Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না। আমরা যখন দরকার যাব। প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে এফআইআর করানো, নিরাপত্তা দেওয়া, হিন্দুদের জন্য আমরা আছি। ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব।” মহেশতলাকাণ্ডের (Maheshtala Chaotic Situation) প্রেক্ষিতে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।

    রণক্ষেত্র মহেশতলা (Maheshtala Chaotic Situation)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথর। রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে রাখা পুলিশের একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ইট-পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ।

    মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মহেশতলার পরিস্থিতিতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। এলাকায় আধাসেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) প্রশ্নোত্তর-পর্বের পর বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না। এদিন সন্ধ্যায় ভবানীভবনে ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শুভেন্দু। মহেশতলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দাও করেন তিনি। এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না।” শুভেন্দু বলেন, “মহেশতলার মেটিয়াবুরুজ। পুলিশের গাড়িও ভেঙেছে। প্রচুর পুলিশ রক্তাক্ত। হিন্দুরা রক্তাক্ত। আমি ও আমার পাঁচ কলিগ দেখা করতে এসেছিলাম মহামান্য ডিজির সঙ্গে। উনি থেকেও মিট করেননি। মিট করেননি মমতার নির্দেশে। কারণ আমরা জানি, সবাই ল্যাম্পপোস্ট। একটা পোস্ট। হিন্দু বিরোধী সরকার। মুসলিম লিগের সরকার। অত্যাচারীর সরকার। ধূলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়ির পরে কলকাতার কাছে ১০ কিলোমিটার দূরে অত্যাচার।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikary) বলেন, “রাজীব কুমার ঠান্ডা ঘরে বসে আছে। পুলিশকেই নিরাপত্তা দিতে পারে না। ৩৫টা পুলিশ মার খেয়েছে। পুলিশের ১২টা গাড়ি ভেঙেছে। মুসলমানদের সরকার। জঙ্গিদের সরকার। জেহাদিদের সরকার।” শুভেন্দু বলেন, “আগামী বছর রাজীব কুমার চাকরি করতে হবে। পালাতে তোমাকে দেব না। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। এই সময়, ২০২৬, আজ ১১ জুন লিখে রাখুন মমতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তিনি বলেন, “এই সরকার মহম্মদ আলি জিন্না, সুরাবর্দির আদর্শের সরকার। কমপ্লিট মুসলমানের সরকার (Maheshtala Chaotic Situation)। এক চোখ বন্ধ। আর আমার পুলিশ ভাইরা মার খাচ্ছেন। পুলিশের ছেলেরা মার খাচ্ছে। মহিলারা মার খাচ্ছেন (Suvendu Adhikary)।”

  • AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    AC Temperature: ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর ইচ্ছে মতো কমানো বা বাড়ানো যাবে না এসির তাপমাত্রা (AC Temperature)। চড়া গরমেও এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। আবার ২৮ ডিগ্রির ওপরেও করা যাবে না। এমনই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি (Modi Govt) জানান, এটা আপাতত একটা পরীক্ষামূলক ভাবনা।

    বিশ্ব উষ্ণায়ণ কমানোই লক্ষ্য! (AC Temperature)

    এই নিয়ম শুধু বাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়, এমন এসির জন্য প্রযোজ্য হবে, তা নয়। গাড়ির এসির তাপমাত্রাও ২০ ডিগ্রির নীচে নামানো যাবে না। বাড়ানো যাবে না ২৮ ডিগ্রির ওপরেও। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়ণ বা জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির ওপর রাশ টানতে ছোট ছোট পদক্ষেপ করছে ভারত সরকার। আর আমরা তো জানি, বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হয়।” জানা গিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুতের অপচয় কমবে। এ ছাড়াও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে হঠাৎ চাহিদা বাড়ে, তাও কমে যাবে। ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল কমবে।

    এসির তাপমাত্রা

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে যে এসি পাওয়া যায়, তা সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কাজ করে। যদিও ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলছে, এসি সর্বোত্তম কাজ (AC Temperature) করে যদি তা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা থাকে (Modi Govt)। এ ছাড়াও এসির তাপমাত্রা যদি ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে তা ব্যবহারকারীর আরাম ও বিদ্যুৎ খরচের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখে। মন্ত্রী জানান, ইচ্ছে মতো আর এসির তাপমাত্রা কমানো বা বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। শীঘ্রই এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সীমা বেঁধে দিতে চলেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও জারি করা হবে।

    ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি আগেই জানিয়েছিল, বিদ্যুতের সর্বাধিক সাশ্রয়ের জন্য ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকা উচিত এসির তাপমাত্রা। তাপমাত্রা তার যত নীচে নামানো হবে, ততই বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচে। বিদ্যুৎ বাঁচার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। ফলে কমবে (Modi Govt) পরিবেশ দূষণ (AC Temperature)।

  • PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের তৃতীয় দফার প্রথম বর্ষপূর্তি (Modi 3.0 Anniversary)। গত দুই মেয়াদের তুলনায় কম সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ তাদের তৃতীয় মেয়াদ শুরু করে। তাই সরকার গড়তে বিজেপিকে নির্ভর করতে হয় তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর মতো জোটসঙ্গীদের ওপর। তার পর অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এই সরকার এক বছরও টিকবে না। অনেকে আবার বলেছিলেন, ২০২৫ সালেই অকাল নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু ‘বিজ্ঞ’দের সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে তৃতীয় দফায়ও দিব্যি একটা বছর অতিক্রান্ত করে ফেলল মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, এই পর্বে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে, গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়ে এবং বড় কোনও বাধা ছাড়াই জোটসঙ্গীদের সন্তুষ্ট করে রাখতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোড় ঘুরিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    তৃতীয় দফার মেয়াদে গত এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লির মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন ওয়াকফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে। বড় কোনও বিপর্যয় ছাড়াই তারা জোটসঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। তৃতীয় মোদি সরকার যখন প্রথম বর্ষপূর্তি পালনের উদ্যোগ করছিল, তখন সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ একপ্রকার আইসিংয়ের মতো কাজ করেছে, যা জনমতকে কেন্দ্রের পক্ষে আরও দৃঢ় করেছে (Modi 3.0 Anniversary)।

    একের পর এক নির্বাচনে জয়

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য পদ্ম-পার্টি সম্পর্কে একটি দুর্বল দলের ধারণা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ওই বছরই জুন মাসে হরিয়ানায় ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জেতে বিজেপি। অথচ, অক্টোবর মাসে ৯০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসন জিতে নেয় গেরুয়া শিবির। নভেম্বরে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি একাই দখল করে ১৩২টি আসন। শতাংশের বিচারে সাফল্যের হার ৮৯ (PM Modi)। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জেতে বিজেপি। সেখানে তারা আম আদমি পার্টির এক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৭০টির মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়লাভ করে। এটি ছিল দিল্লিতে ১৯৯৮ সালের পর বিজেপির প্রথম জয়।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গত এক বছরে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব আইন পাশ করেছে, তা তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সদিচ্ছার প্রমাণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে লোকসভায় ২৮৮ ভোট ও রাজ্যসভায় ১২৮ ভোটে বিলটি পাস করায় মোদি সরকার। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল, ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং ভারতীয় বায়ু যান বিধেয়ক, বিল ২০২৪ (Modi 3.0 Anniversary)। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের এনডিএ সঙ্গীদের, বিশেষ করে টিডিপি এবং জেডিইউকে পরিচালনা করেছে। প্রথমদিকে জোটসঙ্গীরা ওয়াকফ বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, পরে সরকার আলোচনার মাধ্যমে এবং যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই সমস্যার সমাধান করে। চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমার উভয় নেতাই বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁরা এনডিএ ছাড়বেন না (PM Modi)।

    বিজেপির ক্রেডিট

    মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর জোটে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেয় যখন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে আচমকাই নিজের গ্রামে ফিরে যান। তখন গুজব ছড়ায় যে দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হবে। শিন্ডে শুরুতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছিলেন না। তবে বিজেপি দ্রুত দিল্লিতে শিন্ডে ও অজিত পওয়ারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসে এবং শহর উন্নয়ন ও জন নির্মাণ-সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব শিন্ডের দলকে দিয়ে সমর্থন নিশ্চিত করে। প্রশমিত হয় উত্তেজনা। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। মোদি সরকারের (Modi 3.0 Anniversary) এই পদক্ষেপ যুগান্তকারী হিসেবে প্রমাণিত হয় (PM Modi)।

    মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে ধ্বংস করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের দরবারে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃঢ় সংকল্পই প্রদর্শন করে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে মোদি সরকারকে দলমত নির্বিশেষে সমর্থন করে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল। কারণ শশী থারুর ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো বিরোধী দলের নেতারাও ভারতের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’-র পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে ভারতের তরফে বিভিন্ন (Modi 3.0 Anniversary) দেশে পাঠানো প্রতিনিধিদলে যোগ দেন। ভারতের এই পদক্ষেপে মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে (PM Modi)।

  • India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ডোডো পাখির দশা হতে চলেছে মাওবাদীদের (Naxalism)! রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংগঠনে এখন মাত্র ৩০০ জন নকশাল সদস্য রয়েছে। অথচ বছর কয়েক আগেও ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত মাওবাদীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এরা বনপার্টি নামে পরিচিত। এই বনপার্টির ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকতেন জঙ্গলের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষজন। ছত্তিশগড়ের গভীর জঙ্গলে হাজার হাজার নকশাল শিবির ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাও দমনে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তার পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ছত্রখান সংগঠন (India)

    নিরাপত্তাবাহিনীর এই অপারেশনে খতম হয় বেশ কিছু মাওবাদী। প্রাণভয়ে আত্মসমর্পণও করে বহু মাওবাদী। নেতাদের সিংহভাগই নিকেশ হয়ে যাওয়ায় কিংবা ধরা পড়ে যাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে সংগঠন। নেতৃত্বের সংকটের পাশাপাশি হু হু করে কমছে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা। মাওবাদীদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি, যাকে পলিটব্যুরো বলা হয়, সেখানে এখন মাত্র ৪ জন সদস্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ জনে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পলিটব্যুরোর ১৪ জন সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছে, নয়তো নিহত হয়েছে। এখন কেবল ৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এরা হল মুপল্লা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি, মল্লোজুলা ভেনুগোপাল ওরফে অভয়, থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেওজি এবং মিসির বেসরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, গণপতি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে।

    বেহাল দশা সংগঠনের

    কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই কমিটির ২৬ জন সদস্য গ্রেফতার বা নিহত হয়েছে। কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে এই কমিটিতে মাত্র ১৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন পলিটব্যুরো নেতা। বস্তার অঞ্চলের আইজিপি সুন্দররাজ পি বলেন, “মাওবাদীদের কমান্ড কাঠামো এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিক গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান ও আত্মসমর্পণের ফলে সংগঠন টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে এবং দিশাহীন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ সশস্ত্র ক্যাডার দণ্ডকারণ্য ও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছে (Naxalism)। তাদের সামনে দুটি পথ খোলা — হয় আত্মসমর্পণ করা অথবা ধ্বংস হওয়া (India)।”

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান

    নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো দুর্বল করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে সংগঠনের বহু প্রভাবশালী নেতাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় শীর্ষস্থানীয় নকশাল নেতা ভাস্করের। তার মাথার দাম ছিল ৪৫ লাখ টাকা। সে ছিল ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন (India)। ২০২৫ সালের মে মাসে নিরাপত্তা বাহিনী কুখ্যাত মাওবাদী নেতা নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে হত্যা করে। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও বড় মাপের নকশাল নেতা খতম হয়েছে। এই অভিযানটি পরিচালনা করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশের বিশেষ বাহিনী ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG)।

    নিকেশ একের পর এক নকশাল চাঁই

    গত ৬ জুন নারসিমহা চালাম যে সুধাকর নামেও পরিচিত, আর একজন প্রভাবশালী নকশাল কমান্ডারও একই জেলায় নিহত হয়। বসভারাজুর পর সুধাকরকে নকশাল আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তার মাথার দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। নকশালপন্থী হওয়ার (Naxalism) আগে সে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেছিল (India)। ২০২৪ সালের পর থেকে নকশালবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং পুলিশ যৌথভাবে নকশালদের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০-এর বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৪ সালে ২৯০ জন নকশাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে, ১,০৯০ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং ৮৮১ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    শাহি ডেডলাইন

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সাল থেকে সরকার তাদের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২২৬ জন নকশাল নিহত হয়েছে, ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রাণ ভয়ে ৮৯৬ জন অস্ত্র ফেলে (Naxalism) আত্মসমর্পণ করেছে। নকশালদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কারেগুট্টা পাহাড়ও খালি করে দেওয়া হয়েছে (India)। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, ভারতে নকশালবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদের অবসান ঘটানো (India)।

  • PM Modis Achievements: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য,” তোপ ভূপেন্দ্রর

    PM Modis Achievements: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য,” তোপ ভূপেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জন্য, সরকারি টাকার হিসেব না দেওয়ার জন্য।” মঙ্গলবার কলকাতায় কথাগুলি (PM Modis Achievements) বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (Bhupendra Yadav)।

    টাকা লুটল কে? (PM Modis Achievements)

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে গোটা দেশেই সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করছে বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। বৈঠকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। এই বৈঠকেই ভূপেন্দ্র বলেন, “সিএজি রিপোর্ট বলছে, বাংলায় দু’লাখ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পে কাজ শেষের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। এই অর্থ কোথায় গেল? এই টাকা লুটল কে?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে এইমস দিয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছে। নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সংস্কার করা হয়েছে। ডেডিকেটেড করিডর দিয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে নগর গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প হচ্ছে ওই শহরগুলিকে দূষণমুক্ত, নিরাপদ ও সস্তা জ্বালানি দেওয়ার জন্য।”

    শুধুই তোষণের রাজনীতি

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ভূপেন্দ্র বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। কিন্তু সেই রোডম্যাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্রিয়, ইতিবাচক, গঠনমূলক মানসিকতার রাজ্য সরকার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “শুধু তোষণের রাজনীতি, শুধু মহিলাদের ওপর অত্যাচার আর বাংলা থেকে মেধার বহির্গমন, এ সবই হল সরকারের অপশাসনের নমুনা। এগুলো বদলানো জরুরি।” ভূপেন্দ্র বলেন, “দুর্নীতির নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে এবং ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, দুলাখ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, তার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না (PM Modis Achievements)।”

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে প্রণাম করতে ইচ্ছে করে। আধুনিক ভারতের বিভিন্ন কার্যকলাপের পীঠস্থান হল বাংলা। এক সময় বলা হত, পশ্চিমবঙ্গ যেটা ভাবে গোটা দেশ পরে ভাবে। আর এখন ছ’মাস ছাড়াই শুনতে হয় মহিলার অত্যাচার। মুর্শিদাবাদের ঘটনা তো রয়েছেই।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bhupendra Yadav) শাসনকে মানুষ মনে রাখবে সন্দেশখালির ঘটনার জন্য (PM Modis Achievements)।”

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Pakistan: দেনার বোঝা ৭৬ লক্ষ কোটি পাক রুপি! অতলে তলিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, বলছে সমীক্ষা

    Pakistan: দেনার বোঝা ৭৬ লক্ষ কোটি পাক রুপি! অতলে তলিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাশাপাশি দুই দেশ। একটির চালকের আসনে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যটির রাশ রয়েছে শাহবাজ শরিফের (Pakistan) হাতে। মোদির দেশ যখন তরতরিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছচ্ছে, ঠিক তখনই শাহবাজের নেতৃত্বে ডুবছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় (Economic Survey) জানা গিয়েছে, দেনার দায়ে মাথা বিকিয়ে যাওয়ার জোগাড় পাকিস্তানের।

    পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল (Pakistan)

    পাকিস্তানের অর্থনীতির যে হাঁড়ির হাল হয়েছে, তা জানা গিয়েছিল আগেই। এবার ইসলামাবাদের বিড়ম্বনা বাড়াল আরও একটি রিপোর্ট। সোমবার প্রকাশিত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ৭৬ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপি (ভারতীয় মুদ্রায় ২৩ লাখ কোটি টাকা)। যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ইতিহাসে নয়া রেকর্ড।

    ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ

    প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত চার বছরে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ আকার নিয়েছে। ২০২০-২১ সালে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৮৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ১০ বছর আগে পাকিস্তানের ঘাড়ে দেনার বোঝা ছিল ১৭ হাজার ৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে দেখতে গেলে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ গত দশ বছরে বেড়েছে ১০ গুণ। ১০ জুন সংসদে বাজেট পেশ করেছে শেহবাজ শরিফের সরকার। তার আগে সোমবার প্রকাশ করা হয় এই আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ৭৬ ট্রিলিয়নের এই ঋণের মধ্যে ৫১ হাজার ৫১৮ মার্কিন বিলিয়ন ডলার দেশের অন্দরের ঋণ ও ২৪ হাজার ৪৮৯ মার্কিন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ।

    জিডিপির অভিমুখ

    চলতি অর্থবর্ষে কোন দিকে দেশের জিডিপির অভিমুখ, তা নিয়েও সোমবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে পাকিস্তানের জিডিপি -০.২ হয়ে গিয়েছিল। যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ২.৫। ২০২৫ সালে দেশের জিডিপি বেড়ে হয়েছে ২.৭। যা স্পষ্ট করছে পাকিস্তান নিজের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। এর পাশাপাশি, মজবুত উন্নয়নেও মনযোগ দিয়েছে (Economic Survey)।”

    টালমাটাল পাকিস্তানের অর্থনীতি

    কীভাবে বাড়ছে ঋণের পরিমাণ? বিগত কয়েক বছর ধরে টালমাটাল হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল যে ঋণ করে দেশ চালাতে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি ফের একবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার থেকে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করিয়েছে পাকিস্তান। যার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা আপাতত পেয়েছে তারা (Pakistan)।

    কী বলছেন পাক অর্থমন্ত্রী

    রিপোর্ট পেশ করে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, “২০২৫ সালে দেশের জিডিপি বেড়ে হয়েছে ২.৭। অথচ বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন পৌঁছেছে ২.৮ শতাংশে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের পরবর্তী অর্থবর্ষ হবে একটি মোড় ঘোরানোর গল্প।” তাঁর কথায় স্পষ্ট, “এবার বাজেটে আইএমএফের শর্ত পূরণ, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক সংস্কারের দিকে নজর দেবে।” ম্যাক্রো অর্থনৈতিক সূচক তুলে ধরে আওরঙ্গজেব বলেন, “জুলাই থেকে এপ্রিল অর্থবর্ষ ২০২৫ পর্যন্ত চলতি হিসাবে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদ্বৃত্ত রেকর্ড করা হয়েছে, যা মূলত শক্তিশালী আইটি রফতানির কারণে হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” তিনি বলেন, “রেমিট্যান্স (প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে যে আয়) এই বছর শেষে ৩৭ থেকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস। দু’বছর আগেও এর (Economic Survey) পরিমাণ ছিল ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” ম্যাক্রো অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সরকারি ঋণ এবং জিডিপির অনুপাতে ঋণের হার ৬৮ শতাংশ ছিল, যা এখন কমে হয়েছে ৬৫ শতাংশ (Pakistan)।”

    বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ

    তিনি জানান, ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ৯.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘুরে দাঁড়ানো। কারণ সেই সময় পাকিস্তানের হাতে মাত্র দু’সপ্তাহের আমদানি ব্যয় কভার করার মতো সঞ্চয় ছিল। পাক অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০২৫ সালে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা উন্নত অর্থনৈতিক সূচক ও বিনিয়োগকারীদের পুনরায় আস্থার ফলে সম্ভব হয়েছে। মোট সঞ্চয়ের মধ্যে পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের হাতে ছিল ১১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ছিল ৫.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।”

    তিনি বলেন, “এই বৃদ্ধির নেপথ্য কারণ হল উন্নত ক্রেডিট রেটিং, যেখানে ফিচ (Fitch) পাকিস্তানের সার্বভৌম রেটিং সিসিসি প্লাস থেকে উন্নীত করে বি- করেছে এবং দৃষ্টিভঙ্গী স্থিতিশীল রেখেছে।” মন্ত্রী জানান, আগামী বছরে ২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে (Economic Survey)। এতে বছরে ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস পাবে ৮০০ বিলিয়ন রুপি (Pakistan)।

  • Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিন ধরে চলা বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় নামানো হচ্ছে আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles)। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার আন্দোলন দমন করতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসামকে গ্রেফতারির প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

    মেরিনবাহিনী (Donald Trump)

    মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আপাতত মেরিনবাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা লস অ্যাঞ্জেলেসে না পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ মেরিনবাহিনীকে শহরে মোতায়েন রাখা হবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। হিংসার আশ্রয় নিলে ফল ভালো হবে না বলে বিক্ষোভকারীদের আগেই কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরের আপত্তি

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানান ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশের ডেমোক্র্যাট গভর্নর নিউসাম। এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন নিউসাম। যদিও গভর্নরের এই কথায় কর্ণপাত করেননি ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “যদি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর, লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নিজেদের কাজ করতে না পারেন, সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।” বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ ও ডাকাত বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। এই আবহে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিউসাম।

    লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

    গভর্নরের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানান, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই ট্রাম্প বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প তাঁর নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এখানে কোনও বিদ্রোহ নেই। প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন (Donald Trump)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি

    শনিবারই ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জার টম হুমান হুঁশিয়ারি (Los Angeles) দিয়েছিলেন, “ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ – যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।” সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভালো। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয়, এটা ভালোই হবে।”

    নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প

    ২০২৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রোজ ৩ হাজার বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করাও ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল (Donald Trump)। অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেই পদক্ষেপের মধ্যে ছিল কর্মস্থল বা আদালত চত্বরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অভিযান চালানো। ট্রাম্প বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।

    অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

    অভিবাসন দমন এজেন্সি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে। ওই দিন গ্রেটার এলএ-তেও আরও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Los Angeles)। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা (Donald Trump)।

    ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধে লুটপাট। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায়ই নিরস্ত্র জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস (Los Angeles)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতেই মোতায়েন করা হয় বাহিনী (Donald Trump)।

  • Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

    Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- তুই একটু গান গা

    নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন

    চিদানন্দ সিন্ধুনীর প্রেমানন্দের লহরী
    মহাভাবিক রাসলীলা কী মাধুরী মরি মরি,
    বিবিধ বিলাস রঙ্গপ্রসঙ্গ কত অভিনব ভাব তরঙ্গ,
    ডুবিছে উঠেছে করিছে রঙ্গ নবীন রুপ ধরি।

    (হরি হরি বলে)
    মহাযোগে সমুদায় একাকার হইল।
    বেশ কাল ব্যবধান ভেদাভেদ ঘুছিল
    (আশা পুরিল রে আমার সকল সাধ মিটে গেল)
    এখন আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি।

    নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, মহাযোগে সব একাকার হইল। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলিতেছেন- এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয় তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা।

    নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিতেছেন- ওইটি দুবার করে বল।
    গান হইয়া গেলে আবার ভক্তর সঙ্গে কথা হইতেছে।

    গিরিশ- দেবেন্দ্রবাবু আসেন নাই। তিনি অভিমান করে বললেন, আমাদের ভেতরে এত ক্ষীরের পোর নাই কলাইয়ের পোর আমরা এসে কি করব।

    শ্রী রামকৃষ্ণ বিস্মিত হইয়া- কই আগে তো উনি ওরকম করতেন না।

    ঠাকুর জলসেবা করিতেছেন, নরেন্দ্রকেও খাইতে দিলেন

    যতীনদেব- (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- নরেন্দ্র খাও, নরেন্দ্র খাও বলছেন। আমরা শালারা ভেসে এসেছি।

    যতীনকে ঠাকুর খুব ভালোবাসেন (Kathamrita)
    । তিনি দক্ষিণেশ্বরে গিয়া মাঝে মাঝে দর্শন করেন। কখনও কখনও রাত্রে সেখানে গিয়ে থাকেন। তিনি শোভাবাজারের রাজাদের বাড়ির (রাধাকান্ত দেব বাড়ির) ছেলে।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি সহাস্য)- ওরে যতীন তোর কথাই বলছে।

    ঠাকুর হাসিতে হাসিতে যতীনের থুতি ধরে আদর করিতে করিতে বলিলেন, সেখানে যা, গিয়ে খাস অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে যাস। ঠাকুর আবার বিবাহ বিভ্রাট অভিনয় শুনবেন। বক্সে গিয়ে বসলেন। ঝির কথাবার্তা শুনে হাসিতে লাগিলেন।

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

LinkedIn
Share