Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সদস্যতা অভিযানে ব্যাপক সাড়া পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও যেভাবে সাফল্য মিলছে সদস্যতা অভিযানে, তাতে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্যতা প্রায় ৫০ লাখ ছুঁই ছুঁই। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর সদস্যতা অভিযানের আবহে বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। এনিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪০ লক্ষ পার করে দিয়েছি। আশা করি ১০ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লাখ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, সারাদেশের নিরিখে কিছুটা দেরিতেই শুরু হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সদস্যতা অভিযান। তারপরেও এই ব্যাপক সাফল্য বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের বিপুল সমর্থনেরই প্রতিফলন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ১৮২ বিধানসভায় ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য (BJP)

    দেরিতে সদস্যতা অভিযান শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা জানাচ্ছেন, আরজি কর আন্দোলন, এবং তারপর দুর্গাপুজো। এই কারণেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়। গোটা দেশের তুলনায় প্রায় দেড় মাস পর শুরু হয় বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচি। তাই সদস্যতা অভিযান শেষ করার দিন ১০ জানুয়ারি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে (West Bengal) বিজেপির লোকসভাভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি জেলাতেই পার করে গিয়েছে ১ লাখ সদস্যতা। অন্যদিকে ১৮২টি বিধানসভাতে ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য করাতে পেরেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    সম্প্রতি সদস্যতা অভিযানের পর্যালোচনা বৈঠক হয় সেক্টর ফাইভে 

    তৃণমূলের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেও যেভাবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা সদস্যতা অভিযানকে সফল করেছেন তাতে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সম্প্রতি, সেক্টর ফাইভে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা। ওই বৈঠকেই সদস্যতা অভিযানের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুরিভোজের আয়োজন করলেন নদিয়ার বৃদ্ধ!

    Nadia: নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুরিভোজের আয়োজন করলেন নদিয়ার বৃদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুমেহ হল মধুময়। নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এলাহি আয়োজন করলেন নদিয়ার (Nadia) পলাশীপাড়া থানার পলশন্ডা গ্রামের ৭৪ বছরের নিতাই প্রামাণিক। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। বিয়ে করেননি। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি থাকেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আর এই রোগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই তিনি মহাভোজের আয়োজন করেছেন। আর গৃহশিক্ষকের এই উদ্যোগ দেখে হতবাক সকলে।

    মেনুতে কী কী ছিল? (Nadia)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর যখন ২৪ তখনই সুগার (Nadia) ধরা পড়ে তাঁর। তারপর থেকেই ক্রমাগত ইনসুলিন এবং ওষুধের ওপর থাকতে হয় তাঁকে। মনে চাইলেও ভালো-মন্দ খেতে পারেন না। আর তাই তাঁর ইচ্ছা ছিল, নিজে যখন খেতে পারেন না, অন্যান্যদের বছরের প্রথমেই বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়াবেন। তাঁর আমন্ত্রণে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীসহ অনান্যরা সাড়া দেন। হাজির হন তাঁর বাড়িতে। শুধু এলাকার লোকই নয়, দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এসেছিলেন। তাঁরা বলেন, রোগের ৫০ বছর উপলক্ষে এই ধরনের ভোজনের আয়োজন আগে কেউ করেছে বলে জানা নেই। এটা রেকর্ড হয়ে থাকবে। এই ধরনের ঘটনার আমরা সাক্ষী হতে পেরে খুবই খুশি। জানা গিয়েছে, নিতাইবাবুর মেনুতে ছিল ডিমের ডেভিল, মটরশুঁটির কচুরি, ছোলার ডাল, ফ্রায়েড রাইস, পনির, চিংড়ি দিয়ে ফুলকপির তরকারি, চাটনি, দই, রসগোল্লা, কমলাভোগ।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    কী বার্তা দিলেন নিতাইবাবু?

    এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিতাইবাবু (Nadia) নিজে। আর সেই ইচ্ছেতেই তিনি এমন আয়োজন করেছেন। শুধু সুস্থ মানুষরাই নয় অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কব্জি ডুবিয়ে খেলেন। নিতাইবাবু বলেন, “আসলে ৫০ বছর ধরে আমি সুগারের রোগী। এই রোগকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ব্যায়াম আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করলে এই রোগ কিছুই করতে পারবে না। এই বার্তা দিতেই আমি এই আয়োজন করেছিলাম। নতুন বছরের শুরুতে সকলে মিলে একসঙ্গে খেতে পেরেও আমার ভালো লাগছে। আমি সারাদিনে ১২০ গ্রাম চালের ভাত খাই। আর তিন ঘণ্টার বেশি পেট খালি রাখি না। নিয়ম মেনে চললে সুগার নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। আমি নিজেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। বছর পাঁচেক আগে এমনই শীতে দানা বেঁধেছিল মহামারি। কয়েক মাসে গোটা বিশ্ব আক্রমণের কবলে পড়েছিল! সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলছে কি? এমন চিন্তায় অনেকেই। করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই চিনেই আবার আরেক ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের মৃত্যুর খবরও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের (HMPV) অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই আতঙ্ক বাড়ছে।

    নতুন চিনা ভাইরাসের উপসর্গ কী

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চিনের এই ভাইরাসের পোশাকি নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এই রোগে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেবে। আবার শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে‌। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসেও শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বমি, পেটব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? (HMPV)

    চিনের এই ভাইরাসে বিপদ বাড়ছে শিশুদের। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই এই রোগের প্রকোপে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর মনে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষত শিশুদের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তাদের শরীরে ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়ছে। ফলে, শিশুদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের পাশপাশি বড়দেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সর্দি-কাশি-জ্বর যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। পরিবারের কেউ জ্বর কিংবা সর্দিতে ভুগলে, তাঁর আলাদা থাকাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ কারণ, এই ভাইরাস (HMPV) হাঁচির মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই রোগীকে আইসোলেশনে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে‌ চলতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাত পরিষ্কার রাখা, পরিশ্রুত জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    করোনা ভাইরাসের মতোই মহামারির আশঙ্কা রয়েছে কি? (HMPV)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাসকে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ আতঙ্কের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাইরাসের চিকিৎসা রয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই ভাইরাস সক্রিয় হয়েছিল। চিকিৎসা করে রোগ নিরাময় সম্ভব হয়েছে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাবধানতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়। যা আগের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। আতঙ্ক নয়। সচেতনতাই পারবে এই রোগের মোকাবিল করতে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জের, কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য, দার্জিলিঙে বৃষ্টি-তুষারপাতের সম্ভাবনা

    Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জের, কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য, দার্জিলিঙে বৃষ্টি-তুষারপাতের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। আর এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আজ ঠান্ডা তো কাল গরম। বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। যার হাত ধরে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে রাজ্যজুড়ে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণেও কুয়াশা দিনভর। নতুন করে ১০ জানুয়ারি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দু’দিন পর থেকে তাপমাত্রা (Weather Update) আবার নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পৌষ সংক্রান্তিতে যেমন কনকনে ঠান্ডা থাকে, এবার তা অনেকটা কম অনুভূত হবে। তবে, কুয়াশার দাপট থাকবে।

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়?(Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’দিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে। তার পর আবার দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে। যদিও, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হলে শীত কমে যাবে আবার। ফলে এখনই জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে কুয়াশার দাপট থাকবে। আগামী দু’দিন কুয়াশার (Fog) প্রভাব বেশি থাকবে দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বাকি জেলাতেও ঘন কুয়াশা থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তাপমাত্রা ওঠানামা এবং আর্দ্রতার কারণে কুয়াশা আরও ঘনীভূত হবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত দক্ষিণের সব জেলাতেই শুকনো আবহাওয়া থাকবে।

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা কোথায়?

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে (Weather Update) উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিঙে মঙ্গলবার বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া শুরু হবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঘন কুয়াশা থাকবে। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর ও মালদায় কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 243: “যাঁর চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—তাঁর চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয়?”

    Ramakrishna 243: “যাঁর চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—তাঁর চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয়?”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে রাখাল, রাম, মাস্টার,

    ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই জুন

    শ্রীযুক্ত নবদ্বীপ গোস্বামীর প্রতি উপদেশ

    শ্রীগৌরাঙ্গের মহাভাব, প্রেম ও তিন দশা 

    সমাধিস্থ শ্রীরামকৃষ্ণ—গোস্বামীর যোগ ও ভোগ 

    “কৃষ্ণ অর্জুনের সহিত কথা কহিতেছেন—এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর (Ramakrishna) আবার সমাধিস্থ হইতেছেন। দেখিতে দেখিতে সমস্ত স্থির—চক্ষু পলকশূন্য। নিঃশ্বাস বহিতেছে কি না বহিতেছে বুঝা ঝায় না। নবদ্বীপ গোস্বামী, তাঁহার পুত্র ও ভক্তগণ অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন।

    কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া ঠাকুর নবদ্বীপকে বলিতেছেন:

    “যোগ ভোগ। তোমরা গোস্বামীবংশ তোমাদের দুই-ই আছে।

    “এখন কেবল তাঁকে প্রার্থনা কর, আন্তরিক প্রার্থনা—‘হে ঈশ্বর, তোমার এই ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্য—আমি চাই না—আমি তোমায় চাই (Kathamrita)।’

    “তিনি তো সর্বভূতেই আছেন—তবে ভক্ত কাকে বলে? যে তাঁতে থাকে—যার মন-প্রাণ-অন্তরাত্মা সব, তাঁতে গত হয়েছে।”

    “ঠাকুর (Ramakrishna) এইবার সহজাবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন। নবদ্বীপকে বলিতেছেন:

    “আমার এই যে অবস্থাটা হয় (সমাধি অবস্থা) কেউ কেউ বলে রোগ। আমি বলি যাঁর চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—তাঁর চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয়?”

    শ্রীযুক্ত মণি সেন অভ্যাগত ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবদের বিদায় করিতেছেন—কাহাকে এক টাকা, কাহাকে দুই টাকা—যে যেমন ব্যক্তি।

    ঠাকুরকে পাঁচ টাকা দিতে আসিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলিলেন (Kathamrita):

    “আমার টাকা নিতে নাই।”

    মণি সেন তথাপি ছাড়েন না।

    ঠাকুর তখন বলিলেন, যদি দাও তোমার গুরুর দিব্য। মণি সেন আবার দিতে আসিলেন। তখন ঠাকুর যেন অধৈর্য হইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, “কেমন গো নেব?” মাস্টার ঘোরতর আপত্তি করিয়া বলিলেন, “আজ্ঞা না—কোন মতেই নেবেন না।”

    শ্রীযুক্ত মণি সেনের লোকেরা তখন আম সন্দেশ কিনিবার নাম করিয়া রাখালের হস্তে টাকা দিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—আমি গুরুর দিব্য দিয়েছি।—আমি এখন খালাস। রাখাল নিয়েছে সে এখন বুঝুগগে।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে গাড়িতে আরোহণ করিলেন (Kathamrita)—দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ফিরিয়া যাইবেন।

    নিরাকার ধ্যান ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 

    পথে মতিশীলের ঠাকুরবাড়ি। ঠাকুর মাস্টারকে অনেকদিন হইল বলিতেছেন—একসঙ্গে আসিয়া এই ঠাকুরবাড়ির ঝিল দর্শন করিবেন—নিরাকার ধ্যান কিরূপ আরোপ করিতে হয়, শিখাইবার জন্য।

    ঠাকুরের খুব সর্দি হইয়াছে। তথাপি ভক্তসঙ্গে ঠাকুরবাড়ি দেখিবার জন্য গাড়ি হইতে অবতরণ করিলেন।

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) শ্রীগৌরাঙ্গের সেবা আছে। সন্ধ্যার এখনও একটু দেরি আছে। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে শ্রীগৌরাঙ্গ-বিগ্রহের সম্মুখে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    এইবার ঠাকুরবাড়ির পূর্বাংশে যে ঝিল আছে তাহার ঘাটে আসিয়া ঝিল ও মৎস্য দর্শন করিতেছেন। কেহ মাছগুলির হিংসা করে না, মুড়ি ইত্যাদি খাবার জিনিস, কিছু দিলেই বড় বড় মাছ দলে দলে সম্মুখে আসিয়া ভক্ষণ করে—তারপর নির্ভয়ে আনন্দে লীলা করিতে করিতে জলমধ্যে বিচরণ করে।

    ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “এই দেখ, কেমন মাছগুলি। এইরূপ চিদানন্দ-সাগরে এই মাছের ন্যায় আনন্দে বিচরণ করা।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনার (Bihar) নারায়ণ বাবু স্ট্রিটে উদ্ধার হয়েছে একটি পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির। মন্দির আবির্ভূত হতেই স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা নজরে আসে। ধ্বনিত হয় ‘হর হর মহাদেব’। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। মন্দিরের গর্ভগৃহ এখনও সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষত। ভিতরে একটি বড় শিবলিঙ্গ এবং পায়ের ছাপ রয়েছে। 

    মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল (Bihar)

    গত ৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে একটি ভূমি ধসের কারণে এই শিব মন্দিরটি উদ্ধার হয়েছে। মন্দিরের দেওয়াল গ্রানাইট শিলা দিয়ে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। এরপর আশে পাশের এলাকাকে আরও খনন করলে মন্দিরের গাত্রে থাকা সুন্দর সুন্দর কারুকার্য প্রকাশ পেয়েছে। একই ভাবে মন্দিরে আরও নানা সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। মন্দিরের মধ্যে সব থেকে আকর্ষিণীয় দিকটি হল শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে তা অষ্টধাতু দিয়ে নির্মিত। বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এখন এই মন্দিরকে নিয়ে এলাকার শৈব ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানি হতেই প্রচুর লোকজন মন্দির দর্শন করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, মন্দিরটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে সেখানটা মূলত একটা পরিত্যক্ত জায়গা ছিল। তবে আগে থেকেই জায়গাটা একটি মঠের অন্তর্গত ছিল। এই জায়গাকে কিছু লোকজন একটি আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে রেখেছিল।

    শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন

    পাটনার (Bihar) স্থানীয়দের বক্তব্য, মন্দিরের পাশেই থাকতেন একজন পুরোহিত। তবে তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা জায়গাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। এরপর ফাঁকা জায়গা পেয়ে এলাকার মানুষ আবর্জনার স্তূপ করে ফেলে। কিন্তু, এই মাটির নীচে যে এত বড় এত প্রাচীন মন্দির লুকিয়ে ছিল, তা সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দির উদ্ধারের বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন ‘‘বাবা ভোলা নাথ কৃপা করেছেন’’। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Killed: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    Maoists Killed: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ফের মাওবাদীদের (Maoists Killed) সঙ্গে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে চলল তুমুল গুলির লড়াই। রাতভর দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে ৪ মাওবাদী। অন্যদিকে, অভিযান চলাকালীন গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জওয়ানের। সান্নু করম নামের ওই পুলিশ কর্মী ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) হেড কনস্টেবল পদে ছিলেন। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে একে ৪৭-এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর জেলার সীমানায় দক্ষিণ আবুজমাড়ের জঙ্গলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoists Killed)

    ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুর জেলার সীমান্তবর্তী আবুজমাড়ের জঙ্গলে শনিবার রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের (Maoists Killed) মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও জেলা থেকে ডিআরজি এবং এসটিএফ-এর যৌথ দল আবুজমাড়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। শনিবার থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট গুলি বিনিময় হয়। বস্তার রেঞ্জ পুলিশের মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি জানান, “জঙ্গলে তল্লাশি অভিযানের সময় এখনও পর্যন্ত ৪ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহের কাছ থেকে মিলেছে একে-৪৭ এবং এসএলআর-এর মতো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। একজন জওয়ান শহিদ হন।”

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা

    অন্যদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই জোর দিয়েছিলেন যে, মাওবাদীদের (Maoists Killed) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ়ভাবে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই করেছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারও আমাদের উপকার করছে। যে অফিসার শহিদ হয়েছেন তার জন্য আমি শান্তি কামনা করছি।” পাশাপাশি হেড কনস্টেবল সান্নু করমের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ডেপুটি সিএম বিজয় শর্মা বলেছেন, “এনকাউন্টারে ডিআরজি জওয়ান হেড কনস্টেবল সান্নু করমজির শহিদ হওয়ার দুঃখজনক খবর পাওয়া গিয়েছে। তার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ পর্যন্ত চলবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ এবং ‘খালিস্তানপন্থী-প্রেমী’ সাজাই ‘কাল’ হয়েছিল কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। সোমবারই পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছন লিবারেল পার্টির এই নেতা। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় রাজ করছিলেন ট্রুডো। সোমবার রাতে অবসান ঘটল তার।

    তালিকায় অনিতা আনন্দ (Anita Anand)

    কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন ট্রুডো সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ (Anita Anand)। তিনি যদি ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন, তাহলে তা হবে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিশ্বজয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে। এই তিন মাস কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি। এই ক’দিন স্থগিত থাকবে সংসদের অধিবেশন।

    কে এই অনিতা আনন্দ?

    ট্রুডো পদত্যাগ করতেই উত্তরসূরি বাছাই করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে লিবারেল পার্টি। সেখানেই সামনের সারিতে রয়েছেন অনিতা (Anita Anand)। পরিবহণ দফতর সামলানো ছাড়াও নানা সময় জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনিতার জন্ম নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের কেন্টভিলে। অনিতার বাবা তামিল, নাম এসভি (অ্যান্ডি) আনন্দ। মায়ের নাম সরোজ ডি রাম। পেশায় দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক। অনিতার দুই বোন রয়েছেন। তাঁদের নাম গীতা ও সোনিয়া। 

    ঈর্ষনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা

    বছর সাতান্নর অনিতা (Anita Anand) অক্সফোর্ডের প্রাক্তনী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়। স্থানীয় কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক। এর পর, অক্সফোর্ড থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। পরে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন তিনি। রাজনীতিতে আসার আগে অধ্যাপনা করতেন অনিতা। সম্মানীয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    রাজনৈতিক উত্থান

    ২০১৯ সালে রাজনীতির জগতে পা রাখার পরে পরেই দ্রুত দলে উত্থান ঘটতে থাকে অনিতার (Anita Anand)। সেই বছর ওকভিলের সাংসদ নির্বাচিত হন পলিটিক্যাল স্টাডিজের এই ছাত্রী। সাংসদ হওয়ার পরেই ঠাঁই হয় ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়। তার জেরেই সটান চলে আসেন ট্রুডো মন্ত্রিসভায়। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, অনিতা ছাড়াও কানাডার (Canada) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মেলাইন জলি, ক্রিস্টিয়া, ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি, ফ্রাঙ্কেইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RAW: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ‘র’! অভিযোগ আতঙ্কিত ইসলামাবাদের, অস্বীকার দিল্লির

    RAW: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ‘র’! অভিযোগ আতঙ্কিত ইসলামাবাদের, অস্বীকার দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘র’ (RAW) আতঙ্কে কাঁপছে পাকিস্তান। তাদের ঘরে ঢুকে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, পাকিস্তানের (Pakistan) অভিযোগ ঠিক এমনটাই। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের একটি রিপোর্টে মাধ্যমে পাকিস্তানের এমন দাবি সামনে এসেছে। পাকিস্তানের দাবি, ২০২১ সালে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (RAW) পাকিস্তানের প্রায় আধডজন নাগরিককে পরিকল্পনামাফিক বাড়িতে ঢুকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের আরও দাবি, যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের ভারত লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের আতঙ্কবাদী হিসেবে সন্দেহ করত। তবে, ইসলামাবাদের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি।

    ভাড়া করা শ্যুটার দিয়ে এমন কাজ করেছে ‘র’, দাবি পাকিস্তানের

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার ‘র’ (RAW), এমন হত্যালীলা সংঘটিত করতে কোনও ভারতীয় নাগরিকদের ব্যবহার করেনি। এর জন্য তারা পাকিস্তানের স্থানীয় অপরাধীদেরই কাজে লাগায় এবং আফগানিস্তান থেকে ভাড়া করা শ্যুটার আনে। পরিকল্পনামাফিক ভাবেই এমন ‘র’ (RAW) এমন হত্যালীলা সংঘটিত করেছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের দাবি, মোট ২০ জনকে টার্গেট করে ‘র’। হাওলার মাধ্যমে টাকা আসে শ্যুটারদের কাছে। ওই রিপোর্টের দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সালে ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-কে হত্যা করার অন্যতম অভিযুক্ত আমির সরফরাজের ওপরে হামলা চালানো হয়, এটাও ‘র’-এর কাজ বলেই দাবি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের আরও দাবি, এই হত্যালীলাগুলি সংঘটিত করতে আলাদা টিম তৈরি করেছিল ‘র’।

    মোদি জমানায় ভারতের রণনীতি আক্রমণাত্মক, অভিযোগ পাক গুপ্তচর সংস্থার

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মাটিতে একের পর এক সন্ত্রাসবাদীকে অজ্ঞাতপরিচয়রা হত্যা করতে থাকে। এখানে ব্যর্থতা সামনে আসে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। এর পর, হতাশ আইএসআই ২০২২ সালে এ নিয়ে অভিযোগ করে সিআইএ-র নির্দেশক উইলিয়ামের কাছে। পাকিস্তানি আধিকারিকদের অভিযোগ ছিল, ভারত তাদের দেশে ঢুকে এ ধরনের কাজ করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (RAW)। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর দাবি, যখন থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন থেকে ভারতের রণনীতি আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে।

    যদিও, ভারতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পুরোটাই খারিজ করেছে দিল্লি। নিজেদের বিবৃতিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় গণতন্ত্রের দেশ হল ভারত। নিজেদের সীমাক্ষেত্র লঙ্ঘন করে অন্য দেশে গিয়ে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করে না ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share