Tag: bangla news

bangla news

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের ডেরা যে পাকিস্তান ফের, তা প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পেশোয়ারের পিস্তাখারা এলাকার কারী ইজাজ আবিদ (Qari Ejaz Abid) নামের ওই জঙ্গিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ইজাজ।

    কী করতেন ইজাজ

    কারী ইজাজ আবিদ ছিলেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নামের এক কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ইজাজ দীর্ঘদিন ধরেই জৈশ-ই-মহম্মদের হয়ে তরুণদের জঙ্গী শিবিরে কৌশল খাটিয়ে যুক্ত করতেন। তার সঙ্গে ছিল মাওলানা মাসুদ আজহারের এক গভীর সম্পর্ক। তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এমনকি বহুবার একই মঞ্চে বক্তৃতাও দিয়েছেন এবং একই দার্শনিক মতবাদ দেওবন্দী চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত। আসলে মাসুদ আজহারের কৌশল হল সরাসরি নয়, বরং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গি দলে যোগদান করানো। আর কারী ইজাজ আবিদ সেই পদ্ধতির এক প্রধান কারিগর ছিলেন। জানা যাচ্ছে, প্রথমে তিনি তরুণদের নিজস্ব ধর্মীয় জমায়েতে ডাকতেন। তারপর ধাপে ধাপে তাদের মগজ ধোলাই করে উগ্রপন্থায় নিয়ে যাওয়া হত। আর এরপর তাদের পাঠানো হত জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তাদের হাতে তুলে দেওয়া হত। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জঙ্গি-শিবিরে যোগ দেওয়ানো হত।

    কেন হত্যা করা হল ইজাজকে

    পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পিস্তাখারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মসজিদ থেকে বেরোনোর সময় ইজাজ আবিদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। আর ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা কারী শাহিদ গুলিবদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলেই খবর। যদিও এই হামলাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে সূত্র বলছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্রমাগত লড়াই লেগেই রয়েছে। আর এও হতে পারে যে, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী কারী ইজাজ আবিদকে সরিয়ে দিতে এই হামলার পথে হেঁটেছে। আবার এমনটাও হতে পারে যে, জৈশ-ই-মহম্মদের অন্দরমহলের থেকেই এই হামলা ঘটানো ঘটেছে। তবে ভারতের বহু নিরীহ মানুষের রক্তে হাত রাঙানো এই দুষ্কৃতিকর এহেন অবস্থা স্বস্তির খবর বলেই মনে করছে অনেকে।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

  • Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রতি কথায় লড়াইয়ের সুর। তিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। লড়াই তাঁর রক্তে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফিরে ফের লড়বেন তিনি। আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন, বলে জানালেন শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Chief Advisor Md Yunus) ফের তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধান উপদেষ্টাকে সুদখোর (Usurer), জঙ্গি (terrorist), সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি (Convicted) বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে আওয়ামি লিগের নিহত কর্মী-সমর্থকদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিনা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram) গ্রুপগুলিতেও নিয়মিত নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা লালমণিরহাটের (Lalmonirhat) কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয় তাঁর।

    সবকিছুর বিচার একদিন হবে

    গত বছরের অগাস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামি লিগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”

    শান্তির দেশ থেকে জঙ্গিদের দেশ

    তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’ এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’

    পড়ুয়ার লাশ চেয়েছিল ওরা

    এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’ সম্প্রতি যেভাবে আওয়ামি লিগ নেতানেত্রী এবং সর্বোপরি হাসিনার দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে জেলবন্দির ‘ছক’ কষছে ইউনুস সরকার, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে দল। সোমবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মিথ্যা প্রচার ইউনূস সরকারের

    গত শুক্রবার ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রসঙ্গ উঠেছিল। হাসিনা ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam, press secretary to Chief Advisor Md Yunus) সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও প্রেস সচিবের ওই দাবি নসাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়াকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই জাতীয় কোনও কথা ব্যাংককের বৈঠকে হয়নি।

    কী ভাবছে ভারত

    সোমবার রাতে দলের অনুষ্ঠানে হাসিনার বক্তব্যেও স্পষ্ট প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। নয়াদিল্লি ইতিপূর্বে শুধু জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাসিনা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে ভারত সরকার দ্বিমত পোষণ করে না। সে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিতে ভারতও চিন্তিত। আর মহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ রাজনৈতিক। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাসিনা তাঁর কথা বলছেন।

  • Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (Pradhan Mantri Mudra Yojana) ১০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুদ্রা যোজনা অসংখ্য মানুষকে তাদের উদ্যোগী দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছে। এই প্রকল্পের কিছু সুবিধাভোগীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের যাত্রা প্রেরণাদায়ক।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Pradhan Mantri Mudra Yojana)

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর আলোচনায় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মূল্যায়ন ও উন্নত করার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার এমন যে এটি দশ বছর পরে কোনও প্রকল্পের ফল মূল্যায়ন করে। আমরা সুবিধাভোগীদের তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাইছি এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উন্নতি আনা হবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, মুদ্রা যোজনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্যোক্তা তৈরি করে মানসিকতায় মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে ৫২ কোটিরও বেশি ঋণ বিলি করা হয়েছে, যার অপরিশোধিত ঋণের হার আশ্চর্যজনকভাবে কম। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY) অ-কর্পোরেট, অ-কৃষি ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দান করে। এই প্রকল্প উৎপাদন, বাণিজ্য ও সেবা খাতের পাশাপাশি ডেয়ারি, পোল্ট্রি এবং মৌমাছি পালনের মতো কৃষি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রে যাঁরা রোজগার করতে চান, তাঁদের জন্য।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধা কারা পায়?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Pradhan Mantri Mudra Yojana) মূলত অ-কর্পোরেট, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে সাহায্য করে যেগুলি সাধারণত একক মালিকানায় বা অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে নানা ধরনের স্থানীয় উদ্যোক্তারা রয়েছেন। যেমন, ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী, দোকানদার ও বিক্রেতা, অটো ও ট্রাক চালক, খাবারের স্টল ও সেবা প্রদানকারী, কারিগর ও মেরামত টেকনিশিয়ান, কুটির শিল্প ও প্রক্রিয়াকরণকারী (PM Modi)। এই তৃণমূলস্তর পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে মুদ্রা সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ঋণ কীভাবে পাওয়া যাবে?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে ঋণ দেওয়া হয় মেম্বার লেন্ডিং ইনসস্টিটিউশন (MLIs)-এর একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (RRB), রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন (MFI), নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানি (NBFC), ক্ষুদ্র অর্থ ব্যাঙ্ক (SFB) এবং মুদ্রা লিমিটেড দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মুদ্রা ঋণের সুদের হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত হয়। ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল ও উদ্যোগের প্রকৃতিভেদে এই সুদের হার ভিন্ন হতে পারে।

    চার্জ এবং প্রসেসিং ফি

    ব্যাঙ্কগুলি তাদের (Pradhan Mantri Mudra Yojana)অভ্যন্তরীণ নীতির ভিত্তিতে অগ্রিম ফি ধার্য করতে পারে। তবে ‘শিশু’ লোনের প্রসেসিং ফি সাধারণত বেশিরভাগ ব্যাংকই মকুব করে দেয়। এটি প্রথমবার এবং ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করে। অর্থমন্ত্রক ও পিআইবির তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রা লোনের ৬৮ শতাংশ গ্রহণ করেছেন মহিলা উদ্যোক্তারা। ৫০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আর ১১ শতাংশ সংখ্যালঘুদের দ্বারা গৃহীত। এ সবই এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত (PM Modi)।

    লোনের বিভাগ এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের চাহিদা

    মুদ্রা লোন তিনটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হল, শিশু (৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত), কিশোর কিশোর (৫০,০০০ – ৫ লাখ টাকা) এবং তরুণ (৫ – ১০ লক্ষ টাকা)। উচ্চমূল্যের লোনের দিকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে কিশোর লোন বিলির পরিমাণ ছিল ৪৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ অর্থবর্ষের চেয়ে এই বৃদ্ধির হার ৫.৯ শতাংশ। এই সময়ে গড় লোনের আকার তিনগুণ বেড়ে ৩৮,০০০ টাকা থেকে ১.০২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে।

    মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা

    ২০১৬ অর্থবর্ষ (Pradhan Mantri Mudra Yojana) থেকে ২০২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত, মহিলাদের গড় ঋণ ১৩ শতাংশ (PM Modi) সিএজিআরে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২,৬৭৯ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁদের গড় ডিপোজিট ব্যালেন্স বার্ষিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫,২৬৯ টাকায় পৌঁছেছে। মহিলাদের জন্য বেশি লোন বিতরণকারী রাজ্যগুলিতে মহিলা নেতৃত্বাধীন এমএসএমইতে কর্মসংস্থান বেশি দেখা গিয়েছে। এমএসএমইদের জন্য ২০১৪ অর্থবর্ষে ঋণ ৮.৫১ লাখ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবর্ষে হয়েছে ২৭.২৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এটি ৩০ লাখ কোটি টাকার গন্ডি পার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সামগ্রিক ব্যাঙ্ক ঋণের মধ্যে এমএসএমই ঋণের অংশ ১৫.৮ শতাংশ থেকে প্রায় (PM Modi) ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (Pradhan Mantri Mudra Yojana)।

  • Science News: ১২ হাজার বছর আগে হয়েছিল বিলুপ্ত, ফের পৃথিবীতে ফিরে এল ডায়ারউলফ! কীভাবে সম্ভব হল?

    Science News: ১২ হাজার বছর আগে হয়েছিল বিলুপ্ত, ফের পৃথিবীতে ফিরে এল ডায়ারউলফ! কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রস্তর যুগ থেকে তুষার-যুগ পর্যন্ত তারা পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত। অন্তত সাড়ে ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এই প্রাগৈতিহাসিক ভয়ঙ্কর নেকড়ে। যা পরিচিত ছিল ডায়ারউলফ (Science News) নামে। কিন্তু, ফের তাকে ফিরিয়ে আনা হল পৃথিবীতে। তবে কোনও হলিউডের সিনেমার মাধ্যমে নয়। একেবারে বাস্তবে। গবেষণাগারে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনলেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা ডায়ারউলফের জীবাশ্ম থেকে সংগৃহীত নমুনা দিয়ে তিনটি নেকড়ে ছানার প্রজনন করিয়েছেন, যাদের শরীরে ডায়ারউল্ফের ডিএনএ এবং বৈশিষ্ট্য প্রামান্য পরিমাণে রয়েছে। প্রসঙ্গত, এ সংক্রান্ত গবেষণাটি চালিয়েছিল কলোসাল বায়োসায়েন্সস নামের একটি সংস্থা। ওই সংস্থা তাদের গবেষণা বিষয়ে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট নিজেদের এক্স মাধ্যমেও করেছে।

    এক্স মাধ্যমের পোস্টে কী জানাল গবেষক সংস্থা (Science News)

    নিজেদের এক্স মাধ্যমের পোস্টে কলোসাল বায়োসায়েন্সেস লিখছে, ‘‘দশ হাজার বছর পরে আমরা আবার ডায়ারউলফকে (Dire Wolves) ফিরে পেয়েছি।’’ এরপরেই নিজেদের ওই পোস্টে ওই সংস্থা আরও লেখে, ‘‘আপনারা পরিচিত হন রোমুলাস এবং রেমাসের এর সঙ্গে। এদের শরীরেই রয়েছে ডায়ারউলফের (Science News) ডিএনএ।’’ প্রসঙ্গত, এই নেকড়ে ছানা দুটি জন্মগ্রহণ করে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর। খালেসি নামের তৃতীয় শাবকটির জন্ম হয় কয়েক সপ্তাহ পর।  সে কথাও নিজেদের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লিখেছে ওই সংস্থা। বর্তমানে, উত্তর আমেরিকার একটি গোপন গবেষণাগার ও সংরক্ষিত বনে তারা বেড়ে উঠছে। তাদের পর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে গরু, হরিণ ও ঘোড়ার মাংস। এরসঙ্গে চলছে শুকনো খাবার।

    ডায়ারউলফগুলি একদা উত্তর আমেরিকাতে ঘোরাফেরা করত

    জানা গিয়েছে, ডায়ারউলফগুলি (Science News) একদা উত্তর আমেরিকাতে ঘোরাফেরা করত। সেসময় তারা বাইসন ও ভল্লুক শিকার করতে বলে জানা যায়। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস সংস্থার মতে, এই ডায়ারউলফগুলির ছিল অনেক চওড়া মাথা ও তীক্ষ্ণ দাঁত। উত্তর আমেরিকার অত্যন্ত ভয়ঙ্কর শিকারি হিসাবেই তারা পরিচিত ছিল। এই ডায়ারউলফগুলি ১২,৫০০ বছর আগেও পৃথিবীতে ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস এই গবেষণার কাজ শুরু করে বিলুপ্ত হওয়া এই প্রাণীর জীবাশ্মের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে। ওই সংস্থা, ওহায়ো ও আইডাহো শহর থেকে প্রাপ্ত দুটি ডায়ারউলফের জীবাশ্মের নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে। কলোসাল জানিয়েছে, ১২ হাজার বছর আগের একটি দাঁতের জীবাশ্ম ও ৭৩ হাজার বছর আগের একটি কানের হাড়ের জীবাশ্ম থেকে এই ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। তারপরে ওই ডিএনএকে ব্যবহার করে একটি মাদী গ্রে উলফের (বর্তমান প্রজাতি) ডিম্বানুতে এই ডায়ারউলফের জিনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে তিন শাবকের জন্ম দেওয়ানো হয়।

  • Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। তার পরেও ক্ষমতায় ফিরতে নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Act) নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অথচ খোদ মুসলমানদেরই একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন ওয়াকফ আইনকে। জনমানসে বিভ্রান্তি কাটাতে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে পথে নামছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (Muslim Rashtriya Manch)। মঞ্চের সিদ্ধান্ত, নয়া আইন সম্পর্কে গুজব দূর করতে এবং বিভ্রান্তি কাটাতে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। আয়োজন করা হবে ৫০০-রও বেশি আলোচনাসভার। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মেন্টর ইন্দ্রেশ কুমার জানান, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ভুল ধারণা ও গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা দূর করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ কুমার (Muslim Rashtriya Manch)

    দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “এই আইনের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাগুলি প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মঞ্চ সারা দেশে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স এবং ৫০০টিরও বেশি সেমিনারের আয়োজন করবে। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করবে।” দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলির উল্লেখ করে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সম্পত্তিগুলির স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি বলেন, “নয়া এই আইন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং সকল মুসলমানের স্বার্থেই প্রণয়ন করা হয়েছে।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন (Muslim Rashtriya Manch), “এই নয়া আইনটিতে সম্মতি দিতে গোটা দেশ যেন একজোট হয়েছে, এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে।” নয়া ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই আইনটি সমাজে দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে একটি সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।” জেপিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই আইনটি কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছ ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশের অধিকার সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।”

    কী বলছেন রামলাল

    আরএসএস নেতা রামলাল ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন ভারতীয় সমাজকে নতুন শক্তি দেবে এবং সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই মন্ত্র বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” রামলাল আরও বলেন, “নতুন এই আইনটি কেবল একটি আইনি পরিবর্তন নয়, বরং এটি সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারের দিকে একটি বড় অগ্রগতি (Muslim Rashtriya Manch)।” রামলাল জনগণকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশ এর তাৎপর্য বুঝতে পারে।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে। এরা মুসলিমদের দ্বারা দান করা সম্পত্তি পরিচালনা করে।

    সরকারের দাবি

    নয়া আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। এছাড়াও, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফের না সরকারের, তা এখন থেকে জেলা কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বের পদস্থ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় (Muslim Rashtriya Manch)। বিরোধী দলগুলি নয়া ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করে একে অসাংবিধানিক ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং নতুন এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে (Waqf Act)। কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ-সহ বিরোধী দলগুলির কিছু নেতা নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আবেদন দাখিল করেন (Muslim Rashtriya Manch)।

  • Mohun Bagan: সাক্ষী ঋষভ পন্থ, জামশেদপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

    Mohun Bagan: সাক্ষী ঋষভ পন্থ, জামশেদপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার ইডেনে যিনি প্রতিপক্ষ, সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর জন্যই গলা ফাটাল কলকাতাবাসী। তিনি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর মালিক। কিন্তু ফুটবল ময়দানে তো মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার। আর কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের রক্তে সবুজ-মেরুন। আইএসএল (ISL 2024-25) সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ১-২ পিছিয়ে থাকায় সোমবার মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) জিততেই হত। অন্তত এক গোলের ব্যবধানে। তার বেশি হলে সরাসরি ফাইনালে ওঠার সুযোগ না হলে টাইব্রেকার। তাই আক্রমণ করা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না জেমি ম্যাকলারেনদের কাছে। তার ফল প্রথম পর্বে ১-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় পর্বে ২-০ গোলে জিতে মোহনবাগান পৌঁছে গেল আইএসএল কাপের ফাইনালে।

    যুবভারতীতে ঋষভ পন্থ

    গত মরসুমে ইডেনে সবুজ মেরুন জার্সিতেই নেমেছিল লখনউ। তেমনই গত বারও মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন লখনউ ক্রিকেটাররা। এ দিন যুবভারতীতে মোহনবাগান ম্যাচে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লখনউ ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ। মোহনবাগানের প্রত্যাবর্তন দেখলেন। জামশেদপুরে মোহনবাগান এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও সমতা ফিরিয়েছিল। শেষ অবধি ১-২ ব্যবধানে হারে। এ দিন ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জেসন কামিংসের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন। এগ্রিগেট দাঁড়ায় ২-২। ফলে আরও এক গোলের প্রয়োজন। নয়তো ম্যাচ অতিরিক্ত সময়, টাই ব্রেকারে গড়াত। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে রালতের অনবদ্য গোল। ম্যাচ ২-০ ব্যবধান এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ এগ্রিগেটে আইএসএল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মোহনবাগান।

    সমর্থকদের দুঃখ ভুলিয়ে ফাইনালে মোহনবাগান

    সোমবার ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণ শুরু করলেও মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) গোল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হল ৫১ মিনিট পর্যন্ত। কামিংস পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। বক্সের মধ্যে বল হাতে লাগিয়েছিলেন প্রণয় হালদার। যে কারণে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি কামিংস। কামিংসের সেই গোল যদিও মোহনবাগানের ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারেনি। সেটা করলেন আপুইয়া। ৯৪ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল, সেই সময় গোল করে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন মোহনবাগানের মিজ়ো ফুটবলারটি। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন আপুইয়া। সেই সঙ্গে গোটা যুবভারতী জুড়ে শুরু হয়ে যায় উৎসব। বাজি, আবির এবং চিৎকারের ভরে যায় সবুজ-মেরুন গ্যালারি। মোহনবাগান সমর্থকদের জামশেদপুরে মার খেতে হয়েছিল। ম্যাকলারেনরা বলেছিলেন, মাঠেই জবাব দেবেন। দলকে ফাইনালে তুলে সমর্থকদের দুঃখ ভোলালেন। আইএসএল (ISL 2024-25)  লিগ জয়ের পর এবার কাপ ফাইনালে মোহনবাগান। বিপক্ষে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি।

  • Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সংসদে দুই পক্ষের পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Act)। পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর করায় তা এখন আইনে পরিণত। এই আইনের একটা সংস্থান হল জমি বা সম্পত্তি দানে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’। কী এটা? নতুন আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম পাঁচ বছর ধরে পালন করলে, তারপরেই ওয়াকফ দান করা যাবে।

    কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

    অতীতে ওয়াকফ দান ঘিরে একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের ছবি সামনে এসেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করা হয়েছে এবং পরবর্তীকালে ওই হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, তিনি ওই জমি ওয়াকফ হিসেবে দান করেছেন। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, বহু হিন্দু ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে স্রেফ তাঁর জমি দখল করার দুরভিসন্ধি নিয়ে। কিন্তু নতুন নিয়ম তার প্রতিকার দেওয়া রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে পালন করলে তবেই ওয়াকফ দান করা যাবে। অর্থাৎ যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন তাঁরাও আগে পাঁচ বছর ধরে ইসলামকে পালন করুক। ইসলামকে বুঝুক। তার পর যদি তাঁদের মনে হয়, ওয়াকফে দান করবেন, তখন তাঁরা জমি দান (Waqf Amendment Act) করতে পারবেন।

    কেন এই সংস্থান তাৎপর্যপূর্ণ?

    এ নিয়েই একজন বিজেপি সাংসদ যিনি জেপিসি-র সদস্যও বটে, তিনি বলেন, এটা করার উদ্দেশ্য হল, ধর্মান্তরিতরা যাতে না প্রতারিন হন, তা নিশ্চিত করা। আর পাঁচ বছর সময়সীমা রাখা হয়েছে, কারণ, এটা বাস্তবসম্মত। কোনও নতুন বিষয়কে বোঝার জন্য পাঁচ বছর সময় দরকার। তিনি এও জানান, এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না যাঁরা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে। এটা প্রযোজ্য যাঁদেরকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে তাঁদের ক্ষেত্রেই। কারণ তাঁদেরকে বুঝতে সময় দেওয়া উচিত যে তাঁরা যেটা করছেন সেটা ঠিক কি! এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন যে ১৯১৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড মিলিতভাবে ১৮ লক্ষ একর জমির মালিক ছিল। কিন্তু বিগত ১২ বছরে তারা অতিরিক্ত ২১ লক্ষ একর জমির মালিকানা (Waqf Amendment Act 2025) দাবি করছে।

    কীভাবে করা যাবে চিহ্নিত?

    কিন্তু সরকার কীভাবে সেই সমস্ত মুসলিমদেরকে চিহ্নিত করবে যারা পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে (Waqf Amendment Act) পালন করছে! এমন প্রশ্নই সংসদে করেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়েসি এবং সৈয়দ নাসির হোসেন। এ নিয়ে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের উত্তরে বলেন, ‘‘নতুন ওয়াকফ আইন যখন বাস্তবায়িত হবে, সেখানেই এনিয়ে বিস্তৃত লেখা থাকবে। কে মুসলিম কে অমুসলিম সেটা বাছাই করা হবে প্রামাণ্য নথি দিয়েই।’’

LinkedIn
Share