Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bangladesh Crisis22: চূড়ান্ত অনাচার! ক্ষোভে পদত্যাগ করতে হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকেও!

    Bangladesh Crisis22: চূড়ান্ত অনাচার! ক্ষোভে পদত্যাগ করতে হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকেও!

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দশম পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের (Bangladesh Crisis22)। তারপর থেকেই ভুলন্ঠিত হয় গণতন্ত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র চলে হামলা। প্রশ্নের মুখে পড়ে মানবতা (Targeting Minority)। এ নিয়ে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা সমেত প্রত্যেক দেশই সরব হয়। বাংলাদেশের মানবতা বিপন্ন নিয়ে  ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও প্রশ্ন ওঠে। সেখানকার কয়েকজন সাংসদ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis22) সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

    লঙ্ঘিত মানবাধিকার 

    প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব। সেখানে নারী, শিশু, বিরোধী দল ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ছিল না বললেই চলে। দলে দলে সংখ্যালঘুরা সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন দেশ ছাড়ার জন্য। একইভাবে কয়েকজন হিন্দু তো নিজেদের জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপই দিয়ে দেন। শুধুমাত্র তাই নয়, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে হামলা ও সন্ন্যাসীদের ওপর পুলিশি হয়রানির ঘটনা সামনে আসে। সারা বিশ্বের হিন্দুরা সরব হন এমন ঘটনায়। এই আবহে গত ২৫ নভেম্বর সে দেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। শুধু তাই নয়, ইসকনের একের পর এক শাখাতে হামলা চলতে থাকে। বিচারের নামে প্রহসন শুরু হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি জেলে রয়েই গিয়েছেন। গত ২ জানুয়ারি তাঁর জামিনের আবেদন খরিজ করে দেন চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক। এখানেই ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তোলে ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis22) জঙ্গিরা নিরাপত্তা পায়, জঙ্গিদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়। সমালোচনার মুখে পড়েও বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে চলা ইউনূস সরকার কোনওভাবেই চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে থাকা দেশদ্রোহিতার অভিযোগ সরায় না।

    পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনূস সরকারের জমানায় বাংলাদেশের মানবাধিকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এমন মানবাধিকার বিরোধী ঘটনাগুলি যখন ঘটতে থাকে, ঠিক তখনই আবাক করার মতো ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের হিউম্যান রাইটস কমিশনে। হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis22) একটি স্বশাসিত সংস্থা। বাংলাদেশে ইউনূস সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর, তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কমলউদ্দিন আহমেদ সমেত আরও পাঁচ জন সদস্য ইস্তফা দেন। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছিলেন যে বাংলাদেশের বেড়ে চলা মানবাধিকার বিরোধী ঘটনাই তাঁদেরকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। মানবাধিকার কমিশনের যে সেখানে কোনও ভূমিকা নেই, তাদের কোনও গুরুত্ব নেই তা কমলউদ্দিন আহমেদ সহ ৫ সদস্যের পদত্যাগেই প্রমাণিত হয়। নিজেদের পদত্যাগপত্রে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য়রা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে জানিয়েছিলেন, কীভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার ধ্বংস হয়েছে এবং প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।

    কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগেই বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের আসল চেহারা 

    এতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis22) মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা সমেত বিশ্বের তাবড় দেশগুলি যে অভিযোগ তুলেছিল তা সত্য। বিদেশি শক্তির তরফ থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়, তাতেই সিলমোহর দেয় বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের ৫ সদস্যের পদত্যাগ। বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করাতে প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশে সত্যিই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে কেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সহ সদস্যরা পদত্যাগ করলেন সে বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে চলতে থাকা ইউনূস সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 08 January 2025: কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 January 2025: কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে। 

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন। 

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ধরেছিলেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি তিনি করেছিলেন, সেটা হল বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘোচানো। খালেদাকে মুক্ত করে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল ইউনূস প্রশাসন। শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস জমানায় নিশ্চিন্তে চলতে থাকে সংখ্যালঘু পীড়ন। তাতে আরও উল্লসিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে! (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর দল আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হিংসার ঘটনাও ঘটে। ছন্নছাড়া হয়ে যায় হাসিনার সাধের আওয়ামি লিগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফাঁকেই ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকার পরিকল্পনা ছকে ফেলেন ইউনূস! বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খালেদাকে মুক্তি দিয়ে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন কুড়িয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। তবে ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে যাওয়ায় দেশে সাধারণ নির্বাচন আপাতত করাতে চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। দিন কয়েক আগে স্বয়ং ইউনূসের কথায়ই মিলেছিল তার ইঙ্গিত। তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করা হবে।

    বিএনপির সাফ কথা

    ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই খালেদার দল বিএনপি বুঝে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজাতেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। তার জেরে বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে নয়া ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের দল (বিএনপি) এই চক্রান্তের সামনে মাথা নত করবে না।” শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করব না। সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ফখরুলের এহেন বাক্য-বাণের আগে বিএনপি (Bangladesh Crisis) অভিযোগ তুলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূস সরকার নানা টালবাহানা করে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে (Yunus Government)। এই পরিস্থিতিতে ফখরুল আবার ‘জনগণের সরকার’ তৈরির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্বন্ধে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একাংশের মতে, মূলত দুটো কারণে দেশে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। এক, ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা যতটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর দুই, ইউনূসরা নিজেরাই একটি দল গঠন করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়া, তাঁর দলের ছন্নছাড়া হওয়া, খালেদার অসুস্থতা, মাস দুয়েকের জন্য চিকিৎসা করাতে তাঁর লন্ডনে চলে যাওয়া ইউনূসের কাছে বিরাট একটা সুযোগ। এই সুযোগে ইউনূস দল গঠনের কাজটা করে নিতে চাইছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে ইউনূসের নয়া দল যাতে শেকড় গাড়তে পারে, তাই ‘টাইম কিল’ করছেন ইউনূস ও তাঁর অনুগামীরা।

    বিএনপির ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখতে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চাল চালা হচ্ছে। সেই কারণেই মহম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করছেন না।” গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছিল এডিএসএম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখনই তারা জানিয়েছিল, নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়া হবে। এই নতুন দলটির সদস্য সংগ্রহ, দেশজুড়ে শাখা স্থাপন, সম্পদ সংগ্রহ এবং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের মাধ্যমে সংগঠিত হতে সময় লাগবে।

    ফের ‘রাজপক্ষের দল’ !

    বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মহম্মদ ইউনূস ও এডিএসএম নেতারা, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, নির্বাচন স্থগিত করতে চান যতক্ষণ না নতুন ‘রাজপক্ষের দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীরা সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুল বলেন, “এটি (ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি অনির্বাচিত সরকার। তাই এটি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।”

    জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের (Bangladesh Crisis) মতে, ইউনূসের আমলে জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে জামাত ঘনিষ্ঠদের। এই সব কারণে ইউনূস প্রশাসনের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিএনপি। খালেদার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাক সেনার হয়ে কাজ করছিলেন। রাজাকার ঘাতক বাহিনীর নেতা হিসেবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। ইউনূস জমানায় সেই জামাতের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকা নিয়েও (Yunus Government) বিএনপি ক্ষুব্ধ।

    কী বলছে বিএনপি?

    আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক নির্বাচন সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে, যা সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদিতে বড় ধরনের সংস্কার শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ করতে পারে। বড় ধরনের সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়।” আলমগীর খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারেক লন্ডনে থাকেন। তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তদারকি সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে আলামগীর বলেন, “শীঘ্রই একটি দৃঢ় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেবে আমার দল।” বিএনপির আর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ বলেন, “নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে ইউনূসের সমর্থন দেওয়া নৈতিক ও নীতিগতভাবে ভুল।”

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    অরাজনৈতিক হওয়া উচিত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইউনূস একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের কাজ সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। এর ম্যান্ডেটও সীমিত। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দেওয়া এবং নতুন দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার অজুহাত দেওয়া খুবই ভুল। গ্রহণযোগ্যও নয়। ইউনূস যে খেলা খেলছেন, তা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের মানুষ।” আলমগীর বলেন, “নির্বাচনী সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ হল সংস্কারের সুপারিশ করা। কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেওয়া (Bangladesh Crisis) শোভন নয়।”

    বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত!

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার সাদাকাত আলি বলেন, “বিএনপি এবং ইউনূসের মধ্যে একটি তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কারণ ইউনূস দিন দিন আরও সাহসী হয়ে উঠছেন।” তিনি বলেন, “ইউনূস এখনও পর্যন্ত চুপ ছিলেন। কারণ তিনি নিজের জন্য সমর্থন সংগঠিত করার আগে বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াতে চাননি। তবে এটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কারণ তিনি (Yunus Government) ইসলামপন্থীদের এবং অন্যদের সমর্থন পেয়েছেন। শীঘ্রই তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানবেন (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 242: “কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন—তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ?—তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করাবে”

    Ramakrishna 242: “কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন—তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ?—তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করাবে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে রাখাল, রাম, মাস্টার,

    ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই জুন

    শ্রীযুক্ত নবদ্বীপ গোস্বামীর প্রতি উপদেশ

    শ্রীগৌরাঙ্গের মহাভাব, প্রেম ও তিন দশা 

    অপরাহ্ন। রাখাল, রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ঠাকুর মণি সেনের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। নবদ্বীপ গোস্বামী প্রসাদ পাওয়ার পর ঠাণ্ডা হইয়া বৈঠকখানায় আসিয়া ঠাকুরের কাছে বসিয়াছেন (Kathamrita)।

    শ্রীযুক্ত মণি সেন ঠাকুরের গাড়িভাড়া দিতে চাহিলেন। ঠাকুর তখন বৈঠকখানায় একটি কৌচে বসিয়া আছেন আর বলিতেছেন, “গাড়িভাড়া ওরা (রাম (Ramakrishna) প্রভৃতিরা) নেবে কেন? ওরা রোজগার করে।”

    এইবার ঠাকুর নবদ্বীপ গোস্বামীর সহিত ঈশ্বরীয় কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নবদ্বীপের প্রতি)—ভক্তি পাকলে ভাব—তারপর মহাভাব—তারপর প্রেম—তারপর বস্তুলাভ (ঈশ্বরলাভ)।

    “গৌরাঙ্গের—মহাভাব, প্রেম।”

    “এই প্রেম হলে জগৎ তো ভুল হয়ে যাবেই। আবার নিজের দেহ যে এত প্রিয় তাও ভুল হয়ে যায়! গৌরাঙ্গের এই প্রেম হয়েছিল। সমুদ্র দেখে যমুনা ভেবে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল (Kathamrita)।

    “জীবের মহাভাব বা প্রেম হয় না—তাদের ভাব পর্যন্ত। আর গৌরাঙ্গের তিনটি অবস্থা হত। কেমন?”

    নবদ্বীপ—আজ্ঞা হাঁ। অন্তর্দশা, অর্ধবাহ্যদশা আর বাহ্যদশা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—অন্তর্দশায় তিনি সমাধিস্থ থাকতেন। অর্ধবাহ্যদশায় কেবল নৃত্য করতে পারতেন। বাহ্যদশায় নামসংকীর্তন করতেন।

    নবদ্বীপ তাঁহার ছেলেটিকে আনিয়া ঠাকুরের সঙ্গে আলাপ করিয়া দিলেন। ছেলেটি যুবা পুরুষ — শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    নবদ্বীপ—ঘরে শাস্ত্র পড়ে। এ-দেশে বেদ একরকম পাওয়াই যেত না। মোক্ষমূলর ছাপালেন, তাই তবু লোকে পড়ছে।

    পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র—শাস্ত্রের সার জেনে নিতে হয় 

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বেশি শাস্ত্র পড়াতে আরও হানি হয়।

    “শাস্ত্রের সার জেনে নিতে হয়। তারপর আর গ্রন্থের কি দরকার!

    “সারটুকু জেনে ডুব মারতে হয়—ঈশ্বরলাভের (Kathamrita) জন্য।

    “আমায় মা জানিয়ে দিয়েছেন, বেদান্তের সার—ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। গীতার সার—দশবার গীতা বললে যা হয়, অর্থাৎ ‘ত্যাগী, ত্যাগী’।”

    নবদ্বীপ—‘ত্যাগী’ ঠিক হয় না, ‘তাগী’ হয়। তাহলেও সেই মানে। তগ্‌ ধাতু ঘঞ্‌ = তাগ; তার উত্তর ইন্‌ প্রত্যয়—তাগী। ‘ত্যাগী’ মানেও যা ‘তাগী’ মানেও তাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—গীতার সার মানে—হে জীব, সব ত্যাগ করে ভগবানকে পাবার জন্য সাধন কর।

    নবদ্বীপ—ত্যাগ করবার মন কই হচ্ছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমরা গোস্বামী, তোমাদের ঠাকুর সেবা আছে,—তোমাদের সংসার ত্যাগ করলে চলবে না। তাহলে ঠাকুর সেবা কে করবে? তোমরা মনে ত্যাগ করবে।

    “তিনিই লোকশিক্ষার জন্য তোমাদের সংসারে রেখেছেন—তুমি হাজার মনে কর, ত্যাগ করতে পারবে না—তিনি এমন প্রকৃতি তোমায় দিয়েছেন যে, তোমায় সংসারে কাজই করতে হবে।

    “কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন (Kathamrita)—তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ?—তুমি ইচ্ছা করলেই যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত হতে পারবে না, তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করাবে।”

     আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharatpol Portal: লক্ষ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, ‘ভারতপোল’ পোর্টাল উদ্বোধন অমিত শাহের

    Bharatpol Portal: লক্ষ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, ‘ভারতপোল’ পোর্টাল উদ্বোধন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে নানা অপরাধ দমনের জন্য একাধিক স্তরে কাজ করে যাচ্ছে। ঠিক এই কাজকে এবার আরও অগ্রগতি দিতে দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ‘ভারতপোল’ (Bharatpol Portal) নামক এক বিশেষ পোর্টাল চালু করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন। এই পোর্টাল সোমবার দিল্লি থেকে চালু করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই অভিনব ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য পুলিশ এবং ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় ও সংযোগ রেখে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে যে কোনও তদন্তে খুব কার্যকারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক তদন্তকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে (Bharatpol Portal)

    পোর্টালের (Bharatpol Portal) উদ্বোধন করে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভারতপোল পোর্টাল আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক তদন্তকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে। এতদিন সিবিআই, ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করার জন্য একমাত্র সংস্থা ছিল। এবার থেকে ভারতপোলে ভারতের প্রতিটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনী খুব সহজেই ইন্টারপোলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে। কাজে এখন অনেক গতি আসবে। যে সমস্ত লাল সতর্কীকরণ এবং একাধিক আরও নানা সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে সেগুলিকে খুব সহজেই ইন্টারপোলের সহযোগিতায় কাজ করা যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ হু হু করে নামবে তাপমাত্রা, বুধবার থেকে ঠান্ডা বাড়বে বাংলায়

    আগাম সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে

    আমিত শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, “সাইবার-অপরাধ, আর্থিক দুর্নীতি, অনলাইন জিহাদ, সংগঠিত অপরাধ, মাদক পাচার, মানব পাচার ইত্যাদি সহ আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অপরাধগুলিকে তদন্তে দ্রুত গতি এবং দমন বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে। এই ধরনের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য ভারতপোল পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। আজ তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশেষ কাজের সূচনা করা হল। এই ভারতপোল পোর্টালের (Bharatpol Portal) মাধ্যমে দেশের পুলিশ বিভাগগুলি বিভিন্ন ধরণের আন্তর্জাতিক সমস্যা বা তদন্ত নিয়ে নজরদারি এবং বিশ্লেষণ করতে পারবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে আবার আগে থেকে কোনও অপরাধ সংঘটিত করার বিষয়ে প্রতিরোধ করারও একটা দিকও উল্লেখযোগ্যভাবে থাকবে। ফলে আগাম সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার একটা বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা যাবে। আন্তর্জাতিক ভাবে যেকোনও ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান এবং তথ্য জোগাড় করার একটা বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। বিশ্লেষণ আরও সঠিক এবং সুন্দর ভাবে করতে সুবিধা মিলবে। দাগী এবং দোষীদের একদিকে যেমন শনাক্তকরণ করবে, ঠিক তেমনিই ভাবে একটি বিশেষ ব্যবস্থার দিকেও ঝুঁকতে হবে।”

    ১৯৫টি দেশের ইন্টারপোলের চ্যানেলের সুবিধা মিলবে

    এই ভারতপোলের (Bharatpol Portal) মাধ্যমে ভারত যেমন আন্তর্জাতিক বিশ্বে অপরাধীদের খোঁজ করবে, তেমনি ভারতের মধ্যে যদি কোথাও আন্তর্জাতিক অপরাধী লুকিয়ে থাকে, তাহলে তাঁদেরও শনাক্ত করতে এই পোর্টাল বেশ উপযোগী হবে। ইন্টারপোলের সঙ্গে সংযুক্তির পাশাপাশি আরও ১৯৫টি দেশের মধ্যে থাকা ইন্টারপোলের বিশেষ চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গ্রহণ করতে পারবে ভারতীয় একাধিক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তাই তথ্য আদানপ্রদান এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষ ভাবে কাজ কাজ করবে পোর্টাল।

    ৩৫ জন সিবিআই অফিসারকে বিশেষ সম্মানের মেডেল দেওয়া হল

    এদিন দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে মোট ৩৫ জন সিবিআই অফিসারকে বিশেষ সম্মানের মেডেল দিয়ে সম্মানিত করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিশেষ করে তদন্তে বিরাট সাফল্য এবং নজির গড়ার জন্য সুরক্ষা কর্মী এবং অফিসারদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি। এদিন একইভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিদেশ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ডিওপিটি, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থাগুলি-সহ বিভিন্ন বিভাগের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশজুড়ে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে সেখানে যুদ্ধের জিগির তুলছে মৌলবাদীরা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। এই আবহের মধ্যে এবার বাংলাদেশের হু হু করে বেকারত্ব বেড়ে চলার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেটাও সেখানকার সরকারি হিসেব অনুসারে! মূলত, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেই এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম চাপে পড়ে গিয়েছে ইউনূস সরকার। ভারত বিরোধী জিগির তুলে বেকারত্ব বৃদ্ধির দায়কে এড়িয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

    বেকারের সংখ্যা কত? (Bangladesh)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স বা বিবিএস-এর হিসেব বলছে, চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪) বাংলাদেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার! রবিবার বিবিএস-এর তরফে শ্রম শক্তি সমীক্ষা ২০২৪-এর যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই সামনে এসেছে এই তথ্য। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সকারের পতন এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন। আর, তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের তুমুল ভারত বিদ্বেষ ও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর নিদারুণ নিপীড়ন!

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণের নিয়ম

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিক্স’ বা ১৯তম আইসিএলএস-এর নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের (Bangladesh) নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে, যে সমস্ত ব্যক্তিরা কোনও উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও পণ্য বিক্রি বা বাজারে কোনও পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন না, তাঁদের বেকার বা কর্মহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিবিএস-এর একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্রথম এই ফরমুলায় দেশে সমীক্ষা চালানো হল এবং বেকারদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হল। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এত দিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসেব করা হত। এবার, নতুন ফর্মুলা (১৯তম আইসিএলএস) অনুযায়ী, সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

    কেন বাড়ছে বেকার?

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল কালের কণ্ঠ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বেকারত্ব বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মূলত দু’টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা। প্রথমত, গত একবছরে বাংলাদেশে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ না হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, লাগাতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিরতা। এর ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র। গত এক বছরে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন! লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এর আগে ১৩তম আইসিএলএস ভিত্তিক করা সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশে (Bangladesh) কর্মরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ। যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯০ হাজার এবং মহিলার সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭০ হাজার। আগের এই সমীক্ষা অনুসারে, উপরোক্ত শ্রমিক শক্তির অধীনে অন্তত ৬ কোটি ৭৫ লক্ষ ১০ হাজার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মজুরি পাওয়ার জন্য সাতদিনে অন্তত একঘণ্টা শ্রম দান করেন। এই তালিকায় পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৭০ হাজার এবং ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার। এই বিশেষ গোষ্ঠীটিকে কর্মরত বা কর্মহীন— এই দুইয়েরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়া, প্রবীণ, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত, গৃহবধূ এবং সেইসব ব্যক্তি- যাঁরা নানা কারণে কাজ করে রোজগার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছল, ওবিসি মামলার রায় মে মাসেই

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছল, ওবিসি মামলার রায় মে মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টোয়। অন্যদিকে, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানিও পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের নিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তাও পিছিয়ে দেওয়া হল।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Supreme Court)

    এদিন প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) বেঞ্চে প্রথমেই ওঠে এসএসসি মামলা। তবে আরও কিছু তথ্য জমার প্রয়োজন রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির সঞ্জীব খান্নার। নির্দেশ দেন, আজই সিবিআইকে মামলার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সব পক্ষ হলফনামা জমা দেবে ১৫ তারিখের মধ্যে। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাটির শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার ওপরে জোর দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, নাকি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা তা বিবেচনা করা হবে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।’ ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক ও গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এখন কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তার খানিকটা আভাস পাওয়া যাবে আগামী ১৫ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

     ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানি কবে?

    পাশাপাশি, এদিন সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলারও শুনানি ছিল। কিন্তু, পিছিয়ে গেল সেই মামলার শুনানিও। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে মামলা দায়ের করেছে, তার শুনানি আগামী ২৮-২৯ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, মামলায় বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত আশ্বাস দিয়েছে যে আগামী মে’তে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার আগেই মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল। সংবাদমাধ্যম লাইভ ল’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানান যে, নয়া শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে যেন ওবিসি মামলার ফয়সালা করা হয়। তিনি আগেই শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন যে, হাইকোর্টের রায়ের কারণে সাধারণ মানুষ ওবিসি শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারছেন না। আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর সেটার প্রেক্ষিতেই মে’র মধ্যে সেই মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাসবাণী দিয়েছে বিচারপতি গভাই এবং বিচারপতি মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া…’! কুম্ভমেলায় হারানোদের খুঁজে বের করবে উচ্চ-প্রযুক্তির এআই

    Mahakumbh Mela 2025: ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া…’! কুম্ভমেলায় হারানোদের খুঁজে বের করবে উচ্চ-প্রযুক্তির এআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড-টলিউডের সিনেমার গল্পে মেলায় গিয়ে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং পরে আবার মিলিত হওয়ার অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এবার এই কুম্ভে “মেলায় হারিয়ে যাওয়া”-এই প্রাচীন উক্তিকে ভুল প্রমাণিত করতে উদ্যোগী হয়েছে যোগী প্রশাসন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত উচ্চ-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেলায় হারানো এবং খুঁজে পাওয়ার পঞ্জিকরণ করার বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা জানানো হয়েছে। ফলে মেলায় প্রিয়জন বা আপনজনদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবাদকে নস্যাৎ করবে এই নয়া প্রযুক্তি (Yogi Administration)। ২০২৫ সালের কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) কোটি কোটি হিন্দুদের সর্ববৃহৎ মহাসঙ্গম হবে। তাই বাচ্চা থেকে বয়স্ক নাগরিকরা যাতে হারিয়ে না যান বা হারিয়ে গেলে যাত্র দ্রুত সন্ধান করা যায়, সেই জন্য অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। ফলে ‘যোগী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ এই কথাও কার্যকর হবে বলে মনে করছেন আদিত্যনাথের ভক্তরা।

    সহায়তা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ১৯২০ (Mahakumbh Mela 2025) 

    ভারতবর্ষ একটি বহু মিলনমেলার দেশ। এখানে প্রত্যেক রাজ্য, প্রত্যেক জেলা এমনকি প্রত্যেক গ্রামে এক এক সময়ে মেলা হয়ে থাকে। মেলায় অংশ গ্রহণ করে থাকেন দুরদূরান্তের লোকজন। মেলার মহালোকারণ্য, সাজসজ্জা এবং গোলোক ধাঁধায় অনেক মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার একটা ঘটনা সব জায়গায় ঘটে থাকে। তার মধ্যে তীর্থ ক্ষেত্রের মহামেলায় মানুষ হারিয়ে যাওয়া একটি বড় সমস্যা ছিল দেশবসীর কাছে। এবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তীর্থযাত্রীদের ডিজিটাল নিবন্ধীকরণের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে হারানো এবং প্রাপ্তির কম্পিউটারাইজড রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এই সহায়তা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ১৯২০। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবার এবং আত্মীয়ের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়।

    কুম্ভের ঐশ্বরিক ও মহৎ ভাবনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়

    সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট জ্ঞান প্রকাশ বলেন, “আমাদের ইচ্ছে কুম্ভকে ঐশ্বরিক ও মহৎ ভাবনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো। কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তির ব্যবহার করে হারানো এবং প্রাপ্তির বিশেষ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এই প্রয্যুক্তি বিভিন্ন উপায়ে খোঁজ বা অনুসন্ধান করে থাকে। যেমন-১০ বছর আগেকার তুলায় এখন কেমন হয়েছে ছবি, সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে ছবির মিল বা অমিল ইত্যাদি বিষয়ে তথ্যের অনুসন্ধান দেবে। মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন, বিভিন্ন উপভাষায় কথা বলবেন। এই অনুষ্ঠান চলাকালীন, কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁদের ভাষা হিন্দি বা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের থাকার জন্য একটি নির্ধারিত জায়গায় পাওয়া যাবে। যেখানে প্রায় ১০০টি শয্যা বিশিষ্ট একটি কক্ষ থাকবে। যদি শিশুরা তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তাদের সাময়িক কষ্ট নিবারনের জন্য একটি বিনোদনের কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে যথাস্থানে পৌঁছে দেবে

    সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট জ্ঞান প্রকাশ আরও বলেন, “একটি কেন্দ্রে চিকিৎসকদের একটি দল মানসিক ভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার কাজ করবেন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং পরিষেবারও ব্যবস্থা করা হবে।” অপর দিকে, এই কেন্দ্রে নথিভুক্তিকরণ বা রেজিশট্রেশনের (Yogi Administration) জন্য সব সময় ১০ জন করে ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। আরও সহায়তার জন্য একটি পুলিশ ডেস্ক এবং পুনরায় ফিরে পাওয়ার আলাদা ডেস্ক থাকবে। কেউ যদি মেলায় হারিয়ে যায় তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলে এই কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে পরিচয় যাচাই করবে এবং তাকে নিরাপদে যথা স্থানে পৌঁছে দেবে।

    ১২ বছর পর পালিত হচ্ছে মহাকুম্ভ

    উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ প্রতি ১২ বছরে একবার আসে, আর পূর্ণ কুম্ভ আসে ১৪৪ বছরে। এবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে পূর্ণ কুম্ভও। এই বছর আগামী মকর সংক্রান্তি ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলায় প্রচুর ভক্তদের উপস্থিতির আশা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধ করতে জেলা প্রশাসন ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ করে ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। মেলায় আগুনের ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

    পাপমুক্তি এবং মোক্ষ দেয় কুম্ভস্নান

    পুরাণে কথিত রয়েছে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত উঠেছিল তার এক ফোঁটা অমৃত ত্রিবেণী সঙ্গমে পড়েছিল। তাই ধরাধাম থেকে মুক্তি পেতে তীর্থযাত্রীরা কুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ত্রিবেণী সঙ্গম-গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর (পৌরাণিক) সঙ্গমস্থলে ছুটে আসেন। পাপমুক্তি এবং মোক্ষ (মুক্তি) লাভের বাসনা বিশ্বাস করে পবিত্র স্নান করে থাকেন। মহাকুম্ভ মেলা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ হিসাবে চিহ্নিত। এবার ৪৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রীদের মহাগমন ঘটবে বলে জানা গিয়েছে। মেলার সব রকম প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছে যোগী প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সদস্যতা অভিযানে ব্যাপক সাড়া পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও যেভাবে সাফল্য মিলছে সদস্যতা অভিযানে, তাতে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্যতা প্রায় ৫০ লাখ ছুঁই ছুঁই। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর সদস্যতা অভিযানের আবহে বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। এনিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪০ লক্ষ পার করে দিয়েছি। আশা করি ১০ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লাখ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, সারাদেশের নিরিখে কিছুটা দেরিতেই শুরু হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সদস্যতা অভিযান। তারপরেও এই ব্যাপক সাফল্য বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের বিপুল সমর্থনেরই প্রতিফলন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ১৮২ বিধানসভায় ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য (BJP)

    দেরিতে সদস্যতা অভিযান শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা জানাচ্ছেন, আরজি কর আন্দোলন, এবং তারপর দুর্গাপুজো। এই কারণেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়। গোটা দেশের তুলনায় প্রায় দেড় মাস পর শুরু হয় বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচি। তাই সদস্যতা অভিযান শেষ করার দিন ১০ জানুয়ারি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে (West Bengal) বিজেপির লোকসভাভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি জেলাতেই পার করে গিয়েছে ১ লাখ সদস্যতা। অন্যদিকে ১৮২টি বিধানসভাতে ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য করাতে পেরেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    সম্প্রতি সদস্যতা অভিযানের পর্যালোচনা বৈঠক হয় সেক্টর ফাইভে 

    তৃণমূলের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেও যেভাবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা সদস্যতা অভিযানকে সফল করেছেন তাতে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সম্প্রতি, সেক্টর ফাইভে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা। ওই বৈঠকেই সদস্যতা অভিযানের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share