Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতেও এটি স্থিতিশীলতা আনবে—শুক্রবার জাপানে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূ-রাজনীতিতে যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে জাপান সফরে চিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    জাপান সফরে মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দুই দিনের জাপান সফরে রয়েছেন। সেখানে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও ব্যবসা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলেই জানা গেছে। একই সঙ্গে, জাপানের বিখ্যাত ই-টেন শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ভারতে আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। শনিবার, ৩০ অগাস্ট তিনি জাপান সফর শেষে চিন (PM Modi) সফরে যাবেন (PM Modi)। সেখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

    চিন সফর ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

    এই SCO বৈঠকটি ২৫তম এবং এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যখন বিশ্বজুড়ে একাধিক সংঘাত চলছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইজরায়েল সংঘাত, ও আমেরিকার শুল্ক নীতি তার মধ্যে অন্যতম। SCO-তে চিন (China) , রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে রয়েছে। শুক্রবার জাপানে এক সংবাদমাধ্যমকে মোদি (PM Modi) বলেন, “চিনের (PM Modi) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে আমি এই বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছি। গত বছর চিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর ভারত-চিন সম্পর্ক অনেকটাই স্থিতিশীল ও ইতিবাচক অগ্রগতি পেয়েছে।” কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

  • CBI Raids: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে সিবিআই

    CBI Raids: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি (RG Kar Case) মামলার তদন্তে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI Raids)। সিবিআই-এর তিনটি গাড়ি শুক্রবার দুপুর ২টোর পর অতীনের উত্তর কলকাতার বাড়িতে পৌঁছেছে। রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। আরজি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি।

    কেন অতীনের বাড়িতে সিবিআই

    অভিযোগ, হাসপাতালের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলাটির তদন্তও করছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এখনও তিনি জেলে। প্রথম থেকে আরজি করের দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক বার অতীনের নাম এসেছে। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। অতীন আরজিকরে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। একইসঙ্গে বেলগাছিয়া পূর্বের বিধায়ক। এই আরজি কর মেডিকেল কলেজ তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে। তাই বিধায়ক হিসেবে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন অতীন, এখন তো চেয়ারপার্সনও বটে। এখন অতীনের থেকে সিবিআই কোনও নতুন তথ্য পায় কিনা সেটাই দেখার।

    চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    সূত্রের খবর, শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে আগেই অতীনকে জানানো হয়েছিল সিবিআই-এর তরফে। সেই অনুযায়ী দুপুরে কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁর শ্যামবাজারের বাড়িতে যান। সিবিআই-এর দলে রয়েছেন আর্থিক দুর্নীতি মামলার মূল তদন্তকারী অফিসার-সহ সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ একাধিক আধিকারিক। কিছু দিন আগে শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে যে আধিকারিক ছিলেন, অতীনের বাড়িতেও তিনি রয়েছেন। সন্দীপ-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন করেছে সিবিআই। আলিপুর আদালতে এই মামলা বিচারাধীন।

    আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে

    কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বাড়ি ছাড়াও তাঁর নার্সিংহোমেও হানা দিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ চলেছিল তল্লাশি। সূত্রের খবর, এবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অতীনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। তবে অতীন ঘোষ বাড়িতে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে সিবিআই প্রাথমিকভাবে কথা বলছে। আরজি করে ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলাটি এখনও চলছে। ধর্ষণ-খুনের মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগের তদন্তও চালাচ্ছে সিবিআই।

     

     

     

     

     

  • Kolkata: মহিলাদের নিরাপত্তা নেই কলকাতায়, প্রকাশ পেল রিপোর্টে, নারী সুরক্ষায় এগিয়ে দেশের কোন কোন শহর?

    Kolkata: মহিলাদের নিরাপত্তা নেই কলকাতায়, প্রকাশ পেল রিপোর্টে, নারী সুরক্ষায় এগিয়ে দেশের কোন কোন শহর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় (Kolkata) নারী সুরক্ষার চিত্র ফের উদ্বেগজনক। ন্যাশনাল অ্যানুয়াল রিপোর্ট অ্যান্ড ইনডেক্স অন ওমেন্স সেফটি (NARI) ২০২৫ অনুযায়ী, দেশের মধ্যে সবচেয়ে অসুরক্ষিত শহরের তালিকায় উঠে এসেছে আমাদের রাজ্যের কলকাতার নাম। দিল্লি ও পাটনার অবস্থানও একই রকম খারাপ। অন্যদিকে, সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে উঠে এসেছে মুম্বই, কোহিমা, বিশাখাপত্তনম ও ভুবনেশ্বর। এই সমীক্ষায় দেশের ৩১টি শহরের ১২,৭৭০ জন মহিলার মতামত নেওয়া হয়। রিপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার।

    দেশের মোট নারী সুরক্ষা সূচক এখন ৬৫ শতাংশ

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের (Kolkata) মোট নারী সুরক্ষা সূচক এখন ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এখনও অনেক নারী (Women) তাঁদের শহরে নিরাপদ বোধ করেন না। মুম্বই ও কোহিমা সুরক্ষিত শহরের তালিকায় থাকলেও আইজল, গ্যাংটক, ইটানগর এবং ভুবনেশ্বরকেও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ধরা হয়েছে। অপরদিকে, রাঁচী, শ্রীনগর, ফরিদাবাদ এবং জয়পুরকেও নিচু স্থানে রাখা হয়েছে। এই রিপোর্ট পরিষ্কার করে দিয়েছে—শহর যত বড়, সুরক্ষা তত বেশি—এই ধারণা ভুল।

    সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মহিলাদের (Kolkata) মতামত অনুযায়ী:

    হেনস্থার অভিযোগ জানালে মাত্র ২৫ শতাংশ নারীই কার্যকর পদক্ষেপ পেয়েছেন।

    প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জন নারী হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ করতেই দ্বিধা বোধ করেন, যার ফলে অনেক ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসে না।

    ৬৯ শতাংশ নারী মনে করেন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে ৩০ শতাংশ এখনও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট।

    কী বলছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন

    বিশেষজ্ঞদের মতে (Kolkata), আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। কলকাতা ও দিল্লির মতো মহানগরীগুলিতে নারী সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে, অথচ উন্নতি কোথায় হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এই রিপোর্ট আবারও দেখিয়ে দিল—নারী সুরক্ষায় প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে প্রশাসনিক সদিচ্ছা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং সামাজিক সচেতনতা—এই তিনটিই একসঙ্গে প্রয়োজন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতাকর এনিয়ে বলেন, ‘‘নারীদের কেবল রাস্তাঘাটে অপরাধ থেকে নয়, সাইবার অপরাধ, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং মানসিক হয়রানি (Women) থেকেও রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’’

  • India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে ওড়িশার উপকূলে দেশীয় ‘সুদর্শন চক্র’-র (Sudarshan Chakra) তকমা পাওয়া ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন্স সিস্টেম’ (আইএডিডব্লিউএস)-এর প্রাথমিক পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। ফলে, হাতে ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন (DEW) সিস্টেম থাকা দেশগুলির এলিট তালিকায় যোগ দিয়েছে ভারত। এই কৃতিত্বের দৌলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইজরায়েলের সঙ্গে একাসনে যুক্ত হল ভারত, যাদের কাছে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। ভারত এই মাইলফলক অর্জন করার পর প্রতিক্রিয়ায় চিন স্বীকার করেছে যে, লেজার-ভিত্তিক আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নয়াদিল্লির এই সাফল্য আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে একটি ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’। মোদির চিন-সফরের মুখে ভারতের অস্ত্র-পরীক্ষা নিয়ে চিনা স্তুতি বিশেষ অর্থবহ।

    ভারতের নিজস্ব ‘সুদর্শন চক্র’

    গত বৃহস্পতিবার (২১ অগাস্ট) ওড়িশা উপকূলে পরীক্ষা চালানো হয় আইএডিডব্লিউএস-এর (IADWS) পরীক্ষা।। দুদিন পর, সেই কথা খোলসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইএডিডব্লিউএস একটি বহু-স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা ঢাল হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা তিনটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে। এগুলি হল— (১) কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (কিউআরএসএএম), (২) অ্যাডভান্সড ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ভিএসএইচওআরএডিএস) ক্ষেপণাস্ত্র এবং (৩) উচ্চ-শক্তি লেজার-ভিত্তিক নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র (ডিইডব্লিউ)।

    আইএডিডব্লিউএস-এর তিন বাহু

    এই তিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজেও ফারাক রয়েছে। কিউআরএসএএম- দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এটি ৩ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুর বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম। ভিএসএইচওআরএডিএস- স্বল্প দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। কাছাকাছি কোনও বিপদ আঁচ করলেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠবে। এই সিস্টেম কাছাকাছি দূরত্বে আসা হুমকি যেমন – ড্রোন ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে কার্যকর। অন্যদিকে, ডিইডব্লিউ- এটি অত্যাধুনিক লেজার-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শত্রুপক্ষের কোনও অস্ত্র আকাশসীমায় ঢুকলেই তা নষ্ট করে দেবে। এটি আলোর গতিতে শত্রুর বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন সহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। এই অস্ত্র বহুবার ব্যবহার করা যায় এবং অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

    চমকে গিয়েছে চিন…

    ভারতের এই পরীক্ষা যে বিশ্বের নজর কেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। চিন ভারতের আইএডিডব্লিউএস পরীক্ষার ওপর নজর রাখছিল। তবে, কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তি নিয়ে বেশি মাতামাতিকে নারাজ চিন। তবে, ডিইডব্লিউ নিয়ে চিনা সামরিক বিশেষজ্ঞদের মধ্য বিশাল আগ্রহ। বেজিং-ভিত্তিক এয়ারোস্পেস নলেজ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেন, “ভারতের আইএডিডব্লিউএস (IADWS) সিস্টেম মূলত ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়তে থাকা বিমান থামানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।”

    ওয়াং আরও বলেন, “কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তিগতভাবে তেমন নতুন কিছু নয়, কিন্তু লেজার-ভিত্তিক সিস্টেম প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।” চিনের বিশেষজ্ঞের এই মন্তব্য দুটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম কারণ, চিন সাম্প্রতিক সময়ে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং পাকিস্তানকেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে। দ্বিতীয় কারণ, ৯ বছর পর চলতি সপ্তাহের শেষে চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ডিইডব্লিউ ঠিক কী?

    ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম (ডিইডব্লিউ) হল একটি উন্নত এবং উচ্চ প্রযুক্তির উন্নত যন্ত্র। এটি শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস বা ক্ষতি করার জন্য প্রচলিত গোলাবারুদের পরিবর্তে কেন্দ্রীভূত শক্তি (Directed Energy) ব্যবহার করে। ডিইডব্লিউ গুলি বা বিস্ফোরক ওয়ারহেডের পরিবর্তে আলোর গতিতে চলা উচ্চ-শক্তির লেজার রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ বা পার্টিকেল বিম ব্যবহার করে।

    • হাই এনার্জি লেজার (এইচইএল): এটি শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ-আকাশেই পুড়িয়ে বা অক্ষম করতে ঘনীভূত আলোক বিম ব্যবহার করে।

    • হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (এইচপিএম): এটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ দিয়ে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ইলেকট্রনিক সার্কিটগুলিকে নষ্ট করে তাদের অক্ষম করতে পারে।

    • পার্টিকেল বিম ওয়েপন (পিবিডব্লিউ): এটি তীব্র চার্জযুক্ত কণার স্রোত ব্যবহার করে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অক্ষম করে দেয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

    প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে ডিইডব্লিউ-গুলি শান্তভাবে নিজেদের কাজ করে। এখানে রিলোডিং-এর সমস্যা নেই। ফলে, যতবার খুশি চালানো যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, শট প্রতি খরচ অত্যন্ত কম। ফলে, কামিকাজে ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং সস্তার সোয়ার্ম ড্রোন মোকাবিলায় এগুলি একটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

  • PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পণ্য উৎপাদন করুন, বিশ্বে রফতানি করুন। ইন্দো-জাপান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। দু’দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এই সফর। এদিন জাপান সফরের শুরুতে বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন ভারত এবং জাপান একসঙ্গে এশিয়াকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে ৷ দু’দেশের সম্পর্ক এই শতাব্দীতে মহাদেশের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হবে ৷ তিনি মনে করেন, জাপানের উৎকর্ষতা এবং ভারতের দক্ষতা একত্রিত হলে উন্নয়নের পথ সুগম হবে৷

    বিশ্ব ভারতকে ভরসা করে

    শুক্রবার ভোররাতে জাপানে পা রেখেই নিজের বার্তা স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। প্রধানমন্ত্রী বলেন,“বিশ্ব শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, ভারতের ওপর ভরসাও করে। আজ ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ নীতি এবং একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং খুব শীঘ্রই, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ১৮% অবদান রাখি, এবং আমাদের বাজারগুলি শক্তিশালী রিটার্ন প্রদান করছে। সংস্কার, রূপান্তর এবং কর্মক্ষমতার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই সমস্ত অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Japan) এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ভারত-জাপান স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করা এবং নতুন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স, বায়োটেক এবং স্পেস টেকনোলজিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে জয়েন্ট ক্রেডিট মেকানিজম ও ক্লিন-গ্রিন ফিউচার গঠনের চুক্তি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাপান। মেট্রো রেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর থেকে স্টার্টআপ— সর্বত্রই জাপানের সহযোগিতা রয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের একাধিক সংস্থার।”

    ভারত-জাপান পরমাণু সম্ভাবনা

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও জাপান যৌথভাবে পরমাণু শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের পর, আমরা বেসরকারি খাতের (লগ্নির) জন্য পারমাণবিক শক্তি খাতও খুলে দিচ্ছি।” গাড়ি উৎপাদন থেকে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের যৌথ অংশিদারিত্বও সাফল্যের নতুন দিগন্তের সন্ধান দিতে পারে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর ৷

    ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Japan) জোর দিয়ে বলেন, ‘আজ ভারতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স, সিঙ্গেল ডিজিটাল উইন্ডো, ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য, সবই ভারতের গ্লোবাল ইকোনমিতে অবদানকে আরও দৃঢ় করছে। ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে এক নতুন বিপ্লব আনবে।’ মোদি ভারতীয় প্রতিভাদের জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতের ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকেও আরও শক্তিশালী করবে। মোদি জানান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাপানের বাণিজ্য বৃদ্ধি ভারত ছাড়া সম্ভব নয় ৷ ওই সমস্ত দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের সরণিতে পা রাখতে শুরু করেছে ৷ তাতে ভারত এবং জাপানের দুটি দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ৷

    ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া

    জাপান সফরে শুক্রবার সকালে এক অবিস্মরণীয় অভ্যর্থনা পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। টোকিও বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাপানি শিল্পীদের এক বিশেষ দল, যারা ভারতীয় ঐতিহ্যের আবহে তাঁকে স্বাগত জানান। রাজস্থানি রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিল্পীরা যখন হাতজোড় করে বললেন ‘পাধারো আমহারে দেস’—তখন বিদেশের মাটিতেও দেশীয় উষ্ণতায় আপ্লুত হয়ে ওঠেন মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা শুধু রাজস্থানি পোশাকেই নয়, ভারতীয় কায়দায় হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে চমকে দেন সবাইকে। এক শিল্পী গেয়ে ওঠেন দেশোয়ালি লোকসঙ্গীত “ভারি জাভু রে”, যা শুনে বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত-জাপানের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতি বা কূটনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনেই এর আসল শক্তি। ভারতীয় সংস্কৃতি আজ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় গান, নাচ, ঐতিহ্য এভাবেই মানুষকে এক সূত্রে বাঁধছে।

  • Bangladesh: বাণিজ্য রুট বন্ধ করেছে দিল্লি, নেই কার্যকারিতা, ৩ স্থল-বন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হল ইউনূস সরকার

    Bangladesh: বাণিজ্য রুট বন্ধ করেছে দিল্লি, নেই কার্যকারিতা, ৩ স্থল-বন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হল ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) বাণিজ্য রুট বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলিতে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। কার্যত ‘মাছি তাড়ানো’ অবস্থায় ছিল স্থলবন্দরগুলি। এর ফলে খরচ বাঁচাতে সেই সমস্ত বন্দরগুলিকে বন্ধ করে দিল ইউনূস সরকার (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয় এবং এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তিনটি স্থলবন্দরকে অলাভজনক ও অকার্যকর বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর এই তিনটি স্থলবন্দরকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কোন কোন বন্দরকে বন্ধ করতে বাধ্য হল ইউনূস সরকার?

    ভারতের বাণিজ্য রুট বন্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশের (Bangladesh) যেসব বন্দর বন্ধ হয়েছে, সেগুলি হল— নীলফামারির চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। খুব শীঘ্রই হবিগঞ্জের বল্লা স্থলবন্দরও বন্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে।

    ইউনূসের নেতৃত্বে বসে বৈঠক, সেখানেই হয় সিদ্ধান্ত

    জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয় এবং সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশের সরকার জানিয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের উপর থেকে আর্থিক বোঝা কমানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

    কী বললেন ইউনূসের প্রেস সচিব?

    এই নিয়ে ইউনূস সরকারের (Bangladesh) প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক স্বার্থেই এই বন্দরগুলিকে অনুমোদন দিয়েছিলেন, কিন্তু বাস্তবে এই বন্দরগুলি অকার্যকর এবং সরকারের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবে ইউনূস সরকারের প্রেস সচিব যাই বলুন, বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন যে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই এই বন্দরগুলি সম্পূর্ণভাবে গুরুত্ব হারায়। তাই বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইউনুস সরকারকে।

    অবস্থা খতিয়ে দেখতে তৈরি করা হয় কমিটি

    গত বছরের ৬ নভেম্বর, বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ, সড়ক পরিবহন এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় (India)। এই কমিটির ওপরেই দায়িত্ব ছিল—স্থলবন্দরগুলির কী অবস্থা এবং কী কার্যকারিতা রয়েছে, তা মূল্যায়ন করা। তারপরেই তারা রিপোর্ট জমা করে। এর পরেই এমন সিদ্ধান্ত সামনে এল।

  • Mohan Bhagwat: প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারকে তিনটি সন্তান নেওয়ার কথা বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারকে তিনটি সন্তান নেওয়ার কথা বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের উচিত কমপক্ষে তিনটি সন্তান থাকা।

    কী বললেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)?

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) নিজের বক্তব্যে বলেন, “ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন—সঠিক বয়সে বিয়ে করা এবং তিনটি সন্তান থাকলে বাবা-মা ও সন্তান, উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে তা উপকারী। বাড়িতে যদি তিন ভাইবোন থাকে, তাহলে শিশুদের মধ্যে অহংকার কমে এবং ভবিষ্যতে তাদের পারিবারিক জীবনে জটিলতা দেখা দেয় না।” সংঘপ্রধান বলেন, ‘‘ভারতের জনসংখ্যা নীতিতে ২.১ সন্তান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা গড় হিসাবে ঠিক আছে। কিন্তু আপনার কখনওই ০.১ সন্তান থাকতে পারে না। গণিতে, ২.১ হলে ২ হয়, কিন্তু যখন জন্মের কথা আসে, দুইয়ের পরে তিন জন হতে হয়। চিকিৎসকেরা আমাকে এটাই বলেছেন।’’

    জনসংখ্যা আশীর্বাদও হতে পারে, আবার বোঝাও হয়ে উঠতে পারে

    তিনি (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “একটি দেশের জনসংখ্যা আশীর্বাদও হতে পারে, আবার বোঝাও হয়ে উঠতে পারে—কারণ, দিন শেষে সকলকেই খাওয়াতে হয়। তাই জনসংখ্যা নীতি থাকা জরুরি। এই নীতির মধ্যে থেকেই এমন ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন, যাতে প্রতিটি পরিবারে তিনটি সন্তান থাকে, কিন্তু তার বেশি নয়। এই লক্ষ্যটি সর্বজনগ্রাহ্য হওয়া উচিত।” মোহন ভাগবত এদিন বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, তিনটির কম সন্তান হলে বংশবিস্তারের গতি কমে যায়। এর ফলে সেই পরিবার তথা কোনও সম্প্রদায় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।’’

    হিন্দুদের জন্মহার প্রথম থেকেই কম

    মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) মতে, বর্তমানে সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যেই জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, তবে হিন্দুদের মধ্যে তা তুলনামূলকভাবে বেশি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের জন্মহার প্রথম থেকেই কম। অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আগে এটি বেশি ছিল, তবে এখন কমছে। তবুও, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে তাদের নতুন প্রজন্মকে তিনটি সন্তান নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।”

  • Russia Navy Drone-Boat: রাশিয়ার নৌসেনার ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী

    Russia Navy Drone-Boat: রাশিয়ার নৌসেনার ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) নয়া মোড়! প্রথম বার রাশিয়ার সামুদ্রিক ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী।

    বড় দাবি রাশিয়ার, স্বীকার ইউক্রেনের

    সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে সাফল্যের তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করেছে রুশ বিদেশমন্ত্রক। তারা বলেছে, ‘সিম্ফেরোপোল’ নামে যুদ্ধজাহাজটিকে দানিয়ুব নদীর প্রবেশদ্বারে ডুবিয়ে (Russia Sinks Ukraine Ship) দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনীয় রণতরী ধ্বংসের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। রুশ সংবাদসংস্থা ‘তাস’-এর দাবি, এই প্রথম ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য সামুদ্রিক ড্রোন-বোটের (Russia Navy Drone-Boat) সফল ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলায় এক ক্রু মারা গেছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কিছু ক্রু নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বেশিরভাগ ক্রু নিরাপদে আছেন এবং নিখোঁজ বেশ কয়েকজন নাবিকের সন্ধান চলছে।

    ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ ‘সিম্ফারোপোল’

    ‘সিম্ফেরোপোল’ যুদ্ধজাহাজ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ বলে পরিচিত। ২০১৯ সালে জাহাজটি সমুদ্রে নামে। তবে ইউক্রেনের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় ২০২১ সালে। জাহাজটির মূল কাজ হল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে নৌবাহিনীর অভিযানকে সহায়তা করা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই ঘটনাকে একটি একক সামুদ্রিক ড্রোন-বোট (Russia Navy Drone-Boat) ব্যবহার করে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর কোনও জাহাজ ডুবিয়ে (Russia Sinks Ukraine Ship)দেওয়ার প্রথম সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডিও, ইলেকট্রনিক, রেডার এবং অপটিক্যাল গোয়েন্দা বাহিনীর জন্য তৈরি লাগুনা-শ্রেণির মাঝারি আকারের জাহাজটিতে দানিয়ুব নদীর ব-দ্বীপে আঘাত হানে, যার একটি অংশ ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে অবস্থিত।

    কিয়েভেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার

    পাশাপাশি, বুধবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় রাশিয়া। এতে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নাকি ইউরোপের কয়েকজন নেতাকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁর দেশের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কী হবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা এখন খুব জরুরি। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘‘মোদির যুদ্ধ’’ বলে অবিশ্বাস্য দাবি করে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরামর্শদাতার এহেন যুক্তি বিস্মিত করেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতা ও বিশেষজ্ঞদেরও। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার নাভারো দাবি করেছেন যে, ভারতের মতো দেশকে তেল বিক্রি করে সেই টাকায় ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে রাশিয়া।

  • PM Modi China Visit: চিন সফরে যাবেন মোদি, সাত বছরের সীমান্ত উত্তেজনার পর নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা?

    PM Modi China Visit: চিন সফরে যাবেন মোদি, সাত বছরের সীমান্ত উত্তেজনার পর নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর পরে আবার চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Visit China)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে ৩১ অগাস্ট চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ড্রাগনভূমির বন্দর শহর তিয়ানজিনে ওই বৈঠক হবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মেগা অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং। মার্কিন শুল্কযুদ্ধের আবহে একে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    এই সফর কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    ২০১৭ সালের ডোকলাম এবং ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক (India-China Relation) কার্যত থেমে গিয়েছিল। সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে বহু দফার আলোচনা হলেও সেভাবে অগ্রগতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে, মোদির তিয়ানজিন সফর এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর সম্মেলনে যোগদান কূটনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির সম্ভাব্য বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিশ্ব রাজনীতির পটভূমিতে মোদি-জিনপিং বৈঠক

    এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আন্তর্জাতিক চাপ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভারতের রফতানির উপর ৫০% ট্যারিফ বসিয়েছে, যার ফলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়মূল্যে তেল কেনা নিয়ে ওয়াশিংটনের অসন্তোষ ভারতকে চাপে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে ভারত কৌশলগতভাবে বিকল্প পথ তৈরি করতে চায়। ভারত ও চিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, এ বারের এসসিও বৈঠকে ‘রুশ ভারত চিন ত্রিশক্তি’ বা রিচ ট্রয়িকার (রাশিয়া-ইন্ডিয়া-চায়না ট্রয়িকা) পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা রয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর (PM Modi Visit China) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে কেন্দ্র করেও পারদ চড়তে শুরু করেছে। সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দু’তরফে একাধিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহার, বাণিজ্য এবং ভিসা নীতিকে শিথিল করার ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মোদি ও জিনপিং। কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

    ভারতের সুবিধা

    আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এসসিওর অনেক কিছুই অস্পষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে চিনের অর্থনীতি বেশি পরিমাণে আমেরিকার উপরে নির্ভরশীল। ভারতের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা এলেও ইউরোপের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ফ্রান্স, জার্মানি বা ইটালির বাজার পাওয়া বেজিঙের পক্ষে কঠিন। সব মিলিয়ে সমঝোতায় অনেক কিছুই আদায় করার সুযোগ পাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Visit China)। গত বছর রাশিয়ার কাজানে ‘ব্রিকস’ সম্মেলনে পুতিন ও জিনপিঙের সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন মোদি। ওই সময় থেকে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন তিনি। প্রায় ১০ মাস পর ফের সেই ছবি প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ব।

    মোদি-শি বৈঠকে সম্পর্কে নতুন মোড়

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্ত সমস্যা রাতারাতি মিটে যাবে এমন আশা করা যায় না। তবে দীর্ঘ সময় পর দুই শীর্ষনেতার মুখোমুখি বৈঠক অন্তত নতুন করে আস্থা গড়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে। সীমান্তে নতুন চিন্তা অথবা সংঘর্ষ প্রতিরোধে যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ ভবিষ্যতের সম্পর্কের ভিত শক্ত করতে পারে। ভারত-চিন সম্পর্কের (India-China Relation) উষ্ণতা এশিয়ার শক্তির ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। দক্ষিণ চিন সাগরের উত্তেজনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন-চিন দ্বন্দ্বের মধ্যে যদি দিল্লি ও বেজিং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তবে তা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক হবে। পাশাপাশি এসসিও (SCO) ও ব্রিকস (BRICS)-এর মতো সংগঠনগুলিকেও এই সম্পর্ক নতুন প্রাসঙ্গিকতা দিতে পারে।

  • Calcutta University: টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসেই হল পরীক্ষা, ‘স্বতন্ত্রতা’কে বাস্তব রূপ দিয়ে জিতলেন শান্তা দত্ত দে

    Calcutta University: টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসেই হল পরীক্ষা, ‘স্বতন্ত্রতা’কে বাস্তব রূপ দিয়ে জিতলেন শান্তা দত্ত দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)। এর কৃতিত্ব অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-এর। বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলার মেয়ো রোডে বড় সমাবেশ থাকলেও, ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সব কলেজে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হল সেমেস্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ অগাস্ট যাতে কোনওভাবেই পরীক্ষা না হয়, তা আটকাতে কম চেষ্টা চালায়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। হুমকি, কুৎসা, এমনকি ব্যক্তি আক্রমণের পর্যায়েও পৌঁছেছিল পরিস্থিতি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে সরাসরি নিশানা করা হয়। তৃণমূলের রাজ্যস্তরের ছাত্রনেতারা তাঁকে ‘রাক্ষসী’ বলেও কটাক্ষ করেন।

    ৯৬ শতাংশ পড়ুয়া হাজির পরীক্ষা দিতে (Calcutta University)

    এছাড়া, রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও বারবার অনুরোধ আসে—২৮ অগাস্ট যেন কোনওভাবেই পরীক্ষা না নেওয়া হয়। কিন্তু সব চাপের মধ্যেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেট বৈঠকে তৃণমূল নেতা ও সিন্ডিকেট সদস্য ওম প্রকাশ মিশ্র তাঁর ওপরে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ অধ্যক্ষদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি দাবি জানানো হয়—যেকোনো মূল্যে এই পরীক্ষা স্থগিত করতে হবে এবং অন্য দিনে আয়োজন করতে হবে। তবে এসবকিছুর তোয়াক্কা না করে শান্তা দত্ত দে তাঁর অবস্থানে অনড় থাকেন। নির্ধারিত দিনেই, অর্থাৎ ২৮ আগস্ট, পরীক্ষা সম্পন্ন হয়—সফলভাবে এবং নির্বিঘ্নে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিনের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশ। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই পরীক্ষা হয়েছে ৷

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে?

    পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, “পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।” তাঁর মতে, এই পদক্ষেপের জন্য বাহবা পাওয়ার কিছু নেই, কারণ এটি কর্তব্য। তিনি বলেন, “স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য যেটা করা উচিত ছিল, সেটাই করেছি। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সিন্ডিকেট বৈঠকের সদস্যদের, কারণ জরুরি বৈঠকে সরকারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তকে তাঁরা সমর্থন করেছেন।” শুধু পরীক্ষা নেওয়াই নয়, ভালো উপস্থিতিও ছিল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জয়ন্ত সিনহা জানান, “প্রথম ধাপের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৯৫ শতাংশ। প্রায় ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। দু’টি ধাপে মোট ৬৭টি কেন্দ্র এবং ১১টি আইন কলেজে পরীক্ষা হয়।” এই উপস্থিতির হার নিয়ে উপাচার্য বলছেন, “আমাদের যারা আটকে রেখেছিল, তারা জনা পঁচিশেক। আর পরীক্ষার্থী তো কত! সবাই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছিল।”

    মূলত অযথা ভয় তৈরি করা হয়েছিল (TMCP)

    উপাচার্য আরও বলেন, “রাস্তাঘাটে পরীক্ষার্থীরা কোনও সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরাও জানিয়েছেন, যতটা ভয় পেয়েছিলেন, বাস্তবে ততটা সমস্যা হয়নি। মূলত অযথা ভয় তৈরি করা হয়েছিল, যা একেবারেই ভিত্তিহীন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার বিষয়ে নিজেদের নিয়ম না মেনে শুধু সরকারের নির্দেশ মেনে চলে, যা ঠিক নয়।”

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ প্রসঙ্গে কী বললেন উপাচার্য?

    তিনি আরও জানান, এই পরীক্ষার সময়কাল নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মধ্যেই এক শিক্ষাকর্তা তাঁকে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দিন বদলের জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সেই অনুরোধও উপেক্ষা করেন শান্তা দত্ত। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, “এটা তো অসাংবিধানিক। উনি কীভাবে এমন অনুরোধ করতে পারেন? না করলেই তো পারতেন! শান্তা দত্ত আরও বলেন, “আমি তো উপাচার্য হওয়ার আগে ডিন ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) পরিচালনার কাজও বহু দিন করেছি। তখন থেকেই লক্ষ্য করেছি, অটোনমি বা স্বতন্ত্রতা শুধু বইয়ের পাতাতেই লেখা রয়েছে। কিন্তু এই ১৬৮ বছর পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতাটাও কোনও একটা বইয়ের পাতায় থেকে যাবে, তা হতে পারে?”

    সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে কী বললেন?

    এদিন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে ‘জয় বাংলা’ লেখা পাঞ্জাবি পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া টি-শার্ট বিতরণ করতেও দেখা যায়। এই বিষয়ে উপাচার্য মন্তব্য করেন, “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত কাজ। সব কিছুতেই রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। তাঁর পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, অথচ তিনি জামা বিলি করছেন। এখানেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁর রাজনৈতিক নিরাপত্তা কতটা।”

    বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেয়নি ২৮ অগাস্ট, কী বললেন উপাচার্য?

    এদিকে, যেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শান্তা দত্ত দে। তাঁর প্রশ্ন, “যদি পরীক্ষার দিন বদলালে কিছু পরিবর্তন না হয়, তবে আগের দিনেই পরীক্ষা নেওয়াও তো সম্ভব। তা হলে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না কেন? আসলে অনেকের মধ্যেই সরকারকে তুষ্ট করার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে।” অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত আরও বলেন, “ভিন্ন চিত্র তো থাকবেই। আমি যখন সিন্ডিকেট প্রধান ছিলাম, তখন দেখেছি—‘স্বতন্ত্র সত্তা’ এখন কেবল বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। উপাচার্যরা বরাবরই সরকারকে খুশি করার চেষ্টা করেন। আর এখনো সেই চর্চা চলছে।”

LinkedIn
Share