Tag: bangla news

bangla news

  • Messi Goat Tour: মেসি-কাণ্ডে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে আয়োজক শতদ্রু, হায়দরাবাদে অনুষ্ঠান হল নির্বিঘ্নে

    Messi Goat Tour: মেসি-কাণ্ডে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে আয়োজক শতদ্রু, হায়দরাবাদে অনুষ্ঠান হল নির্বিঘ্নে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্ধ্যায় মেসিকে (Messi Goat Tour) নিয়ে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যা হল, তাতে বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়েছে তৃণমূল-শাসিত বাংলার। তবে শনিবার সন্ধেয় হায়দরাবাদ সাক্ষী রইল আর্জেন্টিনার তারকা-ফুটবলার লিয়োনেল মেসির ম্যাজিকে (Satadru Dutta)। রবিবার বিশ্বজয়ী ‘লা আলবিসেলেস্তে’র অধিনায়ক পা রাখছেন মুম্বইয়ে। উল্লেখ্য যে, হায়দরাবাদের পর রবিবার মুম্বইয়ে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে সফরের প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তকে ছাড়াই। এদিকে, শনিবার যুবভারতীর ঘটনায় গ্রেফতারির পর বিধাননগর আদালতে তোলা হলে শতদ্রুকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

    শতদ্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Messi Goat Tour)

    যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের ঘটনায় শতদ্রুর বিরুদ্ধে মেইনটেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন আদালতে গোট ট্যুরের আয়োজক শতদ্রু দত্তের আইনজীবীর সওয়াল, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে, এমন কী এমপিও আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি কী এমন কাজ করেছেন, যার জন্য এই আইনে মামলা হবে। পাশাপাশি জামিনের আবেদনও জানানো হয়।

    শতদ্রুর প্রশ্ন

    এদিন শতদ্রু নিজে পুলিশি হেফাজতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন (Messi Goat Tour) তুলে বলেন, “স্টেডিয়ামে যা ঘটেছে, তার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা কেন? ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতেরই বা প্রয়োজন কেন?” সরকারি আইনজীবী বলেন, “মেসির সামনে কে যাবেন, আর কে যাবেন না, তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আয়োজকের। আয়োজক নিজের লোকজনকে নিয়ে এমনভাবে মেসিকে ঘিরে রেখেছিলেন, যাতে সাধারণ দর্শকরা তাঁকে ঠিকভাবে দেখতে পাননি।” জনসমাগম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আয়োজকের দায়িত্ব অবহেলা করা হয়েছে, এই মর্মে সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর আদালত শতদ্রুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়।

    এদিকে, যুবভারতীর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি তাদের কাজ শুরু করে দিল। রবিবার কমিটির সদস্যরা যুবভারতীতে (Messi Goat Tour) পৌঁছে প্রথমেই মাঠ পরিদর্শন করেন। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের সঙ্গে কমিটির বাকি দুই সদস্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী মেসির প্রবেশপথের করিডর, নিরাপত্তা (Satadru Dutta) ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর করেন।

  • Kolkata Metro: ১৫ ডিসেম্বর থেকেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো চলবে

    Kolkata Metro: ১৫ ডিসেম্বর থেকেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো চলবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজি নববর্ষের আগেই মেট্রো যাত্রীদের জন্য বড় ঘোষণা করল কলকাতা মেট্রো। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো (Kolkata Metro) চালাবে কলকাতা মেট্রো (Metro Services)। তবে এখন তা পরীক্ষামূলক ভাবেই করা হবে। অফিস আওয়ার বা ব্যস্ততার সময়ে এই পরিষেবা চালানো হবে। একটি চলবে সকালের ব্যস্ততার সময়ে আরেকটি চলবে বিকেলের ব্যস্ততার সময়ে।

    দুটো মেট্রো চলবে (Kolkata Metro)

    কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি সরাসরি ট্রেন চলবে। একটি সকালে এবং অপরটি বিকেলে। যে সময় পিক আওয়ার এবং যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকবে সেই সময়েই চালানো হবে ট্রেন। আগে যারা বিমান বন্দর থেকে এসপ্ল্যানেড, কালীঘাট কিংবা মহানায়ক উত্তম কুমার বা শহিদ ক্ষুদিরামের-এর দিকে যেতে চান আগে তাদের ট্রেন বদল করতে হতো। এখন থেকে বিমান বন্দরে যারা নামেন তাদের আর নোয়াপাড়া স্টেশনে ট্রেন বদলাতে হবেনা। ভোগান্তি কমবে এবং যাত্রা হবে আরও সুন্দর এবং স্বচ্ছ বলে মত অনেকের। তবে মেট্রো নিজের সূচি দিয়ে জানিয়েছে, প্রথম ডাইরেক্ট পরিষেবা সকাল ৯ টা ৩৬ মিনিটে জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশন থেকে ছাড়বে ট্রেন (Metro Services)। আর দ্বিতীয় পরিষেবাটি ছাড়বে রাত্রি ৯টায়। তবে দুই ট্রেন যাবে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত। এই যাতায়েত পরিষেবায় কোন রকম যাত্রীদের ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে না।

    এখনও চিংড়িঘাটা মোড়ের জট

    মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, এই পরীক্ষামূলক পরিষেবার মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণ কলকাতা ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত হবে। তবে যাত্রীদের সুবিধা এবং চাহিদা অনুযায়ী গাড়ির সংখ্যা আগামীতে আরও বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিষেবা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। চিংড়িঘাটা মোড়ের জট না কাটায় এখনও পর্যন্ত তিন পিলারের লাইনে পাতার কাজ বাকি। সেই কাজ সম্পন্ন হলেই সরাসরি পৌঁছে যাবে বিমানবন্দর (Metro Services) পর্যন্ত। বর্তমানে কবি সুভাষ থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো চলছে।

  • Sheikh Mujibur Rahman: বাংলাদেশের জনক মুজিবর রহমানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা পাক সেনার

    Sheikh Mujibur Rahman: বাংলাদেশের জনক মুজিবর রহমানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা পাক সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবর রহমানকে (Sheikh Mujibur Rahman) বিশ্বাসঘাতক (Traitor) আখ্যা দিল পাক সেনাবাহিনী। মুজিবর বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা। গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন তিনি। পাক সেনা শেখ মুজিবরকে পাকিস্তানেরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তুলনা করেছে। বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডি কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এত সবের পরেও কোনও প্রতিবাদ করেনি বাংলাদেশ। পাক সেনার এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয় যে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে যে সৌহার্দ্য দেখানো হয়, তা আসলে উপরিতলের এবং স্বল্পমেয়াদি। উভয় পক্ষের আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্খা পূরণের জন্যই এই সম্পর্ক। যদিও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের গভীর ক্ষত এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে।

    পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্য (Sheikh Mujibur Rahman)

    ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সৌহার্দ্য সত্যিই ভূ-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল। ২০২৪ সালে এক সহিংস ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ইসলামাবাদ ও ঢাকার ঐতিহাসিক শত্রুতার সম্পর্ক এক ঝটকায় রূপ নেয় বহুল প্রশংসিত কৌশলগত অংশীদারিত্বে। দ্রুত অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ, উচ্চপর্যায়ের এবং সামরিক স্তরের কূটনৈতিক সফর। গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সামরিক সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে একের পর এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় (Sheikh Mujibur Rahman)।

    লোক দেখানো সৌহার্দ্য!

    তবে রাওয়ালপিন্ডি থেকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক বিবৃতি দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে ওঠা এই নতুন কূটনৈতিক সম্পর্ককে ঘিরে থাকা উচ্ছ্বাসকে ভেঙে দুরমুশ করে দিয়েছে। এতেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে লোক দেখানো এই সৌহার্দ্য কি কেবলমাত্র উপরিতলের, আর ভেতরে ভেতরে কি এখনও আগুনের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে ছাইয়ের মতো গভীর অবজ্ঞা ও শত্রুতা (Traitor)? যে একই পাক সেনাবাহিনী একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে একের পর এক প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে, তেমনি অন্যদিকে সেই সেনাবাহিনীই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনককে হেয় ও অপমান করছে। ফলে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে গড়ে ওঠা এই ঘনিষ্ঠতার নেপথ্যে প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই উঠেছ গুরুতর প্রশ্ন।

    জঙ্গি কার্যকলাপ

    পাকিস্তান কি ভারতবিরোধী অবৈধ জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্য বাংলাদেশকে শুধুই একটি ব্যাকইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে? বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য একটি উর্বর ও প্রস্তুত ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠছে? পাকিস্তান কি বাংলাদেশকে কেবলমাত্র ভারত-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছে (Sheikh Mujibur Rahman)? শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক মন্তব্য এসব গভীর সন্দেহকে আরও তীব্র করে তুলেছে। প্রসঙ্গত, মুজিবরই সেই মানুষ যিনি বলেছিলেন, “ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও বলব আমি বাঙালি, বাংলা আমাদর দেশ, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে।” তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠার আগেই তিনি এই নামটির সঙ্গে নিজের অস্তিত্ব এক করেছিলেন। তাঁকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই অর্থে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন (Traitor)।

    দেশটাকে বাংলা নামে ডাকেন

    ১৯৫৫ সালের অগাস্ট মাসে করাচিতে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলছিল। দিনটি ছিল ২৫ অগাস্ট। এক পর্যায়ে সংসদে মাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবর রহমান তাঁর গমগমে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে স্পিকারকে বললেন, স্যার আপনি দেখবেন, ওরা পূর্ববাংলা নামের পরিবর্তে পূর্ব-পাকিস্তান নাম রাখতে চায়। আমরা বহুবার বলেছি, আপনারা এ দেশটাকে বাংলা নামে ডাকেন। বাংলা শব্দটার একটি নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য। আপনারা এই নাম পরিবর্তন করতে চাইলে আমাদের জনগণের সঙ্গে আলাপ করতে হবে (Sheikh Mujibur Rahman)।

    বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এ দেশের নাম ছিল পূর্ববাংলা। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে পূর্ব বাংলার নয়া নামকরণ হয় পূর্ব-পাকিস্তান। সুতরাং, এটা পরিষ্কার পূর্ব বাংলাকে পূর্ব-পাকিস্তান করার যে চক্রান্ত চলছিল, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান জাতীয় সংসদে তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি যে এই ভূখণ্ডের নামের ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন, এটাই তার প্রমাণ (Traitor)। ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, শেখ মুজিব পূর্ব-পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে চাইছেন। এই মামলা দাঁড় করানোর জন্য যে কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তার মধ্যে ছিল বেনামে লেখা কতগুলো চিঠি ও একটি চিরকুট। তাতে লেখাছিল, বাংলাদেশ (Sheikh Mujibur Rahman)।

  • HECI Bill: ‘বিকশিত ভারত শিক্ষা অধিক্ষণ বিল’  অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

    HECI Bill: ‘বিকশিত ভারত শিক্ষা অধিক্ষণ বিল’  অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিকশিত ভারত শিক্ষা অধিক্ষণ বিল’ (HECI Bill) অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Cabinet)। এই ঐতিহাসিক বিলের মাধ্যমে একটি একক উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠিত হবে। এই সংস্থার ছাতার তলায়ই চলে আসবে ইউজিসি, এআইসিটিই এবং এনসিটিই-সহ অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা সংস্থাও। তবে এই ছাতার বাইরে থাকবে চিকিৎসা এবং আইন বিদ্যা।

    নাম পরিবর্তন (HECI Bill)

    প্রস্তাবিত এই আইনটি আগে হায়ার এডুকেশন কমিশন অব ইন্ডিয়া (HECI) বিল নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বিকশিত ভারত শিক্ষা অধিক্ষণ বিল। শুক্রবার অনুমোদিত এই বিলটি জাতীয় শিক্ষানীতির একটি মূল লক্ষ্য পূরণ করেছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে থাকা, পরস্পরের সঙ্গে ওভারল্যাপ করা দায়িত্বযুক্ত একটি খাতকে একীভূত ও সরলীকরণ করা হবে। নয়া ব্যবস্থায় কমিশনটি উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ, স্বীকৃতি দান এবং পেশাগত মান নির্ধারণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তবে মেডিকেল ও আইন কলেজ এই ব্যবস্থার আওতার বাইরে থাকবে। লক্ষণীয় বিষয় হল, তথাকথিত চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত অর্থায়ন আপাতত নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে আসছে না এবং তা প্রশাসনিক মন্ত্রকের কাছেই থাকবে (HECI Bill)।

    উচ্চশিক্ষা অর্থায়ন কর্তৃপক্ষ

    পরবর্তীকালে সরকার যদি আলাদা কোনও উচ্চশিক্ষা অর্থায়ন কর্তৃপক্ষ গঠন না করে—যেমনটি একসময় জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাহলে বর্তমান ব্যবস্থাই বহাল থাকবে। সেই অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রকের অধীনে থাকা উচ্চশিক্ষা দফতরই অর্থায়নের দায়িত্ব পালন করবে। দশকের পর দশক ধরে ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বিভক্ত ছিল। এর মধ্যে ইউজিসি অ-কারিগরি উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে, এআইসিটিই কারিগরি শিক্ষার তত্ত্বাবধান করে এবং এনসিটিই শিক্ষক শিক্ষার দায়িত্বে রয়েছে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিহিত করেছিল এবং পৃথক দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র ও ক্ষমতাবান সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিল (HECI Bill)।

    প্রসঙ্গত, একটি একক নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের উদ্যোগ শুরু হয় ২০১৮ সালে প্রকাশিত খসড়া এইচইসিআই বিলের মাধ্যমে। তবে ২০২১ সালে ধর্মেন্দ্র প্রধান শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রক্রিয়া নতুন করে গতি পায় (Cabinet)। এখন মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ায়, ‘বিকশিত ভারত শিক্ষা অধীক্ষণ কমিশন’ ভারতের উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের (HECI Bill)।

  • MGNREGA: এবার ১২৫! ১০০ দিনের কাজে রোজগার বাড়াল মোদি সরকার, বদলে যাচ্ছে নামও

    MGNREGA: এবার ১২৫! ১০০ দিনের কাজে রোজগার বাড়াল মোদি সরকার, বদলে যাচ্ছে নামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের এনডিএ জোটের মোদি (Pm Modi) সরকারের তরফে বাড়ানো হল ন্যূন্যতম কাজের দিন (MGNREGA)। বদল করে দেওয়া হল প্রকল্পের নাম। মনরেগা নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে মনরেগা প্রকল্পের নাম বদলে রাখা হল ‘পুজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি’। একই ভাবে এই বছরে কাজের দিনের পরিমাণ আগে ছিল ১০০, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৫ দিন। এবার থেকে বছরে এই প্রকল্পে ১২৫ দিনের কাজ দেওয়া দেওয়া হবে। আর কমপক্ষে দেওয়া হবে দিনপ্রতি ২৪০ টাকা।

    নাম বদলের মানসিকতার বদল

    এই নাম পরিবর্তনকে বিজেপির (Pm Modi) ভাবনায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশ থেকে ব্রিটিশরা চলে গেলেও ঔপনিবেশিক মানসিকতার তেমন বদল ঘটেনি। তাই নাম এবং নামের সঙ্গে যুক্ত মানসিকতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যেমন- প্রধানমন্ত্রীর অফিসের নাম হয়েছে সেবা তীর্থ, রাজপথ হয়েছে কর্তব্য পথ, রাজভবনের নাম হয়েছে লোকভবন, রাজ্যপালের নাম লোকপাল। রেড কোর্স রোডের নাম হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ। এবার মনরেগার (MGNREGA) নাম বদল করে রাখা হয়েছে বাপুজির নামে। তবে নাম বদল যে শুধু কাজের জন্যই হয়েছে তা নয়, এই বদলের সঙ্গে মানসিকতার বদলও ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন প্রথম ২০০৫ সালে পাস হয়েছিল। ২০০৯ সালে, ইউপিএ সরকারের আমলে, এর নামকরণ করা হয় মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (মনরেগা)। এই আইন ওই বছরের ২ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। এইবার এনডিএ সরকার এটির নাম পরিবর্তন করে ১২৫ দিন কাজের গ্যারান্টি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    ১০০ দিনের কাজ সুনিশ্চিত

    ২০০৯ সালে যখন ইউপিএ (MGNREGA) আইনটির নাম পরিবর্তন করে, তখন তৎকালীন সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে মহাত্মা গান্ধীর নাম আইনের সাথে যুক্ত করলে সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উপর মনোযোগ আরও জোরদার হবে। যদিও আইনে প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তিকে ১০০ দিন পর্যন্ত কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে সরকারী তথ্য অনুসারে, গত বছর ৪০.৭০ লক্ষ পরিবার ১০০ দিনের পুরো কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিল। ২০২৫-২৬ সালে মাত্র ৬.৭৪ লক্ষ পরিবার ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে। ফলে, এই প্রকল্পে অনেক ফাঁকফোকড় ছিল, যা প্রকট হয়েছে। মোদি সরকার, সেগুলিকে ভরাট করতে তৎপর।

    সারা দেশে প্রায় ২৯০ কোটি কর্ম দিবস

    ২০২৪-২৫ সালে, মনরেগা (MGNREGA) সারা দেশে প্রায় ২৯০ কোটি কর্মদিবসের কর্মসংস্থান তৈরি করেছিল। তবে, রাজ্য সরকারগুলি তাদের নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করে মাত্র ৪.৩৫ কোটি কর্মদিবস তৈরি করেছিল। মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ, কেরালা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার মতো রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সীমার বাইরে কর্মসংস্থান সম্প্রসারণের জন্য তাদের নিজস্ব বাজেট ব্যবহার করেছে।

    ৪,৮৭২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান

    আইনত মনরেগা আইনের ৩(১) ধারায় প্রতি পরিবারকে বছরে ন্যূনতম একশো দিনের কাজের সংস্থান দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে, ১০০ দিনের কাজ ন্যূনতম হওয়ার পরিবর্তে সর্বোচ্চ সীমা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ প্রকল্পের সফ্টওয়্যার এই সীমার অতিরিক্ত এন্ট্রি করার অনুমতি দেয় না। তাই কাজকে একটি বিশেষ নিয়েমে বাঁধা রাখা হয়েছে। তবে ২০০৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে মনরেগা (MGNREGA) ৪,৮৭২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে মোট ব্যয় এখন পর্যন্ত প্রায় ১১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০০৬-০৭ সালে ২০০টি পিছিয়ে পড়া জেলায় প্রাথমিকভাবে এটি চালু করা হয়েছিল,পরের বছর এটি আরও ১৩০টি জেলায় সম্প্রসারিত হয়েছিল এবং ২০০৮-০৯ সালের মধ্যে সমগ্র দেশে বাস্তবায়ন করা হয়।

    কোভিডের ধাক্কা

    কোভিড-১৯ মহামারীর সময় (MGNREGA) এর চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ২০২০-২১ সালে, রেকর্ড ৭.৫৫ কোটি গ্রামীণ পরিবার এই প্রকল্পের অধীনে কাজ চেয়েছিল কারণ লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের গ্রামে ফিরে এসেছিল। তারপর থেকে, অংশগ্রহণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে, ২০২১-২২ সালে ৭.২৫ কোটি পরিবার থেকে ২০২৪-২৫ সালে ৫.৭৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। গত তিন বছরের তথ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত নয়, যেখানে ২০২২ সালের মার্চ থেকে এই প্রকল্পটি স্থগিত রয়েছে। সিএজির রিপোর্টে মনরেগার টাকা নয়ছয় করার অভিযোগের ভিত্তিতে বরাদ্দ টাকার প্রবাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সাফ কথা হিসেব না দিলে টাকা মিলবে না। তবে মোদির এই ঘোষণায় বিরাট সুফল পাবে সাধারণ মানুষ। এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

  • Census 2027: ২০২৭ সালের জনগণনায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ মোদি মন্ত্রিসভার

    Census 2027: ২০২৭ সালের জনগণনায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালের জনগণনায় (Census 2027) ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবার রেলমন্ত্রী (Union Cabinet) অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়াছেন, দেশে মোট দুটি দফায় জন গণনা হবে। সমগ্র প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে এবং এই জনগণনার সঙ্গে জাতিগণনাও যুক্ত করা হবে। সর্ব শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। কিন্তু ২০১৯ সালে করোনা অতিমারির কারণে এনপিআর-এর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এইবার সেই কাজে ফের আরেকবার গণনা শুরু হবে।

    প্রথম পর্যায়ে বাসস্থান ও সম্পত্তি গণনা হবে (Census 2027)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Cabinet) অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “শেষ বার দেশে জনগণনা (Census 2027) হয়েছিল ২০১১ সালে। তারপর ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড অতিমারির জন্য এই কাজকে সাময়িক ভাবে স্থগিত করে রাখা হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়, ২০২৭ সালে জনগণনা করা হবে। শুক্রবার সেই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে এই নতুন হিসেব বাস্তবায়ন করা হবে।” রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “প্রথম পর্যায়ে বাসস্থান ও সম্পত্তি গণনা হবে। বাড়ি, জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার। ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সেই প্রক্রিয়া চলবে। তবে সরকারের সুবিধামতো এক একজায়গায় ৩০ দিনের মধ্যে জনগণনা করা হবে। এরপর শুরু হব দ্বিতীয় পর্যায়ের জনগণনা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের জনগণনা হবে। উল্লেখ্য বেশ কিছু এলাকা যেমন- লাদাখ, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তরাখণ্ডে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের জন্য ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই গণনা সম্পন্ন করা হবে।”

    মোট ৩০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ

    কীভাবে এই জনগণনার (Census 2027) কাজ হবে তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Cabinet) অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জগণনার জন্য বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। আধুনিক অ্যাপ ব্যবহার করে সংস্কারের কাজ করতে হবে। তবে গণনার কাজের সঙ্গে যুক্ত সকল গণনাকারীদের মোবাইলে তথ্য জোগাড় করতে হবে। আবার যদি কেউ খাতায় কলমে তথ্য সংগ্রহ করেন তাহলেও সঙ্গে সঙ্গে তাকে পোর্টালে তুলতে হবে। ফলে তথ্য সময়ে আপডেট থাকলে ভুলের সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে। তাই গণনা কাজের প্রাথমিক স্তর থেকেই ডিজিটালাইজ হবে। গণনার তথ্যকে পেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। সারা দেশজুড়ে এই কাজে মোট ৩০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে।

    কেন প্রয়োজন?

    ভারতবর্ষে বিগত ১৫০ বছর ধরে সেনসাস বা আদম শুমারির কাজ হয়ে আসছে। আগামী ২০২৭ সালে ভারতে ১৬তম আদমশুমারি এবং স্বাধীনতার পর থেকে অষ্টম আদমশুমারি হতে চলেছে। ছোট গ্রাম, শহরাঞ্চল, থেকে ওয়ার্ড লেভেল পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় জনবৈচিত্র্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ইত্যাদি বিষয়গুলি এই জনগণনা বা আদম শুমারির মাধ্যমেই ফুটে উঠবে। সরকারের বাজেট এবং আয় ব্যায়ের হিসেবের জন জনগণনা একান্ত প্রয়োজন। তবে সম্প্রতি ইন্ডিজোটের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে জনগণনা এবং জাতি গণনায় আপত্তি করা হয়েছে। তাদের যুক্তি দেশে জতির পরিচয়ে বিশেষ বিশেষ ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদ বৈষম্য বাড়বে। তবে বিজেপি অবশ্য বিরোধীদের তোষণের রাজনীতিকেই দায়ী করেছে।

  • ISRO Data Centre: এবার মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ভাবনা ইসরোর! কীভাবে হবে অসাধ্যসাধন?

    ISRO Data Centre: এবার মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ভাবনা ইসরোর! কীভাবে হবে অসাধ্যসাধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এ নিয়ে সম্ভাব্য পরীক্ষাও করছে। এ বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যসভায় এই তথ্য জানাল ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস বা মহাকাশ-বিষয়ক দফতর। বিজেপি সাংসদ কার্তিকেয় শর্মার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনস্থ মহাকাশ-বিষয়ক দফতর জানায়, ইসরো বিভিন্ন নেক্সট-জেনারেশন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে অন-বোর্ড ডেটা প্রসেসিং ও ডেটা স্টোরেজ অন্যতম।

    মহাকাশে প্রকৃত ডেটা সেন্টার স্থাপন

    সংসদীয় সূত্রে খবর, শর্মা জানতে চেয়েছিলেন, স্যাটেলাইট ও যোগাযোগ-সংক্রান্ত ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের জন্য ইসরো কি মহাকাশে প্রকৃত ডেটা সেন্টার স্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। জবাবে মহাকাশ-বিষয়ক দফতরের তরফে জানানো হয়, অন-বোর্ড ডেটা প্রসেসিং ও স্টোরেজ বিষয়ে ইসরো প্রাথমিক মূল্যায়ন করেছে এবং এতে দেখা গিয়েছে যে স্পেস-এজ কম্পিউটিং অবকাঠামোর একটি প্রুফ অব কনসেপ্ট তৈরি করা সম্ভব। ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনস্থ, আরও জানিয়েছে যে এই ধরনের একটি ব্যবস্থা ভাবনা-চিন্তার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের সমীক্ষা মাত্র। পূর্ণাঙ্গ স্পেস-এজ কম্পিউটিং ব্যবস্থার জন্য বেশ কয়েকটি নতুন প্রযুক্তির উন্নতি প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে— কক্ষপথে শক্তি উৎপাদন, রেডিয়েশন-প্রতিরোধী জিপিইউ/সিপিইউ, স্যাটেলাইটের সুরক্ষা শিল্ড, ইত্যাদি। ইসরোর মহাকাশে কোনও ডেটা সেন্টার নেই। ইসরো পৃথিবীতেই ডেটা সেন্টার পরিচালনা করে, যেমন বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান স্পেস সায়েন্স ডেটা সেন্টার (ISSDC), যা মহাকাশ থেকে আসা ডেটা সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের প্রধান কেন্দ্র। মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ধারণাটি নতুন এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলো বর্তমানে এই বিষয়ে কাজ করছে, কিন্তু ইসরোর প্রধান ডেটা সেন্টারগুলো পৃথিবীতেই অবস্থিত। তবে, এবার ইসরোও মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের জন্য ভাবনা চিন্তা করছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই ডেটা সেন্টার

    প্রসঙ্গত, পৃথিবীর ডেটা সেন্টারগুলো বিপুল পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে। ফলে মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনে অত্যন্ত শক্তি-দক্ষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে, যা সৌরশক্তি ও ব্যাটারিতে চলতে সক্ষম। পাশাপাশি মহাকাশের তীব্র রেডিয়েশন থেকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থাও জরুরি—যা পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডল স্বাভাবিকভাবেই করে থাকে। মন্ত্রকের মতে, অন-বোর্ড ডেটা প্রসেসিং সক্ষম স্যাটেলাইট কেবল প্রয়োজনীয় তথ্যই গ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতে পাঠাবে, ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত প্রয়োজনে ডেটা পৌঁছতে দেরি হবে না। অর্থাৎ তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্যাটেলাইট নিজেই সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে দ্রুত ফল দিতে পারবে। এছাড়া, অন-বোর্ড প্রসেসিং ব্যবস্থায় যোগাযোগ স্যাটেলাইটকে কক্ষপথেই পুনর্গঠনের (reconfiguration) সুবিধা দেয়, ফলে ব্যবহারে আরও বেশি নমনীয়তা আসে। এজ কম্পিউটিং বলতে বোঝায় এমন এক বিতরণ-ভিত্তিক কম্পিউটিং পদ্ধতি যেখানে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ ডেটার উৎসের কাছাকাছি করা হয়, কেন্দ্রীয় ক্লাউড বা ডেটা সেন্টারে পাঠানো হয় না। ইসরো যা পরীক্ষা করছে তা হলো স্যাটেলাইট এজ কম্পিউটিং বা স্পেস এজ কম্পিউটিং, যেখানে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ সরাসরি মহাকাশেই করা হবে।

  • Daily Horoscope 14 December 2025: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 14 December 2025: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) উচ্চপদ লাভ করতে পারেন।

    ২) কিছু কাজ সম্পন্ন না-হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হবে, সতর্ক থাকুন।

    ৩) মায়ের তরফে ধন লাভ হতে পারে।

    বৃষ

    ১) পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ থাকবে।

    ২) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ৩) বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে ধন লাভ।

    মিথুন

    ১) নিজের সন্তানের কাজ দেখে আনন্দিত হবেন।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে অংশীদার এবং সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    কর্কট

    ১) সন্তান সুখ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আত্মীয়দের কাছ থেকে বস্ত্র উপহার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্যে মনের হতাশা সমাপ্ত হবে।

    সিংহ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    ২) পেট খারাপ হতে পারে, বদহজমের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) আপনাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    তুলা

    ১) কঠিন পরিস্থিতির শিকার হবেন।

    ২) আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ হতে পারে, এর ফলে মন অশান্ত হবে।

    ৩) পরিবারে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে, আপনাদের মনোবল বাড়বে।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনজনদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) বড় কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

    ৩) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) সম্পত্তির কারণে বিবাদ হতে পারে।

    মকর

    ১) অর্থ ও যশ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কাজ বাড়বে।

    ৩) শত্রু ধ্বংস হবে।

    কুম্ভ

    ১) সতর্ক থাকলে কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের আগমন হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির মাধ্যমে আয়ের নতুন উৎস আসবে।

    ৩) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দিনটি ভালো।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানেও পড়ানো হবে সংস্কৃত, জানুন আসল কারণ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানেও পড়ানো হবে সংস্কৃত, জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশভাগের পর থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) ব্রাত্যই ছিল সংস্কৃত। তবে ভারতীয় এই ভাষাটির গুরুত্ব বুঝতে পাকিস্তানের সময় লাগল প্রায় ৭৭ বছর। যদিও শেষমেশ সংস্কৃতের (Sanskrit Education) গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। দেশভাগের পর এই প্রথম লাহোর ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসে পড়ানো হবে সংস্কৃত। শুধু তাই নয়, শীঘ্রই গীতা ও মহাভারত নিয়ে পড়াশোনার সুযোগও মিলতে পারে সেখানে। সূত্রের খবর, পড়ুয়া এবং শিক্ষাবিদদের সুপারিশেই সংস্কৃত, গীতা এবং মহাভারতকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও চলছে। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে তিন মাসের কোর্স হিসেবেই চালু করা হয়েছিল সংস্কৃত শিক্ষা। ক্লাস হত সপ্তাহান্তে। সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে পৌরাণিক রীতি-নীতি সম্পর্কে পড়ানো হত। এতে পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা এতই উৎসাহিত হয়ে পড়েন যে, পুরোদমে ফোর ক্রেডিট কোর্স চালু করছে লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়।

    পরিস্থিতি পালটাতে পারে (Pakistan)

    এই কোর্সের মাধ্যমে পড়ুয়ারা ‘হ্যায় কথা সংগ্রাম কি’ গানের উর্দু সংস্করণও শিখতে পারবেন। এটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল মহাভারতের থিম সং হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। গুরমানি সেন্টারের ডিরেক্টর আলি উসমান কাসমি বলেন, “১৯৩০ সাল নাগাদ গবেষক জেসিআর উলনার তালপাতায় লেখা বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি সংগ্রহে রেখেছিলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ সেই সব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। শুধু বিদেশি গবেষকরাই সেগুলি নেড়েচেড়ে দেখেন (Sanskrit Education)। এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে।”

    মহাভারত ও গীতার কোর্স

    লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় মহাভারত ও গীতার কোর্সও চালু করতে চলেছে। কাসমি বলেন, “আগামী ১০-১৫ বছরে পাকিস্তান থেকে গীতা ও মহাভারত বিষয়ক পণ্ডিত উঠে আসবেন (Pakistan)।” ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সোশিওলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহিদ রাশিদ বলেন, “ধ্রুপদী ভাষাগুলির মধ্যে মানবজাতির জন্য প্রচুর জ্ঞান নিহিত রয়েছে। আমি আরবি ও ফারসি ভাষা দিয়ে শুরু করেছিলাম, পরে সংস্কৃতও শিখেছি।” তিনি বলেন, “গোটা অঞ্চলকে বেঁধে রাখে সংস্কৃত ভাষা। সংস্কৃত ব্যাকরণের জনক পাণিনি এখানকার গ্রামের বাসিন্দা। সিন্ধু সভ্যতার যুগে অধিকাংশ লেখালেখি তিনি করেছেন এখানেই। সংস্কৃত পর্বতের মতো, সাংস্কৃতিক সৌধ। আমাদের নিজেদের অধিকার বুঝতে হবে। সংস্কৃত কোনও বিশেষ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়।”

    নতুন যুগের সূচনা

    তিনি বলেন, “ভেবে দেখুন (Sanskrit Education), ভারতের হিন্দু এবং শিখরা যদিও আরও বেশি করে আরবি শেখেন এবং পাকিস্তানের মুসলমানরা যদি সংস্কৃত শেখেন, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা হতে পারে একটি নতুন যুগের সূচনা। ভাষা তখন প্রতিবন্ধক না হয়ে, হয়ে উঠতে পারে সেতু।” তিনি জানান, ২০২৭ সালের বসন্ত আসতে আসতে বছরভরের কোর্স চালু করতে তাঁরা সফল হবেন বলে আশাবাদী। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই শেখানো হয় সিন্ধি, পাশতু, পঞ্জাবি, বালুচি, আরবি এবং ফারসি। কিন্তু আঞ্চলিক সাহিত্যই হোক বা কবিতা, শিল্পই হোক বা দর্শন, বৈদিক যুগের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে সব (Sanskrit Education) কিছুর। তাই জরুরি হয়ে উঠেছে সংস্কৃত শিক্ষা (Pakistan)।

  • Kerala Local Body Polls: ভেঙে পড়ল চার দশকের বামদূর্গ! তিরুঅনন্তপুরমে বিপুল জয় বিজেপির, ধন্যবাদ মোদির

    Kerala Local Body Polls: ভেঙে পড়ল চার দশকের বামদূর্গ! তিরুঅনন্তপুরমে বিপুল জয় বিজেপির, ধন্যবাদ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণে জয়-পতাকা উড়ল বিজেপির। কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে (Kerala Local Body Polls) তিরুঅনন্তপুরমে ঐতিহাসিক জয় পেল এনডিএ। পাঁচ দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ওই পুরনিগমে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরম কর্পোরেশনের মোট ১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টি ওয়ার্ড গিয়েছে এনডিএ জোটের থলিতে। বামফ্রন্ট এগিয়ে রয়েছে ২৯টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ-এর থলিতে গিয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দু’টি ওয়ার্ডে জিতেছে দু’জন নির্দলীয় প্রার্থী। বাকি একটি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি।

    দলের জয়ে শুভেচ্ছা মোদির

    কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের কেন্দ্র, কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের পুরসভায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং সিপিএম নিয়ন্ত্রিত এলডিএফ জোটকে পিছনে ফেলে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এই জয়ের জন্য ইতিমধ্যে তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই আঞ্চলিক নির্বাচনে দিবারাত্রি পরিশ্রম করা কার্যকর্তাদেরও। আমি এটাও নিশ্চিত ওই রাজ্যের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে মানুষের মনে যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, তা আমাদের দলই পূরণ করতে পারবে।’কার্যকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এতদিন যে পরিশ্রম করলেন, আজ সেগুলির স্মৃতিচারণের দিন। আমি প্রতিটি বিজেপি কার্যকর্তাকে শুভেচ্ছা জানাই। এই সাফল্য সেই পরিশ্রমেরই ফলাফল।’

    বামেদের দুর্গে ফাটল ধরাল বিজেপি

    এর আগে কেরলের ত্রিশূরের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরমে লোকসভায় আগের বার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। এবার পুরনিগম দখল। গেরুয়া শিবির স্বপ্ন দেখছে এবার হয়তো তাদের জন্য কেরল এবং দক্ষিণের রাস্তা খুলবে। তিরুঅনন্তপুরম পুরসভায় বামেদেরই ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। বিরোধী হিসাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। তবে এ বারের নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী। ইউডিএফ, এলডিএফ আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরুর পরে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। বেলা গড়াতেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। ১০১ আসনের তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার ৫১টিতে জয় হাসিল করে নেয় এনডিএ। একই সঙ্গে টানা ৪৫ বছর পরে লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট জমানার অবসান ঘটল। ক্ষমতাসীন এলডিএফ জিতেছে মাত্র ২৯টি আসনে। পাশাপাশি এলডিএফের হাত থেকে ত্রিপুনিথুরা পুরসভাও ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি জোট।

LinkedIn
Share