Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানকে তোপ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পাকিস্তানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্ট করার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন হামলা হত এবং আমরা শুধু নিন্দা করতাম, তারপর নীরব বসে থাকতাম। কিন্তু ২৬/১১ মুম্বই হামলা এমন এক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। এটা ভারতের নীতি, চিন্তাভাবনা ও স্টাইল পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা ছিল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এরপর ভারত বুঝেছিল, পাকিস্তানের মতো দেশের পিছনে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।”

    পাকিস্তান এখনও পুরনো পথে চলছে

    চারোতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে তা তুলে ধরেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ সে সময় ভারতীয়রা সম্মিলিতভাবে অনুভব করেছিল যে প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের আচরণ আর সহ্য করা হবে না। এখনও পাকিস্তান আগের মতোই আছে। তবে আমি আশা করি তাদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।” জয়শঙ্করের কথায়, গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান এখনও তাদের খারাপ অভ্যাস থেকে বেরোতে পারেনি। তিনি বলেন, “ভারত বদলেছে। কিন্তু পাকিস্তান, দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পুরনো পথে চলছে। ভারতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই নেতিবাচক।”

    পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্টের মানে নেই

    বর্তমানে ভারত সরকার প্রকাশ্যে খুব একটা পাকিস্তান প্রসঙ্গ তোলে না, খুব কমই আলোচনা করে, কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে বলেন, “পাকিস্তান নিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই।” বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “ভারত বদলে গিয়েছে। এদিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান নানাভাবে অন্যায় কাজে লিপ্ত থেকেছে। আমি বলব, ২৬/১১ মুম্বই হামলা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আমার মনে হয়, সে সময় ভারতের জনগণ এবং সব রাজনৈতিক দল বলেছিল, এটা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।” ২০০৮ সালে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে পরোক্ষ কটাক্ষ করে জয়শঙ্কর বলেন,“আমার মনে হয় সমাজে এই অনুভূতি খুব প্রবল ছিল, কিন্তু সেই সময় সরকার হয়তো এটা পুরোপুরি বুঝতে পারেনি, সেটা আলাদা বিষয়।” রাজ্যসভার সাংসদ জয়শঙ্কর জানান, ২০১৪ সালে সরকার বদলের পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলতে থাকলে, তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভারত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্বে ভারতের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান পুরনো নীতি অনুসরণ করে চলেছে।

    ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাস

    আফগানিস্তানে আমেরিকার উপস্থিতির সময় পাকিস্তানের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, যে সন্ত্রাসের অবকাঠামো পাকিস্তান গড়ে তুলেছিল, তা পরে তাদের বিরুদ্ধেই ফিরে এসেছে। জয়শঙ্করের কথায়, “আজকের দিনে ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি। আর ওদের ব্র্যান্ড হয়ে গেছে সন্ত্রাসবাদ। আমরা সন্ত্রাসের জবাব দেব, কিন্তু কেন তাদের নিয়ে সময় নষ্ট করব?” তবে, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে ভারত যে একচুলও জমি ছেড়ে কথার বলার মেজাজে নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উঠতেই বিদেশমন্ত্রী নিরাপত্তার চ্য়ালেঞ্জকে কী ভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার পার করেছে তার খতিয়ানও তুলে ধরেন।

    সন্ত্রাসের জবাব দিতেই হবে

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সংযোজন, “২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মতো হামলা যদি বর্তমান সময়ে হত, আর আমরা যদি জবাব না দিতাম তাহলে পরবর্তী হামলার সময় কী ভাবে আমরা নিজেকে রক্ষা করতাম? সন্ত্রাসবাদীদের এটা কখনও ভাবতে দেওয়া চলবে না যে তারা সীমান্তের বাইরে রয়েছে বলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে, এমন একজন ব্যক্তিও ছিল না যে মনে করেছিল যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। তখনকার ইউপিএ সরকার শুধু দফায় দফায় আলোচনা করেছিল। অথচ কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারেনি। শুধুমাত্র এটা ভাবতে ভাবতেই সময় কাটিয়ে দেয় যে পাকিস্তান আক্রমণের খরচ পাকিস্তান আক্রমণ না করার খরচের চেয়েও বেশি।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতিতেই শক্তিশালী ভারত

    সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে কৌশল নেওয়া হয়েছে তা ২০০৮ সালের মুম্বইয় হামলার সময় থেকে পালটে গিয়েছে অনেকটাই। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়েছেন, “উরি হামলার পর ভারত কী ভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল সকলের নিশ্চই মনে আছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ধরন পালটে গিয়েছে অনেকটাই। আগে ভারত সীমান্তের উপর সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। তবে সেসব এখন অতীত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা হয়নি দেশে। বর্তমান ভারতে যে কোনও সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব দেবে।” চিন সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়া ছিল “দ্রুত, জোরালো এবং সুসংগঠিত”—যা একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিফলন।

  • Indigestion: আধুনিক যুগের রোগ-নিরাময়ে নয়া দিশা দেখাচ্ছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, কীভাবে?

    Indigestion: আধুনিক যুগের রোগ-নিরাময়ে নয়া দিশা দেখাচ্ছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং আধুনিক ব্যস্ততাময় জীবনযাত্রার কারণে বদহজমের (Indigestion) সমস্যায় ভুগছেন সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁদের হাতে কোনও স্থায়ী সমাধানও নেই। দোকানে ওষুধ কিনতে পাওয়া যায় অ্যান্টাসিড জাতীয়। অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে এতে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়। চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য অনেকেই বর্তমানে ঝুঁকছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে। বলা ভালো প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে। দেখা যাচ্ছে বর্তমানকালে দীর্ঘস্থায়ী বদহজম সমস্যার সমাধানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা (Ayurvedic Healing) পদ্ধতি বেশ ভালোই ফল দিচ্ছে।

    বদহজম (Indigestion) নিয়ে কী লেখা রয়েছে আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলিতে

    প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলি অনুসারে, বদহজম মূলত হজমের আগুন বা অগ্নির ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়। অতিরিক্ত তৈলাক্ত, মশলাদার খাবার খাওয়া, উদ্বেগ এবং ক্রোধের মতো মানসিক ব্যধির কারণে হজম অগ্নি দুর্বল হয়ে পড়ে। তখনই এটি অমা (বিষাক্ত পদার্থ) তৈরি করে। এর ফলে পেট ফেঁপে যায়, ভারী হয়, ঢেকুর ওঠে, অ্যাসিডিটি এবং ক্ষুধা হ্রাস পায়। রাসায়নিক-ভিত্তিক ওষুধের উপর নির্ভরতা এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মানুষ যতই সতর্ক হচ্ছে, বদহজমের জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রকৃতি এবং ভারসাম্যের উপর ভিত্তি করে একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সরকার…

    কোন কোন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে মিলবে সুরাহা, এবার সেগুলি নিয়েই আমরা আলোচনা করব (Indigestion)

    ত্রিফলা চূর্ণ: ত্রিফলা চূর্ণ বদহজমের সমস্যায় বেশ কার্যকরী এবং উপযোগী বলেই জানা যায়। ত্রিফলা চূর্ণ আসলে তৈরি হয় আমলকি হরিতকি এবং বিভিতকি দিয়ে। আয়ুর্বেদিক এই মিশ্রণ বদহজমে দুর্দান্ত কাজ দেয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে হজম শক্তিকে উন্নত করতে ও পেটের রোগের সমাধানেও এর জুড়ি মেলা ভার।

    জোয়ান এবং মৌরি: খাবারের পরে (Indigestion) ভাজা জোয়ান এবং মৌরির মিশ্রণ চিবিয়ে খেলে তা হজমে সাহায্য করে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মিশ্রণের নিয়মিত ব্যবহারে পেট ফাঁপা কম হয় এবং অ্যাসিডিটির সমস্য়া (Ayurvedic Healing) থেকেও মুক্তি মেলে।

    জিরে-তুলসী চা: জিরার বীজ এবং তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি চা, বদহজমে ভালো সুফল দেয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই চা পেট খারাপের মতো রোগ দূর করে এবং হজম শক্তি উন্নত করে।

    টকরা: আয়ুর্বেদের এই উপাদানকে অন্ত্রের জন্য অমৃত বলা হয়। হজম শক্তি বাড়ানোর এই উপাদান ভাজা জিরে, কালো লবণ এবং পুদিনা দিয়ে তৈরি করা হয়। একে মশলা বাটারমিল্কও বলা হয়ে থাকে। খাবারের পরে এটি পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অভ্যঙ্গ (তেল মালিশ): উষ্ণ তিলের তেল দিয়ে শরীর প্রতিদিন মালিশ করলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয় বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এরফলে উদ্বেগজনিত বদহজম হ্রাস পায়।

    পঞ্চকর্ম ডিটক্স পদ্ধতি: দীর্ঘস্থায়ী হজমজনিত সমস্যার জন্য, আয়ুর্বেদিক কেন্দ্রগুলি পঞ্চকর্মের পরামর্শ দেয়। পঞ্চকর্ম হলো আয়ুর্বেদের একটি পুরনো ডিটক্সিফিকেশন বা শরীর পরিষ্কারের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পাঁচটি পদ্ধতির মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করা হয়। এগুলি হল-

    ১. বামন: চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বমির মাধ্যমে শরীর পরিষ্কার করা।
    ২. বিরেচন: চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শোধন বা purgation এর মাধ্যমে অন্ত্র পরিষ্কার করা।
    ৩. বাস্তি: ভেষজ তেল বা অন্য কোনও তরল পদার্থ দিয়ে কোলন বা বৃহদান্ত্র পরিষ্কার করা।
    ৪. নিষ্ঠা: নাকের মাধ্যমে স্নায়ু এবং সংবেদী অঙ্গ পরিষ্কার করা।
    ৫. রক্তমোক্ষণ: শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে দেওয়া।

    বদহজম থেকে বাঁচতে এগুলি করতে হবে

    ● পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে জল (প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস)

    ● প্রতিদিন নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট শারীরিক অনুশীলন করলে বদ হজম বা পেট ফাঁপা কমবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ● একেবারে পেট পুরে না খাওয়া। অল্প অল্প করে বেশি বারে খেতে হবে।

    ● খাওয়ার সময় মুখ বন্ধ করে খাবারগুলি ভালো করে চিবিয়ে গিলতে হবে।

    ● কফি বা চা পান না করলে ভালো হয়।

    ● মদ বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতেই হবে।

    ● রাতের খাবার হালকা হতে হবে।

    ● রাতের খাবার বেশি রাতে খাওয়া যাবে না। সন্ধ্যার কিছু পরেই সেরে ফেলতে হবে।

    ● ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে না।

    ● অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

    ● কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে তা এড়িয়ে চলতে হবে।

  • National Herald Case: বিপাকে সনিয়া-রাহুল, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধীদের হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড!

    National Herald Case: বিপাকে সনিয়া-রাহুল, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধীদের হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) অস্বস্তি বাড়ল সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার ওই মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চার্জশিটে নাম রয়েছে সনিয়া ও রাহুলের। নাম রয়েছে কগ্রেসের ওভারসিজ ইউনিটের প্রধান শ্যাম পিত্রোদারও। নাম আছে কংগ্রেস নেতা সুমন দুবের। আগামী ২৫ এপ্রিল বিশেষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি।

    আদালতে চার্জশিট পেশ ইডির

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই প্রথম বার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। টাকা তছরুপের মামলায় মঙ্গলবার জেরা করা হয় সনিয়ার জামাই রবার্ট বঢরাকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া এবং সাংসদ রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি। এপ্রিলের শুরুর দিকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা করেছিল ইডি। বিশেষ বিচারক বিশাল গগনে সেই চার্জশিট পর্যালোচনা করেন। তার পরেই মঙ্গলবার তা গৃহীত হয়। বিশেষ বিচারক বিশাল জানিয়েছেন, ওই দিন কেস ডায়েরি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে তদন্তকারী অফিসার এবং ইডির আইনজীবীকে।

    কী কী রয়েছে ইডির চার্জশিটে

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ২০১৭ সালের আয়কর মূল্যায়ন আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের চার্জশিটে অভিযোগ করেছে যে, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) এবং ইয়ং ইন্ডিয়ানের প্রধান কর্মকর্তাদের সাথে, তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি পাবলিক কোম্পানি এজেএল-এর ২,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের জন্য একটি “অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র” করেছিলেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই এমনটাই জানিয়েছে। ইডি উল্লেখ করেছে যে, এজেএল-এর ৯৯ শতাংশ শেয়ার মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইয়ং ইন্ডিয়ান-একটি বেসরকারি সংস্থায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। ইয়ং ইন্ডিয়ানে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর প্রত্যেকের ৩৮ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে, বাকি ২৪ শতাংশ যৌথভাবে ছিল প্রয়াত মতিলাল ভোরা এবং অস্কার ফার্নান্দেজের, যাদেরকে ইডি গান্ধী পরিবারের “ঘনিষ্ঠ সহযোগী” বলে বর্ণনা করেছে।

    কর ফাঁকির অভিযোগ

    চার্জশিটে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, অভিযুক্তরা ৯০.২১ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ, যা আগে এআইসিসি কর্তৃক এজেএলকে দেওয়া হয়েছিল, তা ৯.০২ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তর করার ষড়যন্ত্র করেছিল, যা পরে নামমাত্র মূল্যে ইয়ং ইন্ডিয়ানে স্থানান্তরিত করা হয়। ইডির দাবি, এই পদক্ষেপ কার্যকরভাবে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে এজেএলের বিশাল রিয়েল এস্টেট সম্পদের “লাভজনক মালিকানা” প্রদান করেছে। যদিও ইয়ং ইন্ডিয়া কোম্পানি আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত ছিল। ইডি বলেছে যে কোম্পানিটি কোনও দাতব্য কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। চার্জশিটে ২০১৭ সালের আয়কর মূল্যায়ন আদেশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা হয় ইয়ং ইন্ডিয়া ৪১৪ কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত পিএমএলএ আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারার আওতায় আর্থিক নয়ছয় ও তার জন্য শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন ইডির বিশেষ সরকারি কৌঁসুলী এনকে মাত্তা ৷ এদিন বিচারক বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করা হোক৷” পরবর্তী শুনানির মধ্যে বিচারক গগনে ইডিকে অভিযোগের সফ্ট কপি ও তথ্যগুলির ওসিআর ফরম্যাট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷

    ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    সম্প্রতি এই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সনিয়া এবং রাহুলের ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে ইডি। শনিবারই দিল্লি, মুম্বই ও লখনউয়ের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়। কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের (AJL) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্তে নেমে এই স্থায়ী সম্পত্তিগুলি নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে ইডি। দিল্লি ও মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় বাড়ি, লখনউয়ের বিশ্বেশ্বরনাথ রোডে এজেএল বিল্ডিং এবং দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে ন্যাশনাল হেরাল্ড হাউস নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে ইডি। সেজন্য ওইসব সম্পত্তি খালি করতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী

    এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ইডি দিল্লি, মুম্বই ও লখনউতে মোট ৬৬১ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ৯০.২ কোটি টাকার এজেএল শেয়ার প্রাথমিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে। ২০১৪ সালের ২৬ জুন নয়া দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পাটিয়ালা হাউস কোর্টের জারি করা নির্দেশের ভিত্তিতে ২০২১ সালে ইডি এই মামলার তদন্ত শুরু করে। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন, যার ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড হল এজেএল প্রকাশিত একটি সংবাদমাধ্যম। ইয়ং ইন্ডিয়ানের মালিকাধীন এই সংবাদমাধ্যম। ইয়ং ইন্ডিয়ানে ৩৮ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে সনিয়া ও রাহুলের। অভিযোগ, এজেএল নামে যে সংস্থার হাতে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।

    রাজনৈতিক দল হয়ে বাণিজ্যিক সংস্থাকে ঋণ কীভাবে

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald Case) সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সোনিয়া, রাহুল এবং কংগ্রেস নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা। ইয়ং ইন্ডিয়ান মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এজেএলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, যার সম্পত্তির মোট মূল্য ২,০০০ কোটিরও বেশি। কিছুদিন পর কংগ্রেসের তরফে ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস এমনটা করতে পারে না। স্বামীর যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাই তারা কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে ঋণ দিতে পারে না। কারণ তারা নিজেরা ঋণ দেয় না। ২০২১ সালে টাকা নয়ছয়ের তদন্ত শুরু করে ইডি।

    সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট তাৎপর্যপূর্ণ

    ইতিমধ্যে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) ইডি রাহুল এবং সোনিয়াকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শেষবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। তাঁর মাকেও ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড (ওয়াইআইএল)-এ তার ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার হরিয়ানার একটি রিয়েল এস্টেট চুক্তির সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তকারী সংস্থা ব্যবসায়ী রবার্ট বঢ়রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আগামিকাল ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। রবার্ট, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির স্বামী, রাহুল গান্ধির শ্যালক। এই জিজ্ঞাসাবাদের কিছুক্ষণের মধ্যেই সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Poswuyi Swuro: তাঁর গ্রামেই ছিলেন নেতাজি, প্রয়াত হলেন নাগাল্যান্ডে সুভাষের সহযোগী পসউই স্বুরো

    Poswuyi Swuro: তাঁর গ্রামেই ছিলেন নেতাজি, প্রয়াত হলেন নাগাল্যান্ডে সুভাষের সহযোগী পসউই স্বুরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাল্যান্ডে প্রয়াত হলেন পসউই স্বুরো (Poswuyi Swuro)। যিনি ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর শেষ জীবিত সহযোগী। ১৫ এপ্রিল বিকেল ৪:০৩ মিনিটে নিজের রুজাঝো গ্রামের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, পসউই স্বুরো নাগাল্যান্ডের একটি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের একটি বড় স্তম্ভ ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন তিনি। আজাদ হিন্দ ফৌজকে ভারত ভূমিতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) সঙ্গে কাটিয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন। ইতিহাসে তাঁর অবদান ভোলার নয়। চল্লিশের দশকে নাগাল্যান্ডে যখন আজাদ হিন্দ বাহিনী পৌঁছায় তখন তিনি নেতাজির দোভাষী হিসেবে কাজ করেছিলেন। একইসঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজকে নাগাল্যান্ডে গাইডও করেছিলেন বলে জানা যায়।

    তাঁর গ্রামে নেতাজি ছিলেন ন’দিন

    তাঁর ওই গ্রামে নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) ছিলেন ধারাবাহিকভাবে নয় দিন। এই সময়ে স্থানীয় নাগা নেতৃত্বের সঙ্গে নেতাজির যে বৈঠক হত সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন পসউই স্বুরো (Poswuyi Swuro)। নেতাজির সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেই তিনি কাজ করতেন। বহু ভাষায় তাঁর জ্ঞান ছিল বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি তাঁর দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান পসউই স্বুরোকে এক বিশেষ জায়গা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষজন তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন। দশকের পর দশক ধরে তিনি জনসেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা, সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁর কাছে ভিড় উপচে পড়ত। ইতিহাসবিদ থেকে গবেষক প্রত্যয়কেই যেতেন তাঁর কাছে। তাঁরা উদগ্রীব হয়ে শুনতেন নেতাজির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

    নেতাজির নির্দেশে সংগ্রহ করতেন খাবার (Poswuyi Swuro)

    নেতাজি সঙ্গে তাঁর দিনগুলো ঠিক কেমন কাটত? রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ক্ষেত্রীয় প্রচারক সুনীল মহন্তর সঙ্গে পসউই স্বুরো এক বৈঠকে বসে ছিলেন। সেখানেই তিনি নেতাজি তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের অনেক অজানা কাহিনী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘নেতাজির নির্দেশেই আমি বিভিন্ন গ্রামে যেতাম। সৈন্যদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতাম।’’ এমন স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রয়াণে নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা তেমজেম ইমনা, গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর (Poswuyi Swuro) অবদানকে স্মরণ করেছেন।

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ইডির

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল ইডি (ED)। এই প্রথম তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে ২৫ এপ্রিল। চার্জশিটে নাম রয়েছে কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদা এবং সুমন দুবের। শনিবার এই মামলায় সোনিয়া ও রাহুলের ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবারই টাকা তছরুপের মামলায় জেরা করা হয় সোনিয়ার জামাই রবার্ট বঢরাকে। তার পরেই সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি।

    ইডির চার্জশিট (National Herald Case)

    চলতি মাসের শুরুর দিকে ন্যাশলান হেরাল্ড মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেটি পর্যালোচনা করেন বিশেষ বিচারক বিশাল গগনে। সেটি গৃহীত হওয়ার পরে স্থির হয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ এপ্রিল। বিশেষ বিচারক জানান, ওই দিন কেস ডায়েরি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসার ও ইডির আইনজীবীকে।প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। দিল্লি, মুম্বইয়ের বান্দ্রার বেশ কিছু জায়গা, লখনউয়ের বিশেশ্বর নাথ রোডের এজেএল বিল্ডিং খালি করার জন্য বিজ্ঞপ্তিও সেঁটে দেওয়া হয়েছে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সূত্রপাত

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার (National Herald Case) সূত্রপাত বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর করা মামলা থেকে। তাঁর অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা এজেএলের বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। এর সিংহভাগ টাকাটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় সংবাদপত্রটির। সেই অবস্থায় সংস্থাটি অধিগ্রহণ করেন সোনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা। এরপর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। কোটি কোটি টাকা দেনার দায়ও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছুদিন পরে দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা (ED) মকুব করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এই টাকা নয়ছয়ের তদন্ত শুরু করে ইডি (National Herald Case)।

  • BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। এনিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি (BJP) নেতার মতে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনবিন্যাসই বদলে যাচ্ছে। এক সময় যারা ভারত ‘নাপাক’ বলে থাকতে চায়নি এদেশে, তাদেরকেই ফের টেনে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এভাবেই অভ্যর্থনা জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এভাবেই তাদের রাজ্যে টেনে আনছে শাসক দল।’’

    ১৯৪৬ সালের দিন ফিরিয়ে আনছে মমতা সরকার, তোপ শমীকের

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের (BJP) মত, সীমান্তের জেলাগুলিতে যে ধরনে অশান্তি হচ্ছে, তাতে ১৯৪৬ সালে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর প্রতিফলন ধরা পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই সময়ে (১৯৪৬) রাজ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য (BJP) বলেন, ‘‘সীমান্ত অঞ্চলের জনবিন্যাস সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা বর্তমানে কোথায় বাস করছি? এই জায়গা এক সময় রক্তাক্ত হয়েছিল গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই অবস্থাকে ফের ফিরিয়ে আনছে।’’

    মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের ভিটেমাটি ছাড়ার ছবি সামনে এসেছে

    প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করে। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে নামে তাণ্ডব দেখা যায় জেলাজুড়ে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন (Samik Bhattacharya)। সেখানকার স্থানীয় হিন্দুদেরকে নিজেদের ভিটেমাটিও ছাড়তে হয়েছে। তা ধরা পড়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সৌজন্যে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ট্যাঙ্কের জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) এমনই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা জলের ট্যাঙ্কগুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা। এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই কারণ তারা ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে।

  • Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

    Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভেল্লোর জেলার আনাইকাট্টু তালুকের কট্টুকোল্লাই গ্রামে হঠাৎ এক নোটিশ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫০টি পরিবার সম্প্রতি এমন একটি নোটিশ পেয়েছেন, যেখানে তাদের বসবাসের জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা ভেল্লোর জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। নোটিশটি সাঈদ আলি সুলতান শাহ নামে এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কট্টুকোল্লাই গ্রামের জমি একটি স্থানীয় দরগার সম্পত্তি এবং গ্রামবাসীদের হয় সেই জমি ছেড়ে চলে যেতে হবে, অথবা দরগাকে কর (ট্যাক্স) দিতে হবে।

    অযৌক্তিক দাবি

    গ্রামবাসীদের কথায়, তারা প্রায় চার প্রজন্ম ধরে তামিলনাড়ুর ওই গ্রামে বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশের কাছেই সরকারি দলিলপত্র রয়েছে। তারা কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এবং এই জমিই তাদের একমাত্র জীবিকা। এই দাবির ফলে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হিন্দু মুনানির নেতা মহেশ এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন এবং প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই গ্রামে চার প্রজন্ম ধরে মানুষ বসবাস করছেন। তাদের কাছে সব ধরনের সরকারি দলিল আছে। অথচ এখন সার্ভে নম্বর ৩৩০/১-এর জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে।” তিনি প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের নামে ‘পাট্টা’ (মালিকানা দলিল) জারি করার দাবি জানান, যাতে তাদের বসবাস এবং জীবিকা সুরক্ষিত থাকে।

    এই দাবি নতুন নয়, তাই ওয়াকফ বিল

    তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লি জেলার থিরুচেন্দুরাই গ্রামেও সম্প্রতি ওয়াকফ বোর্ড প্রায় ৪৮০ একর জমি এবং একটি ১৫০০ বছরের পুরনো চোল যুগের মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করে। সেখানেও গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছিল, তারা জমি বিক্রি করতে পারবেন না, যদি না ওয়াকফ বোর্ড থেকে ‘না-আপত্তি সনদ’ (NOC) নেন। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, ১৯৫৪ সালের সরকারি জরিপ অনুযায়ী তাদের মালিকানায় রাজ্যের ১৮টি গ্রামে প্রায় ৩৮৯ একর জমি রয়েছে। তবে এসব দাবি বহু বাসিন্দার কাছে অজানা ছিল, যতক্ষণ না তারা জমি বিক্রির উদ্যোগ নেন। এই ইস্যুটি জাতীয় স্তরেও আলোড়ন তোলে। সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল আলোচনা চলাকালে বিষয়টি তুলে ধরেন। সংসদে ১২ ঘণ্টার বিতর্কের পরে, উক্ত বিল দুই কক্ষে পাশ হয় এবং ৫ই এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেওয়ার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

     

     

     

     

     

     

  • Delhi: স্কুলে বেআইনি ফি বৃদ্ধি নিয়ে কড়া অবস্থান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার

    Delhi: স্কুলে বেআইনি ফি বৃদ্ধি নিয়ে কড়া অবস্থান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) স্কুল ফি বৃদ্ধি (School Fee Hike) এবং অভিভাবক ও ছাত্রদের হয়রানির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। সোমবার এক জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ধরনের অন্যায় সহ্য করা হবে না এবং দোষী স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ছাত্রদের হুমকি দিয়ে বা অস্বাভাবিকভাবে ফি বাড়ানো যাবে না। ফি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম ও বিধিনিষেধ আছে এবং সেগুলো না মানলে সেই স্কুলকে ভুগতে হবে। আমরা অভিযুক্ত স্কুলগুলোকে নোটিশ পাঠাবো।”

    বেআইনি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ

    এদিনের অনুষ্ঠানে কুইন মেরি স্কুল, মডেল টাউনের একদল অভিভাবক অভিযোগ করেন, বেআইনি ফি (School Fee Hike) বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার কারণে তাঁদের সন্তানদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী একজন সরকারি আধিকারিককে নির্দেশ দিচ্ছেন ওই স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আরও বলেন, “দিল্লি (Delhi) সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সমান সুযোগ এবং শিশুদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্যায়, শোষণ এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের নীতি একদম স্পষ্ট — জিরো টলারেন্স। প্রতিটি শিশুর ন্যায্যতা, সম্মান এবং মানসম্মত শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।”

    কেন এই অবস্থা

    দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা সম্প্রতি অভিযোগ করেন, “দিল্লিতে ১,৬৫০-র বেশি বেসরকারি স্কুল রয়েছে, কিন্তু কেজরিওয়াল সরকার বছরে মাত্র ৭৫টি স্কুলের হিসাবই অডিট করতে পেরেছে। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলই ফি বৃদ্ধি (School Fee Hike) করেছে।” এখন দেখার বিষয়, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি স্কুলগুলোর প্রভাব ব্যাপক। তাই এইসব স্কুলে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কাছে অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। স্কুলগুলি যাতে নিয়মের মধ্যে থাকে এবার সেদিকেই নজর দিয়েছে রাজধানীর বিজেপি সরকার।

  • Pune: প্রখর গ্রীষ্মে পুনের আদিবাসী গ্রামে আজও নেই ফ্যান, মিশন উর্জার আওতায় সৌর পাখা চালুর পরিকল্পনা

    Pune: প্রখর গ্রীষ্মে পুনের আদিবাসী গ্রামে আজও নেই ফ্যান, মিশন উর্জার আওতায় সৌর পাখা চালুর পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তানভীর ইনাম্দার। ২৮ বছর বয়সি এই ইঞ্জিনিয়ার ২০২০ সালে পৌঁছে যান পুনের (Pune) ভালানি নামের গ্রামে। এই গ্রাম একেবারে আদিবাসী সম্প্রদায় অধ্যুষিত। সেখানেই তিনি একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যান মিশন উর্জার আওতায়। গ্রামবাসীদেরকে বলেন, আমি তোমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আনতে চাই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে স্বাধীনতার এতদিন পরেও পুনে শহরের কেন্দ্র থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে তখনও পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো। এই গ্রামটি সভ্যতার আলো থেকে অনেকটাই দূরে ছিল। ছিল না কোনও সুযোগ সুবিধা। আদিবাসী সমাজ সমস্ত কিছু আশা ছেড়ে দিয়েছিল যে তাদের ক্ষেত্রে হয়তো এভাবেই আগামী দিনগুলো কাটতে হবে। কিন্তু মিশন উর্জাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছান ওই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সেটা ছিল মে মাস। মহারাষ্ট্রে চলছিল তাপপ্রবাহ। ওই গ্রামের বাড়িগুলি কাঠ এবং কাদা দিয়ে নির্মাণ করা হয়। বাড়িগুলোতে গ্রীষ্মের তাপ ব্যাপক পরিমাণে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতরে যত মানুষের ভিড় বাড়ে তত বেশি গরম বাড়ে। ঘাম তত তীব্র হয়। মিশন উর্জার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তানভীর এবং তার দল অস্বস্তিতে পড়ে যায়। তানভীর আদিবাসী পরিবারগুলোকে জিজ্ঞেস করেন যে একটু পাখা করে সাহায্য করবে কিনা। তখন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন এদিক ওদিক তাকাতে থাকেন এবং তাঁরা বলতে থাকেন পাখা (Tribal Villages) আবার কি!

    গ্রামের যুবক অক্ষয়ের স্বপ্ন সে তার মাকে পাখা কিনে দেবে (Pune)

    এরপরেই তাঁরা চলে যান স্থানীয় অক্ষয় যাদবের বাড়িতে। অক্ষয়ের বয়স কুড়ির কোঠায়। কিন্তু তার চোখে মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। খুব একটা ভালো নেই তার মায়েরও অবস্থা। ঘরে গ্যাস নেই। স্বাভাবিকভাবে উনোনের সাহায্যে রান্না করতে হয়। ইট এবং মাটি দিয়ে তৈরি উনুন। রান্না হয় ঘুঁটে দিয়ে। অক্ষয়ের মা এভাবেই প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা ধরে রান্না করেন। প্রতিদিন রান্নার সময় ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। বায়ু দূষণ হয়। এর ফলে ফুসফুসে নানা রোগও দেখা যায়। বাড়িতে পাখা না থাকা সত্ত্বেও সেই ধোঁয়া বের হওয়ার কোন রাস্তাও নেই। অক্ষয়ের মনে সংকল্প রয়েছে যে সে তার মাকে একদিন পাখা কিনে দিতে পারবে। আদিবাসী সমাজের মানুষগুলো (Pune) এই গ্রামে এভাবেই থাকেন।

    গ্রামের পরিবারগুলির আয় ১৮০০ টাকা

    ওই গ্রামে গিয়ে তানভীর জানতে পারেন যে এই গ্রীষ্মের কারণে যে পাখা (Pune) তিনি চেয়েছেন তা এখানকার মানুষজনের আর্থিক সামর্থ্যের একেবারে বাইরে। এই গ্রামের পরিবারের মানুষজনের মাসে আয় মাত্র ১,৮০০ টাকা। একথা সত্যিই ভাবা যায় না ২০২৫ সালে এসে পরিবারের আয় ১,৮০০ টাকা। তবে আদিবাসী পরিবারগুলো বলছেন, এতেই তাদের জীবিকা নির্বাহ চলে যায়। এই গ্রামের মানুষ গ্রীষ্মের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির বাইরে বাড়ির বাইরে বসে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু সেখানেও অনেক সমস্যা। কারণ গ্রামটিতে বিছে, সাপ, পোকামাকড় অনেক কিছুই ভর্তি। এভাবেই গ্রামের একজন মানুষ সোনু যাদব জানিয়েছিলেন যে তার প্রতিবেশীকে একবার একটি সাপে কামড়ে ছিল। যার ফলে পুরো গ্রাম নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। তাপপ্রবাহের কারণে পুনের পারদ চড়তেই থাকে। মে মাসে যেন রাস্তায় বের হওয়া যায় না। এমন আবহাওয়াতে স্বস্তির প্রয়োজন। তাই ওই গ্রাম বর্তমানে অপেক্ষা করছে সৌর পাখার জন্য।

    ৫ বছরে অনেকটাই উন্নতি করেছে এই গ্রাম

    নগর জীবনের আধুনিকতা থেকে অনেক দূরে থাকা এই মুলসি গ্রাম গত পাঁচ বছরে তবে অনেকটাই উন্নতি করেছে। এ গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনও সুযোগই ছিল না। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তানভীর ব্যাখ্যা করছেন যে আমরা গ্রামের অনেক বাড়িতেই সৌর ব্যবস্থা স্থাপন করতে পেরেছি এবং এর পুরোটাই হয়েছে মিশন উর্জার অধীনে। জানা যাচ্ছে বিদ্যুৎ যখন প্রাথমিক পর্যায়ে তখন থেকেই তানভীর ভালানি এবং অন্যান্য গ্রামের বাড়ির ছাদ পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়াতে থাকেন। অনেকের বাড়িতে তিনি টেলিভিশনও চালু করেন।

    কী বলছেন তানভীর?

    এ নিয়ে তানভীরের মত হল, ১৯৫০ সালের দিকে ভারতবর্ষে টেলিভিশন এসেছিল কিন্তু এই গ্রামগুলি কখনও টিভি চোখে দেখেনি। আমরা যে টিভিগুলিকে চালু করেছি সেগুলো এলইডি টিভি নয়। বরং ভারতীয় বাড়িতে এক সময়ে যে জনপ্রিয় পুরনো টিভিগুলি দেখা হতো সেগুলি। তানভীর আরও বলেন, ৯০ দশকে যেমন পাড়ার পরিবার একটি ব্যক্তির বাড়িতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে একত্রিত হত। বর্তমানে মুলশি গ্রামেও একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। যে বাড়িতে টিভি আছে আশেপাশের লোকজন সেখানে জমায়েত করছে। জানা গিয়েছে, মিশন উর্জার (Pune) মাধ্যমে ভারতের ২৮০ গ্রামের পরিবারকে বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এখানকার জীবন সম্পূর্ণ আলাদা। তা বাকি ভারতবর্ষের অন্যান্য শহর অঞ্চলের জীবনের সঙ্গে একেবারেই মিলছে না। এটা তানভীর ভালো করেই লক্ষ্য করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে আদিবাসীরা প্রখর গ্রীষ্মের কারণে চর্মরোগ দেখেও বিভ্রান্ত হন না। তাঁরা বলেন, এটা গরমের কারণে হচ্ছে। প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং তার কারণেই হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে তাঁরা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন। তাঁদের মাথা ঘুরতে থাকে। তাঁদের বমি বমি ভাব পায় এবং এবং এটি তাদের জীবনকে অনেকভাবে কষ্ট দেয়। সৌর পাখার মাধ্যমে পুনের ওই গ্রামগুলিতে গরম অনেকটাই কমাতে চান তানভীর এবং তাদের জীবনটাকে নতুন মাত্রায় আনতে চান।

    ৫০০ পরিবারের হাতে সৌর পাখা বিতরণ করা হবে (Pune)

    কাশি, মালে, ভালানি প্রভৃতি গ্রামের ৫০০ পরিবারের হাতে সৌর পাখা বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই গ্রামগুলি পাহাড়ি পরিবেশে গড়ে উঠেছে। এই জায়গাগুলিতে খুব বেশি পরিমাণে হাওয়া বাতাস ও খেলে না। তাই গ্রীষ্মকাল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। পরিবারগুলিকে যে সৌর পাখা দেওয়া হবে সেগুলো পরীক্ষা করা হবে এবং এই পাখাগুলিতে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন তানভীর। তা ধাতু দিয়ে তৈরি করা হবে। পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টিও থাকবে। মুলসির মানুষ এখন আনন্দে রয়েছেন এটা ভেবে তাদের গ্রামে আসছে পাখা।

LinkedIn
Share