Tag: bangla news

bangla news

  • Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill) ২০২৫ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সাহায্য করবে (Darakhshan Andrabi)।” বুধবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন দারাখশান আন্দরাবি। তিনি বলেন, “সংসদে পেশ করা বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলে মনে হয় না। যদি ওয়াকফের এত জমি থাকে, তাহলে এত মুসলমান গরিব কেন? যদি বোর্ডটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং দায়বদ্ধ করা হয়, তাহলে আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

    জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য (Waqf Bill)

    তিনি বলেন, “বিলটি মুসলমানদের কল্যাণের জন্যই পেশ করা হয়েছে বলে মনে হয়। বিলটিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন কিছুই নেই।” এদিন সকালে লোকসভায় বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রশ্ন তোলেন, “কেন ওয়াকফের সম্পত্তি দেশ ও মুসলমানদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।” তিনি জানান, ভারতের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, “যখন আমাদের দেশের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তখন সেগুলি দরিদ্র মুসলমানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়নি কেন (Darakhshan Andrabi)? এ ব্যাপারে এতদিনে কেন কোনও অগ্রগতি হয়নি?” তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের মুসলমানদের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের আয়ও বেড়েছে।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য হল, ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। এটি পূর্ববর্তী আইনের ত্রুটিগুলো দূর করে ওয়াকফ বোর্ডের দক্ষতা বাড়ানো, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং ওয়াকফ রেকর্ড ম্যানেজমেন্টে প্রযুক্তির ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশের আগে গঠন করা হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। সেই কমিটি দেশের বিভিন্ন (Waqf Bill) নাগরিক কমিটি ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৭২টি মেমোরান্ডাম পেয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দ, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এবং জামায়াতের বিভিন্ন শাখার মতো বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠনগুলির পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াকফ সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি, প্রশাসনিক এবং সাম্প্রদায়িক (Darakhshan Andrabi) উদ্বেগগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল (Waqf Bill)।

  • Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় ও তাদের দান করা সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে – এই ধরনের ভীতি ছড়ানো হচ্ছে শুধুমাত্র ভোটব্যাংকের স্বার্থে।” বুধবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025) নিয়ে আলোচনার সময় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন লোকসভায় বিল পেশের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও বলেছিলেন, এই বিলের উদ্দেশ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা চালু করা, জটিলতাগুলি সমাধান করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    কী বললেন শাহ? (Waqf Amendment Bill 2025)

    শাহ বলেন, “একজন মুসলমান তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে?” বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলমান ভাই-বোনেদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছুই নেই।”

    ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা!

    এদিন বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওয়াকফ ৬০২ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করতে চেয়েছিল। সেজন্য হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাঁচতারকা হোটেলের জন্য জমি মাসে ১২ হাজার টাকায় ওয়াকফকে দেওয়া হয়েছিল। তারা (কংগ্রেস) মনে করে যে এভাবে তারা ভোট বৈতরণী পার হবে।”

    তিনি বলেন, “ভারতে অনেক গির্জা ওয়াকফ বিলকে সমর্থন করছে। চার বছরের মধ্যে মুসলমানরা বুঝতে পারবেন যে এই বিল তাঁদের উপকারে আসবে। বিভিন্ন ধর্মের অন্তর্গত বেশ কিছু সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়াগরাজের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কও রয়েছে। সরকার মুসলমানদের চ্যারিটি ও দানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না।” শাহ বলেন, “ওয়াকফ ইসলামের নীতিগুলি (Waqf Amendment Bill 2025) থেকে এসেছে। আমি সব মুসলমানকে বলতে চাই, অমুসলিমরা আপনাদের (Amit Shah) ওয়াকফে প্রবেশ করবে না।

    ওয়াকফ পরিষদ সম্পত্তির কার্যকারিতা তদারকি করে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধভাবে জমি দখল করে, তারা তাদের ধরবে (Waqf Amendment Bill 2025)।”

  • Child Education: বাড়ছে পড়াশোনার চাপ! সন্তানের মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে‌ ঘরোয়া এই পদ্ধতি!

    Child Education: বাড়ছে পড়াশোনার চাপ! সন্তানের মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে‌ ঘরোয়া এই পদ্ধতি!

    মাধ্যম ডেস্ক: পড়াশোনার চাপ বাড়ছে! স্কুল স্তর থেকেই এখন পড়াশোনার পাশাপাশি অধিকাংশ পড়ুয়াদের খেলাধুলা আর নানান রকমের প্রশিক্ষণ থাকে। ফলে অনেক সময়েই শিশু (Child Education) ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতেও সমস্যা‌ হয়। আবার অনেক সময় পড়ার পরেও তারা মনে রাখতে পারে না। এই ধরনের সমস্যা নিয়ে অনেক অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদান এবং কিছু অভ্যাস এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব (Memory) দিলে নানান সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। এখন দেখা যাক, সন্তানের মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোন পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে (Child Education)

    শিশুরোগ (Child Education) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুদের এখন‌ পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক পরিবারেই দেখা যাচ্ছে, কাজের চাপে বা অন্যান্য কারণে বাড়ির বড়রা অনেক দেরিতে ঘুমোতে যান। আর এই অভ্যাস ধীরে ধীরে শিশুরাও রপ্ত করে।‌ ফলে, তারাও অনেক রাতে ঘুমোনোয় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুল সকাল থেকেই হয়। তাই পড়ুয়াদের অনেকটাই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। যার ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের পেশিকে দূর্বল করে দেয়। তাছাড়া ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে স্নায়ুর কার্যকারিতাও হ্রাস পায়। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করে। আবার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। মস্তিষ্কের (Memory) পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। দীর্ঘদিন ঠিকমতো ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। তাই ঘুম অত‌্যন্ত প্রয়োজন। স্কুল পড়ুয়াদের অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানের ঘুমের সময় যাতে এক রকম থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

    নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মনোযোগ বাড়াতে শরীরের কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকা এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের এই দুই বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অ্যাংজাইটি বা অবসাদের ঝুঁকি কমে। তার ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে‌। আবার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে‌। তাই সন্তানের (Child Education) মনোযোগ বাড়াতে নিয়মিত আধঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট যোগাভ্যাসের পরামর্শ (Memory) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আখরোট এবং কাঠবাদাম বাড়াবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভালো অভ্যাসের পাশপাশি ভালো খাবার সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই নানান রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দীর্ঘ প্রসারী। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস কমিয়ে দিতে পারে পড়ুয়ার নানান সমস্যা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন সহ একাধিক উপাদানে ভরপুর এই দুই খাবার। তাই নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান শিশুদের (Child Education) স্নায়ুর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে। আবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবার নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। তাই সন্তানকে নিয়মিত এই দুই খাবার খাওনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Waqf Bill 2024: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সম্পর্কে অজানা তথ্য, কেন কেন্দ্র চাইছে এই নয়া আইন?

    Waqf Bill 2024: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সম্পর্কে অজানা তথ্য, কেন কেন্দ্র চাইছে এই নয়া আইন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার সংসদে পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পেশ করা হতে পারে এই বিল। এদিন সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিলটি পেশ করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর উদ্দেশ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান করা। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের মতে, সংশোধনী বিলের মূল উদ্দেশ্য ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও পরিচালনার উন্নতি করা।

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর ব্যাখ্যা

    ওয়াকফ বোর্ডের কাজকে সুনির্দিষ্ট জায়গায় আনা এবং ওয়াকফ সম্পত্তির সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ৮ অগাস্ট দুটি বিল, ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪ এবং মুসলমান ওয়াকফ (বাতিল) বিল ২০২৪, লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল।
    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর উদ্দেশ্য হল, ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫-এর সংশোধন করা। সংশোধনী বিল ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির পরিচালন ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটাতে চায়। এর লক্ষ্য হল :
    ● পূর্ববর্তী আইনগুলির ত্রুটি কাটিয়ে উঠে আইনের নাম পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ডগুলির কার্যকারিতা  বাড়ানো।
    ● ওয়াকফের সংজ্ঞা হালনাগাদ করা।
    ● নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানো।
    ● ওয়াকফের নথিপত্র রাখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা আরও বাড়ানো।

    নীচের প্রশ্নোত্তরগুলি ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সম্পর্কে বুঝতে সহায়ক হবে—

    ১) ভারতে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার ভার কোন কোন প্রশাসনিক সংস্থার ওপর রয়েছে এবং তাদের ভূমিকা কী?

    ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি কেন্দ্রীয় সরকার প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে। ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় জড়িত প্রধান প্রশাসনিক সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে :
    ❖ কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ (সিডব্লিউসি) – এটি সরকার এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে নীতি সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়, কিন্তু ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না।
    ❖ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড (এসডব্লিউবি) – প্রতিটি রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি রক্ষা ও পরিচালনা করে।
    ❖ ওয়াকফ ট্রাইবুনাল – এই বিচারবিভাগীয় সংস্থা ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি করে।
    এই পদ্ধতিতে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির পরিচালনা ও বিবাদের নিষ্পত্তি হয়। বছরের পর বছর ধরে চলা বিভিন্ন আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে ওয়াকফ পরিচালন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, কার্যকরী ও দায়বদ্ধ করে তুলেছে।

    ২) ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি কী?

    ১. ওয়াকফ সম্পত্তির অপরিবর্তনীয়তা

    ● “একবার ওয়াকফ, বরাবরের ওয়াকফ” নীতি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বেট দ্বারকার দ্বীপপুঞ্জের ওপর অধিকার আদালতগুলিকেও বিভ্রান্ত করছে।
    ২. আইনি বিরোধ ও দুর্বল পরিচালন ব্যবস্থা
    ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ এবং ২০১৩ সালের সংশোধনী কার্যকর হয়নি। যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হল :
    ● ওয়াকফ জমির অবৈধ দখল
    ● সুপরিচিত ব্যবস্থার অভাব এবং মালিকানা নিয়ে বিবাদ
    ● সম্পত্তির নিবন্ধীকরণ ও সমীক্ষায় দেরি
    ● বিপুল সংখ্যক মামলা এবং মন্ত্রকের কাছে অজস্র অভিযোগ

    ৩. বিচারবিভাগীয় তত্তাবধানের অভাব

    ● ওয়াকফ ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
    ● এর ফলে ওয়াকফ পরিচালন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা কমে যায়

    ৪. ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির অসম্পূর্ণ সমীক্ষা 

    ● জরিপ কমিশনারের কাজের মান ভালো না হওয়ায় বিলম্ব হয়।
    ● গুজরাট ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে জরিপের কাজ এখনও শুরুই হয়নি।
    ● উত্তরপ্রদেশে ২০১৪ সালে একটি জরিপের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি।
    ● অভিজ্ঞতা অভাব এবং রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় নিবন্ধনের প্রক্রিয়া  ধীর গতিপ্রাপ্ত হয়।

    ৫. ওয়াকফ আইনের অপব্যবহার

    ●কিছু রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করায় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
    ●ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারার ব্যাপক অপপ্রয়োগ ঘটিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তিগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে আইনি লড়াই ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
    ● ৩০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে মাত্র ৮টি রাজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে ৪০ নম্বর ধারার আওতায় ৫১৫টি সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    ৬. ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা

    ● ওয়াকফ আইন শুধুমাত্র একটি ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, অন্য কোনও ধর্মের ক্ষেত্রে এমন আইন নেই। ওয়াকফ আইন সাংবিধানিকভাবে বৈধ কী না সেই প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবস্থান জানাতে বলেছে।

    ৩) এই বিল আনার আগে মন্ত্রক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে?

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিল নিয়ে আলোচনা করেছে। যেসব বিষয় আলোচনায় উঠেছে, তার মধ্যে রয়েছে সাচার কমিটির প্রতিবেদন, জনপ্রতিনিধিদের উদ্বেগ, অব্যবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের বক্তব্য ওয়াকফ আইনের অপব্যবহার, ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবহার না করা প্রভৃতি। মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির সঙ্গেও আলোচনা করেছে।
    মন্ত্রক ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের সংস্থানগুলি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এই নিয়ে দুটি বৈঠক হয়। ২৪.০৭.২৩ তারিখে একটি বৈঠক হয় লখনউতে, অপরটি ২০.০৭.২৩ তারিখে, দিল্লিতে। দুটি বৈঠকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সমস্যার সমাধানে যথাযথ আইনি সংশোধন আনা যে প্রয়োজন, সে বিষয়ে সব পক্ষই সহমত পোষণ করেন।
    ● কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ (সিডব্লিউসি) এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির গঠনের ভিত্তি আরও প্রসারিত করা
    ● মুটাওয়ালিদের ভূমিকা ও দায়িত্ব
    ● ট্রাইবুনালগুলির পুনর্গঠন
    ● নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উন্নতি
    ● স্বত্বাধিকার ঘোষণা
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির জরিপ
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির মিউটেশন
    ● মুটাওয়ালিদের হিসাবপত্র দাখিল
    ● বার্ষিক হিসাবপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে সংস্কার
    ● উচ্ছেদ করা সম্পত্তি/সীমাবদ্ধতা আইনের সংস্থানগুলির পর্যালোচনা
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা
    এছাড়া, মন্ত্রক সৌদি আরব, মিশর, কুয়েত, ওমান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক রীতিনীতি বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, সাধারণত সরকারি আইন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমেই ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ৪) ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ পেশ হওয়ার প্রক্রিয়াটি কী ছিল?

    ● ওয়াকফ সম্পত্তির দেখাশোনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় খামতি দূর করার লক্ষ্যে ২০২৪–এর ৮ অগাস্ট পেশ করা হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪।
    ● ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট সংসদের উভয় পক্ষই এই বিলটি পর্যালোচনার জন্য ২১ জন লোকসভা এবং ১০ জন রাজ্যসভার সদস্যের যৌথ কমিটির কাছে পাঠায়।
    ● এই বিলের গুরুত্ব এবং ব্যাপক তাৎপর্যের প্রেক্ষিতে ঐ কমিটি সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞ/সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের মতামত যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
    ● যৌথ সংসদীয় কমিটির ৩৬টি বৈঠক হয়েছে, যেখানে শোনা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রক/দফতরের প্রতিনিধিদের মতামত: সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক, রেল মন্ত্রক (রেল বোর্ড), আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রক (ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ), বিভিন্ন রাজ্য সরকার, রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষ ও বিশেষজ্ঞ।
    ● প্রথম বৈঠকটি হয় ২০২৪–এর ২২ অগাস্ট। যেসব সংগঠন ও পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হ’ল:
    —অল ইন্ডিয়া সুন্নি জামিয়াতুল উলামা, মুম্বই;
    —ইন্ডিয়ান মুসলিমস্ অফ সিভিল রাইটস্ (আইএমসিআর), নতুন দিল্লি
    —মুত্তাহিদা মজলিস–এ–উলেমা, জম্মু ও কাশ্মীর (মিরওয়াইজ উমর ফারুক)
    —জাকাত ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া
    —অঞ্জুমান ই শিতেআলি দাউদি বোহরা কম্যুনিটি
    —চাণক্য ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, পাটনা
    —অল ইন্ডিয়া পাসমান্দা মুসলিম মাহাজ, দিল্লি
    —অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি), দিল্লি
    —অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাশিন কাউন্সিল (এআইএসএসসি), আজমেঢ়
    —মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ, দিল্লি
    —মুসলিম উইমেন ইন্টেলেকচ্যুয়াল গ্রুপ – ডঃ শালিনী আলি, জাতীয় আহ্বায়ক
    —জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ, দিল্লি
    —শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু অ্যান্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল গ্রুপ
    —দারুল উলুম দেওবন্দ
    ● কমিটি কাগুজে এবং ডিজিটাল পন্থায় মোট ৯৭,২৭,৭৭২টি স্মারকলিপি পেয়েছে।
    ● ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪–এর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পর কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন শহরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেন। এইসব সফরের সুবাদে আরও নানা পক্ষের মতামত শোনা, বাস্তব পরিস্থিতি বোঝা এবং ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার ব্যবস্থা সংক্রান্ত আঞ্চলিক নানা বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া গেছে। ১০টি শহরে সফরের সময়সূচি:
    —সেপ্টেম্বর ২৬ – অক্টোবর ১, ২০২৪: মুম্বাই, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু
    —নভেম্বর ৯ – ১১, ২০২৪: গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর
    —জানুয়ারি ১৮ – ২১, ২০২৫: পাটনা, কলকাতা, লখনউ
    ● প্রশাসনিক এবং আইনি নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কমিটি ২৫টি রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছে (দিল্লিতে ৭টি, বিভিন্ন সফরে ১৮টি)।
    ● এরপর, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ যৌথ কমিটির ৩৭তম বৈঠকে বিলটির সব ধারার বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সদস্যদের বিভিন্ন সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয় ভোটাভুটির মাধ্যমে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে।।
    ● গৃহীত এই খসড়া প্রতিবেদন পেশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় চেয়ারপার্সনকে। ৩৮তম বৈঠক হয় ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে।
    ● যৌথ কমিটি লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন তুলে দেয় ৩১.০১.২০২৫ তারিখে। সংসদের উভয় সভার কাছে তা পাঠানো হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে।

    ৫) ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪–এ প্রস্তাবিত মূল সংস্কারগুলি কী?

    ২০২৪–এর এই বিলের আওতায় প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলির লক্ষ্য– ভারতের ওয়াকফ প্রশাসনকে আরও সুবিন্যস্ত, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ করে তোলা। ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালন সংক্রান্ত বিষয়টিকে প্রযুক্তিচালিত এবং উপযুক্ত আইন বিধি অনুযায়ী এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সরকার। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকটিতেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

     সংযুক্ত ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা

    ● ওয়াকফ সম্পত্তির অসম্পূর্ণ সমীক্ষা।
    ● বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ও ওয়াকফ বোর্ড – এ মোকদ্দমা জমে থাকা।
    ● মুতাওয়ালিদের উপর নজরদারি এবং হিসেব-নিকেশে স্বচ্ছতার অভাব।
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির মিউটেশন ঠিকভাবে হয়নি।

    কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির ক্ষমতায়ন

    ● সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে অমুসলিম, অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী, মুসলিমদের মধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠী এবং মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিনিধিত্ব।

     রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির দক্ষতা

    ● ওয়াকফ নিবন্ধন, সর্বেক্ষণ, মিউটেশন, অডিট, লিজ এবং মামলা-মোকদ্দমার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক ও দক্ষ পন্থায় সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ডিজিটাল পোর্টাল ও ডেটাবেস।

    ওয়াকফ – এর বিকাশ

    ● পোর্টাল-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রশাসনকে জোরদার করবে।
    ● ধারা ৬৫ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলি প্রশাসনিক এবং আয় সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট দাখিল করবে ছ’মাসের মধ্যে, যাতে সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    ● ধারা ৩২ (৪) অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলি প্রয়োজন মতো মুতাওয়ালিদের থেকে পাওয়া সম্পত্তি এবং ওয়াকফ জমিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপণন কেন্দ্র কিংবা আবাসন গড়ে তুলবে।

    ৬) ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ এবং ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪–এর মধ্যে পার্থক্য কী?

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪, ওয়াকফ বিল ১৯৯৫–এ বেশ কিছু পরিমার্জনা এনে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার বিষয়টি আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে চায়। পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ:

    বর্গ —> ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ —> ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪

    আইনের নাম —> ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ —> নতুন নাম ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৫

    ওয়াকফ – এর গঠন —> ঘোষণা অনুযায়ী, ব্যবহারকারী কিংবা প্রাপ্ত (ওয়াকফ-আলাল-অউলাদ) —> ব্যবহারকারীর মাধ্যমে ওয়াকফ বাতিল, প্রাপ্তি সংক্রান্ত ঘোষণা শুধু অনুমোদিত। দাতাদের ৫ বছরের বেশি সময় মুসলিম ধর্মাবলম্বী হতে হবে। মহিলাদের উত্তরাধিকার অস্বীকার করা যাবে না।

    ওয়াকফ হিসেবে সরকারি সম্পত্তি —> কোনও স্পষ্ট সংস্থান নেই —> ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত সরকারি সম্পত্তি বলে কিছু থাকবে না। বিবাদ মীমাংসা করবেন কালেক্টর, রিপোর্ট দেবেন রাজ্য সরকারকে।

    ওয়াকফ নির্ধারণের ক্ষমতা —> ওয়াকফ বোর্ড – এর ক্ষমতা রয়েছে —> এই সংস্থান থাকছে না

    ওয়াকফ – এর সমীক্ষা —> সার্ভে কমিশনার এবং অ্যাডিশনাল কমিশনারদের মাধ্যমে —> রাজ্যের রাজস্ব আইন অনুযায়ী সমীক্ষা চালাবেন কালেক্টররা

    সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল —> সব সদস্যই হবেন মুসলিম, দু’জন মহিলা থাকবেন —> দু’জন অ-মুসলিম; সাংসদ, প্রাক্তন বিচারক এবং বিশিষ্টজনদের মুসলিম হওয়ার দরকার নেই। এই সদস্যদের মুসলিম হতে হবে: মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধি, ইসলামিক আইন বিশেষজ্ঞ, ওয়াকফ বোর্ড- এর চেয়ারপার্সন। মুসলিম সদস্যদের মধ্যে দু’জন মহিলা থাকবেন।

    রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড —> দু’জন পর্যন্ত নির্বাচিত মুসলিম সাংসদ/বিধায়ক/বার কাউন্সিল সদস্য; অন্তত দু’জন মহিলা —> রাজ্য সরকার সদস্য মনোনীত করবে, এর মধ্যে দু’জন অমুসলিম, শিয়া, সুন্নি, পিছিয়ে পড়া মুসলিম, বোহরা এবং আগাখানিদের মধ্য থেকে একজন। অন্তত দু’জন মহিলা সদস্য দরকার।

    ট্রাইব্যুনাল – এর গঠন —> একজন বিচারকের নেতৃত্বে, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং মুসলিম আইন বিশেষজ্ঞ থাকবেন —> মুসলিম আইন বিশেষজ্ঞ থাকার প্রয়োজন নেই; থাকবেন জেলা বিচারক (চেয়ারম্যান) এবং একজন যুগ্মসচিব (রাজ্য সরকার)

    ট্রাইব্যুনাল – এর নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন —> শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে —> ৯০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আবেদন জানানো যেতে পারে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা —> রাজ্য সরকারগুলি ওয়াকফ – এর হিসেব চাইতে পারে যে কোনও সময়েই —> কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ নিবন্ধন, হিসেব এবং অডিট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী (সিএজি/দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক)

    বিভিন্ন গোষ্ঠীর আলাদা ওয়াকফ বোর্ড —> শিয়া ও সুন্নিদের জন্য আলাদা বোর্ড (যদি শিয়া ওয়াকফ ১৫ শতাংশের বেশি হয়) —> বোহরা ও আগাখানি ওয়াকফ বোর্ড – এরও সংস্থান

    ৭) যৌথ কমিটির মূল সংস্কারমূলক প্রস্তাবগুলি কী?

    ওয়াকফ আইন ১৯৯৫–এ যে সংশোধনীগুলি এনে যৌথ কমিটি ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ (জেসিএডব্লিউবি)-এ যুক্ত করতে চায়, তা ইতিবাচক সংস্কারের কথা বলে:

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪–এ মূল সংস্কারের বিষয়গুলি

    ● i. ওয়াকফ–এর সঙ্গে ট্রাস্টের তফাত: মুসলিমদের তৈরি কোনও ট্রাস্ট আর কোনোভাবেই ওয়াকফ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এর ফলে, ট্রাস্টগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।
    ● ii. প্রযুক্তি ও কেন্দ্রীয় পোর্টাল: ওয়াকফ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ, নিবন্ধন, হিসেব-নিকেশ, আর্থিক অনুদান, মামলা-মোকদ্দমা সবই পরিচালিত হবে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে। ব্যবস্থাটিকে স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
    ● iii. ওয়াকফ-এ সম্পত্তি প্রদানের যোগ্যতা: শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা (অন্তত ৫ বছর) নিজেদের সম্পত্তি ওয়াকফ’কে প্রদান করতে পারবেন, এক্ষেত্রে ২০১৩ সালের আগের সংস্থান ফিরে আসছে।
    ● iv. ‘ওয়াকফ বাই ইয়ুজার’ সম্পত্তি রক্ষা: শুধুমাত্র নিবন্ধিত সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে থাকবে, যদি না বিতর্ক থাকে বা সরকারি জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়।
    ● v. ওয়াকফ অনুসারে পরিবারের মহিলাদের অধিকার: ওয়াকফ-কে উৎসর্গ করার আগে মহিলারা তাঁদের অধিকার অনুযায়ী প্রাপ্য সম্পদ পাবেন, এক্ষেত্রে বিধবা, বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলা এবং অনাথদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
    ● vi. স্বচ্ছ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা: দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির জন্য মুতাওয়ালিসদের ছয় মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় পোর্টালে সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রার করতে হবে।
    ● vii. সরকারি জমি এবং ওয়াকফ-এর মধ্যে বিবাদ: বিধিবহির্ভূত দাবি বন্ধ করতে যেসব সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডে দাবি করা হয় সেগুলির বিষয়ে তদন্ত একজন আধিকারিক করবেন। পদমর্যাদার নিরিখে এই আধিকারিককে কালেক্টরের উর্ধতন পদে কর্মরত হতে হবে।
    ● viii. ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালকে শক্তিশালী করা হবে: নির্ধারিত একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। নির্ধারিত একটি সময়ে তারা কর্মরত থাকবেন। এর মধ্য দিয়ে দক্ষভাবে স্থায়ী এক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বিবাদের নিষ্পত্তি করা হবে।
    ● ix. অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব: এই প্রক্রিয়ায় সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে দু-জন অ-মুসলিম সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    ● x. বার্ষিক অনুদানের পরিমাণ হ্রাস: ওয়াকফ বোর্ডকে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলি যে বাধ্যতামূলক অনুদান দিয়ে থাকে তার পরিমাণ ৭% থেকে কমিয়ে ৫% করা হবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি দাতব্য কর্মসূচিতে আরও তহবিল বরাদ্দ করতে পারবে।
    ● xi. লিমিটেশন অ্যাক্টের প্রয়োগ: ওয়াকফ সম্পত্তির দাবির ক্ষেত্রে লিমিটেশন অ্যাক্ট ১৯৬৩ প্রয়োগ করা যাবে। এর ফলে, দীর্ঘদিন ধরে আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটবে।
    ● xii. বার্ষিক হিসেব নিকেশের সংস্কার: যেসব ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকার উপর আয় করে তাদের রাজ্য সরকারের নিযুক্ত হিসেব রক্ষককে দিয়ে হিসেব নিকেশের তথ্য যাচাই করাতে হবে।
    ● xiii. একতরফা সম্পত্তি দাবির অবসান: এই বিলে ৪০ নম্বর ধারাকে অপসারিত করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়াকফ বোর্ড এক তরফাভাবে কোনো সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করতে পারবে না। ফলস্বরূপ, পুরো একটি গ্রামকে ওয়াকফ ঘোষণার মত ক্ষমতার অবব্যবহার বন্ধ করা যাবে।

    ওয়াকফ বোর্ডগুলির এক তরফা এবং অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার কারণেই এই সমস্যাগুলি দেখা দিত। তাই, ওয়াকফ আইনে ৪০ নম্বর ধারাটিকে বাতিল করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার জন্য স্বচ্ছ প্রশাসন নিশ্চিত করা যাবে।

    ৮) মুসলমান নন এমন ব্যক্তিদের সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা করার নজির কী কী আছে?

    ২০২৪-এর সেপ্টেম্বর অনুযায়ী ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওয়াকফ বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ৫,৯৭৩টি সরকারি সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
    ● আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী ভূমি ও উন্নয়ন দপ্তরের ১০৮টি সম্পত্তি, দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৩০টি সম্পত্তি এবং সর্বসাধারণের জন্য নির্ধারিত ১২৩টি সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে, সেগুলির আদালতে বিচার চলছে।
    ● কর্ণাটক (১৯৭৫ এবং ২০২০): কৃষি জমি, সর্বসাধারণের জন্য স্থান, সরকারি জমি, গোরোস্থান, রদ এবং মন্দির সহ মোট ৪০টি ওয়াকফ সম্পত্তিকে প্রজ্ঞাপিত করা হয়েছে।
    ● পাঞ্জাব ওয়াকফ বোর্ড দাবি করেছে পাতিয়ালায় শিক্ষা দপ্তরের জমিটি তাদের।

    অ-মুসলিম সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণার আরও কিছু উদাহরণ:

    ● তামিলনাড়ু: থিরুচেনথুরাই গ্রামের এক কৃষক তাঁর জমি বিক্রি করতে পারছেন না, কারণ ওয়াকফ বোর্ড দাবি করেছে ওই গ্রামের সমস্ত জমি তাদের। অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতির ফলে ওই কৃষক তার জমিটি বিক্রি করতে পারছেন না। তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য তিনি যে ঋণ নিয়েছিলেন তা পরিশোধের জন্য তিনি তাঁর জমি বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
    ● বিহারের গোবিন্দপুর গ্রাম: বিহারের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে দাবি করে ওই গ্রামের পুরো সম্পত্তি তাদের। এর ফলে ৭টি পরিবার প্রভাবিত হয়। ফলস্বরূপ, পাটনা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এটি এখন বিচারাধীন।
    ● কেরল: এর্নাকুলাম জেলার ৬০০টি খ্রীষ্টান পরিবার ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে জানায় তাঁদের পূর্বপুরুষের জমি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের বলে দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে এই মর্মে আবেদনও জানিয়েছে।
    ● কর্নাটক: ওয়াকফ বোর্ড বিজয়পুরায় ১৫,০০০, একর জমি নিজেদের বলে দাবি করায় কৃষকরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। বল্লারি, চিত্রদূর্গ, ইয়াদগীর এবং ধারওয়াড়েও বেশ কিছু বিবাদ দেখা দিয়েছে। সরকার অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছে যে ওই জায়গা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।
    ● উত্তরপ্রদেশ: রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বহু অভিযোগ জমা পড়েছে।

    ৯) ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-এর ফলে দরিদ্র মানুষেরা কীভাবে উপকৃত হবেন?

    সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য ধর্মীয়, দাতব্য এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে ওয়াকফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে, অব্যবস্থাপনা, দখলদারি এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণে এই প্রতিষ্ঠানগুলি আকার্যকর হয়ে পরে। দরিদ্র মানুষদের উপকারের জন্য ওয়াকফের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:

    স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার উদ্দেশে ডিজিটাইজেশন

    ● আরও ভালোভাবে চিহ্ণিত করা, নজরদারি চালানো এবং যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় স্তরে একটি ডিজিটাল পোর্টাল ওয়াকফ সম্পত্তির উপর নজরদারি চালাবে।
    ● আর্থিক অব্যবস্থা প্রতিহত করতে এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে যাতে তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হয় তা নিশ্চিত করতে অডিট করা হবে।

    বিভিন্ন কল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তহবিল বৃদ্ধি

    ● ওয়াকফের জমি অপব্যবহার এবং অবৈধ দখলদারি প্রতিহত করে ওয়াকফ বোর্ডগুলির আয় বৃদ্ধি করা হবে। এর ফলে, এই বোর্ড বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
    ● স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন এবং জীবিকায় সহায়তার জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হবে, এর ফলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়গুলি প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
    ● নিয়মিত হিসেব পরীক্ষা এবং পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। এর ফলে, ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।

    ১০) ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অ-মুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার ফলে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় কী ধরনের সুবিধা হবে এবং এই সদস্যদের ভূমিকা কী হবে, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা কতটা প্রভাব বিস্তার করবেন?

    ● অ-মুসলিম স্টেক হোল্ডার: ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় দাতা, মোকোদ্দমাকারী, লিজধারী এবং ভাড়াটিয়ারা যুক্ত হতে পারবেন। এর ফলে, তারা ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
    ● বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ: ধারার ৯৬ অনুসারে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক, সামাজিক, আর্থিক এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে। আদালতের আদেশানুসারে এই ক্ষমতা নিশ্চিত হয়েছে।
    ● কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের নজরদারি চালানোর ভূমিকা: কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল রাজ্যস্তরের ওয়াকফ বোর্ডের উপর নজরদারি চালায়। ওয়াকফ সম্পত্তির উপর কোনো প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ এক্ষেত্রে হয় না। ধর্মীয় হস্তক্ষেপের উর্ধে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় এর ফলে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে।
    ● অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব:
    —রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড: ১১ জন সদস্যের মধ্যে (যাঁরা পদাধিকার বলে এই বোর্ডের সদস্য, তাঁদের ব্যতিরেকেই) ২ জন অ-মুসলিম হতে পারেন।
    —কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল: ২২ জন সদস্যের মধ্যে (যাঁরা পদাধিকার বলে এই বোর্ডের সদস্য, তাঁদের ব্যতিরেকেই) ২ জন অ-মুসলিম হতে পারেন।
    ● সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সিদ্ধান্তগুলি গ্রহণ করা হবে। অ-মুসলিম সদস্যরা প্রশাসনিক এবং কারিগরি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারবেন। এর মদ্য দিয়ে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

  • George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-মার্চে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আটটি জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি (ED)। এই কোম্পানিগুলি মার্কিন নন-প্রফিট ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড পেয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার জর্জ সোরোস (George Soros)। এই ফান্ড নেওয়ায় ওই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

    ২৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার! (George Soros)

    মার্চ মাসে ইডির অভিযানের আগে ওই ফাউন্ডেশন কয়েক মাসে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ওই কোম্পানিগুলিতে ট্রান্সফার করেছিল ২৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগ পেয়েই ওই তিন কোম্পানিতে অভিযান চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জেনেছে, এএসএআর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাডভাইজার্স, যেটি ওই কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি, তারাও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) থেকে ৮ কোটি টাকা পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিদেশে বাম, ডান এবং প্রগতিশীল অ্যাজেন্ডা প্রচারের জন্য এই ইউএসএআইডি-র সমালোচনা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কোম্পানিগুলি ২০২২-২৩ সালে ফরেন ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স হিসেবে ওই অর্থ পেয়েছে। তবে এএসএআরের দাবি, ইউএসএআইডি থেকে তারা যে ফান্ড পেয়েছিল, তা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে দেওয়া পরিষেবার বিনিময়ে।

    কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার

    ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা সম্পদের ব্যবহার, পুনর্ব্যবহার এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় নিবেদিত। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি বোঝা এবং ভারতের উন্নয়নের প্রভাব নিয়ে কাজ করে (George Soros)। তাদের সব গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে এএসএআর কর্তারা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে কী ধরনের পরিষেবা দিয়েছিল এবং ইউএসএআইডির এতে কী ভূমিকা রয়েছে, তা উল্লেখ করেননি। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কোনও যোগ নেই (ED)। জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক বা ফান্ড প্রাপ্তির ইতিহাস নেই (George Soros)।

  • Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’টি (Waqf Amendment Bill) দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।” বুধবার কথাগুলি বললেন ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল (Jagdambika Pal)। তিনি বলেন, “এদিন যে বিলটি সংসদে পাশ করাতে পেশ করা হচ্ছে, তা দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।”

    “ঐতিহাসিক দিন” (Waqf Amendment Bill)

    এই দিনটিকে “ঐতিহাসিক দিন” বলে অভিহিত করে জগদম্বিকা বলেন, “যৌথ সংসদীয় কমিটির কঠোর পরিশ্রম, যারা বিভিন্ন রাজ্যের স্টেকহোল্ডারদের আস্থা নিয়েছিল, তারা সফল হয়েছে।” তিনি বলেন, “জেপিসি সভাগুলিতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে বিরোধীদের বক্তব্য শোনা হয়েছিল।” যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের কঠোর পরিশ্রম সফল হয়েছে। সরকার আজ সংশোধিত রূপে বিলটি নিয়ে আসছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ এই বিল পাশ হওয়ার মাধ্যমে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলিমরা উপকৃত হবেন। আমরা গত ছ’মাস ধরে জেপিসি সভাগুলি পরিচালনা করেছি। প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে তাদের (বিরোধী পক্ষের) কথা শুনেছি।”

    জগদম্বিকার নিশানা

    বিলটির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জগদম্বিকা নিশানা করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে। তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টির গায়ে রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “রমজানের নমাজের সময় মসজিদে কালো ব্যান্ড পরার জন্য আমাদের বিরোধী দল বা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আবেদনেই স্পষ্ট, তারা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।” এদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়ায় এদিন বিজেপি নেতা মোহসিন রাজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনে এই সংশোধনী পাশ হলে তা প্রান্তিক মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ (উপহার) হবে।”

    সবচেয়ে বড় ‘ইদি’

    সংবাদ মাধ্যমে (Waqf Amendment Bill) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশের সব সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মুসলিম ভাই-বোনেদের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এটি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ হবে।” বিলটির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। সাংসদ কিরণ কুমার চামালা বলেন, “এই বিল যদি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করে, তবে আমরা এর বিরোধিতা করব।” তিনি বলেন, “বর্তমান বাজেট অধিবেশনের মধ্যেও সরকার আজ লোকসভায় আট ঘণ্টার বিতর্ক করতে রাজি হয়েছে।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ

    এদিনই লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি পেশ হতেই ব্যাপক হইচই শুরু করে দেন বিরোধীরা। তার পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ ও বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তার আগে অবশ্য রিজিজু আলোচনা ও সকলের মতামত নেওয়ার জন্য জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধি দল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill) এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।” বিল পেশের ঠিক আগেই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী বলেন, “আজ ঐতিহাসিক দিন। আজ ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল লোকসভা পেশ করা হবে। দেশের স্বার্থেই এই বিল পেশ করা হচ্ছে।”

    ওয়াকফ সম্পত্তি

    প্রসঙ্গত, বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই (Jagdambika Pal)। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নয়া সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি হল, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তি কোনওভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না। নয়া বিলে যে সুযোগও রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডে দুজন অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আপত্তি উঠেছে। একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব (Waqf Amendment Bill)।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রথম পাশ হয় ওয়াকফ আইন। ১৯৯৫ সালে ওই আইনে সংশোধনী এনে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল ওয়াকফ বোর্ডের। তারপর থেকেই বিজেপির তরফে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বিজেপির দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। বঞ্চিত হচ্ছেন (Jagdambika Pal) সাধারণ মুসলমানরা। নয়া আইন কার্যকর হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মুসলমানরা (Waqf Amendment Bill)।

  • National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় পতাকার (National Flag) রং হওয়ার কথা ছিল গেরুয়া। জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসও এটি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু একজনের তীব্র বিরোধিতায় বদলে যায় ভারতের জাতীয় পতাকার রং (Mohandas Karamchand Gandhi)। যাঁর জন্য জাতীয় পতাকার রং গেরুয়া না হয়ে তেরঙা হল, তিনি হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এহেন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। লেখক সচিন নন্দা।

    কী লিখেছেন নন্দা? (Mohandas Karamchand Gandhi)

    বইটির ১২তম অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা ২৩১), নান্ধা লিখেছেন, “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একটি ৭-সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। এদের কাজই ছিল জাতীয় পতাকার রং কেমন হবে, তা নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া। ১৯৩১ সালে কমিটি জানায়, জনগণ চায় অশোক চক্রযুক্ত একটি কেসরি (গেরুয়া) রঙের জাতীয় পতাকা। ‘রিপোর্ট অফ দ্য ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কমিটি’র একটি অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। সেখানে লেখা হয়েছে, “এই মত একমতভাবে গৃহীত হয়েছে যে আমাদের জাতীয় পতাকার ডিভাইসের রং ছাড়া বাকি অংশ এক রংয়ের হওয়া উচিত। যদি এমন একটি রং থাকে যা সমগ্র ভারতীয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, আবার অন্যান্য রংয়ের তুলনায় বেশি স্বতন্ত্র, যে রং দীর্ঘ ঐতিহ্য দ্বারা এই প্রাচীন দেশের সঙ্গে যুক্ত – তা হল কেসরী (গেরুয়া) বা জাফরান রং। সেই মতো এই ধারণা হয়েছে যে ডিভাইসের রং ছাড়া পতাকার রং কেসরী হওয়া উচিত। আর ডিভাইস হিসেবে চরকা ব্যবহার করা হবে এ নিয়েও সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া গিয়েছে।”

    বাগড়া দিয়েছিলেন গান্ধী!

    কমিটির এই রিপোর্ট মেনে নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং আবুল কালাম আজাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা এতে স্বাক্ষরও করেছিলেন। আরএসএস গেরুয়া রংকেই ‘রাষ্ট্র ধ্বজ’ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দেয় (National Flag)। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তটি মহাত্মা গান্ধীর (Mohandas Karamchand Gandhi) কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাঁর সাফ কথা, জাতীয় পতাকার রং শুধু ‘তিরঙ্গা’ হওয়াই উচিত। গান্ধীর এই ভেটোর কারণে জনগণমনের আবেগ ও সভ্যতার পরিচয় উপেক্ষিত হয়। মান্যতা পায় গান্ধীর ইচ্ছা। গেরুয়া নয়, জাতীয় পতাকার রং হয় তেরঙা। বস্তুত, গান্ধীর জন্যই গেরুয়া ধ্বজা আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারেনি। নন্দা লিখেছেন, “ভারত আজও সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁচে আছে, এবং যদিও এটি (ভারত) এ নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে, আধুনিক ভারতের কোটি কোটি মানুষ কিন্তু মনে করেন যে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাটির রং ভুল (Mohandas Karamchand Gandhi)।”

    নন্ধার সাফ কথা

    সম্প্রতি সাংবাদিক বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নন্দা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “দু’বছর শেষে এই কমিটি কংগ্রেসকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তারা বলে, রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে, তা হল মানুষ এমন একটি পতাকা চান যা তাঁদের সাংস্কৃতিক সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যেই নামেই ডাকুন না কেন, তা হতে হবে কেসরী রংয়ের যার কোণের কোনও এক জায়গায় একটি চক্র থাকবে। কমিটির এই রিপোর্টে নেহরু স্বাক্ষর করেছিলেন। আবুল কালাম আজাদ এবং কমিটির অন্যান্য ছ’জন সদস্যও এটি অনুমোদন করেছিলেন। এটি গান্ধীর কাছে গেল এবং গান্ধী এটিতে ভেটো দিলেন। তিনি কমিটিকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, আমি এটা মানব না (National Flag)। এটা তেরঙা পতাকা হতে হবে।” জানা গিয়েছে, গান্ধী (Mohandas Karamchand Gandhi) ভারতের জাতীয় পতাকায় ইউনিয়ন জ্যাক রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যদি চরকার জায়গায় অশোক চক্র বসানো হয়, তবে তিনি একে কুর্নিস করবেন না।

    জাতীয় পতাকার রং বদল

    প্রসঙ্গত, ১১৭ বছরে ভারতের জাতীয় পতাকা পরিবর্তিত হয়েছে মোট ৬ বার। প্রত্যেকবারই এই রাষ্ট্র ধ্বজা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন রূপে। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া আজকের তেরঙা পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই সংবিধান কমিটির সভায় এই পতাকাটি স্বাধীন ভারতের পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করেই রংগুলি যুক্ত করেছিলেন। তেরঙার ওপরে রয়েছে গেরুয়া রং। এটি বীরত্ব ও ত্যাগের প্রতীক। মাঝে রয়েছে সাদা রং। এটি শান্তির প্রতীক। নীচের সবুজ রং সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর মাঝখানে থাকা অশোক চক্রটি সারনাথের অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কর্তব্যের প্রতীক। ১৯০৬ সালে প্রথম ভারতীয় জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়। যদিও তা বর্তমান পতাকার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল (Mohandas Karamchand Gandhi)।

  • Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫ (Waqf Bill 2025)। রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল। বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তিতে কোনও ভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না সরকারের। নতুন বিলে তার বন্দোবস্ত রয়েছে।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) হল মুসলিম আইন দ্বারা স্বীকৃত ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির স্থায়ী উৎসর্গ। ওয়াকফ সম্পত্তি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা দান করা হয় এবং বোর্ডের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিটি রাজ্যের একটি ওয়াকফ বোর্ড আছে। এটি একটি আইনি সংগঠন যা সম্পত্তি অর্জন, ধারণ এবং হস্তান্তর করতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বিক্রি বা লিজ দেওয়া যাবে না।

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের জমির পরিমাণ

    ওয়াকফ বোর্ড দেশ জুড়ে ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তির ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ড ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং ভারতীয় রেলের ঠিক পরেই। দেশজুড়ে ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। প্রধানত, কৃষিজমি, ভবন, দরগা/মাজার, কবরস্থান, ঈদগাহ, খানকাহ, মাদ্রাসা, মসজিদ, প্লট, পুকুর, স্কুল, দোকান এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াকফ সম্পত্তি হতে পারে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে ৪০,৯৫১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনাল ওয়াকফ বা ওয়াকফ সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা। যার মধ্যে ৯,৯৪২টি মামলা মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক ওয়াকফ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।

    ভারতে ওয়াকফ আইন

    ভারতে ওয়াকফগুলি (Waqf Bill 2025) ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন সার্ভে কমিশনার স্থানীয় তদন্ত পরিচালনা করে, সাক্ষীদের তলব করে এবং নথিপত্র সংগ্রহ করে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষিত সমস্ত সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করেন। ওয়াকফটি একজন মুতাওয়াল্লি দ্বারা পরিচালিত হয়, যিনি একজন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নানা ধরণের আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডকে। কখনও সম্পত্তি সংক্রান্ত, কখনও মহিলা প্রতিনিধি সংক্রান্ত বিষয়ে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার বিধান রয়েছে। হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিতে পারে।

    কেন ওয়াকফ আইনে সংশোধনী

    ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill 2025) ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। এর পাশাপাশি ওয়াকফ বোর্ডে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। নতুন বিল অনুসারে, একজন অমুসলিমও বোর্ডের শীর্ষপদে বসতে পারবেন। কমপক্ষে দু’জন সদস্য অমুসলিম হওয়ার কথাও বলা রয়েছে সংশোধনীতে।

    নতুন ওয়াকফ বিলের মূল বৈশিষ্ট্য

    নতুন ওয়াকফ বিলটি অনেক দিক থেকে সংস্কারমূলক এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

    ১. ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নত ব্যবস্থাপনা:

    নতুন বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তির জন্য একটি স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কাঠামো তৈরি করবে। এতে ওয়াকফ বোর্ডের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হবে, যা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরও সহজ এবং দক্ষ করবে। এতে করে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় জটিলতা কমবে এবং আরও সঠিকভাবে তা ব্যবহৃত হবে।

    ২. মুসলিমদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা:

    নতুন বিলে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় করা অর্থ মুসলিমদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই আয় থেকে মুসলিম শিশুদের শিক্ষার জন্য স্কুল ও কলেজ চালানো, দরিদ্রদের সহায়তা করা, এবং মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্করণে সহায়তা প্রদান করা হবে। এটি মুসলমানদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    ৩. ওয়াকফ বোর্ডের শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ:

    নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ওয়াকফ বোর্ড কার্যক্রমে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে থাকে। এই নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডকে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং কার্যকরী করে তোলা হবে।

    ৪. অপ্রাপ্ত বয়সী ও নারীদের জন্য সুবিধা:

    মুসলিম নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা থাকবে। তারা ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের উন্নতির জন্য সহায়তা পাবে। নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অন্যান্য সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে।

    ৫. সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব বৃদ্ধি:

    নতুন বিলে মুসলিম সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব আরও বাড়ানো হবে। ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, এই বিলটি সমাজে মুসলিমদের প্রতি সরকারি সহানুভূতির পরিমাণও বৃদ্ধি করবে।

    মুসলমানদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) ব্যবস্থাপনার সঠিক এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকাল ধরে, অনেক ওয়াকফ সম্পত্তি অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে পড়েছে, এবং এর সুবিধা মুসলিম সমাজে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্য সেবায় আরো বেশি সুবিধা পাবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় একটি বৃহৎ জনগণ, এবং তাদের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এদের জন্য সেই সহযোগিতার একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। এটি মুসলিমদের শিক্ষার মান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে। নতুন ওয়াকফ বিলটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয়, শিক্ষা, ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, এই বিলটি মুসলিমদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Daily Horoscope 02 April 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 April 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।
    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।
    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share