Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (PM Modi) ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে গুগল। তাই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও ভারতের সমীক্ষা দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে তাদের প্লে স্টোর থেকে চিনা চ্যাট অ্যাপ ‘অ্যাবলো’ সরায়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের যুক্তি, অ্যাপটিতে ভারতের আঞ্চলিক সীমানা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি (Chinese App)।

    সরকারি নোটিশ (PM Modi)

    সরকারি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, চিন-ভিত্তিক এই ভিডিও চ্যাট প্ল্যাটফর্ম, যার গুগল প্লে-তে ১০ হাজারেরও বেশি ডাউনলোড রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং মানচিত্র থেকে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছে। এই নির্দেশনায় ফৌজদারি আইন (সংশোধন) আইন, ১৯৯০-এরও উল্লেখ করা হয়েছে, যা এই ধরনের ভুল উপস্থাপনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। এই অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ ছ’মাসের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

    ‘অ্যাবলো’ অ্যাপ

    নোটিশে বলা হয়েছে, “এটি স্পষ্ট যে গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ ‘অ্যাবলো’ অ্যাপটির মানচিত্রে ভারতের বাহ্যিক সীমানা ভুলভাবে দেখানো হয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।” ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক গুগলকে পাঠানো নোটিশে তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ধারা ৭৯(৩)(খ) উল্লেখ করেছে, যা প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় আইন লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে বা অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করতে বাধ্য করে (PM Modi)। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল মানচিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে উঠে এসেছে। মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ওই অ্যাপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

    তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের শ্রেয়া সিংহাল বনাম ভারত ইউনিয়ন রায়েরও উল্লেখ করেছে, যা সরকারের বৈধ আদেশ মানতে প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্য করে। গুগল এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ অ্যাপটির গুগল প্লে স্টোর ল্যান্ডিং পেজে এখন লেখা দেখা যাচ্ছে (Chinese App), “আমরা দুঃখিত, এই সার্ভারে অনুরোধ করা ইউআরএল খুঁজে পাওয়া যায়নি”। অ্যাপটি এখন ভারতীয় ইউজারদের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোরেও অনুপলব্ধ (PM Modi)।

  • Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের উপর ছোট্ট সবুজ স্বপ্নিল উপত্যকা বৈসরনে তখন প্রায় জনা চল্লিশেক পর্যটকের ভিড়৷ হঠাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল সশস্ত্র জঙ্গিরা ৷ তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র৷ সাধারণ পর্যটকদের ঘিরে তাঁদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে নাম জিজ্ঞাসা হয় করা হয় পর্যটকদের। বলা হয় ‘কালমা’ পড়তে। না পড়তে পারলেই নিশ্চিত করা হয় হিন্দুত্ব। চলে গুলি। এভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একের পর এক পর্যটক৷ আহতদের কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন ৷ কেউ বা আতঙ্কে কথাই বলতে পারছেন না! কারও রক্তে ভেজা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের উপর ৷ মঙ্গলবার এমনই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) জেলার বৈসরন উপত্যকা ৷

    নিশানায় হিন্দু পর্যটকরা

    কাশ্মীরের (Kashmir Terrorist Attack) পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে কাঁপছে গোটা উপত্যকা। বৈসরণে যে পৈশাচিক হামলা চালায় জঙ্গিরা, প্রতক্ষদর্শীদের মুখে তার বিবরণ শুনে মানুষ কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। বৈসরণে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালায়, সেখানে নাম শুনে, পরিচয় পত্র দেখে তবেই পর্যটকদের (Kashmir Tourist) মারা হয়েছে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। নাম জিজ্ঞেস করে, যাঁরা মুসলিম নন, সেই সমস্ত পর্যটকদের বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে তাই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক তরুণীকে। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করে তবেই গুলি করার কথা বলে জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে যেখানে এক তরুণী হানিমুনে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গি হামলা হলে ওই তরুণীকে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মৃতদেহ পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। যে ছবি দেখে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। জঙ্গিরা নাম জিজ্ঞাসা করে, পরিচয় পত্র দেখে ইচ্ছে করে তাঁর স্বামীকে চোখের সামনে গুলি করে দেয় বলে জানান ওই তরুণী।

    ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো

    ভাইরাল একটি ভিডিওয় (Pahalgam Terror Attack) এক মহিলা বলেন, “আমরা ভেলপুরি খাচ্ছিলাম, তখনই ওরা এসে আমার স্বামীকে গুলি করে। একজন বলে উঠল, ‘এটা মুসলিম নয়’ – তারপরই ওকে গুলি করে মেরে ফেলল।” এক প্রতক্ষ্যদর্শীর কথায়, সন্ত্রাসীরা মানুষের ধর্ম নিশ্চিত করতে তাদের ‘কালমা’ পড়তে বলে – ইসলাম ধর্মে কালমা হলো ইমানের ঘোষণা। যারা এটি পড়তে পারেননি, তাদের অমুসলিম মনে করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে জঙ্গিরা লোকজনকে বিবস্ত্র করে ‘খৎনা’ আছে কি না তা পরীক্ষা করে, এবং যাদের মধ্যে খৎনা পাওয়া যায়নি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর পোশাক। তাই প্রথমে তাদের বোঝা যায়নি, বলেও জানান পর্যটকরা। কাশ্মীরে মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩ জন-সহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। প্রাণ গিয়েছে হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় আহত অন্তত ২০ জন ।

    ‘মোদিকে গিয়ে বোলো

    ফিরে এল বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)-এর স্মৃতি। ১৯৯০ সালের পয়লা জানুয়ারি সমগ্র কাশ্মীরে (Kashmir) যে পাঁচ হাজার হিন্দু পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। এখানে দেখা যায় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জেহাদিদের হিংস্র স্লোগান “কাশ্মীর শুধু কাশ্মীরি মুসলমানদের, এখানে থাকতে হলে আজাদিকে সমর্থন করো, নইলে কাশ্মীর হবে হিন্দু পুরুষহীন, শুধু হিন্দু মহিলারা থাকবেন।” এদিনও যেন তাই হল। জম্মু-কাশ্মীরে কর্নাটক থেকে সপরিবারে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মঞ্জুনাথ রাও। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। জঙ্গিহানার বিবরণ দিতে গিয়ে পল্লবী বলেন, ‘‘স্বামী-ছেলের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলাম। দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা ছিলাম পহেলগাঁওয়ে। আচমকা তিন-চার জন বন্দুক হাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায় ওরা।’’ পল্লবীর দাবি, আততায়ীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করছিল। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে পল্লবী আততায়ীদের বলে তারা যেন তাঁকেও মেরে দেন। কিন্তু সেটা করেনি জঙ্গিরা। পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি ওদের কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্বামীকে মেরে দিয়েছ। আমাকেও মেরে ফেলো। ওদের একজন বলল, ‘না, তোমায় মারব না। এইটা মোদিকে (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) গিয়ে বোলো।’’

  • Pahalgam Terror Attack: নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের বেছে বেছে নিশানা! গত আড়াই দশকে বার বার ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার কাশ্মীর

    Pahalgam Terror Attack: নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের বেছে বেছে নিশানা! গত আড়াই দশকে বার বার ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার কাশ্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরী পণ্ডিতোঁ, কাশ্মীর ছোড়ো”  ভূস্বর্গ কাশ্মীরে সন্ত্রাসের একটাই ধর্ম, সন্ত্রাসীদের একটাই ধর্ম। ইসলামিক সন্ত্রাসীদের একটাই স্বর “জেহাদি হও, না হয় মরো, নইলে কাশ্মীর ছাড়ো।” কখনও এলোপাথাড়ি গুলি, কখনও গ্রেনেড, আবার কখনও গাড়িবোমা! শুধু পহেলগাঁও নয়, গত ২৫ বছরে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu Kashmir)। মঙ্গলবার ফের এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack)। যেখানে সবুজে ঘেরা বৈসরণ উপত্যকায় সাধারণ পর্যটকদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বেছে বেছে নিশানা করা হল নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

    গত সিকি শতকে বারবার রক্তাক্ত ভূস্বর্গ

    কাশ্মীর (Jammu Kashmir) উপত্যকায় বারবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন হিন্দু তথা অমুসলিমরা। সাধারণ মানুষ, তীর্থযাত্রী, নিরাপত্তা কর্মী, শ্রমিক—সবাইকে একত্রে ক্ষতবিক্ষত করেছে ইসলামিক জঙ্গিরা। গত দুই দশকের নৃশংস হামলাগুলো প্রমাণ করে, এই সহিংসতার প্রকৃতি নিছক নিষ্ঠুরতা, ভয় দেখানো, আতঙ্ক সৃষ্টি।

    শিখদের উপর হামলা

    ২০০০ সালের ২১ মার্চ, অনন্তনাগের ছত্তিসিংপোড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘু শিখদের উপর। মারা যান ৩৬ জন মানুষ। ওই বছরের অগাস্টে নুনওয়ান বেসক্যাম্পের কাছে হামলা হয়। ঘটনায় ২৪ জন অমরনাথ তীর্থযাত্রী সহ মোট ৩২ জন মারা যান।

    বিধানসভা ভবনে আত্মঘাতী হামলা

    ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) রাজ্য বিধানসভা ভবনে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান ৩৬ জন, যার মধ্যে ছিলেন নিরাপত্তা কর্মী এবং নিরীহ সাধারণ নাগরিক। রাজনৈতিক পরিকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দুকে লক্ষ্য করে এই হামলা ছিল নজিরবিহীন। ওই বছরই অনন্তনাগের শেশনাগ বেসক্যাম্পে ফের অমরনাথ যাত্রীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবার প্রাণ হারান ১৩জন।

    অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলা

    এর ঠিক এক বছর পরে, ২০০২ সালে, চন্দনওয়ারি বেস ক্যাম্পে অমরনাথ যাত্রার সময় এক জঙ্গি হামলায় নিহত হন ১১ জন তীর্থযাত্রী। ধর্মীয় আস্থার জায়গাকেও রেহাই দেয়নি জঙ্গিরা। ২০০২ সালেরই ২৩ নভেম্বর, দক্ষিণ কাশ্মীরের লোয়ার মুন্ডায় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ১৯ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন নিরাপত্তা কর্মী, ৩ জন নারী ও ২ জন শিশু।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা

    ২০০৩ সালের মার্চ মাসে পুলওয়ামার নন্দিমার্গ গ্রামে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বর্বর হামলায় নিহত হন ২৪ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত, যাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ২ জন শিশু ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের উপত্যকা ছাড়ার প্রক্রিয়াকে আরও গতি দেয়।

    পুলওয়ামার এক জনবহুল বাজারে হামলা

    ২০০৫ সালের ১৩ জুন পুলওয়ামার এক জনবহুল বাজারে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বিস্ফোরিত হলে প্রাণ যায় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ২ জন স্কুল পড়ুয়া ও ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হন ১০০-র বেশি মানুষ।

    পর্যটক বোঝাই বাসে হামলা

    ২০০৬ সালের ২৬ মে, শ্রীনগরের উপকণ্ঠে জাকুরার বাটাপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীবাদীরা একটি পর্যটক বোঝাই বাসে গ্রেনেড ছুড়লে চার জন পর্যটক নিহত এবং ছ’জন আহত হয়েছিলেন। নিহতেরা ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে, সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে বছরেরই ১১ জুলাই শ্রীনগরেরই লালচকে পর্যটক বোঝাই বাসে ফের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক জন। সে দিন শ্রীনগরের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচটি হামলায় মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৬ সালেরই জুনে কুলগামে ৯ জন বিহারী ও নেপালি শ্রমিককে হত্যা করে জঙ্গিরা, স্পষ্ট করে দেয়, এই সন্ত্রাস কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং সমাজ-অর্থনীতিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা।

    মানবিকতা নেই, নেই কোনও ধর্মীয় বোধ

    ২০১৭ সালের ১০ জুলাই, কুলগামে ফের অমরনাথ যাত্রার বাসে হামলা হয়। নিহত হন ৮ জন তীর্থযাত্রী। দক্ষিণ কাশ্মীরের বোয়েতাং অঞ্চলে ঘটে এই ঘটনা। বছর গড়ালেও হুমকি কাটেনি। বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu Kashmir)। ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা খুন হয়েছেন হামেশাই। অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবী বা অন্যান্য ধর্মস্থানে আগত পুণ্যার্থীরাও বার বার হামলার শিকার হয়েছেন। প্রায় দু’দশকের ব্যবধানে কাশ্মীর উপত্যকার ফের মঙ্গলবার এত বড় হামলার (Pahalgam Terror Attack) শিকার হলেন পর্যটকেরা। এই ধারাবাহিক হামলাগুলোর দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়, সন্ত্রাসবাদের কোনও মানবিকতা নেই, নেই কোনও ধর্মীয় বোধ। ধর্মের নামে যারা হত্যা চালায়, তারা মানবতা থেকেই বিচ্যুত। তারা কাশ্মীরের ভালো চায় না। কাশ্মীরীদের রুজি-রুটি পর্যটন সেখানেই ধাক্কা দিল জঙ্গিরা। আসলে সন্ত্রাসের লক্ষ্যই হল জন্নত-এ-কাশ্মীরকে জাহান্নামে পরিণত করা।

  • Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পর্যটকদের ওপর হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়েই মিশেছিল জঙ্গিরা। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

    ট্রেকিংয়ের সময় হামলা (Jammu And Kashmir)

    এদিন বেশ কয়েকজন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় হামলা চালানো হয় তাঁদের ওপর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পর্যটকদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাকি তিনজন রাজস্থানের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। ফি বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন এখানে। এদিন সেরকমই এক পর্যটক দলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পেয়ে তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নেন ভূস্বর্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির খবর। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শাহ।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Jammu And Kashmir) প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই জঘন্য অপরাধের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি। আক্রান্তদের সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।” তিনি লেখেন, “এই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অটল প্রতিজ্ঞা অটুট, বরং আরও দৃঢ় হবে।”

    পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পর্যটকদের ওপর এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। এই ঘটনা বর্বরোচিত। হামলাকারীরা পশুর সমান, নির্মম, ঘৃণার যোগ্য। তাদের জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে সরকারিভাবে জানানো হবে। সম্প্রতি বছরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড় (Terrorist Attack)।” ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

  • Alphabet: ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পিক্সেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যালফাবেট!

    Alphabet: ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পিক্সেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যালফাবেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট (Alphabet) তাদের পিক্সেল (Pixel Production) স্মার্টফোন উৎপাদনের একটি বড় অংশ ভিয়েতনাম থেকে ভারতে সরিয়ে নিয়ে আসছে। এজন্য তারা চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডিক্সন টেকনোলজিস ও ফক্সকনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলেও খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পদক্ষেপটি অ্যালফাবেটের সরবরাহ শৃঙ্খল ডাইভার্সিফাই করার পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার ঝুঁকি কমানোর বৃহত্তর কৌশলেরও অংশ। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পিক্সেল স্মার্টফোনের বর্তমান প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৪৬ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করেছে। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার মাত্রই ২৬ শতাংশ। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নতুন শুল্ক হার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন, তবে বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক এখনও কার্যকর রয়েছে।

    পিক্সেল স্মার্টফোন (Alphabet)

    বর্তমানে ভারতে তৈরি পিক্সেল স্মার্টফোনগুলি মূলত দেশীয় বাজারের জন্য তৈরি, যেখানে আমদানি শুল্ক ১৬.৫ শতাংশ। ডিভাইসগুলি নয়ডার ডিক্সন এবং তামিলনাড়ুর ফক্সকন দ্বারা একত্রিত করা হয়। এখানে ডিক্সন নতুন মডেল তৈরি করে এবং ফক্সকন পুরানো মডেলগুলি তৈরি করে (Pixel Production)। ভারতে তৈরি পিক্সেলের প্রায় ৭০ শতাংশই ডিক্সনে তৈরি হয়। ফক্সকনই প্রথম ২০২৩ সালের অগাস্টে এখানে উৎপাদন শুরু করে। তাইওয়ানের কম্পাল ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিসেম্বরে ডিক্সন এই প্রচেষ্টায় যোগ দেন (Alphabet)।

    ভারতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

    সূত্রের খবর, অ্যালফাবেট প্রাথমিকভাবে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পিক্সেল উৎপাদন ধীরে ধীরে ভারতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সম্ভাব্য মার্কিন-ভিয়েতনাম শুল্ক ব্যবস্থার কারণে কোম্পানিটি তার কৌশল দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাটি এখন ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশেও সম্ভাব্য চালান অনুসন্ধান করছে।

    এই অগ্রগতি নয়াদিল্লির বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কাজ করছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমান ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা (Pixel Production)।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গুগলের পিক্সেল স্মার্টফোনের বাজার শেয়ার সাম্প্রতিক লঞ্চের পর প্রায় ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতে প্রিমিয়াম মূল্য নীতির কারণে এই ব্র্যান্ডটি এখনও একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যদিও অফলাইন রিটেল চ্যানেলে প্রবেশের পর থেকে কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে (Alphabet)।

  • Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও সৌদি আরবের (Saudi Arabia) মধ্যে সম্পর্কে নতুন গতি আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এপ্রিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী গেলেন সৌদি সফরে। তবে জেড্ডা শহরে এই প্রথম (Kashmir) পা রাখবেন তিনি। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, এবং মনমোহন সিংয়ের পর মোদিই সৌদি আরব সফরকারী চতুর্থ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ভারত প্রধান তেল রফতানিকারী ও ওপেক নেতৃত্বাধীন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে (Saudi Arabia)

    ভারত ও সৌদি আরব বছরের পর বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রসারিত করেছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, শক্তি খাতের সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফল হল কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেশটির পরিবর্তিত অবস্থান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় সৌদি আরব প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অবস্থান বদলেছে। সৌদি আরব যে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করত, তা মূলত গড়ে উঠেছিল তাদের যৌথ ইসলামিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। তবে যুবরাজের নেতৃত্বে রাষ্ট্রটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক পন্থা গ্রহণ করেছে, যা নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (Saudi Arabia)।

    সৌদি বিনিয়োগ

    বছরের পর বছর ধরে এই পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সৌদি আরব এখন ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, অন্যদিকে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রিন্স সালমান ভারতের মধ্যে সৌদি বিনিয়োগ আগামী কয়েক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত ইতিমধ্যেই সৌদি অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান গন্তব্য এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শক্তি জায়ান্ট সৌদি আরামকো দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে (Kashmir)।রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের ভারতের মধ্যে মোট বিনিয়োগ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল (পিআইএফ) রিলায়েন্সের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্জিত শেয়ারও।

    ভারতের আমদানির পরিমাণ

    ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সৌদি আরব থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ১১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Saudi Arabia)। সৌদি আরব ভারত, ইউএই এবং ইইউয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আইএমইসি (ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর) চালু করেছে। এটি একটি বড় পরিকাঠামোগত উদ্যোগ। এর লক্ষ্যই হল ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। একই সময়ে সৌদি আরব একাধিকবার পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটি যুবরাজ সালমানের বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে প্রিন্স সালমান ভারত সফরের সময় পাকিস্তান সফরে যাননি। এটি সৌদি আরবের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরদার করার প্রতি তাঁর সচেতন মনোভাব প্রকাশ করে।

    সন্ত্রাসবাদের নিন্দা

    এই সফরে যুবরাজ সালমান এবং মোদি যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Kashmir)। ২০২০ সালে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধের দাবি জানায় এবং ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল ক্রেডিট সুবিধা রিনিউ করতে অস্বীকার করে। এই আর্থিক সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয় (Saudi Arabia)। ২০২৪ সালে সৌদি আরবের গলায় শোনা যায় ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রতিধ্বনি। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কার্যত নয়াদিল্লির অবস্থানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে।

    ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের গভীরতর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাশ্মীর নিয়ে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং পাকিস্তানের প্রতি কূটনৈতিক ঠান্ডা আচরণের বিপরীতে একটি স্পষ্ট বৈপরীত্য তুলে ধরে। এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। তাঁর গত ১০ বছরের রাজত্বকালে তিনি তিনবার সৌদি সফরে গিয়েছেন (Kashmir)। তার জেরেই মজবুত হয়েছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক (Saudi Arabia)।

  • Battle of Jalalabad Hill: জালালাবাদ যুদ্ধ, ২২শে এপ্রিল ১৯৩০! পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাইলফলক

    Battle of Jalalabad Hill: জালালাবাদ যুদ্ধ, ২২শে এপ্রিল ১৯৩০! পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাইলফলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে মাস্টারদার (Masterda Surya Sen) সঙ্গী ছিল চারটি বই। গীতা, চণ্ডী, মহাভারত আর রবীন্দ্রনাথের ‘চয়নিকা’। গীতাই মৃত্যুভয় দূর করতে সাহায্য করেছিল মাস্টারদা-সূর্য সেনকে। মহান বিপ্লবী এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, মানুষ যেমন জীর্ণবস্ত্র পরিত্যাগ করে নূতন বস্ত্র গ্রহণ করে, সেরূপ আত্মা জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে অন্য নূতন দেহ ধারণ করে। কবি বলছেন, মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। মানুষ এত সুন্দর লেখা পড়েও উপলব্ধি করতে পারে না বলেই কি মৃত্যুকে ভয়ের জিনিস বলে মনে করে?’ এই মৃত্যুভয়কে চুচ্ছ করেই দেশ সেবায় ব্রতী হয়েছিলেন মাস্টারদা। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল, চট্টগ্রাম জালালাবাদ পাহাড়ে (Battle of Jalalabad Hill) মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বেই বিপ্লবী এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের মধ্যে এক অসম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লবীরা লড়াই করে, পরাজিত হলেও। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

    ২২শে এপ্রিল ১৯৩০: জালালাবাদ যুদ্ধ

    ২২শে এপ্রিল ১৯৩০। জালালাবাদ যুদ্ধ (Battle of Jalalabad Hill) । মাস্টারদা পুরো দলবলসহ এসে পৌঁছলেন জালালাবাদ পাহাড়ের নিচে। সিদ্ধান্ত হল পাহাড়ে চড়ার। ওইদিন সবাই যখন ভোরবেলা মাস্টারদার নেতৃত্বে পাহাড়ে চড়েছেন সেইদিন বিকেল চারটের সময় চট্টগ্রাম নাজিরহাট শাখা রেল লাইনের ‘ঝরঝরিয়া বটতলা’ মসজিদের পাশে এসে থামল একটি ট্রেন। রেলগাড়ি থেকে নেমে এল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস ও সুর্মা ভ্যালি লাইট ইনফ্যান্ট্রির সশস্ত্র সেনাবাহিনীর দল। তারা রওনা হল জালালাবাদ পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। পাহাড়ের দুদিকে অন্য দুটো উঁচু পাহাড়ের মাথায় বসানো হল মেশিনগান।ইতিমধ্যে বিপ্লবী লোকনাথ বলের নির্দেশে আটভাগে বিপ্লবীদের বাহিনীকে পাহাড়ের চারপাশে সাজানো হল। এইদিকে পাহাড় বেয়ে উঠে আসছে ব্রিটিশ সেনার দল। নিঃশ্বাস চেপে তরুণ বিপ্লবী দল অপেক্ষা করছে নেতৃত্বের নির্দেশের। ওপর থেকে গাছের আড়ালে থেকে লড়াইয়ের যে সুবিধা আছে তার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করল ‘অনুশীলন এবং যুগান্তরের’ সমন্বয়ে গঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিক আর্মি’র তরুণ যোদ্ধারা। পাহাড়ের কোলে একে একে লুটিয়ে পড়ল ব্রিটিশ সেনা।

    যদি প্রাণ থাকে, যদি বাঁচানো যায়

    কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে বেশিক্ষণ মনের জোরে লড়াই চালাতে পারলেন না বিপ্লবীরা। সেনার গুলিতে প্রাণ হারালেন লোকনাথ বলের অনুজ হরিগোপাল বল ওরফে টেগরা। দুদিকের পাহাড় থেকে বৃষ্টিধারার মতো মেশিনগানের গুলি ছুটে আসছে। একে একে মৃত্যুবরণ করলেন ১২ জন বিপ্লবী হরিগোপাল বল অন্য নাম টেগরা, প্রভাস বল, নরেশ রায়, ত্রিপুরা সেন, বিটু ভট্টাচার্য, মতি কানুনগো, অশোক দত্ত, নির্মল লালা,  জিতেন দাশগুপ্ত, মধুসূদন দত্ত, পুলিন চন্দ্র ঘোষ ও অর্ধেন্দু দস্তিদার। একটা একটা করে দেহ আসে আর মাস্টারদা বুকের ওপর কান রেখে বসে থাকেন কিছুক্ষণ, যদি হৃদপিণ্ডের স্পন্দন শোনা যায়! যদি প্রাণ থাকে, যদি বাঁচানো যায়। ধীরে ধীরে রাতের অন্ধকারে বিপ্লবীদের শক্তি বুঝতে না পেরে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি দেয় সেনা। সেই সুযোগেই আত্মগোপনের চেষ্টা করেন সূর্য সেন-সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা।

    চট্টগ্রামে চারদিনের স্বাধীনতা

    ২২-শে এপ্রিল রাত্রে জালালাবাদ পাহাড় (Battle of Jalalabad Hill) থেকে নেমে আসার পরে আবার চলা শুরু হল। এদিকে ক্ষিদে-তেষ্টায় প্রাণ ওষ্ঠাগত তবু চলতেই হবে। কিছুতেই ধরা পড়া চলবে না। শত্রুপক্ষ জেনে গেছে বিপ্লবীদের আশ্রয়। জালালাবাদ পাহাড় থেকে দূরে, আরও দূরে সরে যেতেই হবে। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, মধ্যরাতে সহ বিপ্লবীদের নিয়ে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুঠ করেছিলেন মাস্টার দা। প্রথমে টেলিফোন ও টেলিগ্রাম ধ্বংস করা, ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ, চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ বিপ্লবী বাহিনীর কাছে চলে যাওয়ার পর চার দিন চট্টগ্রাম শহর স্বাধীন ছিল। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল সংঘটিত ঐতিহাসিক জালালাবাদ যুদ্ধের পর ব্রিটিশ শাসকেরা আবার চট্টগ্রাম শহরের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। এরপরেও তিন বছর গোপনে আন্দোলন চালিয়ে যান মাস্টার-দা।

    সূর্যকুমার সেন থেকে ‘মাস্টারদা’

    বিপ্লবী সূর্য সেনের আসল নাম সূর্যকুমার সেন (Masterda Surya Sen)। ডাকনাম কালু। জন্মেছেন ২২ মার্চ, ১৮৯৪। তদানীন্তন চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় বাস ছিল তাঁদের। মা শশীবালা সেন এবং বাবা রাজমণি সেন। দুই পুত্র ও চার কন্যা রেখে তাঁদের অকালপ্রয়াণের পর কাকা গৌরমণি সেনের কাছে বড় হন সূর্য সেন। পড়াশোনা দয়াময়ী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, নন্দনকাননের ন্যাশনাল হাইস্কুল হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ। কিন্তু তৃতীয়বর্ষের কোনও এক সাময়িক পরীক্ষায় ভুলক্রমে টেবিলে পাঠ্যবই রাখার কারণে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হলে পড়তে আসেন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে। সেখান থেকে বিএ পাশ করে চট্টগ্রামে ফিরে সেই ন্যাশনাল হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। অসহযোগ আন্দোলনের (১৯২০-২২) সময় স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে দেওয়ানবাজারে অধুনালুপ্ত উমাতারা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় থেকেই বিপ্লবীদলের সঙ্গে তাঁর সখ্য গভীরতর হয় এবং হয়ে ওঠেন বিপ্লবীদের ‘মাস্টারদা’।

    মরদেহ দেওয়া হয়নি পরিবারকে

    ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন সূর্য সেন। জেলে মাস্টার দার সঙ্গী ছিল গীতা, মহাভারত ও রবীন্দ্র-রচনা। বন্দি দশায় ভোরে উঠে স্তোত্র পাঠ করতেন মাস্টার দা। ১৯৩৩ সালে বিশেষ আদালতে বিচার হয় সূর্য সেনের। ১৪ আগস্ট সূর্যসেনকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ সরকার। ফাঁসির আগে মাস্টারদা ওপর নির্মম অত্যাচার করে ব্রিটিশ পুলিশ। নৃশংসভাবে পিটিয়ে হাতুড়ি দিয়ে সূর্য সেনের দাঁতগুলি ভাঙে, নখগুলি থেঁতো করে উপড়ে ফেলে, গোটা শরীরের সমস্ত হাড়পাঁজরা টুকরো টুকরো করে। অত্যাচারের চোটে চৈতন্য হারান সূর্য সেন। সেই অবস্থাতেই ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হয় সূর্য সেনকে। এমনকি সরকারিভাবে মৃত্যুঘোষণার পরে সূর্য সেনের মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়নি। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মধ্যে কোনও জায়গায় লোহার টুকরো বেঁধে তাঁর দেহ ডুবিয়ে দেয় ব্রিটিশ পুলিশ।

     

     

     

     

     

  • JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরদিন, আজ মঙ্গলবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) জানালেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির মধ্যে মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (JD Vance) বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা সেভাবেই বাণিজ্য বন্ধু বানাতে চায় যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবসময় নিজেদের জাতীয় স্বার্থকেই সামনে রাখি। আমরা চাই বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একটি শক্তপোক্ত সম্পর্ক। যে দেশগুলি তাদের শ্রমিকদের সম্মান করে এবং নিজেদের রফতানি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের মজুরি কেটে নেয় না বরং তাঁদের শ্রমের মূল্যকে সম্মান করে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সমস্ত দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা উন্মুক্ত, স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’

    সোমবারই তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন ভান্স

    প্রসঙ্গত, সোমবারই তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance)। সোমবার সকালে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ভান্সের সঙ্গে সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। ভান্সের তিন সন্তানই ভারতীয় পোশাক পরে এদেশে আসে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে এলেন মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে (JD Vance) ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়।

  • Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। তারপর থেকে এদেশের কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলের নেতারা পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদ এবং সোভিয়েত মডেলকেই ভারতের নীতি করতে চেয়েছিলেন। ঠিক এই সময়েই ভারতীয় সভ্যতার প্রতিধ্বনি নিয়ে হাজির হন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)। ১৯৬৫ সালের ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তিনি চারটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যগুলি শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শই ছিল না, এটা ছিল ভারতের সনাতন সংস্কৃতি এবং সভ্যতার প্রতিধ্বনি। পরবর্তীকালে এটাই হয়ে ওঠে একাত্ম মানববাদ। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রবর্তিত একাত্ম মানববাদ বর্তমানে প্রতিফলিত হয় বিজেপির সংবিধানের তিন নম্বর ধারায়।

    ব্যক্তি সুখের কথাই বলে পাশ্চাত্য দর্শন

    দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhyaya) মতে, এই সমাজের চারটি উপাদান রয়েছে। প্রথমটি হল দেশ বা রাষ্ট্র, দ্বিতীয়টি হল সংস্কৃতি, তৃতীয় হল জনগণ, চতুর্থ হল সরকার। একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তুলতে এই চারটি উপাদানকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এই ৪ উপাদানের মধ্যে যদি সংযোগ না ঘটে তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না বলেই মনে করতেন দীনদয়াল উপাধ্যায়। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়, নাগলা চন্দ্রভাগ নামক স্থানে। শৈশবে অত্যন্ত দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হন তিনি। মাত্র ৭ বছর বয়সেই তিনি তাঁর পিতামাকে হারান এবং বড় হয়ে ওঠেন আত্মীয়দের কাছে। অত্যন্ত মেধাবী দীনদয়াল ছাত্রজীবনে স্বর্ণপদকও লাভ করেন। পরবর্তীকালে চাকুরি না করে তিনি দেশের সেবায় অংশগ্রহণ করেন। যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। এরপরেই দীনদয়াল উপাধ্যায় দেশজুড়ে বীজ বুনতে থাকেন সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের। তাঁর দর্শন (Ekatma Manava Darshan) ভারতীয় ভাবধারায় গড়ে উঠেছিল। সেখানে ঔপনিবেশিকতার কোনও ছায়া দেখা যায়নি। পাশ্চাত্য দর্শনে যেখানে ব্যক্তি জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলেছে, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের দর্শন সেখানে ব্যক্তি-সমাজ-প্রকৃতি-আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

    দীনদয়াল উপাধ্যায় প্রণীত একাত্ম মানববাদ (Ekatma Manava Darshan)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya) বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে। এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্ম মানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)।

  • RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর বয়স হলেই এখন থেকে ছোটরা তাদের নিজেদের সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (Minor Bank Accounts) খুলতে ও নিজেরাই চালাতে পারবে। এমনটাই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রাইমারি (আরবান) কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ব্যাঙ্ক যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে। তবে এসব দেওয়ার আগে ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করবে ব্যাঙ্ক। আগে নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

    ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে নয়া নীতি (Minor Bank Accounts)

    অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককেই আগামী ১ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল সোমবারই এক বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, বহু বছর আগে জারি করা পুরনো এক নির্দেশিকাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তারপরেই এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার ও পরিচালনার নিয়ম করা হয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই তারা এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

    অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে

    এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলিকে শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো। যখনই কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখনই তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হোক বা শিশু নিজে পরিচালনা করুক, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

LinkedIn
Share