Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • ESTIC 2025: ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ESTIC 2025: ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপমে ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’-এর (ESTIC 2025) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি ভারতের গবেষণা ও উদ্ভাবন-ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

    ১ লাখ কোটি টাকার ফান্ড (ESTIC 2025)

    দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবন পরিকাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ১ লাখ কোটি টাকার রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন (আরডিআই) স্কিম ফান্ডেরও উদ্বোধন করেন। এই তহবিলের লক্ষ্যই হল ভারতকে একটি বেসরকারি খাত–নির্ভর গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করা। চলতি বছরের ৩ থেকে ৫ নভেম্বর আয়োজিত তিন দিনের এই কনক্লেভে শিক্ষাঙ্গন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিল্পক্ষেত্র ও সরকারি সংস্থাগুলির ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক এবং নীতি–নির্ধারকরাও উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের যুগে প্রবেশ করেছে। এই তহবিল তরুণ গবেষক ও উদ্ভাবকদের নয়া স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ করে তুলবে। এই প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, শিল্পখাত এবং গবেষণা সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, যাতে তারা বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়।”

    যেসব ক্ষেত্রে গুরুত্ব

    ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ ২০২৫’-এ প্রধানত যে ১১টি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হল উন্নত (ESTIC 2025) উপকরণ ও উৎপাদন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়ো–ম্যানুফ্যাকচারিং, ব্লু ইকোনমি, ডিজিটাল যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন, উদীয়মান কৃষি প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রযুক্তি, কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মহাকাশ প্রযুক্তি। এই কনক্লেভে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, প্যানেল ডিসকাসন, উপস্থাপনা এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনীও হয়েছে। গবেষক, শিল্প-নেতা এবং তরুণ উদ্ভাবকদের মধ্যে সহযোগিতার একটি মঞ্চ হিসেবেও কাজ করছে এটি, যা ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবেশ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলেই (ESTIC 2025) ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের (PM Modi)।

  • ICC Women World Cup 2025: সৌরভ-ঝুলন পারেননি! রিচার হাত ধরে বাঙালি স্পর্শ করল বিশ্বকাপ

    ICC Women World Cup 2025: সৌরভ-ঝুলন পারেননি! রিচার হাত ধরে বাঙালি স্পর্শ করল বিশ্বকাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ হাতে ছুঁয়ে দেখল এক বাঙালি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পারেননি। ঝুলন গোস্বামী পারেননি। রিচা ঘোষ পারলেন। শিলিগুড়ির মেয়ের হাত ধরে বাঙালিও স্পর্শ করল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে রিচার ৩৪ রান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। উত্তরবঙ্গের মেয়ে রিচার উত্থান ভারতীয় ক্রিকেটে হয়েছে উল্কা গতিতে। শিলিগুড়ির এই মেয়ের বিগ হিটিং স্কিল কারুর অজানা নয়। এদিন নবী মুম্বইয়ের স্টেডিয়ামে নিজের সেই ক্ষমতা উজার করে দিয়েছেন রিচা। ম্যাচের পর রিচা জানালেন, জীবন বাজি রেখে নেমেছিলেন ফাইনালে। বিশ্বকাপ জিতে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

    বিশ্বকাপে সর্বাধিক ছয় মারার রেকর্ড

    ব্যাট হাতে এদিন রিচা ঝড় উঠল স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে ২৪ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রিচা৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৩ টি চার ও ২ টি ছক্কা দিয়ে। ২টো ছয় মেরে এদিন বিশ্বকাপে সর্বাধিক ছয় মারার রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন রিচা। তাঁর কথায়, “সকলে একটাই কথা বলেছিলাম, এটাই প্রতিযোগিতার শেষ দিন। নিজেদের মধ্যে যা আছে পুরোটা উজাড় করে দিতে হবে। নিজের শরীর, শক্তির শেষ বিন্দু সমর্পণ করতে হবে। একে অপরের জন্য খেলব আমরা। সব উজাড় করে দাও, এটাই ছিল আসল মন্ত্র।” এত বড় মঞ্চে নিজের সেরাটা দেওয়াও কি চাপের নয়? রিচার স্পষ্ট উত্তর, “চাপ ছিল ঠিকই। মাঠে প্রচুর লোক এসেছিলেন। এই পরিবেশে আমরা খুব একটা খেলিনি। আমি নিজেকে বলেছিলাম, অনেক পরিশ্রম করেছি। এ বার নিজের উপর বিশ্বাস রাখার পালা। দলের সকলে বিশ্বাস করেছিল যে আমি ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারি। সেই আস্থা আমাকে খুব সাহায্য করেছে।” এদিন ২৫ বছর পর মহিলাদের ক্রিকেট পেয়েছে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নাম লিখিয়েছে হরমনপ্রীত কৌর অ্যান্ড কোম্পানি। ২০০০ সালে তৃতীয় দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তারপর থেকে সব খেতাব ভাগ করে নিয়েছে প্রথম দুই চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড।

    রাত জাগল শিলিগুড়ি থেকে বাংলা

    উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসাবে পুরুষ ক্রিকেটে এমএস ধোনির বীরগাথা এতদিন দেখেছে গোটা দেশ। এদিন রিচা ঘোষকে দেখল ইন্ডিয়া। এর আগে বিশ্বকাপ জয়ের দোরগোড়ায় এসে ব্য়র্থ হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে অজিবাহিনীর হাতে পরাজিত হয় টিম ইন্ডিয়া। পরবর্তীতে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি , চাকদা এক্সপ্রেস ঝুলন গোস্বামীও খুব কাছে পৌঁছালেও কাপ ছুঁতে পারেননি। রিচা পারলেন। প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপ উঠল তাঁর হাতে। চার বাড়ির মূল দরজায় ঝুলছে তালা। দীপাবলির আলো এখনও সরানো হয়নি দরজার একপাশে থাকা দোতলা ঘর থেকে। সন্ধ্যার পর বাড়ির সামনেটা অন্ধকার হয়ে গেলেও সেই বাড়ি ঘিরেই দেখা গেল শিলিগুড়ির আবেগ। রাত ১২টার পর শিলিগুড়ির ভেনাস মোড় থেকে কলোজ মোড় মেতে উঠল বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। কালীপুজোর ১১দিন পর ফের অকাল দীপাবলি। এদিন বিশ্বকাপ জিতে আহ্লাদে আটখানা রিচা। ম্য়াচ শেষে চোখে জল বাংলার এই বীর কন্যার। তিনি বললেন, ‘অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম কবে ট্রফি হাতে পাব, অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না’।

     

     

     

     

  • SIR: বাংলা ছেড়ে ‘দেশে’ পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধৃত অন্তত ৪৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

    SIR: বাংলা ছেড়ে ‘দেশে’ পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধৃত অন্তত ৪৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরের (SIR) ঢাকে কাঠি পড়তেই পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে বাংলাদেশে (Bangladeshis) পালানোর হিড়িক অনুপ্রবেশকারীদের! রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা এলাকায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক অন্তত ৪৮ জন অনুপ্রবেশকারী। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর ঘোষণা হতেই সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এদিন বসিরহাট সীমান্ত থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অনুপ্রবেশকারীদের।

    বিএসএফের বক্তব্য (SIR)

    বিএসএফের আধিকারিকরা জানান, এসআইআর প্রক্রিয়া জোর কদমে শুরু হওয়ার পর গ্রেফতার বা দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে আগেভাগেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে অনুপ্রবেশকারীরা। তখনই পড়ছে ধরা। বিএসএফের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন এলাকায় গৃহকর্মী, শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সময় পরিচয় ধরা পড়ে যাবে, এই ভয়ে তারা গোপনে সীমান্তে পেরোতে চেয়েছিল।”

    সীমান্তে চলছে গ্রেফতারি

    রবিবার বিএসএফ মোট ৩৩ জনকে আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেয়। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ১৫জনকে। আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় তাদের। জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে ওই এলাকায় প্রায় ৯০ জন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুরে আরও ৪৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে ১১টি শিশু এবং ১৫ জন নারীও (SIR)।

    বাসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানান, রাতে টহল দেওয়ার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, “তারা কলকাতা ও রাজারহাটে কাজ করছিল। অনুমোদনহীন পথে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।” তাদেরও ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। এসব ঘটনার পর থেকেই ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে বা অবৈধভাবে (Bangladeshis) সীমান্ত পার হতে না পারে, তাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নজরদারি জোরদার করেছে বলেই খবর (SIR)।

  • BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে বেরলো?” দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের পর এমনই মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহিলা এই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের রাত ৮টার (BJP) মধ্যেই ঘরে ‘সেঁধিয়ে’ যাওয়ার পরামর্শও দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেই তিনিই এবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলকে।

    মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় ভারতের (BJP)

    রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২৯৮ রান তোলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে সব উইকেট হারিয়ে গোহারা হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাত ১২টার কিছু পরে বিশ্বকাপ ওঠে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হাতে। তার পরেই দেশজুড়ে শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহিলা সদস্যরা। এই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ। এই তালিকায় রয়েছেন মমতাও। তার পরেই কার্যত তাঁকে ধুয়ে দিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেই তাঁর অভিনন্দন-বার্তাকে খোঁচা দিয়েছে পদ্মশিবির।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন-বার্তায় খোঁচা বিজেপির

    ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, গোটা দেশ উইমেন ইন ব্লু-র বিশ্বকাপ ফাইনালের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁরা যে লড়াই এবং যে কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন, তা তরুণীদের প্রজন্মে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনারা প্রমাণ করেছন যে আপনারা শীর্ষ স্তরে একটি বিশ্বমানের দল এবং আপনারা আমাদের কিছু অসাধারণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আপনারা আমাদের নায়ক। ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য আরও বড় সাফল্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আমরা (Mamata Banerjee) আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য তুলে ধরেই এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে খোঁচা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)। “ওএমজি (ও মাই গড) ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন! কিন্তু আপনি তো ৮টার মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যেতে বলেছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেয়েটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে গেল? জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে, জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কে কখন বেরোবে? বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে তারা যেন না বেরোয়। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না (BJP)।”

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন মন্তব্য করা মুখ্যমন্ত্রীই কিনা এখন রাত ১২টা পর্যন্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মহিলা ক্রিকেট দলকে ‘শুভনন্দন’ (শুভ অভিনন্দন না বলে এই শব্দটি ব্যবহার (Mamata Banerjee) করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। যদিও শব্দটি কোনও অভিধানেই নেই।) জানাচ্ছেন (BJP)!

    ভূতের মুখে রাম নাম!

  • India-W World Cup Champion: ‘একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক’, বললেন শচিন, ‘গোটা দেশকে গর্বিত করেছ’, লিখলেন কোহলি

    India-W World Cup Champion: ‘একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক’, বললেন শচিন, ‘গোটা দেশকে গর্বিত করেছ’, লিখলেন কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস রচনা করেছে ভারতের মেয়েরা। মুম্বইতে ফাইনালে ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এই ঐতিহাসিক জয় ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে উৎসবের আমেজ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে “উইমেন ইন ব্লু”-দের উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা আসছে। বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যুবরাজ সিং স বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় মহিলা দলকে।

    একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক: শচিন

    এক্স হ্যান্ডেলে শচিন লিখলেন, ‘১৯৮৩ সালের ঐতিহাসিক জয় যেমন বড় স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের পিছনে দৌড়াতে একটা গোটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিল, আজ আমাদের মহিলা ক্রিকেট দল সত্যিকারের সেই ইতিহাস করল। তারা সারা দেশের অসংখ্য তরুণীকে ব্যাট-বল হাতে তুলে মাঠে নামতে এবং বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে যে তারাও একদিন এই ট্রফি তুলতে পারবে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জার্নিতে এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক। সাবাস, টিম ইন্ডিয়া। তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ।’

    ভীষণ গর্বিত… বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন: সৌরভ

    ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও মহিলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও তাদের জন্য গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘মেয়েদের অসাধারণ সাফল্য! গত ৬ বছরে তারা অনেক দূর এগিয়েছে। তাদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত… বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।”

    তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ: কোহলি

    অভিনন্দন জানালেন বিরাট কোহলিও। এক্সে পোস্ট করে তিনি লিখলেন, ‘ভারতের মেয়েরা ইতিহাস গড়লেন! তাঁদের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বে ভরে উঠেছে গোটা দেশ। বহু বছরের পরিশ্রম ও অধ্যবসায় আজ বাস্তবের রূপ নিয়েছে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং গোটা দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। শুধু খেলোয়াড়রা নয়, দলের সঙ্গে যুক্ত সমগ্র সাপোর্ট স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টকেও ধন্যবাদ জানানো উচিত, যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই জয়। দারুণ খেলেছ টিম ইন্ডিয়া। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করো হৃদয়ভরে। দেশের অসংখ্য কন্যা এই জয় দেখে অনুপ্রাণিত হবে ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলায় নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।’ ট্রফি হাতে ভারতীয় দলের ছবি দিয়ে লেখেন, “তোমরা পরের প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে তোমরা গোটা দেশকে গর্বিত করেছ। তোমাদের এই শুভেচ্ছা প্রাপ্য। এই মুহূর্তটা তোমাদের। উপভোগ করো। হরমন ও তার দল দুর্দান্ত খেলেছো। জয় হিন্দ।”

    আবেগপ্রবণ রোহিতের চোখে জল

    এদিকে, টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করার জন্য ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। টিম ইন্ডিয়ার জয় তিনিও উদযাপন করেন এবং যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। হরমনপ্রীতের ক্যাচে ভারত ম্যাচ জেতার পর ক্যামেরা ধরে রোহিতকে। দেখা যায়, আকাশের দিকে তাকিয়ে হাততালি দিচ্ছেন তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, রোহিতের চোখে জল। কোনও রকমে আবেগ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ২ বছর আগে এমনই এক নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের পুরুষ দল বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছিল। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল দেড় কোটি ভারতবাসীর। সেদিন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত। তবে সেই কান্না লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আর গতকাল রাতে চোখের সামনে হরমনপ্রীতদের বিশ্বকাপ জয় দেখে চোখ ছলছল হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার। যেন, তিনি যে না করতে পারেননি, তা হরমনরা করতে পারায় বুকের ওপর থেকে কিছুটা হলেও বোঝা কমল। বা হয়ত, সেই ২০২৩ সালের নভেম্বরের রাতের কথাটাই তাঁর মনে পড়ছিল।

    ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা: যুবরাজ

    আর এক বিশ্বকাপজয়ী যুবরাজ সিং গোটা দল তো বটেই, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষকে। তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা হল। ইতিহাসের পিছনে রয়েছে আমাদের উইমেন ইন ব্লু–র অদম্য মনোবল, দৃঢ়তা এবং অতুলনীয় দক্ষতা। অদম্য জেদে গড়া এই দল একসঙ্গে মিলিত হয়ে এমন এক মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে, যা গোটা বিশ্ব কখনও ভুলবে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁরা নিজেদের সমস্তটুকু উজাড় করে দিয়েছেন, শরীর-মন এক করে খেলেছেন শেষ বল পর্যন্ত। ব্যাট হাতে দুরন্ত শুরু করে ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেফালি ভার্মা। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল দীপ্তি শর্মা ব্যাটে-বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা, সৌন্দর্য ও দৃঢ়তায় ভারতের ব্যাটিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। রিচা ঘোষের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইনিংস ভারতকে রানের গতি বাড়াতে সাহায্য করেছে। বিশেষ অভিনন্দন হরমনপ্রীত কৌর এবং কোচ অমল মজুমদারকে। ভারত এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!’

  • ICC Women World Cup 2025: “দিন-রাত খেটেছি, একটা দল হয়ে খেলেছি”, বিশ্বকাপটা জিততেই হতো! আর কী বললেন হরমনপ্রীত

    ICC Women World Cup 2025: “দিন-রাত খেটেছি, একটা দল হয়ে খেলেছি”, বিশ্বকাপটা জিততেই হতো! আর কী বললেন হরমনপ্রীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শাপমুক্তি! আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে তাঁর হাতে উঠল বিশ্বকাপ ট্রফি (ICC Women World Cup 2025)। কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মার পর চতুর্থ ভারতীয় ও প্রথম মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশ্বখেতাব জয়ের নজির গড়লেন হরমনপ্রীত কৌর। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন শেফালি বর্মা, দীপ্তি শর্মা, রিচা, স্মৃতি, জেমাইমারা। মাঠেই শুরু হয়ে গেল উৎসব। চোখের জল যেন বাঁধ মানছিল না কারও। এ তো শেষ নয়, এ সবে শুরু। এবার এটা অভ্যেসে পরিণত হবে। বললেন বিশ্বজয়ী হরমনপ্রীত।

    বেড়াটা ভাঙতেই হত

    ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছেন হরমনপ্রীত কৌর। এর আগে দু’বার ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছিল। এ বার সেই বেড়া ভেঙেছেন হরমনপ্রীতেরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে “বেড়াটা ভাঙতে চেয়েছিলাম। এই জয় দরকার ছিল। সবে শুরু। এ বার জেতা অভ্যাসে পরিণত করতে চাই। এই মুহূর্তের অপেক্ষা করছিলাম। আমরা আরও উন্নতি করতে চাই। এটাই শেষ নয়। এ তো সবে শুরু।” ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি হরমনপ্রীত। প্রতিযোগিতার মাঝে পর পর তিনটি ম্যাচ হেরেছিল ভারত। তার পরেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল তাঁদের। হরমনপ্রীত বলেন, “আমরা পর পর তিনটে ম্যাচে হেরেছিলাম। কিন্তু তার পরেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম, ঠিক কিছু একটা ভাল হবে। দলের সকলে আত্মবিশ্বাসী ছিল। দিন-রাত খেটেছি। একটা দল হয়ে খেলেছি।”

    শেফালিই এদিন সেরার সেরা

    দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস চলাকালীন ফাটকা খেলেন হরমনপ্রীত। শেফালি বর্মার হাতে বল তুলে দেন তিনি। সেই ফাটকা কাজে লাগে। শেফালি জোড়া উইকেট তুলে দলকে খেলায় ফেরান। অধিনায়ক বলেন, “লরা ও সুনে ভাল খেলছিল। হঠাৎ শেফালির দিকে আমার নজর গেল। দেখলাম, ও দাঁড়িয়ে আছে। মনে হল, একটা ফাটকা খেলি। ওকে খালি একটা ওভার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাবিনি ও খেলাটাই বদলে দেবে। এত ভাল বল করছিল যে ওকে আরও কয়েকটা ওভার দিই। যে ভাবে ও বল করেছে, তার পুরো কৃতিত্ব শেফালির।” বিশ্বকাপের চৌহদ্দির ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেও ছিলেন না শেফালি বর্মা। ভারতের বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেয়ে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা খেলছিলেন। ফর্মে থাকা প্রতিকা রাওয়াল চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শেফালি। ফাইনালে সেই শেফালিই ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করলেন। ব্যাটে-বলে দাপট দেখালেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের কাহিনি লিখলেন ভারতের এই ক্রিকেটার।

    শচিন স্যারকে দেখে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়

    শেফালি বললেন, “এই ম্যাচে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল। রান করতে হবে। দলের সকলে আমাকে বলেছিল, স্বাভাবিক খেলা থেকে না বেরাতে। আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাই খেলেছি। বড় শট মেরেছি। শতরান করতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে দলের রান বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলের জয়ে আমার যোগদান রয়েছে। এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না।” শেফালি ভক্ত শচিন তেন্ডুলকরের। এই ম্যাচ শচিন গ্যালারিতে বসে তাঁর ব্যাটিং দেখেছেন। এর থেকে অনুপ্রেরণার আর কিছু হতে পারে না শেফালির কাছে। তিনি বললেন, “শচিন স্যারকে দেখে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল। ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। উনি সবসময় আমাকে আত্মবিশ্বাস জোগান। উনি কিংবদন্তি। ওঁর কাছে শেখার অনেক কিছু রয়েছে। চেষ্টা করি শেখার। খুব ভাল লাগছে যে উনি আমার খেলা দেখলেন।”

    নজির গড়লেন হরমনপ্রীত

    ফাইনাল জেতার জন্য গোটা দলের প্রশংসা শোনা গিয়েছে হরমনপ্রীতের গলায়। পাশাপাশি কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত দু’বছরে অমল মুজুমদার যে পরিশ্রম করেছেন তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছেন অধিনায়কের গলায়। তাঁদের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন হরমনপ্রীত। পরিসংখ্যান বলছে, মহিলাদের ক্রিকেট সবচেয়ে বয়স্ক ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়লেন হরমনপ্রীত। এছাড়াও আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে সর্বাধিক রান করা ক্রিকেটার হিসেবে টেক্কা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ক্লার্ককে। তিনিই এতদিন শীর্ষে ছিলেন। আইসিসি নকআউট ম্যাচে হরমনপ্রীতের মোট রান এখন ৩৩১, গড় ১১০.৩৩। রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি। এই তালিকায় এতদিন শীর্ষে ছিলেন বেলিন্ডা ক্লার্ক, যাঁর রান ছিল ৩৩০। চারটি হাফ-সেঞ্চুরি ছিল তাঁর ঝুলিতে, সর্বোচ্চ স্কোর ৯১।

    ৪৫ দিন ঘুমোইনি বিশ্বকাপের জন্য

    তৃতীয় বারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত বিশ্ব জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ভারতের মেয়েরা। ঘরের মাঠে লিখে ফেলেছেন ইতিহাস। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে আবেগ প্রবণ স্মৃতি মান্ধানা বললেন, ‘এটা আমার জন্য আবেগপ্রবণ এক স্মৃতি। আমি জানি না, কী করতে হবে। এখনও ঘোরের মধ্যে আছি। আমি মাঠে আবেগপ্রবণ হই না। কিন্তু দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, ভাবতে পারছি না। আমাদের ঘাড়ে অনেক বড় দায়িত্ব ছিল বিশ্বকাপ জেতার। আমি জানি না শেষ ৪০ দিন কী ভাবে কাটিয়েছি। ৪৫ দিন ঘুমোইনি বিশ্বকাপের জন্য। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল কোয়ালিফাই করতে পারেনি নকআউটে। গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গিয়েছিলাম। আমাদের সবার কাছে কঠিন লড়াই ছিল। আমাদের ফোকাস ছিল ফিটনেস নিয়ে কাজ করা। আমাদের শক্তি হচ্ছে কেউ ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে না। সবাই এগিয়ে যেতে চায়। আমরা সবাই একে অন্যের সাফল্য উপভোগ করি।’ কোচ অমোল মজ়ুমদারও আনন্দে আত্মহারা। কোচ হিসেবে তাঁর লড়াইও এ দিন স্বার্থক হলো। আবেগে ভাসলেন কোচ অমল মজুমদার বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই, দারুণ জয়। এই জয় দলের মেয়েদের প্রাপ্য ছিল। ওদের পরিশ্রম সামনে থেকে দেখেছি। আমি হারকে হার হিসেবে দেখিনি। দেখেছি কোথায় খামতি ছিল। যেই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছি সেগুলিকে কাজে লাগিয়েছি। আমরা কিছু ভুল করলে, তার থেকে শিক্ষা নিয়েছি। যার ফল এই বিশ্বকাপ জয়। শেফালি বর্মা, ম্যাজিকাল। সেমি ফাইনালে এসে কোনও চাপ ছাড়া খেলেছে। বল হাতে উইকেট তুলল। শেষ দুই বছরে আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। আমি এর থেকে বেশি কিছু চাইতে পারি না।’

  • ICC Women World Cup 2025: ঐতিহাসিক বিশ্বজয়, এক নতুন ভোর! ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা হরমনপ্রীতরা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির

    ICC Women World Cup 2025: ঐতিহাসিক বিশ্বজয়, এক নতুন ভোর! ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা হরমনপ্রীতরা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশক্তির জয়। আবার ভারতে এল বিশ্বকাপ। বিশ্ব জয় করল ভারতের মেয়েরা। আইসিসি ওমেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ (ICC Women Cricket World Cup) জিতল হরমনপ্রীত-শেফালি-দীপ্তিরা। এই প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ জিতল ভারত। মেয়েদের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে ক্রীড়া, বিনোদন, রাজনৈতিক জগতের তাবড় ব্যাক্তিত্বরা। রাত ১২টার পর মেয়েরা যখন হাতে বিশ্বকাপ তুলল, প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, “ঐতিহাসিক এই জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের খেলতে অনুপ্রাণিত করবে”।

    ঐতিহাসিক জয়, অনুপ্রেরণা

    ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয় করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিম। তাঁদের এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, “আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে অসাধারণ জয় ভারতীয় টিমের। ফাইনালে তাদের পারফরম্যান্স অসাধারণ দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসকেই ফুটিয়ে তুলেছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে টিম অতুলনীয় টিমওয়ার্ক ও লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন। এই ঐতিহাসিক জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের খেলা বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করবে।”

    প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন ভারতের মেয়েরা

    অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা ভারতই ফেভারিট ছিল। কিন্তু লরা উলভার্টের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিনতম প্রতিপক্ষই ধরা হচ্ছিল। টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন চেয়েছিলেন শিশির কাজে লাগাবেন। ভারতীয় বোলারদের মুশকিলে ফেলবেন। দুটোর কোনওটাই হল না। শেফালি আর স্মৃতি মান্ধানা মিলে ভারতকে ওপেনিং জুটিতে ১০০র বেশি রান দিয়েছিলেন। স্মৃতি সেমিতে রান পাননি। ফাইনালে বড় রানের হাতছানি ছিল। কিন্তু ৪৫ করে ফেরেন। শেফালি ৭৮ বলে ৮৭ করেন। ৭টা চার ও ২টো বিশাল ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস। জেমাইমা রড্রিগস সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করে হারিয়েছিলেন অজিদের। কিন্তু ফাইনালে ২৪ করেন। হরমনপ্রীত কৌরও ২০তে থামেন। এখান থেকেই আবার খেলা ধরেন দীপ্তি শর্মা। সিনিয়র, নির্ভরশীল, অলরাউন্ডার, ঠান্ডা মাথার— চার স্কিলেই হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন দীপ্তি। শেষ দিকে ভারতকে দ্রুত ২৯৮এ নিয়ে গেলেন বাংলার রিচা ঘোষ। মুম্বইয়ে হ্যারি, স্মৃতি, শেফালিদের সামনে ছিলেন লরা উলভার্ট। একদিকে ভাঙন, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন। আসা-যাওয়ার মাঝে যেন একার মুঠোয় স্বপ্ন বহন করলেন লরা। সেমিফাইনালে করেছিলেন ১৬৯। ফাইনালেও তাঁর ব্যাটে দুরন্ত সেঞ্চুরি। কিন্তু ১০১ করে ফিরলেন উলভার্ট। যখন বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে শিশিরের জন্য, তখনই ভারতকে দীপ্তি দিলেন অফস্পিনার। তাঁর নবম ওভারটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। পর পর উলভার্ট সহ নিলেন আরও একটা উইকেট। চাপের ম্যাচে প্রোটিয়ারা বরাবরই হাল ছেড়ে দেন। ১১ ভারতীয় কন্যা যে প্রতিপক্ষকে মাথা তুলতে দেবেন না, প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন। ঠিক করে নিয়েছিলেন, যাই হোক না কেন ইতিহাসের দরজা খুলবেনই! দীপ্তি নিলেন ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ২৪৬ রানে। ৫২ রানে জয় ভারতের।

    দেশের গর্ব আকাশ ছুঁল

    শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জয়ের পরই শুভেচ্ছা জানান। ভারতীয় মহিলা টিমের এই জয় দেশের মাথায় মুকুট ওঠার মুহূর্ত বলেই বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “হ্যাটস অফ বিশ্বজয়ী টিম ইন্ডিয়া। এটা দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত, আমাদের টিম আইসিসি ওমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ তুলল, দেশের গর্বকে আকাশ ছুঁল। তোমাদের অসাধারণ দক্ষতা লক্ষ লক্ষ মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণার পথ তৈরি করে দিল। গোটা টিমকে শুভেচ্ছা।” লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫ জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন। তোমরা শুধু ট্রফি জিতে আসো না, সমগ্র জাতির হৃদয় জয় করেছো। সাহস, দক্ষতা ও বিশ্বাসের এক দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখিয়েছো। প্রত্যেক ভারতীয় তোমাদের নিয়ে গর্বিত।”

    মহিলা ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্সে ভারতীয় মহিলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই ২০২৫ সালের আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের জন্য! ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তারা—এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করল ভারতীয় মহিলা দল। তারা দীর্ঘদিন ধরেই দুর্দান্ত খেলছে, আর আজ তাদের প্রতিভা ও পারফরম্যান্সের উপযুক্ত ফল তারা পেয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত মহিলা ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমি গভীরভাবে শুভেচ্ছা জানাই ভারতকে গর্বিত করার জন্য।” বাস্তবিকই, তিরাশিতে কপিল’স ডেভিলস বিশ্বজয়ী হওয়ার পর যেমন দেশের পুরুষ ক্রিকেটের ‘বিশ্বায়ন’ হয়েছিল। হরমনদের এই জয়, ভারতের মহিলা ক্রিকেটের অবিকল বদল ঘটাবে। ২০১৭-সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে, ঝুলনরা বুঝিয়েছিলেন ভারতের মেয়েরা ক্রিকেট খেলতে পারে। বদল এসেছিল সমর্থকদের মনেও। এবার চ্যাম্পিয়ন। এই জয় শুধু ট্রফি নয়, এ এক যুগবদলের সূচনা। যেমন ২৫ জুন, ১৯৮৩ সালে (Kapil Dev) কপিলের দল লর্ডসে (Lord’s) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে দিয়েছিল, তেমনই ২০২৫ সালের এই নভেম্বরের রবিবার মহিলাদের ক্রিকেটের নতুন ভোর।

  • RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদানে (Sudan) অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আরএসএফ (RSF) পরিচালিত এই নির্মম গণহত্যায় নারী ও শিশু-সহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু। সম্প্রতি আরএসএফ বিদ্রোহীরা এল শাফির শহর দখল করার পর এই নৃশংসতা শুরু হয়। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও তাদের বিরোধী হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। কারণ অনলাইনে প্রচারিত ভয়ঙ্কর ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে আরএসএফ সদস্যরা মাটিতে শুয়ে থাকা মানুষদের গুলি করে হত্যা করছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাত্র দু’দিনের এই হিংসায় প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

    ক্ষমতার দ্বন্দ্ব (RSF)

    সুদানের জনসংখ্যার বেশিরভাগই সুদানি আরব বংশোদ্ভূত। তবে তারা যাদের টার্গেট করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন খ্রিষ্টান ও স্থানীয় অ-আরব উপজাতির সদস্যরা। এই অশান্তির মূল কারণ হল সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের পর, সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তাঁদের এই দ্বন্দ্বের জেরেই বর্তমানে দেশটি দীর্ণ গৃহযুদ্ধে (RSF)।

    নিহতের খতিয়ান

    সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে নিরাপত্তার খোঁজে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE), লিবিয়া ও চাদ-সহ কিছু ইসলামিক দেশ আরএসএফকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। এদিকে, সুদানের সরকারি সেনাবাহিনী সমর্থন পাচ্ছে মিশর, তুরস্ক ও ইরানের। এগুলিও মুসলিম-প্রধান দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুদানে যে অভিযান চলছে, তা আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে ইসলামায়নের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। আরএসএফ সম্প্রতি (Sudan) দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি এল ফাশের শহরের দখল নেয়। তার জেরে সাধারণ মানুষের ওপর হিংসার ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে। সৌদি ম্যাটারনিটি হাসপাতালে ঢুকে প্রায় ৪৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর ঠিক আগের দিনই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির হাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার ছিল এক মাসের মধ্যে এই হাসপাতালে চতুর্থ হামলা। সর্বশেষ হামলায় এক নার্স নিহত হন, জখম হয়েছেন তিনজন চিকিৎসাকর্মীও। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের মেঝেজুড়ে রাশি রাশি লাশ পড়ে রয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভেঙে-চুরে যাওয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম (RSF)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারী মর্টার হামলায় অস্ত্রোপচার চলাকালীন সার্জেনরা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার কক্ষ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অপারেশন চলাকালীন একটি বিস্ফোরণে রোগীর দেহে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বোমাবর্ষণ শুরু হতেই হাসপাতালজুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটির অভিযোগ, আরএসএফ ছ’জন স্বাস্থ্যকর্মী, যার মধ্যে চারজন চিকিৎসকও রয়েছেন, তাঁদের অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ দাবি করা হয়েছে (Sudan) ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার।

    জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বারবার জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ উঠেছে, বিশেষত অ–আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এল ফাশের এখন পুরোপুরি আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ২,৫০,০০০ এর বেশি মানুষ, যাঁদের অনেকেই সংখ্যালঘু উপজাতির সদস্য, শহরের ভেতর আটকে পড়ে গিয়েছেন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলের খবর যাতে বাইরে পৌঁছতে না পারে এবং জরুরি সাহায্য বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাই এই পথ অবলম্বন করেছে আরএসএফ (RSF)।

    বর্তমানে দারফুর ও কর্ডোফান অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুদানি সশস্ত্র বাহিনী দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চল, রাজধানী খার্তুম-সহ দেশের একটা অংশ তাদের দখলে রেখেছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক (Sudan) বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকায় সাধারণ মানুষের হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সীমিত হয়ে পড়ছে মানবিক সাহায্যের পথ (RSF)।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে অব্যাহত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ-বিদেশে।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার উত্তর চন্দ্রনগর গ্রামে স্থানীয় কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূর্তির মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নারায়ণ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মল্লিকপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় একাধিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক কারিগরের স্টুডিওয় জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙা হয়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা মূর্তিগুলির মাথা ভেঙে নিয়ে যায়।

    সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    পুনের কন্ধওয়ার মহালক্ষ্মী জুয়েলার্সে গয়নার ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় ছড়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও। ক্রেতা পারভেজ নবী শেখের দাবি, ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেই তাঁর কানের দুল ভেঙে গিয়েছে। তাই তার বদলে তিনি অন্য একটি দুল চান। দোকানের মালিক জানান, দুলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাই পরিবর্তন সম্ভব নয়। এরপরেই দু’পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। বিজনেস ভিসার অপব্যবহার, ধর্মীয় প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ভারতের মধ্যে ফান্ডরেইজিং নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে নাইজেরিয়ান নেতৃত্বাধীন ‘ক্রাইস্ট এমব্যাসি’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে এলআরপিএফ (Hindus Under Attack)। আইনি অধিকার সুরক্ষা ফোরামের এই অভিযোগপত্রে বিদেশি নাগরিক ও তাদের সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা

    সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের একটি দল (Roundup Week), যার মধ্যে দুই মহিলাও ছিলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারা অর্থ ও বাসস্থানের লোভ দেখিয়ে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের ধারা ৩ ও ৫, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২ ) এবং এসসি / এসটি অ্যাক্টের ধারা ৩(১)(সি) অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর দেবারা বেসনহাল্লির ঐতিহাসিক ভেঙ্কটেশ্বরস্বামী মন্দিরে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, বাংলাদেশি বলে পরিচিত কবীর নামে এক ইসলামপন্থী যুবক জুতো পরা অবস্থায়ই জোর করে গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ে এবং চপ্পল ব্যবহার করে দেবতার মূর্তি অপবিত্র করে।  টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অফ সোশ্যাল জাস্টিসের অধ্যাপক ব্রিনেল ডি’সুজার ধর্মভিত্তিক কর্মশালা ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, তিনি সরকারি ফান্ড ব্যবহার করে ‘শুধু ক্যাথলিকদের জন্য’ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছেন।

    নজরে বাংলাদেশ

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অবিরাম আক্রমণ চলছে। লক্ষ্য হল, দেশটি থেকে ধর্মীয় এই সংখ্যালঘুদের ধীরে ধীরে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারী ও কন্যাশিশুর ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ঘৃণাবাচক (Roundup Week) বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত ও দেশছাড়া করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার বাবুদয়িং গ্রামে এক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, যেখানে আদালতের নির্দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জেরে রাতারাতি বহু পুরুষ, নারী ও শিশুকে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে (Hindus Under Attack)।

    ‘বিদেশি দানব’!

    এদিকে, প্রকাশ্য হিন্দুফোবিয়ার এক ঘটনায়, মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণু ও গণেশের ছবি কেটে দেওয়া বা ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যানার প্রদর্শন করে তাঁদের ‘বিদেশি দানব’ বলে অপমান করেছে। ওই মুখোশধারীরা যে ব্যানার দেখিয়েছিল (Roundup Week) তাতে লেখা ছিল, ডোন্ট ইন্ডিয়া মাই টেক্সাস, ডিপোর্ট এইচ-১বি স্ক্যামার্স, রিজেক্ট ফরেন ডেমনস এবং জেসাস ক্রাইস্ট ইজ মাই লর্ড (Hindus Under Attack)।

  • Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে পদক্ষেপ করল ওড়িশা (Odisha)। ১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরের জাতনি এলাকার ইনফো ভ্যালিতে স্থাপন করা হয়েছে রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের (CM Majhi) ভিত্তিপ্রস্তর। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি এবং ওড়িশার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মুকেশ মাহলিং।

    কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার (Odisha)

    কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে সিকসেম (SiCSem) প্রাইভেট লিমিটেড। এটি হবে ওড়িশার শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার জনের। এটি রাজ্যের হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি প্রকল্পটিকে ওড়িশার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় দিন। আমরা উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলাম। ইনফো ভ্যালিতে সিকসেম প্রাইভেট লিমিটেডের কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর ফেসিলিটির ভূমিপুজো আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি ওড়িশার এগিয়ে চলার নীতি, বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভাবন পরিবেশের পরিচায়ক (Odisha)।” তিনি বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি ওড়িশার সেই বৃহত্তর কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিল্প, যেমন, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির বিকাশ।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উদ্ভাবন-চালিত শিল্পকে উৎসাহিত করে এবং উচ্চ-প্রযুক্তি খাতের জন্য শক্তিশালী নীতি দিয়ে সাহায্য করে ওড়িশাকে ভারতের অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত

    তিনি বলেন, “এই প্রকল্পটি ওড়িশার জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আর প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে কোনও দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। প্রগতিশীল নীতি, আধুনিক পরিকাঠামো এবং দক্ষতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলছি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের অবিচল সমর্থন এবং আমাদের শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায়, ওডিশা ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নগাঁথায় অবদান রাখতে থাকবে — উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে একটি ‘সমৃদ্ধ ওডিশা’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে (CM Majhi)।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার রেল, সড়ক, ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম এবং সেমিকন্ডাক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওড়িশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আইআইটি ভুবনেশ্বরে একটি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণাগারও স্থাপন করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশনের (ISM) অনুমোদনে নির্মাণাধীন যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন সুবিধাটি বছরে ৬০ হাজার ওয়েফার উৎপাদন সক্ষমতা এবং ৯৬ মিলিয়ন ইউনিট প্যাকেজিং ক্ষমতা নিয়ে গড়ে উঠবে। এই ইউনিটে বৈদ্যুতিক যানবাহন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রেলওয়ে এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত জরুরি উপাদানগুলি তৈরি করা হবে (Odisha)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত সেমিকন্ডাক্টর উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে চিন, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ওপর। ভুবনেশ্বরে এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, বাড়বে দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, তেমনি মেক ইন ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের অধীনে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী (CM Majhi) হবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রকল্পটি শুধু ওড়িশার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ভারতকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এটি দেশের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি এবং মজবুত শিল্পোন্নয়নেও সহায়তা করবে।

LinkedIn
Share