Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা (US)। স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিএলএ-র সহযোগী মজিদ ব্রিগেডকেও জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। সোমবারই এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এ কথা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালেই বিএলএকে ‘স্পেশাল ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরটিস্ট’ বলে দেগে দিয়েছিল আমেরিকা। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফরে যাওয়ার পরেই এই বিবৃতি দেওয়া হল মার্কিন প্রশাসনের তরফে।

    স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহী (US)

    বালুচিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহীরা। গত মঙ্গলবার রাতেও বালুচিস্তানের নৌশকি জেলায় বিএলএর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হন এক মেজর-সহ তিন পাক সেনা। তার আগে গত মে মাসে বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় ১৪ জন পাক সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলির জেরে নাকানিচোবানি খাচ্ছিল পাক সরকার ও পাক সেনাপ্রধান। এই আবহেই বালুচ স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ঘোষণা করা হল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে।

    জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকল বিএল

    সোমবার বিবৃতি জারি করে বিএলএ এবং তার শাখা সংগঠন মজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকিয়ে দিল আমেরিকা। বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেডে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দর এবং গ্বদর বন্দরের কাছে আত্মঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলও। গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই ট্রেন (US) অপহরণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং সেনাকর্মী-সহ ৩১ জন নিহত হন।

    ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের স্বঘোষিত সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘোষণা করা হল এমন একটা সময়ে যখন পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে তারা বিএলএ কর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তেহরান (ইরানের রাজধানী) প্রায়ই অস্বীকার করে। তবে এই সহযোগিতা এমন একটা প্রেক্ষাপটে হচ্ছে যেখানে পাকিস্তান নিজেই বালুচিস্তানে (Balochistan) কঠোর দমননীতির অভিযোগের মুখে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করে স্থানীয়দের প্রতিরোধ দমন করছে, অসামরিক জনগণকে টার্গেট করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে (US)।

  • Income Tax bill 2025: লোকসভায় পাশ আয়কর সংশোধনী বিল, কী কী বদল এল কর দেওয়ার প্রক্রিয়ায়?

    Income Tax bill 2025: লোকসভায় পাশ আয়কর সংশোধনী বিল, কী কী বদল এল কর দেওয়ার প্রক্রিয়ায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল আয়কর আয়কর আইন, ২০২৫ (Income Tax bill 2025)। সিলেক্ট কমিটির অধিকাংশ সুপারিশ মেনেই বিল পাশ হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় পেশ হয়েছিল এই বিলটি। তবে এই বিলের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানানো হয় বিরোধীদের তরফে। এই অবস্থায় বিলটিকে পাঠানো হয় সিলেক্ট কমিটিতে। সেখানে বিলটিতে বেশকিছু সংস্করণ করা হয়।সংশোধিত বিলটি সোমবার পেশ হয় লোকসভায়। জানা গিয়েছে, সিলেক্ট কমিটি মোট ২৮৫টি সুপারিশ করেছিল বিলটি নিয়ে। প্রত্যেকটিই গৃহীত হয়েছে।

    বিল পেশ নির্মলার

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ সোমবার লোকসভায় আয়কর আইন পেশ করার পর বলেন, সিলেক্ট কমিটির সিংহভাগ সংশোধনী ও প্রস্তাব সরকার মেনে নিয়েছে। ২৮৫টি সুপারিশ করেছিল সিলেক্ট কমিটি। ১৯৬১ সালের আয়কর আইন বাতিল করে যে নয়া আয়কর আইন চালু হবে, তাতে আয়করের কাঠামোগত একঝাঁক বদল হয়েছে। যদিও ২০২৫ সালের বাজেটে ঘোষিত আয়কর কাঠামো ও প্রস্তাবে কোনও বদল হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংশোধিত বিলটি পেশ করার কিছুক্ষণ পরেই আয়কর (নং ২) বিল, ২০২৫ পাস (Income Tax bill 2025) হয়। নতুন আয়কর বিল পাস হওয়ার পর, লোকসভা এই দিনের জন্য মুলতবি রাখা হয়।

    নয়া বিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ

    নয়া বিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, যাদের জিরো ট্যাক্স হবে, তাদের ইস্যু করে দেওয়া হবে নিল ট্যাক্স সার্টিফিকেট। এই আ‌ইনে ট্যাক্স রিফান্ড ব্যবস্থা আরও সরল হবে। যারা দেরি করে অর্থাৎ সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর রিটার্ন জমা দেবে, তারাও সেই ফর্মে রিফান্ড দাবি করতে পারবে। বাড়িভাড়া থেকে যে আয় হয় সেটির উপর ধার্য ট্যাক্সের কাঠামো সরল করে দেওয়া হচ্ছে। বছরে কোনও বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলে, সেটি যদি মাঝপথে আর ভাড়া না থাকে, তাহলে বার্ষিক কর ধার্য হবে কত ভাড়া আয় হয়েছে সেটির উপর। অর্থাৎ বছরে কত ভাড়া হওয়া উচিত সেই কাঠামোর উপর নয়। এই ট্যাক্সও ধার্য হবে ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, গৃহঋণবাবদ সুদপ্রদান, পুরসভার ট্যাক্স প্রদান ইত্যাদি বাদ দিয়ে যত টাকা ভাড়া থেকে আয় হবে, সেই নেট ইনকামের উপর। ট্যাক্স রিটার্ন ও হিসাবে প্রিভিয়াস ইয়ার কিংবা অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার হিসেবে কোনও শব্দবন্ধ আর থাকবে না। এবার থেকে সরাসরি ট্যাক্স ইয়ার অর্থাৎ যে আর্থিক বছরের ট্যাক্স রিটার্ন স্টেটমেন্ট জমা করা হচ্ছে, সেটাই সরাসরি লেখা হবে ফর্মে। ডিজিটাল ট্যাক্স পেমেন্ট সংক্রান্ত বিধি তৈরি করার অধিকার থাকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেসের। সম্পত্তি করের নিয়মাবলি আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। এককালীন পেনশনের ক্ষেত্রে কর ছাড় মিলবে।

    রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষা

    বর্তমান আইনটি প্রতিস্থাপনের জন্য বিলটি (Income Tax bill 2025) রাজ্যসভায় পাস হতে হবে এবং তারপরে এটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। নতুন আইন কার্যকর হবে ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে। এই আইনের লক্ষ্য—সহজ, স্বচ্ছ, ও ঝামেলামুক্ত কর ব্যবস্থার সূচনা, যা ব্যক্তি, ব্যবসা ও সরকার—সব পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।

  • Israeli Ambassador: নিহত সাংবাদিক আনাস-আল-শরিফ আসলে হামাস জঙ্গি, বললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত

    Israeli Ambassador: নিহত সাংবাদিক আনাস-আল-শরিফ আসলে হামাস জঙ্গি, বললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল শরীফ। এবার ওই সাংবাদিককেই হামাসের জঙ্গি বলে আখ্যা দিলেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রুভেন আজার (Israeli Ambassador)। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাস সারা বিশ্বকে প্রতারণা করছে। তাদের জঙ্গিরা কখনও সাংবাদিকের ছদ্মবেশে, কখনও চিকিৎসক বা ত্রাণকর্মীর ছদ্মবেশে আত্মগোপন করছে।

    হামাসের জঙ্গিকে সাংবাদিক সাজানো এক বড় ধরনের প্রতারণার উদাহরণ

    তিনি (Israeli Ambassador) আরও বলেন, হামাসের জঙ্গিকে সাংবাদিক সাজানো এক বড় ধরনের প্রতারণার উদাহরণ। আমরা আনাস আল শরীফ নামে একজন জঙ্গিকে টার্গেট করেছিলাম। সে আসলে হামাসের সদস্য এবং তাদের একটি ইউনিটের কমান্ডার ছিল। হামাসের সামরিক শাখা তাকে একাধিকবার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রাষ্ট্রদূতের দাবি, কোনও সাংবাদিক গাজায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না যদি না তিনি হামাসের সদস্য হন অথবা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তিনি বলেন (Israeli Ambassador), “ইজরায়েল কেবল কারও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কাউকে টার্গেট করে না। আনাস আল শরীফকে আমরা বহুদিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করছিলাম। কারণ সে একজন হামাস জঙ্গি ছিল। আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যা আমরা রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পেয়েছি।”

    ইজরায়েলের হামলায় নিহত ৭

    জানা যায়, গাজায় ইজরায়েলের সাম্প্রতিক এক হামলায় নিহত সাতজনের মধ্যে আনাস আল শরীফও ছিলেন (Hamas)। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৮ বছর। তিনি নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন সাংবাদিক — মহম্মদ ইব্রাহিম, মোমেন আলিয়া, ও মোহাম্মদ নওফাল — ওই হামলায় নিহত হন। হামলার পর ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, তিনি সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ছিলেন। তাদের দাবি, তিনি হামাসের সামরিক শাখার একজন প্রধান এবং গাজা থেকে ইজরায়েলের (Israeli Ambassador) অসামরিক নাগরিক ও সেনাবাহিনীর ওপর রকেট হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

    ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পোস্ট

    এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)–এ একটি পোস্ট করে লিখেছে, “সন্ত্রাসী আনাস আল শরীফ, যিনি নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে উপস্থাপন করতেন, আসলে হামাসের একটি জঙ্গি ইউনিটের প্রধান ছিলেন এবং তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সেনার ওপর একাধিক হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গাজা থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য এবং নথিপত্র থেকে আমরা এসব তথ্য পেয়েছি।”

  • Air India: দিল্লি-ওয়াশিংটন ‘ননস্টপ’ বিমান পরিষেবা বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া

    Air India: দিল্লি-ওয়াশিংটন ‘ননস্টপ’ বিমান পরিষেবা বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন ডিসি-র (Delhi-Washington) সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা করল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই আকাশপথে আর কোনও নন-স্টপ বিমান চালানো হবে না। তবে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হলেও যাত্রীরা ‘ওয়ান স্টপ’ পরিষেবার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে যেতে পারবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিউইয়র্ক, শিকাগো, নেওয়ার্ক, সান ফ্রান্সিসকো ও ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছনো সম্ভব হবে। লাগেজ চেক-ইন করা যাবে গন্তব্য পর্যন্ত।

    বিমান সংস্কার

    বিমান সংস্থার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত মাসেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ফ্লিটের সংস্কারের কাজ শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ এবং পরিষেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৬টি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের কেবিনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর জন্য অন্তত পক্ষে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিমান বসিয়ে দিতে হবে। ফলে বিমানের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রুট সচল রাখতে দিল্লি ওয়াশিংটন সরাসরি বিমান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

    বন্ধ পাক আকাশসীমা

    পহেলগাঁও হামলার পরে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার ফ্লাইট রুট-সহ বেশ কয়েকটি রুটের দৈর্ঘ বেড়েছে। ভারতীয় উড়ানগুলিকে আরব সাগর এবং ইউরোপের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। ফলে বেড়েছে জ্বালানির খরচ। এই অবস্থায় ডিরেক্ট ফ্লাইট বা বিরামহীন উড়ান পরিষেবা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

    ‘ওয়ান স্টপ’ পরিষেবা

    উত্তর আমেরিকার অন্যান্য শহরের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার সরাসরি সংযোগ অপরিবর্তিত থাকছে। ভ্যানকুভার, টরেন্টো-সহ ছয়টি শহরে নন-স্টপ পরিষেবা আগের মতো চালু থাকবে। এই সিদ্ধান্তে দিল্লি-ওয়াশিংটন যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হলেও সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিষেবার মান ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য

    এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) তরফে জানানো হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বরের পর যারা দিল্লি-ওয়াশিংটন রুটে টিকিট বুক করেছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে অথবা বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। রিবুকিং করতে চান যাঁরা, তাঁদের আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নিউ ইয়র্ক, নেওয়ার্ক, শিকাগো অথবা সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছে দেবে এয়ার ইন্ডিয়া। আর যাঁরা রিফান্ড চাইবেন, তাঁদের টিকিট বাতিলের জন্য কোনও জরিমানা ছাড়াই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

     

     

     

     

     

     

  • Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তাই মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের (Karnataka) সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্য। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার (Karnataka Minister K.N. Rajanna) মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বরখাস্ত না করে রাজন্যকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে কারচুপি করে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্নাটকের কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। রাজন্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজান্না।

    ঠিক কী বলেছিলেন রাজন্য?

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনার জেরে (Karnataka) মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে হওয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। চারদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ করেন। কর্নাটকেও ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি (Karnataka)। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছে? তখন কর্নাটকে আমাদেরই সরকার ছিল। সেই সময় কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?”

    কংগ্রেসে নেই কোনও গণতন্ত্র, আক্রমণ বিজেপির

    নিজ দলের মন্ত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনায় (Karnataka) অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজন্যকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শেষপর্যন্ত সোমবার ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ যদি সত্যি কথা বলেন, তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “সত্যি বলার শাস্তি হিসেবে রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল (Karnataka Minister K.N. Rajanna)।”

  • PMGSY: দেশের নানা প্রান্তের গ্রামে গ্রামে ৭.৮৩ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন, জানাল কেন্দ্র

    PMGSY: দেশের নানা প্রান্তের গ্রামে গ্রামে ৭.৮৩ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-এর অধীনে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৭,৮৩,৬২০ কিলোমিটার পাকা গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাশওয়ান। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল দেশের প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলে সারা বছরের জন্য যান চলাচল যোগ্য সড়ক তৈরি করে তাদের মূল উন্নয়নধারায় যোগ করা। এর ফলে আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে এবং গ্রামীণ সমাজের প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের সুফল পৌঁছচ্ছে।

    করোনা-পরবর্তী সময়ে দ্রুত গতি

    ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে, ১,৫৭,৬৬৬ কিমি রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। এই সময়ে ১,২৩,৫৯৫ কিমি সড়ক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ৭৪,৩২৪.৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-এর বাজেট ছিল ১৫,০০০ কোটি টাকা, যা বাড়িয়ে ২০২২-২৩ থেকে ১৯,০০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাশওয়ান জানান, এই প্রকল্পের অধীনে মোট ৮,৩৮,৬১১ কিমি সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৭,৮৩,৬২০ কিমি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

    সময়ভিত্তিক নির্মাণ পরিসংখ্যান

    উল্লেখ্য, ২০০০ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত ১৩ বছরে ৩,৮১,৩৯৫ কিমি রাস্তা সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল ২০১৪ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরে ৩,৭৯,০৭৫ কিমি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের পর নির্মাণের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY) প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামের মানুষ প্রথমবারের মতো সারা বছরের জন্য যান চলাচল যোগ্য রাস্তা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও। সে জন্য রাজ্যের পাওয়ার কথা ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় তৈরি হবে ৮৫৭ কিলোমিটার রাস্তা। তা নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত দফতরকে প্রথম দফায় ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

  • Death During Exercise: জিমে গেলেও বিপত্তি! শরীর চর্চা কখন বিপজ্জনক হতে পারে?

    Death During Exercise: জিমে গেলেও বিপত্তি! শরীর চর্চা কখন বিপজ্জনক হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর চর্চাও হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। এমনকি প্রাণঘাতী! সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় আবার প্রশ্নের মুখে জিমের সময় কাটানো! গত কয়েক সপ্তাহে সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ শরীর সচেতন মানুষের জিম করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যুর ঘটনা পরপর প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারপরেই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন। জিম নিয়ে নানান ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছে। শরীর চর্চার মাঝেই কি রয়েছে নানান ফাঁদ! এমন প্রশ্ন ও উঠছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি। সতর্কতা ও সচেতনতা হাতিয়ার হলেই বড় বিপদ এড়ানো‌ যেতে পারে।

    কখন জিম বিপজ্জনক হতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিমে শারীরিক কসরত হয়‌। অধিকাংশ সময় জিম নিয়মিত করলে, ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এর পাশপাশি পেশি মজবুত করতেও সাহায্য করে‌। দীর্ঘ সময় ধরে জিম করলে তাই রক্ত সঞ্চালনে এবং স্নায়ুর ওপরে এর প্রভাব পড়ে‌। আর সেখানেই জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স ও শারীরিক পরিস্থিতি জিম করার আগে জানা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জটিল হৃদরোগের সমস্যা থাকলে, হাড়ের ক্ষয় রোগ থাকলে কিংবা স্নায়ুর সমস্যা থাকলে দিনের কতখানি জিম করা যাবে সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিমের একাধিক জিনিস থাকে, নানান পেশি মজবুতবের জন্য, নানান রকমের কসরত করা হয়। কিন্তু হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কোন ধরনের জিমের কৌশল রপ্ত করা যাবে, আর কোন কৌশল এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।‌ কারণ, চিকিৎসকদের মতে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া জিমে গিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করলে অনেক সময়েই রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নানান বিপদ তৈরি করে। আবার হৃদপিণ্ডের উপরেও বাড়তি চাপ পড়ে। তাই তখন হৃদরোগের আশঙ্কা ও বেড়ে যায়‌।

    জিমের অভ্যাস তৈরি হওয়ার পাশপাশি অনেকেই ডায়েট করার অভ্যাস তৈরি করেন। আপাত দৃষ্টিতে ডায়েট শরীরের জন্য খুবই উপকারী।‌ স্থুলতা রুখতে এবং নানান রোগের দাপট এড়াতে নিয়মিত ডায়েট চার্ট মেনে খাদ্যাভ্যাস জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ডায়েট অপরিকল্পিত হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ অপরিকল্পিত ডায়েট এবং জিমের শারীরিক কসরত শরীরকে দূর্বল করে। পেশি এবং স্নায়ুর একাধিক রোগের কারণ হয়। তাই এদিকেও নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, জিম করার পাশপাশি ডায়েট করলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই অভ্যাস করা প্রয়োজন।

    কীভাবে জিম করলে বিপদের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে?

    শরীর জিমের জন্য প্রস্তুত কিনা সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রথম শর্ত বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিমে নিয়মিত যাওয়া, কতক্ষণ নিয়মিত জিম করা উচিত এই নিয়ে আগাম সতর্কতা জরুরি। তাহলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। জিমের সব ধরনের কৌশল, সকলের জন্য প্রয়োজনীয় না ও হতে পারে। সে সম্পর্কে জিমের প্রশিক্ষকের মতামত নিয়েই কাজ করতে হবে। পাশপাশি খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ শারীরিক কসরতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না খেলে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি‌ পাবে না। তখন যে কোনও রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India’s Response to Nuclear Threat: পরমাণু অস্ত্রধারী বোধবুদ্ধিহীন দেশ পাকিস্তান! মুনিরকে জবাব ভারতের, বার্তা আমেরিকাকেও

    India’s Response to Nuclear Threat: পরমাণু অস্ত্রধারী বোধবুদ্ধিহীন দেশ পাকিস্তান! মুনিরকে জবাব ভারতের, বার্তা আমেরিকাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রধারী (Nuclear threat) একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন দেশ পাকিস্তান। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir) মন্তব্য নিয়ে এমনই বার্তা দিল নয়াদিল্লি। সোমবার ভারত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আসিম মুনির যে অর্ধেক পৃথিবীকে ধ্বংস করার কথা বলেছেন,তাতেই বোঝা যায় দেশটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন (India’s Response to Nuclear Threat) দেশ যাদের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও এ নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের পরমাণু হুমকির সামনে মাথা নত করা হবে না। সেই সঙ্গে ‘বন্ধু দেশের’ মাটি থেকে এমন বার্তা দুর্ভাগ্যজনক বলেও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

    দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকা থেকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের কিছু মন্তব্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হট্টগোল করা পাকিস্তানের প্রধান চালিকাশক্তি। এই ধরনের মন্তব্যে যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমন একটা দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকায় যে সন্দেহগুলি দানা বেঁধেছিল, সেগুলিই আরও জোরদার হচ্ছে। সেখানে সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’’পরমাণু অস্ত্র সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে অর্থাৎ সেনাবাহিনীর হাতে চলে যাওয়াকেও ‘প্রকৃত বিপদ’ বলে মনে করে ভারত।

    মার্কিন-মুলুক থেকে কেন এই বার্তা

    এর পরেই আমেরিকার উদ্দেশে বার্তা (India’s Response to Nuclear Threat) দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারত পরমাণু হুমকির সামনে মাথা নত করবে না। আগেও তা স্পষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ করব।’’ উল্লেখ্য, আমেরিকায় গিয়ে পরমাণু বোমা (Nuclear bomb) ব্যবহার করে ভারতকে (India) ধ্বংস করার সরাসরি হুমকি দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir)। মার্কিন সফরে গিয়ে এক নৈশভোজের অনুষ্ঠানে মুনির বলেন, ‘‘আমরা যদি ডুবে যাই, তবে সঙ্গে অর্ধেক দুনিয়াকেও টেনে নেব।’’ মুনির বলেন, ‘‘আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি মনে করি শেষ হয়ে যাচ্ছি, তবে আমরা অর্ধেক দুনিয়াকে শেষ করে দেব।’’

    পাকিস্তানের বেস কি বাংলাদেশ

    মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির এ-ও বলেছেন, পাকিস্তান নাকি এবার ভারতের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ শুরু করবে। এই আবহে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশকে কি পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ‘বেস’ হিসেবে ব্যবহার করবে? এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানের অপ্রশাসনিক শক্তিকে সাবধান করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে থাকা এইসব শক্তি পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ছেলেখেলার স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের উপর নজরদারি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভারতের মতে, পাকিস্তানের বারবার পরমাণু অস্ত্রের হুমকিও ভারতের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ ঠেকাতে পারবে না। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকাটাই এই অবস্থায় বাঞ্ছনীয় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ভারত। কারণ এরকম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের দায়িত্ববুদ্ধিহীন ও দুর্বৃত্ত দেশের উপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর রাখা জরুরি বলে মনে করেন রাজনাথ সিং।

    আমেরিকাকেও জবাব

    পাকিস্তানে ভারতের সেনা অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তৎপরবর্তী দুই দেশের সংঘাতের পরে দু’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আমেরিকায় গিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। ফ্লরিডার টাম্পায় শিল্পপতি আদনান আসাদ আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই পাকিস্তানকে পারমানবিক শক্তিধর দেশ বলে দাবি করে ভারতকে খোঁচা দেন মুনির। এমনকি ভারতের সঙ্গে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়েও কথা বলেন। যা পহেলগাঁও হামলার পর স্থগিত করেছে ভারত। এপ্রসঙ্গে মুনির বলেন, ‘ভারত বাঁধ তৈরি করুক। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনও অভাব নেই। বাঁধের কাজ হয়ে গেলেই ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরে তা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’ পর্যবেক্ষকদের মতে, আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃতীয় কোনও দেশকে এ হেন পরমাণু হুমকির নজির বিরল। সম্প্রতি খনিজ তেল নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি হয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সূত্রে পাকিস্তানের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। ইসলামাবাদের উপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে দুই দেশকেই স্পষ্ট বার্তা দিল ভারত।

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Attacks on Hindu: ২০২১ থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩,৫৮২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও!

    Attacks on Hindu: ২০২১ থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩,৫৮২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ২০২১ সাল থেকে মোট ৩,৫৮২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও ৩৩৪টি গুরুতর হামলার ঘটনা সরকারিভাবে উত্থাপন করা হয়েছে ইসলামাবাদের কাছে। এই তথ্য রাজ্যসভায় জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। তিনি জানান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান-সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলি ভারত সরকার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে এবং যথাযথ ভাবে কূটনৈতিক স্তরে উত্থাপন করে।

    পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৩৪টি গুরুতর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোদি সরকারের তরফে পাক সরকারকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।” ভারত রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতনের বিষয়টি নিয়মিত উত্থাপন করে আসছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, পাকিস্তানে এসব হামলা ‘অঘোষিত সরকারি মদতে’ হচ্ছে এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছে না।

    বাংলাদেশে ৩,৫৮২টি হামলার ঘটনা

    এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch) জানিয়েছে, বাংলাদেশে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো প্রতিশ্রুত মানবাধিকার সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে আছে। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর গত এক বছরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার, নিরাপত্তা বাহিনীর জবাবদিহির অভাব এবং সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি রংপুর জেলায় একদল দাঙ্গাবাজ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১৪টি বাড়ি ভাঙচুর করে। চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস এলাকায়ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, যদিও ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘বাধ্যতামূলক গুম’ সংক্রান্ত চুক্তি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন করেছে, তবে নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে বিচারপ্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে। প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “প্রতিটি দেশের সরকারের উপরই তাদের সকল নাগরিকের – সংখ্যালঘুদেরও – জীবন, স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। ভারত এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছে।”

LinkedIn
Share