Tag: Bengali news

Bengali news

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindenburg: হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাই কি ঝাঁপ পড়ছে সংস্থায়?

    Hindenburg: হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাই কি ঝাঁপ পড়ছে সংস্থায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা আট বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মার্কিন লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী (Fraud Allegations) সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg)। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। এই আট বছরে একের পর বোমা ফাটিয়েছে এই সংস্থা। যার জেরে হিন্ডেনবার্গের নামের পারা যত চড়েছে, ততই মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক সংস্থা। কোনও সংস্থার শেয়ার বিক্রিতে গলদ রয়েছে কিনা, কিংবা বাজার থেকে সংস্থাগুলি যে ঋণ নিয়েছে, তাতে স্বচ্ছতা বজায় রয়েছে কিনা, এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে এই সংস্থা।

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা (Hindenburg)

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। ২০১৭ সালে তিনিই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন এই সংস্থার। বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছে হিন্ডেনবার্গ। তবে যে সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করে সাফল্য পেয়েছিল এই সংস্থা, তারা হল আমেরিকার বৈদ্যুতিক ট্রাক নির্মাণকারী সংস্থা নিকোলা কর্পোরেশন। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়েছে নিকোলা। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিকোলার প্রতিষ্ঠাতা ট্রেভর মিল্টনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মার্কিন আদালত। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ ছিল, কারচুপি করে নিজেদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর বাড়িয়েছে গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী। রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে তারা এই তথ্য জানতে পেরেছিল। তাদের অভিযোগ, কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর কয়েকগুণ বাড়িয়ে আদানিরা বিশাল সম্পদ তৈরি করেছেন। আট বছরের স্বল্প আয়ুতে অন্তত ১৬টি সংস্থার অনিয়মের কথা ফাঁস করেছে হিন্ডেনবার্গ।

    হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ

    এহেন হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। কানাডার একটি পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতের নথিতে প্রকাশিত হয়েছে যে হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় আনসন ফান্ডসের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল। এই সহযোগিতার প্রভাব ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) সিকিউরিটিজ প্রতারণা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করতে পারে, যা তাদের গবেষণা প্রক্রিয়ার নৈতিকতা নিয়ে তদন্ত দাবি করছে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    হেজ ফান্ড হল এমন (Hindenburg) বিনিয়োগ সংস্থা যা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে মুনাফা অর্জন করে এবং প্রায়ই উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি গ্রহণ করে। হিন্ডেনবার্গের মতো গবেষণা সংস্থার কার্যক্রমে হেজ ফান্ডের সম্পৃক্ততা বাজার কারসাজি এবং বিনিয়োগ গবেষণার অখণ্ডতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। অ্যান্ডারসন ও অ্যানসন ফান্ডসের মধ্যে বিনিময় হওয়া ইমেলগুলি সহযোগিতার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সমর্থন (Fraud Allegations) করে। এই যোগাযোগগুলো প্রমাণ করে যে অ্যান্ডারসন অ্যানসনের নির্দেশনায় কাজ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সব কারণেই তাড়াহুড়ো করে ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হচ্ছে হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Excess work: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন? অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?

    Excess work: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন? অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিস নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা মেপে শেষ হয় কি? বর্তমানে অধিকাংশ পেশাতেই বাড়ছে কাজের চাপ (Excess work)! বিশেষত বহুজাতিক সংস্থার কর্মীদের কাজের সময়সীমা নিয়ে অনেক সময়েই নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে! অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা কিংবা ভারত, সব দেশেই কর্মীরা কতক্ষণ কাজ করবেন, ছুটির পরেও অফিসকর্তার ফোন ধরবেন কিনা, শনিবার-রবিবার ছুটি পাবেন কিনা, এই সব নিয়ে নানান বিতর্ক চলছেই। আর এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে।

    কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া রিপোর্ট? (Excess work)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়‌। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ। একই সঙ্গে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। অর্থাৎ, প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় একটানা কাজ করলে তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বেড়ে যায় (Pressure)। এছাড়াও একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। এমনকী অতিরিক্ত কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।

    কেন অতিরিক্ত কাজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত কাজ (Excess work) করলে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার প্রধান কারণ হল স্ট্রেস। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটানা কাজ করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন বের হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বারবার ওঠানামা করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে রক্তবাহী শিরার কার্যক্ষমতা কমে। শরীরে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ হয় না। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    কাজের চাপে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে‌ খাওয়ার সুযোগ পান না। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আর এই কারণেই ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার  ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্নায়ুর উপরেও মারাত্মক চাপ (Pressure) পড়ে বলে‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। একটানা স্নায়বিক চাপ নেওয়ার জেরে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে‌। ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলেই তা গভীর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কার্যশক্তি পায় না। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Excess work)

    কর্মস্থলের জেরে যাতে স্বাস্থ্যহানি না হয়, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। কর্মীরা সুস্থ থাকলে তবেই কাজ ঠিকমতো হবে, এই নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। দরকার প্রয়োজনীয় কর্মশালা, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবার ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ব্যালান্স হলে তবেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য দেখা যাবে। যার ফলে সহজেই শরীরের একাধিক জটিল রোগ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি ঘুমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সেইভাবেই সারাদিনের রুটিন তৈরি করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 260:  “কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান, বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব”

    Ramakrishna 260: “কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান, বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “তুমি দল দল করছ। তোমার দল থেকে লোক ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। কেশব বললে, মহাশয়, তিন বৎসর এ-দলে থেকে আবার ও-দলে গেল। যাবার সময় আবার গালাগালি দিয়ে গেল। আমি বললাম, তুমি লক্ষণ দেখ না কেন, যাকে তাকে চেলা করলে কি হয়?”

    কেশবকে শিক্ষা—আদ্যাশক্তিকে মানো 

    “আর কেশবকে বলেছিলাম, আদ্যাশক্তিকে মানো। ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ—যিনিই ব্রহ্ম তিনিই শক্তি। যতক্ষণ দেহবুদ্ধি, ততক্ষণ দুটো বলে বোধ হয়। বলতে গেলেই দুটো। কেশব কালী (শক্তি) মেনেছিল।

    “একদিন কেশব শিষ্যদের সঙ্গে এখানে এসেছিল। আমি বললাম, তোমার লেকচার শুনব। চাঁদনিতে বসে লেকচার দিলে। তারপর ঘাটে এসে বসে অনেক কথাবার্তা হল। আমি বললাম, যিনিই ভগবান তিনিই একরূপে ভক্ত। তিনিই একরূপে ভাগবত। তোমরা বল ভাগবত-ভক্ত-ভগবান। কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান। যখন বললাম, ‘বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব’, তখন কেশব বললে, মহাশয়, এখন অত দূর নয়, তাহলে লোকে গোঁড়া বলবে।”

    পূর্বকথা— শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্ছা—মায়ার কাণ্ড দেখে 

    “ত্রিগুনাতীত হওয়া বড় কঠিন। ঈশ্বরলাভ না করলে হয় না। জীব মায়ার রাজ্যে বাস করে। এই মায়া ইশ্বরকে জানতে দেয় না। এই মায়া মানুষকে অজ্ঞান করে রেখেছে। হৃদে একটা এঁড়ে বাছুর এনেছিল। একদিন দেখি, সেটিকে বাগানে বেঁধে দিয়েছে ঘাস খাওয়াবার জন্য। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হৃদে, ওটাকে রোজ ওখানে বেধে রাখিস কেন? হৃদে বললে, ‘মামা, এঁড়েটিকে দেশে পাঠিয়ে দিব। বড় হলে লাঙল টানবে।’ যাই এ-কথা বলেছে আমি মূর্ছিত হয়ে পড়ে গেলাম! মনে হয়েছিল কি মায়ার খেলা! কোথায় কামারপুকুর, সিওড়—কোথায় কলকাতা! এই বাছুড়টি যাবে, ওই পথ! সেখানে বড় হবে। তারপর কতদিন পরে লাঙল টানবে—এরই নাম সংসার,—এরই নাম মায়া!

    “অনেকক্ষণ পরে মূর্ছা ভেঙেছিল।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোটানায় বাংলাদেশ! একদিকে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছে শিক্ষিত মহল। আর একদিকে ইসলামি অ্যাজেন্ডার (Caliphate) দিকে ঝুঁকছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি।

    নেতৃত্বে ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ ২.০”-কে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালের পরবর্তী বাংলাদেশি সরকারগুলিকে “নির্মম শাসক” বলেও অভিহিত করছে (Bangladesh Crisis)।

    পাক মিডিয়ার প্রচার

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। যে আন্দোলনের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো “দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। নবাব সলিমুল্লাহ অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উর্দু গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। এতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা (Caliphate) উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তরা জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টিতে ভূমিকার উপর জোর দেন। ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহ অ্যাভেনিউ রাখার প্রস্তাব দেন। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি থেকে গোলাবারুদ, আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজেক্টাইল কিনেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বহুজাতিক সামরিক মহড়া “ইনডাস শিল্ড-২০২৪”-এ অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ইসলাবমাদ থেকে চিনা-নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও খোঁজখবর (Bangladesh Crisis) করেছে।

    খিলাফতে পরিণত করার চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, ইউনূস প্রশাসন যখন ক্রমেই বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে সচেষ্ট, তখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যকে খাটো করার যে কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর এবং আল কায়েদা ও আইএস-এর সহযোগী বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে চিহ্নিত করে, পাকিস্তানের আইএসআই তাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো।

    সক্রিয় হামাসও

    বাংলাদেশের এই ডামাডোলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। তারা রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছে (Caliphate)। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু আদালত বেশ কয়েকজন সেনা কর্তাকে এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে গোপন আটককেন্দ্র চালানোর অভিযোগ তুলে সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হয়েছে, যা গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    উবে গেল ‘মায়ের ডাক’

    হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস আগে, ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছিল। এই সংগঠনের সংগঠকরা “নিখোঁজ” পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ‘মায়ের ডাক’ হঠাৎ উবে গেল কর্পূরের মতো। এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের (বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ।

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞ দমসানা রণধীরণ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে (Bangladesh Crisis) জামাত-ই-ইসলামি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কংগ্রেস ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সামনে আসে, তবে এটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মূলত ইসলামপন্থা এবং জেহাদবাদের ঘোরতর বিরোধী। তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে এবং ইসলামিক রিপাবলিক বা খিলাফত (Caliphate) প্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” রণধীরণ বলেন, “আইএসআই-নিযুক্ত লবিস্ট এবং হামাসপন্থী আইন প্রণেতাদের কার্যকলাপ তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “ব্রহ্ম কি, তা মুখে যায় না। যার হয় সে খবর দিতে পারে না। একটা কথা আছে, কালাপানিতে জাহাজ গেলে আর ফিরে না।

    “চার বন্ধু ভ্রমণ করতে করতে পাঁচিলে ঘেরা একটা জায়গা দেখতে পেলে। খুব উঁচু পাঁচিল। ভিতরে কি আছে দেখবার জন্য সকলে বড় উৎসুক হল। পাঁচিল বেয়ে একজন উঠল। উঁকি মেরে যা দেখলে, তাতে অবাক হয়ে ‘হা হা হা হা’ বলে ভিতরে পড়ে গেল। আর কোন খবর দিল না। যে-ই উঠে সে-ই ‘হা হা হা হা’ করে পড়ে যায়। তখন খবর আর কে দেবে?”

    জড়ভরত, দত্তাত্রেয়, শুকদেব—এঁদের ব্রহ্মজ্ঞান 

    “জড়ভরত, দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে আর খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না। তাই রামপ্রসাদ বলেছে, ‘আপনি যদি না পারিস মন তবে রামপ্রসাদকে সঙ্গে নে না।’ মনের লয় হওয়া চাই, আবার ‘রামপ্রসাদের’ অর্থাৎ অহংতত্ত্বের লয় হওয়া চাই। তবে সেই ব্রহ্মজ্ঞান হয়।”

    একজন ভক্ত—মহাশয়, শুকদেবের কি জ্ঞান হয় নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেউ কেউ বলে, শুকদেব ব্রহ্মসমুদ্রের দর্শন-স্পর্শন মাত্র করেছিলেন, নেমে ডুব দেন নাই। তাই ফিরে এসে অত উপদেশ দিয়েছিলেন। কেউ বলে, তিনি ব্রহ্মজ্ঞানের পর ফিরে এসেছিলেন—লোকশিক্ষার জন্যে। পরীক্ষিৎকে ভাগবত বলবেন আরও কত লোকশিক্ষা দিবেন, তাই ইশ্বর তাঁর সব ‘আমি’র লয় করেন নাই। বিদ্যার ‘আমি’ এক রেখে দিয়েছিলেন।

    কেশবকে শিক্ষা—দল (সাম্প্রদায়িকতা) ভাল নয় 

    একজন ভক্ত—ব্রহ্মজ্ঞান হলে কি দলটল থাকে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনের সঙ্গে ব্রহ্মজ্ঞানের কথা হচ্ছিল। কেশব বললে, আরও বলুন। আমি বললুম, আর বললে দলটল থাকে না। তখন কেশব বললে, তবে আর থাক, মশাই। (সকলের হাস্য) তবু কেশবকে বললুম, ‘আমি’ ‘আমার’ এটি অজ্ঞান। ‘আমি কর্তা’ আর আমার এই সব স্ত্রী, পুত্র, বিষয়, মান, সম্ভ্রম—এ-ভাব অজ্ঞান না হলে হয় না। তখন কেশব বললে, মহাশয়, ‘আমি’ ত্যাগ করলে যে আর কিছুই থাকে না। আমি বললুম, কেশব তোমাকে সব ‘আমি’ ত্যাগ করতে বলছি না, তুমি ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। “আমি কর্তা” “আমার স্ত্রী-পুত্র” “আমি গুরু” —এ-সব অভিমান, “কাঁচা আমি”। এইটি ত্যাগ করে “পাকা আমি” হয়ে থাক—“আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর ভক্ত, আমি অকর্তা, তিনি কর্তা।”

    ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে তবে ধর্মপ্রচার করা উচিত 

    একজন ভক্ত—“পাকা আমি” কি দল করতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনকে বললুম, আমি দলপতি দল করেছি, আমি লোকশিক্ষা দিচ্ছি—এ ‘আমি’ “কাঁচা আমি”। মত প্রচার বড় কঠিন। ঈশ্বরের আজ্ঞা ব্যতিরেকে হয় না। তাঁর আদেশ চাই। যেমন শুকদেব ভাগবতকথা বলতে আদেশ পেয়েছিলেন। যদি ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার করে কেউ আদেশ পায়—সে যদি প্রচার করে, লোকশিক্ষা দেয় দোষ নাই। তার ‘আমি’ “কাঁচা আমি” নয়—“পাকা আমি”।

    “কেশবকে বলেছিলাম, ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। ‘দাস আমি’ ‘ভক্তের আমি’ এতে কোন দোষ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ছোঁয়া, বাজবে শিবম গ্রুপের ঢোল-তাসা

    Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ছোঁয়া, বাজবে শিবম গ্রুপের ঢোল-তাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) শপথ নেবেন আজ সোমবার। অনুষ্ঠান হবে ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৩০ নাগাদ। দ্বিতীয় বারের জন্য মার্কিন দেশের কুর্সিতে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। তাঁর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শোনা যাবে ভারতীয় ঢোল-বাজনার আওয়াজ। জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পের  শপথ গ্রহণে ঢোল বাদ্যিতে মুখরিত হবে ক্যাপিটল রোটান্ডা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছে শিবম ঢোল তাসা গ্রুপ। দলটিতে রয়েছেন ৩০ জন যুবক-যুবতী (Indian Dhol Tasha)। এই গ্রুপই এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে।

    ২০১৪ সালে তৈরি হয় এই গ্রুপ

    দলের সদস্যদের পোশাক বিধিও রয়েছে। সাদা কুর্তা, হলুদ জ্যাকেট ও পাগড়ি। এই পরেই শিবম গ্রুপকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে। মার্কিন সেনা, মেরিন, নেভি, এয়ারফোর্স ও আমেরিকার কোস্ট গার্ড প্লাটুনের কুচকাওয়াজ চলবে। সেখানেই হাঁটতে দেখা যাবে এই দলকে। জানা গিয়েছে, মার্কিন দেশে কর্মসূত্রে থাকা যুবক-যুবতীরা ২০১৪ সালে শুরু করে এই গ্রুপ।

    ২০১৯ সালেও পারফর্ম করে এই দল

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে এই দলকে পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে। ওই বছরে হিউস্টনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, সেই সময় এই গ্রুপ পারফর্ম করেছিল। গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হরিশ নেহাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভারতের প্রতিনিধিত্ব ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বার্তাই দেবে। আমরা টেক্সাসে গরম আবহাওয়ায় পারফর্ম করতে অভ্যস্ত। ওয়াশিংটনে এখন সাব-জিরো তাপমাত্রা চলছে। এই প্রতিকূল পরিবেশেই আমাদের পারফর্ম করতে হবে।”

    নৈশভোজে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা গেল আম্বানি দম্পতিকে

    ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী তথা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। শপথগ্রহণের পূর্বে নৈশভোজে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁদের দেখা গিয়েছে।

    অন্যদিকে, ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী দীপিকা দেশওয়াল। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে, জনসেবার কারণে তাঁর নাম উঠেছিল ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 258: “সংসারই অরণ্য, এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয়”

    Ramakrishna 258: “সংসারই অরণ্য, এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    মাস্টার—দয়াও কি একটা বন্ধন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে অনেক দূরের কথা। দয়া সত্ত্বগুণ থেকে হয়। সত্ত্বগুণে পালন, রজোগুণে সৃষ্টি, তমোগুণে সংহার। কিন্তু ব্রহ্ম সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণের পার। প্রকৃতির পার।

    “যেখানে ঠিক ঠিক সেখানে গুণ পৌঁছিতে পারে না। চোর যেমন ঠিক জায়গায় যেতে পারে না, ভয় হয় পাছে ধরা পড়ে। সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুনই চোর। একটা গল্প বলি শুন —

    “একটি লোক বনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময়ে তাকে তিনজন ডাকাত এসে ধরলে। তারা তার সর্বস্ব কেড়ে নিলে। একজন চোর বললে, আর এ লোকটাকে রেখে কি হবে? এই কথা বলে খাঁড়া দিয়ে কাটতে এল। তখন আর-একজন চোর বললে, না হে কেটে কি হবে? একে হাত-পা বেঁধে এখানে ফেলে যাও। তখন তাকে হাত-পা বেঁধে ওইখানেরেখে চোরেরা চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বললে, ‘আহা, তোমার কি লেগেছে? এস, আমি তোমার বন্ধন খুলে দিই।’ তার বন্ধন খুলে দিয়ে চোরটি বললে (Kathamrita), ‘আমার সঙ্গে সঙ্গে এস, তোমায় সদর রাস্তায় তুলে দিচ্ছি।’ অনেকক্ষণ পরে সদর রাস্তায় এসে বললে, ‘এই রাস্তা ধরে যাও, ওই তোমার বাড়ি দেখা যাচ্ছে।’ তখন লোকটি চোরকে বললে, ‘মশাই, আমার অনেক উপকার করলেন, এখন আপনিও আসুন, আমার বাড়ি পর্যন্ত যাবেন।’ চোর বললে, ‘না, আমার ওখানে যাবার জো নাই, পুলিসে টের পাবে।’

    “সংসারই অরণ্য। এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয় (Kathamrita)। তমোগুণ জীবের বিনাশ করতে যায়। রজোগুণ সংসারে বদ্ধ করে। কিন্তু সত্ত্বগুণ, রজস্তমঃ থেকে বাঁচায়। সত্ত্বগুণের আশ্রয় পেলে কাম-ক্রোধ এই সব তমোগুণ থেকে রক্ষা হয়। সত্ত্বগুণও আবার জীবের সংসারবন্ধন মোচন করে। কিন্তু সত্ত্বগুণও চোর, তত্ত্বজ্ঞান দিতে পারে না। কিন্তু সেই পরম ধামে যাবার পথে তুলে দেয়। দিয়ে বলে, ওই দেখ, তোমার বাড়ি ওই দেখা যায়! যেখানে ব্রহ্মজ্ঞান (Ramakrishna) সেখান থেকে সত্ত্বগুণও অনেক দূরে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই শীতের কাঁটা। দক্ষিণ পূর্ব বাতাস বা পুবালী হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। সপ্তাহের শেষে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পুবালী হাওয়ার সংঘাতে রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। সকালের দিকে ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে শীতের আমেজ। সামান্য তাপমাত্রা কমেছে রাজ্যে। ফলে, বেড়েছে শীতের আমেজ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের মতে, আমেজটুকু বজায় থাকছে শুধুমাত্র সন্ধ্যায় ও রাতে। দিনের বেলায় তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী ২ দিন একই রকম থাকবে।

    কোথায় কোথায় কুয়াশা? (Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ২২ জানুয়ারি নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ফলে জাঁকিয়ে শীতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। ফলে, বুধবার পর থেকে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সেক্ষেত্রে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি কম। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রির বেশি ওঠেনি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকলেও তিন জেলায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। এর ফলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    দীর্ঘ দিন পরে কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নামল। তবে তা সামান্যই। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি কম। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৪ থেকে ৮৭ শতাংশ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের সামান্য নীচে থাকবে। সকাল ও সন্ধেতে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী ৫ দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সকালে হালকা কুয়াশা হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গে (Weather Update) সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। দৃশ্যমানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের নীচে। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দু’দিন রাতের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তার পরের তিন দিনে তাপমাত্রা দু’ডিগ্রি বাড়তে পারে। এদিকে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রায় হেরফের হবে না খুব বেশি। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকবে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 22 January 2025: গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 January 2025: গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন। 

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে। কপালে অপমান জুটতে পারে। 

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share