Tag: bangla news

bangla news

  • Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Act)। এর পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। এবার  ৮ এপ্রিল, থেকে দেশের সর্বত্র তা কার্যকার হল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মোদি সরকার। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ -এর ধারা (১) এর উপধারা (২) এর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এই আইনকে কার্যকর করল। ওয়াকফ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। তাঁর মতে, আগের ওয়াকফ আইন সংবিধানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ, দেশের সংবিধান সবার ওপরে।

    সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের (Waqf Amendment Act)

    লোকসভায় ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যেতেই পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। দেশের শীর্ষ আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে ওয়াকফ আইনের বিষয়ে। এই আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানির আবেদন করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারপক্ষের যুক্তি না শুনে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সহ দশটিরও বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সদস্য। এরপরেই বিলটি (Waqf Amendment Act) পাশ হয়ে যায়। এর আগে ৩ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেন। ২৩২ জন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

    মোদির বিবৃতি

    এই আবহে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি। ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) নিয়ে মোদি বলেন, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’

  • Eggs: নিয়মিত ডিম খেলেই বাড়বে কোলেস্টেরল? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা কী বলছে?

    Eggs: নিয়মিত ডিম খেলেই বাড়বে কোলেস্টেরল? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা কী বলছে?

    মাধ্যম ডেস্ক: মধ্য বয়সের পরে হাড়ের ক্ষয় রোগ রুখতে কিংবা শিশুদের পেশি মজবুত করতে ডিমের (Eggs) পুষ্টিগুণ অপরিসীম। কিন্তু ডিম নিয়ে রয়েছে নানান রকমের ধারণা। অনেকেই মনে করেন, ভারতের মতো গরম প্রধান দেশে ডিম নিয়মিত খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরিয়ে গেলে অনেকেই ডিম খেতে চান না। কিন্তু ডিম নিয়ে এমন নানান ধারনা বদলে দিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা। ডিম নিয়ে গবেষণা করেছিলেন একদল চিকিৎসক-গবেষক। আর সেখানেই নানান নতুন তথ্য পাওয়া গেল।

    ডিম খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে? (Harvard University) 

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগেন। দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়‌। তাই অনেকেই ডিম এড়িয়ে যেতে চান। সাম্প্রতিক ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডিমে ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল (Eggs) থাকে। মূলত এই কোলেস্টেরলের উৎস ডিমের কুসুম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরে নিয়মিত ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল স্বাভাবিক। তাই নিয়মিত ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা লাফিয়ে বাড়বে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তবে, কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব বেড়ে গেলে কুসুম বাদ দিয়ে নিয়মিত একটি ডিম খাওয়া যেতেই পারে‌। তাতে ডিমের পুষ্টিগুণ শরীর পায় আবার কোলেস্টেরলের মাত্রা ওঠানামার ঝুঁকিও সম্পূর্ণ এড়ানো যায়‌।

    গরমে নিয়মিত ডিম খাওয়া যেতে পারে? (Eggs)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিমে থাকে ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি। এছাড়াও থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, প্রোটিন এবং ফ্যাট। তাই শরীরের একাধিক পুষ্টির চাহিদা ডিম সহজেই পূরণ করে‌। নিয়মিত তাই ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের (Harvard University) একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিম (Eggs) খেলে হজমের সমস্যা হবে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যা সহজেই হজম করা যেতে পারে। তাই যে কোনও মরশুমে ডিম খাওয়া যেতে পারে‌।

    নিয়মিত কতগুলো ডিম খাওয়া যেতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার (Eggs)। কিন্তু নিয়মিত খেলে একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষত মধ্য বয়সিদের নিয়মিত একটার বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ডিমে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, ফ্যাট এবং প্রোটিন রয়েছে। কোলেস্টেরলের অন্যতম উৎস ডিম। তাই নিয়মিত একটি ডিম খেলে দেহের ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিনের চাহিদা মিটবে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ডিম নিয়মিত খেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ ওঠানামা করা কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যাও হতে পারে। তবে শিশুরা দিনে দুটি ডিম খেতেই পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের প্রোটিনের চাহিদা বেশি থাকে। তাছাড়া তারা অনেক বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন হয়। তাই শিশুদের দুটি ডিম নিয়মিত দেওয়া যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 09 April 2025: সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 09 April 2025: সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) প্রতিকূল দিন।

    বৃষ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

     

    মিথুন

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

     

     

    কর্কট

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

     

    ১) আপনার ব্যবহারের কারণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

     

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ায় উপকার পাবেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরে উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। তারপর থেকে অনেক জল গড়িয়েছে সরযূ নদী বেয়ে। এক বছর পরে উদযাপিত হয়েছে রামলালার অভিষেকের প্রথম বর্ষপূর্তি। সদ্য উদযাপিত হয়েছে রামনবমীও। এবার আগামী মাসেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ভগবান রামকে অযোধ্যার রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলায় রাম দরবার বা রাজ দরবারের উদ্বোধন হবে। অর্থাৎ আগামী মাসেই রামের রাজত্ব অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে একথা বলাই যায়।

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবের মতো অতটা জমকালো হবে না অনুষ্ঠান

    তবে এই অনুষ্ঠান রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ বা জমকালো হবে না বলেই জানিয়েছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট নিজেদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি যে ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠান অতটাও জমকালো হবে না। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আট হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল। তবে রাম দরবার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছোটখাটোভাবে সুন্দর করে করা হবে বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনাও তুঙ্গে।

    রাম দরবার (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমেই কাজ সম্পূর্ণ হবে রাম মন্দিরের

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৫ পর্যন্ত সময় লাগবে। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে দিয়েই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় রাম মন্দিরের। এরপরে ২০২৪ সালেই উদ্বোধন করা হয় রাম মন্দির (Ayodhya)। রাম মন্দিরের বর্তমানে নির্মাণ কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। নৃপেন্দ্র মিশ্র একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন সচিবও ছিলেন।

    কী বলছেন নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র

    নৃপেন্দ্র মিশ্র সম্প্রতি জানিয়েছেন, মন্দির কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এই মাসের (এপ্রিল) শেষের দিকে সম্পূর্ণ হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে যে প্রাচীরের অবশিষ্ট কাজ রয়েছে সেগুলি ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এ নিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মন্দিরে (Ram Mandir) এখনও কুড়ি হাজার ঘনফুট পাথর স্থাপন করা হয়নি। মন্দিরে নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে এবং ভিতরের সমস্ত মূর্তি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে স্থাপন করা হবে।’’ এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তি স্থাপিত রয়েছে গর্ভগৃহে। অন্যদিক, রাম দরবারে ব্যবহৃত পাথরের খোদাইয়ের কাজ করছেন জয়পুরের ২০ জন দক্ষ শিল্পী।

    গড়া হয়েছে সন্ত তুলসী দাসের বিরাট মূর্তি

    একইসঙ্গে, রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে রামচরিত মানসের রচনাকার সন্ত তুলসী দাসের একটি বিশাল মূর্তিও প্রাজ্ঞণে স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম মন্দিরের কুড়ি একর জমিকেই ব্যাপকভাবে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রাম মন্দির তৈরি হয়েছে নাগরীতে রীতিতে। প্রসঙ্গত, প্রাণ প্রতিষ্ঠা যখন সম্পন্ন হয় তখন শুধুমাত্র গর্ভগৃহ এবং প্রথম তলাটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।

    গড়ে তোলা হয়েছে রামকথা জাদুঘর

    অযোধ্যায় রামের মূল মন্দির থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রামকথা জাদুকর। এখানেই ভগবান রাম যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনাবলীও এখানে লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি রাম মন্দির আন্দোলনের ২০০ বছরের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে এই জাদুঘরে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে যে সমস্ত জিনিসগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও এখানে সংরক্ষিত করা হয়েছে রামভক্তদের জন্য।

  • Ramakrishna 320: “আমি তো টাকার জন্য যাই না—আমি হরিনাম শুনতে যাই—আর তুমি লাট সাহেব”

    Ramakrishna 320: “আমি তো টাকার জন্য যাই না—আমি হরিনাম শুনতে যাই—আর তুমি লাট সাহেব”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে—নির্লিপ্ত সংসারী

    “খুব ভক্তি (Ramakrishna)! আমি বরাহনগরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, তা আমায় ছাতা ধরে! ওর বাড়িতে লয়ে গিয়ে কত যত্ন! বাতাস করে—পা টিপে দেয়—আর নানা তরকারি করে খাওয়ায়। আমি একদিন ওর বাড়িতে পাইখানায় বেহুঁশ হয়ে গেছি। ও তো আচারী, পাইখানার ভিতর আমার কাছে গিয়ে পা ফাঁক করে বসিয়ে দেয়। অত আচারী, ঘৃণা করলে না।

    “কাপ্তেনের অনেক খরচা। কাশীতে ভায়েরা থাকে, তাদের দিতে হয়। মাগ আগে কৃপণ ছিল, এখন এত বিব্রত হয়েছে যে সবরকম খরচ করতে পারে না।

    “কাপ্তেনের পরিবার আমায় বললে যে, সংসার ওঁর (Ramakrishna) ভাল লাগে না। তাই মাঝে বলেছিল, সংসার ছেড়ে দেব। মাঝে মাঝে ছেড়ে দেব, ছেড়ে দেব করত।

    “ওদের বংশই ভক্ত। বাপ লড়ায়ে যেত। শুনেছি লড়ায়ের সময় এক-হাতে শিবপূজা, একহাতে তরবার খোলা, যুদ্ধ করত।

    “লোকটা ভারী আচারী। আমি কেশব সেনের কাছে যেতুম, তাই এখানে একমাস আসে নাই। বলে, কেশব সেন ভ্রষ্টাচার—ইংরাজের সঙ্গে খায়, ভিন্ন জাতে মেয়ের বিয়ে দিয়েছে, জাত নাই। আমি (Ramakrishna) বললুম, আমার সে সবের দরকার কি? কেশব হরিনাম করে, দেখতে যাই, ঈশ্বরীয় কথা শুনতে যাই—আমি কুলটি খাই, কাঁটায় আমার কি কাজ? তবুও আমায় ছাড়ে না; বলে তুমি কেশব সেনের ওখানে কেন যাও? তখন আমি বললুম, একটু বিরক্ত হয়ে, আমি তো টাকার জন্য যাই না—আমি হরিনাম শুনতে যাই—আর তুমি লাট সাহেবের বাড়িতে যাও কেমন করে? তারা ম্লেচ্ছ, তাদের সঙ্গে থাকো কেমন করে? এই সব বলার পর তবে একটু থামে।

    “কিন্তু খুব ভক্তি। যখন পূজা করে, কর্পূরের আরতি করে। আর পূজা করতে করতে আসনে স্তব করে। তখন আর-একটি মানুষ। যেন তন্ময় হয়ে যায়।”

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের ডেরা যে পাকিস্তান ফের, তা প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পেশোয়ারের পিস্তাখারা এলাকার কারী ইজাজ আবিদ (Qari Ejaz Abid) নামের ওই জঙ্গিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ইজাজ।

    কী করতেন ইজাজ

    কারী ইজাজ আবিদ ছিলেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নামের এক কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ইজাজ দীর্ঘদিন ধরেই জৈশ-ই-মহম্মদের হয়ে তরুণদের জঙ্গী শিবিরে কৌশল খাটিয়ে যুক্ত করতেন। তার সঙ্গে ছিল মাওলানা মাসুদ আজহারের এক গভীর সম্পর্ক। তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এমনকি বহুবার একই মঞ্চে বক্তৃতাও দিয়েছেন এবং একই দার্শনিক মতবাদ দেওবন্দী চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত। আসলে মাসুদ আজহারের কৌশল হল সরাসরি নয়, বরং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গি দলে যোগদান করানো। আর কারী ইজাজ আবিদ সেই পদ্ধতির এক প্রধান কারিগর ছিলেন। জানা যাচ্ছে, প্রথমে তিনি তরুণদের নিজস্ব ধর্মীয় জমায়েতে ডাকতেন। তারপর ধাপে ধাপে তাদের মগজ ধোলাই করে উগ্রপন্থায় নিয়ে যাওয়া হত। আর এরপর তাদের পাঠানো হত জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তাদের হাতে তুলে দেওয়া হত। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জঙ্গি-শিবিরে যোগ দেওয়ানো হত।

    কেন হত্যা করা হল ইজাজকে

    পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পিস্তাখারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মসজিদ থেকে বেরোনোর সময় ইজাজ আবিদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। আর ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা কারী শাহিদ গুলিবদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলেই খবর। যদিও এই হামলাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে সূত্র বলছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্রমাগত লড়াই লেগেই রয়েছে। আর এও হতে পারে যে, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী কারী ইজাজ আবিদকে সরিয়ে দিতে এই হামলার পথে হেঁটেছে। আবার এমনটাও হতে পারে যে, জৈশ-ই-মহম্মদের অন্দরমহলের থেকেই এই হামলা ঘটানো ঘটেছে। তবে ভারতের বহু নিরীহ মানুষের রক্তে হাত রাঙানো এই দুষ্কৃতিকর এহেন অবস্থা স্বস্তির খবর বলেই মনে করছে অনেকে।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

  • Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রতি কথায় লড়াইয়ের সুর। তিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। লড়াই তাঁর রক্তে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফিরে ফের লড়বেন তিনি। আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন, বলে জানালেন শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Chief Advisor Md Yunus) ফের তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধান উপদেষ্টাকে সুদখোর (Usurer), জঙ্গি (terrorist), সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি (Convicted) বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে আওয়ামি লিগের নিহত কর্মী-সমর্থকদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিনা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram) গ্রুপগুলিতেও নিয়মিত নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা লালমণিরহাটের (Lalmonirhat) কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয় তাঁর।

    সবকিছুর বিচার একদিন হবে

    গত বছরের অগাস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামি লিগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”

    শান্তির দেশ থেকে জঙ্গিদের দেশ

    তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’ এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’

    পড়ুয়ার লাশ চেয়েছিল ওরা

    এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’ সম্প্রতি যেভাবে আওয়ামি লিগ নেতানেত্রী এবং সর্বোপরি হাসিনার দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে জেলবন্দির ‘ছক’ কষছে ইউনুস সরকার, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে দল। সোমবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মিথ্যা প্রচার ইউনূস সরকারের

    গত শুক্রবার ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রসঙ্গ উঠেছিল। হাসিনা ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam, press secretary to Chief Advisor Md Yunus) সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও প্রেস সচিবের ওই দাবি নসাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়াকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই জাতীয় কোনও কথা ব্যাংককের বৈঠকে হয়নি।

    কী ভাবছে ভারত

    সোমবার রাতে দলের অনুষ্ঠানে হাসিনার বক্তব্যেও স্পষ্ট প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। নয়াদিল্লি ইতিপূর্বে শুধু জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাসিনা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে ভারত সরকার দ্বিমত পোষণ করে না। সে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিতে ভারতও চিন্তিত। আর মহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ রাজনৈতিক। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাসিনা তাঁর কথা বলছেন।

LinkedIn
Share