Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা মাপলেন গণিতবিদ রাধানাথ, নেপোয় মারল দই!

    Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা মাপলেন গণিতবিদ রাধানাথ, নেপোয় মারল দই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) উচ্চতা নিরূপণ করেছিলেন ভারতীয় গণিতবিদ রাধানাথ শিকদার (Radhanath Sikdar), ১৮৫২ সালে। অথচ, হিমালয়ের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামকরণ হল একজন ইংরেজের নামে। নাম কিনলেন তৎকালীন সার্ভেয়র জেনারেল জর্জ এভারেস্ট, ১৮৫৬ সালে। বিট্রিশ-শাসিত অঞ্চলের ভৌগোলিক সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন তিনি। তাই তাঁর নামেই হল বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম।

    বিস্মৃতির আড়ালে খ্যাতনামা গণিতবিদ রাধানাথ (Mount Everest)

    বিশ্ববাসীর বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেলেন খ্যাতনামা গণিতবিদ রাধানাথ, যাঁকে সেই সময়কার লোকজন ‘কম্পিউটার’ বলেই ডাকতেন। হাতেগোণা কয়েকটি যন্ত্রপাতি আর অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে শিকদার এমন কিছু করে দেখিয়েছিলেন, যা আর কেউ করতে পারেনি। অথচ এজন্য প্রাপ্য সম্মানটুকুও জোটেনি তাঁর কপালে। ইতিহাস হয়তো তাঁর নামটিকে ম্লান হতে দিয়েছে, তবে কিছু নাম এতই উজ্জ্বল যে সেগুলি সহজে মুছে ফেলা যায় না। রাধানাথ শিকদার এমনই এক নাম।

    কলকাতায় জন্ম রাধানাথের

    ১৮১৩ সালের ৫ অক্টোবর কলকাতায় এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাধানাথ শিকদার। এই পরিবারে শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত যুগ যুগ ধরে। গণিতে রাধানাথের অসাধারণ মেধা হিন্দু কলেজের অধ্যাপক জন টাইটলারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। টাইটলার বুঝতে পেরেছিলেন, এই তরুণের মস্তিষ্ক সংখ্যার হিসাব ও জটিল সমস্যার জন্যই তৈরি। তিনি শিকদারকে নিজের তত্ত্বাবধানে নেন। ১৮৩১ সালে যখন জর্জ এভারেস্ট ভারতের “গ্রেট ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভে”-এর জন্য মেধাবী গণিতবিদ খুঁজছিলেন, তখন রাধানাথ ইউক্লিডের ‘এলিমেন্টস’, নিউটনের ‘প্রিন্সিপিয়া’ এবং বিশ্লেষণাত্মক জ্যামিতির নীতিতে যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন।

    রাধানাথকে নিয়োগপত্র

    মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনে রাধানাথকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল একজন কম্পিউটার হিসেবে, যিনি মাপবেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান। পরে তাঁকে ভারতীয় কম্পিউটারদের একটি দলের অংশ হিসেবে দেরাদুনের কাছে সিরোঁজে পাঠানো হয়। রাধানাথের তীক্ষ্ণ ধী-শক্তি সবার নজর কাড়ত। এভারেস্ট নিজেও বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন। তাই তিনি অন্য বিভাগে শিকদারের বদলি রদ করে দিয়েছিলেন। তিনি ভূ-জ্যামিতিক সমীক্ষায় বিশেষ দক্ষ ছিলেন। পরিমাপের নির্ভুলতা বাড়ানোর জন্য নিজস্ব পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছিলেন রাধানাথ। ১৮৪৩ সালে এভারেস্ট (Mount Everest) অবসর নেওয়ার পরে দায়িত্ব নেন কর্নেল অ্যান্ড্রু স্কট ওয়া।

    সেকেন্ড করে দিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে

    এভারেস্টের অবসরের মাত্র ৯ বছর পর, ১৮৫২ সালে প্রধান গণনাকারী হিসেবে শিকদার হিমালয়ের শৃঙ্গগুলির তথ্য বিশ্লেষণ করেছিলেন। তখন পর্যন্ত স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু শিকদারের গণনা জানিয়ে দিল, শুধু “পিক XV” নামে পরিচিত একটি শৃঙ্গ এর চেয়েও ঢের বেশি উঁচু, ২৯,০০০ ফুট। গণনায় সন্দেহ করে স্কট ওয়া এর সঙ্গে যোগ করে দেন আরও ২ ফুট। ১৮৫৬ সালে তিনি ঘোষণা করেন, নয়া এই শৃঙ্গের উচ্চতা ২৯,০০২ ফুট। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের এই মাপ থেকে গিয়েছিল প্রায় একশো বছর ধরে। তবে যখন শৃঙ্গটির নামকরণ করা হয়, তখন শিকদার নন, নামকরণ হয় এভারেস্টের নামেই। যদিও এটি পছন্দ করেননি জর্জ এভারেস্ট স্বয়ং। কারণ তিনি কখনও পর্বতটিকে দেখেননি। তিনি এও বলেছিলেন, ভারতীয়দের নামগুলি সংরক্ষিত থাকা উচিত। তার পরেও ইতিহাসের পাতায় ম্লান হয়ে যান রাধানাথ (Radhanath Sikdar), জ্বলজ্বল করতে থাকে এভারেস্টের নাম।

    ‘দ্য গ্রেট আর্ক’

    ‘দ্য গ্রেট আর্ক’ গ্রন্থের লেখক জন কে লিখেছেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গকে মানচিত্রে প্রথম স্থান দিয়েছিলেন শিকদার, এভারেস্ট নন। তাঁর হাতে যন্ত্রপাতি ছিল খুবই সীমিত, কিন্তু তাঁর হিসাব ছিল নিখুঁত (Mount Everest)।” শিকদারের বুদ্ধিবৃত্তির বিস্তার পাহাড়ের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ১৮৫১ সালে সমীক্ষা দফতর যে ম্যানুয়াল অফ সর্ভেইং প্রকাশ করে, তার টেকনিক্যাল চ্যাপ্টারগুলি তিনি নিজেই লিখেছিলেন। কিন্তু ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত এর তৃতীয় সংস্করণে তাঁর নাম ভূমিকা থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। সেই সময় ‘ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়া’ নামের একটি পত্রিকা এই ঘটনাকে বলেছিল, “এক মৃত ব্যক্তির অবদানের চুরি” (Radhanath Sikdar)।

    শৃঙ্গের গায়ে ঔপনিবেশিকতার কালো দাগ

    রাধানাথ শিকদার কখনও তুষারে ঢাকা কোনও পাহাড় চূড়ার ঢালে দাঁড়াননি, কোনও শৃঙ্গের চূড়ায় পতাকাও ওড়াননি। কিন্তু কলকাতার নিঃশব্দ কক্ষে বসেই তিনি তাঁর সময়ের যে কারও চেয়ে উঁচুতে পৌঁছে গিয়েছিলেন একমাত্র ত্রিকোণমিতিকে দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি এভারেস্ট আরোহন করেননি। তিনি তার উচ্চতা পরিমাপ করেছিলেন মাত্র। তা সত্ত্বেও আজও এভারেস্টের গায়ে কোনও এক অদ্ভুত কারণে লেগে রয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার কালো দাগ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামকরণ (Radhanath Sikdar) করা হয়েছে একজন ব্রিটিশের নামে, অথচ তা হওয়ার কথা ছিল এক খাঁটি ভারতীয় তথা বাঙালি গাণিতিকের নামে (Mount Everest)।

  • Pakistan: পাকিস্তানে জুম্মার নমাজে নির্বিচারে গুলি, জখম বেশ কয়েকজন

    Pakistan: পাকিস্তানে জুম্মার নমাজে নির্বিচারে গুলি, জখম বেশ কয়েকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের নমাজের জমায়েতে নির্বিচারে গুলি (Terror Attack) চালাল এক বন্দুকধারী। পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জার প্রদেশের রাবওয়া শহরের ঘটনা। এদিন জুম্মার নমাজ আদায় করতে বাইট-উল-মাহদি আহমদিয়া মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। আচমকাই এক বন্দুকধারী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। আহমদিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চালানো এই গুলিবৃষ্টির দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। গুলির ঘায়ে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    জুম্মার নমাজে হামলা (Pakistan)

    বাইট-উল-মাহদি হল আহমদিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র। পুলিশ এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ছ’জন জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এদিন এক বন্দুকধারী মসজিদের গেটের দিকে এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবক ও প্রহরীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করেন মসজিদে জড়ো হওয়া লোকজন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মসজিদের এক প্রহরী পাল্টা গুলি চালান। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বন্দুকধারী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পাক পাঞ্জাবের পুলিশ জানিয়েছে, মসজিদের মেন গেটে পৌঁছানোর পর হামলাকারী কর্তব্যরত আহমদিয়া স্বেচ্ছাসেবক প্রহরীদের ওপর গুলি চালায়। প্রহরীদের একজন হামলাকারীকে হত্যা করে। শনিবার বিকেল পর্যন্তও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন (Pakistan)।

    কী বলছে আহমদিয়া সম্প্রদায়?

    আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুখপাত্র আমির মাহমুদ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানে এমন ঘৃণামূলক প্রচার ও হামলাকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করা হয়।” তিনি এও বলেন, “এমন ফতোয়া রয়েছে যা মানুষকে আহমদিয়াদের হত্যা করতে উৎসাহিত করে, যখনই তারা তাদের মুখোমুখি হয়। নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় আহমদিয়াদের সুরক্ষার জন্য আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক প্রচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।” আহমদিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অন্যতম, যারা ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি হামলা ও অন্যান্য নৃশংসতার শিকার হয়ে আসছে। হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও বারবার নিপীড়ন, জোরপূর্বক গুম ও ধর্মান্তরের অভিযোগ তুলে আসছে (Terror Attack)।

    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-সহ অন্যান্য সংগঠনও পাকিস্তানে আহমদিয়া সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে (Pakistan)।

  • PM Modi: ‘দেশে তৈরি ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন’, আমলাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘দেশে তৈরি ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন’, আমলাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র লক্ষ্য পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাই বিদেশি প্রযুক্তির ওপর দেশের নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছেন তিনি। সেই কারণে দেশীয় ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media Platforms) তৈরিতে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তাঁর সরকার। ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ আমলাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয় বলে সূত্রের খবর।

    শক্তিশালী ইকোসিস্টেম (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সচিব টিভি সোমনাথন শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি বৈঠকে আলোচিত ২৮টি বিষয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করার আহ্বান জানান। এই পরিকল্পনার অন্যতম মূল লক্ষ্যই হল ভারতেই ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এ জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দেশের যুবসমাজকে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং দেশে নিজস্ব ডিজিটাল পরিকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।

    ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’

    সোমনাথন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হিসেবে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছেন। অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে ছিল সরকারের যোগাযোগ কৌশলকে আরও শক্তিশালী করা, শিক্ষা, ক্রীড়া ও পর্যটনের মতো ক্ষেত্রগুলিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং ভারতীয় প্রতিভা ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরার পর্যায়ে নিয়ে আসাও (PM Modi)। ভারতে প্রায় ৯৬.৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। এঁদের অধিকাংশই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং এক্স-এর মতো বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়া মোদি সরকারের সেই প্রচেষ্টার সঙ্গেই মিলে যায়, যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করছেন, বিশেষ করে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তখন থেকে।

    ভারতীয় কোম্পানি যেমন জোহো (Zoho) ইতিমধ্যেই মেসেজিং অ্যাপ চালু করেছে। এটি ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপের একটি দেশীয় বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়ও হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ পদস্থ মন্ত্রীরাও সরকারি কাজে ভারতীয় এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। তা সত্ত্বেও ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্র এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির দখলেই রয়েছে (Social Media Platforms)। মোদি সরকারের আশা, স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এই প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব (PM Modi)।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কৃষি (Farmers) খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এগুলি হল ‘পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনা’ এবং ‘ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন’। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।

    দুই প্রকল্পে ব্যয় (PM Modi)

    নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায় (IARI) এক বিশেষ কৃষি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনার ব্যয় ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হল কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের বৈচিত্র্যকরণ ও টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রসার, পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ফসল কাটার পর সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি, সেচ ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচিত ১০০টি জেলার কৃষকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সহজ করা।ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এর উদ্দেশ্য হল ডালের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, চাষের এলাকা বাড়ানো, ক্রয়, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ-সহ সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করা এবং ফসল কাটার পর ক্ষতির পরিমাণ কমানো।

    কৃষকদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি তাঁদের মনে করিয়ে দেন, তাঁর সরকার কৃষক কল্যাণ, কৃষিতে আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ। এই কর্মসূচিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসার, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষককেন্দ্রিক নানা উদ্যোগের মাধ্যমে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশুপালন, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৫ হাজার ৪৫০ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    উদ্বোধন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্প

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যেসব প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু ও জম্মু-কাশ্মীরে কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমরেলি ও বানাসে উৎকর্ষ কেন্দ্র, অসমে রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের অধীনে একটি আইভিএফ ল্যাবরেটরি, মেহসানা, ইন্দোর ও ভিলওয়ারায় মিল্ক পাওডার উৎপাদন কারখানা এবং অসমের তেজপুরে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে একটি মাছের খাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র। এর পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি এবং ওড়িশায় বিভিন্ন আধুনিক মৎস্য ও কৃষি পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বেশ কয়েকটি (Farmers) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় একটি যৌথ কোল্ড চেইন ও মানোন্নয়ন পরিকাঠামো (রশ্মি বিকিরণ) ইউনিট, উত্তরাখণ্ডে ট্রাউট মৎস্য খামার, নাগাল্যান্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক, পুদুচেরির কারাইকালে একটি স্মার্ট ও মাছ ধরার বন্দর, এবং ওড়িশার হীরাকুদে একটি অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক।

    সরকারি উদ্যোগের সাফল্য

    এদিনের অনুষ্ঠানে (PM Modi) বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে ৫০ লাখ কৃষকের সদস্যপদ, যার মধ্যে ১ হাজার ১০০টি সংস্থা ২০২৪–২৫ সালে বার্ষিক ১ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার অর্জন করেছে। অন্যান্য সাফল্যের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক কৃষি বিষয়ে জাতীয় মিশনের অধীনে ৫০ হাজার  কৃষকের সার্টিফিকেশন, ৩৮ হাজার মৈত্রীর (গ্রামীণ ভারতের বহুমুখী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তিবিদ) সার্টিফিকেশন এবং ১০ হাজারটিরও বেশি বহুমুখী ও ই-প্যাকস ইউনিটের অনুমোদন ও কার্যকলাপ শুরু। এছাড়াও, বেশ কিছু প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি, দুগ্ধ ও মৎস্য সহায়ক সমবায় গঠন এবং শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি তাদের কার্যকলাপে বৈচিত্র্য এনে প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র এবং কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দুই নয়া প্রকল্প ভারতের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই (Farmers) কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “চাল ও গম উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর। কিন্তু ডাল উৎপাদনে এখনও বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টন ডাল আমদানি করতেই হয়। সরকারের লক্ষ্য হল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডাল উৎপাদনে দেশ আত্মনির্ভর হবে।” তিনি জানান, কৃষকরা যে পরিমাণ ডাল উৎপাদন করবেন, তার ১০০ শতাংশই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনে নেবে সরকার। উৎপাদন বাড়াতে ধান ও গম চাষের জমিতে ফসল কাটা হয়ে গেলে সেটিকে ডাল চাষের জন্য ব্যবহার করা হবে। সয়াবিনের সঙ্গেও ডাল চাষ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে কৃষকদের (PM Modi)।

  • Durgapur Gangrape: আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরে! গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া, মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    Durgapur Gangrape: আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরে! গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া, মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি৷ অভিযুক্তের বিচার চলছে। এর মাঝেই ফের চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল৷ এবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ওই তরুণী উড়িষ্যার জলেশ্বরের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি৷ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।

    এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয় মেয়ে 

    শুক্রবার রাতে এক পরিচিতের সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, কয়েক জন যুবক তাঁদের উত্ত্যক্ত করেন। তার পর টেনেহিঁচড়ে ওই তরুণীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘নির্যাতিতা’র বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, পাঁচজন তাঁকে ধর্ষণ করেছে৷ এরা সকলেই তাঁর অপরিচিত বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা৷ এই ঘটনার রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শহরে। মেয়েকে আর এই রাজ্যে রেখে পড়াতে চাইছেন না পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, “আমার মেয়ে এখানে সুরক্ষিত নয়। আমি এখানে আর ওকে পড়াব না। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব।”

    রাস্তার ধারে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন ডাক্তারির ওই পড়ুয়া। অভিযোগ ওই ছাত্রী ও তাঁর সঙ্গী দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন মোহনবাগান অ্যাভিনিউ রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন৷ অন্ধকারে সেখানেই পাঁচজন ছেলে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরে। অভিযোগ, নির্যাতনের আগে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। পুরুষ সঙ্গীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় পালিয়ে গেলেও পরে তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করান ওই সঙ্গীই। যদিও ওই সঙ্গীর দাবির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, “তদন্ত চলছে। পুলিশের কাছে নতুন তথ্য এলে তা জানানো হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি সংবেদনশীল। তাই সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

    নির্যাতিতার বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে

    দুর্গাপুরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ রয়েছে। ভিন রাজ্যের বহু ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজগুলিতে পড়াশোনা করতে আসে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দুর্গাপুর এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার মোহনবাগান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকাটি জঙ্গল ঘেরা। রাতে এই এলাকা একেবারেই নির্জন থাকে৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে নির্যাতিতা তরুনীর পরিবারের দাবি। এই মুহূর্তে বেসরকারি যে মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণী এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিল সেখানেই চিকিৎসাধীন৷ মেয়ের উপর এই ধরনের অত্যাচারের ঘটনার কথা শুনে ওড়িশার জলেশ্বর থেকে তার পরিবার শনিবার সকালে এসে পৌঁছয় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে।

    আরজি কর কাণ্ডের ছায়া

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দোষীর সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বস্তুত, আরজি কর-কাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়ের নাম করেছিল সিবিআই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয়কে। আরজিকরের এক বছরের মাথায় ফের রাজ্যে নারী নির্যাতন।

    ঘটনার প্রতিবাদে সরব বিজেপি

    ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, “আরজি করের ঘটনায় যেমন সত্য গোপন করা হয়েছিল, এখানেও সেই চেষ্টা চলছে।” বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “এই রাজ্যে ধর্ষণ মানেই প্রশাসনের নীরবতা। মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন?” অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আরজি কর, কসবা প্রতিটি ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। কারণ দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে না। ফাঁসি পর্যন্ত যাচ্ছে না কোনও মামলা। বিচার হচ্ছে না, তাই অপরাধীরা আরও বেপরোয়া।” ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। আরজি কর, কসবা কাণ্ডের রেশ টেনে তিনি বলছেন, “দোষীদের সঠিকভাবে ধরে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি না দেওয়ার কারণেই এভাবে যৌন নির্যাতনের ঘটনা, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গে কোনও রেপিস্ট বা খুনের চরম শাস্তি হতে দেখছি না। কারও ফাঁসি হতে দেখিনি। আমরা যতই দৌড়াই কিন্তু কোনও একটা অদৃশ্য হাতের জন্য কোনও দোষীর সেইভাবে শাস্তি হচ্ছে না। বিচার পেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে।”

  • ISI: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার মঙ্গত

    ISI: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার মঙ্গত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে চরবৃত্তির (Spy) অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার বছর বত্রিশের মঙ্গত সিং। তদন্তের পর ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় তাকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশের সিআইডি। মঙ্গত আলওয়ারের গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা। আলওয়ারের সেনানিবাস এলাকার ওপর নজরদারির সময় প্রথম মঙ্গতের কার্যকলাপ সন্দেহজনক বলে মনে করেন আধিকারিকরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন, সে দীর্ঘদিন ধরে কিছু সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত। এর পরেই কর্তৃপক্ষ তার ওপর নজরদারি করতে শুরু করেন। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মঙ্গত নিয়মিতভাবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।

    ঈশা শর্মার ফাঁদে মঙ্গত (ISI)

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঈশা শর্মা নামে এক মহিলার পরিচয়ে কাজ করত পাক গুপ্তচর সংস্থার এক কর্মী। তারই ফাঁদে পড়েছিল মঙ্গত। বিপুল টাকার টোপও দেওয়া হয় তাকে। রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মঙ্গত আলওয়ার সেনা ক্যান্টনমেন্ট ও তার আশপাশের এলাকার ছবি এবং সামরিক তথ্য নিয়মিত তুলে দিত পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে। অপারেশন সিঁদুরের সময় থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্রগুলির পাশে নজরদারি শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশ।

    মঙ্গতের ওপর নজরদারি

    সেই সময়ই মঙ্গতের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। নজরদারি শুরু করে পুলিশ। মঙ্গতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই অভিযানে নামে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) রাজেশ মিল বলেন, “গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্তও পাক হ্যান্ডলারদের ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে মঙ্গত (Spy)। পাকিস্তানের দুটো নম্বরে নিয়মিত ফোন করত। সামরিক তথ্য পাচার করে প্রচুর টাকাও পেয়েছে। তার লেনদেনের উৎস খুঁজে দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, জয়পুরের সেন্ট্রাল ইন্টারোগেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে মঙ্গতকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে (ISI)।

    প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে পাক চর সন্দেহে অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। এদের মধ্যে যেমন ছিলেন ইঞ্জিনিয়র, তেমনই ছিলেন নেটপ্রভাবী, সিআরপিএফ জওয়ান-সহ নানা পেশার মানুষ (ISI)।

  • Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    Amit Shah: “জন্মহার নয়, অনুপ্রবেশই জনবিন্যাসে বদল ঘটাচ্ছে”, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে বিস্ফোরক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শুধু জন্মহার নয়, বরং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অনুপ্রবেশই তার মূল কারণ। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu Population) উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে, লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে মুসলিমদের (Muslim Population)। শাহের দাবি, এই অনুপ্রবেশ দেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জন্মহার নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (Inflitartors from Pakistan, Bnagladesh) থেকে অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতদিন না দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুব সমাজ এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং এর থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব না।

    উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক পরিবর্তন

    অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ১৯৫১, ১৯৭১, ১৯৯১ ও ২০১১ সালে ভারতে জন গণনায় ধর্ম ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তাঁর দল বিজেপি ছিল না। তাঁর কথায়, যদি দেশভাগ না হতো, তাহলে হয়তো ধর্মের ভিত্তিতে জনগণনার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু দেশভাগ ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল, সে কারণে তৎকালীন শাসকদলের নেতারা ১৯৫১ সালের জনগণনায় ধর্মের উল্লেখকে যথোপযুক্ত মনে করেছিলেন। তিনি জানান, ১৯৫১ সালে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ, মুসলিমদের ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশে, আর মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে চিহ্নিত করে শাহ বলেন, এটা অনুপ্রবেশের কারণে হয়েছে। এই পরিবর্তনকে ‘উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক’ বলে ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন, “এটা জন্মহারের ফল নয়, এটা অনুপ্রবেশের ফল।”

    রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে

    শাহ স্পষ্ট ভাবে বলেন, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৪.৫ শতাংশ হারে। তাঁর দাবি, এই পার্থক্যের মূলে রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, অসমে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৬ শতাংশ, যা অনুপ্রবেশ ছাড়া অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি, কোথাও কোথাও ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমার পেছনেও অনুপ্রবেশকেই তিনি দায়ী করেন। শাহ বলেন, “এই সমস্যার সমাধান শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, রাজ্য সরকারগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।”

    অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতেই হবে

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এটি কোনও রাজনৈতিক নয়, জাতীয় ইস্যু। “যদি প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীকে চিনতেই না পারে, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে কীভাবে?” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে শাহ সতর্ক করে বলেন, “যদি অনুপ্রবেশকারীরা ভোটার তালিকায় ঢুকে যায়, তারা দেশের নীতি নির্ধারণে অংশ নেবে যা গণতন্ত্রের জন্য হানিকর।” তিনি বলেন, ভারত একটি ভূ-সাংস্কৃতিক জাতি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ছিল এক ঐতিহাসিক ভুল। তিনি বলেন, সরকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করবে। কারণ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা এবং শহরে দরিদ্র শ্রমিকদের অধিকার হরণ করছে।

  • Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বর্তমানে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া সিদ্ধান্তের জেরে ১ নভেম্বর থেকে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, চিনের বিরুদ্ধে হঠাৎই বা কেন এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? কেন চিনা পণ্যের ওপর চাপালেন এত চড়া শুল্ক?

    ট্রাম্পের যুক্তি (Donald Trump)

    এই সব প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে। তিনি লিখেছেন, “গত ছ’মাস চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বাণিজ্যে ওদের এমন একটা পদক্ষেপ সেই কারণেই আরও বিস্ময়কর লাগছে। আমার অবশ্য বার বার মনে হয়েছে, ওরা মিথ্যা বলছে। সেই সন্দেহই সত্যি হল। মনে তো হচ্ছে, অনেক দিন ধরে ওরা এই পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু চিনকে সারা বিশ্বের বাজারে এভাবে অচলাবস্থা তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।” পাল্টা হুমকির সুরে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওরা একটা একচেটিয়া অবস্থান নিতে চাইছে। কিন্তু আমেরিকার অবস্থানও একচেটিয়া এবং চিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত আমি তা ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করিনি। এবার করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “তারা ক্রমশ বৈরী হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যে তারা দুর্লভ খনিজ ও উৎপাদনের প্রায় প্রতিটি উপাদানের ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়, এবং প্রায় যা কিছু তাদের মাথায় আসে।” ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে ‘অশুভ ও বৈরী পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন, যা বিশ্ববাজারকে বাধাগ্রস্ত করে পুরো বিশ্বকে ‘বন্দি’ করে রাখার জন্য নীল নকশা ছকা হয়েছে।

    কী লিখলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প লিখেছেন, “কেউ কখনও এ ধরনের কিছু দেখেনি। মূলত, এটি বাজারকে অবরুদ্ধ করবে এবং প্রায় সব দেশের জন্য জীবনকে কঠিন করে তুলবে, বিশেষ করে চিনের জন্য।” তিনি যোগ করেন, “আমরা অন্যান্য দেশের কাছ থেকেও সাড়া পেয়েছি যারা এই আকস্মিক বিরাট বাণিজ্যিক বৈরিতা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।” গত অগাস্টেই ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, তিনি ৯০ দিনের আগে বেজিংয়ের (China) ওপরে শুল্ক চাপাবেন না। জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে নয়া শুল্কহার লাগু করার সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এই পর্বে আগে যে হারে শুল্ক নেওয়া হচ্ছিল, তা-ই বলবৎ থাকবে। কিন্তু সেই সময়কালের আগেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনা পণ্যের ওপর চাপিয়ে দিলেন ১০০ শতাংশ শুল্ক।

    চিনা বাণিজ্যমন্ত্রকের নয়া রফতানি নিয়ন্ত্রণ

    প্রসঙ্গত, চিনা বাণিজ্যমন্ত্রক ৯ অক্টোবর নতুনভাবে রফতানি নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছে। এতে আরও পাঁচটি নতুন বিরল মাটি (Rare Earth) উপাদানকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত চালানের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধন (refining) প্রযুক্তিকেও এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে এবং চিনা কাঁচামাল ব্যবহারকারী বিদেশি উৎপাদকদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি, বিশেষত আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলি, নিয়মিতভাবে এসব উপকরণ পাওয়া থেকে কার্যত বঞ্চিত হবে (Donald Trump)।

    ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’

    এটি আসলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঘোষিত ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’-এর আওতায় আরোপিত সীমাবদ্ধতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেই সময় ১৭টি বিরল মাটি উপাদানের মধ্যে ৭টি এবং সংশ্লিষ্ট চুম্বকের রফতানি সীমিত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ ছিল মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিশোধ, যা বৈশ্বিক সরবরাহে সংকট সৃষ্টি করে এবং অনেক মার্কিন প্রস্তুতকারককে উৎপাদন লাইন বন্ধ করতে বাধ্য করে (China)। চিনের শি জিনপিং সরকার এই রফতানি সীমাবদ্ধতাকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তবে একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আগে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে বেজিং বিরল মাটি উপাদানের ক্ষেত্রে তাদের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ বিশ্ব সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ আরও মজবুত করেছে। এই ধাতুগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ পর্যন্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে অপরিহার্য (Donald Trump)।

    ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বাতিল

    এদিকে, চলতি মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল ট্রাম্প-জিনপিংয়ের। সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে (China)। কারণ হিসেবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলিনি, কথা বলার প্রয়োজনও নেই। দু’সপ্তাহের মধ্যে জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আর তার প্রয়োজন মনে করছি না। শুধু আমার কাছে নয়, সব রাষ্ট্রনেতার কাছেই এটা খুবই বিস্ময়কর (Donald Trump)।”

  • Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য‌ করা হয়েছে। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিতাড়িত হিন্দুরা নিজেদের নামে বাড়ি কিনতে পারেননি। তারা সরকারি চাকরি পাননি, রেশন কার্ড পাননি, এমনকি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও হয়নি। তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যই সিএএ।”

    কাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সিদ্ধান্ত সংসদ নয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নিয়েছিল। সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এই মানুষগুলোর চার প্রজন্ম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এখন তারা কি সস্তায় রেশন, বছরে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমার চিকিৎসা, ভোটাধিকার এবং সম্পত্তি কেনার অধিকার পাবে না?” এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনা টেনে শাহ জানান, পাকিস্তানে ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে মাত্র ১.৭৩ শতাংশে। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশে। আফগানিস্তানে হিন্দু-শিখ মিলিয়ে একসময় ছিল ২.২ লক্ষ, এখন মাত্র ১৫০ জন। শাহের বক্তব্য, এই হ্রাস ধর্মান্তরের কারণে নয়, বরং নির্যাতনের ফলে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, “যারা ধর্মরক্ষার জন্য ভারতে এসেছে, তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু যারা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধভাবে ঢুকেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী।” অমিত শাহের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) আনার মাধ্যমে এই অবহেলিত মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাহ বলেন, “ভারতের মাটিতে কারা প্রকৃত শরণার্থী আর কারা অনুপ্রবেশকারী, সেই সীমারেখা স্পষ্টভাবে টানা জরুরি। যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এই দেশে আশ্রয় খুঁজেছেন, তাঁদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার। যতটা অধিকার আমার এই দেশের মাটিতে, ঠিক ততটাই অধিকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদেরও এই মাটিতে।”

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, সিএএ নিয়ে অন্যায়ভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং অযথা প্রতিবাদ হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।” তাঁর দাবি, ১৯৫১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ভুলগুলো হয়েছে, মোদি সরকার তা সংশোধন করেছে। শাহ আরও বলেন, “যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু অবৈধভাবে ঢোকা মানে অনুপ্রবেশ। উদ্বাস্তুদের আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কারণ, যদি সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়, তবে ভারত একদিন ধর্মশালা হয়ে যাবে।”

  • India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত ও নিশ্ছিদ্র করার লক্ষ্যে এবার ব্রিটেনের থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সদ্যসমান্ত ভারত সফরের মধ্যেই এই প্রতিরক্ষা চুক্তির (India UK Defence Deal) বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ, বলে জানা গিয়েছে।

    ৩,৮৮৪ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া বৈঠকে দুই দেশ ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩,৮৮৪ কোটি টাকা) মূল্যের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে (India UK Defence Deal) সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ব্রিটেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএমএম) বা ‘মার্টলেট’ সরবরাহ করবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা থ্যালেস এই মিসাইলগুলি তৈরি করবে। ফলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স) আরও মজবুত হবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।

    ভারতে আসছে পৌরাণিক পাখি…

    এলএমএম বা মার্টলেট হল হালকা ওজনের একধরনের মাল্টিরোল মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) বা বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র। এই হালকা মিসাইলটি আকাশ থেকে ভূমি (এয়ার-টু-সারফেস), আকাশ থেকে আকাশ (এয়ার-টু-এয়ার), ভূমি থেকে আকাশ (সারফেস-টু-এয়ার) ও ভূমি থেকে ভূমিতে (সারফেস-টু-সারফেস) থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ‘মার্টলেট’ নামটি মূলত একটি পৌরাণিক পাখির নাম। ইংরেজদের যুদ্ধের সাজে এই পাখির একটি কাল্পনিক ছবি থাকে, যার পা নেই। অর্থাৎ এই পাখি কখনও বিশ্রাম নেয় না। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম এবং লঞ্চার পাবে (India UK Defence Deal)। এলএমএম দ্রুত, নির্ভুল এবং বহুমুখী, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং ছোট বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মিসাইল সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া যেতে পারে। ৬ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে ‘মার্টলেট’। লেজার বিম গাইডেন্স-ভিত্তিক এলএমএম নানা কনফিগারেশনে পাওয়া যায়। মাত্র ১৩ কিলোগ্রাম ওজনের এই মিসাইলটির গতি ম্যাক ১.৫ (শব্দের গতির দেড় গুণ) এবং এটি ২০১৯ সাল থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মোতায়েন রয়েছে।

    থ্যালেস তৈরি করবে এই মিসাইল

    ব্রিটিশ সরকার এই চুক্তিকে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প এবং ভারতের সঙ্গে গভীরর কৌশলগত সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে বর্ণনা করেছে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে যে, এই চুক্তিটি (India UK Defence Deal) প্রায় ৭০০ ব্রিটিশ কর্মীর চাকরি নিশ্চিত করবে। এই একই মিসাইল ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে অবস্থিত থ্যালেস সেই কারখানাতেই এই মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) তৈরি হবে। সেখানেই ভারতীয় সেনার জন্য এয়ার ডিফেন্স মিসাইল এবং লঞ্চার তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, সেই মিসাইল চুক্তির হাত ধরে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন সমন্বয়ের পথ আরও প্রশস্ত হল। আত্মনির্ভর ভারতের যে ভিত্তি আছে, সেটার পথও প্রশস্ত হয়েছে।

    সমুদ্রেও ভারত-ব্রিটেন সমঝোতা

    এছাড়াও, সামুদ্রিক খাতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি (India UK Defence Deal) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশেন ইনিশিয়েটিভ (IPOI) এর অধীনে একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (RMSCE) প্রতিষ্ঠা। এটি প্রশিক্ষণ, তথ্য ও জ্ঞান ভাগাভাগি এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর জোর দেবে। যৌথ বিবৃতিতে, দুই দেশ জানিয়েছে যে এই কেন্দ্রটি জলদস্যু, অবৈধ মাছ ধরা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে। এছাড়া, মেরিটাইম ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেম তৈরির বিষয়ে দু’দেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে। সেই বিষয়টিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য সই-সাবুদও হয়েছে।

LinkedIn
Share