩৬৫ কেজি (১৬৫ কেজি + ২০০ কেজি)

    সামোয়ার জ্যাক ওপেলোগ – ৩৫৭ কেজি (১৫৭ কেজি + ২০০ কেজি)

    জ্যাকসন রবার্টস-ইয়ং – ৩৫৬ কেজি (১৫০ কেজি + ২০৬ কেজি)

    জুনিয়র পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের ইসিস শুস্টার – ৩৩৮ কেজি (১৫৫ কেজি + ১৮৩ কেজি)

    মালয়েশিয়ার মুহাম্মদ ফারিস কামারুল – ৩১৫ কেজি (১৩৫ কেজি + ১৮০ কেজি)

    জুনিয়র মহিলা +৮৬ কেজি বিভাগ:

    মালয়েশিয়ার সিটি আকিলাহ ফারহানা – ২২৭ কেজি (১০৭ কেজি + ১২০ কেজি)

    কানাডার অ্যাঞ্জেল বিলেন – ২২৫ কেজি (৯৮ কেজি + ১২৭ কেজি)

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    যুব মহিলা +৭৭ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    শ্রীলঙ্কার সেওয়ান্দি সাস – ১৩৫ কেজি (৬০ কেজি + ৭৫ কেজি)

  • Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু-প্রধান রাষ্ট্র নেপাল—সেখানে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
    শনিবার, নেপালের (Nepal News) জনকপুরধামে (Janakpurdham) গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। সেই সময়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণেশের মূর্তিটি একটি মুসলিম-প্রধান এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় কিছু মানুষ শোভাযাত্রা থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

    গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর নিক্ষেপ (Nepal News)

    এরপর মৌলবাদীরা গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর ছুড়লে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
    নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়। নেপালের ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দুইজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

    থমথমে পরিবেশ মোতায়েন পুলিশ

    জানা যাচ্ছে, এর পরেও ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে প্রায় ২০০ জন নেপাল পুলিশ এবং অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার বাহাদুর সিং জানিয়েছেন, জনকপুরধাম (Janakpurdham) থেকে দেবপুরা এবং যাতাহি থেকে জনপ্রধান যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে (Nepal News) পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে মূর্তি বিসর্জনের সময়, তখনই কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বছর গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও সেই পুরনো চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার কিছু জেহাদি মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে থাকে।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার। ভারত তো বটেই, বিদেশেও চলছে হিন্দু ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণ। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, ঘৃণামূলক বক্তব্য (Roundup Week), যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য — হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত (Hindus Under Attack) চলছেই।

    সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদের বক্তব্য (Hindus Under Attack)

    এক ঝলকে দেখে নিই গত এক সপ্তাহের ঘটনা। প্রথমে আসা যাক দেশের খবরে। মানবাধিকারকর্মী সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদ, যিনি মনমোহন সিং সরকারের সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন, তিনি বলেন, “বাংলাদেশিদের ভারতে থাকার অধিকার রয়েছে।” তাঁর যুক্তি, “আল্লাহ মানুষের জন্য পৃথিবী তৈরি করেছেন এবং তারাও মানুষ।” ইভিআর (পেরিয়ার) আয়াপ্পা ভক্তদের অপবিত্রতা ও রোগের এজেন্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। উদয়নিধি আবার সনাতন ধর্মকে উচ্ছেদ করার ডাক দিয়েছিলেন। কর্নাটকের অন্যতম বড় উৎসব মাইসুরু দশরা কেবল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় থেকে চলে আসা একটি হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য। মুসলিম কর্মী বানু মুস্তাককে দশরা উদ্বোধনের দায়িত্ব দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস সরকার।

    গণেশ মূর্তি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ডিম

    গুজরাটের ভাদোদরায় গণেশের মূর্তি ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকায় মূর্তি লক্ষ্য করে ডিম ছোঁড়া হয়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বেটমার কাছে দৌলতাবাদ গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে একদল চরমপন্থী মুসলমান যুবক মাথা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি থেকে একটি বিশাল বেআইনি ইসলামিক ধর্মান্তর চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিল (Hindus Under Attack) বছর পঁয়ত্রিশের মাদ্রাসা পরিচালক আবদুল মাজিদ। অন্তত দশ বছর ধরে তারা সক্রিয় এবং ১৩টি রাজ্য ও ২০টিরও বেশি ভারতীয় শহরে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। ভান্নিয়ারাসুর ভগবান রাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পর, আরও এক দ্রাবিড়বাদী কণ্ঠ আক্রমণ শুরু করেছে। দ্রাবিড় নাত্পু কাজগম – দ্রাবিড় বন্ধু সংঘের বক্তা শ্রীবিদ্যার দাবি, সনাতন ধর্ম পথভোলা কুকুরের চেয়েও বিপজ্জনক।

    তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রের বচন

    তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঘোষণা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শিরশ্ছেদ করা উচিত। তাঁর কাটা মাথা প্রদর্শনের জন্য টেবিলে রাখা উচিত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ অবৈধ বাইবেল কলেজের মাধ্যমে এক বৃহৎ শিক্ষাগত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, জেসুইট প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন ছাড়াই (Roundup Week) চেন্নাইয়ের থিরুভানমিয়ূরের সৎয নিলয়ম জেসুইট সেন্টারে তাদের এমএ দর্শনশাস্ত্র পড়াচ্ছিল।

    লাভ জিহাদের খবর

    উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে লাভ জিহাদের খবর (Hindus Under Attack) মিলেছে। এখানে এক মুসলমান যুবক কাশেম, নিজেকে হিন্দু যুবক ভিকি হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে টার্গেট করে। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেল করার পর সে তাকে জোর করে ইসলামি বিয়েতে আবদ্ধ করার চেষ্টা করে। উত্তর প্রদেশের রামপুরেও লাভ জিহাদের খবর মিলেছে। এখানে আমান সিদ্দিকি নামের এক মুসলিম যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো হিন্দু পরিচয় তৈরি করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে সে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে শেষমেশ তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

    অত্যাচার বাংলাদেশেও

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশেও। পটুয়াখালি জেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে নিখিল কর্মকারের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতরা হামলা চালায়। ডাকাতরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বেঁধে ফেলে সব লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫০ গ্রাম সোনা ও ৫০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকা) লুট হয়। ডাকাতরা বাড়ির মহিলাদেরও মারধর এবং নির্যাতন করে। মারধর করা হয় নিখিলের স্ত্রী ও কন্যাকেও (Roundup Week)।

    শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ ছবি

    উত্তর জাফনার একটি শান্ত গ্রাম বর্তমানে শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্বল ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার প্রমাণ সামনে আনছে। এই ঘটনাগুলি দীর্ঘদিন ধরে চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। জাফনার তামিল অধ্যুষিত অঞ্চলের চেম্মানিতে একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এই গণকবরগুলি সংঘর্ষের বছরগুলিতে নিহত ও কবর দেওয়া শ্রীলঙ্কান হিন্দুদের (Hindus Under Attack)।

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ পরিচালিত হয় হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা, যা কিছু ধর্মীয় শিক্ষায় ও রাজনৈতিক মতাদর্শে সযত্নে প্রোথিত। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হলেও, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক ধরনের হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে, যা (Roundup Week) হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম প্রতিদিনের বৈষম্য অনেক সময় ধরা পড়ে না, যদি না প্রচলিত আইন ও প্রবণতাগুলি খুঁটিয়ে দেখা হয় (Hindus Under Attack)।

  • Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    Trump Tariffs: ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জের, দেশজুড়ে ডাক মার্কিন পণ্য বয়কটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariffs) আরোপ করার পর থেকে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে প্রবল আমেরিকা- বিরোধী মনোভাব। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর এই শুল্ক চাপানো হয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক। এর ফলে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে বর্জন করার আওয়াজ উঠেছে ভারতে (Swadeshi Heat)।

    মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক (Trump Tariffs)

    যোগগুরু বাবা রামদেব ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কের জবাবে যেন তাঁরা সব মার্কিন পণ্য বর্জন করেন। তিনি বলেন, “একজনও ভারতীয়কে পেপসি, কোকাকোলা, সাবওয়ে, কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্ডসের কাউন্টারে দেখা যাবে না। ব্যাপক বর্জন হওয়া উচিত।”  তিনি বলেন, “যদি এমনটা হয়, তাহলে আমেরিকায় তীব্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।” বিশ্বের অন্যান্য অংশে যেমন ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং কানাডায় ইতিমধ্যেই আমেরিকা-বিরোধী বয়কট চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত যদি মার্কিন কোম্পানিগুলিকে বয়কট করে, তবে তা বিপুল ক্ষতি এবং গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভারতীয়দের “স্বদেশি” বা দেশীয় পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি

    তিনি বলেন, “যে কেউ ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করতে চায় — যে কোনও রাজনৈতিক দল, যে কোনও নেতা — তাদের উচিত দেশের স্বার্থে কথা বলা এবং জনগণের মধ্যে এই বোধ জাগানো যে তাদের ‘স্বদেশি’ পণ্য কেনার সংকল্প নিতে হবে। আমরা যখন কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেব, তখন একটি মাত্র মানদণ্ড থাকা উচিত। আমরা সেই জিনিস কিনব, যা একজন ভারতীয় শ্রম দিয়ে তৈরি করেছেন। যা ভারতের মানুষ তৈরি করেছেন, ভারতের মানুষের দক্ষতা দিয়ে, ভারতের মানুষের ঘামের বিনিময়ে, সেটিই আমাদের কাছে ‘স্বদেশি’ (Trump Tariffs)। আমাদের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্র গ্রহণ করতেই হবে।” ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার রাজনীতি চলছে এবং প্রত্যেকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যস্ত (Swadeshi Heat)।”

    ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ

    প্রসঙ্গত, ৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফের একবার অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। করা হয় জরিমানাও। ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “ভারত শুধু বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনছে তাই নয়, বরং সেই তেলের একটি বড় অংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফাও করছে।” তিনি বলেন, “রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনে কত মানুষকে হত্যা করছে, সে ব্যাপারে ভারতের কোনও পরোয়া নেই। এই কারণে আমি আমেরিকায় ভারত যে শুল্ক দেয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছি।” উচ্চবাচ্য না করে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অমূলক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

    ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা

    আপ পার্টির সাংসদ অশোক কুমার মিত্তল ট্রাম্পকে একটি খোলা চিঠি লিখে ৭ আগস্ট ১৯০৫ সালের স্বদেশি আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যদি আজ ১৪৬ কোটি ভারতীয় সেই চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং মার্কিন ব্যবসার ওপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তবে এর প্রভাব ভারতের থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে (Trump Tariffs)।” ওয়েস্টলাইফ ফুডওয়ার্ল্ড লিমিটেড, যা পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে ম্যাকডোনাল্ডস পরিচালনা করে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ২,৩৯০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি (Swadeshi Heat)।

    ভারতের অবস্থান

    এদিকে, পেপসিকো ইন্ডিয়া ২০২৪ অর্থবর্ষে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে। ভারতের অবস্থান পেপসিকোর জন্য বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ ১৫টি বাজারের মধ্যে। গত তিন বছরে পেপসিকো ভারতের বাজারে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন আগেই আমেদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতাই উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার একমাত্র পথ। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বিদেশি পণ্য কেন দরকার হবে? নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবই দেশীয় সংস্থা উৎপাদন করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে হবে যে, যদি বিদেশি পণ্য বিক্রি না করলে আর্থিক ক্ষতিও হয়, জাতীয় স্বার্থে বিদেশি পণ্য বয়কট করতে হবে। কেউ যেমন বিদেশি পণ্য ক্রয় করব না, তেমন বিক্রিও করবে না।” তিনি বলেন (Swadeshi Heat), “গণপতির মূর্তি পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসছে। তাও আবার সেই গণপতির চোখ অর্ধনিমীলিত। ক্ষুদ্র চোখ। এটা কেন হবে (Trump Tariffs)?”

  • PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দীর্ঘ ১০ মাস পর এই সফরে মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। রবিবার, নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা। বৈঠকে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, সংবেদনশীলতা ও সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জবাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    বৈঠকের সূচনায় মোদি (PM Modi) বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের মধ্যে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। সেই আলোচনা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ইতিবাচক দিশায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের প্রতিনিধিরাও পারস্পরিক বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন। নতুন করে কৈলাস-মানসসরোবর যাত্রাও চালু হয়েছে।” তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হবে। তাঁর কথায়, “ভারত ও চিনের বন্ধুত্ব কেবল দুই দেশেরই নয়, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মিলিয়ে ২৮০ কোটির বেশি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এই সম্পর্কে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের (Jinping) বক্তব্য কী?

    প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “বিশ্বজুড়ে নানা পরিবর্তন ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে চিন ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা বিশ্বের দুই প্রাচীন সভ্যতা, দুই বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, এবং গ্লোবাল সাউথের প্রধান দুই অংশীদার। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকা উচিত। আমরা যেন ভালো প্রতিবেশীর মতো পাশে থাকি।” তিনি আরও বলেন, “ড্রাগন ও এলিফ্যান্টকে আরও ঘনিষ্ঠ হতে হবে।”

    সম্পর্কের ৭৫ বছর

    চলতি বছর ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বর্ষপূর্তি। এই উপলক্ষে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও স্থায়ী করে তুলতে কূটনৈতিক স্তরে জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শি জিনপিং। তাঁর মতে, এশিয়ায় শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারত ও চিনকে (Jinping) একসঙ্গে পথ চলতে হবে।

  • Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) গুরেজ সেক্টরে গত সপ্তাহে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন ছিল বাগু খান। হিউম্যান জিপিএস নামেও পরিচিত ছিল সে। বাগু (Terrorist Bagu Khan) এবং আর এক জঙ্গি নওশেরা যখন নার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

    কে এই বাগু খান? (Terrorist Bagu Khan)

    প্রশ্ন হল, কে এই বাগু খান? বাগু খান সমন্দর চাচা নামেও পরিচিত ছিল। সে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে গুরেজ সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে ১০০ও বেশি জঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জড়িত ছিল। তার অধিকাংশ চেষ্টাই সফল হয়েছিল। কারণ সে এই অঞ্চলটির দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও গোপন রুটগুলি সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল। সে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাতায়াতকারীদের অন্যতম প্রবীণ হ্যান্ডলার ছিল। দক্ষতার কারণে সে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হত। কখনও কোনও জঙ্গিকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকাতে হলে ডাক পড়ত বাগুর।

    হিজবুল কমান্ডার

    বাগু মূলত হিজবুল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তবে সে আরও কয়েকটি সংগঠনকেও সাহায্য করেছিল। গুরেজ ও আশপাশের সেক্টরগুলি দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেও সাহায্য করেছে সে। কুখ্যাত এই জঙ্গির মৃত্যু এই অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্যদানকারী লজিস্টিক নেটওয়ার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাম্প্রতিক যে সংঘর্ষটি নৌশেরা নার এলাকায় হয়েছে, তার নাম “অপারেশন নৌশেরা নার চতুর্থ”। এখানে সেনারা ভারী অস্ত্রসজ্জিত একদল অনুপ্রবেশকারীর মুখোমুখি হয়। শুরু হয় গুলি যুদ্ধ। নিকেশ হয় বাগু-সহ দুজন। বাকিরা পালিয়ে যায় (Terrorist Bagu Khan)।

    জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে বাগু ঘাঁটি গেড়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তার প্রধান কাজই ছিল, ভারতে জঙ্গি ঢোকানো। বহু বছর ধরে বাগুকে খুঁজছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার গুরেজে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল আরও দুই জঙ্গি (Jammu Kashmir)। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। এরপর ফের একবার অভিযান চালানো হয় গুরেজে। তাতেই খতম হয় বাগু (Terrorist Bagu Khan)।

LinkedIn
Share