Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সঙ্ঘের (RSS) শতবর্ষে সংস্কারধনী জবলপুরে এই সভা আয়োজনের মাধ্যমে এই শহরের নাম স্থায়ীভাবে সংঘের লিখিত ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে রইল।” শনিবার আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। কাচনার শহরে আয়োজিত ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সরকার্যবাহ। তখনই সঙ্ঘের সভা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন তিনি। তুলে ধরেন বিজয়াদশমীর দিন সারা দেশে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণও (Swayamsevaks)।

    আরএসএসের বিজয়া দশমী (RSS)

    বিজয়া দশমী উপলক্ষে নাগপুর-সহ সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় বলে জানান হোসাবলে। এদিন গ্রামীণ ভারতের ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডলের মধ্যে ৩৭ হাজার ২৫০টিতে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পার্শ্ববর্তী মণ্ডলের স্বয়ংসেবকদের অংশগ্রহণ-সহ মোট ৫০ হাজার ৯৬ মণ্ডল এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়। শহারাঞ্চলের ৪৪ হাজার ৬৮৬টি বস্তির মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতে কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়াও, ৬ হাজার ৭০০টি স্বতন্ত্র বিজয়াদশমী কর্মসূচি আয়োজিত হয়। সব মিলিয়ে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৬২ হাজার ৫৫৫টি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠান। এই কর্মসূচিগুলিতে ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪১ জন স্বয়ংসেবক ইউনিফর্ম পরে উপস্থিত ছিলেন। ২৫ হাজার জায়গায় পথসঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিফর্ম পরে অংশ নেন ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন স্বয়ংসেবক। তিনি জানান, এই কর্মসূচিগুলি প্রমাণ করে যে, ভারতের কোনও অঞ্চলই সংঘের কার্যক্রমের বাইরে নেই। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড পর্যন্ত সঙ্ঘের নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে।

    “সংঘের কাজই দেশের কাজ”

    হোসাবলে জানান, গত বছরের (Swayamsevaks) অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত শেষ বৈঠকের পর থেকে সংঘ ১০ হাজার নতুন জায়গায় কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে ৫৫ হাজার ৫২টি জায়গায় প্রতিদিন ৮৭ হাজার ৩৯৮টি শাখা পরিচালিত হচ্ছে। ৩২ হাজার ৩৬২টি সাপ্তাহিক মিলনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট কর্মসূচি-কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৪১৪টি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নিবিড় চেষ্টার ফলে সংঘের কার্যক্রম আদিবাসী অঞ্চল-সহ শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রছাত্রী, উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মধ্যেও বিস্তৃত হয়েছে। তিনি জানান, এদিনের বৈঠকে সংঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আসন্ন কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। সরকার্যবাহ বলেন, “সংঘের (RSS) কাজই দেশের কাজ।”

    হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন

    তিনি জানান, আগামী মাসগুলিতে বস্তি ও মণ্ডল পর্যায়ে হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনগুলির মাধ্যমে পঞ্চ পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত, যাতে এই নীতিগুলি সমাজের আচরণ এবং দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। প্রায় ৪৫ হাজার গ্রামীণ এবং ৩৫ হাজার শহুরে এলাকায় হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন হবে বলে আশা সংঘের। এছাড়াও ব্লক এবং শহরেও সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক এবং জেলা সদরগুলিতে প্রবুদ্ধ নাগরিক গোষ্ঠী আলোচনা  অনুষ্ঠিত হবে। এই সব কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হল আরও বেশি মানুষের সঙ্গে জাতীয় সেবার যোগসূত্র তৈরি করা (Swayamsevaks)। হোসাবলে বলেন, “সকলের শাখায় যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে প্রত্যেকেরই উচিত নিজের কর্মক্ষেত্রে সমাজের ঐক্য, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নতির জন্য কাজ করা।” তিনি জানান, শতবর্ষের কর্মসূচির উদ্দেশ্য সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি নয়, বরং সমাজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা। সচেতনতা, ঐক্য এবং জাতীয় নিবেদনের প্রেরণা জাগিয়ে তোলা।

    গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ

    ২৪ নভেম্বর ছিল নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ। বৈঠকে ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের ঐক্য রক্ষার জন্য তিনি যে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, দেশব্যাপী সংঘের কর্মীরা তাঁর স্মৃতিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সংঘের বক্তব্য, “গুরু তেগ বাহাদুরের জীবন সকলের জন্য প্রেরণা। ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অটল অবস্থান আজকের যুবসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।” এ বছর বিরসা মুন্ডার সার্ধ শতবার্ষিকীও। বিরসা কেবল একজন সম্মানিত জনজাতি নেতাই ছিলেন না, যিনি শুধু ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তিনি ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন এবং আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছেন। এদিনের বৈঠকে তাঁকেও স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধার সঙ্গে। তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় যাতে উদযাপন করা হয়, তার ডাকও দিয়েছে সংঘ। সংঘ তাঁকে প্রাতঃ স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের  মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে (RSS)।

    ‘বন্দে মাতরম’ রচনার দেড়শো বছর

    এবছর ‘বন্দে মাতরম’ রচনারও দেড়শো বছর। ১৯৭৫ সালে শতবর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি অবস্থার কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায় (Swayamsevaks)। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় “বন্দে মাতরম” ছিল উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মমর্যাদার গান।সরকার্যবাহ বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে এর অনুপ্রেরণামূলক ইতিহাস জানতে হবে। বন্দে মাতরম শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতের আত্মার মন্ত্র। এতে ভারতের পরিচয় ও সাংস্কৃতিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।” তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে ফিরছে সমাজের মূলস্রোতে। মণিপুর প্রসঙ্গে হোসাবলে বলেন,  “সেখানে শীঘ্রই ভালো সময় আসবে।”

    তিনি যুবসমাজে বাড়তে থাকা মাদকাসক্তির সমস্যা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রবণতা রুখতে সরকারকে সমাজ, ধর্মীয় সংগঠন, সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কুটুম্ব প্রবোধন এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (RSS)।

  • Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের পরিস্থিতির আগেও অবনতি হয়েছিল। তবে এখন সেখানে শান্তি ফিরে আসছে এবং মানুষ নতুন আশায় উজ্জীবিত। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। একই রাজ্যের দু’টি সম্প্রদায়ের একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোটা উচিত নয়। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং সমাজ ও সরকার দু’পক্ষই সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (Dattatreya Hosabale) 

    আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সংগঠনের সহসরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। এই বৈঠকে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কয়েকটি বিদেশি দেশের প্রতিনিধিদলও এই উদযাপনে অংশ নেয়। দালাই লামাও এই উপলক্ষে সংঘকে শুভেচ্ছা জানান।২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করে আরএসএস। হোসাবলে ধর্ম, বাণিজ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেই সব ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা সংঘকে শতবর্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    কী বললেন হোসাবলে

    নাগপুরে আয়োজিত ‘পথ সঞ্চালনে’ মোট ১৪ হাজার ১০১ জন স্বয়ংসেবক অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও একইভাবে এই অনুষ্ঠান হয়। হোসাবলে স্বয়ংসেবকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান (Dattatreya Hosabale)। হোসাবলে জানান, শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে অনুষ্ঠানগুলি হয়েছে, তা সংঘের কাজের বিস্তৃত সম্প্রসারণেরই প্রতিফলন। বর্তমানে দেশে সংঘের মোট ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডল রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৯৬টি মণ্ডলে অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩৭ হাজার ২৫০টি মণ্ডলে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে।

    মহানগর ও নগর এলাকায় মোট ৪০ হাজার ৬৮৬টি বস্তি রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়াও আরও ৬ হাজার ৭০০টি আলাদা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি জানান, লাদাখ থেকে শুরু করে পাহাড়ি, উপকূলবর্তী ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল – দেশের সর্বত্রই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এতে (RSS) অংশগ্রহণ করেছেন। হোসাবলে বলেন, “পথ সঞ্চালনে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই বয়স চল্লিশ বছরের নীচে। এ থেকে প্রমাণ হয়, দিন দিন তরুণ প্রজন্ম আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই আয়োজনে কোনও সম্প্রদায়কেই বাদ দেওয়া হয়নি (Dattatreya Hosabale)।”

  • China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’মাসের স্থগিতাদেশের পর ফের ভারতে (India) ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করেছে চিন (China)। এতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স খাতে কর্মরত ভারতীয় নির্মাতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ওপর তাঁদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। তবে রফতানি আবারও শুরু হলেও কিছু শর্তও যুক্ত হয়েছে।

    চিনের বক্তব্য (China)

    বেজিং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ম্যাগনেটগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের রফতানি করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না সামরিক কাজেও। চিন-ভারত সম্পর্কের এই ঝলক এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে বসে বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে উশিন এবং ডি ই ডায়মন্ডস এই চারটি ভারতীয় কোম্পানি চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। এক প্রবীণ শিল্প আধিকারিক বলেন, “সরবরাহের (ম্যাগনেট) ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। চারটি কোম্পানি রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে।” এদিকে, কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে সরাসরি উড়ানও ফের চালু হয়েছে, যার জেরে আরও অনায়াস হবে ভারত-চিন বাণিজ্য।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, এই আমদানির জন্য লাইসেন্স দিয়েছে চিন। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–চিন আলোচনার প্রভাব আমাদের ওপর কীভাবে পড়ে (China)।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশেরই নিয়ন্ত্রণকারী চিন। গত ৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে, মার্কিন শুল্ক হারের প্রতিক্রিয়ায় নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিন। এই পদক্ষেপের ফলে রফতানিকারীদের বিশেষ লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারত (India) ৮৭০ টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করেছে। এর মূল্য ছিল ৩০৬ কোটি টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্রিটিক্যাল রেয়ার আর্থ উপকরণ সরবরাহের জন্য চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বছরের একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন (China)।

  • ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে রয়েছে একটু ফারাক। অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। সেমিফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। ফাইনালে (ICC Women’s World Cup) যে দলই জিতুক মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে এবার দেখা যাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পটেল স্টেডিয়ামের বাইশ গজ পরীক্ষা নেবে দু’দলের। প্রথম বার ফাইনালে উঠেছেন লরা উলভার্টেরা। প্রথম বার ট্রফি জয়ে মরিয়া হরমনপ্রীত কৌরেরাও। শক্তির বিচারে তুল্যমূল্য লড়াই হতে পারে দু’দলের।

    ঘরের মাঠে এগিয়ে ভারত

    ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান মোটেই মধুর ছিল না। দারুণ শুরু করেও পরপর ৩টি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে সেই দুর্দশা কাটিয়ে পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। সেখানে তাদের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। আর সেই ম্যাচ রুদ্ধশ্বাসভাবে জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা। সেমিফাইনালে জেমাইমা দারুণ পারফর্ম করেন। তিনি ১২৭ রানে ছিলেন অপরাজিত। তার ব্যাটের উপর ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতে ভারত। পৌঁছে যায় ফাইনালে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফাইনালে এগিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ, প্রথমত দেশের মাটিতে হচ্ছে খেলা। ফলে দর্শকরা সাপোর্টে থাকবে। পিচও চেনা। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে হরমনপ্রীত ব্রিগেড। তার ফলে আত্মবিশ্বাস থাকবে বেশি। সেটাও ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অতীত রেকর্ডে কে এগিয়ে

    ওডিআইতে এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা ৩৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ভারতের মেয়েরা জিতেছে ২০ বার। আর প্রোটিয়াদের জয় ১৩ বার। এক ম্যাচ অমীমাংসিত। এ বার দেখার রবি-রাতে কোন দল করে বাজিমাত। বিশ্বকাপে যে টিমই জিতবে, সেটি তাদের প্রথম খেতাব। ওডিআই ফর্ম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকলেও, এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে লিগ পর্যায়ের ম্যাচে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam) সেই ম্যাচে তিন উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ৪৮.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে ৭৭ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। রবিবারও তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে তৈরি।

    ভারতের মূল শক্তি ব্যাটিং

    হরমনপ্রীতের দলের মূল শক্তি ব্যাটিং। মহিলাদের এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার স্মৃতি মন্ধানা। বিশ্বকাপে ফর্মে আছেন ওপেনার। আটটি ম্যাচে করেছেন ৩৮৯ রান। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। তাঁর সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শেফালি বর্মা। এক বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন। ছন্দে রয়েছেন। অনুশীলনে বড় শট নিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসী শেফালি। মন্ধানা-শেফালি ওপেনিং জুটি জমে গেলে পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচের রাশ নিয়ে নিতে পারে ভারত। শুধু ওপেনিং নয়, ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারও বিশ্বের অন্যতম সেরা। জেমাইমা, হরমনপ্রীত ফর্মে ফিরেছেন। দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষের মতো আগ্রাসী ব্যাটার নামেন পাঁচ থেকে সাত নম্বরের মধ্যে। রয়েছেন আমনজ্যোৎ কৌরের মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডার। হরলিন দেওলের মতো ব্যাটারকে সেমিফাইনালে খেলায়নি ভারত। মুম্বইয়ের চেনা পিচে এই ব্যাটিং লাইন আপের পক্ষে বড় রান তোলা অসম্ভব নয়। এ বারের বিশ্বকাপেই তিনটি ম্যাচে ভারত ৩৩০ বা তার বেশি রান তুলেছে। ব্যাটিং নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের প্রধান শক্তি।

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী

    ভারতীয় দলের আর এক শক্তির জায়গা স্পিন বোলিং। রাধা যাদব, দীপ্তি, স্নেহ রানা এবং শ্রী চরণির মতো স্পিনার রয়েছেন। বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে রয়েছেন তিন জনই। দীপ্তি ১৭ উইকেট নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। চরণি ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। চার স্পিনার মিলে আট ম্যাচে নিয়েছেন ৪১টি উইকেট। ভারতীয় বোলারেরা নিয়েছেন ৬৯টি উইকেট। অর্থাৎ, ৫৯.৪২ শতাংশ উইকেট নিয়েছেন স্পিনারেরাই। মুম্বইয়ের ২২ গজে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন নয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করবে স্পিনারদের উপর। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী। উলভার্টদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, প্রথম থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। জন্টি রোডসের দেশের মহিলা দলের ফিল্ডিংও বেশ ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির আর একটি জায়গা হল জোরে বোলিং।

    ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের খুঁটিনাটি

    ম্যাচটি কখন শুরু হবে: ভারতীয় সময় অনুসারে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টে নাগাদ। ম্যাচের আগে ২.৩০মিনিটে টস হবে।

    কোথায় দেখা যাবে: ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ টেলিকাস্ট দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। এখানে ইংরেজি, হিন্দি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় খেলা দেখতে পারবেন। মোবাইলে এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে। পাশাপাশি জিও হটস্টার ওয়েবসাইটে।

  • BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের ভাষায় কথা বলছেন।” খাড়গের আরএসএস সংক্রান্ত মন্তব্যের নিন্দে করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার খাড়গে বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী, আরএসএসের (RSS) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। কারণ দেশের অধিকাংশ আইনশৃঙ্খলা সমস্যা বিজেপি-আরএসএসের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মচারীদের সংঘের সঙ্গে যুক্ত হতে দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উত্তরাধিকারের অপমান করেছেন।

    খাড়গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির প্রতিক্রিয়া (BJP)

    খাড়গের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “আমরা খাড়গের আরএসএস সম্পর্কে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। আজ তিনি আরএসএসের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, মুসলিম লিগ এবং জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের ভাষার মতো।” তাঁর মতে, এমন আপত্তিকর মন্তব্য করার আগে আরএসএস এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত ছিল কংগ্রেস সভাপতির। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী, বিআর আম্বেডকর, জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী সংঘ সম্পর্কে কী বলেছেন, খাড়গের তা জানা ও বোঝা উচিত ছিল।” সম্বিত বলেন, “১৯৩৪ সালে ওয়ার্ধায় সংঘের একটি শিবির পরিদর্শন করার পর মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে সংগঠনে শৃঙ্খলা এবং অস্পৃশ্যতার অনুপস্থিতি দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে পুনেতে সংঘের একটি শিবির পরিদর্শনের পর আম্বেডকর বলেছিলেন যে সংগঠনে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যে সম্পূর্ণ সমতার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।”

    গান্ধী-নেহরু-ইন্দিরা-প্রণবের আসএসএস প্রশস্তি

    তিনি (BJP) বলেন, “১৯৬২ সালের ভারত–চিন যুদ্ধের পর জওহরলাল নেহরু ১৯৬৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সংঘকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সংঘ অংশগ্রহণ করেছিল। এসব নথিভুক্ত ইতিহাস।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কাপূর কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে আরএসএসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না এবং এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও সর্বসাধারণের ডোমেইনে রয়েছে।” তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় – সকলেই সংঘের প্রশংসা করেছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের উচিত আরএসএসের (RSS) ইতিহাস এবং দেশের ইতিহাস পড়া। সংঘ সম্পর্কে কংগ্রেসের বহু নেতার কী মন্তব্য ছিল, সেটাও তাঁর জানা ও বোঝা উচিত (BJP)।”

  • Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগল, অ্যাপলের পর এবার ফোর্ড (Ford Cars)! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কথা উপেক্ষা করে ভারতেই বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল আরও এক মার্কিন সংস্থা। তামিলনাড়ুর প্ল্যান্টে ফের লগ্নির কথা জানিয়েছে আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড মোটর্স কোম্পানি। ভারতে গাড়ির অত্যাধুনিক ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার লগ্নি করবে মার্কিন অটোমেকার সংস্থা। বিশ্ব বাণিজ্যের দোলাচল পরিস্থিতি, সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত ‘হুমকি’র মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ফোর্ড।

    ট্রাম্পের কথা না শুনেই বিনিয়োগ

    তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে অবস্থিত মারাইমালাই নগরে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে ফোর্ড মোটর্সের। কিন্তু গত চার বছর ধরেই এই প্ল্যান্ট রয়েছে বন্ধ। এক বছর আগে এই প্ল্যান্ট খোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল ফোর্ড। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্ববাণিজ্যে জটিলতা তৈরি হয়। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাকে আমেরিকার মাটিতে উৎপাদনের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে সরাসরি অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই ফোর্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি থমকে ছিল। শুক্রবার ট্রাম্পের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা করল বিশ্বের প্রথম সারির অটোমেকার সংস্থা।

    ভারতে লগ্নি, খুশি মার্কিন সংস্থা

    ফোর্ড মোটর্স কোম্পানির আন্তর্জাতিক মার্কেটের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যারেনটিক বলেছেন, ‘ফোর্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং নেটওয়ার্কে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্ল্যান্টকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আমরা খুশি।’ ফোর্ড তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০০ টিরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এই বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে, এই প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ২,৩৫,০০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের ক্ষমতা রাখবে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে মূলত গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করবে ফোর্ড। সেই প্ল্যান্টে থাকবে ইঞ্জিন তৈরির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক মানের গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করা হবে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে। সেই সমস্ত ইঞ্জিন রফতানি করা হবে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে ভারতে তৈরি ইঞ্জিন আমেরিকায় পাঠাবে না ফোর্ড।

    মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্ন সফলে এক ধাপ

    ট্রাম্পের নীতি আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে সেখানে উৎপাদন করতে চাপ দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ফোর্ডের মতো কোম্পানিগুলি ছাড়াও অ্যাপল ও গুগল এখন ভারতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আমেরিকান কোম্পানিগুলি এখনও ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারকে উচ্চ ব্যয় ও কঠোর বাণিজ্য নীতির একটি ভাল বিকল্প হিসেবে দেখছে। ফোর্ড শুক্রবার চেন্নাইতে উৎপাদন পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। ২০২১ সালে ভারতীয় বাজারে কোম্পানির কাজ বন্ধ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চেন্নাইয়ের ওই প্ল্যান্টে সরাসরি শতাধিক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি ওই প্ল্যান্টকে কেন্দ্র করে ইনডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্টের বড় সম্ভাবনা তৈরি হবে। যা মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে দেওয়ায় সহায়ক হবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের! ভারতের সঙ্গে বৈরিতার ফল যে ভালো হবে না, উল্টে পরিণতি যে হবে ভয়ঙ্কর, ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছেন পাক সেনকর্তারা। অস্ট্রেলিয়ার (Australian Report) সিডনি থেকে প্রকাশিত নয়া এক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে (India) তামাম বিশ্ব জেনে গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের টিকে থাকাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারতের দয়ার ওপর।

    ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’ (Australian Report)

    এবার ফেরা যাক মূল খবরে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যা পিস তার ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তার পরেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পাকিস্তানের। ওই রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্যটি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার সাহায্যে সিন্ধু নদের প্রবাহ বদলে দেওয়া সম্ভব, এবং এটি ঠেকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর পাঁচটি সাধারণ অ্যাকাডেমিক কোনও গবেষণা রিপোর্ট নয়। এটি পাকিস্তানের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া, যার হাতল ধরা রয়েছে ভারতের হাতে। ইসলামাবাদের এই সঙ্কটটি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৬ জন হিন্দু ভারতীয়। তার পরেই পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এর পাশাপাশি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জলসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি, তাও স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি।

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে সিন্ধু নদ থেকে সরবরাহ করা জলের ওপর নির্ভরশীল (Australian Report)। এই জল প্রবাহিত হয় ভারতের দিক থেকেই। পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ সমতলভূমি, যেখানে কোটি কোটি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন (India), তা পুরোপুরি এমন নদীগুলির জলের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গ না করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভারত। যদিও জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ না করায় জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিসের রিপোর্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে পাকিস্তানের দুর্বলতা। জানা গিয়েছে, ভারতের এই প্রতিবেশী শত্রু দেশটির কাছে মাত্র ৩০ দিনের জল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এই পর্বে নদীর প্রবাহে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। যার জেরে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে

    ভালভ ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে

    দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক অধঃপতনের (Australian Report)। স্থানীয় লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভিড় করতে পারেন শহরে গিয়ে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষেই হতে পারে বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি ‘নীচে’ নামতে হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু গ্রীষ্মকাল বা কৃষি মরশুমের মতো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাঁধ পরিচালনায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই ভারতের। প্রয়োজন নেই মিসাইল খরচেরও। সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে অকারণে উত্তেজনা বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের (India) অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে প্রয়োজন শুধু চাষের সময় স্রেফ বাঁধের কয়েকটি ভালভ ঘুরিয়ে দেওয়া (Australian Report)।

    ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’

    রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত যখন সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, তখন তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই চেনাব নদীর জল ছেড়ে দেয়। শুরুতে নদীর কিছু অংশ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে যখন ভারত হঠাৎ করে লকগেট খুলে দেয়, তখন কাদামাটি-মেশানো তীব্র স্রোত ধেয়ে আসে পাকিস্তানের দিকে। অসহায়ভাবে তা দেখতে হয় পাকিস্তানের নাগরিকদের। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির ওপর যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি কোনও বিশাল জলাধার নয়। আদতে সেগুলি ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারে না জলপ্রবাহ। পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হল, জল ছাড়ার জন্য লকগেট কখন খোলা হবে, বন্ধই বা করা হবে কখন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার রশি রয়েছে ভারতের হাতে। জল কখন ছাড়বে, কতক্ষণ ধরে জলপ্রবাহ বইবে, এসবই ঠিক করে ভারত। কারণ জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নয়াদিল্লির হাতেই। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাব – পশ্চিমাঞ্চলীয় এই তিন নদীর জল পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নেবে (India)। আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে পূর্বের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রু। চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শীতের মরশুমে যার চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে পাকিস্তানকে (Australian Report)।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা

    এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। শাসকরা সুখে রইলেও, আম-পাকিস্তানবাসীর অবস্থা করুণ। এই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদকে। জঙ্গিদের নিয়মিত রসদ এবং মদত জুগিয়ে মজিয়ে রেখেছে পাকস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে। সেই কারণেই পাকিস্তানের বাজেটে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষা খাতে। তাই প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজন সুখে থাকলেও, পেটে ভিজে গামছা দিয়ে দিন গুজরান করেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। তার পরেও ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) ধারণা ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও জেহাদি প্রক্সিগুলির কারণে তারাই কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা ভাবতেই পারেননি যে, হাতে না মেরেও ভারত পাকিস্তানকে মারতে পারে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে। জলসম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত যে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে চলেছে, তা বুঝতেই পারেনি (Australian Report) পাকিস্তান।

    সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্র

    ভারত বাঁধ তৈরি করেছে। গড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভারত এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। সন্ত্রাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পাকিস্তান বুঝতেই পারেনি যে ভারতের হাতে সে তুলে দিয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্রটি। এখন, অপারেশন সিঁদুর ও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ভয়ঙ্কর বাস্তবতার। এই বাস্তবতাটি হল ভারত একটিও গুলি না ছুড়ে ভেঙে ফেলতে পারে পাকিস্তানের নড়বড়ে (India) অর্থনীতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখলেও, হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হবে ইসলামাবাদকে (Australian Report)।

  • India-US Relationship: শুল্কযুদ্ধের আবহে স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আগামীদিনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

    India-US Relationship: শুল্কযুদ্ধের আবহে স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আগামীদিনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক-সংঘাত, নয়া ভিসা-নীতির আবহেই নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত-আমেরিকা। নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দশ বছরের জন্য হওয়া এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রশ্নে আরও কাছাকাছি এনে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসথের৷

    ভারত ও আমেরিকার মজবুত সম্পর্ক 

    শুক্রবার এক্স পোস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ এ কথা জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালমপুরে শুক্রবার আসিয়ান প্রতিরক্ষা সম্মলনের ফাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে হেগসেথের বৈঠক হয়। সেখানেই সই হয় দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। তার পরে এক্স পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আস্থাভাজন হেগসেথ লিখেছেন, ‘‘আমি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ১০ বছরের আমেরিকা-ভারত প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত করেছি।’’ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এখন ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বেশি করে সমন্বয় করে চলেছি ৷ আগের থেকে আরও বেশি পরিমাণে তথ্য় ভাগ করে নিচ্ছি ৷ প্রযুক্তিগত দিক থেকে আদান-প্রদানও বেড়েছে ৷ অতীতে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক কখনও এতটা মজবুত হয়নি ৷’’

    সম্পর্ক আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা

    সম্প্রতি ভারতের উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর৷ তারপর থেকে ভারত ও আমেরিকার তরফে সেই সম্পর্ককে আবারও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন৷ দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকও হতে চলেছে দিন কয়েকের মধ্যে ৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ সরকারি সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ায় রাজনাথ-হেগসেথ আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিনের সরবরাহ। এই ইঞ্জিনের সরবরাহে দেরি হওয়ায় ভারতীয় বায়ুসেনাকে চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী তেজস যুদ্ধবিমান দিতে সমস্যায় পড়েছে রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)।

    ভারত-মার্কিন সখ্য জরুরি

    আমেরিকার সঙ্গে এই ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি আগেও করেছে ভারত ৷ ২০১৫ সালে হওয়া দশ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়াতেই এবার নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হল দুটি দেশ৷ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তিনি মনে করেন, এমনিতেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গভীর সমন্বয় আছে৷ এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টে রাজনাথ লেখেন, ‘‘ভারত ও আমেরিকার প্রতিরক্ষা সমঝোতাকে নতুন দিশা দেখাবে এই চুক্তি ৷ আমাদের পারস্পরিক সমঝোতা যে আগামী দশকে আরও বেশি মজবুত হতে চলেছে সেটা এই চুক্তি থেকেই স্পষ্ট ৷ আগামিদিনে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তিই হতে চলেছে প্রতিরক্ষা ৷ ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত ও অবাধ কিন্তু নিয়মবদ্ধ ভাবে পরিচালিত হতে পারে তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সখ্য জরুরি ৷’’

    চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    রাজনাথ সিং ও হেগসেথের সাক্ষাৎ কেবল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত আলোচনার অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই নতুন চুক্তি ভারত–মার্কিন প্রতিরক্ষা কাঠামোকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শক্তিশালী করবে, যা দ্বিপাক্ষিক সামরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। নতুন চুক্তির মূল কাঠামো তিনটি স্তম্ভকে কেন্দ্র করে গঠিত। উভয় দেশের মিলিতভাবে লজিস্টিক সুবিধা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সেনা বাহিনীর সরঞ্জাম ব্যবহার সহজতর হবে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও প্রযুক্তির যৌথ উৎপাদন এবং উন্নয়নকে উৎসাহ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভারতের স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও আধুনিকীকরণকে সহায়তা করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই চুক্তি ভারতের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ইন্টারঅপারেবিলিটি বা মিলিত কার্যক্ষমতাও বাড়াবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশ একে অপরের সেনা ঘাঁটি, লজিস্টিক সুবিধা ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে, যা দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় এবং কৌশলগত প্রস্তুতিতে এক বড় দিক পরিবর্তন আনবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এই চুক্তি চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষভাবে দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত মহাসাগরে বেজিংয়ের আক্রমণাত্মক নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে।

  • New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে একযোগে বাংলাতেও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে এসআইআর। শোরগোল চলছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট নিয়ে। যদিও সূত্রের খবর, ওই বছরের ভোটার লিস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার লিস্টের ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পুরনো ওয়েবসাইটও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে চালু হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট (New Website of EC)। এই ওয়েবসাইটেই মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা।

    কেন চালু হল নয়া ওয়েবসাইট

    গত ২৭ অক্টোবর, সোমবার রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর ঘোষণা হয়। ঘটনাচক্রে, তার পরদিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল রাজ্যের সিইও দফতরের ওয়েবসাইটটি। তা নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। কারণ, বহু মানুষই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখতে চাইছিলেন, যা ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়ার কথা ছিল। সেই ওয়েবসাইট অকেজো হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নতুন ওয়েবসাইট চালু করল সিইও দফতর। ওয়েবসাইটটির নাম— https://ceowestbengal.wb.gov.in/ । সিইও দফতর সূত্রে খবর, এই ওয়েবসাইট থেকেই ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত কাজকর্মও হবে এই ওয়েবসাইটে।

    কী ভাবে খুঁজবেন ভোটার তালিকা

    উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (New Website of EC) ক্লিক করলেই যে পাতাটি আপনার মোবাইল, কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনে খুলবে, সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলার নাম লেখা থাকবে। আপনি বা আপনার বাবা-মা ২৩ বছর আগে যে জেলার ভোটার ছিলেন, প্রথমে সেই জেলার নামে ক্লিক করতে হবে। তখন খুলে যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার বিধানসভাগুলির নাম। তখন আপনি যে বিধানসভা এলাকার ভোটার ছিলেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলে খুলে যাবে ভোটকেন্দ্রের (পোলিং স্টেশন) নাম। ‘স্ক্রল’ করে সেই কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পাবেন ভোটার তালিকা।

    কী সমস্যা হতে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিষয়ে সমস্যা হতে পারে। অনেক জায়গায় একটি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকে। অর্থাৎ, একটি বড় স্কুলে উপরতলা, নীচের তলা মিলিয়ে চারটি-পাঁচটিও বুথ হয়। ২৩ বছর আগের বুথ বা পার্ট নম্বর স্মরণে থাকলে আপনি এক বারেই সেই তালিকা পেতে পারেন। একান্তই মনে না থাকলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সবকটি কক্ষের তালিকাই মিলিয়ে দেখতে হবে।

    পাশে রয়েছে কমিশন

    এসআইআর (SIR) নিয়ে যতরকম জটিলতা তৈরি করা সম্ভব তার চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস। মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চলছে জোর কদমে। সোশাল মিডিয়া পোস্টে যে যার মতো ভাসিয়ে দিচ্ছে মিথ্যে। লক্ষ্য একটাই রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কিন্তু এসআইআর নিয়ে সবরকম জটিলতা কাটাতে মানুষের পাশে আছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসআইআরের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন বিএলও-রা। এই কাজটি শুরু হবে ৪-নভেম্বর, চলবে এক মাস, অর্থাৎ ৪-ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথমেই দেখা হবে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা। বিএলও-রা রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন। যে বাড়ির ঠিকানা আছে, সেখানেও যাবেন, যে বাড়ির ঠিকানা নেই, সেখানেও যাবেন। অর্থাৎ যেখানেই মানুষ বাস করেন, সেখানেই যাবেন। কেউ বাদ যাবে না। এনুমারেশন ফর্ম ভর্তি করবেন। সেখানে লেখা হবে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের বয়স, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য। তার জন্য যাঁরা ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট দেখতে চান, কমিশনের নতুন ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই তা করতে পারবেন।

LinkedIn
Share