Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর এই বক্তব্যে এবার সমর্থন জানালেন শিবসেনা নেত্রী সাইনা এন.সি (Shaina NC)।

    কী বললেন শিবসেনা নেত্রী (Shaina NC)?

    শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে সাইনা এনসি (Shaina NC) বলেন, “দত্তাত্রেয় হোসাবলের বক্তব্য আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। সংবিধানের প্রস্তাবনায় প্রথম থেকেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বা ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দদুটি ছিল না। এই শব্দ দুটি সংযোজন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই পরিবর্তন করে।” তিনি আরও বলেন, “ড. বি. আর. আম্বেদকর-এর নেতৃত্বে যে খসড়া কমিটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিল, তাদের মূল প্রস্তাবনায় এই শব্দ দুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেই মূল প্রস্তাবনাই ফিরিয়ে আনা উচিত।” সাইনা এন.সি.-র মতে, “ভারত একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক দেশ — এই পরিচয়ই যথেষ্ট। ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি অপ্রয়োজনীয়।”

    কী বলেছিলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে?

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

  • Indian Skilled Manpower: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, প্রস্তুত কী এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা?

    Indian Skilled Manpower: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, প্রস্তুত কী এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের (Indian Skilled Manpower) চাহিদা প্রচুর। শুক্রবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন (Maharashtra Governor CP Radhakrishnan)। এদিন এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অবিচল প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা এবং সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণই পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রম ও উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সন্দেহ নেই; কিন্তু দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে পারে না। মানবসম্পদ আমাদের উন্নতি ও অগ্রগতির অন্যতম চাবিকাঠি।” এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২২টি দেশের ৮২ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

    কাজ উপভোগ করার অভ্যাস

    পৃথিবী বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে সমাজ ও মানুষ, তাদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা, বদলে যাচ্ছে মানবসম্পদের (Indian Skilled Manpower) চাহিদা ও জোগান। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন বলেন, “যখন কেউ একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে, তখন সেই লক্ষ্যের প্রতি একাগ্র থাকতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখে ধৈর্য হারানো যাবে না। যারা এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে, তাদের সাফল্য নিশ্চিত। জীবনে হতাশা বা ক্লান্তি আসতেই পারে, কিন্তু সেখানে থেমে গেলে চলবে না। প্রতিটি প্রচেষ্টাই জীবনের জন্য উপকারী। সুখী মন কর্মে উৎসাহ ও শক্তি যোগায়। কাজ উপভোগ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”

    ভারতের দক্ষ জনশক্তিকে আহ্বান

    রাজ্যপাল আরও বলেন, “আজ বিশ্বের বহু দেশ তাদের শিল্পক্ষেত্রের চাহিদা মেটাতে ভারতীয় দক্ষ জনশক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছে। এই সুযোগ গ্রহণের জন্য ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বল্পমেয়াদি ভাষা কোর্স—জার্মান, ফরাসি, জাপানি, ম্যান্ডারিন, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ইত্যাদিতে শুরু করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এটি আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেবে।” পুনে শহর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এই শহর একটি বড় অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, মিডিয়া ও ক্ষুদ্র শিল্পের কেন্দ্র। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে।”

     

     

     

     

  • Bipodtarini Puja 2025: বিপদ থেকে উদ্ধার পেতেই আরাধনা দেবী বিপত্তারিণীর, জানেন এই পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    Bipodtarini Puja 2025: বিপদ থেকে উদ্ধার পেতেই আরাধনা দেবী বিপত্তারিণীর, জানেন এই পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ঘরে ঘরে আজ, শনিবার পালিত হচ্ছে বিপত্তারিণী ব্রত (Bipodtarini Puja 2025)। বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য দেবী বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথের মাঝে মঙ্গল ও শনিবার পালিত বিপত্তারিণী ব্রত। স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলকামনায় দেবীর পুজোপাঠ ও ব্রতপালন করেন গৃহিণীরা। বিশ্বাস করা হয়, বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়।

    দেবী দুর্গারই উপাসনা

    দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। দেবীকে কখনও দশভুজা রূপে পুজো করা হয়, কখনও আবার চতুর্ভুজা রূপে পুজো করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি মতে, দেবাদিদেব মহাদেব দেবী পার্বতীকে কালী বলে উপহাস করলে দেবী ক্রুদ্ধ হন। ক্রুদ্ধ দেবী তখন তপস্যাবলে নিজের কৃষ্ণবর্ণ রূপ ত্যাগ করেন। সেই মুহূর্তে দেবী পার্বতীর শরীর থেকেই সৃষ্টি হন দেবী বিপত্তারিণী। দেবী বিপত্তারিণীর উপাসনা করা মানে দেবী দুর্গারই উপাসনা করা।

    ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    এই ব্রত (Bipodtarini Puja 2025) পালনের বিশেষ নিয়ম হল দেবী বিপত্তারিণীকে সব কিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হবে। ১৩ রকমের নৈবেদ্য সাজাতে হয়। এ ছাড়া লাগে তেরো রকম ফল, তেরো রকম ফুল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। ব্রত পালনের দিন চাল-মুড়ি-চিঁড়ে জাতীয় কোনও জিনিস খাওয়া যায় না। বদলে ১৩টি লুচি ও ফল দেবীর প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে হয়। কথিত রয়েছে, মা বিপত্তারিণীর পছন্দের সংখ্যা হল ১৩। সে কারণেই এই পুজোয় দেবীর কাছে সমস্ত জিনিস ১৩টি করে অর্পণ করা হয়। শাস্ত্রমতে, ১৩ সংখ্যাটি ব্যবহার করলে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা যাবে। এতে যে কোনও বিপদ থেকে দেবী আমাদের রক্ষা করবেন। ১৩ সংখ্যাটিকে দেবী বিপত্তারিণীর আশীর্বাদ ও সুরক্ষার প্রতীক মনে করা হয়।

    লাল রঙের তাগা কেন বাঁধা হয়

    বিপত্তারিণীর পুজো (Bipodtarini Puja 2025) শেষে হাতে লাল তাগা বাঁধার চল রয়েছে। মেয়েরা এই তাগা বাঁ হাতে পরেন আর ছেলেরা ডান হাতে পরেন। সেই তাগাতেও ১৩টি গিঁট বাঁধা হয়। সেই ১৩টি গিঁটে দেবী দুর্গার ১৩টি রূপে বিরাজ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। ১৩টি গিঁট ছাড়াও তাতে ১৩টি দূর্বাঘাস বাঁধা হয়। এই তাগা অনেকে সারা বছর ধরে পরে থাকেন, অনেকে আবার তিন দিন পরার পর নদী বা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে বিপদ কোনও দিন আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

    ব্রত পালনে কী কী লাগে?

    ঘট, আম্র পল্লব, শীষ সহ ডাব, একটি নৈবেদ্য, ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (সঙ্গে ১ত টি দূর্বা বাঁধা), ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ গাছি লাল সুতো, ১৩টি দূর্বা, ১৩টি পান ও ১৩টি সুপুরি।

    বিপত্তারিণী পুজোর দিন কী করবেন না

    বিপত্তারিণী পুজোর (Bipodtarini Puja 2025) দিন এবং আগের দিন আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ ব্রতপালনের দিন ব্রতীরা চালজাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ বাড়িতে বা মন্দিরে দু’ জায়গাতেই এই ব্রতপালন করা যায়। বিপত্তারিণী পুজোর সময় কথা বলবেন না৷ এতে পুজোর নিষ্ঠা এবং একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটে৷ ফলে দেবী রুষ্ট হন। এই তিথিতে কাউকে ধার দেবেন না৷ কারওর কাছ থেকে ধার নেবেন না। কোনও অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। নয়তো ঘরের সুখ ও শান্তির নষ্ট হয়। বিপত্তারিণী পুজোর সময় কখনই কাউকে অপমান করবেন না। এমনকি এদিন কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। এই পুজোর দিন পরিবারের কোনও সদস্যের মদ্যপান করা এড়ানো উচিত। বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চিনির শুক্র এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে শুক্র বস্তুগত সুখের কর্তা। তাই এদিন চিনি দিলে শুক্র দুর্বল হয় এবং সংসারে অশান্তির পাশাপাশি আর্থিক সংকট দেখা দেয়।

  • PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই পাঁচটি দেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জুলাই মাসের এই বিদেশ সফরের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। এবার ব্রিকস (BRICS Summit) সম্মেলন হচ্ছে ব্রাজিলে। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথে তিন দেশ এবং আসার পথে একটি দেশ ঘুরে ভারতে ফিরবেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি।

    যাওয়ার পথে কোন কোন ৩ দেশ (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, আগামী ২ জুলাই রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথমে যাবেন পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায়। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী গত তিন দশকে ঘানায় পা রাখেননি। এই সময়সীমায় মোদিই প্রথম। ২-৩ জুলাই তিনি থাকবেন ঘানায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল ঘানার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বন্ধন জোরদার করা, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করা। ঘানা থেকে তিনি উড়ে যাবেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয়। ৩-৪ জুলাই এই দেশে থাকবেন তিনি। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম সে দেশে পা রাখবেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালু এবং প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই দেশের সংসদে যৌথ সমাবেশে বক্তৃতাও দেবেন তিনি। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায়। সেখানে থাকবেন ৪-৫ জুলাই।

    ব্রিকস শেষে যাবেন কোন দেশে

    সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস, বাণিজ্য, বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত ও আর্জেন্টিনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সফর। আর্জেন্টিনা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যাবেন ব্রাজিলে, ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানে তিনি গ্রহণ করবেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভারের আতিথ্য। ৫-৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি থাকবেন ব্রাজিলে। এখানেই কয়েকটি দেশের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। আলাদা করে ব্রাসিলিয়া শহরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা মোদির। ব্রাজিল থেকে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকারই নামিবিয়ায় (BRICS Summit)। সেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট নেটুম্বো ন্যান্ডি নাইতওয়ার সঙ্গে। তারপর ফিরবেন নয়াদিল্লি (PM Modi)।

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসের (RSS) মূল ভাবনা হল সম্পর্কের অনুভূতি বা আত্মীয়তা বোধ।” পুণেয় প্রয়াত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক তথা সংঘ নেতা দাদা খাড়িওয়ালের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে এক কথায় বর্ণনা করতে হয়, তবে সেই শব্দটি হবে ‘আত্মীয়তা’ বা ‘সম্পর্কের অনুভূতি’। এই অনুভূতি সমাজে আরও দৃঢ় হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “সংঘ কী করে? এটি হিন্দুদের সংগঠিত করে। এই আত্মীয়তার অনুভূতি আরও গভীর হওয়া উচিত, কারণ পুরো বিশ্ব এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে।” তিনি বলেন, “প্রকৃত ঐক্য আসে সেই সাধারণ সূত্রকে চেনার মাধ্যমে যা সকলকে এক সঙ্গে যুক্ত করে। মানুষ, পশুদের মতো নয়। কারণ তারা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে সক্ষম। যে এই আত্মীয়তার বোধকে বোঝে, সেই-ই প্রকৃত মানুষ।”

    আরএসএসের ভূমিকা (Mohan Bhagwat)

    আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ কী করে? এটি তার সমস্ত কর্মসূচি, শৃঙ্খলা, শারীরিক সক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাজকে বারবার সেই অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যা তারা ভুলে গিয়েছে — ‘আপনত্ব’ বা একাত্মতা।” ভাগবত বলেন, “সংঘের প্রকৃত কাজই হল সমস্ত হিন্দু সমাজকে এই ‘আপনত্বের’ সূতোয় গাঁথা। এবং হিন্দু সমাজও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছে যে, সারা বিশ্বকে এই আপনত্বের বন্ধনে বাঁধা তাদের কর্তব্য।”

    স্বয়ংসেবকের কর্তব্য

    প্রাক্তন আরএসএস প্রধান মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকর (গুরুজি নামে পরিচিত)-এর কথাও স্মরণ করেন তিনি। পরে বলেন, “একজন স্বয়ংসেবকের কর্তব্য হল নিয়মিত শাখায় যোগ দেওয়া, শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিঃস্বার্থভাবে সবার সেবা করা।” আধুনিক কিছু শব্দগুচ্ছ, যেমন “গিভিং ব্যাক” (ফিরিয়ে দেওয়া) প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, “এই ধারণা তো ভারতীয় সংস্কৃতিতে বরাবরই ছিল। এটি হল অন্যদের সেবা করার এবং একত্রে বসবাস করার কর্তব্যের অংশ।” কোনও কাজ শুরু করতে দেরি না করতে মানুষকে আহ্বান জানান ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বলেন, “সংঘে (RSS) আমরাও এভাবেই কাজ করি। যদি কিছু করার দরকার হয়, আমরা সেটি করেই ফেলি।”

  • Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুধুই ওষুধ, কেমো থেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি নয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) অন্যতম জরুরি ‘দাওয়াই’ ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ (Palliative Care)। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসা চলাকালীন এবং ক্যান্সার আক্রান্তের ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে হলে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম বাধা এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নেই। তাই অনেক সময়েই ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ে।

    প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) কী?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, রোগী চিকিৎসা চলাকালীন শরীরের পাশপাশি মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্যান্সার আক্রান্তের শরীরে নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই বাড়তে থাকে মানসিক চাপ এবং অবসাদ। যা তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রয়োজন প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অর্থাৎ, যারা আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এমন অভিজ্ঞতার মানুষের প্রয়োজন। যারা ক্যান্সার আক্রান্তের ‘সার্পোট সিস্টেম’ হিসাবে পাশে থাকবেন। আক্রান্তের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবেন। তার ফলে রোগী চিকিৎসায় আরও দ্রুত সাড়া দেবেন।

    কেন জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার?

    অঙ্কোলজিস্ট বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার চিকিৎসার পথ দীর্ঘ। অধিকাংশ সময়েই রোগী হতাশ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক মূলত অস্ত্রোপচার, ওষুধ এবং কেমো কিংবা রেডিওথেরাপির বিষয়ে নজর দেন। কিন্তু এই সমস্ত প্রক্রিয়ার একটি চাপ রোগীর মনের উপরে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত ফের সুস্থ হয়ে জীবন যাপনের আশা হারিয়ে ফেলছেন। কিংবা এই দীর্ঘ জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময়েই তার ফলে আক্রান্তের শরীরে চিকিৎসা সাড়া দেয় না। কিন্তু রোগী এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) পেলে সহজেই নিজের সমস্যার কথা বলতে পারেন। যেহেতু যার কাছে রোগী নিজের সমস্যা জানাচ্ছেন, তিনিও অভিজ্ঞ, তাই সহজেই সমস্যা বোঝানো যায়। পাশপাশি ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব, এটা বারবার চোখের সামনে দেখলে রোগীর মধ্যে ইতিবাচক জোর আসে। যা তাঁর শরীর ও মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধ, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির মতোই সমান জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগীর শরীরে ওষুধের মতোই কাজ করে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের থেরাপি। নিয়মিত এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার পেলে রোগীর মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসাতেও সুবিধা হয়। কেমো থেরাপি বা রেডিওথেরাপির মতো চিকিৎসায় শরীরে অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তাতে চিকিৎসা আরও ভালো হয়। দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়।

    রাজ্যে সমস্যা কোথায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার গড়ে তুলতে হলে ক্যান্সার চিকিৎসার তথ্য সংগ্রহ জরুরি। রোগী কোথায় থাকেন, কতদিন চিকিৎসা চললো, এখন কেমন আছেন, এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ জরুরি। ক্যান্সার আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি। কারণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার, যারা দেবেন, তাঁদের নূন্যতম প্রশিক্ষণ জরুরি। রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করা, কথা বলা, তাঁর মনের অবস্থা বোঝার মতো প্রশিক্ষণ জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) তৈরির প্রাথমিক কাজ ঠিক মতো হয় না। অর্থাৎ, তথ্য সংগ্রহের কাজ ঠিকমতো হয় না। ফলে রাজ্যের কোনো সরকারি হাসপাতালেই ক্যান্সার আক্রান্তেরা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সুবিধা পাচ্ছেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পরে এবার দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজ (Kasba Gangrape)। ‘গণধর্ষণে’র ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ঘটে এমন ভয়াবহ নির্যাতন। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের জোরালো প্রশ্ন উঠছে সমাজের নানা স্তরে। এই ঘটনায় মাঠে নেমেছে মহিলা কমিশনও।

    জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে (Kasba Gangrape)

    কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। ঘটনার পরেই একটি বিবৃতি জারি করে কমিশন জানায়, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সময়সীমার মধ্যেই জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে ঘটনা ঘটে

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিং সংলগ্ন সিদ্ধার্থ শংকর রায় শিশু উদ্যানের কাছ থেকে মনোজিৎ মিশ্র ও জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই রাতে অপর অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে তার নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলে, আলিপুর আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    তোপ দাগলেন শুভেন্দু

    খাস কলকাতায় এই ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে তিনি একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে আমি (Kasba Gangrape) একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশকে তো পুরো নিয়ে চলে গিয়েছে দিঘাতে। লোক তো নেই দিঘায় । জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা ইস্যু টেক আপ (BJP) করছি। খুব বড় জিনিস হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘এই অ্যারেস্টও লোক দেখানো, এই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’’

    কী বললেন সুকান্ত?

    অন্যদিকে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অভয়াকাণ্ডের পর আবার এক কলেজে মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Kasba Gangrape)। যারা অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী, স্টাফ !’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, যারা অভিযুক্ত তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত। আর জি কর কাণ্ডের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কলেজে শিক্ষাকেন্দ্রগুলির কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যতই রথ টানুন না কেন! কালীগঞ্জে মেয়েকে বোমা মেরে খুন করা হচ্ছে, মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে। আর জি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।’’

  • Agni missile: পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তান! ভারত তৈরি করছে বাঙ্কার বাস্টার ‘অগ্নি’ ক্ষেপণাস্ত্র

    Agni missile: পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তান! ভারত তৈরি করছে বাঙ্কার বাস্টার ‘অগ্নি’ ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয় পাচ্ছে চিন, পাকিস্তান! ভারত তার সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আরও মারাত্মক করে তুলতে চলেছে, এর জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডে বিস্ফোরকের পরিমাণ বাড়ানো হবে। যা বি-২ বম্বার বিমান থেকে নিক্ষেপ করা জিবিইউ-৫৭ বোমার চেয়েও বেশি মারাত্মক হবে। অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন, বিস্ফোরক বহনকারী রূপ তৈরি করা হচ্ছে। ৭.৫ টন অর্থাৎ ৭৫০০ কেজি ওজনের বিশাল বিস্ফোরক ওয়ারহেড সহ এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি এক ধাক্কায় শত্রুর আস্তানা ধ্বংস করে দেবে। এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সামরিক আধিপত্য আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    আমেরিকার মতোই বাঙ্কার ধ্বংসকারী অস্ত্র

    সম্প্রতি ইরান ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝেই ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকার বাহিনী। মাটির নীচে ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘জিবিইউ ৫৭/এ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’। ভারতও এরকমই বাঙ্কার বাস্টার তৈরি করতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ করেছে। এর ফলে ভারতও তৈরি করছে তার নিজস্ব ভারী বাঙ্কার ধ্বংসকারী অস্ত্র। তবে এটি বিমানের মাধ্যমে নয়, ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাবে—যা এক অভিনব কৌশল।

    কী করবে ভারতের বাঙ্কার বাস্টার

    ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এখন ‘অগ্নি-৫’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বিশেষ সংস্করণ তৈরি করছে, যা বহন করবে ৭,৫০০ কেজির একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ওয়ারহেড। এই ওয়ারহেড ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত শক্ত কংক্রিটের নিচে লুকানো শত্রুপক্ষের বাঙ্কার, কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বা পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংসে সক্ষম। মূল অগ্নি-৫ যেখানে ৫,০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে পারে, সেখানে এই ভারী সংস্করণের পাল্লা কমে ২,৫০০ কিলোমিটারে দাঁড়াবে। তবে এর বিধ্বংসী শক্তি ও নিখুঁত নিশানার ক্ষমতা এটিকে আঞ্চলিক প্রতিরোধের কৌশলে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে। অগ্নি-৫ এর বর্তমান পরিসর কমানোর পেছনের আসল উদ্দেশ্য হল দূরত্বের চেয়ে পেলোড ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যাতে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে সঠিক এবং মারাত্মক আক্রমণ করা যায়। বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য হুমকির মুখে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেশকে ভরসা জোগাবে।

    কী থাকবে নয়া সংস্করণে

    এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডে যুক্ত থাকবে উন্নত ন্যাভিগেশন ও গাইডেন্স সিস্টেম, যার ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জিত হবে। পাশাপাশি, ডিআরডিও একে ‘এয়ারবাস্ট’ মোডে ফাটানোর ব্যবস্থাও রাখছে, যাতে নির্দিষ্ট উচ্চতায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আশেপাশের রাডার, বিমানঘাঁটি বা সাঁজোয়া যানবাহন ধ্বংস করা যায়। এটি একটি তিন-স্তরের, কঠিন জ্বালানি-চালিত ক্ষেপণাস্ত্র। অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ভিন্ন ওয়ারহেড কনফিগারেশনে সজ্জিত থাকবে।

    ১. এয়ারবার্স্ট ওয়ারহেড- এই ওয়ারহেডের উদ্দেশ্য হল বিশাল ভূপৃষ্ঠের উপর শত্রুর স্থল লক্ষ্যবস্তুতে সর্বাধিক ক্ষতি সাধন করা। ওয়ারহেডটি লক্ষ্যবস্তুর ঠিক উপরে বিস্ফারিত হবে, যার ফলে একটি শক্তিশালী শক ওয়েভ তৈরি হবে যা পরিকাঠামো, সামরিক ঘাঁটি এবং অন্যান্য পৃষ্ঠতল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে।

    ২. বাঙ্কার বাস্টার ওয়ারহেড- এই ওয়ারহেডটি এতটাই মারাত্মক হবে যে এটি বি-২ বম্বারে ব্যবহৃত জিবিইউ-৫৭ বাঙ্কার বাস্টার বোমার চেয়েও বেশি মারাত্মক হবে। জিপিইউ-৫৭ বোমা ৬০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত নির্মিত বাঙ্কারগুলিকে ধ্বংস করতে পারে, যেখানে অগ্নি-৫ এর বাঙ্কার বাস্টার ওয়ারহেড ৮০-১০০ মিটার গভীরতায় নির্মিত শক্তিশালী ভূগর্ভস্থ কাঠামো, বাঙ্কার এবং কমান্ড সেন্টারগুলিকে এক ধাক্কায় ধ্বংস করতে পারে। এটি পাকিস্তানের কাছে শঙ্কার কারণ। পাকিস্তানের কিরানা পাহাড়ে থাকা পারমাণবিক কেন্দ্রকে যে কোনও সময় উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে।

     ভারতের প্রতিরোধমূলক কৌশলের মূলস্তম্ভ

    ভারতের এই সাহসী পদক্ষেপ শুধুমাত্র কৌশলগত স্বাধীনতা অর্জনের প্রয়াস নয়, বরং দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে এক বড় সাফল্যের ইঙ্গিত। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই বাঙ্কার বাস্টার অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে এক যুগান্তকারী সংযোজন। অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজ বহুদিন ধরেই ভারতের প্রতিরোধমূলক কৌশলের মূলস্তম্ভ। এখন এই সিরিজে বাঙ্কার বাস্টার সংস্করণ যুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে ভারত একটি অভিজাত দেশসমূহের তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবে, যারা ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের ক্ষমতা রাখে—এবং এর ফলে আরও শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল সামরিক শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করবে।

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

  • Rajnath Singh: বেজিং-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চিনকে চার দফা প্রস্তাব রাজনাথের

    Rajnath Singh: বেজিং-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চিনকে চার দফা প্রস্তাব রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে কিংডাওতে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চিনের অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠককে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা কমানো এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে এখানে রাজনাথ সিং চার দফা একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।

    রাজনাথ সিং-এর দেওয়া চার দফা প্রস্তাবনাগুলি হল

    ১. ২০২৪ সালের ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ অর্থাৎ সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়া
    ২. সীমান্ত নির্ধারণের বিষয়ে অগ্রগতি
    ৩. সীমান্ত নির্ধারণের জন্য দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা বাড়ানো
    ৪. দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন রাজনাথ (Rajnath Singh)

    জানা গিয়েছে, চিনের (China) সঙ্গে এই বৈঠকে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিগত অবস্থান ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই বৈঠকের পর রাজনাথ সিং এক্স (প্রাক্তন ট্যুইটার)-এ একটি ছবি শেয়ার করেন এবং জানান, নয়াদিল্লি ও বেজিং কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিবাচক রাখার বিষয়েই আলোচনা করেছে। এর পাশাপাশি, ছয় বছর পর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে রাজনাথ সিং কী লিখলেন

    নিজের এক্স মাধ্যমে রাজনাথ লেখেন, “কিংডাওতে (China) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে গঠনমূলক মত বিনিময় হয়েছে। প্রায় ছয় বছর পরে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত এবং নতুন কোনও জটিলতা এলে তা এড়ানো উভয় পক্ষের কর্তব্য।”

    মধুবনীর ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি উপহার দেন রাজনাথ

    চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিহারের মধুবনীর ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি উপহার হিসেবে তুলে দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর চিনের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহী এবং সংঘাত এড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এই বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) অতিক্রম করে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। সেই বছরের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাল্টা আক্রমণে চিনেরও প্রায় ৪০ সেনাকর্মী নিহত হন। গালওয়ান ঘটনার পর থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে একাধিক পর্যায়ে বৈঠক হয়, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে। অবশেষে গত বছরের অক্টোবর মাসে ডেপসাং ও ডেমচক-সহ সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। শুরু হয় ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ এবং ‘ডিএসক্যালেশন’-এর প্রক্রিয়া। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের মে মাসের আগের অবস্থানে উভয় দেশের সেনাবাহিনী ফিরে যাবে।

    বালুচিস্তানের অস্থিরতার জন্য ভারতকে দায়ী করে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ এবং পহেলগাঁও হামলা নিয়ে এসসিও-তে একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। এরপরই চিনের সঙ্গে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এসসিও-র সভাপতিত্ব করছে চিন। চিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাকিস্তান ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চায় এবং সন্ত্রাসবাদের ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের বালুচিস্তানে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা উল্লেখ করে পাকিস্তান এবং ওই প্রদেশে অস্থিরতার জন্য ভারতকেই দায়ী করে তারা।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে কী জানাল চিন?

    চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লির সঙ্গে যে কোনও ধরনের জটিলতা এড়াতে চায় বেজিং এবং দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। তবে তারা আরও জানায়, এই বিষয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ভারত ধারাবাহিকভাবে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখছে, এই বার্তা আরও জোরালো হয় গত বছর, যখন ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

LinkedIn
Share